নীতিমালা

সচলায়তন এর ছবি
লিখেছেন সচলায়তন (তারিখ: বুধ, ২০/০৮/২০০৮ - ৬:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সচলায়তন এর নীতিমালা


প্রিয় সদস্য, অতিথি লেখক ও পাঠকবৃন্দ,

অনলাইন লেখক সমাবেশ সচলায়তনে নিম্নলিখিত নীতিগুলি অনুসৃত হবে।

১. সচলায়তন বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিসংগ্রাম ও অসাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়গুলিকে আক্রমণ করে লেখা পোস্ট, মন্তব্য বা অন্যান্য উপাদান সচলায়তন থেকে মডারেটরবৃন্দ যে কোন সময় অপসারণ করতে পারে...


সচলায়তন এর নীতিমালা


[justify]
প্রিয় সদস্য, অতিথি লেখক ও পাঠকবৃন্দ,

অনলাইন লেখক সমাবেশ সচলায়তনে নিম্নলিখিত নীতিগুলি অনুসৃত হবে।

১. সচলায়তন বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিসংগ্রাম ও অসাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়গুলিকে আক্রমণ করে লেখা পোস্ট, মন্তব্য বা অন্যান্য উপাদান সচলায়তন থেকে মডারেটরবৃন্দ যে কোন সময় অপসারণ করতে পারেন।

২. সচলায়তনে প্রকাশিত লেখাগুলি ৭২ ঘন্টার জন্যে অনন্য থাকতে হবে, এবং অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে, মুদ্রিত মাধ্যমে বা মুদ্রিত মাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে পূর্বপ্রকাশিত হতে পারবে না। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশের ক্ষেত্রে এ নিয়মটি প্রযোজ্য নয়।

সংযুক্তি: ফেইসবুক বা একই ধরণের সামাজিক মাধ্যমে পাবলিক অর্থাৎ সবার জন্য উন্মুক্ত বা নির্দিষ্ট গ্রুপে প্রকাশিত লেখাগুলোর ক্ষেত্রে কমিউনিটি ব্লগের রীতি অনুসৃত হবে। প্রাইভেট অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে বা নিজস্ব বন্ধুদের মাঝে প্রকাশিত লেখাগুলোর ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্লগের নিয়ম অনুসৃত হবে। সামাজিক মাধ্যমে একটি লেখা তার প্রকাশকালের কোন এক সময় সাময়িকভাবে পাবলিক অর্থাৎ সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে থাকলেও তাকে পাবলিকভাবে প্রকাশিত ধরা হবে। (সংযুক্তি অর্ন্তভুক্তি: ঢাকা সময় আগস্ট ১৩, ২০১৫)

৩. সচলায়তনের সদস্য হিসেবে একে অপরের প্রতি দলবদ্ধ আক্রমণ, অশিষ্ট মন্তব্য প্রভৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন সদস্য আক্রান্ত বোধ করলে তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে মডারেটর সেই আক্রমণাত্মক পোস্ট, মন্তব্য বা উপাদান সরিয়ে দিতে পারেন। উপরন্তু প্রথম সতর্ক সংকেত হিসেবে সাত দিন, দ্বিতীয় বার এক মাস তৃতীয় বার অনির্দিষ্টকালের জন্য সদস্যপদ মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

৪. কপিরাইট লঙ্ঘন করে, এমন কোন উপাদান সচলায়তন ধারণ করতে সম্মত নয়। পোস্ট বা মন্তব্যে অন্যত্র প্রকাশিত উপাদান ব্যবহার করলে তার সূত্র উল্লেখ করা প্রয়োজন।

৫. মডারেটররা তাৎক্ষণিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে এই নীতিমালা প্রয়োগ করতে পারেন। এ জন্যে রেফারেন্স হিসেবে এই নীতিমালা দ্রষ্টব্য।

৬. নীতিমালা লঙ্ঘিত হলে মডারেটরদের পক্ষ থেকে সদস্যরা সে সম্পর্কে অবগত হবেন। বারংবার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সদস্যের অধিকার সীমিত করা হতে পারে, ক্ষেত্রবিশেষে সদস্যাবস্থা বাতিল করা হতে পারে।

৭. মেটাব্লগিং অর্থাৎ "ইতিমধ্যে প্রকাশিত কোন ব্লগের প্রতিক্রিয়ায় এমন কোন পোস্ট, যার কন্টেন্ট বা বক্তব্য মূল পোস্টের মন্তব্য আকারেই আসতে পারে" এমন ধরনের পোস্ট কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করা হবে। এক্ষেত্রে মূল পোস্টের মন্তব্য আকারে আসতে পারা না পারার সীমারেখা কোথায় টানা হবে সেই সিদ্ধান্ত মডারেটররা গ্রহণ করবেন। প্রথম সতর্ক সংকেত হিসেবে সাত দিন, দ্বিতীয় বার এক মাস তৃতীয় বার অনির্দিষ্টকালের জন্য সদস্যপদ মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। (অর্ন্তভুক্তি: ঢাকা সময় জুন ১৬, ২০১০)

৮. সচলায়তনের পেছনের রাজনীতির বিষয়টি এখন থেকে শক্ত হাতে দমন করা হবে। মনে রাখতে হবে সচলায়তন ও সচলায়তনের মডারেশন অবিচ্ছেদ্য অংশ। এধরনের চেষ্টার সাথে জড়িত সবাইকে অবিলম্বে মডারেশনের আওতায় আনা হবে। (অর্ন্তভুক্তি: ঢাকা সময় জুন ১৬, ২০১০)

লেখকেরা যদিও স্বাধীন তথাপি, সচলায়তনে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে জোরালো ভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে:

  • ধর্মপ্রচার
  • রাজনৈতিক দলের বা কোন নেতার পক্ষে প্রচার
  • বিনানুমতিতে বিজ্ঞাপন প্রচার
  • যুক্তি ও রেফারেন্স ব্যতীত আলোচনা বা অভিযোগ বা সমালোচনা
  • যেকোন সময় ১ম পাতায় একাধিক পোস্ট দৃশ্যমান হওয়া (বেশী পোস্ট করলে সব পোস্টকে ১ম পাতায় দেখানো থেকে বিরত থাকুন)
  • ইচ্ছাকৃতভাবে ফ্লাডিং করা
  • অশ্লীল লেখা পোস্ট করা (অশ্লীলতার সংজ্ঞা নিরূপণে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত)
  • সাম্প্রদায়িক / বর্ণবাদী / লিঙ্গবাদী / অবমাননাকর লেখা ও মন্তব্য
  • ব্যক্তিগত আক্রমণ
  • উস্কানিমূলক, বিদ্বেষ, কোন্দল বা হিংসাত্মক লেখা
  • বিনানুমতিতে বা বিনারেফারেন্সে কারও লেখা বা কর্ম প্রকাশ করা
  • অমার্জিত ভঙ্গিতে যেকোন প্রকাশ যা বক্তব্যকে হালকা করে, লেখার মান ক্ষুণ্ণ করে
  • নিক, ব্লগের প্রোফাইল ও ছবিতেও উপরোক্ত ধারাগুলো প্রযোজ্য হবে
  • ইন্টারনেটে প্রকাশিত লেখার পুনর্প্রকাশ
  • সচলায়তনকে প্রকাশিত লেখার আর্কাইভ হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা
  • অতিথিদের উস্কানিমূলক বা নীতি নির্ধারনী মন্তব্য, কোন্দলে জড়িয়ে পড়া। মনে রাখতে হবে যে, সচলায়তনে আপনার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ তিনটি, লেখালেখি করা, সামাজিক উদ্যোগের সাথী হওয়া এবং মিথস্ক্রিয়া।

উল্লেখ্য যে সচলায়তন ব্লগারদের ইন্টারনেট প্রোটোকলবিষয়ক তথ্যাদি সংরক্ষণ করে না।


সচলায়তন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আবহমান বাংলার সংস্কৃতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ধর্মীয় সহনশীলতা ও সম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়িক উদারচিন্তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সম্মানিত ব্লগার ও পাঠকদেরকে সচলায়তনের মূল উদ্দেশ্য ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অসাধারণ সব লেখায় সচলায়তনের অঙ্গন পরিপূর্ণ করে তোলার আহবান জানাই।

আপনাদের সহযোগিতার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ।

সচল থাকুন, সচল রাখুন।


মন্তব্য