আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে কোন আমেরিকান পরিবারের অতিথি হয়ে তাদের বাড়ীতে রাত কাটানো সেই প্রথম। মমতাজের সাথে প্রথম পরিচয় হয় জুলির। আমাদের পরিবারে, এক মাত্র আমাদের ছেলে, সাঈদ ছাড়া আর সবার বাংলাদেশী ও আমেরিকান কল-সাইন আছে। আমরা সবাই বিশ্বজোড়া এমেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিও অপারেটর কমুনিটির সক্রিয় সদস্য। এর ফলে ঢাকাতে থাকার সময়ই আমেরিকার অনেকের সাথে মমতাজের যোগাযোগ হয়েছিল। এমনই কিছু কমন বন্ধুর মাধ্যমে মমতাজের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল জুলির। জুলি বা তার স্বামীকে আমরা কেউ চাক্ষুষ দেখিনি। তারা যখন শুনলো যে আমরা গ্রান্ড ক্যানিয়ন বেড়াতে যাবার পরিকল্পনা করছি তখন ধরে বসলো যে আমরা যেন অবশ্য করে এক রাত পথে তাদের বাড়ীতে কাটিয়ে যাই।
নিউ মেক্সিকোর পাশের স্টেট এরিজোনাতে অবস্থিত গ্রান্ড ক্যানিয়ন। বিদেশীরা আমেরিকা ভ্রমনে আসলে প্রথম ৫ টি অবশ্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে গ্রান্ড ক্যানিয়ন একটি। আমাদের থেকে প্রায় ৪০০ মাইল দূরত্বে, যেতে ৭ ঘন্টার মতো লাগে। আমাদের জন্যে কোথাও পুরা পরিবারসহ যাত্রা করা খুব একটা সহজ ব্যাপার না। অনেক কিছু সাথে গোছগাছ করে নিতে হয়। এর মধ্যে সাঈদের হুইল-চেয়ারও আছে। তাই তাড়াহুড়া না করে, আমরা ঠিক করলাম পথে ফ্লাগস্টাফ নামের এক সুন্দর পাহাড়ী শহরে থেমে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকাল সকাল গ্রান্ড ক্যানিয়ন দেখে ফেরার পথে এক রাতের জন্যে জুলিদের বাড়ীতে থামবো।
গ্রান্ড ক্যানিয়ন সত্যিই দেখার মত। ভাবতে অবাক লাগে কত মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে ক্রমে স্রষ্টি হয়েছে স্রষ্টিকর্তার এই অপূর্ব নিদর্শন। দেখার অনেক কিছু আছে। আমি একা হলে হয়তো ক্যানিয়নের নীচ পর্যন্ত নেমে দেখতে চাইতাম। কিন্তু চার মাইলের বেশী ঢাল পথ হুইল চেয়ার ঠেলে নেবার প্রশ্নই ওঠে না। রীমের উপর থেকে যতটা দেখলাম তাতেই সন্তুষ্ট হতে হলো আমাদেরকে।
গ্রান্ড ক্যানিয়ন লম্বায় প্রায় ৩০০ মাইল এবং প্রস্থে ২০ মাইল। রীমের উপর থেকে নীচের নদীর গভীরতা এক মাইলের বেশী। কলোরাডো নদী বয়ে গেছে গ্রান্ড ক্যানিয়নের মাঝ দিয়ে দু'পাশের পাহাড় কেটে । নেটিভ আমেরিকানদের কাছে এটি একটি পবিত্র স্থান। হোপি ভাষায় তারা একে 'অংতুপকা' বলে ডাকে। ফেরার পথে একটু ঘুরে নাভাহো ইন্ডিয়ানদের এক গ্রাম দেখে এলাম।
জুলিদের বাড়ীর পথে এখন আমাদের গন্তব্য এপাচি ন্যাশনাল পার্কের কাছে এক সুন্দর ছোট শহর - 'শো লো' (Show Low)। আমাদের গাড়ীতে মোবাইল রেডিও ফিট করা ছিল। সেটা অন করে মমতাজ তার কল-সাইন জানাবার সাথে সাথে জুলির উত্তর এলো। সে যেন আমাদের জন্যেই রেডিওর সামনে বসে ছিল। জানালাম - যে গতিতে আমরা যাচ্ছি, তাদের কাছে পৌছাতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাবে। ঠিক হলো একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে আমাদের দু'জনের রেডিও খোলা থাকবে, যাতে মাঝে মাঝে আমরা যাত্রার অগ্রগতি তাদেরকে অবহিত করতে পারি অথবা পথের নির্দেশ চাইতে পারি।
জুলি রেডিওতে জানতে চাইলোঃ
- মমতাজ, ডিনারের সাথে কি পানীয় পান করতে চাও তোমরা?
- কোক হলেই হবে।
- তাইতো, কোকতো নেই। আচ্ছা আমি স্টিভকে বলি কিছু কোক নিয়ে আসতে।
অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম আমরা। রেডিও স্টান্ড-বাই করার পর মমতাজকে বললামঃ
- খামোখা কোকের কথা বললে কেন?
- আহা, আমি কি জানি যে ওরা কোকও খায় না।
- বলতে পারতে পানি হলেও চলবে।
- তাড়াতাড়িতে মাথায় আসেনি।
আর কথা না বাড়িয়ে অন্য প্রসংগে গেলামঃ
- জুলির স্বামী কি করে জানো?
- ঠিক জানি না। তবে অবসরপ্রাপ্ত শুনেছি।
- তাহলে তো বুড়া মানুষ। এখন আবার কষ্ট করে দোকানে যাবে কোক কিনতে। জুলিও তো তা হলে বুড়ী।
- না, তা ঠিক না। তার বয়েস এখন ৩৭ মাত্র।
- হুম। তাহলে তো বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা।
আমরা যখন শোলোর কাছে পৌছালাম তখন রেডিওতে বলে বলে আমাদেরকে পথ নির্দেশনা দিয়ে চললো স্বামী-স্ত্রী। নির্দেশ দিল সামনের এক শপিং সেন্টারে দাড়াতে। দু'মিনিটের মধ্যে তাদের গাড়ীতে সেখানে এসে হাজির হলো তারা। আমি ভাবছিলাম কখনো দেখেনি আমাদেরকে, কি করে খুজে পাবে। আমাদের গায়ের রং থেকে খুব সহজেই চিনে নিল জুলি। দূর থেকে গাড়ীর মধ্যে বসেই হাত তুলে নাড়াতে লাগলো আর চিৎকার করতে থাকলো আমাদের নাম ধরে। আগে কখনো দেখিনি, চিনিনা, ভিনদেশী, ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন সংস্কৃতি - তবু এক মুহূর্তের মধ্যে আমরা যেন অতি পরিচিত হয়ে গেলাম।
কাছেই তাদের বাড়ী। পাইন বন যেখানে শুরু হয়েছে - ঠিক সেখানে অবস্থিত তাদের গোছালো সুন্দর ছোট একটি মোবাইল হোম। বাড়ীতে স্বামী-স্ত্রী আর তাদের প্রিয় কুকুর ডার্বি। স্টিভের বয়স ৬০-এর ঘরে। আর্মিতে চ্যাপলিনের কাজ করতো। আমেরিকাতে আলাদা আর্মি চ্যাপলিন কোর আছে। সেখানে ইহুদীদের রাবাই যেমন আছে, তেমনি মুসলমানদের ইমাম এবং খৃষ্টানদের পাদ্রীও কাজ করে। খোলা মনের স্টিভের সাথে আলাপ করে পছন্দ হয়ে গেল আমার। বিশেষ করে গোড়া খৃষ্টান হওয়া সত্ত্বেও যখন আলাপ করতে করতে সে বললো - এই বিশাল বিশ্ব ভুবনে শুধু মানুষই যে একমাত্র ভগবানের তৈরী বুদ্ধিমান প্রানী এবং পৃথিবীই এক মাত্র গ্রহ যেখানে জীবন সৃষ্টি হয়েছে - তা না হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সাঈদের খাবার অন্যদের থেকে একটু আলাদা করতে হয় যাতে তার খেতে কোন অসুবিধা না হয়। মমতাজ নিজে তাদের রান্নাঘরে যেয়ে সেই সব রান্না করতে লেগে গেল আর জুলি তাকে সাহায্য করতে লাগলো। ওই মুহূর্তে কেউ আমাদেরকে দেখলে মনে করতো বহু বছরের পরিচয় আমাদের মাঝে।
জুলি আগে জানতোনা যে বাংলাদেশে হ্যাম রেডিও চালু করার জন্যে আমাকে কতটা কাট-খড় পোড়াতে হয়েছে। একটানা ১২ বছর লেগে থাকার পর - তারপর বাংলাদেশের প্রথম এমেচার লাইসেন্স (S21A) লাভ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমেরিকাতে যেমন ঠিক মত কিছু কোর্স করে বা বই পড়ে পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স পাওয়া সম্ভব, সে ভেবেছিল বাংলাদেশেও বুঝি তাই। যখন বোঝালাম যে, যেহেতু তখন বাংলাদেশে পরীক্ষার কোন নিয়ম ছিল না, আমাকে ইংল্যান্ডে যেয়ে পরীক্ষা দিয়ে ব্রিটিশ লাইসেন্স নিতে হয়েছে আগে। তারপর সেই লাইসেন্স নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যেয়ে বুঝাতে হয়েছে যে, ব্রিটিশ সরকারের চোখে যদি আমি টেকনিকালি পারদর্শী বলে গন্য হয়ে লাইসেন্স পেতে পারি, তা হলে বাংলাদেশ কেন আমাকে লাইসেন্স পাবার উপযুক্ত টেকনিকালি পারদর্শী মনে করবে না? তখনকার প্রধানমন্ত্রী সাথে দেখা করে দেন-দরবার করতে হয়েছে। টিভিতে ইন্টারভিউ প্রোগ্রাম করতে হয়েছে। এসব শুনে এবং যখন জানলো যে আন্তর্জাতিক এমেচার সংস্থা (IARU)-এর প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকান এমেচার রেডিও লীগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট স্বয়ং ঢাকায় আমাদের বাড়ীতে গেছেন - তখন জুলি আমাকে নতুন সম্ভ্রমের সাথে দেখতে লাগলো।
আগের থেকে অনেক বেশী খোলাখুলি ভাবে কথা বলতে থাকলাম আমি জুলির সাথে। মমতাজ তখন সাঈদকে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছে। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে জুলি বললোঃ
- মমতাজ খুব কষ্ট করে তার ছেলের জন্যে, তাই না?
- তা তো বটে। তার জীবনটাই তো উৎসর্গ করে বসে আছে ছেলের জন্যে। হিসাব করে দেখো, বিগত ২৫ বছরের বেশী দৈনিক ৩-৪ বার করে তাকে হাতে করে খাইয়ে দিচ্ছে - তার মানে ৩০,০০০ বারের বেশী এই কাজ করেছে সে।
এক দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এল জুলির মুখ থেকে।
- কি করে হলো? - জানতে চাইলো সে।
সংক্ষেপে বললাম তাকে সাঈদের জন্মাবার সময়ের ঘটনা।
- এ দেশে এটা ঘটলে কয়েক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পেতে।
- তাতে কি হ'তো? সাঈদ কি ভাল হয়ে যেতো?
বেশ কিছুক্ষণ কোন কথা ছাড়া বসে বসে আমরা সাঈদের খাওয়া দেখতে থাকলাম।
- আমার পক্ষে কোন বাচ্চার জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে না। - নিজের থেকে জুলি বললো।
- মেনে নিতে পেরেছো?
- না মেনে উপাই কি?
- আর স্টিভ?
- সেই আমাকে বুঝিয়েছে। ভগবানে গভীর বিশ্বাস তার।
রাতে তাদের লিভিং রুমের পাতা বিছানায় ঘুমালাম আমরা। ক্লান্ত ছিলাম, ঘুম আসতে দেরী হল না। ডার্বি দেখলাম জুলিদের সাথে তাদের বেড রুমে শুতে গেল। খুব ভালবাসে জুলি তার কুকুরকে।
পরের দিন সকালে ফেরার পথ ধরবো, স্টিভ বললো আমরা যে পথে এসেছি, তার বদলে কান্ট্রি রোড ধরতে। এর ফলে আমরা এপ্যাচি ন্যাশনাল ফরেস্ট ও গিলা ন্যাশনাল ফরেস্টের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আসতে পারবো এবং পথে ম্যাগডেলেনার কাছে বিখ্যাত রেডিও এস্ট্রোনমি অবজারভেটরির ভি,এল,এ এন্টেনাগুলি দেখতে পাবো। বিরাট এই এন্টেনাগুলি এক একটা ৮০ ফুটের বেশী ব্যাসের। এ রকম ২৭টা এন্টেনা আছে সেখানে। চেষ্টা করে যাচ্ছে অজানা মহাকাশে সংকেত পাঠিয়ে বিশ্ব-রহস্য জানতে। জুডি ফস্টারের বিখ্যাত সিনেমা, "কন্টাক্ট", এখানে তোলা হয়েছিল। এমন একটা সুযোগ ছাড়তে চাইলাম না।
আমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেবার জন্যে স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই পাশের শহর পাইন-টপ পর্যন্ত তাদের গাড়ী নিয়ে আমাদের সাথে আসলো। ওখান থেকে তাদেরকে বিদায় দেবার বেলায় স্টিভ এবং মমতাজের সামনেই আমাকে সজোরে বুকে জড়িয়ে ধরলো জুলি।
- ভগবান তোমার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করুন, এই প্রার্থনা করি আমি। - বললাম তাকে।
হঠাৎ কি যেন মনে হলো, প্রশ্ন করলাম - আচ্ছা, কি তোমার মনের ইচ্ছা?
- আমি যেন ডার্বির ভাল মা হতে পারি।
ম্যাগডেলেনায় ভি,এল,এ ডিশের কাছে এসে গাড়ীতে বসেই অবাক চোখে তাকিয়ে থাকলাম বিশাল এন্টেনাগুলির দিকে।
তারপর আমার পাশে বসা মমতাজের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম - আমরা মহাবিশ্বের রহস্য জানার জন্যে কত কিছু করছি, কিন্তু আমাদের কাছের মানুষের অন্তরের গভীরে কি স্বপ্ন আছে, তার কতটা আমরা জানি?
মন্তব্য
হ্যামের কথা বলতে আমার এক পুরান বসের কথা মনে পড়ল। সাইফুল হুদা নাম তার। হুদা ভাই হ্যাম নিয়ে খুব প্যাশনেট ছিলেন। লেখা আবারো ভালো লাগল।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনিন্দ্য,
যেহেতু এটা নিছক 'হবি', টাকা-পয়সার সাথে তেমন যোগাযোগ নেই, তাই অধিকাংশ 'হ্যাম'ই 'খুব প্যাশনেট' হয়।
আর একটা কথা - অধিকাংশ হ্যাম খুব ভাল লোক হয় (আমার ব্যাপারে বলতে পারবো না)।
সম্প্রতি ফেসবুকে এই লিঙ্কটা পেলামঃ BARL
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আরে এই লিঙ্কে তো ওনার ছবিও আছে। পরিচয় :
Vice President & Acting General Secretary
S21SH
এই সংযোগহীনতার পৃথিবীতে মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের আকাঙ্ক্ষা যাদের এখনো তীব্র, যারা এখনো এই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসা মানবিক সংযোগসূত্রগুলোকে আঁকড়ে রেখেছে - তাদের ভালো হওয়ারই কথা ...
হ্যাম সম্পর্কে লিখবেন।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দুর্দান্ত। এটা কত সালের ঘটনা?
কৌস্তুভ,
সঠিক সাল এখন মনে নেই, তবে কয়েক বছর আগের ঘটনা হবে। ধন্যবাদ পছন্দ হবার জন্যে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
যথারীতি দারুণ। আচ্ছা,ডার্বি কি এখনো বেঁচে আছে?
অদ্রোহ।
অদ্রোহ,
ভাল লাগলো - এমন একটা প্রশ্ন তোমার মনে এসেছে জেনে। জুলিদের (সঠিক নাম নয়) সাথে বহু দিন কোন যোগাযোগ নেই। আমেরিকান জীবন এমনই।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমেরিকার যেখানেই যাই, কোন না কোন নেটিভ আমেরিকান গোত্রের রাখা নাম (রাস্তা, পাহাড়, নদী) দেখতে পাই। এরাই এই বিশাল দেশটার মালিক ছিল। সব মেরে কেটে সাফা করে ফেলেছে সাদা চামড়ার দল। বিংশ শতকের আগের ঘটনা বলে এইসব গনহত্যার বিচারের কথাও উঠে না। নেটিভ আমেরিকান গুলার জন্য খারাপই লাগে, এমন সুন্দর নিজের দেশে ওরা এখন পরবাসীর মত।
ছবিগুলা ভালো লাগলো। আর সিরিজটাও আমার খুব প্রিয়।
-শিশিরকণা-
অন্যের দেশ দখল করে এখন সেই অন্যের দেশেই অন্যদের ঢোকাথাকা নিয়েও চিল্লাচিল্লি শুরু করসে।
[মন্তব্যটা রেসিস্ট হলো নাকি জানিনা, কিন্তু মাঝেমাঝে এদের আচরণ দেখলে এই পালটা ঘৃণা/ রাগটা জাস্টিফাইড মনে হয়।।]
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ইসে, ছবিটা কি আপনার আঁকা? তাহলে বলব দুর্দান্ত, আর নাহলে অনুরোধ করব, আসল সোর্সটা দয়া করে দিন না।
ছবিটা আমার আঁকা না অবশ্যই, প্রশংসাটা পেয়ে যদিও বলতে ইচ্ছা করছে আমি এঁকেছি বেশ কয়েকদিন আগে অ্যা্রিজোনায় ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ে নতুন আইনটা করার সময় ফেসবুকে একটা গ্রুপ খুলেছিল, সেখানে এইটা, সাথে আরো অনেকগুলা জটিল ছবি পেয়েছিলাম এই থিমে। এখন আর খুঁজে পাচ্ছিনা। আপাতত গুগলে go back to africa দিয়ে ইমেজ সার্চ দিয়ে পেয়েছি। কিন্তু দুটার কোনটাই ছবিটার আসল সোর্স না, আমার মতই দিয়ে দিয়েছে আর কি। তাই লিংক দেইনাই।
গ্রুপটা খুঁজে পেলে সাথে সাথেই দেব।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ও। আসলে ওই টপিকের উপরেই আমার প্রিয় এই কার্টুনটার সোর্স খুঁজছিলাম... যদি এটার সোর্সও পান তাহলে প্লিজ জানাবেন। এমনিতে সচলে উল্লেখ না করে অন্য জায়গা থেকে জিনিসপত্র দিতে বারণ করা হয়, কিন্তু সেই নিয়ে আপনাকে খোঁচানো আমার উদ্দেশ্য ছিল না... সেরকম কিছু মনে করেন নি দেখে শান্তি পেলাম।
আমারটা এই পেইজে পেলাম। আপনারটা এখনও পাইনি। পেলে জানাব।
সেরকম কিছু মনে করিনি, সোর্স দেওয়া উচিত বলেই খুঁজছি। প্লাস এমন মজার আরো অনেকগুলা আছে ঐটায়। সেটাও কারণ
[মন্তব্য দেহি লগে লগে আহে! :D]
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
খাসা পেজ। কিন্তু আমরা যে সাইফ ভাইয়ের পোস্টে একেবারে নয়ছয় করে চলেছি...
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমারটাও খুঁজে পাইছি।
http://politicalgraffiti.wordpress.com/2009/01/11/broken-english/
শিশিরকণা,
অনেক ধন্যবাদ।
একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন - বাংলাদেশের পাহাড়ীদের সাথে 'আমরা' যে ব্যবহার করছি - সেটা নিয়ে কি মনে হয়?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
অসাধারন...অসাধারন...সাইফ সাহেব। বিষাদটাকে এতো চমৎকার করে তুলে নিয়ে এলেন কেমন করে? এইরকম লেখা আমি স্বপ্নে লিখি। বাস্তবে পারিনা। আপনার লেখা আরো বেশী বেশী পড়তে চাচ্ছি। আবদার বলতে পারেন। ভালো থাকবেন।
মানিক,
অনেক ধন্যবাদ আপনার এই প্রশংসার জন্যে। ভাললাগা আর বিষাদ - দু'টিই তো মানুষের জীবনের অংশ - তাই নয় কি?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার আম্রিকাদর্শন আম্রিকা ফ্যানাটিকদের কিন্তু মেসেজ দেয়।
----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
তাই?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
বরাবরের মতোই একটানে পড়লাম।
হ্যাম রেডিও নিয়ে আলাদা একটা লেখা আশা করছি। সাধারণদের মাঝে এ নিয়ে খুব একটা ধারণা নেই, যারা এটার সঙ্গে জড়িত নয়, তাঁরা এ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না।
আপনি যদি এ নিয়ে লেখেন, তাহলে আমাদের অনেকের জানার সুযোগ হয়।
আরিফ,
একটা ছবি দিলাম নীচে - কাব ও স্কাউটদের মাঝে হ্যাম রেডিও কি সেটা দেখাচ্ছি।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
অসাধারণ
অনেক ধন্যবাদ - কিন্তু আপনার নামটি তো জানতে পারলাম না।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ভাইয়া, অসাধারন লেখা। এদের অনেক কিছুই দেখলে খুব দ্বিধায় পরে যাই, যে হয় এরা খুব ভাল নয় খুব খারাপ। আপনি এটা বাড়িয়ে দিলেন।
আদীব,
ভাল আর খারাপ কি আমাদের মধ্যে নেই?
কোথায় যেন পড়েছিলাম - 'ফুলের থেকে মৌমাছি সংগ্রহ করে মধু, আর মাকড়শা সংগ্রহ করে বিষ।'
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আগেও বলেছি, আবার ও বলি। আপনার অলখ আমেরিকা সিরিজটা পড়তে খুব ভাল লাগে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
অনেক ধন্যবাদ দ্রোহী।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
সিরিজটা আসলেই জটিল চলতেসে! ছোট ছোট পর্যবেক্ষণগুলা পড়তে মজাই লাগে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
সাইফ ভাই
ডার্বির মায়ের কষ্ট থেকে সাঈদের মায়ের সাধনা কে বড় বেশি আপন মনে হলো. সাঈদের মাকে শ্রদ্ধা . সাঈদের মাকে নিয়ে এটা পুরনো কষ্ট আর ভালবাসার গল্প চাই
আনন্দম !!
মাহে আলম
সাইফ ভাই,
আপনার এই সিরিজের প্রত্যেকটি লেখা পড়েছি। আমি অভিভূত। পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান রইলাম।
মাহে আলম,
ধন্যবাদ অনেক আপনাকে এই আগ্রহের জন্যে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
খুব ভাল লাগছে।
হ্যাম রেডিও নিয়ে আলাদা লেখা দিন। এ নিয়ে কিছুই জানিনা।
কার্ল সেগান কে মনে পড়ে গেল।
সাঈফ ভাই,
আজও এক টানে পড়লাম, সাঈদের মার প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
অপেক্ষায় থাকলাম পরের টার।
নীলআমার
" কত অজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই। দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পর কে করিলে ভাই।" কেনো জানিনা দুম করে মনে পড়ে গেলো কবিতার লাইনটা.................
................................. ভাইয়া, আমিও হ্যাম রেডিও সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
ঘটনায় বর্ণিত চরিত্রগুলোর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর শুভকামনা। ভালো থাকুন নিরন্তর।
আয়নামতি,
ভাইয়া ডাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। সুযোগ পেলে 'বাংলাদেশের হ্যাম রেডিও' সম্পর্কে লেখার চেষ্টা করবো। ইতিমধ্যে গুগল সার্চ করেও অনেক জানতে পারবে।
শুভেচ্ছান্তে,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমি ধরে নিয়েছিলাম, প্রথম দেখায় স্টিভ ও জুলিকে কেমন দেখলেন তার একটা বর্ণনা দিবেন। বয়স ছাড়া আর কিছু কিন্তু জানালেন না। এটা কী ইচ্ছাকৃত?
--------------------------------------------------------------------------------
মেহবুবা,
কেন এমন ধারনা হলো? আমার কাছে মানুষের ভেতরের চেহারাটা বড়। বাইরের রূপ কি চিরদিন থাকে?
সাইফ শহীদ
পূনঃ মিশিগানের ডাঃ জাকির আহমেদ (সান্টু) - যার কথা আপনার লেখাতে উল্লেখ আছে - আমার ভাই।
সাইফ শহীদ
বরাবরের মতই অসাধারন!!
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
দেরিতে পড়লাম, যথারীতি দারুণ লাগলো।
লেখাটা পড়তে পড়তে কনট্যাক্ট ছবিটার কথা মনে হচ্ছিল। আমার খুবই পছন্দের ছবি এটা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল,
'দারুণ' লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
'কন্টাক্ট' আমারও ভাল লেগেছিল।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আগ্রহী পাঠক হিসেবে সিরিজের সঙ্গে আছি...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
তিথীডোর,
আর এটাই যদি সিরিজের শেষ পর্ব হয়?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ভাই, খুবই ভালো লাগলো লেখাটা। আসলেই আমেরিকার জীবন বড়ই বিচিত্র। সাথে সাথে বিচিত্র মানুষের জীবনধারা।
অনেকের মতোই হ্যাম রেডিও নিয়ে একটু বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
রাতঃস্মরণীয়
রাতঃস্মরণীয়,
অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্যে।
হ্যাঁ, দেশটাই বড় বিচিত্র।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
দারুণ
হ্যাম সম্পর্কে জানতে আমিও আগ্রহী। একটা লেখার আশায় রইলমা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভাল লাগল। মন ছুঁয়ে যায়।
নতুন মন্তব্য করুন