আজকাল ছোট বেলায় ফিরে যেতে খুব ইচ্ছা করে। খুব মনে পড়ে নানুবাড়িতে কাটানো ছুটির দিনগুলো। ক্লাস শেষ করে বাসায় পা রাখার সাথে সাথে মন খারাপ হয়েযায়। এরকম একা হয়ে যেতে হবে কোনদিন ভাবি নি। মানুষের ছোট বেলার বন্ধু হয় পাশের বাড়ির সখিনা...আমার বন্ধু ছিল ডজন খানেক মামা আর খালা। সবার চেহারা একবার করে ভেসে উঠছে...
আমাদের বাসার সবাই আব্বুকে যমের মতো ভয় পেতো। ছোটরা ভয়ে জড়সড় থাকতো,বড়রাও সহজে আব্বুর মুখের উপর কথা বলতো না। দাদাভাই সবসময় আব্বুর কাছ থেকে দূরে থাকতেন ধমক খাওয়ার ভয়ে। আমাদের বাসায় চৈতালের যতো জিনিস সব নিষিদ্ধ ছিলো। একমাত্র টেলিভিশনটাও শুধু আব্বু খবর দেখার জন্য ব্যবহার করতো। কারন আব্বু টিভিটার বিশেষ বোরখা ব্যবস্থা রেখেছিলেন। দুইদিক থেকে টানা দরজার মাঝে একখানা তালা ঝুলানো থাকতো। ততদিন পর্যন্ত ওই টিভিটা রহস্য
ছিল যতদিন মামা এর বিকল্প ব্যবস্থা আবিষ্কার করতে পারে নি। টিভির বাক্সের সামনে তালা তাতে কি পেছন দিয়ে তো খোলা যায়। টিভিটা বাক্সের পেছন দিয়ে ঢুকিয়ে সামনে তালা মেরে রাখতো। তাই আমার আব্বাজানের প্ল্যানটা ফেল খেলো আব্বু জানতেও পারলো না।
এখন শত চ্যানেল প্ল্যান ছাড়াই ফেল খায়...দেখতে ইচ্ছা করে না।
আমি তখন ক্লাস টু তে পড়ি আব্বু একটা ভি সি পি কিনে আলমারিতে তালা দিয়েছেন। তখন বাংলা সিনেমা দেখার একটা হিড়িক ছিল বাসায়। সালমান শাহ,মৌসুমীর সব কয়টা সুপার হিট সিনেমা দেখে শেষ করেছিলাম। আমাদের সেই ঐতিহাসিক ভিসিপিতে ইতিহাস করে সিনেমা দেখতে হতো। আধা ঘন্টা পর পর টিভি ঝির ঝির করা শুরু করতো আর আমরা সাদা কাগজ দিয়ে হেড পরিস্কার করতে করতে দুই ঘন্টার সিনামা চার ঘন্টায় দেখে শেষ করতাম। আব্বু আসার আওয়াজ পেলে যে যেখানে পারতো ছুটে পালাতো। আমার আর বাবলু মামার দায়িত্ব থাকতো ভিসিপি টাকে উতকৃষ্ট জায়গায় লুকানো।
আমরা কোন জায়গা খুঁজে না পেলে রান্না ঘরের সেলফে লুকাতাম। আর ইয়া নাফ্সি ইয়া নাফ্সি করতাম...আল্লা আব্বু যেন আজকে রান্নাঘরে না যায়।
বাবলু মামার হাত ধরে প্রথম আমি হাঁটতে শিখেছি,মামার গল্প শুনতে শুনতে খেতে শিখেছি। মামা গানের তালে তালে গল্প শোনাতো।-এক দেশে ছিল এক বাদশা...বাদশার ছিল এক বেগম...এক
ফুটফুটে শাহাজাদা ছিল তাদের...। মোহিত আমি মামার গল্পের তালে তালে ঝর্ণা মনির মাখা ভাত খেয়ে শেষ করতাম। ক্লাস টুতে যখন পড়ি তখনই ঝর্ণা মনির বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের গাড়িটা যখন বাড়ির সীমানা পার হচ্ছিল তখন বুঝলাম মনি অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। গাড়ির পেছন পেছন কত দূর গিয়েছিলাম মনে নেই।
এখন সময় পেলেই মনির বাসায় যাই অনেক গল্প করি মহুয়া আর মাহিন অবাক
হয়ে আমাদের গল্প শুনে। ওদের জীবন চার দেয়ালে বন্দি আমাদের গল্প ওদের কাছে গল্পই মনে হবে।
এখনও আম্মু বিকালে শুটকির ভর্তা আর চাপটি বানায়...এখনও নানুবাড়ি থেকে ভুড়ি ভুড়ি আম পাঠায়...এখনও বৃষ্টি পড়ে আগের মতো।কিন্তু একা একা আমের ভর্তা খেতে ভাল লাগে না।একা বৃষ্টিতেও ভিজতে ইচ্ছে করে না।
দাদুর কোলে বসে টুনটুনির গল্প শুনতে ইচ্ছা করে। আর ইচ্ছা করে মুগ্ধ হয়ে নানুর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে নানাভাইয়ের শিকার করার গল্প শুনতে। কিভাবে হরিণ শিকার করে চামড়া নিয়ে আসতেন...কিভাবে কাটা না ছাড়িয়ে আস্ত ইলিশ মাছ খেয়ে ফেলতেন...।
আমি নানাভাইয়ের খুব ভক্ত হয়ে
গিয়েছিলাম। একটা মানুষ কিভাবে সবার কাছে সমান প্রিয় হতে পারে? মনে প্রশ্নটা আজও জাগে। নানা ভাইয়ের সাথে ছবিতেই পরিচয়,ছবিতেই কথা। আম্মু নিজেও বেশী কিছু মনে করতে পারে না নানাভাইকে।
একঘন্টার জন্য ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে সেই এক ঘন্টাও কাটতে চায় না এখন। বারান্দার গ্রিল ঘেঁষে একা একা বাতাস খাই আর ভাবতে থাকি মেলা করে গান গাওয়ার দিন মনে হয় আর আসবে না।
অপেক্ষায় থাকতাম কখন ইলেক্ট্রিসিটি যাবে আর মেলা করে গান হবে...আমি ছন্দ ভুল করবো আর খালামনি চটাস করে একটা আচম্কা থাবড়া দিয়ে বলবে- না পারলে চুপ করে থাকবি উল্টাপাল্টা করবি না। আজকে অনেক দিন পর দুই বোন ঝগড়া করলাম। ঝগড়া করারও সময় নেই কারো।
কি করবো বুঝে পাই না...
মন্তব্য
হায়রে নস্টালজিয়া। চড়-থাপ্পড় দিয়ে টিভি-ভিসিআর চালানো, সাদা কাগজ দিয়ে হেড সাফ করা... ভুলেই গিয়েছলাম সেই সব দিনগুলোর কথা। বিস্মৃতির আস্তর পড়ে গেছে এক সময়ের চেনা জীবনের। আগে আপনার লেখা পড়েছি বলে মনে পড়ছে না। সচলায়তনে স্বাগতম। কলম ছুটুক।
'মুখরিত জীবন' মনে করিয়ে দিলেন। বাকি দিন এটা শুনেই কাটবে, বুঝতে পারছি।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
ঘন ঘন লিখি না তাই হয়ত চোখে পড়ে না। আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন আবার ভালও লেগেছে আমার আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করছে। আমি কিন্তু আপনার লিখা পড়ি আর ভাবি আমার কলম কেন ছুটে না?
মন্তব্য চোখে পড়েছে, কিন্তু পোস্ট বোধহয় নজর এড়িয়ে গেছে। আধা-সচল হওয়ার আগে লিখেছিলেন কিছু? কারণ নামটা চেনা-চেনা লাগছে।
পোস্টটা বেশ ঝরঝরে ছিল। ভাল লেগেছে সেই জন্যই। মেঘে মেঘে তো কম দিন গেল না, এখন স্মৃতি জিনিসটা কাতর করে দেয় অনেক। তায় আবার বাইরে আসার পর এই দিকে দুর্বলতা বেড়েছে।
আমার কলম ছোটে না রে ভাই। আমি লোকজনের লেখা পড়ি আর ভাবি, আমাকে কেন এত গলদঘর্ম হতে হয় সামান্য একটা লেখা বের করতেই। পাঠক-পরিচয় পেয়ে ভাল লাগলো। সচল থাকুন, ফাঁকি মারা চলবে না।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
দারুন লিখছ।
তোমার বাপ তো তালা মেরে খালাস। আর আমার মা কি করতো জানো? টিভি থাকতো উনার রুমে। উনি অফিসে যাওয়ার আগে সেই রুম লক করে যেতেন। এই লক করার স্বভাব উনার এখনও আছে। তবে টিভিটা খালি উনার রুমে নাই...
তবে পেছন দিয়ে টিভি বের করে সেই টিভি দেখারও স্মৃতি আমার আছে। কলেজের হাসপাতালে যেই টিভিটা ছিল সেইটা দেখার পারমিশন ছিল বিকাল পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। বাকি সময় তাল। আমরা মাঝরাতে সেই টিভি পেছন দিয়ে বের করে তারপর ইটিভি দেখতাম (অন্যকোন চ্যানেল ছিলনা তো তাই)।
বোনের সাথে ঝগড়া লাগছে কেন?
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
যাক...বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছে ভাল লিখি। অসাধারন সচলগন আমার লিখা পড়ে ভাল বলছে।
মজার ঝগড়া হয়েছিল অনেকদিন পর না দেখলে বুঝবেন না।
আপনারা নিজেদের মধ্যে এই ভাবে কথা বলেন?
আমি তো তব্দা খায়া গেলাম
(সন্ন্যসীজীর কাছ থেকে কমেন্ট ধার পূর্বক)
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আমার মনে হয়, আমি একটা কিছু আঁচ করতে পারতেসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কি আঁচ করতেছেন বুঝি নাই কিন্তু, তবে মনে হয় ঠিকই আঁচ করতেছেন
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
আঁচ তো আমার গায়েও কিছু লাগতেছে মনে হয়!
ওওওওওওওও...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কাল রাতে ভাবছিলাম আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে মরার আগে কি পেতে চাই-- আমি বলব আমার শৈশব।
আমিও
উদ্ধৃতি
বারান্দার গ্রিল ঘেঁষে একা একা বাতাস খাই আর ভাবতে থাকি মেলা করে গান গাওয়ার দিন মনে হয় আর আসবে না।
দিন গেলে তো আর আসে না। সেই দিনগুলোকে তাই মনে করি। সে দিনে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। ভালো হয়েছে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ধন্যবাদ।
এইজাতীয় লেখা bann করা উচিত। খামাখা আমাদের মন খারাপ করানোর কোন মানে হয়।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
এ জাতীয় লেখা পড়ে মন খারাপ করে সংসারে এক সন্ন্যাসীর লেখা পড়ে মন ভাল করে নেবেন।
ভিসিপির হেড পরিষ্কার করা আমারও মনে আছে। কার্টুনের ডিসটার্ব হলেই আব্বুকে ডাকতাম তারপর চুপ করে দেখতাম আব্বু কি করে। তারপর থেকে একটু ঝিরঝির করলেই নিজে নিজেই ঠিক করা শুরু করলাম।
তবে আপনিতো অনেক লাকি এত আপনজনের মাঝে বড় হয়েছেন। আমাকে একদম ছোটবেলায় আমার ছোট ফুপু কয়েকবছর দেখাশোনা করেছে, তারপর ফুপুর বিয়ের পর আব্বু আম্মু অফিসে গেলে আমাকে আমাদের কাজের মেয়ে দেখে রাখতো, সারাদিন ফ্ল্যাট বাসায় আমরা দুজন একা। সারাদিন বসে থাকতাম কখন আম্মু আসবে, আদর করবে তারপর সাজিয়ে দিবে আমি খেলতে যাব। আর বাসায় কেউ বেড়াতে আসলেতো কথাই নেই আমার খুশির সিমা থাকত না।
আপনার লেখা খুব ভালো লাগল। আরো লিখুন
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ...আপু তুমি মনে হয় অনেক শান্ত প্রকৃতি কেউ ছিলা। আমার আব্বু আম্ম বাসায় থাকলে দুনিয়া বানান করতে পারতাম না। আর অফিসে যাওয়ার পর আমরা দুনিয়ায় থাকতাম না।
আগে ছিল শান্ত, এখন হয়েছে মুমুয়িত।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
হাহাহাহা ।।। হুমম আম্মু বলে আমি নাকি অনেক লখ্খি আর শান্ত ছিলাম, যা বলত তাই কিন্তু এখন নাকি আর না
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হোটেল নিরিবিলি তো পুরা ফাটাই ফেলসে।
দুর্দান্ত লাগলো পড়তে
তাই না? ধন্যবাদ
অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন, রিওয়াইন্ড বাটন এ চাপ দিয়ে ঘুরে এলাম নিজের মুভিটাও, ধন্যবাদ ।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ভালো লাগলো। আমাকেও নস্টালজিক করে দিলেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আচ্ছা... এই তাইলে হোটেল নিরিবিলি? হু হু... বুঝলাম এইবার...
যা হউক... লেখা দারুণ লাগলো... এই জাতিয় লেখা আসলেই ব্যান করা উচিত... আমার বাল্যকালরে এখন কে ঠেকায়? হুড়মুরায়া মনের বন্দরে বান্দা হাজির...
ভিসিপিতে আমার দেখা প্রথম ছবি অমিতাভের কুলি... একসময়ের বিখ্যাত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মুনির (মুনির-খুকু কেইসের কথা আপনাদের জানার কথা না অবশ্য) তার অফিসে নিয়া দেখাইছিলো।
লুকায়ে ভিসিপি ভাড়া কইরা সারা রাইত দেখার সেইসব স্মৃতি... আহ্...
তবে ভিসিপির ইতিহাসে পুরান ঢাকা সবচেয়ে এক্সাইটিং... ১০ টাকা আর ২০ টাকা টিকেট... ২০ টাকার টিকেটের সাথে টুপি ফ্রি... ছবি দেখার সময় পুলিশ আসনের খবর পাইলে টিভি অফ কইরা টুপি মাথায় মিলাদ মাহফিল...
নাহ্... আপনে আসলেই খারাপ... এই উদাস বিকেলে মন আরো উদাস হইলো...
তাই আপনেরে উদাসী ৫
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ধন্যবাদ নজরুল ভাইয়া
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
সর্বনাশ !
জটিলস্য অভিজ্ঞতা নজু ভাই !
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
দারুন লেখা। ডেব্যু ম্যাচে একেবারে ডাবল সেঞ্চুরি!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ডাবল সেঞ্চুরি!
আমাকে যে কেন কেউ ডাবল-সেন-চুরি -র কথা বলে না... রিয়া আর রাইমা সেন'কে বগলদাবা করে দৌঁড় যে একটা দিতাম না!! (পাছে ধূগো দেখে ফেলে, তাই... )
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
এহ্ শখ কত... আমার বুকিং আগে... সেই কবে থেকা দিয়া রাখছি আর উনি আইসে বগলে নিয়া দৌড় দিতে...
বেশি ঝামেলা হইলে নাহয় ভাগাভাগি করতে পারি... তাই বইলা আপনে একলাই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
=))
দারুন লাগল লেখাটা। নিজের জীবনের সাথে মিল পেলাম যেন বেশ অনেকটা। আরো অনেক সুন্দর লেখার প্রত্যাশায় ...
হায় হায় !
হোটেল নিরিবিলি যে বালিকা, আগে তো বুঝি নাই !
লেখা দারুণ হয়েছে !
আরো বেশি বেশি লিখেন তো...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের লেখা পড়তেই বেশী ভাল লাগে। চেষ্টা করবো লিখতে।
কালে কালে আরো কত কিছু দেখবেন আফা। খালি একটু চোখ কান খোলা রাইখেন
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কানে কানে কই, স্বপ্নাহত
অখন মনে হয় ঝাপসা ঝাপসা অনেক কিছুই দেখতে পাইতেছি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ক্যামনে কী??? নাহ, মন্তব্য করার আগে লেখক/লেখিকার প্রোফাইল দেখে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
লেখার ভঙ্গিটা খুবই আন্তরিক। আরও লিখুন।
আপনার শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যের গল্প তো হলো। এরপর তাহলে কিসের গল্প শুনবো আমরা?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
দারূণ লিখছো পিচ্চি ... স্মৃতিকাতর বানায়ে দিলা ...
তবে আমি শৈশবে ফিরতে চাই না আর ... যদি কোন উপায় থাকতো, আমি আইইউটির দিনগুলি ফেরত চাইতাম
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
এত সুন্দর ঝরঝরে লেখাটা মিস করেছিলাম। কি অদ্ভুতভাবে মিলে যায় শৈশবের স্মৃতিগুলো। ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে গান গাওয়া, ভিসিপির হেড সাদা কাগজ দিয়ে মুছে পরিস্কার করা...আরো কত কি?
নিরিবিলি যে মেয়ে আমিও আগে বুঝি নাই। প্রথম লেখাতেই মন জয়। আরো অনেক লিখুন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ধন্যবাদ তিথি আপু:)
নতুন মন্তব্য করুন