সব চাইতে হাসি-খুশী মানুষেরও মাঝে মাঝে মন খারাপ হতে পারে। আজকাল, আমি সাধারনত নিজেকে এক জন হাসি-খুশী মানুষ বলে মনে করি। সহজে কোন দুঃখ আর আগের মত মনে আঘাত দিতে পারে না। কাজ থেকে যখন বাড়ী ফিরলাম, তখন প্রায় সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। তবে বাইরে তখনও অনেক আলো। এখানে এখন ৮ টার আগের সূর্য ডুবে না। এই সময়টা সাধারনত আমি আমার সান্ধ্যভ্রমণ করি। গোটা চারেক পার্ক আছে আমার বাড়ীর কাছাকাছি। সেগুলিতে হেটেই যাওয়া যায়। সব চাইতে কাছের পার্কটা পাহাড়ের ঢালে।
আমাদের বাড়ী সমুদ্র-পৃষ্ঠ থেকে ৬,০০০ ফুট উঁচুতে, আর কাছের পাহাড়্ গুলি ১০,০০০ ফুট পর্যন্ত উঠে গেছে। আগে এই সময় আমি সাধারনত পাহাড়ে উঠতাম। কোন একটা বড় শিলাখন্ড খুঁজে নিয়ে তার উপর চড়ে বসতাম আর দূরের দিগন্তের দিকে প্রসারিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম। পাহড়ের উপরে ওঠার ফলে দিগন্ত সীমার ৫০-৬০ মাইল পর্যন্ত পরিস্কার দেখতে পেতাম। এখানে বাতাস খুবই নির্মল ও কলুষতা মুক্ত যার ফলে অনেক দূর পরিস্কার দেখা যায়। এখান থেকে পশ্চিম দিকেই আমার প্রিয় জন্মভূমি। তাকিয়ে থাকি সেদিকে আর মনের জালানায় দেখার চেষ্টা করি হারানো দিনের স্মৃতি। ক্রমে সূর্য এই পশ্চিম দিকে ঢলে পড়তে শুরু করে। গোধুলী বেলার অপূর্ব কনে দেখা আলোয় চারিদিকে এক মায়াবী পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই একান্ত মুহূর্তগুলি এক সময় খুবই উপভোগ করতাম আমি। তবে এখন আমার মেরামত করা ভগ্ন হৃদয় আরও বেশী যত্ন আশা করে ডাক্তারের আদেশে। ফলে আগের মতে লাফিয়ে লাফিয়ে পাহাড়ে উঠা হয় না আর। তাই আজকাল অন্য পার্কগুলিতে যাই।
আমার এখনকার পছন্দের পার্কটি আমাদের বাড়ী থেকে এক মাইল দূরে। সাধারণ গতিতে হেটে যেতে ১৫-২০ মিনিট লাগে। এই পার্কটাও পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এখানে একটা বড় সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত লন আছে। সুন্দর করে কাটা সেখানকার ঘাসগুলি। অনেক বার লোভ লেগেছে পা থেকে জুতা খুলে ঐ সুন্দর নরম ঘাসের গালিচাতে পা ডুবিয়ে হাটি। কিন্তু এখানেও ডাক্তারের অনুশাসন। ডায়াবেটিক রুগীদের খালি পায়ে হাটা বারণ - পাছে কোন এক সামান্য ক্ষত থেকে এমন অবস্থা না সৃষ্টি হয়, যে শেষ পর্যন্ত পা কেটে বাদ দিতে হয়।
কয়েকটি বেঞ্চ পাতা পার্কের এক কোনায়। সাধারনত আমি সেখানে যেয়ে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিই, আবার এক মাইল লম্বা ফেরত যাত্রার আগে। এই দুই মাইল হাঁটতে পারাতে আমার শরীরটা অনেক ঝরঝরে লাগে এবং ব্লাড-সুগার লেভেল সীমানার মধ্যে থাকে। তবে নানা কারণে অনেক সময় এই হাঁটাটা নিয়মিত হয়ে ওঠে না।
আজকে কেন জানিনা, মনটা কোন এক অজানা কারণে খুব একটা ভাল ছিল না। চিন্তা করে বের করতে পারলাম না, এই মন খারাপের কারণ।
না, এটা আমার স্ত্রীর কারণে না। এক সাথে সুখ-দুঃখের মাঝে আমরা দীর্ঘ চার দশক পার করতে চলেছি, ফলে তার হঠাৎ করে মুড পরিবর্তনে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমি।
না, এই মন খারাপটা কর্মস্থলের কোন ঘটনার কারণেও না। জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আসতে আসতে এখন অনেক কিছু সয়ে গেছে। সহজে কারো কথায় বা কাজে আর মন খারাপ করিনা।
আমার মনে হয় - মানুষ যেহেতু একটা বেশ জটিল 'যন্ত্র', তাই অনেক সময় কোন স্পষ্ট কারণ ছাড়াই তাদের মন খারাপ হতে পারে। আজকের মন খারাপ হওয়াটাও হয়তো তেমনি কোন ঘটনা।
পার্কের দিকে হেঁটে চলেছি। পথে আরও অনেকে, যারা হাটছে তাদের সাথে অনেকটা যান্ত্রিক ভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করছি 'হাই' বলে বা একটু ভেচকি হাসি দিয়ে। তাদের অনেকে পোষা কুকুর সাথে নিয়ে হাটছে। কুকুরের গলায় বাধা রশির অপর প্রান্ত মালিকের হাতে। অনেক সময় কুকুর সামনে সামনে যাচ্ছে আর রশি ধরে তার পিছে পিছে যাচ্ছে মালিক। আমি ভাবলাম - এটাকে কি বলা উচিত? মানুষ কুকুর হাঁটাচ্ছে, নাকি কুকুর মানুষ হাঁটাচ্ছে?
তখনো মনের বিষাদময় ভাবটা কাটেনি, তবু হেটে চলেছি পার্কের দিকে। আমি চেষ্টা করলাম কোন বিশেষ কিছু চিন্তা না করে, মনটাকে চিন্তাশুন্য করে রাখতে। অবশেষে প্রবেশ করলাম পার্কে।
সুন্দর একটি পরিবেশ চারিপাশে। পাহাড় থেকে নেমে আসা একটু একটু ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে পার্কের উপর দিয়ে। এক মাইল পথ হাটতে গিয়ে শরীরে একটু একটু ঘামের ভাব এসেছিল - এই শীতল হাওয়ায় ঠান্ডা হল শরীর।
আমার সামনে হঠাৎ দেখলাম এক বাচ্চা খরগোস। এদেরকে এখানে বলা হয় 'জ্যাক-র্যাবিট'। মেয়ে খরগোসকে বলা হয় 'ডো'। আমি সঠিক ভাবে বুঝতে পারলাম না এটা মেয়ে না ছেলে খরগোস। তবে এর ব্যবহারের ধরণ দেখে মনে হলো - এটি একটি বাচ্চা 'ডো'। খুবই সুন্দর দেখতে। পড়ন্ত বিকেলে এটি খাবারের জন্যে বেড়িয়েছে। আমি যেমন হাঁটা থেকে দাঁড়িয়ে পড়লাম তাকে দেখতে, সেও তেমনি তার খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে তার সুন্দর চোখ এবং লম্বা করা কান দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো আমি তার জন্যে কোন ভয়ের কারণ কিনা। আমি অনুমান করলাম, কিছুক্ষণ আমাকে পর্যবেক্ষণ করার পর সে ঠিক করল যে আমি তার কোন ক্ষতি করতে আসিনি। ফলে সে তার খাওয়া আবার শুরু করল। সেখানে এক গোলাপী ফুল গাছের কয়েকটি ফুল মাটিতে পড়ে ছিল। তারই একটি গোলাপী ফুল কুড়িয়ে নিয়ে পাপড়ি ছিড়ে ছিড়ে খেতে লাগলো খরগোসটি। হঠাৎ করে তার সাথে কথা বলার ইচ্ছা হলো আমার।
- এই গোলাপী ফুল গুলি খেতে কেমন লাগে? - আস্তে করে জিজ্ঞাসা করলাম তাকে।
আমার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে, ছোট ছোট কামড়ে ফুলের পাপড়ি খেয়ে চললো খরগোসটি। আর একটু ভাল করে তার খাওয়া দেখার জন্যে আমি আর একটু এগিয়ে গেলাম তার দিকে। তখনই এক লাফে একটু দূরে যেয়ে আবার আমাকে ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করল খরগোসটি - যেন আমাকে আরও ভাল ভাবে বোঝার চেষ্টা করছে।
এ জন্যে অবশ্য আমি তাকে দোষ দিতে পারিনা। মানুষকে চেনা সহজ নয়। খুবই 'আন প্রিডিক্টটেবল' তার স্বভাব। তবুও ভাল লাগলো এই ভেবে যে খরগোসটি আমাকে একেবারে ত্যাগ করে যায়নি। সে শুধু এটুকু নিশ্চিত করছে যে আমাদের মধ্যে যেন একটা নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে। খরগোস ঘন্টায় ৪৫ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে। সে যদি দৌড় দিতে আরম্ভ করতো তবে কোন ক্রমেই আমি তার সাথে তাল রাখতে পারতাম না। আমি বরং একটু দূর থেকেই তাকে পর্যবেক্ষণ করে চলি।
ভাবলাম - আহা যদি আমার ক্যামেরাটা এই মুহূর্তে সাথে থাকতো। এত সুন্দর দেখতে খরগোসটি। তার চোখ দুটি ছিল অনুসন্ধিত্সু, কিন্তু কিছুটা ভীত । তার চোখ গুলি ছিল বড় বড় - পুরানো দিনের ভারতীয় সিনেমার নায়িকাদের মত, চীনা মেয়েদের মত মরিচ-চেরা চোখ না। মনুষ্য জাতির মধ্যে অবশ্য এই সব মরিচ-চেরা চীনা ধরনের মেয়েদেরকে বেশ ভালই লাগে দেখতে - কেমন যেন একটা পুতুল পুতুল ভাব তাদের ঐ চোখে - দেখলেই মনে হয় একটু আদর করি।
তবে একটা বাচ্চা খরগোসের বড় বড় চোখ তাকে দেখতে আরও সুন্দর করে তোলে। মনে হয় সে যেন এই চোখ দিয়ে আমাকে কিছু বলার চেষ্টা করছে। আমার ছেলের সহচার্যে থাকতে থাকতে চোখের ভাষা পড়ার এক বিশেষ গুন এখন আমার আয়ত্বে এসে গেছে। যখন আমি আমার ছেলে সাঈদের চোখের দিকে তাকাই, তখন আধিকাংশ সময় আমি সঠিক ভাবে বুঝতে পারি সে কি বলতে চাচ্ছে। আমার এই ক্ষমতা, তার কথা বলতে না পারার অক্ষমতাটাকে, অনেকটা পুশিয়ে দিয়েছে। একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে আমরা সহজেই ভাব প্রকাশ করি। আমি এই খরগোসের সাথেও তাই করার চেষ্টা করলাম।
হঠাৎ মনে পড়লো, আচ্ছা আমার মোবাইল ফোনেও তো ছবি তোলার ক্যামেরা আছে। সে ছবি হয়তো অতটা পরিস্কার আসবে না, তবু আমি চাইলাম এই সুন্দর খরগোসের একটা ছবি তুলে রাখতে। পকেট থেকে ফোন বের করে, ছবির পর্দায় চোখ রাখলাম। এখানে জুম করার ব্যবস্থা নেই - খরগোসটা একটু বেশী দূরে মনে হলো, পরিস্কার দেখা যাচ্ছে না। আর এক পা এগিয়ে গেলাম তার দিকে। আবার এক লাফে একটু দূরে চলে গেল খরগোসটা। আমি ঠিক করলাম এভাবেই তার ছবিটা তুলতে। বাইরে এখনো বেশ আলো, ফলে ফ্লাশ ছাড়াই ছবিটা উঠলো। খরগোসটা মনে হলো ফটো তোলার জন্যে একটু পোজ দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল। আমার ভাল লাগলো যে সে আমাকে এতটা সময় ধরে সঙ্গ দিচ্ছে।
- আমার নাম সাইফ - নিজের পরিচয় দেবার চেষ্টা করলাম তাকে।
- তুমি কি আমার বন্ধু হবে? - আবার বললাম তাকে।
আমরা তখন পার্কের এক দূরবর্তী কোনে, আমাদের কাছাকাছি অন্য কেউ নেই। ফলে আমাকে খরগোসের সাথে কথা বলতে দেখে কেউ আমাকে পাগল ভাববে না। আমি জানি যে মানুষ যখন তার পোষা কুকুরের সাথে কথা বলে, তখন আধিকাংশ সময় কুকুর বুঝতে পারে তার প্রভুর কথা। তাহলে খরগোস কেন ব্যতিক্রম হবে?
সে তখনো তার খাওয়া বন্ধ করে সেখানে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখছে। অথবা হয়তো তার ডিনার খাওয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আশা করি আমি তার ডিনারে বাধা দিইনি। তার এই সঙ্গ আমার ভাল লাগছিল। তবে সে তখনো আমার থেকে একটু দূরে, যার ফলে তাকে খুব কাছ থেকে দেখা হচ্ছিল না। তাই ভাবলাম তার আর একটু কাছে যাই।
- এবার আর পালিয়ে যেয়ো না, আমাকে সামান্য একটু কাছে আসতে দাও - বললাম তাকে।
কিন্তু আমার অতীত জীবনের অনেক মেয়ের মতই এই খরগোসটাও বুঝে ফেললো যে আমার খুব একটা কাছে আসাটা ভাল হবে না তার জন্যে। এবার এক লম্বা দৌড় দিল সে। তবে আমার খারাপ লাগলো না যে সে আমাকে ছেড়ে গেল। সে যে আমাকে এই কিছুক্ষণের এক সুন্দর ভাললাগা মুহূর্ত উপহার দিল, সেটাই আমি অনেক দিন মনে রেখে আনন্দ পাবো। হঠাৎ করে আমার মন ভাল হতে লাগলো। আমার মন খারাপের ভাবটা চলে গেছে এখন।
নতুন করে অনুভব করলাম - জীবনটা আসলেই কত সুন্দর। ইচ্ছা করলে, কত সামান্যতেই আমরা খুশী হতে পারি।
মন্তব্য
যথারীতি অসাধারণ।
আসলেই...আমরা কত অল্পতেই খুশি হতে পারি, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুখের উপকরণ আমাদের চারিদিকেই ছড়ানো, এই র্যাট রেইসে সেই সময় কই?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল,
আজকের এই অনুধাবনের ক্ষমতা যদি তোমাদের মত বয়েসে থাকতো, তাহলে আমিও সেই 'র্যাট রেসে' যোগ না দিয়ে জীবনটা আর একটু সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারতাম।
ধন্যবাদ তোমার এই মন্তবের জন্যে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
খুব ভাল লাগল সাইফ ভাই ।
একদম সত্যি কথা । খুশী হতে তো আসলে বেশী কিছু লাগে না …শুধু মনের জানালা খুলে দিলেই হ’ল ।
সে যাকগে, আমার তারকা দেয়ার সাধ্য নেই । তাই আপনাকে এক আকাশ রোদ্দুর দিলাম । আপনার মন ভাল থাকুক সব সময় ।
অটঃ আপনার স্ত্রীকে আমার সালাম জানাবেন । আমাদের পরিবারে একটি অটিস্টিক শিশু (এখন আর সে শিশু না) আছে । আমি নিজেও একজন মা এখন । কাজেই, মায়েদের কষ্ট বুঝতে পারি কিছুটা হলেও ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
জোহরা,
তোমাদের পরিবারের অটিস্টিক শিশুর কথা শুনে একটু দুঃখ পেলাম। তার বাবা-মাকে আমার সহমর্মিতার কথা জানিও। সান্তনা দিয়ে আমাকে অনেকে বলেছে 'ইশ্বর তাদেরকেই এই ভার বইতে দেয়, যাদের ভার বইবার শক্তি আছে।' কিন্তু আমি জানি এ সব কথার কোন মানে নেই। সংসারে এক জন প্রতিবন্ধী পুরা সংসারকে প্রতিবন্ধী বানিয়ে দেয়।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আমাকে কেউ যখন জিজ্ঞেস করে আমার প্রিয় লেখক কে, আমি খুব বিরক্ত হই। কারো ৯৯টা লেখা পছন্দ হলে কি ১০০ নম্বরটা অপছন্দ হতে পারবে না? বুঝতেই পারছেন, লেখকের নাম দেখে লেখাটা পড়া আমার অভ্যাসের মধ্যে পড়ে না - ব্যতিক্রম খুব কম কিন্তু আপনি তাদের একজন।
আবারো অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
অপছন্দনীয়,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
অপছন্দনীয়,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
অপছন্দনীয়,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার লেখা পড়ে পড়ে খুব খারাপ একটা অভ্যাস হয়ে গেছে...!!! প্রতিদিন আপনার ব্লগে গিয়ে খুজি নতুন কিছু আছে নাকি অথবা পুরনো কোনোটা বাদ পরলো কিনা???
আহারে!!! সবাই যদি অল্পতে খুশি হত কত সুন্দর একটা দেশ, কত সুন্দর একটা পৃথিবী আমরা পেতাম....!!!
খুব ভালো থাকবেন আর নিজের প্রতি যত্ন নিবেন....!!!
tofayel71@gmail.com
তোফায়েল,
আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে একটা করে লেখা এখানে দিতে। শনি বা রবিবারে লেখাটা শেষ করে একটু রিভাইস করার পর সোম বা মঙ্গলবার প্রকাশ করার চেষ্টা করি।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
লেখা ভালো। বেশ ভালো। মন হালকা করে দেয়।
ধন্যবাদ, কৌস্তুভ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
অ্যালিসের বিস্ময়ভূমিতে অতঃপর সাইফ শহীদ ...
লেখা ভালো লাগসে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনিন্দ্য,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
হুম এই ছেলেটা মারাত্মক সব এক্লাইনার মন্তব্য করে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি বেশ অনেক দিন ধরেই আপনার লেখা পড়ি।কিন্তু কখনও মন্তব্য করা হয় নি।কারণ আমি সচলের সদস্য হইনি তখনও।আপনি এবং আমার আরো কিছু প্রিয় লেখকের লেখা পড়ে উনাদের সাথে একটু কথা বলতে পারবো এই লোভে পড়েই সচলে ঢোকা।খুব ভাল লাগে আপনার লেখা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো আগামী বছর আমার আমেরিকা পড়তে যাওয়ার একটা সূযোগ হতে পারে।দোয়া করবেন আমার জন্য।
জয়িতা,
খুব সুন্দর নামতো তোমার। নিশ্চয় দোয়া করবো তোমার সাফল্য কামনা করে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
যথারীতি অসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ রবিন।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এটাও ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ আরিফ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
প্রিয় সাইফ শহীদ , আপনি জানবেন অনেক অতিথি আছে যারা চুপচাপ আপনার লেখা তিন চারবার করে পড়ে ।। আমি তাদের একজন ।
ফানুস,
এটা কিন্তু বিরাট কমপ্লিমেন্ট হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার অন্য লেখা থেকে একটু আলাদা স্বাদ পেলাম। অনেক ভাল লাগল।
উদ্ধৃতিঃ
"মানুষ কুকুর হাঁটাচ্ছে, নাকি কুকুর মানুষ হাঁটাচ্ছে?"
কামরুল,
শুভেচ্ছে রইল।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
জেনে খুশি হবেন সাইফ ভাই, আমি এখনও র্যাট রেইসে যোগ দেইনাই! চেষ্টা চলছে যতদিন পারি উপভোগ করে নেবার! জীবনতো একটাই!
লেখা ভালো লেগেছে, অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা। সুন্দর!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুষ্ট বালিকা,
শেষ পর্যন্ত কি একেবারে যোগ না দিয়ে পারবে? সামাজিক 'পিয়ার-প্রেসার' (Peer pressure) সামলানো অনেক সময় দুরূহ হয়ে পরে।
শুভেচ্ছা রইল।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
তা জানি ভাইয়া, তবে যতদিন পারি!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমি র্যাট রেসে যোগ দিয়েও দেই নাই... দেখা যাক কয়দিন চালানো যায় এই গা ছাড়া ভাব।
কিন্তু ব্যাপার হল যে কয়দিন আগে অবাক হয়ে দেখলাম যে ৫ দিন পরে নাকি ঈদ, তা দেশে বসেও ভুলে গেছি আমি! কাজের চাপে! তাইলে কী আমি অজান্তেই র্যাট রেসে অংশ নিয়ে ফেলছি পুরোদমে? বেশ চিন্তায় আছি এইটা ভেবে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি এত ভাবতে পারি না। কখন আকাশে মেঘ জমে আর কখন রংধনু ওঠে তা যখন মনের ইজেলে ভেসে ওঠে তখনি ফিরে চাই।
নীতু,
বাহ, খুব সুন্দর কথা তো।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ভাল লেগেছে। সব সময়ই ভাল লাগে, শুধু মন্তব্যটাই করা হয়না। কয়েকদিন পর পর এখানে এলেও খুঁজে খুঁজে আপনার এই সিরিজের লেখাগুলো পড়ে যাই। ভাল থাকবেন।
বইখাতা,
অনেক ধন্যবাদ এই মন্তব্যের জন্যে।
ঢাকাতে কি শীত পড়া আরম্ভ হয়েছে?
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার প্রতিমন্তব্যের মাঝের প্রশ্নটা আমার চোখ এড়িয়ে গেছে। দুঃখিত। ঢাকায় শীত পড়তে শুরু করেছে, তবে খুবই হালকা ভাবে। সারাদিন এখনো কাঠফাটা গরম, তবে রাতের দিকে আর ভোরে একটু একটু ঠান্ডা লাগে। ভাল থাকবেন।
এখানে এখন রাতে ফ্রিজিং-এর নীচে চলে আসে তাপমাত্রা।
কত তফাৎ হয়ে গেছে জীবনটা।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
দারুণ লেখা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ইসলাম,
অনেক ধন্যবাদ।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভীষণ রকমের সহমত। যথারীতি ভাল লাগলো সাইফ ভাই।
স্বাধীন,
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
বাহ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
"জীবনটা আসলেই কত সুন্দর। ইচ্ছা করলে, কত সামান্যতেই আমরা খুশী হতে পারি।"
আসলেই...অনেক সময় খুব সামান্যতেই অনেক খুশী হওয়া যায়।
বরাবরের মতই খুব ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন।
খুব ভালো লেখা।
আপনার এই সিরিজের প্রতিটা পর্ব পড়ি। অনেকসময় মন্তব্য করা হয় না।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
শুভাশীষ,
অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
সাইফ খুব ভাল লাগলো লেখা। আপনার লেখা পড়ে হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেল, আগে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখতাম পড়শি কাঠবিড়ালি আর অতি দুর্লভ বেওয়ারিশ বেড়ালদের, কিন্তু গত তিন বছর যাবৎ নিজের দুটি ছানা নিয়ে এমন বিপর্যস্ত হয়ে আছি যে পাড়া-পড়শির আর খবর নেওয়া হয় না, কাল থেকেই নেব। ধন্যবাদ।
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
খুব ভালো লাগলো। কবির ভাষায় নিজের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে বলি, "যদি পাখিদের ভাষা, শেখাতেন সুলেমান পয়গম্বর......"
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
গত পর্বে করি করি করেও আর মন্তব্য করা হয়নি, এবার এই সিরিজের আদ্যন্ত ভক্ত হিসেবে ভাল লাগাটা আরেকবার জানিয়ে গেলাম।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অদ্রোহ
অনেক ধন্যবাদ এত ভাল লাগার জন্যে।
[ভিন্ন ধরনের চিন্তাঃ 'আদ্যন্ত' মানে তো 'আদি' এবং 'অন্ত'। আমার সব পর্ব শেষ হবার আগে কি 'আদ্যন্ত ভক্ত' শব্দটা ব্যবহার করা সঠিক হবে?]
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
আপনার লেখা আসলে আমি অন্যদের মত যথারীতি ঝাপিয়ে পড়িনা, পড়ে ফেলি না, অপেক্ষা করতে থাকি। পড়ে ফেললেই তো শেষ, এমন আরেকজন ছিল, তীরুদা, ব্যস্ততার কারণে এখন প্রায় একদমই লিখেন না। তাই এবারো আপনার লেখা আসলে পড়ব না পড়ব না করে দূরে সরিয়ে রাখলাম যতক্ষন পারি। কিন্তু দেখা গেল বেশিদিন পারিনি। কিভাবে এত সুন্দর করে লিখেন জানি না।
আমার আগের বাসা ছিল তিনতলায়, কিন্তু দেয়াল বেয়ে একটা কাঠবিড়ালী এসে বারান্দায় চলে আসত খাবারের খোঁজে, আমার স্ত্রীও যেন অপেক্ষা করেই থাকত এই নির্বোধ প্রাণীটার পথপানে চেয়ে। এক পর্যায়ে এমন অবস্থা হল যে, কাঠবিড়ালীটা এসে বারান্দার স্লাইডিং দরজায় নখ দিয়ে আঁচড়িয়ে, টোকা দিয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে লাগল। এক বছর পরে আমরা বাসা পাল্টানোর পরে হয়ত ফিরে এসেছে খাবারের খোঁজে, কিছু না পেয়ে হয়ত ফিরে গেছে।
বাসা পাল্টে আমরা চলে আসলাম একই কমপ্লেক্সের নিচতলায়। এখানে আসার এক সপ্তাহের মাঝেই দেখি আমার স্ত্রী আরেক জোড়া কাঠবিড়ালী জুটিয়ে ফেলেছে, বাসার সামনের গাছেই থাকে। এই বাসা নিচতলায় হওয়ায় বারান্দায় বদলে প্যাটিও যেটা দিয়ে সরাসরি বাইরে চলে যাওয়া যায়। একদিন বিকালে দেখি সেই ২ কাঠবিড়ালীর একটা ২হাত সহ মুখ দরজার কাঁচে লাগিয়ে আমার স্ত্রীকে খুঁজছে। আমার স্ত্রী আবার স্বীকার করতে চায়না, তার এই মায়া মমতা, তাই কারো সামনে এই প্রসঙ্গ উঠলে সে আমাকে কটাক্ষ করে বলে, "এসেছে তোমার পোষা কাঠবিড়ালী, খাবার দিয়ে দিয়ে এদের পোষ মানিয়েছ, যাও এখন খাবার দাও গিয়ে"
আপনার এই লেখাটা তাই খুব ছুঁয়ে গেল, আপনার ঐ কিছু মিনিটের অনভূতিটা যে আমিও মাঝে মাঝে পাই, তাই জানি আপনার কেমন লেগেছিল। ছবি দেবার ইচ্ছা আছে, দেখি ফ্লিকারে নগদ কড়ি দিয়ে একাউন্টটা ঠিকঠাক করতে হবে, নাহলে ছবি আপিয়ে আমার পাই না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ,
প্রথমেই তোমাকে শুভেচ্ছা জানাই এমন স্ত্রী সৌভাগ্যের জন্যে। তোমার কাঠবিড়ালীর গল্প সত্যি গভীর ভাবে আমার মন ছুয়ে গেল।
ফ্লিকারের ফ্রি একাউন্ট ভরে গেলে পিকাসাতে একাউন্ট খোল। ওখানে সম্ভবত আরও বেশী জায়গা পাবে।
তোমার লেখার ধরণ আমার ভাল লাগে।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
এইটা পড়েছিলাম না আগে, কারণ আপনার প্রায় সব লেখাই আমার মন খারাপ করে দেয় ভীষণ রকম, প্রায় সবসময়েই। আর এসময়ে আমি নিজেই এত অস্থির হয়ে ছিলাম বিভিন্ন কারণে, অথচ এখন পড়ে বেশ ভালো লাগল।
একটা কথা বলি সাইফ মামা, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কথা অগ্রাহ্য করতে হয়, জুতো খুলে ঘাসে নেমে পড়ুন সুযোগ পেলেই। একটু দেখে শুনে পা ফেললেই চলবে... এহ্! কথাটা কেমন আয়রনিক হয়ে গেল!
কিন্তু... তেমনভাবে তো অনেক বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে আপনার জীবন নিয়ে, নতুন আর কীই বা এমন হবে? বরং খালি পায়ে সবুজ ঘাসে হাঁটার আনন্দটুকু থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার মানে হয়না। কী আছে জীবনে?
ভালো থাকুন, পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন