এটা হচ্ছে ডেসপারেট ব্লগ। মাথার ভিতর অজস্র আইডিয়া গিজগিজ করছে, শুধু লিখতে গেলেই মগজে লোড শেডিং শুরু হয়, পাশাপাশি দুইটা নিউরনের মাঝেও কোন বৈদ্যুতিক সিগনাল আদান প্রদান হয় না। ধান গাছের সাথে মানুষ প্রজাতির হৃদয়স্পর্শী প্রতারণা, শেষ নিয়ান্ডারথাল মানুষের মনের অবস্থা, সাইফাইএর সাথে মোগল ইতিহাসের ঘুটা দিয়ে রম্য, নতুন টেলিস্কোপ কিনে তার সাহায্যে মহাকাশের ধারাভাষ্য ইত্যাদি ইত্যাদি। ডিম্বাশয় পর্যন্ত পৌছাতে না পারা অজস্র শুক্রাণুর মতই আমার আইডিয়াগুলোর অকালমৃত্যু ঘটে চলেছে। তো কথা হচ্ছে, কোন রকমে ওয়ার্ডের দুইটা পৃষ্ঠা ভরাতে হবে। শুরু করা যাক।
বিবর্তনের বন্ধুর পথের পাথেয়ঃ
তখন সুদিন। আফ্রিকার ট্রপিক্যাল ফরেস্টের গাছে গাছে থোকা থোকা ফল। সমুদ্রের মাছ জীবন থেকে বিরতি নিয়ে বুকে হেঁটে ভূমিতে পৌঁছে তারপর গাছ বেয়ে বেয়ে ততদিনে আমরা আদিম পৃথিবীর বানর। এ গাছ থেকে ও গাছে ঝুলে ঝুলে, খোসা না ছাড়িয়ে নানা ফল খেয়ে আর মনের সুখে কিচিরমিচির করে পৃথিবীতেই হেভি মেটাল স্বর্গ নামিয়ে আমাদের দিন ভালোই যাচ্ছিলো। নীচের বিপথগামী বিবর্তনীয় কাজিনেরা (সিংহ, চিতা, জিরাফ, জেব্রা) খাদ্য-খাদকের নৃশংস পিরামিড গড়ে তুলছিল, কিন্তু সেটা আমাদের ছুতে পারেনি মোটেও। গাছের উপর আমাদের ভেজিটেরিয়ান জীবন ডিজনী সিনেমার মত সুখে শান্তিতে বয়ে যাচ্ছিলো।
তারপর যা হয়, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়। আফ্রিকা শুকাতে শুরু করল, ট্রপিক্যাল ফরেস্ট প্রায় ফুরিয়ে এলো। বিস্তর এলাকা জুড়ে তখন তৃণভূমি, কোথাও বা পুরোটা সবুজ মুছে গিয়ে মরুভূমি। গান্ধীর খড়মে হাঁটার দিন আমাদের ফুরিয়ে এলো, আফ্রিকার খোলা প্রান্তরে খুব বেশি হলে উকুন মারার উপযোগী নোখ আর ফলকাটা দাঁত নিয়ে বাঘ-সিংহ-চিতা ইত্যাদি শ্বাপদের সামনে আমাদের হিংস্র হওয়ার উপায়ও তেমন একটা বাকি ছিলো না। ভুল বিবর্তনীয় পথে বিনিয়োগের হাহাকার নিয়ে গ্রেইট এইপ হিসাবে দুনিয়ার বুক থেকে মুছে যাওয়াই আমাদের জন্য স্বাভাবিক পরিণতি ছিলো।
কিন্তু বিবর্তনের লীলা বুঝা বড় দায়। মিলিয়ন বছরের চারপায়ে হাঁটার ঐতিহ্যকে চোখের জলে বিদায় জানিয়ে আমরা একদিন দু’পায়ে উঠে দাঁড়ালাম। তারপর ছোট নোখ আর ভোতা হয়ে আসা ছোট ছোট দাঁত থাকা সত্ত্বেও একদিন আমরা অন্য প্রাণীদের শিকার করতে শুরু করলাম। মাছ থেকে যাত্রা শুরু করা আমরা আড়াই লাখ বছর আগে মানুষ হিসাবে আমাদের বিবর্তনীয় যাত্রা শেষ করি। তারপর আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের মাঝের সংযোগকারী মরুভূমিটি সামান্য সময়ের জন্য সবুজে ছেয়ে গেলে আফ্রিকা ছেড়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি বাকি পৃথিবীর উদ্দেশ্যে। তারপর নানা পথ বেয়ে, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে পৌঁছে যাই এশিয়া, ইউরোপ আর অ্যামেরিকায়।
এটা ভাবতেই অবাক লাগে, কীভাবে আমরা টিকে গিয়েছিলাম আফ্রিকার সাভানার হিংস্র প্রতিযোগিতায়! ব্যাপারটা জটিল আবার সহজও বটে। সব কিছুর জন্যে দায়ী আমাদের ঘাড়ের উপর বসানো সুগোল খুলি খানি, আরো স্পষ্ট করে বললে খুলির ভেতরের মস্তিষ্ক। শরীরের অনুপাতে আমাদের বাড়তি মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়েই আমাদের এই বিপদসংকুল বিবর্তনীয় পথ পাড়ি দিয়ে আজকের দুনিয়ার সব প্রাণী শেষ করে আশরাফুল মাখলুকাত সেজে বসা।
এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুঃ মস্তিষ্ক একেএ ব্রেইন
দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, এই দুর্দিনের সাথী মস্তিষ্ককে ভুলে যেতে বসেছে আজকের মানব সমাজ। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য খুলের সাথে লেপটে থাকা চুল আর চামড়া নিয়ে আদিখ্যেতার শেষ না থাকলেও খুলির ভেতরে থাকা মগজটুকুকে ব্যবহার করতে আমাদের তীব্র অনীহা। প্রমাণ চান? হালের কুদরত বুক (ফেসবুক)-এ শেয়ার দেয়া অজস্র সংবাদ এবং কুদরত থেকে বাছাই কিছু ক্যাটেগরি দেখাচ্ছি।
১। বিভৎস রকম বিকৃত হয়ে যাওয়া শিশুর ছবি শেয়ার দিয়ে কাতর মানবিক আহবানঃ “ফেসবুক বলেছে, এই ছবির প্রতিটি শেয়ারের জন্য ফেসবুক এক ডলার করে এই শিশুর চিকিৎসার জন্য ব্যয় করবে। শেয়ার করুন, মানুষ বাঁচান।”
২। যেকোন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায়, সে জনবিরল দক্ষিণ মেরূ হোক আর মানুষে গিজ গিজ করা আমাদের প্রিয় ঢাকা শহর হোক কিংবা নোবেল জয়ী নেত্রীর দেশ মিয়ানমারই হোক, কাতারে কাতারে হাজার হাজার লাশের ছবি। তার নীচে ক্যাপশন থাকবে, অমুক বর্বর তমুক মাসুমদের মেরে দুনিয়ার বুক থেকে মুছে দিচ্ছে।
৩। চাইনীজ ডিম। চাইনীজরা রাসায়নিকের সাহায্যে নকল ডিম বানিয়ে, সে নকল ডিমে বাজার সয়লাব করে দিচ্ছে। আশংকার কথা হচ্ছে, সেই নকল ডিম এখন ইরান-তুরান পেরিয়ে আমাদের দেশে এসে তার রাসায়নিক খোসা মেলে ধরেছে।
নানা কুদরতের কথা আর বললামই না, মহাজ্ঞানী চরম উদাস সে বিষয়ে নূরানী আলোকপাত করে গেছেন আগেই।
মস্তিষ্ক আর গুগল ব্যবহারের উদাহরণঃ
১ এর ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করা যাক। ফেসবুক নিশ্চয় দান খয়রাত খুলে বসেনি। আপনি যে ফ্রি ফেসবুক ব্যবহার করছেন, তাতে ফেসবুকের লাভ কী? ফেসবুকের লাভ হচ্ছে তারা নানা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ঠিকই আয় করে নিচ্ছে, আপনি যত বেশি ফেসবুক ব্যবহার করবেন, বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আয় তত বেশি। এখন দেখা যাক, চিকিৎসাধীন বিভৎস শরীরের শিশুর ছবি আপনি শেয়ার দিলে ফেসবুকের লাভ কী? বিভৎস ছবি আগ্রহ ভরে দেখার মানুষ পৃথিবীতে আছে সত্যি, কিন্তু বিশ্বাস করুন স্বাভাবিক মানুষের সংখ্যাই দুনিয়াতে বেশি। তাই এখান থেকে বিজ্ঞাপনজাত লাভের চিন্তা ফেসবুক করবে না।
বড় বড় কোম্পানি কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটির আওতায় জনসেবা করে। ধরা যাক, ওই শিশুর চিকিৎসায় ফেসবুক আসলেই টাকা দিতে চায়। তো সে টাকাটা তারা সরাসরি দিলেই পারে, আপনার ক্লিকে দুনিয়ার কারোই কিছু যাচ্ছে আসছেনা। অবশ্য ফেসবুকের এমন গোপন কোন নিয়ত আছে কিনা জানি না যে সে তার ব্যবহারকারীদের মানসিকভাবে অত্যাচার করবে।
তো কথা হচ্ছে, এই জিনিসটা যে হোক্স সেটা বুঝবেন কী করে? ব্যাপারটা সোজা, ঘাড়ের উপর যে প্রত্যঙ্গটা অলস বসে আছে, তাকে কাজে লাগান। সামান্য চিন্তা আর কান্ডজ্ঞানই পারে আপনাকে ছবি শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধুদের অত্যাচার করার হাত থেকে বাঁচাতে।
২ এর ব্যাপারে আগে চিন্তা করুন, এত এত লাশ আসে কোথা থেকে? ধরলাম সত্যি সত্যি এমন ঘটনা ঘটতেই পারে, তাহলে কোন না কোন মিডিয়ায়তো আসবেই। দুনিয়াতে ডানপন্থী মিডিয়া যেমন আছে, তেমনি আছে বামপন্থী মিডিয়া। ভয়েস অফ অ্যামেরিকা যেমন আছে, তেমনি আছে আল জাজিরা। সত্যি সংবাদটার কাছাকাছি হলেও কেউ না কেউ যাবে। আর এজন্য আপনার দরকার পড়বে একটা সাদামাটা ওয়েবসাইট, গুগলের। গুগলে সার্চ দিন এই ঘটনা সম্পর্কে, দেখুন কোন প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমে এই সংবাদ এসেছে কিনা। না পেলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধরে নিন, এই ধরনের খবর বা ছবি বানানো।
৩ এর ব্যাপারটা সত্যি হলে আশংকা জনক। আমার চাইনীজ অফিসমেট উইল একবার বলেছিলো, আমরা সবকিছুরই নকল বের করে ফেলতে পারি। ও অবশ্য বলেছিলো ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজন ইত্যাদি ওয়েবসাইটের কথা। তবে কে না জানে ওদের অসাধ্য তেমন কিছু নেই। এ সংক্রান্ত ছবি থেকে একবার চিন্তা করুন একটা ডিমকে ওভাল করে বানাতে কতটা মানবিক চেষ্টা দরকার। উৎপাদন খরচে পোষাবে তো? এই খবরকে সমর্থন করে এমন কোন সংবাদের খোঁজও পেলাম না গুগল করে। এক বন্ধু সিনহুয়া নেটের খবর দিয়ে প্রমাণ দিচ্ছিলো, সেই সিনহুয়ার ইংরেজী ভার্শনেই একটা খবর পেলাম যেখানে এই ধরনের ডিমের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ার কথা জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
আচ্ছা ধরা যাক, এই ধরনের ডীম চীনারা বানায়ই। তো, সেই ডিম যে বাংলাদেশে ঢুকছে, তার সপক্ষে কোন নিউজ এজেন্সির খবর দেখেছেন কেউ? কোন বাংলাদেশী পত্রিকায় এর খবর নেই, নেই কোন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। তাহলে কি এই গোপন খবর একজনের কাছে নাজিল হয়েছে?
পরিশেষেঃ
(এবার একটু রাজনৈতিক স্টাইলে বক্তৃতা হবে) বন্ধুরা, ফেসবুকে গিজগিজ করছে অসৎ, ধান্ধাবাজ গুজব রটনাকারী। আপনার কোমল, অব্যবহৃত মগজ তাদের চতুরতার সহজ শিকার। তাই এ থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান। ব্যবহার করুন আপনার পুরনো বন্ধু মস্তিষ্ক আর বরণ করুন নতুন বন্ধু গুগলকে।
* হোক্স-স্লেয়ার ওয়েব সাইটটাও বেশ কাজের। নেটে চলতি অনেক হোক্স সম্পর্কে এখানে জানা যাবে।
মন্তব্য
৫ তারা দিয়ে গেলাম। অনেক ভালো লাগলো পড়ে লেখাটা।
সেইদিন দেখলাম একজন শেয়ার দিসে, বাংলাদেশে কোথায় ৩২ বছর পর লাশ অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছবি ও দিছে। ধবধবে কাফনের কাপড় পড়া, সদ্য কবর থেকে তোলা লাশ, পাশে মানুষের ভিড়। পোস্টদাতাকে জিজ্ঞেস করলাম, যে মানুষটা নাহয় অনেক পুন্যবান তাই লাশ অবিকৃত; কিন্তু কাফনের কাপড় কি পুন্য করলো তার লাইফে? যে সেইটাও ৩২ বছরে পঁচে গেল না?
পোস্টাদাতারে আর দেখি না কোন উত্তর দিতে! মনে হয় ৩২ বছর পর দিবে উত্তর!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
এইটা একটা মজার খবর। আমাকে এটার লিংক দিয়ে এক বন্ধু তার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছিলো। খবরটা পড়ে দেখলামঃ
রিপোর্টার বলছে "তবে ইসলামী শরিয়ায় বাধ্যবাধকতা থাকায় লাশের মুখ কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি।" আবার খবরের শেষ দিকে বলা হচ্ছে, "এ বিষয়ে ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আবুল হাসান আনছারী বলেন, লাশের শরীর ও মুখ দেখে মনে হয় মানুষটি এই বুঝি ঘুমিয়ে গেল। "
তার মানে যারা দাবী করছে, তারা ঠিকই মুখ দেখছে। কিন্তু বাকিদের জন্য মুখ দেখা বারণ। এই রকম প্রমাণ থেকেই বুঝা যায় খবরের সত্যতা কতটুকু। আর আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা মাথা খাটাতে সবচেয়ে বেশি নারাজ। আপনি একটা দাবী করুন, সাথে সাথে ছেপে দেবেঃ আপনার দাবী শক্তির নিত্যতা সূত্র ভায়োলেট করে ফেলুক আর ফিজিক্সকে উলটে পালটে দিকে, সেটা তাদের কনসার্ন না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পুরোনো কবরে নতুন লাশ দাফন হয়নি তো?
এই হচ্ছে পুরো খবরের লিংক। এখানে বলতে চাচ্ছে পুরনো লাশের জন্য নতুন কবর।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লাশ নতুন হলে পুলিশে খবর দেয়া প্রয়োজন।
আরেকটা ভুল তথ্য মানুষকে শেয়ার করতে দেখলাম, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো নাকি ইচ্ছা করে ভোল্টেজ কমিয়ে সরবরাহ করছে। এতে করে বেশি কারেন্ট (অ্যাম্পিয়ারেজ) খরচ হয়ে নাকি বিল বেশি আসছে। বিদ্যুৎ বিল আসে এনার্জি মিটারের রিডিং থেকে, যেটা ভোল্টেজ, অ্যাম্পিয়ারেজ, পাওয়ার ফ্যাক্টর এবং সময়ের গুণফল মাপে। ভোল্টেজ কম হলে বাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ওয়াটেজ কখনোই বেশি হবে না। বরং লাইটিং লোড (ইনক্যানডেসেন্ট ল্যাম্প, ফ্লোরেসেন্ট ল্যাম্প) আর ইস্ত্রি, হিটার, এসব শক্তি কম খরচ করবে। তবে ফ্যান বা ফ্রিজের কনজামশন স্বাভাবিক ভোল্টেজে খরচ করা শক্তির কাছাকাছিই থাকবে অথবা কম হবে (এগুলোতে ইনডাকশন মোটর থাকে যেটা অপারেটিং রেঞ্জের একটা বড় অংশ জুড়ে কনস্ট্যান্ট পাওয়ার ডিভাইস হিসেবে আচরণ করে), কিন্তু বেশি কোনোভাবেই নয়।
এসব গুজব যে ছড়াচ্ছে, সে এনার্জিমিটারের সাথে অ্যামিটারের তফাতই জানে না। কিন্তু প্রকৌশলীরাও এই জিনিস অম্লানবদনে শেয়ার করে যাচ্ছেন। ব্যাপারটা পীড়াদায়ক।
সবচেয়ে মর্মঘাতি ব্যাপার হচ্ছে ইঞ্জিনীয়ার আর ডাক্তারদের মাঝ থেকেই এইসব উলটাপালটা জিনিস দেখতে হয়। আমার কেন জানি মনে হয় বেশিরভাগই বিজ্ঞানের জিনিসগুলো বইএ পড়ে, চাকুরীর প্রয়োজনে কখনো কখনো ম্যানুয়েল হিসেবে কাজেও লাগায়, কিন্তু কখনো উপলব্ধি করে না কিংবা বিশ্বাস করে না। তাদের একটাই প্রিমাইজঃ দুনিয়ায় সব কিছুই হতে পারে। নাইলে একজন ইঞ্জিনীয়ারের অ্যামিটারের মাপ দিয়ে বিদ্যুৎ বিল মাপার ধারণা করার মত ভুল করার কথা না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শিক্ষাকে আত্মস্থ না করে অনেকেই একে একটা টুল হিসেবে ব্যবহার করে। ক্রিকেট খেলতে গেলে যেমন আমরা পায়ে প্যাড পরি, কাঠের বল দিয়ে খেললে বিচিগার্ড লাগাই, হেলমেট পরি, আবার খেলা শেষে এগুলো বাসায় এক কোণায় রেখে দিই, সেরকমই প্রচুর লোকে চাকরি করার সময় "শিক্ষা"কে হাতেপায়েবিচিতে লাগিয়ে চাকরি করে, বাড়ি ফিরে শিক্ষাকে এক কোণে ডাম্প করে ফেসবুক খুলে হাগামুতা যা পায় শেয়ার করতে থাকে।
শিক্ষার সার্টিফিকেট আর জ্ঞানার্জন এক জিনিস না। এটা এদের দেখলেই বোঝা যায়, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াররা যেভাবে গুজব ছড়ায় দেখলে মনে হয় এরা বই খালি মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় বমি করে আসছে। এদের মগজের ধুসর পদার্থে তো কোনো আলোড়ন দেখিনা! আর যখনই কোনো প্রশ্ন করি যত্ন সহকারে এড়িয়ে যায়।
সত্যি আবুল!! কি বিচিত্র এই দেশ!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দরকারী পোস্ট
ভালো লেখসেন।
আপনি কি CSE '০৩ এর সজল?
হ্যা। আপনি?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি EEE '03।
লেখায়
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হুম কাজের পোস্ট দিছ সজল। কিন্তু লাভ হবে কি? সবার বিবর্তন হয়ত এখনও পূর্ণতা পায়নি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লাভ-ক্ষতি তাঁর হাতে। আমাদের চেষ্টাতো করে যেতে হবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেক দরকারি লেখা লিখেছেন। । স্বার্থান্বেষী এক শ্রেণী সর্বদায় যে সজাগ থেকে সুকৌশলে মগজ ধোলাই করার চেষ্টায় রত তা একেবারে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
অজস্র তারকা দিলাম লেখার জন্যে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেক কিছু বাদ গেসেঃ ১৪০০ বছরের হাতে লেখা জিনিস মানুষজন ইচ্ছামত নাড়তেছে, ঝকঝকে তরবারি, বদনা, রামসেতু! কিছুই বাদ নাই! সবকিছু আজকাল আরবী লেখার মত! ইসলাম শব্দটা থাকলেই সুভানাল্লা! শিক্ষিত-আর অশিক্ষিতের পার্থক্য খুব বেশি না আজকাল। দুনিয়া আসলেই পিছন দিকে যাচ্ছে! ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবানের প্ল্যান সাকসেকফুল হচ্ছে চোখের সামনে দেখতেছি
একটা প্রাসঙ্গিক লিংক!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
বেকুবীর এত নিদর্শন ছড়ানো আছে যে সবগুলোর উদাহরণ দিতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে। সময় নিয়ে লিখলে পরবর্তীতে অনেক কিছু কাভার করব।
৯গ্যাগের কার্টুনটা জটিল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ফেসবুক শেয়ার তো কমবয়সী অশিক্ষিত পোলাপানের কাম! আমি অন্তত ১০-১৫ জন ভূতত্ত্ববিদকে চিনি যারা আমেরিকায় পিএইচডি -পোস্টডক করছেন/করেছেন। জিওলজিক্যাল টাইমস্কেল তাদের ঠাঠা মুখস্ত কিন্তু বিশ্বাস করেন যে আদম-হাওয়ার আপেল খাওয়ার কারণেই আমরা দুনিয়ায় আসছি।
হে হে, আমার বেশিরভাগ ইঞ্জিনীয়ার বন্ধুই এটা বিশ্বাস করে। কুদরতি ব্যাপার আসলে ইঞ্জিনীয়াররা (পিএইচডি আর নন-পিএইচডি) সুর সুর করে "লাইনে" চলে আসে। আমার এখানে এক পোস্ট ডকের সাথে তো আমার জোকাররে নিয়ে ঝগড়াই হয়ে গেলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজলদা,
লেখার ধরণটা দারুণ লাগল।
নতুন বন্ধু গুগলও কম যায় না মাঝে মাঝে।
এই সেদিন আমার এক তবলীগী বড় ভাই বললেন," গণতন্ত্র একটা জঘন্য ব্যবস্থা এবং পৃথিবীর সব বড় বড় বিশেষজ্ঞরা একে প্রত্যাখ্যান করেছেন।"
আমি বললাম," তাহলে রেফারেন্স দিন, কোন সাইটে পেয়েছেন? স্ট্যানফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া?"
- না তুমি নেটে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবে।
- ও আচ্ছা, ঠিক আছে।
এই বুদ্ধি-প্রতিবন্ধীদের সাথে বাক্যব্যয় বেকার। তাই মৌনতা অবলম্বন করলাম। সুদীর্ঘ ৫ বছরের ডাক্তারিবিদ্যা, ১ বছরের সাকরেদী(ইন্টার্নশিপ) এবং ২ বছরের স্নাতকোত্তর শিক্ষা তাকে কিছুই শেখাতে পারে নি। তিনি তার পারিবারিক এবং পারিপার্শ্বিক তবলীগী শিক্ষা নিয়েই মত্ত। গণতন্ত্রে সবার জন্য একটি ভোট। এটা নাকি ঠিক না। একজন ডালখোর আর সার্জারির প্রফেসর- সবারই একটি ভোট। তাই ডালখোরদের নেতারাও ডালখোরই হন -ইত্যাদি ইত্যাদি!
মুক্তচিন্তা যে কী বস্তু- তা আমাদের শিক্ষিতসমাজ এখনো জানে না। গণতন্ত্রে অনেক দোষত্রুটি আছে, কিন্তু তবু মানুষের কণ্ঠ রুদ্ধ করা নির্মম স্বৈরতন্ত্র থেকে ভালো। ইসলামী খিলাফতে অজস্র অমানবিক বিষয় ছিল, যা সভ্য সমাজে অচল- এটা এরা কখনোই মানবেন না।
যতদিন মানুষ নিজে নিজে ভাবতে না শিখবে, ততদিনই এসব ফালতু প্রোপাগ্যান্ডা চলবে।
যেসব ডাক্তার বিবর্তন সম্পর্কে ভালোমত জানে না কিংবা মানে না ধরে ধরে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা দরকার।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বিষয়টা ভালো কিন্তু... এই লেখাটার জন্য গুগল কত দিলো?
(রেট বুঝে আমিও একটু ট্রাই দিতাম আর কি)
ধন্যবাদ লীলেন ভাই।
(গুগলে তো ধরেন নগদের কোন ব্যবস্থা নাই। তবে ওদের মারফতে "পাত্রী চাই" বিজ্ঞাপন দেব, ওই বাবদ পয়সা নেবে না।
আপনি আমাদের এমপিরা যেমন বিনা ট্যাক্সে গাড়ি এনে বিক্রি করে দেয়, সেই রকম থার্ড পার্টির কাছে বিজ্ঞাপনের স্লট বিক্রি করতে পারেন। )
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পাঁচতারা পোষ্ট।
কিন্তু গুগুলেও অনেক সময় বিভ্রান্তিকর লিংক থাকে।
আসলে সব কথার এক কথা, মানে খাঁটি কথাটিও আপনিই বলেছেন, আর সেটাই যথার্থ।
তা হল - মস্তিষ্কের ব্যবহার।
অবশ্যই গুগলে জাংক লিংক থাকবে। কিন্তু আমি বলছিলাম গুগল ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়ার লিংক খুঁজে বের করতে। আর মাথা খাটালেতো সব ঝামেলাই দূর।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এখন তর্ক করতে গেলে মাথা গরম হয়ে যায়, ক্লান্ত লাগে। তাই হাইড করেই চুপ থাকি। মাঝে মধ্যে দুই-চারটা গাইল দেই, তখন তারা আমারে আনফ্রেন্ড করে, মনে শান্তি পাই।
লেখা ভালৈছে, তবে সব বৃথা।
ব্যাপার না, দুই এক জন যদি লজ্জায় পড়েও মাথা খাটানো শুরু করে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পুরো দুনিয়ার মানুষই কি এভাবে আমাদের মত পেছনের দিকে যাচ্ছে?অন্যদের কথা নাহয় বাদ দিলাম,কিন্তু ডাক্তার,প্রকৌশলী,কিংবা বিজ্ঞানের ছাত্রদের মাঝে এই ধরনের কূপমন্ডুকতার নির্লজ্জ প্রকাশ দেখলে খুব অবাক লাগে!হিমুদার কথাই ঠিক আসলে--পড়াশুনাকে টাকা কামানোর জন্যে ব্যবহার করে এখন সব গুলে খেয়ে বসে আছে।খুব যন্ত্রণা লাগে এইসব দেখলে।তবে যন্ত্রণা প্রশমিত হয় যখন কেউ এইসবের বিরুদ্ধে লেখে।ধইন্না!!!!
বিজ্ঞানমনষ্কতা দরকার স্কুল লাইফ থেকেই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হোক্স স্লেয়ার দিয়া কয়েকজনার স্ক্র টাইট দিছিলাম, তয় এক জনে সব দেইখা শুইনা কমেন্টাইছিল বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। এগো লইয়া দুঃখ করা ছাড়া কিছু দেহিনা।
এরা শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্বাস করেই যাবে। নিরাময়ের অতীত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বিবর্তনের অনুইতিহাস ভাল হয়েছে। ভাল লেগেছেও।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ এমন চমৎকার লেখার জন্য
লুব্ধক০১
ধন্যবাদ লুব্ধক।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খোমাখাতায় লিমিটেড আর সিলেক্টেড বন্ধুতালিকা রাখতে পারলে এই ধরনের রেয়ার শেয়ার থেকে অনায়াসেই দূরে থাকা যায়।
- আল ধুগো
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাণীটা চমৎকার :)।
কিন্তু সমস্যা হইল বাস্তব জীবনে ভালো মত চেনাদের মাঝ থেকেও এসব শেয়ার যথেষ্ট আসে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এইসব বলে কুনো লাভ নাই! বলদs will be বলদs.
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বলদ বলে কি একটু সহানুভূতি পেতে পারে না?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্রয়োজনীয় লেখা।
বন্ধুবান্ধব দুই প্রকার -
১। এনালগ বন্ধু (বাস্তবে যাদের চেহারা দেখছেন)
২। ডিজিটাল বন্ধু (যাদের শুধু তুমি কি কেবলি ছবি দেখেছেন - যেমন আমি)
সকল ডিজিটাল বন্ধু যেমন এনালগ না, তেমনি সকল এনালগ বন্ধুদের ডিজিটাল হবার সৌভাগ্য নাও থাকতে পারে। আমি আমার কাছের বন্ধুদের দুই একজনকে ফেসবুক থেকে অবলীলায় ডিলিট মারছি বিকৃত শিশু ও ১০১ বার শেয়ার না দিলে গুনাহ হবে টাইপের পোস্ট দেয়ার জন্য। তারা এখনো আমার কাছের বন্ধুই, তবে এনালগ। তাঁদের সাথে যোগাযোগের ১০১ টা উপায় আছে, ফেসবুকে না রাখলেও চলে। তবে মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য দুই একটা এক্সুসিভ পিস কে রেখে দিতে পারেন
ধন্যবাদ
এটা একটা ভালো সমাধান। দেখি, কয়েকজনকে ওয়াচে রাখতে হবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কমেন্টে পাঁচ তারা।
আমার অতিপরিচিত এবং একসময়ের অতি কাছের বাল্যবন্ধুদের কয়েকজন ফেবু Restricted লিস্টে ঢুকেছে এইসব কিছু কারণে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ ইমা।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শুরুয়াদের ইতিহাসের জন্য সারা রাত গুলি করার চিন্তা করছি, ঐ পর্ব
কিন্তু ভাইডি, যারা মস্তিস্কের ওতটুকু ব্যবহারও করে না, তারা কি এই পোস্ট পড়ার সময় পাবে!
facebook
বুম বুম!
আমাদের বিবর্তনের ইতিহাস আমার এত প্রিয় যে এ বিষয়ে খোঁজ পাওয়া যে কোন ডকুমেন্টারী বা বই প্রোগ্রাসে গিলে ফেলি।
অবস্থা পাল্টাবে, যত ধীরেই হোক না কেন। আমি আশাবাদী।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পথিক পরাণ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমার মনে হচ্ছে গত দশক পর্যন্ত আমরা বিবর্তনের সর্বোচ্চ ধারায় ছিলাম। এখন আবার উলটো রথে হাটা দিচ্ছি।
মানুষের বিবর্তন কি আর এত স্বল্প সময়ে দৃষ্টিগ্রাহ্য পরিমাণে ঘটেরে ব্রাদার
জ্ঞান-বিজ্ঞানে স্থবিরতা আসেই, আবার রেঁনেসাও ঘটে। হতাশার কিছু নেই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সইত্য কথা। তয় এবারেরটা একটু কম মজারু হইছে।
ওরে, সিরিয়াস বিষয়ে এত মজা খুঁজলে হবে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই লেখা এত পরে চোখে পড়লো!!!!! খুব দরকারী একটা পোষ্ট।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছি।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সচলাভিনন্দন সজলদা।
ধন্যবাদ অলি অনেকদিন কোন লেখা দেখি না যে?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই ধরনের ব্যাপারগুলা আসলেই বিরক্তিকর। আমি এখন যেটা করি, ফেসবুকে যেসব বন্ধুরা এইসব শেয়ার দেয়, নিউজফিডে তাদের হাইড করে রাখি। যেগুলা উল্লেখ করলেন, এগুলা তো বটেই, ধর্মীয় শেয়ারগুলাও তো আছেই। চাঁদ থেকে খালি চোখে কাবা ঘর দেখা যায়, সুনিতা উইলিয়ামস মুসলমান হয়ে গেছে, ব্লা ব্লা। লোকজন একটু মাথা খাটায়ও না। যা পায়, তাই শেয়ার করে আজকাল।
পূর্ণ সচলত্ব প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন।
মনে রাখতে হবে এরা সমাজেরই অংশ
অনেক ধনবাদ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নতুন মন্তব্য করুন