নিউ ইয়র্ক সিটির পাশেই একটা লম্বাটে দ্বীপ আছে লং আইল্যান্ড নামে, এবং সেখানকার স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটিতে আমার তিনটা বন্ধু নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তাদের জ্ঞান সাধনায় বিঘ্ন ঘটিয়ে নিউ ইয়র্কে আমাদের প্রথম দিনটাতে আমাদের সংগ দিতে রাজী করিয়ে ফেলি। বিকাল নাগাদ স্টোনি ব্রুকের বিরাট একটা দল এসে আমাদের সাথে যোগ দেয় দুইটি গাড়ী নিয়ে, আমাদের বন্ধুদের সাথে আরো চার জন। কুন্তল ভাই আর তার দুই বন্ধু এবং অতিশয় ভালো মানুষ জাহিদ। স্মৃতি এবং তিথী যে বিস্তর গবেষণা করছে তা তাদের কমতে থাকা স্বাস্থ্য দেখে আন্দাজ করা গেলো। তবে আশ্বস্ত হই আরিফের স্বাস্থ্য দেখে, মনে হলো নন্দলাল ইফেক্ট; দেশোদ্ধারের চিন্তায় বেচারা নিশ্চয় ঘর থেকেও বের হয় না খুব একটা।
দুইটা গ্রুপে ভাগ হয়ে আমরা দুই দিকে বের হই। এক গ্রুপ থাকে নারী প্রধান, নারী হৈতেষী কুন্তল ভাইয়ের নেতৃত্বে এবং পরিচালনায় (উনিই ওদের গাড়ী চালাচ্ছিলেন কিনা ) এবং অন্য গ্রুপ জাহিদের পরিচালনায়। প্রথম গ্রুপ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে যাবে শুরুতে, আর আমরা যাব জ্যাকসন হাইটের বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিজেদের হিস্ট্রি হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে। তারপর দুই গ্রুপ মিলে সেন্ট্রাল পার্ক ঘুরে বেড়াব- এই হচ্ছে মোটামুটি প্ল্যান।
জ্যাকসন হাইটের হাটবাজার রেস্টুরেন্টে গেলে আমাদের সাথে যোগ দেয় ফেসবুকে পরিচিত বুয়েটের জুনিয়র চয়ন। ঢুকে পড়ে গেলাম “খাদক ডাইলেমা”য়। গত আটমাসে সব মিলিয়ে চার-পাঁচ দিন মাছ খেয়েছি তাও তেলাপিয়া না হয় স্যামন। সেই আমার সামনে যদি ট্যাংরা, রুই, ইলিশ, চাপিলা ইত্যাদি সাত-আট রকম মাছ সাজিয়ে রাখা হয় সে সময়কার অনুভূতির বর্ণনা দিতে গেলে “আইস এজ” মুভির কাঠবিড়ালির অ্যাকর্ন শোভিত স্বর্গভ্রমণ দৃশ্যের কথাই বলতে হয়। তবে মাছেরা পরাজিত হয় বিরিয়ানির কাছে, মঈন চকচকে চোখে বিরিয়ানির অর্ডার দিলে সবাই হঠাৎ করে বিরিয়ানি কাতর হয়ে পড়ে। বিশাল প্লেটের পুরোটা জুড়ে চিকেন বিরিয়ানি, প্রোগ্রাসে খেতে খেতে নিজেকে হারিয়ে ফেলি; আমার চকিতে মনে পড়ে ওমর খৈয়াম বিরিয়ানি আর বোরহানি নিয়ে একটা চমৎকার কবিতা লিখেছিলেন, অবশ্য অনুবাদে বদলে গিয়ে সেটা হয়ে যায় যবের রূটি আর মদিরা! অর্ধেক প্লেট খাওয়ার পরই পেট ভরে গেলে বিষাদের সাথে লক্ষ্য করি “খাদকের মৃত্যু হইয়াছে”।
সেন্ট্রাল পার্কে পৌঁছাই অল্প পরে। ম্যানহাটনেই মূলত নিউ ইয়র্কের বৃহৎ স্থাপনা গুলো রয়েছে, সেন্ট্রাল পার্ক সেই দানবাকৃতি ইমারতের শহরের মাঝখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ফুসফুসের মত কাজ করছে। তবে পার্কের চারপাশ ঘিরে দানবেরা প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে আছে, দেখতে তো দারুণ লাগে।
সেন্ট্রাল পার্কের ভেতরে চমৎকার সবুজ, একটু পরপর দারুণ সব ভাস্কর্য। সবচেয়ে ভালো লেগেছে “এলিস ইন দ্য ওয়ান্ডারল্যান্ড”। রূপকথার ছোট্ট এলিস এখানে বিশাল অবয়ব নিয়ে তার সঙ্গীসাথী পশুপাখি নিয়ে বেশ জমিয়ে বসে আছে।
তবে এবার আমরা আসলে ভাস্কর্য তেমন দেখিনি। শুরুতে পার্কের ভেতরের বিশাল মাঠে কিছুক্ষণ বসে থেকে চারপাশটা দেখছিলাম। ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম মাঠটা ট্যানারির রূপ নিয়েছে; অনেকেই গায়ে সূর্যালোক প্রবেশে যেন ন্যূনতম বাঁধাও না পায় সেই ব্যবস্থা করে পার্কের রোদে শুয়ে গায়ের চামড়া ট্যান করছে। গায়ে অবাধ মেলানিন নিয়েও রোদে দশ মিনিট বসে থাকতে পারি না, বেচারাদের দেখে তাই বেশ মায়াই হলো।
উদ্দেশ্যহীন হাটতে হাটতে হঠাৎ করে একটা ক্যাসল পেয়ে গেলাম, ক্যাসলের সামনের একটা চত্ত্বরে বসে আড্ডা দিতে দিতে সেন্ট্রাল পার্ক সহ ম্যানহাটানের একটা চমৎকার ভীউ পাওয়া গেলো।
পাড়াগা থেকে ঢাকা শহরে আসলে লোকে চোখ বড় বড় করে বিল্ডিং এর তলা গুণার পাশাপাশি একবার চিড়িয়াখানায় যায়, আর সময়ে পেলে সিনেমা হলে ঢুকে বড় পর্দায় একটা মুভি দেখে নেয় ফিরে গিয়ে যেন গল্প করতে পারে। আমার অবস্থাও অনেকটা তাই, স্টোনি ব্রুকাররা মূলত সিনেমা দেখতেই সিটিতে এসেছে, আর টেক্সান কাউবয়রা ও নায়াগ্রা ফলসে ঘুরে বিস্তর ক্লান্ত, আর তাই সবাই মিলে কুংফু পান্ডা-২ এর টিকেট কিনে ফেলি। শো শুরু হতে দেরী আছে, টাইম স্কোয়ার কাছে, তাই এবার গন্তব্য টাইম স্কোয়ার।
ইতিমধ্যে সন্ধ্যা নেমে আসে, তবে সঙ্গের অন্ধকারটুকু নিয়ে আসতে পারে না। এতক্ষণের আধো জাগ্রত শহর যেন বিপুল উল্লাসে পুরোটা জেগে উঠে। চারপাশের সব কয়টা বিল্ডিং জুড়ে চোখ ঝলসানো আলোক সজ্জা, অবশ্য বেশিরভাগই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। রাস্তায় ঘুরতে বেরিয়েছে অগুণতি মানুষ। এমনকি স্পাইডারম্যানকে দেখলাম দুনিয়া বাঁচানোর কাজে সাময়িক ইস্তফা দিয়ে রাস্তার মানুষের সাথে ছবি তোলার পোজ দিয়ে কয়টা ডলার কামাচ্ছে। বেচারার কী দোষ, অর্থনৈতিক মন্দা সুপার হিরোদেরকেও ছাড়ে না। নিউ ইয়র্কের পুলিশেরা হচ্ছে সুপার স্টার। তাদের সাথে ছবি তোলার জন্য ললনাদের ভীড় দেখে আরেক বার নিজের এইম ইন লাইফ চেঞ্জ করার ব্যাপারটা একবার নেড়ে চেড়ে দেখি।
এক ফাকে গিয়ে কুংফু পান্ডা-২ দেখে আসি, আমার জন্য প্রথমবারের মত থ্রিডি মুভি দর্শন। এত মুগ্ধ হয়েছি দেখে যে এটা নিয়েই বেশ কয়েক পাতা লিখে ফেলা যায়, তবে ভয়ের কিছু নেই, পাঠকদের প্রতি এত অত্যাচার করছি না। শুধু একটা জিনিসই বলা যায়, খুব বিপদজনক ব্যাপার স্যাপার, একটু সাবধানে দেখতে হবে, ভিলেনের ছোড়া গোলা যে সবসময় আপনার কাছে এসেই ফিরে যাবে, তার তো কোন নিশ্চয়তা নেই।
টাইম স্কোয়ার ঘোরা হয়ে গেলে, রকেফেলার সেন্টারের দিকে এগোই, তবে আমরা যাওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোন বর্ণনা দেয়া যাচ্ছে না। আমরা তবু উকি ঝুকি মেরে বাইরে থেকে যতটা দেখা যায় দেখে নিচ্ছিলাম। আমাদের মাঝে বিশিষ্ট ভদ্রমহিলা স্মৃতি অবশ্য এত সহজে দমবার পাত্রী নয়, সে পারলে রেলিং ডিঙ্গিয়ে ভেতরেই ঢুকে পড়ে।
নিউইয়র্ক সিটিতে গেলে, নিউইয়র্কাররা আপনাকে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং বা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখিয়ে মুগ্ধ করার চেষ্টা করবে না, তাদের তুরুপের তাস হচ্ছে জাইরো। আরিফ আর কুন্তল ভাইয়ের কথা মতো নিউইয়র্ক এসে এই জিনিস না খেলে নাকি নিউইয়র্ক আসাই বৃথা। বেশ কিছু জায়গায় দেখলাম সাইডওয়াক জুড়ে জাইরোর ফুড-কার আর তার সামনে লাইনের দৈর্ঘ্য দেখে মোটামুটি নিঃসন্দেহ হয়ে গেলাম এখানে সুলভ মূল্যে বেহেশতি মেওয়া বিক্রি হচ্ছে। এত কষ্ট করে একটা বৃথা সফর করার তো কোন মানে নেই, তাই সবাই লাইন ধরে জাইরো কিনলাম। ল্যাম্ব বা চিকেনের কিমার সাথে ভাত বা রুটি, সাথে ইচ্ছা মত সস, এই হচ্ছে সেই জগৎখ্যাত জাইরো। খেয়ে ভালো লাগেনি বললে পরবর্তীতে আর নিউইয়র্ক নিরাপদে যাওয়া যাবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই, তাই এভাবে বলা যায়, সসটা ভালো ছিলো। টেক্সানদের কাছেও আহামরি কিছু লাগেনি বলেই আমার বিশ্বাস। আমার কাছে বরং মেডিটেরেনিয়ান ডেলিতে খাওয়া জাইরো অন্যরকম এবং ভালো লেগেছে।
রাত প্রায় দুইটার দিকে সবাই মিলে ব্রুকলিন ব্রিজ দেখতে বের হই। এবারো যথারীতি জাহিদের গাড়ীতে আমরা, যাওয়ার পথে গ্রাউন্ড জিরোর সামনে একটু থামি। ভেতরে নতুন বিল্ডিং গড়ে উঠছে, চারপাশে ঘেরাও দেয়া। অদ্ভুত একটা অনুভূতি হলো। এক সময় ম্যানহাটান স্কাই লাইনের অবিচ্ছেদ্য আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলো যে টুইন টাওয়ার, আজ তাকে বাদ দিয়েও নিউইয়র্ক আগের মতই জীবন্ত। একটু ভাবতে চেষ্টা করি নিউইয়র্ক শহরে যে বড় হয়ে উঠেছে, তার কাছে কেমন লাগে যখন সে এই বদলে যাওয়া স্কাই লাইনের দিকে তাকায় কিংবা গ্রাউন্ড জিরোর পাশ দিয়ে বাসে করে যায়। সত্যি মানুষ কত যত্ন করে গড়ে, তারপর অদ্ভুত তাড়নায় আগ-পিছ না ভেবে সেটা নিমেষে ধ্বংস করে, কিছু মানুষ সেই হারিয়ে যাওয়াকে মানতে না পেরে কিছুদিন শোকাচ্ছন্ন থাকে, তারপর সময়ে আবার সবাই সেটা মেনেও নেয়।
নিউইয়র্ক সিটির পাঁচটা প্রশাসনিক অংশ। ব্রংক্স আর ম্যানহাটান একটা দ্বীপে, কুইনস আর ব্রুকলিন আরেকটা দ্বীপে। বাকি থাকে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, বাকি চারটা অংশ থেকে বেশ বিচ্ছিন্ন। ব্রুকলিন ব্রিজ হচ্ছে ম্যানহাটান আর ব্রুকলিনের যোগসূত্র; মুভিখোরেরা অবশ্য একে ভালোভাবেই চিনে, গ্যাংস অফ নিউইয়র্কের সেই ঝুলন্ত সেতু।
সারাদিন সিটিতে ঘুরে যাই দেখি তাই দেখে মুগ্ধতায় মুখ হা হয়ে যাচ্ছিলো, নিজের উপর বিরক্তও হচ্ছিলাম এই মফস্বলপনায়। তবে নিউইয়র্ক প্রথমবারের মত তার দূর্বলতা প্রদর্শন করে ব্রুকলিন ব্রিজের গোড়ায়। দোতলা ব্রিজের নীচ দিয়ে গাড়ী চলছে নিয়মিত, আর উপরে কাঠের পাটাতন ব্রীজ দর্শনার্থীদের জন্য। সেই পাটাতনে উঠার পথে ভয়াবহ পুতিগন্ধ, বোঝা গেলো দেশ-কাল ভেদে পৌরসেবা নগরপ্রান্তে আসতে আসতে ঠিকই নিঃশেষিত হয়ে যায়।
ব্রিজের উপর উঠার পরই অবশ্য এটা ভুলে যেতে হয়। ব্রুকলিনের দিকে মুখ করে সামনে এগুতে থাকলে ডানদিকে চোখে পড়ে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড, দূরে লিবার্টি আইল্যান্ডে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। আর সামনে ব্রুকলিন ম্যানহাটানের সাথে প্রতিযোগিতায় হেরে বিষণ্ণ হয়েই যেন টিমটিমে উজ্জ্বলতায় জ্বলতে থাকে। তবে সবকিছুকে হারিয়ে দেয় রাতের ম্যানহাটানের দৃশ্য, ব্রিজ থেকে জ্বলতে থাকা ম্যানহাটানের স্কাইলাইনের মত জীবন্ত কিছু আমি কমই দেখেছি। এই শহর যেন ইনসমনিয়ায় ভুগছে, প্রতিটা বিল্ডিং বেশ বাতি টাতি জ্বেলে এই নৈশ উৎসবে সামিল; তবে সবচেয়ে রাজকীয়ভাবে সেজে ছিলো এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট!
ব্রিজের কাঠের পাটাতনে বসে আর রেলিং এ হেলান দিয়ে বেশ একটা আড্ডা হয়ে যায়। ভারী ক্যামেরা আর তার চেয়ে বেশি ভাব নিয়ে দারুণ সব ছবি তুলে যায় টেক্সানরা এবং স্টোনি ব্রুকারদের দুই জন। আমার আইফোন ক্যামেরাকে নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই দিতে বেচারাকে শান্তিতে পকেটে বসে থাকতে দেই। নীচে চোখে পড়ে ঈস্ট রিভারের তীর ঘেষে যাওয়া সরু রাস্তা। আহা, প্রতিটা রাত যদি এই ব্রিজের উপর বসে অথবা ওই রাস্তা ধরে হেটে কাটিয়ে দেয়া যেতো!
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ রাতের সব ছবি - নাফি, নেকড়ে সহ শিকারীর ভাস্কর্য - মাহদি
মন্তব্য
দারুণ লেখা আর ছবি। তবে একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ ছবি বাদ যাওয়ায় পোস্টে কষে মাইনাস।
ভাবতেছি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আলাদা পোস্ট দিব ছবি সহ, তখন ঝেড়ে প্লাস দিয়েন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অসাধারণ। সিমপলি ফেবুলাস (Fabulous)!
ওমর খৈয়াম যেভাবে চারটা জিনিসের কথা লিখেছিলেন যার দু'টি অনুবাদে কিভাবে বদলেছে তা বলেছেন:
Here with a Loaf of Bread beneath the Bough,
A Flask of Wine, a Book of Verse -- and Thou
Beside me singing in the Wilderness --
And Wilderness is Paradise enow.
রুটি এবং মদিরা শুধু দুইটা জিনিস কি বদলেছে? প্রিয়া এবং কবিতা কিভাবে বদলেছে জানাবেন কি?
অসাধারণ বর্ণনার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
এম আব্দুল্লাহ
বাকি দুইটা মনে হয় ঠিকই আছে । পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছবিগুলো দারুণ, খুব সহজেই জানান দেয় কেন শহরটির নাম "জাঁকজমকের শহর"। লেখাতে
আমার মতে কারো বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ থাকলে একবার হলেও অবশ্যই রাতের নিউ ইয়র্ক শহর ঘুরে যাওয়া উচিত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দারুণ, দারুণ। প্রচুর মজা পেলুম। তা ইয়ে, বস্টন নিয়ে লেখাটা কবে আসছে? ওটায় আবার আমার কোঁচা ধরে টান দেবেন না তো?
কুংফুপাণ্ডা২ খাসা সিনেমা। দুর্দান্ত গ্রাফিক্স। আমি দুইবার দেখেছি
একবারো দেখতে পেলাম না
বাসার কাছাকাছি একটা 3D মুভি থিয়েটার আছে... ব্যাটারা পোস্টার ঝুলিয়েছিলো "কুংফু পান্ডা ২ কামিং সুন"। সেই সুন আসার আগেই পোস্টারটাই হাওয়া হয়ে গেছে
আহা! এই ভাবে বললেতো লোকজন আমাকে হোস্ট করতে ভয় পাবে। আর দিলামই না হয় কোঁচা ধরে দুই/একটা ফ্রেন্ডলি টান
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কোঁচা ধরে মারো টান... কৌ হবে... (কী হবে?)
জাইরো খেতে হলে মন্ট্রিয়ালে আসেন।
লেখা ভালু পেলাম।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ওকে কানাডা আসলে চলে আসব। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সুপার্ব দাদা
ধন্যবাদ সাত্যকি। ওই মিয়া, তোমার গল্প কই?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
৪-১ এর টার্ম ফাইনাল শুরু হইসে সজলদা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নিউ ইয়র্ক বা আমেরিকাই অবশ্য যাইনি; তবে জাইরোর গল্প শুনিনি কখনো! গুগল করতে গেলাম; কিন্তু ইংরেজি বানান অনুমান সঠিক হয়নি বোধ হয়; জাইরোর ইংরেজী বানান কি?
মুভি-নভেল পড়ে নিউ-ইয়র্ক শহরকে আলাদা করে খুব চেনা মনে হয়। আপনার লেখা পড়ে আর ছবি তাই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। ভাল লাগল
GYRO । পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কী দারুণ লেখা! পড়ে যতটা মুগ্ধ হলাম, নিউইর্য়ক দেখে ততোটা হইনি সত্যি!!! হয়ত মাত্রই দেশ ছাড়বার কষ্টটা আমাকে সেভাবে শহরের সৌন্দর্য্য দেখায় সাহায্য করেনি। যেমন লেখা, তেমনই ছবি! জাইরো আমার কাছেও আহামরি লাগেনি থ্রীডি মুভি দেখবার অভিজ্ঞা নিয়ে একটা পোষ্ট লিখে ফেলুন
ধন্যবাদ। আরো কিছু সময় যাক, তখন আবার অতি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে ঘুরে আসুন, এবং রাতের নিউ ইয়র্ক।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নতুন মন্তব্য করুন