১।
হঠাৎ করে বাতি নিভে গেলে বা ফ্যান ঘুরা বন্ধ হয়ে গেলে লোডশেডিংয়ের গোষ্ঠী উদ্ধার করে গালি দেয়া ঢাকাবাসীর নিত্যকার অভ্যাস। তবে অনেক অনেক আগে, এক ভুলে যাওয়া সময়ে বিকট শব্দ করে পাওয়ার স্টেশন বন্ধ হয়ে গেলে টিমটিম করে জ্বলা বাতিটিও যখন নিভে যেত, ঢাকাবাসীর উল্লাস তখন দেখার মত ছিল। এই অদ্ভুত উল্লাসের পিছনে কিছু অদ্ভুত ছেলের খামখেয়াল দায়ী ছিল, এরা হাল ফ্যাশনের পোষাক আর বিদেশী ডিগ্রির মায়া বাদ দিয়ে ঢাকার পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে বেড়াত।
এমনি এক সন্ধ্যা। সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন উড়াতে নৌকা করে স্টেশনের পাশে ভীড়ে যায় একদল। তারপর যেহেতু ওই সময়টা ঠিক ছকে বাঁধা ছিলনা, তাই হঠাৎ করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি এসে পড়তে থাকে নৌকার উপর। লাফিয়ে পানিতে পড়ে কোনভাবে জীবন বাঁচায় সবাই। কেউই তেমন একটা আহত হয়না, শুধু জুয়েলের আঙ্গুল উড়ে যায়। রক্তে ভেসে যাওয়া হাতের দিকে তাকিয়ে সহাস্যে জুয়েল বলে, "যাক দেশের জন্য রক্তও দিলাম, আবার জীবনও দেয়া লাগলো না" । অপারেশনের জন্য অন্ধকার রাত বেছে নেয়া হয়েছিল, তাই সহযোদ্ধাদের চোখে পড়েনা, জুয়েলের চোখে হালকা বিষাদ ফুটে উঠেছিলো কিনা। তবু সবাই জানতো লড়কে নেয়া পাকিস্তানে যদি কোন স্বপ্নভঙ্গ না হতো, তাহলে আর কয়দিন পরেই জুয়েল জাতীয় ক্রিকেট দলে অনায়াসে ঢুকে যেতো। আর এখন দেশ স্বাধীন হলেও এই অকেজো হাত নিয়ে জুয়েলের আর ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন না দেখাই ভালো।
তবে জুয়েল এতসব জটিলতার মাঝে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার আগেই একদিন ক্র্যাক প্লাটুনের আরো অনেকের সাথেই ধরা পড়ে যায় সুদর্শন পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে, তারপর দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ পৃথিবীর সেরা সৈন্যরা ক্রিকেট প্রেম টয়লেট টিস্যুতে মুছে ফেলে কয়েকটা গুলি খরচ করে এই গাদ্দারদের দুনিয়ার বুক থেকে মুছে দেয়।
২।
একই বছর ফেব্রুয়ারীতে, পবিত্রভূমির পূর্বাংশের হিন্দুয়ানি মুসলিমরা যখন ভারতের উসকানিতে রাস্তায় নেমে তুমুল বিক্ষোভে দেশের শান্তি নষ্ট করছিলো, তখন শান্তির বার্তা নিয়ে ঢাকার বিশাল মাঠে কমনওয়েলথ দলের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারীতে মাঠে নামে পাকিস্তান দল। আর তাদের দলের হয়ে ওপেন করতে নামে রকিবুল নামের এক তরুণ, তার ব্যাটে এক বেখাপ্পা স্টিকার। তাতে বদ্বীপের মানচিত্র, আর তার পাশে লিখা "জয় বাংলা"। ঠিকই আন্দাজ করেছেন, এই তরুণ এই পূর্বাংশের প্রতিনিধি। খেলার সাথে রাজনীতি মেশানোর মত অবিমৃশ্যতা পূর্বের নির্বোধেরা ছাড়া আর কেইবা করবে! মুক্তিযুদ্ধ নামের এক রাজনৈতিক ঘটনায় সেই বদ্বীপ স্বাধীনতা পেয়ে গেলে রকিবুলের আর টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয়নি। অনেক বছর পর বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সে বলে এই জন্য নাকি তার কোন আফসোস নেই!
৩।
তারপর চল্লিশ বছর কাটে, কয়েক লাখ অর্থহীন জীবন আর সত্যিকার মুসলিম বানানোর মহতী প্রক্রিয়ায় ধর্ষিতা নারীর সবকিছুর বিনিময়ে রকিবুলের ব্যাটের স্টিকারের সেই মানচিত্র বাংলাদেশ নামের একটা দেশ হিসেবে তার অর্থহীন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে। তবে তরুণেরা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। সুনাগরিকের মত তারা রাজনীতিকে ঘৃণা করতে শেখে। তারা গান, খেলা ইত্যাদি বিষয়ের সাথে রাজনীতির মত ঘৃণ্য বিষয় মিশায় না। কোন কনসার্টে জুনুনের সুকণ্ঠ গায়কেরা এলে তারা উল্লাসে মাতোয়ারা হয়। আমাদের তরুণেরা সত্যিকার স্পোর্টসম্যানশিপ স্পিরিটে বেড়ে উঠে। ভালো খেলে বলে তরুণেরা রকিবুলের খেলা একই মাঠে গিয়ে নিখাদ ক্রিকেট প্রেমের নিদর্শন হিসেবে পাকিস্তানের পতাকা উড়ায় আর তরুণীরা সুদেহী পাঠান খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্যে বিয়ের আহবান জানিয়ে প্ল্যাকার্ড নাচায়।
৪।
প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বরে "শহীদ জুয়েল একাদশ" আর "শহীদ মুস্তাক একাদশ" এর মাঝে একটা ম্যাড়ম্যাড়ে প্রীতিম্যাচ আয়োজন করে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র তার শহীদ ক্রিকেটারের প্রতি দায়সারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
রেফারেন্সঃ
১। পৃষ্ঠা ১৬০, একাত্তরের দিনগুলি-- জাহানারা ঈমাম
২। অনুচ্ছেদ ৪০, মা - আনিসুল হক
৩। রকিবুলের সাক্ষাৎকার
৪। গত বিজয় দিবসের ক্রিকেট ম্যাচের খবর
মন্তব্য
এইরকম একটা লেখা পড়ার ইচ্ছা হইতেসিল।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ফেসবুকে পাকিস্তান সাপোর্টারদের সাথে তর্কে বিরক্ত হয়ে লেখাটা লিখতে ইচ্ছা হলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দারুণ লিখেছেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ ভাইয়া।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
চমৎকার লাগলো লেখাটা..............
দারুণ.........
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
চমৎকার লেখা। অসংখ্য ধন্যবাদ।
-মনিকা
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দারুণ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অসংখ্য ধন্যবাদ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শত-সহস্র সশ্রদ্ধ কুর্নিশ বস্ এমন একটি লেখার জন্যে।
অতীত
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অসাধারণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এর আয়োজক কারা? কখনো বড় হেডলাইনে এই টুর্নামেন্টের কোন খবর পত্রিকায় দেখেছি বলে মনে করতে পারি না। গুগল সার্চেও সাহায্য হলো না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
রাষ্ট্রীয় ভাবেই আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসের উদযাপনের নিয়মিত একটা অংশ, আমি মোটামুটি প্রতিবছরই পেপারে দেখে এসেছি। এখন আবার খোঁজ করে গতবছরের ১৭ ডিসেম্বরের প্রথম আলোর খেলার পাতায় পেলাম। তবে এখন মনে হচ্ছে টুর্নামেন্ট না, একটাই প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজন করা হয়। শহীদ জুয়েল একাদশ বনাম শহীদ মোস্তাক একাদশের মাঝে। এই হচ্ছে খবরের লিংক
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
উপন্যাসকে কি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে? একটা উপন্যাসের সবটুকু তো ইতিহাসানুগ না-ও হতে পারে।
উপন্যাসকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা অবশ্যই এই লিখার একটা দুর্বলতা। কিন্তু তাকে নিয়ে আর কোথাও কোন লেখা বা সোর্স পাচ্ছিনা। তবে জুয়েল বাস্তবেরই চরিত্র, একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার, ক্র্যাক প্লাটুনের একজন গেরিলা। মুক্তিযুদ্ধের কিছু বই ঘেটে দেখলে উপন্যাসের বাইরের সোর্স হয়ত পেয়ে যাব, অনলাইনে খুঁজে দেখবো। আনিসুল হক তার উপন্যাস লিখতে গিয়ে কিছু সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, উৎসে সৈয়দ আশরাফুল হকের নামও দেখতে পাচ্ছি। তার উপন্যাসের চরিত্র আর মোটাদাগে ঘটনাগুলো বাস্তবভিত্তিক বলে আপাতত এই তথ্য মেনে নেয়া যায়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শহীদ জুয়েলের অস্তিত্ব বা অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না, শুধু রেফারেন্স হিসেবে উপন্যাসের অনুপযোগিতার কথা বললাম। ইতিহাসের মধ্যে পাতিহাঁস ঢোকানোর স্বাধীনতা ঔপন্যাসিকের থাকে তো। আনিসুল হকের তো আবার ফুট আর মিটার নিয়েই গণ্ডগোল লেগে যায়, সেজন্যেই রেফারেন্সের ব্যাপারে কথা তুললাম।
হা হা। "একাত্তরের দিনগুলি"তেও এই ঘটনার রেফারেন্স পেলাম, মূল লেখায় জুড়ে দিলাম।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
"ম্যারি মি আফ্রিদি"
ইতি 'মেহেরজান'
love the life you live. live the life you love.
কঠিন হইসে!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
(ঘ্যাচাং)
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আফ্রিদি পুরুষ মানুষরেও বিয়া করে নাকি?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মেহেরজান 'পুরুষ' মানুষ নাকি?
ভাবছিলাম আপনি নিজেই প্ল্যাকার্ড তুলে ধরলেন কিনা
তবে মেহেরজানের হাতে অবশ্যই এরকম একটা প্ল্যাকার্ড তুলে দিতে পারতেন মাননীয়া পরিচালক।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পাকি সাপোর্টারের সাথে ঝগড়া কইরা লিখসেন? এখনও ঝগড়া করার ধৈর্য আছে আপনার? টায়ার্ড হয়া গেলাম এদের নানান যুক্তি শুনতে শুনতে! কতগুলা আছে আবার ছুপা, সামনাসামনি ধরলে কয়, "না, ইয়ে মানে, খেলার প্রশংসা করি, ভাল খেললে করব না?" "পাকি আলো"র ক্রোড়পত্রের মত অর্গাজমিক প্রশংসা হয় আবার সেগুলা।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
একজনরে মোক্ষম কিছু উদাহরণ দিয়ে ভাবছিলাম, যাক একজনের হলেও জ্ঞানচক্ষু খুলে দিলাম। কিন্তু কিসের কী, এখন দেখি মানবতার পাঠই নতুন করে নিতে হচ্ছে। তবে ঝগড়াঝাটি আর করবনা, শুধু তাদের যুক্তিগুলো বিশ্লেষণের চেষ্টা চালাবো। একজনও যদি বদলায়, মন্দ কী! আলুর কথা আর বইলেন না, আজকের একটা খবরের হেডিং হচ্ছে "পাকিস্তানের পছন্দ বাংলাদেশ"। ঘটনা হলো, পাকিস্তান মামাবাড়ির আবদার তুলেছে বিরুদ্ধ সমর্থকদের সামনে গিয়ে ওরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবেনা, তাই তাদের ম্যাচ আয়োজন করতে হবে শ্রীলংকা বা বাংলাদেশে, কারণ এই দুই দেশে তাদের কিছুটা সমর্থন আছে। আর আমাদের সাম্বাদিক হয়ে ফিরতি ভালোবাসা পাওয়ার খুশিতে গদগদ হয়ে এই রিপোর্ট ফেঁদে বসেছেন। তবে দুঃখ লাগে, আমাদের দেশে ওদের সমর্থন আছে এই কথাটা পুরোপুরি মিথ্যে নয় বলে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দারুন লেখা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খুব ভালো লাগছে আপনার লেখাটা।
পাকি সাপোর্টারদের ব্যাপারে কথা বলার রুচি নাই, তাই লিখাটা FB তে শেয়ার দিতে গিয়াও দিলাম না, কারন যে বোকাচোদার এই সাধারন বিষয়ে বোঝার ক্ষমতা নাই, তার তো রক্তেই বিষ, কাজেই লেখা পড়াইয়া তারে কিছুই শেখানো যাবে না।
--
কালো ও সাদা
ধন্যবাদ। কেউ আদৌ বদলাবে, সে বিষয়ে আমিও খুব একটা আশাবাদী না। তাও সহ্য হয়না বলে তর্কাতর্কি আর ব্লগাব্লগি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---আশফাক আহমেদ
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
চমৎকার লাগলো লেখাটা।
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাইজান আপ্নার লেখাখানা পরে অনেক ভাল লাগ্ল।
ধন্যবাদ ভ্রাত!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাল লেখা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল ভাই রে, বুকে আসেন ভাই।
এইটা কীভাবে হয়??????? কীভাবে একটা বাঙালী পারে সজ্ঞানে ওদের কে সাপোর্ট করতে?? আমার পায়ের রক্ত মাথায় উইঠা যায়।
নারে ভাই, বুকে আসা যাবেনা, লইজ্যা লাগে
একটা কারণ হতে পারে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী খুব একটা জানেনা। ইসলামী ভ্রার্তৃত্ববোধ, রাজনীতি-অসচেতনতা ইত্যাদিও হতে পারে, কে জানে!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আজকে অফিসে এক্টা আবাল এরকম কইতেছিলো যে মুসলমান হিসেবে চিন্তা করলেও পাকিরে নাকি সাপোর্ট দেয়া লাগে! তর্ক করতে রচি হয়নি।
অচল পয়সা
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঠিক সময়ে ঠিক লেখাটা চোখে পড়লো...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বিশ্বকাপ থেকে টাইগাররা ছিটকে পড়ার সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি মনে হয় পাকিমনাগুলাই। সাথে নভচ্যোদ ছিদুর ভক্তগুলাও মনে হয় খশিতে বগল বাজাচ্ছে।
উপমহাদেশে বিশ্ব ক্রিকেটের আসর বসেছে অথচ একটাও বাঙালি খেলোয়াড় নাই, ভাবা যায়?
ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে..
ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার লিখেছেন
মাহবুব বাবুই
নতুন মন্তব্য করুন