শনিবার - বন্ধের দিন। বসন্তকালের সুন্দর সকাল। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম অনতিদূরের পাহাড়ের চূড়ার উপরে নীল আকাশে সাদা সাদা কিছু মেঘ ভেসে যাচ্ছে।
আমেরিকা একটি বিরাট দেশ। বাংলাদেশের চাইতে আয়তনে প্রায় ৭০ গুন বড়। আমরা দক্ষিণের এক তুলনামূলক ছোট শহরে থাকি। খুব সুন্দর এই শহরটা। রিও-গ্রান্ড নদীর উপরে গড়ে ওঠা এই শহর আমেরিকার প্রধান আবাসযোগ্য ১০টি শহরের অন্যতম। শহরের পশ্চিমে নদী আর পূর্বে পাহাড়। পাহাড়ের কোল ঘেষে আমাদের ছোট একটি বাড়ী।
৫ মিনিট হাটলেই পাহাড়ে পৌঁছাতে পারি আমি। এই সুন্দর শহরের নাম অনেকে কখনো শোনেনি। আমিও এর নাম জানতাম না এখানে আসার আগে। পাহাড়ের উচ্চতা দশ হাজার ফিটের বেশী। এখানকার বাতাস নির্মল। ফলে যে কোন পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে দিগন্তের ৬০/৭০ মাইল দূর পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায়। এমন কোন অভিজ্ঞতা সমতল বাংলাদেশে থাকার সময় আমার হয়নি। এই বিস্তীর্ণ দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনটাও যেন বিস্তীর্ণ হয়ে যায়। অনেক কিছু যেন নতুন ভাবে দেখতে শিখি।
এক যুগ পার হলো আমেরিকা বাসের। অথচ ছোটবেলায় কখনো স্বপ্ন দেখিনি আমেরিকা আসার। মধ্যবিত্ত বাংগালী ঘরে জন্মে, স্বপ্নও ছিল সীমিত। ৬০-দশকের শেষের দিকের একদিন। আমি তখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ধানমন্ডী আবাসিক এলাকার এক রাস্তায় হেটে যাচ্ছি। রাস্তা দিয়ে দেখলাম একটি ফোক্সওয়াগন গাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী ও ছোট একটি বাচ্চা যাচ্ছে। তখনকার ঢাকায় গাড়ীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। আমার তখনকার স্বপ্ন ছিল ঐ রকম একটা গাড়ীর মালিক হয়ে স্ত্রী ও সন্তান সহকারে গাড়ী করে বেড়াতে পারার ক্ষমতা। এখনকার অনেক তরুন-তরুনী শুনেছি ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে এবং পরিকল্পনা করতে থাকে কি ভাবে আমেরিকা আসবে।
আমাদের ছোটবেলা অবশ্য অন্যরকম ছিলো। এত কিছু ভাবতে শিখিনি। প্রথম আমেরিকার নাম জানলাম যেদিন স্কুল থেকে একটি বেশ বড় গুড়া দুধের টিন পেলাম আমরা সবাই। এক হাতে বই আর ঘাড়ে গুড়া দুধের টিন - বেশ কষ্টই হলো বাড়ীতে নিয়ে আসতে। এক বন্ধু বুদ্ধি দিলো আসার পথে দড়াটানার ময়রার দোকানে দুধের টিন বিক্রি করার। আমাদের বাড়ীতে তখন নিজেদের গরু ও গোয়াল ছিল। আমরা সেই গরুর দুধ খেতাম। ফলে গুড়া দুধের তেমন কোন দরকার ছিল না। তবু আমি চাইছিলাম বাড়ীতে গুড়া দুধের টিন এনে আব্বাকে দেখাতে এবং জানতে এই ধরণের গুড়া দুধ কারা এবং কেন আমাদেরকে দিলো।
আব্বার কাছে প্রথম শুনলাম আমেরিকার নাম। ম্যাপ খুলে দেখালেন এর অবস্থানটি। জানলাম আমেরিকার লোকেরা তাদের দেশের গরুর দুধ যাতে বেশী দিন ভাল থাকে তাই গুড়া বানিয়ে আমাদের মত দেশের গরীব লোকদের জন্যে পাঠিয়ে দিয়েছে।
- কিন্তু আমরা তো গরীব না। আমাদের দিল কেন স্কুল?
- স্কুল তো জানে না কে গরীব আর কে বড়লোক, তাই সবাইকে বিলি করেছে।
- কিন্তু আমেরিকার লোকদের জন্য দুধ ক'মে যাবে না আমাদেরকে দেবার জন্যে?
- আমেরিকার লোকেরা অনেক বড়লোক। তাদের অনেক আছে, তাই যারা গরীব তাদেরকে সাহায্য করে।
- আমাদেরও তো অনেক আছে। আমাদের গরুর দুধ রোজ বেচে যায়, আর মা আমাকে বেশী বেশী করে খেতে বলে। আমার ভাল লাগে না। এখন থেকে পাশের বাড়ীর হাফিজকে তা'হলে দুধ খেতে ডাকি?
আমার দিকে তাকিয়ে হেসে রাজী হলেন আব্বা।
গুড়া দুধ দিয়ে কি করা যায় আমাদের তেমন জানা ছিল না। তবে আমার মার উপস্থিত বুদ্ধি ছিল খুব। তিনি কিছুটা গুড়া দুধ একটা পাতিলে ঢেলে পানি মিশিয়ে তরল দুধ বানিয়ে ফেললেন। তারপর সেটা দিয়ে পায়েস বানিয়ে দিলেন আমাদেরকে। খুব মজা করে খেলাম আমেরিকার গুড়া দুধের পায়েস। এই মিষ্টি গুড়া দুধের পায়েস দিয়ে আমেরিকা জয় করলো তখনকার এক ছোট বাচ্চা ছেলের মন।
'মার্কিন পরিক্রমা' নামে তখন একটি প্রকাশনা বের হতো - সম্ভবত আমেরিকান দূতাবাস থেকে। আব্বা রাখতেন এটি। আমাকে কয়েক'টি সংখ্যা পড়তে দিলেন। তেমন কিছু বুঝলাম না - শুধু এটুকু বুঝলাম আমেরিকার লোকেরা সবাই বড়লোক। প্রায় সবার গাড়ী আছে।
আমাদের বাড়ীর কাছে তখনো বৈদুতিক লাইন আসেনি - ফলে টিভি, ফ্রিজ দূরে থাক - বৈদুতিক আলো বা পাখাও ছিল না। আমরা হারিকেনের আলোতে পড়তাম, বাড়ীর ভিতরের ইন্দারা (কূপ) থেকে দড়ি বাধা একটি বালতি নামিয়ে দিয়ে টেনে উঠাতাম পানি। আমার বোনেরা পালা করে বাড়ীর সামনের মিউনিসিপ্যালিটির টিপ কল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতো। নদীর পাড়ে ছিল আমাদের বাড়ী, তাই জানলা খোলা রাখলেই বেশ বাতাস পেতাম। খুব বেশী গরম লাগলে তাল পাতার তৈরী পাখা দিয়ে মা আমাদের বাতাস করতেন।
তবে আমাদের একটি ব্যাটারী চালিত 'মারফি' রেডিও ছিল। ব্যাটারীর আকার রেডিওর সমান। আমাদের বাড়ীর দো'তলার ছাদে লম্বা একটি তার বাধা হলো রেডিওর এন্টেনা হিসাবে। কয়লা ও লবন সহকারে মাটিতে পুতে রাখা হলো আর্থিং-এর তার। ভারতীয় আকাশবানী কোলকাতা এবং রেডিও পাকিস্তান ঢাকা ছাড়াও মাঝে মাঝে আমরা শুনতে পেতাম ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা অনুষ্ঠান। আমি তখন ভাবতাম আব্বা বলেছেন আমেরিকা অনেক দূরে, পৃথিবীর অপর প্রান্তে - কি ভাবে অত দূরের কথা শুনতে পারছি আমরা?
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমেরিকান 'ফ্রাঙ্কলিংক পাবলিশিং কোম্পানী'র ছাপানো 'বেসিক ইলেকট্রিসিটি' ও 'বেসিক রেডিও' নামের দু'টি সিরিজের সাথে পরিচয় হলে। এত সুন্দর করে লেখা এই বইগুলি যে - প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়গুলি দূরূহ লাগতো সেগুলি খুব সহজে এই বইগুলি পড়ে বুঝে ফেললাম। শুধু গুড়া দুধের টিন নয়, এই বইগুলিও আমাকে আমেরিকা সম্পর্কে শ্রদ্ধা জাগিয়ে তুললো।
টিভির খবরে বর্তমানে ফিরে এলাম। ইরাক জয় করার মূল্য বাবদ এ পর্যন্ত প্রায় ৪,০০০ আমেরিকান সৈনের মৃত্যু এবং ৩০,০০০-এর বেশি জখম ও বিকলাঙ্গ হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০০ বিলিয়ন ডলারের বেশী খরচ হয়ে গেছে এবং এই সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ৪ ট্রিলিয়নে পৌছাতে পারে [ জোসেফ স্টিগলিজ - নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত অর্থনীতিকের মতে ] ।
আমি ভাবি - এর বদলে কি গুড়া দুধের টিন, ভাল ভাল বই ও অন্যান্য অহিংস পন্থায় - আরও কম ক্ষতিতে, ইরাকীদের জয় করা যেতো না??
মন্তব্য
সত্যই, হয়ত যেত। সাধারণ মার্কিনিদের বদন্যতা অনস্বীকার্য, দেশের বাইরে যে আমেরিকার চেহারা দেখা যায় সেটা অনেকটাই ওদের রাষ্ট্রযন্ত্রের চেহারা।
দারুণ লেখা, ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ।
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম।
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
সোভিয়েত আমলে ও ইরাক-ইরান যুদ্ধে আফগান ও ইরাকিদের শুধু গুড়া দুধের টিন নয়, রীতিমতো ঘি-মাখন খাইয়ে জয় করা হয়েছিল। কিন্তু সোভিয়েতের পতন আর সাদ্দামকে দিয়ে কাজ হওয়ার পর এখন তো আর ঘি-মাখন খাওয়ানোর কোন প্রয়োজন নাই। আর যাকে একবার আদর করে ঘি-মাখন খাওয়ানো হয়েছে গুড়া দুধের টিনেও সে আর সন্তুষ্ট হবে না। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার পর বাকি কাঁটা তুলতে একটু তো রক্ত ঝরবেই।
ধন্যবাদ তানভীর। 'গুড়া দুধের টিন' অবশ্য প্রতিক অর্থে ব্যবহার করেছি।
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
হয়তো যেতো। কিন্তু ইরাক যুদ্ধের উদ্দেশ্য তা ছিল না।এটা আমেরিকান জনগণের ভিয়েতনাম যুদ্ধের ক্ষত থেকে উত্তরণের চেষ্টা। চেষ্টা সফল হয় নি।
মানুষের অনেক অসম্পূর্ণতার মাঝে "ইগো" একটি। শুধু মাত্র সেনাবাহিনী উঠিয়ে দিলে এ বিশ্ব নন্দনকানন হোতো। কিন্তু তা কি আমরাই পেরেছি? আমাদের মত ক্ষুদ্র হতদরিদ্রের দেশে?
আখতার,
'ভিয়েতনাম যুদ্ধের ক্ষত থেকে উত্তরণের চেষ্টার' চাইতে হয়তো ৯/১১-এর প্রতিশোধ স্পৃহা বেশী কাজ করেছে। তবে এর চাইতে বেশী কাজ করেছে অন্যান্য আরও কিছু বিষয়। নীচের কয়েকটা বই পারলে নাড়া-চাড়া করে দেখো :
Fiasco - Thoams Ricks
Chain of Command - Seymour Hersh
State of Denial - Bob Woodward
Understandin Power - Noam Chomsky
বাঙ্গালীদের মত "ইগো" নিয়ে মার্কিন সরকার সাধারনত মাথা ঘামায় কম - যদি না অন্য স্বার্থ থাকে।
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
আপনার ধারা বর্ননা বেশ ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
সাইফ শহীদ
দারুণ লাগলো লেখাটা ভাইয়া। এরকম আরো চাই!
ধন্যবাদ সিরাত। সময় সাপেক্ষে চেষ্টা করবো প্রতি সপ্তাহে লিখতে।
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
রিও গ্র্যান্ডের তীরে - হুঁম, আলবুকার্কি? ফিনিক্স?
ছবিটা দেখতে পারিনি অফিসে ফ্লিকর ব্যান থাকায়, দেখে নিবো।
লেখাটা দ্বিতীয় বার পড়লাম। হাফিজের সাথে দুধ শেয়ার করার জিনিসটা দারুণ লাগলো, আর ইচ্ছা হল আপনার জীবনী সম্পর্কে জানতো। ষাটের দশকের শেষের দিকে ধানমন্ডির রাস্তা ধরে যাচ্ছেন, দেখলেন ফোক্সওয়াগেন - ওয়াও, মানসিক ছবিটা খুব ভাল লাগলো। ওই ঢাকা নিয়ে লেখেন।
আলবুকার্কি বা আল-বাকারকি।
Albuquerque - কঠিন বানান।
সাইফ শহীদ
বাহ! ঠিকই ধরসি তাহলে।
আমি আপনার সাইটটায় গেলাম। এবার লিস্ট করি।
১) আলবুকার্কি নিয়ে লেখা চাই। নিউ মেক্সিকো নিয়েও। ওখানকার বাঙ্গালীরাই বা বাদ যায় কেন?
২) ষাট এর দশকের ঢাকা। সত্তর-আশিও আনেন তার পর।
৩) ডক্টর শহীদুল্লাহ নিয়েও কিছু লেখা দিয়েন। সাইটের ইংরেজি লেখাগুলো থেকেও আনতে পারেন, বা হয়তো আরো এনেকডোটাল।
ধন্যবাদ ভাইয়া!
আলবুকার্কি নিয়ে সচলে লেখা আছে কিন্তু সিরাত ভাই। ওখানকার বাঙ্গালীদের নিয়েও।
আপাত-সরলতার আড়ালে গভীর বার্তা। আরো লেখার দাবি জানাচ্ছি।
একটা সময় আমেরিকা-ফেটিশ আমারো ছিলো। এর হাত থেকে বের হওয়া বোধ হয় আমাদের মতো নিম্নবিত্ত দেশের স্বপ্নালু তরুণদের জন্যে একরকম অসম্ভবই।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ মণীন্দ্র।
ইতিহাসের চক্র সময়ের আবর্তে ঘোরে। আমি অনেক পশ্চিমাকে জানি যারা এখন পূর্বে ঘর উঠিয়েছে।
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
ভালো লাগলো লেখাটা।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ।
সাইফ শহীদ
খুব ভাল লাগলো আপনার এই লেখাটি।
আমরা যারা স্বাধীনতার পরে জন্মেছি, পাকিস্তান আমলের সেই সুজলাসুফলা সুন্দর দিনগুলো দেখার ভাগ্য হয়নি। ষাটের দশকে স্কুল-কলেজগামী মামা চাচাদের প্রজন্মকে দুধের টিন, সেদ্ধ চালের বস্তা, চকোলেটের বার নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার গল্প বলতে শুনেছি। সেই একই মামা-চাচারা আবার পূর্বপাকিস্তানে সমাজতন্ত্রবিস্তার প্রতিরোধে আমেরিকার 'ইগো'হীন অবদানের কথাও বলেছেন। কিভাবে তাদের নেতারা হঠাত উধাউ হয়ে যেত সেটাও শুনেছি। আমার জন্য এতটুকু গুড়ো দুধ যোগাড় করতে আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে প্রতি সপ্তাহে কি কি কসরত করতে হত, সে গল্প আমার মেয়ের শোনে তাদের দাদার কাছ থেকে। আর ঈদের আগে চিনি-ডালডার জন্য সকাল থেকে কার্ড হাতে রেশান দোকানের সামনে লাইন দিয়েছি আমি নিজেই। এগুলো তো আমেরিকার নাজেল করা অবরোধের ফলেই, নাকি?
আমেরিকান আর পাকিস্তানীদের তাই আমার কাছে কাছাকাছি লাগে।
কিন্তু আমেরিকা দেশটি কিন্তু বেশ সুন্দর। এটাও মানতেই হবে যে, সেখানের সবাই কুচক্রী নয়।
মন্তব্যটা এডিট করে দিলেন? আগেরটা বেশি লাইকাইসিলাম!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
কাট!
বাবার নির্দেশ।
নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাহিনী যেন চিরদিন উজ্জল ভাস্কর হয়ে থাকে।
সাইফ শহীদ
স্মৃতিচারণ ভালো লাগল, আপনার সময়ের ঢাকাকে আপনার চোখ দিয়ে দেখার দাবী জানিয়ে গেলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ নামটা খুব সুন্দর - আমারও পছন্দ।
আমি মনের চোখে এখনো ৬০ দশকের সেই ঢাকাকে দেখতে পারি - কৃষ্ণচূড়ায় আচ্ছন্ন ছায়া-ঢাকা রাস্তা। কিন্তু সে মনের ছবিকে ভাষায় রূপ দেবার ক্ষমতা কি আমার আছে?
সাইফ শহিদ
http://www.saifshahid.com
সাইফ শহীদ
যতটুকু পারেন, ততটুকুই লিখেন, বাকিটা নাহয় আমরা লেখা পড়ে কল্পনা করে নিব। আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা ধন্য! আরেকটা দাবী আছে, সেসময়ের ঢাকার পাশাপাশি ১৯৭১ নিয়ে আপনার কাছ থেকে লেখা চাই, নিজের চোখে দেখিনি যারা দেখেছেন, তাদের মুখ থেকে কিছু শুনতে চাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
স্মৃতিচারণটা অনেক বেশি ভাল্লাগ্লো...
বহু পুরানো কোন একটা রহস্যপত্রিকায় কে যেনো এই রেডিও নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছিলো। আপনার লেখা পড়ে সেটা মনে পড়ে গেলো...
_________________________________________
সেরিওজা
লেখা ভালু পাইলাম।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
স্মৃতিচারণ দারুণ লাগলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খুব ভাল লাগলো শহীদ ভাই। বিশেষ করে
এটা পড়ে আপনার প্রতি আরেকবার শ্রদ্ধায় নত হলাম
লেখাটা ভালো লাগলো খুব ...
ভাল লাগল পড়তে। ৬০-এর দশকের ঢাকা, আপনার সেই শুরুর দিকের প্রবাস জীবন, আর ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ নিয়ে নিয়মিত লেখার জন্যে সাগ্রহ অপেক্ষা রইবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এটা সিরিজ করে ফেলেন। অসাধারণ লাগলো পড়তে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার আম্রিকার দুধ খাওয়া হয়নি
মায়ের দুধের পর থেকে আমার জগত কেবল Dano-ময়
শুনতাম, আব্বা লম্বা লাইন ধরে কিনে আনতেন :-|
-- কেমন সুর
নতুন মন্তব্য করুন