ক্লাস থ্রিতে উঠেই হাইস্কুলে ঢুকে গেলাম, কারণ আমার নতুন স্কুলে থ্রি থেকে টেন পর্যন্ত পড়ানো হয়। হাইস্কুল মানেই বড় হয়ে যাওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। আর তা টের ও পেলাম স্কুলের দ্বিতীয় দিনেই, যখন বেশ লম্বা-চওড়া চেহারার তমাল এসে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি ক্যাপ্টেন ইলেকশন এ দাঁড়াচ্ছ?”। জানলাম থ্রিতে নতুন ক্যাপ্টেন নির্বাচন হবে এবং তমাল তাতে দাঁড়াচ্ছে। আমার সাহস ছিলনা, নাকি আগ্রহ ছিলনা ঠিক মনে পড়েনা। তবে তমাল ফার্স্ট ক্যাপ্টেন, সাথে আর কে কে জানি সেকেন্ড-থার্ড ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়।
ক্যাপ্টেনের কাজ ছিল বুর্জোয়া সরকারের গোয়েন্দা আর পেটোয়া বাহিনীর মত। ধরা যাক, ক্লাসের ফাকে মনের সুখে পাশের বন্ধুর সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছি। গতকাল ক্লাস শেষ হওয়ার পর থেকে এই বারো ঘন্টায় কতকিছু ঘটে গেছে, তার খোঁজ-খবর না নিলে কি আর হয়! তারপর স্যার ক্লাসে আসার পর অবাক হয়ে বোর্ডে তাকিয়ে দেখি ব্ল্যাকবোর্ডে ঝকঝকে সাদা চকে জ্বলজ্বল করছে আমার নাম, আমার পাশের বন্ধুর নাম, আরো অনেক প্রলেতারিয়েত বন্ধুর নাম। তারপর ঝটিকা বিচার শেষে দাঁড়িয়ে থাকা, বেতের বাড়ি আরো নানা হেনস্তা কারী শাস্তি। তবে ভুলেও কখনো তমালের বন্ধু ইকবাল বা ফার্স্ট বয় রাজীবের নাম বোর্ডে শোভা পেতনা। আমার নাম লিখতে সহজ, কোন আকার-ওকার দিতে হয়না এই জন্যই কিনা জানিনা মাঝে মাঝেই বোর্ডে উঠত। আর তমাল আর গোটা ক্যাপ্টেন ক্লাসের প্রতি আমার বিদ্বেষ উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকে।
ক্লাস ফাইভে উঠার পর পদাধিকার বলে ক্লাসের ক্যাপ্টেন হয় লোকাল থানার ওসির ছেলে চিন্ময়। আমাদের মনোজগতে পুলিশের একটা ভয়ানক ভাবমূর্তি ছিল, আর সেই ভাবমূর্তিকে মূর্তিমান করে তুলতে চিন্ময়ের ভূমিকা একেবারে কম ছিলনা। প্রায়ই ডাস্টার নিয়ে একেএকে মার, বোর্ড ভরে নাম লিখা, ওর অত্যাচারে পুরা ক্লাসেরই ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। কিন্তু আমার তখন বুর্জোয়া শ্রেণীতে উত্তোরণের পর্যায়, শুরু থেকেই চিন্ময়ের সাথে মোটামুটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠায় আমার নাম আর বোর্ডে তেমন উঠত না। আর উঠলেও মাঝে মাঝে ভালো রেজাল্ট করতাম বলে স্যাররা শাস্তি দিলেও আমার মান-সম্মানের দিকে নজর রেখেই তা দিতেন। চিন্ময়ের সবটাই বাজে ছিল তা কিন্তু না। ও প্রায়ই ক্লাস শেষে অবশিষ্ট চক বাসায় নিয়ে যেত, খোঁজ নিয়ে জানা গেলো ওর বাসার কাজের মেয়েটাকে ও পড়ায়, আর সেই চক তারই জন্য। পরের বছর ওর বাবা বদলী হয়ে যায়, চিন্ময়ের সাথে আর যোগাযোগ নেই সেই থেকে।
ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন নির্বাচন ছিল মোটামুটি গণতান্ত্রিক অথবা গণতান্ত্রিক উত্তরাধিকার। অর্থাৎ যে ক্যাপ্টেন ছিল শুরুতে, সেই ক্যাপ্টেন হত পরের ক্লাস গুলোতেও। তারপর আসে অভিজাত তন্ত্র। অর্থাৎ ক্লাসের ফার্স্ট, সেকেন্ড আর থার্ড বয় বাধ্যতামূলক ভাবে ফার্স্ট, সেকেন্ড আর থার্ড ক্যাপ্টেন। সেকেন্ড বয় ছিলাম আমি, আর ফার্স্ট বয় ছিল অতিশয় সুশীল। তাই, তাকে পাশ কাটিয়ে আমি হয়ে উঠি আমার ক্লাসের সর্বেসর্বা। দ্বায়িত্বে কোনরকম অবহেলা ছিলনা আমার, তাই বোর্ডে আগের মতই নাম উঠতে থাকে অন্যদের, শুধু আমার নাম বোর্ডে উঠার হাত থেকে বেঁচে যায়। তবে আমি সাম্যবাদ চালু করি, আমার বন্ধু বলেই কারো নাম বোর্ডে উঠবে না, সেই স্বজনপ্রীতির কালো অধ্যায়ের অবসান ঘটে। আমার সাথে ছিল অভিষেক, ওর সামান্য স্বজনপ্রীতির দোষ ছিল অবশ্য। তবে আমার নির্বিচারে সবার নাম তুলে দেয়ায় আমাদের মিলিত পারফরম্যান্সে ব্যালেন্স চলে আসে।
তাহলে কি আমার জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায় নেমে গিয়েছিল? উত্তর হচ্ছে, না। কারণ আমার হাতে ছিল টিফিন নামের খুবই কাজের একটা টুল। সরকারী স্কুল, মাসে দশ টাকা দেয়া লাগতো প্রতিদিন দুপুরে টিফিনের জন্য। ওই টিফিন যে আমাদের সবার কাছে কি মহার্ঘ্য ছিল, তা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবেনা। তো প্রতিদিন ক্লাসে কতজন এলো সেটা গুণে টিফিন সাপ্লাইয়ার সুধীর কাকার কাছে জানিয়ে আসাটা ছিল আমার কাজ। আমি মাঝে মাঝেই টিফিনের সংখ্যা একটু বাড়িয়ে বলতাম, আর ঠিকঠাক বললেও সুধীর কাকার গোণায় মাঝে মাঝে ভুলতো হতই। আমার অস্ত্র ছিল ওই বাড়তি টিফিন গুলোই। এখানেও আমি স্বজন প্রীতি করতাম না, যে যেদিন এসে টিফিন চাইতো, তাকে দিয়ে দিতাম। সাধে কি আর বলে, পেটে খেলে পিঠে সয়!
আরেকটা কাজ ছিল বেতন তুলা। বেতনের দিন এক এক করে সবার রোল ডাকা হত, আর সবাই এক, দুই, পাঁচ আর দশ টাকা নিয়ে হাজির হত বেতন নিয়ে। আমার/আমাদের কাজ ছিল সেই খুচরা টাকাগুলো গুণে সাজিয়ে রাখা। এজন্যই কিনা জানিনা, আমার গুণার একটা অভ্যাস চলে এসেছে। যানজটের অস্থির অপেক্ষার সময় আমি এক থেকে শুরু করে অসীম পর্যন্ত গুনতাম। ক্যাপ্টেন্সির সুবাদে আমার চাঁদাবাজ উপাধিও জুটে গিয়েছিল। ফেয়ারওয়েল, ক্লাসের জন্য একটা জগ কেনা, হামিদ ভাইয়ের চিকিৎসা ইত্যাদি নানা কারণে নিয়মিত ই চাঁদা তুলতে হত। আমার স্কুলব্যাগের একটা সাইড পকেটে একবার লিখে রেখেছিলাম ‘ফেয়ারওয়েল’, আরেকটিতে ‘জগ’।
সব গুরুদায়িত্বের সাথে অবিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু নিষ্ঠুরতা ও চলে আসে। আমাদের ক্ষেত্রে ছিল, ক্লাস টিচারের ফরমায়েশ মত বেত বানিয়ে নিয়ে আসা। আমি আর অভিষেক মিলে পুরান বাজার ঘেটে খুব ভালো জাতের জালিবেত নিয়ে আসতাম, তারপর সেটাকে কেটে, রোদে শুকিয়ে স্যারের পছন্দ মত বেত এনে হাজির করতাম। আর সেই বেতে যখন সহপাঠিরা মার খেত, তখন খুব খারাপ লাগলেও দ্বায়িত্ব বলে বিবেকের মুখে স্কচটেপ এটে দিতাম। এতদিন পরে পিছনে তাকালে বেশ গ্লানি হয়।
ক্লাস সেভেনে উঠার পর অবশ্য মানবিকতার কিছুটা উন্মেষ হয় আমাদের মাঝে, আর তাই বোর্ডে নাম লিখার ব্যাপারটা যথাসম্ভব কমিয়ে আনি। তবে তখন শুরু হয় অন্য উৎপাত, পড়া ধরা হত গণহারে। আর যারা পড়া শিখে আসেনি, তাদেরকে শাস্তি কড়ায় গন্ডায় চুকিয়ে দেয়া হত। আর যথারীতি, স্যারের রূম থেকে বেত নিয়ে আসার কাজ টা থাকতো আমার না হয় অভিষেকের। এবার অবশ্য রাজকীয় সাম্য, আমার এনে দেয়া বেতের ভাগ আমারো জুটত, কারণ আমার আশৈশব দর্শন হচ্ছে পড়া হচ্ছে পরীক্ষার আগমুহূর্তের কাজ। প্রতিদিন পড়া শিখে সময় নষ্ট করার কোন মানে খুঁজে পেতাম না।
ক্যাপ্টেন হওয়াতে আর আলগা ভাব না থাকাতে ক্লাসের সবার সাথে মোটামুটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যেমন ভালো ছাত্ররা সাধারণত আগের বার ফেল করে আমাদের সাথে পড়ছে, এমন ছাত্রদের সাথে কথাই বলত না, কিন্তু তাদের সাথে আড্ডা দিতে আমার ভালোই লাগতো। তাতে কারো কাছে অনেক ডাকাবুকো কাহিনী শুনেছি, কারো বা ছিল সৃষ্টিশীল উপায়ে নকল করার অসাধারণ প্রতিভা। ততদিনে স্যারদের কাছে বিচার দেয়ার অভ্যাস অনেকটা কমে এসেছে বলে, সবাই বেশ বিশ্বাস করেই সব কথা বলে দিত। আজ অবাক হয়ে ভাবি, ছেলেগুলোর এত পটেনশিয়াল ছিল, কেউ যদি একটু দরদ নিয়ে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করত, এরা অনেক দূর যেত।
তারপর ক্যাপ্টেন দ্বায়িত্বের মধুচন্দ্রিমা শেষ হয় ক্লাস এইটে উঠার পর। ক্যাপ্টেনের দ্বায়িত্বের নিয়মিত অংশ ছিল স্যারের টেবিল-চেয়ার ন্যাকড়া দিয়ে মুছে পরিস্কার রাখা আরো কীসব জানি। একদিন ক্লাস চলাকালীন হেড স্যার ক্লাসে এসে হাজির, আর তার চোখে পড়ে কিছু বেঞ্চ একটু এলোপাথাড়ি হয়ে আছে। এবার আমাকে চার্জ, আমি কেন বেঞ্চগুলো ঠিক করে রাখিনি। একটু নির্বোধ আর গোয়ার ছিলাম সম্ভবত। তাই মুখে মুখে বেশ তর্ক করে জানিয়ে দিলাম, এটা আমার দ্বায়িত্ব নয়। তবে এর ফল ভুগতে হয় বছর খানেক পরে। আরেকবার সজল নামের আরেক সহপাঠীকে নিয়ে জনৈক বালিকাকে নিয়ে প্রচলিত একটা রটনার উপর ভিত্তি করে, আমি ওকে একটা কার্ড উপহার দেই, যাতে লিখা ছিল ‘ক ও খ এর বিয়েতে উপহার...সজল’। কেন জানিনা, ও আমাদের ক্লাস টিচারের কাছে ওই কার্ড দিয়ে নালিশ জানায়। ওই দিন আমি স্কুলে যাইনি, ভয়ে ভয়ে পরের দিন ক্লাসে গেলে, স্যার আমাকে ধীরে ধীরে বলেন, “যে মজা বুঝে না, তার সাথে মজা করতে যাস কেন?”
তারপর ক্লাস নাইনে উঠার পর পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ পুরো দেশকে উন্মাতাল করে তুলে। মফস্বল জুড়ে বিরাট বিজয় মিছিল প্রবেশ করে আমাদের স্কুলেও, স্কুলের ছেলেরা বের হয়ে যাচ্ছে প্রায়। তাই ব্যাপারটাকে অফিসিয়াল রূপ দেয়ার জন্য আমাকে বলা হয় সবার পক্ষ থেকে স্কুল ছুটির একটা অ্যাপ্লিকেশন লিখে সব ক্লাসের ক্যাপ্টেনের স্বাক্ষর নিয়ে জমা দিতে। আমি অ্যাপ্লিকেশন লিখতে লিখতেই দেখি সবাই হাওয়া। আমিও কাগজটা উড়িয়ে দিয়ে সবার সাথে মিশে গেলাম। পরদিন ক্লাসে এসে, পুরো স্কুলের সবার বিনা ছুটিতে বেরিয়ে যাওয়ার দায়ে পুরো ঝাড়ি খেতে হয় আমার। জয়ের আনন্দের রেশ তখনো যায়নি, আর গুরুদায়িত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঝাড়ি এটা বলে নিজেকে সান্তনা দেই।
একদিন মফস্বল ছেড়ে মহানগরীতে আসা হয়, আর সেই দাপুটে ক্যাপ্টেন ক্লাসে বছরে একদিন কি দুইদিন কথা বলা লাজুক ডিএনএ তে পরিণত হই। পুরো ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে টেবিলে হেলান দিয়ে সবার দিকে নজর রাখতে রাখতে, পরের ক্লাসের স্যারের মারের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রোগ্রাসে পড়া মুখস্ত করতে থাকা আমাকে বড় বেশি মিস করি আজকাল। বয়স হয়ে যাচ্ছে নাকি!
*ডিএনএঃ ঢাকায় নতুন আইছি।
মন্তব্য
সচলের ইস্কুল সিরিজের বাড়বাড়ন্ত হোক। উপাদেয় হচ্ছে।
তুলিরেখা'দির ইস্কুলবেলার গল্প পড়তে পড়তে হঠাৎ কিবোর্ড টেনে একটানে লিখে ফেলা । ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল ভাই,
সাবলীল ও হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা পড়ে খুব ভালো লাগলো!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ রোমেল ভাই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কলেজে আসার আগ পর্যন্ত ক্লাশের কাপ্তানদের সাথে সম্পর্ক কখনোই ভালো ছিলো না আমার। স্কুলে থাকতে প্রায়ই মূসা লাইব্রেরীর কোনায় কাপ্তান সাহেবকে দৌঁড়ানি খেতে হতো। অবশ্য পরের দিনের কাহিনিও সুবিধার হতো না মোটেও। কাপ্তানকে এটেম্পট টু মাইর এর অভিযোগে আবারও রামডলা খেতে হতো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ক্যাপ্টেন হওয়ার আগে আমারো বেশিরভাগ সময় ক্যাপ্টেনদের সাথে ঝামেলা লেগে থাকতো। তবে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর, একবার মার খাওয়ার থ্রেট পেয়েছিলাম। কেন জানি মারটা খাওয়া হয়নি । আপনার জন্য উপযুক্ত শাস্তি হত আপনাকেই ক্যাপ্টেন বানিয়ে দেওয়া।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লেখা সুস্বাদু হইসে
---আশফাক আহমেদ
ধন্যবাদ। সময় নিয়ে রান্না করলাম তো
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দারুন লাগলো....স্কুল দিনের পুরনো স্মৃতিতে ফিরে গেলাম
স্কুলের দিনগুলো আমার জীবনের সেরা সময় ছিল। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ইস্কুলে ভর্তি হয়েছি। প্রথমদিন দাদার হাত ধরে ইস্কুলে গেলাম। ক্লাসে ঢুকে চুপচাপ এক কোনায় বসে পড়লাম। তারপর চোখ বড় বড় করে ক্লাসমেটদের দেখতে লাগলাম।
হারামজাদা জামিল [ক্লাস ক্যাপ্টেন] এসে উচ্চরবে বললো, "এই ছেলে! তুমি মেয়েদের দিকে তাকাও কেন?"
কাকস্য পরিবেদনা
আহারে! ক্যাপ্টেন সমাজের পক্ষ থেকে আপনার নিকট নিঃশর্ত 'দুঃখ প্রকাশ' করছি। আসলেই মেয়েদের দিকে তাকাচ্ছিলেন নাকি?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শ্রাবণকে (সেফটির জন্যে নাম চেঞ্জড) মাইর দেয়ার একটা জটিল ইচ্ছা ছিল ক্লাস থ্রি থেকেই, নিজে ছিল মিতভাষী চিরকালই, আর ঐদিকে আমার নামটাই ব্ল্যাক বোর্ডে উঠত সবার আগে (কথা বলা বন্ধ করার কী আছে রে ভাই! দুই-চারটা গফ-সফ করার জন্যেই না ইশকুলে যাওয়া)! মেয়েদের আলাদা আর ছেলেদের আলাদা ক্যাপ্টেন ছিল। ফার্স্টবয়/গার্লরাই ক্যাপ্টেন্সি পেত, উপর থেকে ক্রমানুসারে। ছেলেদেরকে কখনোই নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে দেখি নাই। অথচ মেয়েরা বড় বেশি নিষ্ঠুর ছিল। শেষে প্রাইমারি লেভেলে একবার সাময়িক (খুবই ক্ষণস্থায়ী আসলে) সাধ হয়েছিল ফার্স্ট/সেকেণ্ড একটা কিছু হয়ে ক্যাপ্টেন্সি জুটিয়ে শোধ তুলব! তবে তা আর হয়ে ওঠেনি। ঐ পরীক্ষার আগে পড়া নীতিতেই পুরো শিক্ষা জীবন বিশ্বস্ত ছিলাম তো!
কিন্তু মাইর খাওয়া, বেঞ্চের উপরে দাঁড়ানো, বা ক্লাসের বাইরে কানধরে দাঁড়ায়ে থাকার জন্যে ক্যাপ্টেনদেরকে লাগেনি আমার, এমনিতেই শিক্ষককূলে কুখ্যাতি ছিল বান্দর হিসেবে! কিন্তু সেইটাই ব্যালান্স হয়ে যেত ঐ শিক্ষকেরাই আমাকে আবার সম পরিমাণ আদর-স্নেহ করতেন বলে!
ভালো প্লাম লেখা!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার সাথে একমত, একটু গফ-সফ করার জন্যই তো স্কুলে আসা। আর তিন-চার ঘন্টা একটানা চুপচাপ বসে থাকা কী ভাবে সম্ভব কে জানে! তাও যে কেন নাম লিখতাম । টিচারদের কাছ থেকে কড়া নির্দেশনা ছিল সম্ভবত।
আমার এক নীরিহ বন্ধুর মুখে বছর খানেক আগে শুনি, ওর ও নাকি আমাকে একবার খুব মারতে ইচ্ছা হয়েছিল, কারণ আর কিছুই না, আমার নালিশের কারণে ওর একদিন মার খেতে হয়েছিল। ক্যাপ্টেনদের কে আসলে ঝুঁকিভাতা দেয়া উচিত, এত রিস্ক নিয়ে কাজ করে বেচারারা
গানটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আচ্ছা, এই গানটা বাজছে অনেক্ষণ ধরে, শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো -
দীপ নেভার আগে - ফুয়াদ ফিচারিং উপল ও মাহের
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেনের জন্য মাঝে মাঝে করুণাই হত। টিফিন পিরিওডে আমরা সবাই যখন দল বেঁধে হল্লায় মত্ত, তখন ও বেচারাকে প্রায়ই ক্লাসওয়ার্কের খাতা নিয়ে টিচারদের কমনরুমে হেঁদিয়ে মরতে হত। একারণে সুবোধ ছেলের তকমা জুটে যাওয়ার পরেও ও পথে পা মাড়াতে আর সাহস হয়নি।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এইতো আপনি ক্যাপ্টেনের কষ্ট বুঝলেন! আমার কখনো স্কুল পালানো হয়নি পর্যন্ত এইজন্য। স্কুলের গল্প বলার সময় লজ্জায় কাউকে এইকথা বলতে পর্যন্ত পারিনা
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সারা স্কুল জীবনটা প্রলেতারিয়েত হয়েই কাটিয়ে দিলাম। তখনকার কয়েকজন বুর্জোয়া ক্যাপ্টেনের সাথে এখনো কথাবার্তা হয়, সেইসব পুরান দিনের কথা বললে অবশ্য এখন বেচারারাই লজ্জা পায়
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমি বুর্জোয়া হলেও জনগণের মাঝে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করেছি । অল্প লজ্জা হয়, তবে নো রিগ্রেটস
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
স্কুলে ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলাম কিছুদিন। কাহিনী প্রায় আপনারই মত। ক্যাপ্টেন থাকাকালে অবশ্য আমি একটু দয়াপরবশ ছিলাম। আর টিফিন আনার ক্ষেত্রে আমি বেশ সৎ ছিলাম, ইচ্ছা করে বেশি বলতাম না। কিন্তু বেঁচে গেলে ঠিকই সবার সমান অধিকার ছিল তার উপরে।
লেখা ভালু পেয়েছি।
পাগল মন
আপনি তো দেখি আদর্শ ক্যাপ্টেন ছিলেন আমি শুরুতে নাম লিখলেও পরের বছর গুলোতে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি, মানুষ কি আর চিরকাল খারাপ থাকে
আর টিফিন বেশি আনা যে সততা নয়, সেই সেন্সই আসেনি তখনো, আর মাঝে মাঝে যা আনা হতো, তা সবার জন্য। রবিন হুড বলতে পারেন আমাকে
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মজা লাগল ভাইয়া। নিজের অতীত ঘুরে এলাম যেন!
আমিও ক্যাপ্টেন ছিলাম প্রাইমারী পর্যন্ত।
আমারো লেখা দরকার!
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
একটু সেন্সর করে লিখ, এখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় সবাই ক্যাপ্টেনদের উপর খেপা, নিরাপত্তার জন্য বললাম
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লিখা ভালো না লেগে যাবে কই?
আর আমিও কিন্তু স্কুল-ক্যাপ্টেন ছিলাম। বিরাট নীতিবাগীশ ক্যাপ্টেন।:)
ও হ্যাঁ, অভিনন্দন সজলদা। (কিসের জন্য, আন্দাজ করেন)
সাত্যকি
ধন্যবাদ সাত্যকি। নীতিবাগীশতার ব্যারাম আমারো কিছু আছে, তবে এই অভ্যাস আশেপাশের মানুষের জন্য বেশ যন্ত্রণাদায়ক বলেই আমার অভিজ্ঞতা বলে।
তোমার ও আশু হাচলত্ব (এবং সচলত্ব) জুটুক এই শুভকামনা রইল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনার লেখা পড়ে আমি আমার স্কুল-কলেজ জীবনে ফিরে গেলাম...দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত একটানা ক্যপ্টেন ছিলাম। প্রথম দিকে ভালো ছাত্র হওয়ার সুবাদে ক্যপ্টেন হলেও পরের দিকে গিয়ে শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার কারণেই আমি ক্লাশ ক্যপ্টেন হতাম। কোন ক্লাসে আমি থাকলে সেখানে আমি ক্যাপ্টেন হব এটা ছিল নির্ধারিত। কিন্তু এই ক্যাপ্টেন্সির জন্য আমি হারিয়েছি আমার কিছু বন্ধুকে যাদেরকে আমি আজও বোঝাতে পারিনি যে দায়িত্বের বাইরেও আরেকটা আমি ছিলাম...
প্রায় পাঁচ বছর ধরে ক্যাপ্টেন ছিলাম, দ্বায়িত্ব অনেক উপভোগ করেছি। আমার অবশ্য কোন বন্ধুকে হারাতে হয়নি, বরং ক্যাপ্টেন হওয়ার সুবাদে পপুলারিটি ই জুটেছিল। আপনার বন্ধুরা একদিন বুঝতে পারবে এই শুভকামনা রইল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ক্লাস সিক্সে এক দুর্নীতিপরায়ণ ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলো আমাদের। বিনা দোষে মাইর খাইলাম একদিন...
অতএব, নিজেকেই বাকি স্কুলজীবনের জন্যে ক্লাসক্যাপ্টেন করে ফেললাম। আমি বেশ অলস এবং জনপ্রিয় ছিলাম...
_________________________________________
সেরিওজা
হে হে, কঠিন স্ট্র্যাটেজি। বিনাদোষে আমিও বেশ কয়বার মার খেয়েছি, বেশিরভাগ সময় টিচারের মেজাজ খারাপ থাকার কারণে সম্ভবত। আমি অলস না হলেও জনপ্রিয়তা ভালই ছিল
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ক্লাশ ফোরে থাকতে একবার দলবল নিয়ে ক্যাপ্টেনকে পিটিয়েছিলাম, ছুটির পরে ফাঁকা ক্লাশরুমে একা পেয়ে... মুহুহুহুহু। পরের দুই বছর সে আর বিরক্ত করে নাই।
লেখা দুর্দান্ত হইছে ভাই! ক্যাপ্টেন হিসেবে আপনার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া গ্যালো।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ডরাইছি। আমার অবশ্য নিজের দলবল অনেক বড় ছিল, ওইরকম বেকায়দায় মার খাওয়ার সম্ভাবনাই ছিলনা
অপরাধ ক্ষমা করার জন্য এবং পড়ার জন্য ধন্যবাদ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সেটাই!
অর্ধসচলত্বের অভিনন্দন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমাদের জীবন কৃষ্ণ মজুমদার স্যার মাঝে মাঝে ক্যাপটেনদেরও কিছু তোহফা দিতেন। বলতেন, সবাইরে কিছু না কিছু দেই, তোরে না দিলে তো তুই বঞ্চিত থাকিস। এই বলেই ধোলাই।
জীবনে একদিনই ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম এবং সেদিনই জীবন স্যারের তোহফা পেয়েছিলাম।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হা হা। না, এইরকম গ্রেটিস আমার জুটে নাই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল বাবু আমি স্বজনপ্রীতি করতাম বলে যে অভিযোগ তুমি করেছ; তা ঠিকনা। তবে অনেক বন্ধুবৎসল ছিলাম এইটা বলতে পার। যাই হোক স্কুলের কথাটা খুব মনে পড়তেছে এখন।
আরে ব্যাটা, বয়েজ স্কুলে 'প্রীতি' দেখানোর জন্য 'বন্ধু' ছাড়া আর 'স্বজন' পাবি কোথায় তুই! তবে আমি কিন্তু ঘুরিয়ে হলেও তোর প্রশংসাই করলাম, বুঝলি না? স্কুল লাইফ নিয়ে একটা রিভিউ সেশন দরকার, অনেক কিছু ভুলে গেছি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
স্কুল পরিবর্তন করে নতুন স্কুলে এসেছি কেজি২ তে। সেখানে দেখি প্রকাশ্য বিরোধ। একদিকে কাপ্তানের বাহিনী, যে কিনা ছিল ফার্ষ্ট বয় আর একদিকে ছিল বিদ্রোহী বাহিনী, লিডার ছিল এক ম্যাডামের পুত্র॥ প্রথম দিনেই টিফিন পিরিয়ডে দেখি কাপ্তানের বাহিনী একা পেয়ে অপর বাহিনীর একজন কে নাজেহাল করল।
পরের দিন সেই ভয়ংকর প্রশ্ন: "তুমি কার দলে?"।
লেখাটা বেশ লাগল। অনেক কথা মনে পড়ছে।
বাহ! পিচ্চি বসেরা দেখি আগে আগেই মূল রাজনীতির লাইনে চলে গিয়েছিল। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি তো সারাজীবনই লাস্ট বেঞ্চি
লেখা দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি ভার্সিটিতে এসে লাস্ট বেঞ্চি হয়ে গেছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হাচলত্বের অভিনন্দন!
লেখায়
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পুরোনো কথা মনে পড়ে গেল। আমিও ক্যাপ্টেন ছিলাম বেশ ক'বছর। এবং বেশ জনপ্রিয় ছিলাম। কারণ আমার শাসনামলে প্রলিতিয়েতরা খুব একটা শাস্তির মুখে পরেনি। আর আমি সবসময়ই ছিলাম ব্যাক বেঞ্চার। তাই সমাজের সবস্তরের সাথে বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। আমার আগে কাপ্তান ছিল এক বুর্জোয়া। সবাই তার শাসনে বিরক্ত। তাই একদিন নির্বাচনে দাঁড়ালাম। প্রায় সব ছাত্রের ভোটে ভুমিধস বিজয় হয় আমার। সেদিন সবাই আনন্দ মিছিল করে। (ওই রকম আরকি!!) তবে কথা হল গিয়ে ক্লাসের সব মেয়েরা ওই বুর্জোয়াকে ভোট দেয়। তাই এখন ভাবি একবার বুর্জোয়া হব কিনা!!!!
অনন্ত
দুঃখ নিয়েন না, বিপ্লবীদের জন্য ঘর-সংসার এইগুলা না। আপনার অবস্থা দেখা যায় ক্যাপ্টেন বাই, ফর এন্ড অফ দ্য পিপল
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তা অবশ্য ঠিক বলেছিস। তবে ক্যাপ্টেন হিসাবে তুই কিছু ক্যাপ্টনস্ নক ইনিংসও খেলেছিস, যেমন স্কুললাইফের শেষ ক্লাশে সুধাংসু স্যারের হাতে সবার সাথে মাইর খাওয়া !!! এই জন্য তোরে বাহ্বা না দিয়ে পারি না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অসাধারণ!!
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নতুন মন্তব্য করুন