দেশ থেকে ফিরে

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: শুক্র, ১৭/০২/২০১২ - ৮:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেঘ পেরোলেই দেশ
দীর্ঘ ত্রিশ ঘন্টা প্লেনে কাটিয়ে আমার অবস্থা পারলে দরজা খুলে নেমে যাই, এমন সময় প্লেন পৌঁছাল ঢাকার উপরে, অবশ্য তাল তাল মেঘের আড়ালে কিছু দেখার উপায় নেই। শীতের সকালে পুকুরে ঝাপ দিতে গিয়ে ইতস্তত বালকের মত প্লেনটা বার কয়েক সাঁ করে একটু নেমেই আবার উপরে উঠে যাচ্ছিল। একটু পর পাইলটের ঘোষণা, “লো ভিজিবিলিটির জন্য আমরা এখনি নামতে পারছি না, আমাদের কাছে আরো দেড় ঘন্টা উড়ার মত তেল আছে”।

আধা ঘন্টা কেটে গেলে, মনে মনে মেঘের মাঝে সাঁতরেই সাঁতারটা শিখে নিতে হবে এমন পরিকল্পনা দাড় করিয়ে ফেলি, আর ঠিক তখুনি হঠাৎ করে মেঘ ফুঁড়ে প্লেন নেমে আসে ঢাকার আকাশে। প্রথমেই চোখে পড়লো জলাভূমি, আর তার বুকে দাঁড়িয়ে লুই কানের সংসদ ভবন।

চ্যাপেল হিলের মেঘ বন্দী আকাশে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হত এই মেঘ পেরোলেই বুঝি দেশে যাওয়া যাবে। তা রূপকথার যে কখনোই সত্যি হতে নেই, এমন কথা কে বলেছে?

মাছেদের দুর্দিন
অনেক দিন পর নিজের ছেলে মেয়েকে দেখে “শুকিয়ে গেছিস” বলাটাই বাংলার বাবা মায়েদের জন্য নিয়ম, আমাকে দেখে এই কথাটা বলতে গেলে আমার বাবা-মাকে রাজনৈতিক শ্রেণীর মিথ্যুক হতে হবে, তাই তারা এমন কিছু বললেন না। তবে পরের অংশে কোন ত্রুটি হলো না, সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত এটা, ওটা নানা খাবার খেতে খেতে আমার শরীরের শ্রীবৃদ্ধি হতে থাকল জ্যামিতিক হারে।

যৌবনোচিত দুঃসাহসে ভর করে গাছপালা, শাক-সব্জী, ডিম-মুরগী ইত্যাদি নানা কিছু রান্না করে খেতে পারলেও মাছ রান্না করার চেষ্টায় তেমন সফল হইনি কখনো, তাই সংজ্ঞা মতে অর্ধেক বাঙালিয়ানা হারিয়ে ফেলার পথে পৌছে গিয়েছিলাম।

তাই আমার প্রতি আমার বাবা মায়ের অপত্য স্নেহের ঝাপটা গেলো মাছেদের উপর দিয়ে। নদী নালা, খাল বিল, সাগর মহাসাগর উজার করে নানা জাতের মাছ এসে শেষ আশ্রয় লাভ করতে থাকল আমার প্লেটে।

অনেক অনেক বছর পরে, ভবিষ্যতের মানব সমাজ মাছের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পিছনে যখন নানা থিওরি দেবে, তারা কি এর সাথে আমার বাংলাদেশ সফরের যোগসূত্র খুঁজে পাবে?

বন্ধু এবং আত্মীয়
আমার বাবা এবং মা দুই দিকের দাদুরাই বিরাট উৎপাদনক্ষম ছিলেন। তাই আমার মাসি-পিসি-কাকা-মামা’র সংখ্যা গুণে শেষ করতে চাইলে কয়েক গিগা র‍্যামের কম্পিউটার নিয়ে বসতে হয়। তবু রক্ষা সবাই দেশের পূর্বাঞ্চল জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাই অনেকের সাথে অল্প আয়াসেই দেখা হয়ে যায়, অনেকের সাথে দেখা করা হয়ে উঠে না আগের কিংবা তারো আগের বছরের মত।

ইমিডিয়েট পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারটা শহর মিলে, পৃথিবীটা ছোট হতে হতে আবার কখন জানি বিগব্যাং শুরু হয়ে গেছে! তাই এ শহর থেকে ও শহর এভাবে ছুটে বেড়াই; দেড় বছরের অনভ্যস্ততা পথের নানাবিধ ঝামেলাকে অনেক গুণ বড় করে উপস্থাপন করে।

দশ বছর ঢাকায় থেকে আমার ছোটবেলার শহরের সাথে কিছুটা অপরিচয় জন্মে গিয়েছিল, এবার অনেকটা আপন মনে হয়। ভাগ্য ভালো, স্কুলের বন্ধুদের একটা অংশের অফুরন্ত সময় পেয়ে যাই। দুই বেলা চুটিয়ে আড্ডা দিতে দিতে লক্ষ্য করি, আড্ডার জায়গা শহরের ব্যস্ত রাস্তার পাশের আরডি হল থেকে বন্ধুর দোকানের পিছনের ঘুপচি ঘরে সরে গেছে, নানা দেশ আর শহর অনেক বন্ধুদের সরিয়ে নেয়ায় আমাদের সংখ্যাও আশংকাজনক ভাবে কমে গেছে; তবে ভুলে যাই আমিও ওই অর্থে এই আড্ডার অংশ নই আর।

কলেজের, ভার্সিটির বন্ধুদের কারো কারো সাথে দেখা করি, কারো সাথে করি না, কারো সাথে করা হয়ে উঠে না। দুই দুইটা সচলাড্ডায় ঘুরে আসি, নানা বয়সের সচল, কিন্তু সবার মাঝে কোকের বোতলের কার্বনেটেড ওয়াটারের মত তারূণ্য বিজবিজ করছে। খায় কী এরা!

ভ্রমণ
ভীষণ উদ্যমহীনতার মাঝে বেঁচে আছি, তাই কোথাও ঘুরতে টুরতে যাওয়ার ব্যাপারে তেমন উৎসাহ দেখালাম না। আর এতগুলো দিন ধরে কাছের মানুষদের থেকে দূরে থাকতে থাকতে আমি বুঝে গেছি মানুষের চেয়ে কোন জায়গা কোন দিন প্রিয় হতে পারে না।

ঘর থেকে এক পা ফেললেই (বাঙ্গালীর বাড়িয়ে বলা স্বভাব, আসলে ঘন্টা খানেক গাড়ি চড়লে) চা বাগান, মূহুর্তের নোটিশে তাই চা বাগান ঘুরে আসি পুরো পরিবার মিলে। আরেকটা চা বাগানে যাই পিঠাপিঠি কাজিন আর বন্ধুকে নিয়ে। গলায় মাফলার আর চোখে সানগ্লাস দিয়ে চা ঝোঁপে দাঁড়িয়ে শাকিব খানকে হার মানানো অসাধারণ সব ছবি তুলি। মানুষকে বাদ দিয়ে প্রকৃতি হয় না, তাই হেঁটে হেঁটে চা বাগানের কর্মীদের দেখি। এক যুবতি চাপাতা ডলে ডলে মুড়ি মাখাচ্ছে, তার দুপুরের খাবার, আমাদের দেখে বেশ উৎসাহের সাথে তার অমূল্য রেসিপি বলে দেয়। প্রাণখোলা হাসির সাথে এক ফাঁকে “আমাদের খাবার আর কী হবে বাবু” ভেসে আসে, আমি কানে নেই না। ছবি তোলার অনুমতি চাই, পালটা জিজ্ঞেস করে ছবি তুলে কী করবেন। ফেসবুকে লাইক কামাবো এটাতো বলার মত উত্তর না!

ঝাঁকা দেখে কাঁধে নিয়ে শহুরে বাবু সুলভ ফটো সেশন করি। বের হওয়ার পথে চা স্টলে বসে কটকটি দিয়ে চা খাই। মনে আসে, নিঝুম দ্বীপে খাওয়া আটার গোলার কথা।

মনে মনে ভাবি, সাহস করে এই শহরে ফিরে এলে কেমন হয়, একটা গাড়ী কিনতে হবে অবশ্য ইত্যাদি ইত্যাদি।

ঢাকা রোমন্থন
ঢাকা আগের মতই আছে, গাড়ীর ভীড় তোয়াক্কা না করে রাস্তা পেরোনোর পুরনো সুখ ফিরে পেয়ে বেশ ভালো লাগে। ফার্মগেটের ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই, রাস্তাগুলো আগের মতই ভীড়ে ঠাসা। হেঁটে যেতে যেতে পুরনো আমাকে এবং অন্য অনেককে মিস করি।

আমাদের ক্লাসে নিত্য উপহারের আন অফিসিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলাম এক সময়। সেই সুবাদেই মূলত আজিজে যাওয়া হত। এবারো যাই, তবে বই কিনতে। আগে আমার আউলার বন্ধুগ্রুপের কেউ না কেউ সাথে থাকত, এখন তাদের প্রায় সবাই নানা টানে কোরিয়া গিয়ে জমেছে। চুল আঁচড়ে গ্যালাক্সিতে যাওয়া, মাঝ রাতে ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা দুই তলা চার তলায় চিল্লাচিল্লি করে কারো রুমে জমায়েত হয়ে ননস্টপ পঁচানোর আসর বসানো ইত্যাদি সুদূর অতীতেই সত্য ছিলো, এবং এক সময় এসব এত তামাদি বিষয় হয়ে যাবে যে তা নিয়ে আচ্ছাসে ব্লগ ফেঁদে বসা যাবে।

আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো ঢাকার খাবারের দোকান গুলো রিভাইজ দিতে হবে। বাবুর্চির বিরিয়ানি, অষ্টব্যাঞ্জনের গ্রিল্ড চিকেন, শর্মার শর্মা ইত্যাদি খাওয়া হয়। ঠাটারীবাজার স্টারে যাওয়া হয় না, তাই একদিন ধানমন্ডির স্টারে যাওয়া হয় বন্ধুরা মিলে। এক বন্ধু আবার তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে আসছে, তার সামনে তো আর বেশি খাওয়া যায় না, তাই লেগরোস্ট, কাচ্চি আর মুরগী মোসল্লম খেয়েই সন্তুষ্ঠ থাকতে হয়।

শিকড়
হবিগঞ্জ থেকে এক সপ্তাহের জন্য ঢাকা আসি, মা বাত ভারাক্রান্ত হাটুকে খাঁটিয়ে বাস পর্যন্ত এগিয়ে দিতে আসে। বার বার বলি ফিরে যাও, সে বার বার বলে এইতো আরেকটু পরেই ফিরে যাব। তাই বাধ্য হয়ে নিজের হাঁটার গতি কমিয়ে নিয়ে আসি। সামনে দিয়ে একটা বাস ছুটে যায়, থামানোর চেষ্টা করি না। তারপর এক সময় জোরে হেঁটে মাকে পিছনে ফেলে যাই। অনেক দিন ধরেই তো বাইরের দুনিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের মানুষদের পেছনে ফেলে হাঁটছি, সাময়িক গতি কমিয়ে শুধু শুধু মনকে স্বান্তনা দেয়া।

সময় থেমে থাকে না, তাই আমার প্রচন্ড অনিচ্ছার মাঝেও আমার বাবা মা ঠিকই বুড়ো হয়ে যান। এ আবিস্কারটা নিজেকে নড়িয়ে দেয় অনেকটা।

এবং বিদায়...
ফিরে আসতে হয়, অনেক কিছু কেনার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু কেনা হয় না। মায়ের বানানো আচার সন্দেশ আর আমার টুকিটাকি জিনিস ভরেও তাই লাগেজ খালি থেকে যায় অনেকটাই। টুপ করে আমাদের পরিবারের নতুনতম সদস্যকে শুইয়ে দেই ভেতরে। অবশ্য কিছু জিনিস পেছনেই ফেলে আসতে হয়।


মন্তব্য

অন্যকেউ এর ছবি

বহুদিনের অদেখা মুখ যখন ফিরে দেখি এই একই ক্যাম্পাসে, ভালো লাগে। আপনারা যান, আমরা আসি, আমরা যাবো, নতুন কেউ আসবে। তবুও কয়েকজন আত্মীয়, কয়েকজন বন্ধু, দুয়েকটা ক্যাম্পাস, আর একটা দেশ, এখানেই অপেক্ষা করে থাকবে।

অপেক্ষা কথাটা কতো সুন্দর!

পরেরবার বইমেলার সময়টায় আসবেন কিন্তু! হাসি

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সজল এর ছবি

বইমেলা মিস করি অনেক। তোমাদের সাথে দেখা হয়ে অনেক ভালো লেগেছিলো হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তানভীর এর ছবি

আপনি তো সেদিনই আসলেন, আবার গেলেন! কী কপাল! ওঁয়া ওঁয়া

সজল এর ছবি

হা হা, সেদিনটা প্রায় দেড় বছর আগের কথা!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

আহ্‌, কবে যে দেশে যাব। আপনার পোস্টটা পড়তে গিয়ে মনে হল দেশে ফিরে গিয়েছি ক্ষনিকের জন্য। বেশ ভাল লেগেছে। চলুক

সজল এর ছবি

নিজের মাঝেই দেশ পোষা একটা ভালো বিকল্প হতে পারে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

চরম উদাস এর ছবি

ছুয়ে গেল। আনেকদিন যাওয়া হয়না।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ। একবারে ফিরে যেতে না পারলে আসলে গিয়েও শান্তি নেই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ভালো মানুষ এর ছবি

সজল দা দেশে যাইতে মন চায়।

''এখন তাদের প্রায় সবাই নানা টানে কোরিয়া গিয়ে জমেছে'' চোখ টিপি

অঅসাম লিখেছেন।।।।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ভালো মানুষ। (কে হে? কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে আমাদের আউলার সার্কেলকে চেনো)

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ভালো মানুষ এর ছবি

চিনি বটে।
দিবা দা, সুব্রত দা,আভিদা,পার্থ দা আরও:)

বিবর্ন সময় এর ছবি

মন ছুঁয়ে গেল!

কতদিন বাড়ি যাই না। ফোনের এপাড় থেকে সাবধানে দীর্ঘশ্বাস ফেলি; ফোনের ওপাশে মা যে নিঃশব্দে কাঁদে ঠিক বুঝতে পারি। বলা হয় না কিছু, এ কান্না তো আমারি তৈরি; ফেরাও হয় না।

সব ছেড়ে দিয়ে যদি চলে যেতে পারতাম!

ভালো থাকবেন।

সজল এর ছবি

মাঝে মাঝেই ভাবি, আমাদের এ টানাপোড়েন কবে শেষ হবে। হয়তোবা দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে, কিংবা যখন বিজ্ঞানের এমন অভাবনীয় উন্নতি হবে যে দুই মেরুর মাঝে দূরত্ব এক ঘন্টায় নেমে আসবে। কিন্তু এখনকার জন্য, আসলে সব ছেড়ে চলে যাওয়া যায় না, আবার সব ফেলেও চলে আসা যায় না।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার লাগলো।

তিন বছর দেশে যাই না মন খারাপ এই সব পড়েই দিন কাটাতে হয়। ভিকারিয়াস থ্রিল বলে যাকে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই। দেশে না যাওয়ার অভিজ্ঞতা, আর দেশ থেকে চলে আসার অভিজ্ঞতা দুইটাই করুণ। ভালো থাকবেন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাসনীম এর ছবি

দেশে বেড়াতে যাওয়ার সব চেয়ে দুঃখময় অংশটা হোলো ফেরৎ আসা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সজল এর ছবি

পুরো একমত

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

যদিও আপনার মত দেশ ছেড়ে থাকার যন্ত্রনাটা আমি পাইনি তবু মন ছুঁয়ে গেল আপনার লেখাটা ।

ভালো থাকবেন ।

সজল এর ছবি

আশা করি, কখনো আপনাকে টের পেতে হবে না হাসি ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

দ্যা রিডার এর ছবি

বই মেলা ? হাসি

সজল এর ছবি

জানুয়ারীর মাঝামাঝি দেশ ছেড়েছি যে!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

আবার দেখা হবে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সজল এর ছবি

নিশ্চয়!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমি দেশেই থাকি। তবে ছেলেটা ছুটিতে দেশে আসলে কিছুদিন আমাদের সময় কাটে এক আনন্দময় পরিবেশে। কি ভাবে যে সময়টা ফুরিয়ে যায়, টেরই পাইনা। বিদায়ের সময় সে এক দুঃখঘন পরিস্থিতি। কয়েকদিন বিষন্নতায় কাটে। আপনার লেখায় সেই ছোঁয়াই পেলাম।

সজল এর ছবি

হুম, সব খানে একই গল্প। বিদায় সব সময় বিষণ্ণতার

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অদ্রোহ এর ছবি

আপনার সাথে টোটোগিরি ফস্কে গেল্‌ ভেবে আফসোস হচ্ছে। আউলায় এসে একটা ডাক দিতে পারতেন কিন্তু হাসি

আর এসব লেখা হয়তো আজ না হলেও কাল হয়তো আমাকেও লিখতে হবে মন খারাপ

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সজল এর ছবি

ভাবছিলাম সচলাড্ডায় দেখা হয়ে যাবে। ব্যাপার না, নেক্সট টাইম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাপস শর্মা এর ছবি

ছুঁয়ে যায়। প্রতিটি লাইনেই কেমন যেন একটা বিষণ্ণতা লুকিয়ে থাকে। বারবার একটা ধাক্কা দিয়ে যায়। শেষের দিকে একেবারেই…………….

শুভেচ্ছা রইলো।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ তাপসদা।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধুর মিয়া কী সব বালছাল লেখ? মন খারাপ কইরা দেও? এইসব ঠিকনা কইলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সজল এর ছবি

মন খারাপ দাঁড়াও, একটা সিরিকাস রম্য লিখতেছি!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

অনেক অনেক বছর পরে, ভবিষ্যতের মানব সমাজ মাছের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পিছনে যখন নানা থিওরি দেবে, তারা কি এর সাথে আমার বাংলাদেশ সফরের যোগসূত্র খুঁজে পাবে?

হো হো হো

আমি বুঝে গেছি মানুষের চেয়ে কোন জায়গা কোন দিন প্রিয় হতে পারে না।

চলুক

অনেক দিন ধরেই তো বাইরের দুনিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের মানুষদের পেছনে ফেলে হাঁটছি, সাময়িক গতি কমিয়ে শুধু শুধু মনকে স্বান্তনা দেয়া।

এই দুটো লাইনে ৫ তারা। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সজল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সাত্যকি. এর ছবি

আহ। কতদিন পর সজলদা !

সজল এর ছবি

হাসি পরীক্ষা শেষ?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আশফাক আহমেদ এর ছবি

অনেক অনেক বছর পরে, ভবিষ্যতের মানব সমাজ মাছের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পিছনে যখন নানা থিওরি দেবে, তারা কি এর সাথে আমার বাংলাদেশ সফরের যোগসূত্র খুঁজে পাবে?

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সজল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খুব ভালো লাগলো সজলদা, এত চমৎকার অভিব্যক্তি আর ব্যকুলতা গুলো!!! চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ কবি হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ফাহিম হাসান এর ছবি

মিঠা পানির মাছ এমনিতেই শেষ। হাওড় এলাকার এক মানুষ সমান উঁচা মাছ এখন আর দেখেন?

যাই হোক, লেখা সেইরকম চমৎকার। আপনি, তাসনীম্ভাই আর কৌ-ব্রাদার আমার প্রিয় রম্য লেখক।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আমার দোস্ত মন্তব্য পড়ে একটা ছড়া কাটলো -

কারণ ওদের রম্য
বড়ই বোধগম্য

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সজল এর ছবি

দেঁতো হাসি রম্য যদি বোধগম্যই না হয় তাইলে ক্যামনে কী!
মিঠা পানির মাছ এখনো যেসব জায়গায় নদীখেকোরা তেমন জাকিয়ে বসেনি, সেখানে পাওয়া যায়। আমার শহরের আশেপাশে গ্রাম প্রচুর, তার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর সংখ্যাও বেশুমার। তাই মিঠা পানির কিছু মাছ এখনো খেতে পারি। তবে এক মানুষ সমান মাছ মনে হয় এখন ইতিহাস। আমার বাবা মাঝে মাঝে হাওর কি নদী থেকে নিজের হাতে মাছ ধরার গল্প বলে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

বন্দনা এর ছবি

এমা আপনি এসে চলে ও গেলেন নাকি, আমি মাত্র আসলাম।
আমার মায়ের আমাকে মাছ খাওয়ানোর পর্ব শুরু হয়ে গেছে, সক্কালবেলায় দেখলাম শোলমাছ নিয়ে আসছেন।

সজল এর ছবি

শোল বেচারী দেঁতো হাসি
হুম, এক মাস হয়ে গেলো। এনজয় করেন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

দিহান এর ছবি

আবার আসুন তাড়াতাড়ি করে, বেশিদিন বিদেশ থাকলে পরে আর নানারকম মাছ ভালো লাগেনা।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

বন্দনা এর ছবি

দিহান আপু, আমার তো মাছ বেশ লাগে, বাইরে এটাই বেশি মিস করি,চিকেন খেতে খেতে আর ভালো লাগেনা। কাল্কে মেলাদিন পর টাকিমাছের ভর্তা খেয়েছি, কি যে স্বাদ ছিলো উফফ বোঝাতে পারবোনা।

সজল এর ছবি

একবারে চলে আসার আগে প্রতি বছরই আসব প্ল্যান আছে হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কৌস্তুভ এর ছবি

ভাই সজল, এমন লেখনী নিয়ে এমন দীর্ঘদিন চুপ মেরে মেরে থাকা কিন্তু বিশাল পাপ!

সজল এর ছবি

আমার আবার লেখনী খাইছে
আছি নানাবিধ সিরিয়াস ঝামেলায়, তাই...

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।