সেন্ট্রাল বাস ডিপো এবং রেলওয়ে ষ্টেশন আমার অফিসের বেশ কাছে - আধা মাইলের মধ্যে। ওখানে বেশ কিছু ভাল রেস্টুরেন্ট আছে। অনেক দিন হেটে লাঞ্চ খেতে গেছি সেদিকে। গতকাল সকালে ওখানেই অঘটনটা ঘটলো। পুলিসের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হলো ১৯ বছরের এক ছেলে। আমার এক সহকর্মী তখন সেখানে উপস্থিত ছিল। তার চোখের সামনেই ঘটনাটা ঘটেছে।
এই শান্ত মাঝারি আকারের শহরে, যেখানে ১০ লাখের কম মানুষ বাস করে, সেখানে এই বছরে এটা হলো ১১তম ঘটনা, যেখানে পুলিসের গুলিতে আহত বা নিহত হয়েছে কেউ । এই ১১ জনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা গেছে ৭ জন। এই হলো পৃথিবীর অন্যতম 'সভ্য দেশের' 'শান্তি রক্ষা বাহিনীর' শান্তি রক্ষার কাহিনী।
গতকাল ঘটনাটা শোনার পর থেকে মনটা কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল। আজ অফিসে যেয়ে সেই সহকর্মীর কাছ থেকে তার চাক্ষুষ দেখা বিবরণ শুনলাম।
আজকের খবরের কাগজে যে খবর বেড়িয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হচ্ছে এই রূপঃ
১৯ বছরের টড তার জীবনের বেশীটা সময় কাটিয়েছে বিভিন্ন 'ফস্টার হোমে' । নিজের বাবা-মায়ের আদর কাকে বলে, তা কখনো জানেনি। পাশের স্টেট ওকলাহোমা থেকে সে এসেছিল এই শহরে। মানষিক অসুস্থতার জন্যে এখানকার ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে কিছু দিন চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে বাসের টিকিট কাটে ওকলাহোমা ফিরে যাবার জন্যে। কিন্তু সকালে বাসে চড়তে যাবার সময় তাকে বলা হয় যে, আরও অতিরিক্ত চার্জ দিতে না পারলে তাকে বাসে নেওয়া হবে না। এই অতিরিক্ত টাকা দেবার সামার্থ হয়তো ছিল না তার। ফলে উত্তেজিত হয়ে পরে সে। কিছুক্ষণ পরে সে যখন আবার সেখানে ফিরে আসে, তখন দেখা যায় যে তার হাতে ধরা একটা ছুরি দিয়ে নিজের হাতের ধমনী কেটে ফেলেছে এবং প্রচুর রক্ত পড়ছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুই পুলিস অফিসার (আমেরিকাতে সব 'ঠোলাকেই' অফিসার বলা হয়) এসে হাজির হয় সেখানে এবং টডকে তার হাতের ছুরি ফেলে দিতে বলে (পুলিসের ভাষ্য অনুসারে)। কিন্তু টড নাকি তাদের কথায় তখনি হাতের ছুরি ফেলে দেয়নি। আমার সহকর্মীর চাক্ষুষ দেখা বিবরণ অনুসারে ওখানে উপস্থিত হবার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে পুলিস অফিসার খুব কাছ থেকে টডকে বুকে গুলি করে। পর পর দুটি বুলেট এসে বিদ্ধ হয় তার বুকে। ঢলে পড়ে সে রাস্তায়। যে অফিসার টডকে গুলি করে, সে ছিল একজন মহিলা অফিসার। অফিসার দেখতে সুন্দরী ছিল - আমার সহকর্মীর অভিমত।
আমি ভাবছিলাম - টডের জায়গাতে যদি আমার ছেলে সাঈদ থাকতো - তবে সেও তো পুলিসের অর্ডার বুঝতে পারতো না। হয়তো সুন্দরী মহিলা অফিসারের দিকে তাকিয়ে খুশীতে হাত উচু করে নাড়তে থাকতো - আর তারপর ... নাহ, আর ভাবতে ইচ্ছা করছে না। এ কোন সভ্য দেশে বাস করছি আমরা?
গত সপ্তাহে এমনি আর এক ঘটনায় লস এঞ্জেলেসে পুলিস গুয়েতেমালার এক দিন মজুর, জেমিনকে মেরে ফেলেছে। পুলিশের ভাষ্য হচ্ছে জেমিনের হাতে ছুরি ছিল এবং ছুরি ফেলে দিতে বলা হলেও সে কথা সে শোনেনি। পুলিস তখন তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং মাথাতে দু'টি গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যায় জেমিন। ঐ এলাকার মেয়র বলেছে পুলিস খুব 'সাহসিকতার' সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। পরে জানা গেছে, জেমিন ইংরেজী বা স্প্যানিস জানতো না, ফলে পুলিসের আদেশ তার পক্ষে না বোঝা স্বাভাবিক। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিগত কয়েক দিন ধরে কোন কাজ পাচ্ছিল না জেমিন। দেশে তার ৩ সন্তান ও স্ত্রী রয়ে গেছে। সংসারে সেই ছিল এক মাত্র উপার্যনকারী। ওই এলাকার অধিবাসীরা খুবই ক্ষুব্ধ এই ব্যাপারে। মৃত ব্যাক্তির হাতে ছুরি বা আগ্নেয় অস্ত্র পাবার ব্যাপারে অনেক প্রচলিত কাহিনী আছে। অনেক সময় প্রমান হয়েছে যে গুলি করে মারার পর পুলিশ মৃত ব্যাক্তির হাতে অস্ত্র গুজে দিয়েছে। শোনা যায় অনেক 'অফিসার' অতিরিক্ত লাইসেন্স বিহীন অস্ত্র সাথে রাখে 'প্রয়োজনে' এই ভাবে ব্যবহার করার জন্যে।
পাঁচ বছর আগে ক্যার্টিনার ঝড়ের সময় এমনই এক ঘটনায় নিউ ওর্লিয়েন্সে পুলিস ব্রীজের উপর ঝড়ে আশ্রয়প্রার্থী দুই জনকে গুলি করে মারে - তাদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সের এক জন মানষিক প্রতিবন্ধী ছিল। আরও চার জন গুলিতে আহত হয়। এরা সবাই ঝড়ে গৃহহারা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ ছিল। এই ঘটনা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ধামা চাপা দেবার চেষ্টা করেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত পারেনি। এত বছর পরে এখন তারা স্বীকার করেছে তাদের দোষ। এখন চেষ্টা চলছে বাদী ও বিবাদী পক্ষ মিলে প্রাক-বিচার একটা 'ডিল' করার জন্যে।
এই আর এক অদ্ভুত জিনিস আমেরিকাতে - 'ডিল' করা। আমেরিকাতে 'ডিল' করাটা আইনে স্বীকৃত। অন্যদিকে আইনে স্বীকৃত না হলেও, বাংলাদেশে অবশ্য প্রচুর 'ডিল' হয় নানা কাজে। দেশে চিনি বা লবনের অভাব হলো - প্রেসিডেন্ট বা প্রধান মন্ত্রী স্পেশাল অর্ডিনান্স দিয়ে এই অভাবের ঘাটতি পূরনের জন্যে কয়েক দিনের জন্যে শুল্কমুক্ত করে দিলেন চিনি বা লবনের আমদানী। অর্ডিনান্স প্রকাশ হবার দিনই বিকেলে এসে হাজির হল জাহাজ ভর্তি চিনি। কেউ যদি 'বিল-অব-লেডিং' খুঁচিয়ে দেখতেন, তবে হয়তো দেখতে পেতেন যে এক সপ্তাহ আগেই সেই জাহাজ সিঙ্গাপুর থেকে চিনি ভর্তি করে রওয়ানা হয়েছে। তবে এই 'ডিল' নিয়ে আজকের এই লেখা না।
গত বছর হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর হেনরি গেইটস বেইজিং-এ এক সেমিনার শেষ করে যখন দীর্ঘ ২০ ঘন্টার ফ্লাইট শেষে বষ্টনে নিজের বাড়ীতে ফিরছেন, তখন দেখেন তার ঘরে ঢোকার চাবি ঠিক মত কাজ করেছে না। পরে ধাক্কা-ধাক্কি করে দরজা খুলে অবশেষে নিজের ঘরে ঢুকে যখন সবে বসেছেন, তখন পুলিস এসে হাজির। কেউ হয়তো বাইরে থেকে দেখে পুলিশকে খবর দিয়েছিল যে এই বাড়ীতে এক জন লোক জোর করে ঢোকার চেষ্টা করছে। প্রফেসরের মুখের কথা পুলিস বিশ্বাস করেনি, তাকে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পরিচয় পত্র দেখাতে হয়েছে। ঐ অবস্থায় নিজের বাড়ীতে বসে হেনস্থা বোধ করা স্বাভাবিক, যে কোন 'স্বাভাবিক' মানুষের পক্ষে। প্রফেসর তখন পুলিস অফিসারের ব্যাজ ও আই, ডি নাম্বার দেখতে চেয়েছেন। অফিসার দেখাতে রাজী না হওয়ায়, গলার স্বর উচু হয়েছে প্রফেসরের। এই অপরাধে হাতে হাত কড়া দিয়ে পুলিস তাকে এরেস্ট করে নিয়ে গেছে। বেশ কয়েক ঘন্টা আটক রাখার পরে, হার্ভাডের অন্য শিক্ষক ও ছাত্রের প্রতিবাদে, প্রফেসরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। এটা জাতীয় খবরে পরিনত হবার পর ওবামা প্রথমে বলে ফেলেছিলেন যে পুলিসের পক্ষে এটা একটা 'স্টুপিড' কাজ হয়েছে। পরে শক্তিশালী পুলিস ইউনিয়নের চাপে পরে তাকে তার কথা ফেরত নিতে হয়েছে এবং হোয়াইট হাউসে ডেকে এই পুলিস অফিসার ও প্রফেসরকে 'ঠান্ডা বিয়ার' খাইয়ে 'ঠান্ডা' করতে হয়েছে। আমি বরং বলবো এই প্রফেসরের ভাগ্য ভাল। 'অফিসার' যদি 'রাগের মাথায়' গুলি করে প্রফেসরকে মেরে ফেলতো - কি হতো শেষ পর্যন্ত? খুব বেশী হলে হয়তো আর একটা 'ডিল'।
আমি যখন ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকতাম তখনকার একটা ঘটনা মনে পড়লো। টিশা মিলার নামের ১৯ বছরের একটি মেয়ে, তার ভাই ও ভাইয়ের বান্ধবীর সাথে মধ্য রাতে পার্টি শেষে বাড়ী ফিরছিল। এমন সময় তারা দেখে যে গাড়ীর একটি চাকা পাংচার হয়ে গেছে। তারা একটা গ্যাস স্টেশনের (পেট্রল পাম্প) পাকিং লটে গাড়ী থামিয়ে, টিশাকে গাড়ীতে থাকতে বলে অন্য দু'জন সাহায্য খুঁজতে যায়। টিশা গাড়ীর কাঁচ উঠিয়ে দিয়ে, দরজা লক করে বন্ধ করে দিয়ে, গাড়ীর রেডিও বেশ জোরে চালিয়ে গান শুনতে থাকে আর নিজের সাবধানতার জন্যে কোলের উপর একটি পিস্তল রাখে। কিছু সময় পরে অন্য দু'জন ফিরে এসে দেখে টিশা তাদের ডাকের কোন উত্তর দিছে না, এবং তার মুখের পাশে ফেনা। হয়তো টিশার 'সিজার্স' হয়েছে মনে করে এমারজেন্সি ৯১১ ফোন করে তারা। চার জন পুলিশ এসে হাজির হয়ে প্রথমে চিৎকার করে টিশাকে গাড়ীর দরজা খুলে হাত উচু করে বের হয়ে আসতে বলে। কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে একজন পুলিস গাড়ীর দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। তারপর 'কোন এক অজানা ভুল বুঝাবুঝির কারণে' চার জন পুলিস খুব কাছ থেকে ২৪টি গুলি ছুড়ে ১৯ বছরের কিশোরী টিশাকে লক্ষ্য করে। টিশার শরীর এবং গাড়ীকে ঝাঝরা করে ফেলে পুলিসের গুলি। পরে পোষ্ট-মর্টামের সময় টিশার শরীরে ১২টি গুলি পাওয়া যায় এর মধ্যে ৪টি লেগেছিল তার মাথায়। ৬ মাস পরে কোর্টের রায়ে বলা হয় পুলিসের কোন দোষ পাওয়া যায়নি এই ঘটনাতে।
দুপুরে খাবার সময় আমার এক সহকর্মী বন্ধুর সাথে এই সব বিষয়ে আলাপ হচ্ছিল।
- আমি ঠিক বুঝতে পারিনা, পৃথিবীর সব চাইতে সভ্য ও উন্নত দেশে কেন এমন ঘটনা ঘটবে - বললাম আমি।
- খুব অবাক হবার কি আছে?
- আমি যখন বিলাতে থাকতাম, তখন কোন পুলিসকে সাথে রিভলবার রাখতে দেখিনি সেখানে।
- যতদূর শুনেছি, সাধারণ মানুষ সেখানে ইচ্ছামত আগ্নেয় অস্ত্র রাখতে পারেনা। এখানে আমাদের 'বিল অফ রাইটস' ও কন্সটিটিউশনের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুসারে আগ্নেয় অস্ত্র রাখার অধিকার সবার আছে। ফলে পুলিসকেও নিজের জীবন বাঁচাবার জন্যে অতিরিক্ত সাবধানতা গ্রহণ করতে হয়। আর তাছাড়া আমাদের সভ্যতা তো খুব বেশী পুরানো না। মাত্র ২৫০ বছরের। ইতিহাস পড়ে দেখো, বিলাতেও কি হতো আগে।
- তা বটে। আমিও অবাক হয়েছিলাম প্রথম যখন লন্ডন মিউজিয়ামে যেয়ে এ ধরনের কিছু নিদর্শণ দেখেছি।
- সত্যি বলতে কি, এখনকার অবস্থা বরং আগের চাইতে অনেক ভাল।
- কি বলছো তুমি? সত্যি?
- আমার বাবার কাছে একটা গল্প শুনেছিলাম- তার নিজের ছোট বেলার ঘটনা। আমার বাবা তখন লস ক্রুসাসে থাকে। স্থানীয় বারে বসে তার এক বন্ধু গীটার বাজাচ্ছিল। আমার বাবাও তখন সেখানে। এমন সময় সেখানে এল সেখানকার পুলিসের শেরিফ। গীটার বাদককে বললো বাজনা থামাতে। যখন দেখলো তার কথা না শুনে গীটার বাদক নিজের মনে বাজিয়ে চলেছে, তখন শেরিফ তার পিস্তল উচু করে গীটার বাদকের মাথায় ধরলো আর বাজনা বন্ধ করতে আদেশ দিল। কিন্তু তাতেও বাজনা বন্ধ না করায় ট্রিগার টিপে দিল সে। অন্য আর এক বন্ধু এই অন্যায় হত্যা সহ্য করতে না পেরে মৃত বন্ধুর গীটার হাতে নিয়ে সজোরে আঘাত করলো শেরিফের মাথায়। তারপর পালিয়ে গেল তারা সেখান থেকে। এই ছিল তখনকার অবস্থা।
- আমার মনে হয় আমেরিকার সব নাগরিককে অস্ত্র রাখার অনুমতি দেবার কারনেই এই সব সমস্যা হয়েছে। - বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে চিন্তা করে বললাম আমি।
- হয়তো। কিন্তু এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।
- কেন জানি, তবু আমার পক্ষে এটি মানতে একটু কষ্ট হয়। যাদের জন্যে এই আইন করা, তারাই তো বেঘোরে মারা যাচ্ছে।
- ৩০ কোটি লোকের মধ্যে কত জন মারা যাচ্ছে এভাবে? তুলনা মূলকভাবে তেমন বেশী কি সংখাটি?
- তা হয়তো না, তবে এমন কি হতো যদি এই আইনটি রদ করা হতো?
- তাহলে কি আমাদের স্বাধীনতা আমরা এই দু'শ বছরের বেশী টিকিয়ে রাখতে পারতাম?
- কি বলছো তুমি। পৃথিবীর সব চাইতে শক্তিশালী মিলিটারী শক্তি আমেরিকাতে। কে আসতো, এ দেশ দখল করতে?
- হয়তো আমাদের মিলিটারীই আসতো। 'অটোক্রেটিক' সরকার বসিয়ে দিতো। যে রকম হয়েছে পৃথিবীর অনেক দেশে।
কথাটা শুনে ভাবতে লাগলাম। আমার সহকর্মির কথার মধ্যে কিছুটা গভীর চিন্তা করার বিষয় আছে।
আচ্ছা, আমাদের বাংলাদেশে যদি এমন আইন থাকতো, আর দেশ স্বাধীন হবার পর বীর মুক্তিযোদ্ধারা যদি শেখ মুজিবের কথা মত তাদের অস্ত্র ফেরত না দিত, তাহলে কি এত ঘন ঘন 'সামরিক আইন' জারী করে ক্ষমতা দখলের খেলা চলতে পারতো আমাদের স্বাধীন দেশে??
মন্তব্য
বড়ই আজব এদের কিছু নিয়ম।
প্রকৃতিপ্রেমিক,
অবশ্য আমাদের অভিজ্ঞতাও সীমিত। বলতে গেলে আমরা তো সবে শুরু করেছি এদেশ 'দখল' করা। আমাদের দেখাটা এখনো অনেকটা 'অন্ধের হাতি দেখার' মত। আমাদেরও উচিত সময় ও সুযোগ বুঝে এদেশের পুলিস, মিলিটারি এবং অন্যান্য বাহিনীতে যোগ দেওয়া। এর ফলে আমরা যেমন ওদেরকে ভাল ভাবে চিনতে ও জানতে পারবো, তারাও জানতে ও চিনতে পারবে আমাদেরকে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আসলেই বিচিত্র এই দেশ।
পুলিশ বাহিনীর রেসিস্ট আচরনের খবর প্রায়ই শোনা যায়। খুব শিক্ষিত লোকজন পুলিশে যোগ দেয়না সেটা ওদের আচরণেই প্রকাশ পায়।
সেপ্টেম্বর ইলেভেনের পর পর শহরতলীতে এক বন্ধুর এপার্টমেন্টে গিয়েছিলাম। এপার্টমেন্টের সুইমিং পুলে যাওয়ার পথে কতকগুলো "আনলিশড" কুকুর ঘুরছিল, ওগুলো ছিল বেশ হিংস্র পিটবুল, আমাদের সাথে ছোট বাচ্চা ছিল, ওরা বেশ ভয় পাচ্ছিল। কুকুরের মালিক কাছেই বার-বি-কিউ করছিল। আমার বন্ধু তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই সে বিনা কারণে ক্ষেপে গেল এবং গালিগালাজ শুরু করল...দেখলাম সে জানে যে আমার বন্ধু মুসলিম (তার স্ত্রী হিজাব পড়তো)। একটু পরে সে বাসায় ঢুকে বারান্দা থেকে আমাদের দিকে তার বন্দুক তাক করলো...আমরা দ্রুত বাসায় ফিরে পুলিশ ডাকলাম।
পুলিশ ওই লোকের সাথে কথা বলে জানলো যে, সেই লোক নিজেও পুলিশ!!! বারান্দা থেকে (নিজের প্রোপার্টির ভেতর) বন্দুক দেখানো বে-আইনি কাজ নয়, এই তথ্যও জানলাম। এরপর দিনই আমার বন্ধু লিজ ব্রেক করে ওই বাসা ছেড়ে দেয়।
এর পর নিউজে অস্টিন পুলিশের অনেক রেসিস্ট ঘটনা দেখেছি, পড়েছি...নিজের অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারি, সুযোগ পেলে এরা আইনি কাঠামোর ভেতরই হত্যা করতে পারে মানুষ...আমাদের বাংলাদেশের পুলিশও কম করে না এই কাজ...
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসলে আম্রিকানদের সভ্যতার বয়স খুব কম. আর বেড়েও উঠেছে অন্য ভাবে. তাই এদের অনেক কাজই আমাদের কাছে আজগুবি লাগে. অনেক কিছুই ছেলে মানুষি লাগে
যেমন সেদিন টেনেসির শেলবি কাউন্টির এক পার্কে আমরা ২০/২৫ বাঙালি গেলাম ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে. দিন হলো রবিবার দিন. জায়গায় জায়গায় ছাওনি দেয়া. তো রেঞ্জার বলতেছে "আজকে ছুটির দিন; তাই কোনও ছাওনি ভাড়া দেয়া যাবে না. তবে তোমরা ফ্রী ব্যবহার করতে চাইলে কর. কোনো সমস্যা নাই"
কেমন সুর,
এখানে আর একটি বিষয় মনে রাখা উচিৎ - পৃথিবীতে আমেরিকার মত খুব কম দেশই আছে যেখানে এত বিভিন্ন রকমের এবং বিভিন্ন জাতীয়তার মানুষ বাস করছে। ফলে আইনের প্রধান্যের উপর ভীষন বিশ্বাস সবার। আইনটা যুক্তিযুক্ত কিনা, সেটা বড় কথা না - বড় কথা হচ্ছে আইনকে সব সময় মান্য করা।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এমিল,
আসল কথা হল, 'আন-চেকড' ক্ষমতা কখনই ভাল না। সে হিসাবে আমি বলবো আমেরিকাতে বরং বাংলাদেশের চাইতে অনেক বেশী নিয়ন্ত্রণ থাকে ক্ষমতার উপরে।
আমাদের আর একটা বিশেষ প্রয়োজন হল - সবাইকে আইন এবং অধিকার সম্পর্কে যতেষ্ট জ্ঞান রাখা। কয়েক বছর আগে নেহাৎ শখ করে এদেশের আইনের উপর কয়েকটা কোর্স করে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে শিখেছি। তুমি যেমন লিখেছো - "বারান্দা থেকে (নিজের প্রোপার্টির ভেতর) বন্দুক দেখানো বে-আইনি কাজ নয়, এই তথ্যও জানলাম।" - এ রকম অনেক কিছু আমাদের জানার আছে।
প্রয়োজনে সঠিক ভাবে প্রতিবাদ করারও দরকার আছে। এগারোই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরে মারিয়ার ক্লাশের শিক্ষক তাকে প্রশ্ন করেছিল এ ব্যাপারটি মারিয়া কেমন ভাবে দেখছে। মারিয়া তখন স্কুলের ছাত্রী এবং এই প্রশ্ন শুধু তাকে কেন করা হলো অন্যদেরকে বাদ দিয়ে - এই প্রশ্ন তোলে। তার মনের ভাব বুঝতে পেরে আমরাও স্কুল কতৃপক্ষের সাথে এই ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন তুলি এবং আমাদের সাথে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় তারা।
আইনের উপর শ্রদ্ধা আছে বলে আমেরিকা আজও পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ট দেশ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এখানে সাধারণের অস্ত্র কিনতে হলে আগে লাইসেন্স লাগে। আর সেই লাইসেন্স পেতে হলে পরীক্ষায় রীতিমতো পাশ করতে হয়। তবেই একজন আম পাবলিক অস্ত্র কিনতে পারে। আর সেই অস্ত্র সাথে করে ঘরের বাইরে বেরুতে হলে তাকে আলাদা একটি কোর্স করতে হয়। সেটার সার্টিফিকেট সাথে থাকলেই তবে অস্ত্র নিয়ে বেরুনো যাবে, অন্যথায় নয়।
এখানেও পুলিশের কোমরে দেখি একটা ফিলিপস ডিগা মোবাইল সেটের মতো একটা ওয়াকিটকি, একটা আধহাতি লাঠির মতো কী জানি, আর একটা আগ্নেয়াস্ত্র গোঁজা থাকে। কিন্তু সেই অস্ত্রের হাল দেখে মনে হয় এর কলকব্জা সবকিছুতেই জং ধরা। আর সেটা মনে হয় কোনো আগ্নেয়াস্ত্রও না। বড়জোর রাবার বুলেট বের হয় কিংবা ইলেক্ট্রিক শক গান।
কাউকে জানে না মেরেও এখানে আশে পাশের অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় অপরাধ প্রবণতা অনেক কম। এমনকি অপরাধী অনেক সময়েই পুলিশকে ফ্লাইং কিক মেরে চাপার খিল নাড়িয়ে ফেলে, তারপরেও এরা অপরাধীকে শারীরিকভাবে আঘাত করে না। তবে ক্যাঁক করে ক্যামনে জানি প্লাস্টিকম্যানের মতো পেঁচিয়ে গিট্টু দিয়ে ফেলে অপরাধীর হাত দুইটাকে। তারপর সবুজ রঙের ভক্স ওয়াগনে তুলে নিয়ে যায়।
আমেরিকানরা যেমন মনে করে জনগণের হাতে অস্ত্র না থাকলে জেনারেলরা এসে ক্ষমতা দখল করে নিতো, এখানে দেখি সেই যুক্তি অচল। আমেরিকার তুলনায় এটা প্রায় স্বর্গরাজ্য। এখানে লোকজন ঘরের খিল খুলে রেখে ঘুমায় রাতের বেলা। আপনি বাসে বা ট্রেনে উঠুন টিকিট না কেটেই। চেকার আসলে আপনার কাছে টিকেট না পেলে আপনাকে নামিয়ে দিবে না। আপনার জাতীয় আইডি কার্ড চাবে, তারপর আপনার নামে চল্লিশ ইউরো জরিমানা করে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যাবে। সেটা আপনি আপনার সময় মতো তাদেরকে পাঠিয়ে দেবেন ব্যাংকে। দিতে অপারগ হলে তাদের জানাবেন, তারা আপনাকে মাসে সর্বনিম্ন ৫-১০ ইউরোর একটা ইনস্টলমেন্টের ব্যবস্থা করে দিবে।
এখানে যে জিনিসটা আকর্ষণ করে সবচেয়ে বেশি আমেরিকার তুলনায় তা হলো, এখানে আপনি বিনা চিকিৎসায়, বিনা খাদ্যে মরে না কেউ। কেউ মুমূর্ষাবস্থায় হাসপাতালে গেলে আগে তার চিকিৎসা দেয়া হবে তারপর তার ইনস্যুরেন্স। যদি কেউ সেটা করতে অপারগ হয়, তাহলে সে দায়ভার বহন করবে সরকার।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধূলি,
ধন্যবাদ জার্মানীর এই সব তথ্য সবার সাথে শেয়ার করার জন্যে। জার্মানরা চিরকালই খুব শৃংখলাবদ্ধ জাত হিসাবে পরিচিত। তা না হলে হিটলার সবাইকে এই ভাবে পরিচালনা করে পারতো না। আমরা বাঙ্গালীরা অনেকটা তার উলটো মেরুতে বাস করতে পছন্দ করি।
অন্য দিকে আমেরিকানরা কোন একক জাতি না। ফলে কড়াকড়ি ভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে শৃংখলা রাখা মুশকিল।
আচ্ছা, বর্তমান প্রজন্মের জার্মানরা হিটলার সম্পর্কে কি বলে, কতটা জানে এবং জানতে আগ্রহী?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
সাইফ ভাই, অসাধারন লেখা, সব সময়ের মতই। এতদিন খালি সিসিবিতে পড়তাম, এখন এখানেও পড়ার পর অনেক ভাল লাগল। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশই আসলে ধুসর গোধুলি ভাইএর বর্ণনার মত। অন্তত যেসব দেশগুলো প্রথম বিশ্ব, তারা। আমি নর্ডিক বেশ কিছু দেশে ছিলাম, অনেক শান্তিপুর্ণ, অনেক আরামের জায়গা, অন্তত আমেরিকার বর্ণনা শোনার পর তাই মনে হচ্ছে। তবে জার্মানীকে এক দিক দিয়ে আমি এগিয়ে রাখব, অনেক বেশি পরিমান অভিবাসীকেও ওরা যেভাবে সামাল দিচ্ছে সেটা আসলেই বেশি দেখা যায় না। প্যারিস বা রোমের মত অন্য যেসব শহরে অভিবাসীর সংখ্যা বেশী তাদের অবস্থা জার্মানীর শহর গুলোর চে অনেক খারাপ। অনেক সময় মনে হয় যে, ধুর, এইখানে থাকুম না, আম্রিকা যামু, কিন্তু পরে আবার কিছু কাহিনি পড়ে মনে হয়, নাহ, ভালই তো আছি।
--সুমন্ত
সুমন্ত,
লেখা ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
নর্ডিক দেশগুলি সভ্যতা এবং শান্তিতে থাকার জন্যে অনেক আরামের জায়গা - কোন সন্দেহ নেই। তবে, বাংলাদেশের বাইরে আমরা যে দেশেই থাকিনা কেন এক পুরুষে সহসা আমরা সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা হয়তো হতে পারবোনা - বিশেষ করে ইউরোপে, যেখানে জাতীয়সত্বা এখনো বেশ জোরালো। সেই দিক থেকে আমেরিকা অনেক অনেক উন্মূক্ত দেশ। অনেক সহজে এ দেশকে নিজের বানানো সম্ভব।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমার মনে হয়, আম্রিকা আসলে আপনার ধারণা পাল্টে যাবে.
বিশেষ করে, নতুন বিদেশী হিসেবে আমি বেশীর ভাগ (৯৮%) আম্রিকানদের কাছ থেকে যে ব্যবহার পেয়েছি, তা থেকে বলছি.
-- কেমন সুর
এটা ঠিক যে বেশীর ভাগ আমেরিকানদের ব্যবহার খুব ভাল। সাধারণ আমেরিকানদের একটা অসুবিধা হল যে তারা বাকী পৃথিবীর সঠিক চিত্র তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে সহজে পায় না। যেটুকু পায়, সেগুলিও পক্ষপাত দুষ্ট।
তবে সাধারণ মানুষের ব্যবহার এক জিনিস, আর কল্যাণমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা আর এক জিনিস। বসবাস করার জার্মানী ভাল না আমেরিকা ভাল - এ সিদ্ধান্ত বোধহয় আরও অনেক কিছু বিচার করে নেওয়া উচিত।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ওয়েল, বর্তমান প্রজন্মের আমি যাদের সঙ্গে মিশি বা মিশেছি, তাদের কাউকেই হিটলার এবং তার কার্যকলাপ সম্পর্কে সহানুভূতিশীল হতে দেখি নি। কয়েকজনকে তো দেখেছি রীতিমতো ইতিহাসবিদ। হিটলারের পরো ঠিকুজি সহ জানে।
কেবলমাত্র জার্মানীর কিছু নির্দিষ্ট জায়গা এবং কিছু নির্দিষ্ট মানুষজন ছাড়া হিটলার আর তার নাৎসীবাদ সমর্থন করে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বরং বেশ জোড়ালোভাবেই এর বিরোধিতা করে তারা, এখনও।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধূলি,
ধন্যবাদ এই তথ্য দেবার জন্যে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এটা ঠিক যে আমেরিকার স্বাস্হ্যব্যাবস্থা প্রথম বিশ্বের মধ্যে বেশ নিচের দিকে, তবে জরূরী চিকিৎসা প্রয়োজন, এমন কোন রোগীকে কোন হাসপাতাল থেকে ফেরানো হয়না, রোগির আর্থিক অবস্থা, ইনসুরেন্স আর লিগাল স্ট্যাটাস যাই হোক না কেন।
আমেরিকানদের সংবিধান-প্রণেতারা তখনকার ইউরোপের চার্চের দৌরাত্ম আর সম্ভাব্য স্বৈরতান্ত্রিকতার ছায়া দেখে এই ২ টো জিনিসকে অনেক দূরে রাখতে চেয়েছিলেন বোধহয়। তবে গান-কন্ট্রোল এখন একটা বিতর্কিত ইস্যুই বটে। এখানে ন্যাশনাল রাইফেল এসোসিয়েশন নামে একটা সংস্থা আছে, এরা গান-রাইটের বড় সমর্থক এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী।
দিফিও,
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এখানে কেউ হাসপাতালের এমারজেন্সী রুমে পৌছালে তাকে কেউ ফেরাতে পারে না।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এত কিছু জানা ছিল না। মার্কিন ঠোলা দেখি আমাদের দেশের মত। তবে এটা সত্য যে আমেরিকাতে আইনের শাসন অনেক মজবুত। তারপরও আমি প্রত্যেক নাগরিকের আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক হওয়া সমর্থন করি না। ধুগোদা জার্মান দেশের বর্ণনা দিয়েছেন। ওটা আমার কাছে অনেক আধুনিক আর মানিবিক মনে হয়েছে।
অনন্ত
অনন্ত,
'মার্কিন ঠোলা' আর 'বাংলাদেশী ঠোলার' মধ্যে একটা বড় তফাৎ হচ্ছে এখানকার ঠোলারা বাংলাদেশের মত এক কেন্দ্রিক শাষনের মধ্যে নেই। ঠোলারা এখানে সবাই স্থানীয় শাষনের অধীনে। শহুরে ঠোলা আর গ্রাম্য ঠোলার মধ্যেও বিভিন্নতা। বাংলাদেশের মত উপর থেকে ফোন করে কেউ কাজ আদায় করতে পারে না এবং চিন্তাও করে না।
জার্মানী দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে যদি এত বড় একটা ধাক্কা না খেত, তবে আজকের মত একটা ভদ্র হত কিনা সে বিশয়ে দ্বিমত আছে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এটা দারুন বলেছেন।
অনন্ত
দারুণ লেখা দিয়েছেন সাইফ ভাই।
সাথে অস্ত্র না থাকলে জেনারেলরা ক্ষমতা দখল করে নেবে, এটা কতটা সত্যি সন্দেহ আছে। বরং মনে হয় এরা সন্দেহ করে, যে মেক্সিকান ড্রাগ ট্রাফিকার আর ইমিগ্রান্টরা এসে দেশ দখল করে নেবে, এক সময় আধুনিক অস্ত্রের সাহায্যে যেটা এরা নিজেরাই করেছিল।
এই যথেচ্ছভাবে বন্দুক বিক্রি নিয়ে বস্টনে একটা অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপের পোস্টার খুব বিখ্যাত-
কৌস্তুভ,
ধন্যবাদ এই আকর্ষনীয় বিল বোর্ডের ছবি শেয়ার করার জন্যে।
ভাল কথা, রাইফেল হাতে আমার যে ছবিটা উপরে দিয়েছি সেটা ১২ বছরের পুরানো। কিছু আমেরিকান বন্দুক-প্রেমিক বন্ধুদের পাল্লায় একটা 'গান-শো'-তে গিয়েছিলাম - সেখানে তোলা।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ঠোলা বেহেশতে গেলেও ঠোলাগিরি করে।
কাকস্য পরিবেদনা
দ্রোহী,
মাসরুফের মত ছেলেরা যখন বেশী সংখ্যায় এই বাহিনীতে যোগ দিতে শুরু করবে তখন হয়তো আস্তে আস্তে বদলাতে থাকবে এদের চেহারা।
সেই দিনের প্রত্যাশায়।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
দ্রোহী,
মাসরুফের মত ছেলেরা যখন বেশী সংখ্যায় এই বাহিনীতে যোগ দিতে শুরু করবে তখন হয়তো আস্তে আস্তে বদলাতে থাকবে এদের চেহারা।
সেই দিনের প্রত্যাশায়।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো
মুরাদ,
ভাল লাগার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
১. সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ জিইয়ে রাখা।
২. যখন তখন আমেরিকার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করা।
৩. সকলের অস্ত্র রাখার অধিকার।
-- এই তিনটাকেই একসূত্রে গাঁথা মনে হচ্ছে। যারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করে তাঁদের মূল ব্যবসা অস্ত্র (বন্দুক, ট্যাংক, যুদ্ধবিমান সবই আছে)। এগুলোর বিক্রি বাট্টা বন্ধ হওয়া চলবে না। অন্য দেশ যুদ্ধ করতে না চাইলে আমেরিকাই খোঁড়া অযুহাত সৃষ্টি করে যুদ্ধে যায় ... ... কারণ ডিফেন্স বাজেটগুলো তখন ঐ কম্পানিগুলোর পেটে ঢুকবে।
অস্ত্রর পক্ষে বাকী যুক্তিগুলোও ঐরকম ব্রেইন ওয়াশ মনে হচ্ছে।
যথারীতি আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম,
তোমার কথাগুলি সহজে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিখ্যাত যুদ্ধজয়ী বীর এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইসেন হাওয়ার এক সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এই 'মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স'-এর বিরুদ্ধে।
অনেকে মনে করে যুদ্ধ ছাড়া আমেরিকার পক্ষে সহজে টিকে থাকা মুশকিল। আমি অবশ্য এখনো চোখ কান খোলা রেখে খোলা মন নিয়ে সব কিছু দেখার আর বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। আপনার বর্ণিত সভ্য দেশটির পুলিশদের অতিরিক্ত এই কর্মতৎপরতার সুযোগ নিয়ে একবার এক তরুণ আত্মহত্যা করেছিলো।
দেনার দায়ে জড়িয়ে পড়া ঐ ছেলেটি ঋণশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা ছাড়া আর পথ খুঁজে পায়নি। অবশেষে এই উপায় কার্যকর করতে সে সাহায্য নেয় একটি খেলনা পিস্তলের। মিথ্যা ছিনতাইকারীর অভিনয় করে দুজন পুলিশের দৃষ্টি সে আকর্ষণ করে- তারপর তার পরিণতি হয় আপনার বর্ণিত ঘটনাগুলোর মতন। পরে "যে পুলিশ অফিসার আমায় হত্যা করেছে, তার জন্যে প্রযোজ্য"-এই শিরোনামের তার রেখে যাওয়া সুইসাইড নোট থেকে ঘটনা পরিষ্কার হয়...
ঘটনাটি বেশ আগের। কোন বিদেশী খবরের কাগজে পড়েছিলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান,
এ রকম ঘটনা আমিও শুনেছি। কি নিদারুণ ঘটনা।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার অলখ আমেরিকা সিরিজ খুব ইন্টারেস্ট নিয়ে পড়া হয়।
প্রফেসর হেনরি গেইটস, স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে থাকে, একজন আফ্রো-আমেরিকান ছিলেন সম্ভবত। ডেইলি স্টারে এঘটনাটা বর্ণবাদের বিশ্লেষণ দিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম মনে হয়।
পুলিশের কথা বলে লাভ নেই।
তবে আমার কাছে একটা ব্যাপার ইন্টারেস্টিং মনে হয়। আমেরিকায় অপেক্ষাকৃত সহজ উপায়ে অস্ত্র কেনা যায় (ইয়োরোপের তুলনায়)। আমার কাছে কোন কোন স্ট্যাটিস্টিকস নেই, কিন্তু যদি দেখা যায় আমেরিকাতে আম-জনতার গুলিতে নিহত হবার ঘটনা কম হয় (পুলিশ বাদ) তবে তো আমেরিকা অপেক্ষাকৃত ভাবে বেশি ‘সভ্য’ বলতে হয়।
যতদূর মনে পড়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত আমেরিকাতে ‘সেমি-অটোমেটিক’ ওয়েপন আম-জনতার জন্য নিষিদ্ধ ছিল (দশ বছরের একটা ব্যান ছিল), এখন কী অবস্থা কে জানে।
@ ধুগো, বাংলাদেশও কিন্তু অস্ত্রের লাইসেন্স যে কোন পাবলিক নিতে পারে। এখনতো জেলা পর্যায়ে ডিসি অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে পারে (একসময় হোম-মিনিস্ট্রি থেকে নিতে হত)। তবে পাওয়া সহজ কিংবা কঠিন সেই বিষয়ে কিছু বললাম না।
'ডিল' নিয়ে একটা লেখা পড়ার ইচ্ছা রইল।
নৈষাদ,
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছো - প্রফেসর হেনরি গেইটস ছিলেন একজন আফ্রো-আমেরিকান। টিশা মিলারও তাই। আমি ইচ্ছা করে সেটা উল্লেখ করিনি - কারণ গায়ের রঙ দিয়ে মানুষকে বিচার করতে ইচ্ছা করে না আমার।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
khub bhaal laaglo, saif, apnar juktipurno kathaguli o apnar moner prasarata---apnar aro lekha porar agrohi roilaam. salute`
নীনা,
অনেক ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্যে।
শুভেচ্ছা রইল।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ঠোলারা দেখি সবখানেই একরকম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
"Power corrupts"
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
সত্যি কথা কী, দেশে থাকতে কখনোই পুলিশ দেখে আত্নারাম খাঁচাছাড়া হয়নি। যা এদেশের পুলিশ দেখলে হয়। তবে এরা বেশ স্মার্ট....দেখতেও অনেকেই ফিল্ম স্টারদের মত! সব পুলিশ না, কেউ কেউ চূড়ান্ত রকমের বর্ণবাদী--এটাই অনেক সময় অঘটনের জন্ম দেয়। এই লেখাটা যথারীতি অনবদ্যই লাগলো। ভালো থাকুন ভাইয়া। শুভেচ্ছা।
আয়নামতি,
মহিলা পুলিশরাও বেশ দেখতে এবং অনেকের ব্যাবহারও বেশ ভাল। আমি একদিন বিকেলে বাড়ী ফেরার পথে স্টপ সাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি এমন সময় রাস্তার বায়ে তাকিয়ে দেখলাম পড়ন্ত বিকেলে গোধুলীর আবীর রঙে অপূর্ব লাগছে পাহাড়ের চুড়া। এমন সময় বা-দিকের রাস্তার সবুজ বাতি জ্বলে উঠতে দেখে, আমি বেশী চিন্তা না করেই লাল বাতির মধ্যে গাড়ী চালিয়ে দিলাম। আমার দু'টো গাড়ীর পিছনেই ছিল এই পুলিসের গাড়ী। তার সাইরেনের শব্দে আমার জ্ঞান ফিরলো। তাড়াতাড়ি গাড়ী রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে পুলিস আমার কাছে আসার আগেই লাইসেন্স ও ইনসিউরেন্সের কাগজ বের করে এগিয়ে দিলাম। মহিলা অফিসার আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন - 'কি হয়েছিল?'
- আমি দুঃখিত, কিন্তু ওই আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ। এমন সৌন্দর্য সব কিছু গোলমাল করে দিয়েছে।
আমার কথা মত অফিসার তাকিয়ে দেখলো তারপর বললো - এমন মাঝে মাঝে হয়।
কোন টিকিট না দিয়েই ছেড়ে দিল আমাকে সেদিন।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
বলেন কি?
কৌস্তুভ,
এ কাহিনী যাকে বলেছি, সেই অবাক হয়েছে। কি জানি হয়তো ঐ মহিলা পুলিস পার্ট টাইম কবি। [অথবা আমার বোকা বোকা চেহারা দেখে মায়া হয়েছিল তার।]
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
তবে এখানে পুলিশের প্রতিক্রিয়া খুবই দ্রুত। কিছুদিন আগে, স্যান্ডিয়া ল্যাবের একটা বিল্ডিং এ একজন বন্ধুকধারী গুলি শুরু করার ৪৫-৫০ সেকেন্ডের মাথায় পুলিশ সেই ভবনে প্রবেশ করে!
সাফি,
এই অফিসে আমি একবার পিজ্জা ডেলিভারী করতে গিয়েছিলাম - এখনো চোখের সামনে ভাসে অফিসের চেহারা।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
বাক্তিগত বন্দুক রাখা তো দুরের কথা . কেউ কি এমন দেশের নাম শুনেছেন যেখানে
ফুল ছেড়ার জন্য জরিমানা ।
ট্রেন এ ঘ্রানযুক্ত খাবার খেলে জরিমানা ।
রাস্তায় সিগারেটে খেলে জরিমানা ।
জাতি নিয়ে আলাপ করা অফিসে নিষেদ ।
এক গ্রাম এর বেশি মাদক পাওয়া গেলে ফাসি ।
এরকম আরো হাজার প্রস্তর যুগের নিয়ম কানুন চালু আছে. তারপর ও দেশ তা পৃথিবীর সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্থ এবং বেশি আয়ের দেশ গুলোর মধ্যে একটা
.
আনন্দম!!
আনন্দ
এটা কি ২০৫০ সালের বাংলাদেশ?
[চিন্তা করতে ক্ষতি কি?]
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
দেশের নাম সিঙ্গাপুর ' পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র দেশ গুলোর মধ্যে একটা . সব কিছু এখানে নিয়ম মত চলতে বাধ্য.
আনন্দ
আনন্দম !!!
আনন্দ,
আনন্দ হবার মত খবর - তালিকা অনেক ছোট হয়েছে দেখে। ৩৫ বছর আগে যেবার প্রথম সিঙ্গাপুরে নামলাম তখন ভয়ে ভয়ে এয়ারপোর্ট পার হয়েছি - কারণ সময়াভাবে ঢাকা থেকে চুল কেটে আসতে পারিনি এবং তখন আইন ছিল লম্বা চুল থাকলে (ছেলেদের) হয় এয়ারপোর্টে বসে আগে চুল কাটো, নয়তো ফেরত প্লেনে উঠে পড়ো।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমার বস সিঙ্গাপুরে লেখাপড়া করেছেন বেশ কিছুদিন। উনি বলেন যে: সিঙ্গাপুর ইজ এ ফাইন সিটি। .... বলাই বাহুল্য, এই ফাইন মানে জরিমানা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
হা হা হা
আচ্ছা, বাংলাদেশেও শুনেছিলাম সিগারেট খাওয়া নিয়ে, অবশিষ্টাংশ ছুঁড়ে ফেলা নিয়ে 'ফাইন' করার আইন হয়েছিলো। এর বর্তমান হাল-হাকিকত নিয়ে কিছু জানেন কি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাল হকিকত হল আপনি এখনো নিশ্চিন্ত মনে সিগারেট খেয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে দিয়ে চলে যেতে পারবেন অবহেলায়। আর আমি ইচ্ছা করলে বড়জোড় গালি দিতে পারব খানিক!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সাইফ ভাই
পুরা দেশ টাই একটা মুরগির ফার্ম , ত্রিশ বছরে আমার মনে হয় আরো ত্রিশ হাজার নতুন নিয়ম হয়েছে . সরকার কিনতু সারাসরি বলে আমরা একটা victorian society .
তবে জন রকম সম্পদ ছাড়াই যে একটা দেশ ধনী হতে পারে , এরা তার উদাহরণ এমনকি বাসার বাথরুম এর জল টাও অন্য দেশ থেকে আমদানি হয়.
আনন্দ
আনন্দম !!!
তারপরেও আমরা এইখানেই থাকি...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
মুহম্মদ জাফর ইকবালের (নাকি হুমায়ুন আহমেদ ) একটা লেখায় পড়েছিলাম, আম্রিকাতে নাকি সেভেন-ইলেভেন এর মত দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে পাওয়া যায়। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স হলেই চলে!
যেই দেশে মুড়ি মুড়কির মতো বন্দুক আর মোড়ের দোকানে তাকভর্তি বুলেট কিনতে পাওয়া যায়, সেই দেশ সভ্য ক্যামনে হয়, এইটা একটা চিন্তার বিষয়।
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আন্তর্জালে পড়া খুব প্রিয় সিরিজগুলোর একটা। পড়ার পর কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়।
_________________________________________
ৎ
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমার অন্যতম প্রিয় একটি সিরিজ হয়ে গেছে এটি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ শাহেনশাহ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনি যে সাধারণের অদেখা অজানা মায়াদেশের এই অন্য দিকগুলি, চিন্তার খোরাক জোগানো দিকগুলি তুলে ধরেন, এইটা খুব ভাল লাগে। ধন্যবাদ লিখবার জন্যে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
দেরিতে মন্তব্য করলাম। আপনার এই সিরিজ চমৎকার, তবে এই পর্বটা আরো ভালো। পড়ে দুশ্চিন্তা হয়।
মূলত পাঠক,
অনেক ধন্যবাদ ভাললাগার জন্যে। "দুশ্চিন্তা" কার জন্যে? নিজের জন্যে, না আমেরিকার জন্যে?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
নতুন মন্তব্য করুন