প্রশ্ন করার অধিকার

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: রবি, ০৬/০৬/২০১০ - ৫:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফেসবুক বন্ধের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে শুনলাম।
আমরা এখন সত্যটা জানতে চাই। কেন এই বালখিল্যতা? কার বুদ্ধিতে এই সব অর্বাচিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারে? এরা কি সরকারের বন্ধু, না বন্ধু সেজে শত্রু?

একটু কষ্ট করে গুগল সার্চ করলে বোঝা যাবে দেশের ভাবমুর্তির কতটা ক্ষতি হয়েছে এই সিদ্ধান্তের কারণে।

ফক্স নিউজের সংবাদের পর যে সব মন্তব্য এসেছে তার ক'য়েকটি উঠিয়ে দিলামঃ

- you were probably going to Bangladesh to play with little kids anyway.... so please cancel your trip

- that's it, I am canceling my vacation trip to Bangladesh

I apologize for falling behind on the technological advances of Bangladesh. I didn't realize they even had computers. well, in any case, primative people shouldn't be using the internet, much less facebook. so in the end it works out for everybody by it being blocked.

Um... does anybody really give a flying **** what Bangladesh says or does? I mean, is Bangladesh in any way relevant? No, I didn't think so..."

যারা এমন মন্তব্য লেখে তাদের জ্ঞান, বিদ্যা ও বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। কিন্তু তার আগে আমার প্রশ্ন - আমাদের নিজেদেরকে নিয়ে।

আমি আগেই বলেছি ফেসবুক বন্ধের খবরটা না এলে, খুব সামান্য সংখ্যক লোক জানতে পারতো আপত্তিকর জিনিসটা কি ছিল। ফেসবুক বন্ধের ফলে এখন বহু মানুষ আগ্রহী হয়েছে সেটি দেখতে। কার লাভ হলো?

এছাড়া সত্যিকার ভাবে ফেসবুক বন্ধ করাও যায়নি। আমি জানি বহু লোকে প্রক্সি সার্ভার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে যোগাযোগ রেখেছে।

আমার এখন প্রশ্ন ফেসবুক বন্ধের আইনগত অধিকার কি সরকারের আছে? কোন আইন বলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা কি কেউ বলতে পারবেন?

একটা উদাহরণ দিই - মনে করুন একটা ছেলে বাসে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছে। পথে সে রাস্তায় বমি করলো। সরকারের কি অধিকার আছে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের সব যানবহন চলাচল বন্ধ করে দেবার??

মানবিক দিকটা এবার তুলে ধরি। আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক - যিনি সারা জীবন সৎ ভাবে কাটিয়ে গেছেন বাংলাদেশে, তিনি অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে এবং ভিসা পাবার দুরূহ বেড়াজাল পার হয়ে আমেরিকাতে তার ছেলেকে দেখতে এসেছেন। এই প্রথম চাক্ষুস দেখতে পেলেন তার পৌত্রিকে। ছোট্ট মেয়েটা সত্যি আদর কারার মত চেহারা।

আমি ভদ্রলোককে প্রশ্ন করলাম - কেমন লাগছে পৌত্রিকে দেখে?

- ভালো। কিন্তু ফেসবুকের বদৌলতে ওর জন্ম থেকেই একটু একটু করে বেড়ে ওঠা দেখে আসছি আমরা। ওর মা প্রতি মাসেই তার নতুন ছবি তুলে ধরছে ফেসবুকে আর বাংলাদেশে বসে সেটা দেখছি আমরা।

৫-৭ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী, যাদের কষ্টার্যিত টাকায় বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান বাহাদুরী - তারা কি প্রশ্ন করার অধিকার রাখে না কাদের উস্‌কানিতে সরকার এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

এই একই সরকারকে বলুন পুরান ঢাকায় বাড়ির ভেতর রাসায়নিক পদার্থ স্টোর করা বন্ধ করতে। পারবে না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

পারফেক্ট কথা।
আরো ভালো হত, সরকারই বলতো তারা পুরোপুরি কোনটা বন্ধ করতে পেরেছে??
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

অতিথি লেখক এর ছবি

এই একই সরকারকে বলুন বুড়িগঙ্গায় রাসায়নিক পদার্থ ঢালা বন্ধ করতে। পারবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই একই সরকারকে বলুন বুড়িগঙ্গায় রাসায়নিক পদার্থ ঢালা বন্ধ করতে। পারবে না।

------------------------------------------------------

কুটুমবাড়ি

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

১.
আমেরিকার এই অজ্ঞ আম-জনতা নিয়ে কিছু বলে লাভ নেই। ভিয়েতনামে চকলেট পাওয়া যায় শুনে একজনকে অবাক হতে দেখেছি।
২.
ফেসবুক মুক্ত হলেও, যে আইন বিজ্ঞ বিআরটিসি-কে সীমাহীন ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে, তা এখনো রয়ে গিয়েছে মন খারাপ

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সাইফ শহীদ এর ছবি

ডেইলী স্টারের 'A long journey from Shahidlipi to Avro' কি আপনারই লেখা?
আশ্চার্য, 'অজ্ঞ আম-জনতা'র ক্লিপটি কিছু দিন আগে ফেসবুকে আমার পেজে উঠিয়েছিলাম আর এই মাত্র আপনার লেখায় মন্তব্য করে এলাম।
শুভেচ্ছা রইল।

সাইফ শহিদ

http://www.saifshahid.com

সাইফ শহীদ

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

জ্বী, ওটা আমারই লেখা ছিল। অনেক ধন্যবাদ।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভাবমূর্তি! আমাদের ছতর ঢাকার কাপড়ের সংকুলান না হলেও আমরা ভাবমূর্তি নিয়েই থাকি। বহুব্রীহি'র কাদেরের একটা ডায়ালগ ছিলো না এরকমঃ "সৈয়দ বংশের পোলা মামা, রিক্সা চালাই কেমনে? তার চেয়ে লন চুরি করি!"

যে কাজ করলে আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, আমাদের সরকার বাহাদুর সে কাজগুলো কখনোই করবেন না। কোনো সরকারই না। করবেন এমন সব কাজ যাতে পুরো বিশ্ব আমাদের মুখ বরাবর এক দলা থুতু নিক্ষেপ করে যেতে পারে।

আমি প্রশ্ন রাখলাম মাননীয় সরকার বাহাদুরের প্রতি, আপনাদেরকে এই অধিকার কে দিয়েছে আমাদের পয়সায় মসনদে বসে আমাদেরই মুখে থুতু ফেলার ব্যবস্থা করার জন্য?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

এ কাজটা করে সরকার একদম বেক্কল হয়ে গেছে আমার ধারণা।

স্পর্শ এর ছবি

আমার ধারণা বেক্কল হওয়ার মত কিছু যে ঘটেছে সেটা তারা বোঝেনি। এবং বাকি জীবনও বুঝতে পারবেনা।
একটা প্রবাদ ছিলো 'লাথির ঢেকি চড়ে ওঠে না'। এদের জন্য 'লাথি' টা আক্ষরিক অর্থেই লাথি না হলে মনে হয় হবে না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সৌরভ এর ছবি

বাংলাদেশে এইসব কর্তাপদে যারা থাকেন, তাদের আসলেই এইসব পদে থাকবার যোগ্যতাটুকু আছে কি না - এটা গবেষণার ব্যাপার।
হুমায়ুন আজাদ এর নাম দিয়েছিলেন "স্থানচ্যুতির অস্থিরতা", যার যেখানে থাকবার যোগ্যতা নেই, সে সেখানে, সেই দায়িত্বে - কাজেই চলছে না কিছুই ঠিকমতো।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কে যেন লিখছিল, সৈয়দ আল ফারুক হবেন হয়তো- যার যেখানে থাকার কথা, সে সেখানে নেই, ভাবতে গেলে হারিয়ে ফেলি খেই!

সরকার কারা চালায়, তা ভাবতে গেলে আসলেই খেই হারাতে হয়।

ময়না মিয়া [অতিথি] এর ছবি

মূর্খ নগরে বসবাস

কয়েক বছর আগে নিউইয়র্ক থেকে যাচ্ছি ঢাকা। বাংলাদেশ বিমানে পাশের সীটে বসা ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব। জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঢাকা শহরে এই যে অপরিকল্পিত নগরায়ন হচ্ছে তাতে আপনাদের কোন দৃষ্টি আছে কি-না। বিশেষত আগুণ লাগলে যে সব রাস্তায় দমকলের গাড়ি পর্যন্ত ঢুকার সাধ্যি নাই, সেখানে উঁচু দালান ও বসতি গড়ে তুলতে দিচ্ছেন কেন আপনারা ? উত্তরে সচিব ভদ্রলোক জানালেন- আরে আমাদের সঙ্গে আল্লাহ আছেন. আপনাদের নিউইয়র্কেওতো কত আগুণ লাগে, আপনারা কি সবাইকে বাঁচাতে পারেন ? ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধলো- 'একেই বলে নীতিনির্ধারক?' এরাই হাসিনা-খালেদার সভাসদের একজন ?
বহু পুরনো কথা- মাছের মাথা পঁচলে পুরোটাই পঁচে যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই সত্যি। ফক্স নিউজের মতো দুষ্ট চরিত্রের মিডিয়া কী বললো তা নিয়ে আমি মোটেও মাথা ঘামাই না। কিন্তু মাথা ঘামাতে বাধ্য হই হাসিনা-খালেদার রটেন নীতি-নির্ধারকদের কর্মধারা দেখলে। এরা গো-ভাগাড়ের ঢঁশা মাছির চেয়েও অধম। মানুষের মৃত্যু আর জনজীবনের দূর্ভোগই এদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন। একমাত্র মানুষকে সচেতন আর শিক্ষিত করে তোলা ছাড়া এদের হাত থেকে মুক্তির আর কোন সম্ভাবনা নেই। তাই চলুন আমি-আপনি আমরা যারা বিদেশে অবস্থান করে দেশে টাকা পাঠিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলি, তারা প্রতিজ্ঞা করে দেশে ফিরে যাই। গলির মুখে বখাটে তরুণটিকে ভাগ্য বদলানোর উপায় বাতলে দিতে পারলে এটাও মস্তবড় ভূমিকা রাখা হবে।

zic2010@yahoo.com

অতিথি লেখক এর ছবি

তাও ভালো এই সরকার শিশির ভট্টাচার্যের মতন শিল্পিদের এখনও গ্রেফতার করছে না ব্যাঙ্গিচিত্র আকার জন্য।
কামরুল হাসানের এই ‍‌জানোয়ার' ব্যাঙ্গচিত্রটি আকলেন তখন তাকে গ্রেফতার করাই বাঞ্ছনীয় ভাববে এই সরকার।

অভদ্র মানুষ

পৃথিবী [অতিথি] এর ছবি

I apologize for falling behind on the technological advances of Bangladesh. I didn't realize they even had computers. well, in any case, primative people shouldn't be using the internet, much less facebook. so in the end it works out for everybody by it being blocked.

আমেরিকানদের ভূগোল জ্ঞান কুখ্যাত বলেই শুনেছি, তবে চরম অপমানজনক হলেও আমি মন্তব্যের শেষ অংশের সাথে একমত। এত কিছুর মধ্যেও আমি অন্তত গর্বিত যে পাকিস্তানের মত আমাদের দেশে কেউ ফেসবুকের জন্য আদালতে যায়নি(মোল্লাদের সাধারণত বাংলাদেশী বিবেচনা করি না)। আমাদের দেশে সরকার ও জনগণের মধ্যে কি পরিমান দুরত্ব, তা আরামে থাকা আমেরিকানদের না জানারই কথা।

ভাবমূর্তি! আমাদের ছতর ঢাকার কাপড়ের সংকুলান না হলেও আমরা ভাবমূর্তি নিয়েই থাকি। বহুব্রীহি'র কাদেরের একটা ডায়ালগ ছিলো না এরকমঃ "সৈয়দ বংশের পোলা মামা, রিক্সা চালাই কেমনে? তার চেয়ে লন চুরি করি!"

আমি মনে করি ভাবমূর্তিরও কিছুটা দরকার আছে(তবে সেটা অবশ্যই বস্ত্র সংকুলানের মত গুরুত্বপূর্ণ না)। আমার মনে হয়না বিশ্ববাসী আমাদেরকে আরব কিংবা পাকিস্তানীদের সাথে ইকুয়েট করলে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগব।

দ্রোহী এর ছবি

সুনাগরিকের কর্তব্য রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তগুলো মেনে নেয়া।

কিন্তু রাম ছাগল ধরে এনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া বুদ্ধিমত্তার অপমান।

ফেসবুক ব্যানের কৈফিয়ত ও পরবর্তীতে "অ্যাবিউজ রিপোর্টিং" নিয়ে সংবাদপত্রে যেভাবে ফলাও করে খবর ছাপা হয়েছে তাতে করে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে বাংলাদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন কিছু মানুষকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে যাদের বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হয়নি।

স্পর্শ এর ছবি

I didn't realize they even had computers.

এধরণের কথা ওরা অজ্ঞতা না, হেয় করা বাসনা থেকেই বলেছে। আমার মত বাংলাদেশী কম্পিউটার প্রকৌশলীর জন্য এর চেয়ে লজ্জার কথা আর কী হতে পারত! মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

এমনিতেই বর্হিবিশ্ব আমাদের চূড়ান্ত অজ্ঞ বলে জ্ঞান করে, আর কয়েকদিন পর পর আমরা একেকটি মাইল ফলক স্থাপন করি অজ্ঞতার...
--শফকত মোর্শেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেইসবুক বন্ধ হলে কার কতটুকু ক্ষতি বা লাভ হল-সে সর্ম্পকে আমার ধারণা একেবারেই নেই। তবে আমাদের ব্যপারে ওদের মন্তব্য শুনে খুব খারাপ লাগল।

primative people shouldn't be using the internet

ফাহিম এর ছবি

ফক্স নিউজ চূড়ান্ত উন্নাসিক রেডনেকদের প্রতিনিধিত্বকারী একটা নেটওয়ার্ক, তাই তাদের মন্তব্যে বিচলিত হওয়ার কিছু দেখছি না। তাছাড়া আমাদের দেশের মতো উন্নত বিশ্বেরও প্রচূর লোক কূপমুন্ডক, আমেরিকাতে এর হার সর্বাধিক। এরা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো নিয়ে ফালতু কমেন্ট করে একধরণের অর্গাজমিক সুখ পায়। এদের কথা পাত্তা দেওয়ার মতো কিছু নাই।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। একটাই কথা, বহুল প্রচলিত, কিন্তু এর আবেদন সার্বজনীন। "ছাগল দিয়ে হালচাষ হয়না"... ফেসবুকের রিপোর্ট অ্যাবিউজ বাটন যখন কমিটি বসিয়ে খুঁজে বের করতে হয়েছে, তখন পুরোদেশ কারা চালাচ্ছে, কীভাবে চালাচ্ছে, ভবিষ্যতে কী আছে, এসব ভেবে নিদারুণ আতংকিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

s-s এর ছবি

শ্রদ্ধাস্পদেষু,খুব খারাপ লাগলো। কিন্তু সত্যি কথাটা হচ্ছে,আসলেই নোবডি গিভস এ ড্যাম অ্যাবাউট আস।আমরা দেই,কারণ আমরা সেখানে জন্মেছি,আমাদের শেকড় সেখানে। আমাকে যে প্রশ্নটা শুনতে হয়েছিলো সেটা আরো নির্বোধ।একজন শিক্ষিত,লেখাপড়াজানা এবং তথাকথিত ফ্রেন্ডলি ম্যানেজার বলেছিলো"ডু ইউ হ্যাভ রেফ্রিজারেটর ইন বাংলাদেশ?" সে খুবই অবাক হয়েছিলো আমাদের বাংলাদেশের বাড়িতে Bose এর স্পিকার আছে শুনে। এদের সবার ধারণা,আমরা জঙ্গল থেকে এসেছি,এবং প্রযুক্তি আমাদের জন্য নয়।এটি বদলানোর দায় বা দায়িত্ব দুইই আমাদের। যত খারাপই লাগুক,বিশ্বে আমরা যত বেশি এ ধরনের ফেইসবুক বন্ধ জাতীয় ইডিয়সি দেখাবো,তারা তত বেশি মাথা নেড়ে আমাদের বাড়িতে ফ্রিজ থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করবে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে কী জিনিস তা বোঝার জন্য প্রতিটি নাগরিকের অন্ততঃ তিনমাস প্রথমবিশ্বের কোনো দেশে থাকা উচিত। আমরা নিজেদের যতনা বেশি অপমানিত হতে দেই,তার থেকে কোনো রেডনেকের অপমানই বেশি নয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌প্রযুক্তি এবং সরকার। এই দুই হলো ভিন্ন পথের যাত্রী। চলার পথে তাদের কখনো দেখা হয় কদাচিত। চেনা হয় আরো কম। জানা-শোনা-ঘনিষ্ঠতা বহু দুরের ব্যাপার। অচেনা লোকের সাথে এর চেয়ে ভালো আচরণ কে করবে? প্রযুক্তি/ফেসবুকের সাথে সরকারের জানাশোনা ছিল না। 'রিপোর্ট এবিউজ' বাটনটি আবিষ্কার করতে হয়েছে তাকে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ফক্স নিউজের বেইল নাই, এবার যখন রেকর্ড পরিমাণ বরফ পড়ল, তখন ফক্স নিউজে একদিন তারা খবর করল, "দেখ কত বরফ পড়তেছে, কে বলেছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে কিছু আছে"।

তবে লেখার শেষভাগ পড়ে মনে হল যেন আমার কথাই বলছেন, আসলেই ফেসবুকের তুলনা নাই, তাছাড়া ১৭-১৮ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের সাথে আবারো যোগাযোগ করতে পারার ব্যাপারটাও আছে। মোজবের মত লোক দিয়ে সরকারি পদগুলো ভরা, সেখানে ভালো কিছু আমি আশা করি না। বরং এগুলাই আমার কাছে স্বাভাবিক লাগে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের দেশের মিডিয়াও সরকারকে এত বেশী তেল দিতে পারে! এবার বাজেট নাকি ডিজিটাল বাজেট- কারণ- এবার বাজেট পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে, শুধু বিটিভি নয় প্রায় প্রত্যেকটি চ্যানেল এবং খবরের কাগজেই এসেছে - "প্রথমবারের মত ডিজিটাল বাজেট"
সরকারী লোক বাদই দিলাম, যেখানকার শীর্ষস্থানীয় পত্র পত্রিকা পর্যন্ত মনে করে ডিজিটাল মানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশান, তাদের উপরে তুলবেন কি দিয়ে?
_____________
ত্রিমাত্রিক কবি
E-mail:

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।