মারফির জগতে এক দিন

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: বুধ, ১১/০৭/২০১২ - ৫:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“Anything that can go wrong, will go wrong” – মারফির সূত্র

১। দিনের স্বাভাবিক শুরু
ঘুম থেকে ওঠার পনেরো মিনিটের মাঝে পরের বাসটা পাওয়া মানে হচ্ছে একটি সুন্দর দিনের সূচনা, যা শুরু হতে পারে সকাল দশটা কি দুপুর বারোটায়। শনিবার জুড়ে চলে বাস নীরবতা, তাই ঘুম থেকে ওঠার দেড় ঘন্টার মাঝে কোন বাস নেই। ফেসবুকে রাজা-উজির মেরে সময় কাটাই। সপ্তাহখানেক ধরে ক্ষেপে থাকা সূর্যের নীচে সাইকেল ঠেলে বাসস্টপে পৌঁছালাম, তারপর সাইকেল বাসে ঝুলিয়ে ডিপার্টমেন্ট। দুই মাসে তিন বার বাসে সাইকেল ফেলে আসার পর সাইকেল না ভুলে যাওয়াই সাফল্যের নতুন মাপকাঠি, টানা এক সপ্তাহ জুড়ে সেই সাফল্য ধরে রাখি।

কাবাব বানানো গরমে বাসা থেকে বেরোনোর উদ্দেশ্য মহৎ। সম্প্রতিই আবিষ্কার করেছি, গত সামারে ঝোঁকের মাথায় করা বার্নস এন্ড নোবলসের সদস্য কার্ডটার মেয়াদ ডিসেম্বার পর্যন্ত আছে, সেটা কাজে লাগিয়ে কয়েকটা বই কম দামে কিনা। গত সপ্তাহে বই কিনতে গিয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে স্টার ওয়ার্সের মাস্টার ইয়োডার একটা খেলনা কিনে এনেছি। মূলত গাড়ীর সামনে বসে অনবরত মাথা নেড়ে দুনিয়ার সব কিছুকে না করার জন্য ইয়োডাকে বানানো হয়েছে, কিন্তু আমার তো গাড়ী নেই, তাই স্প্রিং-এর উপর বসানো বেচারার মাথাকে মাঝে মাঝে জোড় করে ঘুরিয়ে দেই। অক্ষম ইয়োডা কিছুক্ষণ মাথা নেড়ে ব্যাপারটার প্রতিবাদ জানাতে থাকে।

শপিং মলের উদ্দেশ্যে বাস আসতে এক ঘন্টা বাকি, এর ফাঁকে দিনের প্রথম খাবারটা সেরে নেয়ার নিয়ত নিয়ে গেলাম স্থানীয় বার্গার শপ বানজ এ। বিশালদেহী ওয়েট্রেস হ্যালো সুইটহার্ট বলে অভ্যর্থনা জানায়। নিয়মিত যাই বলে আমার অর্ডার মোটামুটি কয়েকজনের মুখস্ত। কিন্তু আজকে নতুন ওয়েটার মরিসিও অর্ডার নেয়, আমার কিম্ভূত উচ্চারণে অর্ডার বুঝতে না পেরে, জোয়ির মত কাঁধ ঝুলিয়ে বলে, “কী করব বলো, আমি নতুন!”

বিশাল বার্গার আর কেজি খানেক আলুভাজা খেয়ে ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসে, তাই অফিসের পাশে কনফারেন্স রুমে গিয়ে একটু গড়িয়ে নেই, ততক্ষণে ঘন্টার কাটা দুই ঘর এগিয়ে গেছে। বই এর দোকানে যাওয়ার এখানেই ইতি।

২। মারফির জগৎ
সন্ধ্যায় জাকারিয়া ভাইয়ের বাসায় দাওয়াত, উনি রাইড দেয়ার জন্য ছটার দিকে হাজির পিচ্চি ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে। উইকএন্ডে ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং দুই ধাপে ইলেকট্রনিক ভাবে লকড হয়ে থাকে, আর অফিসের ম্যানুয়েল তালাতো আছেই। তাই, অফিস থেকে বের হওয়ার সময় চাবি এবং পাস সামলে সুমলে বের হওয়াটা খুবই আবশ্যক। খুব চিন্তাভাবনা করে চাবি পকেটে নিয়ে মূল ফটকের দিকে এগোচ্ছি। বাইরের গেটটা পিছিয়ে গিয়ে নিজে নিজে লক হয়ে যাবে, কয়েক ইঞ্চি মাত্র বাকি। এমন সময় বিদ্যুতচমকের মত মনে পড়লো বিল্ডিং এ ঢুকার পাস অফিসে রেখেই বের হয়ে গেছি। দুর্দান্ত রিফ্লেক্স দেখিয়ে দরজা আটকালাম ইঞ্চি খানেক আগে। তারপর যখন বুঝে দেখলাম, লবি থেকে মূল বিল্ডিং এ ঢুকতে এখনো পাসের দরকার, সাথে সাথে তাবৎ জগৎ সংসার যে মায়া দিয়ে তৈরী সেটা বুঝে এত কষ্টে আটকানো গেটটা ছেড়ে দিলাম।

এর আগে একবার চাবি হারিয়েছিলাম, ঘন্টা কয়েক পরে একটা সাবমিশন ছিলো, তাই ব্যাপারটাকে ইমার্জেন্সি হিসাবে নিজে প্রবোধ দিয়ে ৯১১ এ কল দিয়ে দিয়েছিলাম। এবারের ব্যাপারটাকে ঠিক তা বলা যাচ্ছে না, তাই পুলিশের রেগুলার লাইনে কল দিয়ে সাহায্য চাইলাম। পুলিশের সব কিছুই ভালো, যন্ত্রণা হচ্ছে স্টুডেন্ট নাম্বার জানতে চায়। আরে বাবা, যে ৯ ডিজিটের স্টুডেন্ট নাম্বার মনে রাখতে পারে, সে চাবি টাবি ভুলে যাবে কেন? আধো আত্মবিশ্বাসে ভর করে স্টুডেন্ট নাম্বার বলে গিয়ে সম্ভাব্যতার নানা থিওরির দোহাই দিতে থাকলে, স্টুডেন্ট নাম্বার মিলে যায়।

আধাঘন্টা পরে ডিপার্টমেন্টে ঢুকি। দাওয়াতে যাওয়ার আগে পাকস্থলীর রিফরম্যাটিং একটি অবশ্য পালনীয় আচার। গ্র্যাড লাউঞ্জে গিয়ে জাকারিয়া ভাইএর সাথে পিংপং খেলা শুরু করি। দুই পিচ্চি ততক্ষণে জিগ’স পাজল, উই, ডার্ট বোর্ড, ফুজবল ইত্যাদি খেলনার মাঝ থেকে সশস্ত্রটাই বেছে নেয়। বড় পিচ্চি ডার্টবোর্ডে ডার্ট ছুড়তে থাকে, আর ছোটটা বিহ্বল হয়ে ঠিক ডার্টবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বোনের কীর্তি দেখতে থাকে। খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার, সামনে জীবন্ত লক্ষ্যবস্তু না থাকলে ডার্ট ছুঁড়ে ফায়দা কী? ভিলেনের মত ছোটটাকে ডার্টবোর্ডের সামনে থেকে সরিয়ে দেই। সে আকর্ষণীয় কিছু খুঁজে না পেয়ে কোথা থেকে একটা হাতুড়ী পেয়ে সেটা নিয়ে খেলতে থাকে। হাতুড়ী কম্পিউটার সায়েন্টিস্টদের কী কাজে লাগে, সেটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারলাম না। তাও রিক্রিয়েশন রূমে!

৩। প্রায় পারফেক্ট ছুটির দিন
বিশেষ রান্নাপটু হওয়ায় অথেন্টিক বাঙালি খাবারের জন্য এই দাওয়াতটাই আমার ভরসা, তাই পাকস্থলীর শেষ বর্গ অ্যাংস্ট্রম পর্যন্ত অবাধে খাবার গিলতে থাকি। খাবারের বর্ণনা দিচ্ছিনা, অনলাইনে খাবারের বর্ণনা দিয়ে ফেলো হিউম্যান বিংকে অত্যাচার করার মত পাষণ্ড আমি নই।

দাওয়াতের পরই ছুটি দুই বন্ধুর সাথে সিনেমা দেখতে। ফ্যামিলি গাইএর নির্মাতা সিনেমা বানিয়েছে, টেড। বড়দিনের উইশে জীবন্ত হয়ে এক টেডিবীয়ার সারা সিনেম জুড়ে এমন সব বড়দের কাজ-“কাম” করতে থাকে, যা দেখলে দুনিয়ার সব সত্যিকার বীয়ার তাদের জীবনে কিছুই করা হলোনা ভেবে দলেদলে আত্মহত্যা করতে পারে। ফ্যামিলি গাইএর মতই নানা জোক্স, সবাই অল্পবিস্তর হাসে। কিন্তু আমার ঠিক পিছনের এক দর্শকের হাস্যরস উপভোগের ক্ষমতা অসীম, আর হাসির শব্দ মাপার স্কেল আজো বের হয়নি। তার হাসির উপর অগাধ বিশ্বাস রেখে আমি নিজের সেন্স অফ হিউমারকে মিউট করে রাখি, ঠিক জানি হাসির দৃশ্যে ওই ভদ্রলোক ঠিক জানিয়ে দেবে। ইহুদীদের নিয়ে কিছু রসিকতা করা হয়, সঠিক ব্যাকগ্রাউন্ড জ্ঞানের অভাবেই হয়ত রস অনুধাবনে ব্যর্থ হই। সিনেমার কুশীলবেরা বদহজমে ভুগছেন, কারণ মাঝে মাঝেই মানব বায়ু নির্গমন নিয়ে কিছু হাসির সিকুয়েন্স। আমার একবার ক্ষীন সন্দেহ হলো, শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আহমেদ চিত্রনাট্য রচনায় অংশ নিয়েছেন হয়ত।

৪। হায় মারফি, আবারো!
সিনেমা শেষে বাসায় ফেরামাত্র পাশের শহরের বাদলদা আর রাফির ফোন। ডিরেকশন দেয়ায় আমার দক্ষতা এতটাই যে আগেরবার বাদলদাকে পনেরো মিনিটের পথের ডিরেকশন দিয়ে দুই ঘন্টা ঘুরিয়েছিলাম। এবার তাই ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত আসার ডিরেকশন দিয়ে, নিজে হাজির হই ডিপার্টমেন্টে। ডাউনটাউনে পৌঁছে দুই ভদ্রলোক চ্যাপেল হিলের উচ্ছল বালিকাদের দেখে লুল ঝরাতে ঝরাতে আমাকে কল দিলে, অফিস থেকে বের হই। বিকালেই ওয়ালেট ফেলে বেরিয়েছিলাম, এবার তাই বার বার চেক করে নেই ওয়ালেট আর পাস সাথে নিয়ে বেরিয়েছি কিনা।

তারপর সফলতার সাথে বাসায় পৌঁছে তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছাড়ি। এবার রাস্তা চেনাতে ভুল করিনি এবং ওয়ালেট ভুলে ফেলে আসিনি। মনে হলো, আমি সত্যি সত্যি ম্যাচিওরড হয়ে যাচ্ছি। তারপর দরজা খুলার জন্য পকেটে হাত দিয়ে দেখি, চাবি নেই!

কী আর করা আবার ডিপার্টমেন্টে পৌঁছাই, অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আবার পুলিশকে ফোন দেই। নিজের নাম আর বিল্ডিং এর নাম বলামাত্র পুলিশ অফিসার সুজান গলায় একটু উষ্মা ঢেলে দিয়ে বলে, “ইউ স্যার, এগেইন!”। মনে হলো একবার বলি, সুইট হার্ট তোমার গলার স্বর শোনার জন্যই ফোন দেয়া। কিন্তু অভিজ্ঞ লোক মাত্রেই জানেন, দেশে দেশে যুগে যুগে পুলিশ বিপদজনক প্রাণী। তাই করুণ কণ্ঠে বলি, “কী করব বলো? আমি ডিসগাস্টিং, আমি খালি ভুলে যাই।“

ফুটনোটঃ
পোস্ট করতে গিয়ে খেয়াল হলো, এই লেখা মডারেশনে যাবে না। পোস্ট করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করার উত্তেজনা আর বিরক্তির দিনের অবসান! একই সাথে, কেউ লেখা নিয়ে সমালোচনা করলে "মডুদের পিটান, ওরা লেখা ছাড়ল কেন" বলে বেঁচে যাওয়ার সুযোগও হাওয়া। দুনিয়াতে অবিমিশ্র সুখ বলে আসলেই কিছু নাই। সচল হওয়া উপলক্ষে একটা বাণী দেব ভাবছিলাম, কিন্তু আমার নোবেল অ্যাক্সেপ্টেন্স বক্তৃতার স্ক্রিপ্ট এই মূহুর্তে খুঁজে পাচ্ছি না!


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

অভিনন্দন হে ছোঁড়া!

তবে মনে হচ্ছে সজলের জীবনে একটা মডু লাগবে, একজন উচ্ছলা তরুণী মডু...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

একজন উচ্ছলা তরুণী মডু

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
"ওই পাতে দই" বলে আর কত দিন চালাবে?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

আট্টু বড় হয়ে নিই, দুটোর জন্যেই ঘটকালি করুম নে। খাইছে দেঁতো হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হুম সচল হয়েই গেলা! অভিনন্দন। লেখা সুখপাঠ্য।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ শান্ত। তোমারো আর বেশি দিন লাগবে না মনে হয় (আমার দুই বছরের উপর লাগলো খাইছে )

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হে হে, হিংসায় জ্বলেপুড়ে অপেক্ষায় আছি শয়তানী হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শিশিরকণা এর ছবি

এইগুলা পড়লে মনে অহ্য , আরে! ব্লগর ব্লগর করেও ত্তো ফাঁকিবাজের লিস্ট থেকে নাম কাটাতে পারি। কিন্তু আমি তো আসলেই ফাঁকিবাজ, ঐটাই আমার উপযুক্ত জায়গা।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
ইয়ে, আমিতো এইগুলাই লিখি। আমার ব্লগের মনে হয় ৭০ ভাগই ব্লগরব্লগর।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

স্যাম এর ছবি

চলুক ! অভিনন্দন !!

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ স্যাম হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ফাহিম হাসান এর ছবি

অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনার শুষ্ক কৌতুকের বিশেষ ভক্ত আমি দেঁতো হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ দেঁতো হাসি
কিন্তু আপনি উধাও কেন?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

হ।
ফাহিম্ভাই, জলদি পোস্টান! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বন্দনা এর ছবি

সচলত্তের অভিনন্দন সজল।তোমার তো ব্যাপক ভুলোমন দেখছিরে, আমি নিজে ও কম যাইনা মাঝেমাঝে , আজকে সকালে ও অফিস এর জন্য রাস্তায় বেরিয়ে আবার ফিরে গেছি ডোরলক করেছি কিনা সেটা চেক করবার জন্য মন খারাপ

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
ব্যাপার না। আইনস্টাইনও ভুলোমন ছিলেন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

অনেক অনেক অভিনন্দন সজল।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ বাপ্পী হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তানিম এহসান এর ছবি

অভিনন্দন হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

শাব্দিক এর ছবি

সচলত্বে্ অভিনন্দন। হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ শাব্দিক।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ওডিন এর ছবি

অভিনন্দন সজল! হাততালি

মডারেশন যখন এতই মিস করছেন, প্রার্থনা করি আপনার জীবনে অচিরেই একজন দুষ্টুমিষ্টি তরুণী মডুর আগমন হোক শয়তানী হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ওডিন হাসি
"দুষ্টু মিষ্টি তরুণী মডু" আহা, লিখতে গিয়েই মনটা উদাস হয়ে গেলো।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

সচলত্বে অভিনন্দন সজল ভাই দেঁতো হাসি
লেখা পইড়া ভাবতেছি "উচ্চ"শিক্ষা অর্জনের পথ ধরাটা ঠিক হবে কিনা ইয়ে, মানে...

---------------------
আমার ফ্লিকার

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ অনিক। উচ্চশিক্ষার জন্য প্যাশন থাকলে পথ ধরতে পারো হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অভিনন্দন। হাসি লেখা, বিশেষ করে বিশেষ বিশেষ ভুলগুলোর সম্পর্কে বিশেষ বিবরণ ভাল লেগেছে। তবে এই ভুলগুলোর কথা যে মনে থাকে এটা কিন্তু ব্যতিক্রম। আপনার যা ভুলোমন, এগুলোওতো ভুলে যাবার কথা।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ মুরুব্বী হাসি
মনে রাখার টেকনিক আছে, বেশিরভাগ সময় কাজ করে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সচল হওয়ায় এই নিন এক গোছা রজনীগন্ধা। হাসি
ব্লগরব্লগর পড়তেই বেশি ভাল্লাগে আমার।
আর জানিয়ে রাখি, আপনার লেখায় সেন্স অফ হিউমারের মাত্রাটা আমার ভীষণ পছন্দ। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ইয়াসির এর ছবি

আর জানিয়ে রাখি, আপনার লেখায় সেন্স অফ হিউমারের মাত্রাটা আমার ভীষণ পছন্দ

এই কথাটাই বলব ভাবছিলাম, আপনি লিখে দিলেন। যা হোক, একমত হতে তো আর অসুবিধে নেই হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সেইটাই। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সজল এর ছবি

আপনারেও ধন্যবাদ হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ শিমুলাপা হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অভিনন্দন সজল! বাকীটা পরে এসে কই। এখনো পোষ্ট পড়িনি দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে হাসি
হ, সময় নিয়ে পড়েন, এই ব্লগ তাড়াহুড়া করে পড়ার জিনিস না চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

অভিনন্দন!!!

লেখাটা ভালো লেগেছে।

আসমা খান, অটোয়া

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ আসমা খান। আশা করি সুস্থ আছেন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কড়িকাঠুরে এর ছবি

অভিনন্দন... হাততালি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ কাঠুরে। বেশি গাছ কাইটেন না, এমনিতেই পরিবেশ হুমকীর মুখে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কড়িকাঠুরে এর ছবি

আমি গাছ কাটি- অ্যাঁ

সজল এর ছবি

কাঠুরে গাছ কাটে, এটা ধরে নিয়ে বললাম আর কি। কড়িকাঠুরে মানে আসলে কী?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কড়িকাঠুরে এর ছবি

দেঁতো হাসি -আমি জানি না...

কোনো কিছুর নাম দেয়া নিয়ে আমি খুব চিপার মধ্যে থাকি । কী নাম দেবো- সব সময় এই নিয়ে সমস্যার মধ্যে পরে যাই । আমার নিক এর ক্ষেত্রেও এটা হয়েছিল ।

"কড়ি দিয়ে কিনলাম" - আমার অনেক প্রিয় একটি বই- সেখান থেকেই "কড়ি" আর সাথে হটাৎ করে "কাঠুরে" জুড়ে দিয়ে এই নাম । আদৌ কোনো মানে আছে কিনা জানা নেই ।

এইতো...

ইয়াসির এর ছবি

চমৎকার লাগলো ব্লগরব্লগর লেখা -গুড়- হয়েছে

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ইয়াসির।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

পূর্ণ সচল হওয়া উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

সাইকেলের মত এত বড় জিনিসটা দুই মাসে তিনবার কেমন করে বাসে ফেলে আসলেন, সেটা ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছি না চিন্তিত

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই হাসি
এই প্রশ্ন নিজেরে করছিলাম প্রথম বার ফেলে আসার পর।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

অভিনন্দন আপনাকে। হাততালি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ প্রদীপ্তময়।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সত্যপীর এর ছবি

চমৎকার ব্লগরব্লগর। আরো চমৎকার ফুটনোটের স্পীচ। কইষা পাঁচতারা।

..................................................................
#Banshibir.

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ পীরসাহেব হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাপস শর্মা এর ছবি

সজল ভায়ার ব্লগর ব্লগর বরাবরের মতো দুর্দান্তিস, ইয়ে মানে সজলান্তিসও হতে পারে খাইছে

এনি ওয়ে, অভিনন্দন ভায়া, সচলত্বের শুভেচ্ছা।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ তাপসদা হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অমি_বন্যা এর ছবি

'মারফিস ল' বলে যে কথাটা তা নিজের জিবনে ঘটে নাই এরকম লোকের দেখা পাওয়া হয়ত কষ্টের । যেই ভুল যত বেশী এড়ানোর চেষ্টা করা হবে সেইটাই আরও বেশী করে ঘটে ।

হাইস্কুলে আমাদের ইংরেজি স্যার ছিলেন খুব কড়া । টেক্সট বুক না নিয়ে ক্লাসে যাওয়া ছিল মহা অন্যায়। আর এই অন্যায়ের শাস্তি হিসেবে তার কয়েক মণ ওজনের শক্ত হাতের কষা চড় । তাই তার ক্লাসের বই নেয়া ছিল একেবারেই ফরজ। একদিন তার ক্লাসে বই বের করতে বললে টেক্সট বুক বের করেছিলাম । এরপর হোম ওয়ার্কের খাতা চাইলেন। এইত আর বের করে দেখাতে পারিনা। কারণ অতি সতর্কতার সাথে ব্যাগে বই ঢোকাতে যেয়ে খাতা ভুলে ফেলে এসেছিলাম । খাইছে

এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে। প্রতিদিনই কিছু ঘটছে । মারফির সুত্র আসলেই একটা সূত্র !

অনেক ভালো লাগলো সজল ভাই। আবারো অভিনন্দন।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ অমি_বন্যা ভাই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অরফিয়াস এর ছবি

সচল হইছ সেইদিন দেখছি, কিন্তু কিছু কই নাই, শয়তানী হাসি লেখার অপেক্ষায় ছিলাম, হে হে !!

সচলাভিনন্দন হাততালি গুল্লি উত্তম জাঝা! কোলাকুলি

দুনিয়াটাই মোহমায়ায় ভরা !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সজল এর ছবি

আপনারেও অভিনন্দন হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আপনাকেও অভিনন্দন।
দেইখেন মায়ার বাঁধনে জড়ায়েন না যেন। দেঁতো হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

হে হে ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

অভিনন্দন আপনাকে।চমৎকার লেখা॥

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ক্রেসিডা হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুমাদ্রী এর ছবি

অভিনন্দন। সবাই ভুলোমনা হওয়া শুরু করে বোধয় বিয়ে করার অজুহাত খোঁজার জন্যই। আর বিয়েটা করে ফেলার পর ঐ ঘটনাটা ভুলে যাওয়ার জন্য আকুলি-বিকুলি করে বেড়ায়।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সজল এর ছবি

হে হে। তাইলে বলতে হবে আমি ক্লাস টু থেকেই বিয়ের জন্য উতলা হয়ে আছি চোখ টিপি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

গৌতম এর ছবি

অভিনন্দন জানানোর কিছু নাই, সচল হতেনই, হয় এই শুক্কুরবার, নয় ওই শুক্কুরবার। জানানোর বিষয়টা হইলে যে, আপনার কিবোর্ডটা বান্ধায়া রাখা দরকার- কতো সুন্দর সুন্দর লেখা বের হয় ওইটা দিয়া! হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সজল এর ছবি

হে হে, সবই ফন্টের গুণ!
ধন্যবাদ গৌতমদা।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আশালতা এর ছবি

অভিনন্দন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ঠাম্মি!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

সচলাভিনন্দন! হাসি
বাচ্চালোগ, তালিয়া বাজাও... খাইছে হাততালি চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ রিফাত হাসি [বাচ্চালোগ বলার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে যে]

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

পথিক পরাণ এর ছবি

সচলাভিনন্দন।

বেচারা মারফি মনে হয় আমাদের গোপালের দুর্ভাগ্যের কথা শুনে থাকবে-

কই যাওরে গোপাল
সঙ্গে যাবে কপাল--

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ পথিক। এটাকে গোপালের সূত্র হিসেবে রিনেম করা যায়।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

জুন এর ছবি

অভিনন্দন। আপনার ব্লগর ব্লগর পড়তেও বেশ মজা। কাজেই ব্লগর ব্লগর লিখতে আবার ভুলে যেয়েন না যেন। হাততালি

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ জুন। আপনার লেখা পড়েছি বলে মনে পড়ছে না, লিখুন।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তাসনীম এর ছবি

সচলত্বে অভিনন্দন।

মারফি আশির্বাদপুষ্ট দিন প্রায়ই আসে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। মারফির হাত থেকে মুক্তি নাই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

বাহ!! আপনি তো চমত্কার লেখেন! উপভোগ্য হাস্যরস হাসি

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ সৃষ্টিছাড়া। হাস্যরস করা বেশ কঠিন হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

লেখাটা চমৎকার, আমারও এমন ভুলে যাওয়ার অসংখ্য স্মৃতি আছে। এই যেমন মেট্রোতে উঠে নিজের বাসার স্টপেজের নাম ভুলে যাই, পাস ফব ফেলে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়, শেষে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আরেকটা যন্ত্রণা চশমা তো আছেই, ঐটা ভুলে কোথায় রাখি নিজেও জানি না, শেষে আরেকটা চশমা দিয়ে চশমা খুঁজতে হয়, আবার দেখা যায় চশমা খুলে রেখেছি, তারপরেও চোখ থেকে অদৃশ্য কিছু একটা খোলার চেষ্টা করি।

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ রিয়েল ডেমোন। ভাগ্যিস আমার চশমা পড়তে হয় না, একটা সম্ভাব্য ঝামেলা কমলো।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মুস্তাফিজ এর ছবি

সচলাভিনন্দন!

...........................
Every Picture Tells a Story

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

দ্রোহী এর ছবি

অভিনন্দন হে!

সজল এর ছবি

ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই (শুরু থেকে পিঠ চাপড়ে দেয়ার জন্য) হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মেঘা এর ছবি

বাহ্‌ মজার একটা লেখা পড়লাম। ব্লগর ব্লগর লিখতে ভুলে গেছেন নাকি দাদা? আর লিখেন না কেন? মজার মজার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

সজল এর ছবি

অনেক দিন পরে নিজের পুরান ব্লগ চেক করলাম। আবার ব্লগরব্লগর শুরু করলাম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।