ওয়ান মিসিসিপি, টু মিসিসিপি

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০১/২০১১ - ৪:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা সময় ছিল, দুনিয়ার সব কিছু নিউটনের কথা মেনে চলতো, গাছের আপেল থেকে শুরু করে দূরের গ্যালাক্সি পর্যন্ত। তারপর মানুষের চোখ শকুনের চেয়েও প্রখর হয়ে এলো, তার অশ্লীল নজর সবার একেবারে ভিতরে আনাগোনা করতে থাকলো। আর তখন দেখা গেলো, কিছু খুদে শয়তান আর নিউটনের কথা মানছে না, তারা ম্যাক্স প্ল্যাংক নামে নতুন এক পীরের মুরিদ হয়ে খেয়াল খুশী মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনাক্রমে এই পীরের বয়ানের সাথে আমার পরিচয় হয় গত সেমিস্টারে।

অনেক শখ করে একটা কোর্স নিয়েছিলাম ফিজিক্যালি বেসড মডেলিং, আর তার ফাইনাল প্রজেক্ট হিসেবে প্রোটিনের কেচ্ছাকাহিনী সবার সামনে তুলে ধরার গুরু দ্বায়িত্ব। আর এই করতে গিয়ে বুঝার চেষ্টা করলাম এই খুদে ওস্তাদদের কাণ্ডকীর্তি, তাদের ভালোবাসার রসায়ন, আর কিসের টানে এরা একজনের দিকে হাত বাড়ায় তো আরেকজনের দিকে ফিরেও তাকায় না। এইসব ভাব-ভালোবাসা বুঝে উঠতে গিয়েই দেখি সেমিস্টার প্রায় শেষ। কোনরকমে একটা স্থিরচিত্র তৈরী হয়, কিন্তু স্থিরচিত্র প্রদর্শনীতে আর কতই বা দর্শক হয় (পড়তে হবে মার্কস পাওয়া যায়)! তাই এবার শুরু হয় অ্যাকশন দৃশ্যায়নের কাজ। সময় কম, তাই অ্যাটমগুলো কিসের টানে পায় যে কাছে থাকার মানে আর কেনই বা কেঁপে কেঁপে উঠে গোপন উল্লাসে (ভালো মন নিয়ে পড়তে হবে কেন কিভাবে কাছে থেকে স্পন্দিত হয়) সেটুকু দৃশ্যায়ন করি। তারপর অ্যানিমেশন চালিয়ে দেখি অ্যাটমগুলো কাঁপতে কাঁপতে মনিটর ফুঁড়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই সিমুলেশন প্যারামিটারে ত্রয়োদশ-চতুর্দশ-... সংশোধনী চালিয়ে যখন একটা মোটামুটি অবস্থায় নিয়ে আসি, তখন দেখা যায় মনিটরের দিকে মিনিট দুয়েক তাকিয়ে থেকেও কোন অ্যাটমের নড়াচড়ার কোন লক্ষণ দেখতে পাইনা। আবারো সংশোধনী চলে কয়েকবার। এই করে করে একেবারে শেষ মূহুর্তে প্রজেক্ট সাবমিশন হয়। তারপর বুঝি বাসায় ফিরে ঘুম? উহু, তা হবার কোন উপায় নেই, ঘুমিয়ে গেলে রিপোর্ট লিখবে কে! তো স্টারবাকসের কফি ইঞ্জিনে ঢেলে আরো ঘন্টা পাঁচেক চালিয়ে নেই।

কাজিনের কাছে মিসিসিপি যাওয়ার কথা ছিল আগে থেকেই। কিন্তু প্রোটিনে প্যাঁচ খেয়ে আমার দিনরাত কেটে যাচ্ছিল বলে টিকেট বুকিং করা হয়নি। যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়ে যাত্রা শুরুর দুইদিন আগে টিকেট কিনে ফেলি, মোটামুটি সস্তায়ই। সকালে উঠতে দেরী হয়ে গেলো। তারপর তল্পিতল্পা গুছিয়ে বের হতে গিয়ে দেখি পাব্লিক বাস যখন ছাড়বে তার সাথে জার্নির সময় যোগ করলে প্লেন ছাড়ার চল্লিশ মিনিট আগে এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যাবে, যদি মাঝখানের শাটল পেতে একটুও দেরী না হয়। রেগুলার ঈশ্বর নাই থাকতে পারে, কিন্তু কুঁড়েদের ঈশ্বর অবশ্যই আছেন। প্রমাণঃ আমি ঠিক চল্লিশ মিনিট আগেই পৌঁছে গেলাম এয়ারপোর্টে। তারপর প্লেনে বসে ডকিন্সের একটা বই পড়ার চেষ্টা করলাম। বুঝলামনা পাঠকের মৃত্যু হলো কিনা, কিন্তু আমি সাকুল্যে দশ পৃষ্ঠার বেশি এগোতে পারলাম না। কবে জানি মনোযোগের বারোটা বেজে গেছে, তা নিয়ে দুঃখ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

জেগে দেখি মিসিসিপি নদীর উপরের বিশাল ব্রিজের উপর দিয়ে প্লেন চক্কর দিচ্ছে। আমি সমঝদারের মত তারিফ করি, “ভালোই তো বানাইছে নদীটা”। তারপর কাজিনের গাড়িতে করে ম্যাডিসনের দিকে যেতে যেতে দেখি অনেকটা জায়গা নিয়ে ম্যানগ্রোভ বন। নিশ্চিত সুন্দরবন ভোটে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে রাতারাতি একটা ম্যানগ্রোভ বন বানিয়ে ফেলেছে ব্যাটারা। মার্কিনীদের পরশ্রীকাতরতায় রীতিমত আহত হই। তারপরও কাজিনের বারবার পীড়াপীড়িতে একে প্রায় ম্যানগ্রোভ বলে স্বীকৃতি দিয়ে দেই।

আমি স্বাভাবিক থেকেও দেখেছি, অনেক গম্ভীর হয়েও দেখেছি পিচ্চিরা আমাকে কখনোই তেমন একটা সমীহ করেনা। এখানেও ব্যাতিক্রম হলোনা। কাজিনের পিচ্চি দুইটা আমাকে তাদের সমবয়সী মনে করে একজন খেলার সাথী জুটলো মনে করে বেশ খুশিই হলো। একদিন ম্যানুয়েল দেখে দেখে হাত পা জোড়া লাগিয়ে একটা আয়রনম্যান বানিয়ে দিলাম, তখন ভাতিজার উচ্ছসিত প্রশংসা “আংকেল, ইউ আর সো জিনিয়াস!” শুনে অল্পের জন্য কনভিন্সড হয়ে গিয়েছিলাম। এদের সাথে সময় ভালো কাটলেও একটা ডিসিশন নিয়ে নিলাম। যদি কোনদিন বিয়ে করেই ফেলি আর বাচ্চাকাচ্চার বাপ হয়েও যাই, ওইগুলাকে বড় করার দ্বায়িত্ব আমি নিতে পারব না। কবি কি আর সাধে বলে গেছেন, “ভালো জিনিস অল্প বলেই ভালো”।

প্রায় প্রতিরাতে প্রতিবেশীদের বাসায় দাওয়াত খেতে খেতে আর বেশিরভাগ সময় বাসায় বসে থাকতে থাকতে যখন বিরক্তির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেলাম, তখন একদিন কাজিন ভিকসবার্গ বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিল। ভিক্সবার্গ বেশকিছু কারণে বিখ্যাত আর কুখ্যাত। এখানে অ্যামেরিকার গৃহযুদ্ধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সংগঠিত হয়, আবার এই শহরে একদা কালোরা ভয়াবহ নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছিলো। একটা খালের মত দেখতে নদীর উপর জোড়া ব্রিজ, প্রায় বিকাল হয়ে আসছিল, সব মিলিয়ে বেশ ছবি তোলার মত সেট আপ। নিজের দুইটা ছবিও তুলা হলো। বাসায় যাওয়ার পর পিচ্চিরা আমার ফোন নিয়ে খেলে, তাই ছবি দেখে যেন ভয় না পায়, তাই ছবি দুইটা ডিলিটও করে ফেলি একসময়। নীচে তাকিয়ে দেখি ব্রিজের গোড়ার দিকে বেশ কয়টা কামান সাজানো, হবে হয়তো গৃহযুদ্ধের সময়কার।

ডানদিকে নদীর তীর ঘেষে বেশ জমকালো ক্যাসিনো। একটা অদ্ভূত ব্যাপার জানলাম, সব জায়গায় ক্যাসিনো থাকতে পারেনা। হয় পানির মাঝে বানাতে হবে নাহয় রেড ইন্ডিয়ানদের রিজার্ভেশনে বানাতে হবে। পানির মাঝে বানানোর ব্যাপারতা বুঝলাম, গঙ্গায় যে সব পাপক্ষয় হয় সেটা ইংরেজদের মাধ্যমে অ্যামেরিকানরা জেনে যেতেই পারে, কিন্তু রেড ইন্ডিয়ানদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে ক্যাসিনো বানানোর কারণ মাথায় আর ঢুকলই না।

তীর্থস্থানে গিয়ে প্রার্থনা না করলে পাপ হয় কিনা জানিনা, তবে ক্যাসিনোর পাশে গিয়ে ক্যাসিনোতে না ঢুকা যে একটা বড়সড়ো অপরাধ সেটা আমার সিকি শতাব্দীর অভিজ্ঞতায় আমি ভালোই জানি। কিন্তু ঢুকতে গিয়ে দেখি মহা ঝামেলা। আমার ইউনিভার্সিটির আইডি দিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর কতকিছু যে করে ফেলা যায়, কিন্তু বার্থডে প্রিন্ট করা নেই বলে ক্যাম্পাসের বাইরে বের হলে এটা কোন কাজেই লাগে না। পাসপোর্ট দেখালাম, তাও ঢুকতে দেবেনা, শেষে তাদের বসকে ডেকে আনল। বস পাসপোর্ট আর ওয়ান কার্ড পাশাপাশি মিলিয়ে দেখে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিলো। ভাবলাম ক্যাসিনোর হয়তো এই কায়দা, পোকারের মত কার্ডের কম্বিনেশনের আলাদা পাওয়ার থাকে নিশ্চয়।

আমি জন্ম থেকে ভালো ছেলে। দেশে থাকতে যাই করিনা কেন এখানে এসে ফ্রি পেয়েও আঙ্গুর, আঁখ ইত্যাদি পুষ্টিকর ফলের রস খাইনি। মেয়েদের সাথে তমিজের সাথে কথা বলি। এহেন আমিতো আর জুয়া খেলতে পারিনা; নেহাত ভেতরে কী হয় জানার জন্য ক্যাসিনোতে ঢুকে পড়েছি। কাজিন আর তার বন্ধু দুইটা মেশিনে বসে “স্পিন” লেখা বাটনে নিয়মিত বিরতিতে তসবিহ জপার মত করে প্রেস করে যায়। আমি আশপাশটা দেখার চেষ্টা করি। সিনেমায় তো কত দেখি ওয়েট্রেসরা পোষাকের বাহুল্য কোন রকমে বরদাশত করে রঙ্গিন পানীয় এখানে ওখানে সার্ভ করে বেড়ায়, কিন্তু এখানে আমাকে পুরোপুরি হতাশ হতে হল। ওয়েট্রেস কয়েকজন থাকলেও তাদের পোষাকের বহর দেখে আমি রীতিমত বিরক্ত হই। এইজন্যই কথায় বলে “হোয়াট হ্যাপেনস ইন ভেগাস, স্টেইস ইন ভেগাস”, কোথাও তো ভিকসবার্গের কথা বলেনা। কিছু ঘটলে, তবেই না বলবে! বিরক্ত হয়ে এককোণায় রাখায় মেশিন থেকে কোক ঢেলে খাই।

কোক খেয়ে আর কতক্ষণ থাকা যায়, তাই এবার জুয়া খেলাটা আসলেই কত খারাপ সেটা একবার হাতেকলমে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেই। একটা মেশিনের সামনে বসে পাঁচ ডলার চালান করে দেই(কিপটা বলে গালি দিলে খেলবোনা)। তারপর আমিও শুরু করি তসবিহ জপা। একবারে স্পিন করি, বিশ সেন্টের বেশি বাজি রাখার সাহস পাইনা। কিন্তু কিভাবে জানি কী হতে থাকে, আমার পয়েন্ট খালি বাড়তেই থাকে। তখন বুঝি জুয়ার মত একটা ভালো জিনিসের বিরুদ্ধে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার কতটা সুদূরপ্রসারী। বাটন চাপতে চাপতে দেখি হঠাৎ করে এক শিম্পাঞ্জি বিষম ক্রোধে পুরা স্ক্রিন জুড়ে তার বুক চাপড়াচ্ছে আর মনিটরের নিচের প্রান্তে ক্রমাগত ঘুষি দিয়ে যাচ্ছে। স্ক্রিনের ভেতর কিছু একটা ৯০ ডিগ্রীতে ঘুরে গেলো, আবারো স্পিন করলাম, দেখি জঙ্গল থেকে বাঘের জ্বলজ্বলে চোখ দেখা যাচ্ছে, সেও ভীষণ রেগে আছে। কিন্তু এদের রেগে যাওয়াটা শুভ লক্ষণ, কারণ আমার ব্যালেন্স তখন ৫ ডলার থেকে বেড়ে সতেরোতে পৌঁছেছে। এরকম আরো বার কতক হয়, ব্যালেন্স বাড়তে বাড়তে ৩৭ এ পৌঁছায়। আমি জানি কখন থামতে হয়, তাই ৩৭ ডলারের রিসিট নিয়ে ওই মেশিন ছেড়ে উঠে পড়ি। তারপর শয়তানের প্ররোচনায় বসি গিয়ে অন্য ধরনের মেশিনে। নগদ টাকা সাথে নেই, তাই এই রিসিট ঢুকিয়েই খেলতে থাকি। তারপর দ্রুত টাকা হারাতে থাকলে জিদ চেপে যায়। পুরো ৩৭ ডলার যখন মেশিন খেয়ে নেয়, তখন গীতার শ্লোক মাথায় বেজে উঠে, “তুমি কী নিয়ে এসেছ, যা তুমি হারিয়েছ?”। মিনমিন করে উত্তর দেই, “পাঁচ ডলার”।

তারপর কয়েকদিন এখানে সেখানে ঘুরে কেটে যায়। থার্টিফার্স্টে চ্যাপেল হিলে ফিরে দশদিন ধরে ঘোড়ার ডিমে তা দিলাম। আজকে একটা নতুন সেমিস্টার শুরু হলো, দেখি একেবারে ফাটিয়ে দিতে হবে সবকিছু।


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

একদম ঝরঝরে লেখা। পড়ে আরাম পেলুম।
এমন আরো চাই। চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার লেখা চোখে পড়েনা অনেকদিন হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রু (অতিথি)  এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ রু হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

খুব ভাল লাগল পড়তে। মুচমুচে, ঝরঝরে লেখা হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হে হে হে
বেশ আরাম লাগলো পড়তে।

ছোটবেলায় প্রথম ক্যাসিনোতে ঢুকছিলাম। গিয়া তাব্দা খেয়ে, আপনার মতো আশানুরূপ পরিচ্ছদের সাকী দেখতে না পেয়ে অবশেষে আলো আর পানির খেলা দেখে বের হয়ে এসেছিলাম।

আর সেদিন, কয়েকজন বন্ধুর সাথে গেলাম ডার্ট খেলতে। এটা একটা মিনি ক্যাসিনো। আগে যখন ধূমপায়ী ছিলাম, প্রায়ই ঢুঁ মারা হতো বিড়ি কেনার জন্য। এখন আর যাওয়া হয় না। তো এর ভেতরেই অইসব মেশিন টেশিন আছে। সেদিন যখন গেলাম, খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিলাম কেমনে কী, এইসব জিনিসের! এক লোক দেখি পুরা তিনটা মেশিন নিয়ে টিপেই যাচ্ছে তো টিপেই যাচ্ছে। কী যে টিপে আল্লায় জানে, আমি জানি না। তো আমি সাথের পাবলিকগুলারে জিগাইলাম, এ্যা ভাই, তোরা কিছু বুঝস- এইটা ক্যামনে টিপে? কয় হ। তারপর কী কী জানি কৈলো। আমি সব কোকের বোতলে গুলায়ে খাইয়া হজম করে ফেলছি।

তারপর আর কী! তিন সিরিজ ডার্ট খেইলা তারপর বাড়িত আয়া পড়ছি। ক্রিসমাসের ঠিক আগে আগের ঘটনা এইটা।

সজল এর ছবি

আপনি ছোটবেলা থেকেই এই পাপের পথে! চোখ টিপি তবে আমি আরেকটু বড় হয়ে নেই, ক্যাসিনোতে গেম খেলতে যাব আবার।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রাজ এর ছবি

ভালো লাগলো .. সুন্দর উপমার সঠিক ব্যবহার অনেকগুলা জায়গায়..ধন্যবাদ.. হাততালি

সজল এর ছবি

উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

বইখাতা এর ছবি

মজা করে লিখেছেন। পড়তে ভাল লাগলো। হাসি

সজল এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার গল্পগুলো নিয়মিত পড়ি, অনেক ভালো লাগে হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কৌস্তুভ এর ছবি

আহা, বেচারা।

বাচ্চাকাচ্চাদের বড় করা নিয়ে চিন্তা নেই। ওই কথাখান হবু শ্বশুরবাড়িতে পৌছে দিলে এমনিতেই কোন মেয়ে আর বিয়ে করতে রাজি হবে না, তবে না সন্তানাদির প্রশ্ন?

সজল এর ছবি

ছোটবেলায় টেক্সটবুক কিনতে গেলে একটা নোটবই ধরিয়ে দিত কিছু দোকানী, না নিতে চাইলে টেক্সটবুকই বিক্রি করতোনা। হায়, সেই জুলুম কি সারাজীবনই সয়ে যেতে হবে!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তানভীর এর ছবি

লেখা ভাল্লাগলো হাসি

সব জায়গায় ক্যাসিনো থাকতে পারেনা। হয় পানির মাঝে বানাতে হবে নাহয় রেড ইন্ডিয়ানদের রিজার্ভেশনে বানাতে হবে।

কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। একমাত্র নেভাডা ছাড়া বাকি সব স্টেটে ক্যাসিনো অবৈধ বা খুব সীমিত এলাকার মধ্যে চালু করার অনুমতি রয়েছে। লাসভেগাস বা নেভাডাতে ক্যাসিনোগুলো মোটেও পানির মাঝে নয়। অন্য যেসব স্টেটে ক্যাসিনো রয়েছে তার কিছু পানির মাঝে এবং বাকিগুলো স্টেট নির্ধারিত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ (ক্যাসিনো এবং গ্যাম্বলিং একসময় বেশ জনপ্রিয় আয়ের উতস হলেও পরবর্তীতে এন্টি-গ্যাম্বলিং কার্যক্রম এগুলোকে পানির মাঝে এবং সীমাবদ্ধ এলাকার দিকে ঠেলে দেয়)। ইন্ডিয়ান রিজার্ভেশনে একমাত্র ইন্ডিয়ানরাই (বা ইন্ডিয়ানরা যাকে অনুমতি দেয় সে, ঠিক নিশ্চিত না) ক্যাসিনো বানাতে পারে, কারণ মার্কিন ফেডারেল আইন অনুযায়ী সার্বভৌম জাতি হিসেবে গণ্য হওয়ায় স্টেটের আইন-কানুন তাদের ওপর প্রযোজ্য হয় না।

সজল এর ছবি

দেখা যাচ্ছে আমাকে যা জানানো হয়েছে, তা হচ্ছে বাস্তবতার একটা অ্যাপ্রক্সিমেশন। নেক্সট টাইম ক্যাসিনোতে যাওয়ার আগে আরো ভালোমত জেনে যাব চোখ টিপি

পড়ার জন্য এবং সঠিক তথ্য জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার সজলদা।
পুরো লিখা তো অবশ্যই ভালো, কিছু কিছু জায়গা এমন যে দ্বিতীয়বার ফিরে এসে পড়েছি। এবং হেসেছি।
অবশ্য লিখার শুরুতে বয়সের রেস্ট্রিকশান দেয়া উচিত ছিল, তাহলেই আর ভুল করে পড়ে ফেলতাম না দেঁতো হাসি

সাত্যকি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ সাত্যকি। পড়েই যখন ফেলেছ, আর কি! এবার বড় হয়ে যাও চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাসনীম এর ছবি

দারুণ লাগলো, ঝরঝরে।

ভেগাসের ক্যাসিনো আপনাকে হতাশ করবে না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। ভেগাসের জন্য দোয়া করবেন চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভালো লাগলো পড়তে। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সজল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

guest_writerকৃত্যদাস এর ছবি

ফ্যান হয়ে যাব নাকি ভাবছি। আপনি সিরিয়াস কোনো বিষয় নিয়ে লেখেন না কেন? আপনার কৌতূকবোধ খুব ভালো। প্রহসন লিখতে পারেন তো। আরও ভালো লাগতো।

সজল এর ছবি

ফ্যান হবেন? ঠিক আছে হয়েই যান, পোস্ট খালি আছে চোখ টিপি
সিরিয়াস বিষয়ে খুব একটা স্বস্তি বোধ করি না আসলে, দেখি লিখবো হয়তো। দুই তিনটা সিরিয়াস ব্লগ লিখেছি অবশ্য, পড়ে দেখতে পারেন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।