খুলির ভেতর থেকে মগজ চুরি গেছে কখন জানি। তাই কয়েক মাসের মরিয়া চেষ্টার পরেও জমে থাকা কিছু কাজের কোন গতি হচ্ছিল না। এই অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিলাম কোন এক উইক এন্ডে দূরপাল্লার বাস ধরে দূরে কোথাও চলে যাব। ঝোঁকের মাথায় একটা ক্যামেরাও কিনে ফেলেছি, তার একটা রোডটেস্টও করা দরকার। এদিকে পাশের শহর থেকে বাদলদার ফোন, সে গাড়ী চালিয়ে ফ্লোরিডা যাবে, সেজন্য একজন হেল্পার দরকার। চ্যাপেল হিল থেকে বেরিয়ে নিকারাগুয়া কি সাহারা যেখানেই হোক না কেন, আমার যেতে কোন আপত্তি নেই। যাত্রাটাই আসল, গন্তব্য কোন ব্যাপার না,তাই চট করে রাজী হয়ে গেলাম।
প্রফের উদ্দেশ্যে ছুটির ফরিয়াদ জানিয়ে ইমেইল করে এক শুভ দিনে শুরু হলো আমাদের যাত্রা। আমাদের প্রাথমিক গন্তব্য ফ্লোরিডার গেইনসভিল, সেখানে থাকা কল্যাণদার আশ্রয়ে থেকে আস্ত ফ্লোরিডা চষে বেড়ানোর পরিকল্পনা। দূরত্ব সাড়ে পাঁচশো মাইল। পথে পেরিয়ে যেতে হবে সাউথ ক্যারোলাইনা আর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য। ম্যাপে রাজ্য আর দূরত্বের একটা আন্দাজ দেয়ার জন্য বলি, নর্থ ক্যারোলাইনা আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে সামান্য ছোট।
আগের রাতের পূর্বাভাসেই দেখা ছিল, পুরো পথ জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা ত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া একটি জটিল গাণিতিক প্রকৃয়া। অগুণতি কম্পিউটারের সিপিউ পাওয়ার খরচ করে, নানা ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন সমাধান করে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়, সেটা হয়ত মূহুর্তে উলটে যেতে পারে বাতাসের গতিপথে উড়ে যাওয়া প্রজাপতি কি পাখির ডানায়।
আমাদের যাত্রার ক্ষেত্রে অবশ্য পূর্বাভাসের তেমন ব্যতিক্রম ছিল না। থেমে থেমেই পাড়ার বখাটের মত আকাশ ঢেকে হাজির হয় মেঘ, আর পাশ কাটিয়ে যাওয়া মাত্র ঢেলে দেয় টনকে টন পানি।
ঢাকা পড়ে চরাচর, আর তাই চোখ সরিয়ে আনতে হয় গাড়ির ভেতর।
আকাশ পরিস্কার হলেও মেঘ বাবাজি পেশী দেখাতে লেগে যায়।
ক্যামেরা কিনে ম্যানুয়েল পড়ে পড়ে অ্যাপারচার, শাটার স্পিড এই কয়টা টার্মের তাত্ত্বিক জ্ঞান লাভ হয়েছে। গাড়ীর সামনের সিটে বসে তার প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। দৌড়ের উপর ছবি তুলা সহজ নয় মোটেই, দৌড় সামলাতে শাটার স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে দেখি এক্সপোজার কমে যাচ্ছে, অ্যাপারচার বড় করে সব ঠিক ঠিক করতে করতে দেখি দৃশ্যটাই হাওয়া। এসব সামলে সুমলে প্রায় শ খানেক ছবি তুলে খেয়াল করি, সব ছবি একই রকম দেখাচ্ছে।
গতবার দেশে গিয়ে এক গাদা গানের সিডি কিনে এনেছিলাম, শোনা হয়নি যদিও। সেখান থেকে বেছে বালাম, হাবিব, পড়শী, বাপ্পাকে গান গাওয়ার সুযোগ করে দিলে, তারা তাদের একঘেয়ে সুরে প্রায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়। লম্বা জার্নির এক মাত্র চালক বাদলদা ঘুমিয়ে পড়লে এই যাত্রাই শেষ যাত্রা হয়ে যাবে, তাই বাধ্য হয়ে গান পাল্টাতে হয়।
বাদলদার গানের সংগ্রহ বর্ণালীর দুপ্রান্তের, মাঝামাঝি কিছু নেই। রবীন্দ্রসংগীত আর মান্না দে যেমন আছে, তেমনি মুন্নির বদনাম হওয়া সংক্রান্ত হিন্দী গানেরও কমতি নেই। বছর খানেক আগেই সম্ভবত মুন্নীর বদনাম হওয়া নিয়ে এই উপমহাদেশ আর মধ্যপ্রাচ্যে তুমুল আলোড়ন চলছিল। মনোযোগ দিয়ে গানটা শুনি, সব কিছু বুঝতে না পারলেও একটা কথায় মাথায় ঢুকে যায়, “মে ঝান্ডু বাম হোয়ি তেরে লিয়ে”। লাইনটা নিয়ে মাথার ভেতর নাড়াচাড়া করি, কোন এক দার্শনিক বলে গিয়েছিলেন, আমরা দুনিয়াটাকে যেমন দেখি, সেটা তেমন না। এই লাইনেরও নিশ্চয় গূঢ় কোন অর্থ আছে। ঝান্ডু বাম হচ্ছে ব্যথার মালিশ, তার মানে মুন্নী এখানে প্রেমিকের ব্যথার উপশম করার কথা বলছে। “আমি হব তোমার ব্যথার নিদান” , তোফা, কী রোমান্টিক গান! শুধু একটু খোলা মন নিয়ে শুনতে হবে।
বাংলাদেশের ছেলে আমি, ফাঁকা জায়গা দেখলেই মনে হয় কিছু একটা ঠিক নেই। সারাটা পথ জুড়ে এমন অনুভূতি সাথে থাকলো। রাস্তার দুপাশ জুড়ে বিরাণ ভূমি। কখনো ঘন ঘাসের চত্বর, কখনো যতদূর চোখ যায় বুনো গাছ। ঢেঁড়স, স্ট্রবেরী, গম, ভুট্টার ক্ষেতেরও কমতি নেই।
মাঝে মাঝেই হাজির হয় ছোট বড় শহর। গাড়ি সামলে সুমলে চলে, তারপর আই ৯৫ এ উঠে চলে টানা সাড়ে তিনশো মাইল।
মাঝে মাঝেই পাশ ঘেষে যায় দানবাকৃতির পরিবহণ ট্রাক। সশ্রদ্ধ চিত্তে এক জনার ছবি তুলে নেই। এখানকার ট্রাক ড্রাইভাররা হচ্ছে আমাদের দেশের উলটা। সব চেয়ে স্থিরগতিতে একই লেনে টানা চলতে হয় বেচারাদের।
চ্যাপেল হিলে থাকতে টের পাইনি কত উঁচুতে আছি। সাউথ ক্যারোলাইনা পেরিয়ে জর্জিয়ার দিকে যেতে যেতে দেখি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আমাদের উচ্চতা কমছে। চ্যাপেল হিলে সাড়ে চাড়শো ফিট, সাউথ ক্যারোলাইনা অতিক্রম করতে করতে তিনশো ফিট, আর জর্জিয়াতে দেড়শো-দুশো ফিটে নেমে আসি। তবে ফ্লোরিডার কিছু জায়গায় ঋণাত্বক উচ্চতা দেখে বুঝতে পারি নীচে নামার কোন সীমা নেই।
মেঘের সাথে যুদ্ধে ক্লান্ত সূর্য পশ্চিম আকাশে নামতে থাকে, টুপ করে ডুবে যাওয়ার আগেই ছবি তুলার চেষ্টা করি। কিপটামি করে অ্যাপারচার বেশি কমাই না, তাতে ক্যাপশন ছাড়া সূর্য বোঝা একটু সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়।
আমাকে কসরত থেকে মুক্তি দিতেই হোক আর তেলের আগুন ছোঁয়া দাম দেখেই হোক, সূর্য অস্তাচলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
লম্বা পথ, পথের লম্বা গল্প। কোথাও তো দাড়ি টানতে হয়, তাই ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে পৌঁছে গেলাম ফ্লোরিডা। এই সাত দিনে সড়ক পথে পাড়ি দিয়েছি প্রায় আড়াই হাজার মাইল। ঘুরে এসেছি অ্যামেরিকায় প্রথম ইউরোপিয়ান সেটেলমেন্ট সেন্ট অগাস্টিন, অরল্যান্ডোর ডিজনী ওয়ার্ল্ড, অদ্ভুত নামের দ্বীপ আনাস্তাসিয়া আর তার লাইটহাউস, তারপর মায়ামির বুড়ি ছুঁয়ে দূরতম প্রান্তর কী ওয়েস্ট। পাঠক বিরক্ত না হয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে দুই বা তিন পর্ব আসতে পারে। ততক্ষণ ইচ্ছা হলে সাথেই থাকুন।
মন্তব্য
ইয়ে ভাইডি.. মগজ-ই চুরি গেছে, নাকি মন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন চুরি করে কবেই লাপাত্তা হয়ে গেছে মিস লংকা। বাকি ছিলো মগজ, সেটাও গেল এবার।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ওহ, বলতে ভুলে গিয়েছিলাম.. বৃষ্টির ফোঁটার ছবিটা ভালু এসেছে।
'যাও পাখি বলো, হাওয়া ছলোছলো..আবছায়া জানালার কাঁচ'--- শ্রেয়া ঘোষালের এই গানটা মনে করিয়ে দেয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাটারফ্লাই ইফেক্ট। ঃ "The phrase refers to the idea that a butterfly's wings might create tiny changes in the atmosphere that may ultimately alter the path of a tornado or delay, accelerate or even prevent the occurrence of a tornado in another location."
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
্দারুণ লিখেছেন। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকছি।
রাজীব মাহমুদ
ধন্যবাদ রাজীব। পরের পর্ব দ্রুতই নামিয়ে ফেলব।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হেমিংওয়ের বাড়ী নিয়ে লেখা কবে আসবে ?
facebook
শেষ পর্বে, কী ওয়েস্ট নিয়ে লেখায়। সাথেই থাকুন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ও ভাইডি স্প্যানিশ সেটলমেন্ট সেন্ট অগাস্টিন নিয়া পোস্ট পড়ার লাইগা লাইনে খাড়াইলাম. অসাধারণ এক জায়গা. কিসু বাদ দিয়েন না.
পোস্টে
..................................................................
#Banshibir.
আসলেই দারুণ জায়গা, পরের পর্বেই সেন্ট অগাস্টিন নিয়ে লিখব। স্প্যানিশ দুর্গ ক্যাস্টিলো ডি স্যান মার্কোস ঘুরে ঘুরে দেখলাম, এখনো ভালো অবস্থায় আছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছবি গুলা দেখে গুনগুনাই,
"আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
এখনি নামবে অন্ধকার"
আই- ৭৫ ধরে টেনেসি টু ফ্লোরিদা একটা পাগলা রোড ট্রিপ দিছিলাম গত বছর, ৭২ ঘন্টায় ৩২০০ মাইলের উপর, কাজেই কিছুই চোখ মেলে দেখা হয় নাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সব ছবির মেঘলা ভাবের জন্য যে মেঘই দায়ী তা বলা যাচ্ছে না
ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে গেলে মাঝে মাঝেই পাগলা ট্যুর দেয়ার ইচ্ছা আছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পাগলা ট্যুর বালা ফাই। ইউ.এস.এর হাইওয়ে অনেক স্পেন নিয়ে তৈরী। ওদের জায়গার অভাব নাই।
তবে জার্মানীতে আনলিমিটেড স্পীডে নতুন গাড়ি নিয়ে দৌড়ানোর মজা সেইরকম।
ছবি+লেখা দারুন।
---ফ্রুলিংক্স
ধন্যবাদ। জার্মানি যেয়ে চালাতে হয় তাইলে!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ। বেশি পপকর্ন খাইয়েন না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছবি দেখে বারবার খালি মনে হচ্ছে - কী সুন্দর রাস্তা!! কবে যে আমাদের দেশেও এমন হবে!!
-অয়ন
চার লেন, ছয় লেনের রাস্তার জন্য অনেক জায়গার দরকার, এতটা আমাদের মনে হয় নেই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাল্লাগ্লো। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ অনিক। পরের পর্ব দিতেছি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সাথেই আছি! ঘুরাঘুরিতে ক্লান্তি নাই!
এইত চাই!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পরের পর্ব তাত্তাড়ি দিয়েন সজলদা ।
_____________________
Give Her Freedom!
হ, আসিতেছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ওহে, মায়ামিতে গিয়ে উপকূলে কারো দেখা পাইছিলে নাকি?
বীচে যেতে যেতে অন্ধ্কার হয়ে গেছিলো, তেমন দেখা হয়্নি ঃ(
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লিখা ভালো লাগছে। তবে একটা ব্যাপার একেবারেই ভাল লাগে নাই-হাবিব, বালাম কিংবা পড়শীর সাথে বাপ্পাকে একসাথে রাখাটা।বাপ্পাকে কেউ একঘেয়ে বলা মানে হচ্ছে হয়ত সে বাপ্পার গান আগে শুনে নাই, হটাৎ শুনতে বসছে।যাই হোক এটা একান্তই আমার মতামত, আপনি যেরকম আপনার বিবেচনায় বাপ্পাকে একঘেয়ে বললেন, আমিও শুধু আমার বিবেচনার কথাটা বলে গেলাম। ভাল থাকবেন।
-চুপচাপ
বাপ্পার প্রায় সব গানই শুনেছি, অনেক পছ্ন্দ ও করি। কিন্তু তাই বলে তার সব আ্যল্বামই ভালো বলতে হবে নাকি! বাকিদেরও কিছু কিছু গান ভালো লাগে, কিন্তু আমার কেনা আ্যলবামের গুলো ভালো লাগেনি, এই হচ্ছে বক্তব্য।
পড়আর জন্য ধন্যবাদ ঃ)
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনি কি লেখায় বাপ্পার বিশেষ কোন আ্যল্বামের কথা বলেছেন? দুক্ষিত সেরকম কিছু তো আপনার লেখায় চখে পড়ল না। বরং দেখলাম বাপ্পাকে নিয়ে ঢালাও একটা মন্তব্য। তাও আবার বালাম, হাবিব এবং পড়শীর সাথে বাপ্পাকে একই পাল্লায় রেখে!!! যাই হোক, কমেন্টের জবাব দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
-চুপচাপ
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সব গান সব পরিবেশে মানায় না। গাড়ি চালানোর সময় ॥, বিশেষ করে লং ড্রাইভের সময় বাপ্পার গান আসলেই চোখে ঘুম এনে দেয়। বাসায় রান্না করতে করতে বা বই পড়তে পড়তে শুনলে কিন্তু তেমন লাগে না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এটা একান্তই আপনার ব্যাক্তিগত মতামত হওয়ার কথা।কোন পরিবেশে কোন গান মানাবে এটা একান্তই যার যার রুচির উপর নির্ভর করবে।আমি নিজে অনেককে দেখেছি লং ড্রাইভ এ রবীন্দ্রনাথ শুনতে শুনতে সুন্দর চালাচ্ছে।আমি নিজেও রবীন্দ্র শুনতে শুনতে ড্রাইভ করে চিটাগং গেছি ২-৩ বার।
গান শোনা, ভালো লাগা না লাগা কিন্তু পুরোটাই সাবজেক্টিভ। আবার পরিবেশ পরিস্থিতিরও ভূমিকা থাকে, মানসিক অবস্থাও বিবেচনায় নিতে হবে। আসুন শান্তি চুক্তি করি, বাপ্পার "সূর্যস্নানে চল" অ্যালবামের গান গাড়ী চালানোর সময় ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল মানেই বাপ্পার সব গান পঁচা এমনটা বুঝাতে চাইনি। হাতে গোণা যে কয়জনের গান নিয়মিত শুনি, তার মাঝে বাপ্পা একজন।
পথে রবীন্দ্রসংগীত আর মান্না দে'র গানও শুনেছি, ঘুম পায়নি কিন্তু! তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছিল কৃষ্ণকলির গান। এমন হয় না, যে একটা গান শুনতে গিয়ে বেশ ক'টা লাইন মাথার ভেতর গেঁথে যায়? তেমনটা হয়েছিল "কৃষ্ণকলির আলোর পিঠে আঁধার" শুনতে গিয়ে। অন্য দিকে বাপ্পার "সূর্যস্নানে চল" এর গানগুলি থেকে একটা লাইনও মনে করতে পারছি না।
সে যাই হোক, আমি কী বললাম তাতে আপনার মেজাজ খারাপ করার কিছু নেই। আমার রক মিউজিক ভালো লাগে না, তাতে রক মিউজিকের শ্রোতাদের কিছু আসে যায় না। ভালো থাকুন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ঐটাই তো আজব ব্যাপার। রবীন্দ্র সঙ্গীতে কিন্তু আবার ঘুম ধরে না। লালনেও না ... ধুম ধাড়াক্কা গান হতে হবে এমন কিন্তু না। লং ড্রাইভে এমনকি রেডিওতে রাজনীতি নিয়ে একঘেয়ে আলোচনা শুনতে শুনতে যেতেও ভালো লাগে। মস্তিষ্কের কান্ড কারখানা খুবই জটিল। তাকে সজাগ রাখা নিয়ে কথা। আমার কাছে মনে হয়, গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভিং বাদে গানে দিকেই বাকি মনোযোগের পুরোটা চলে যায়। বেশি মনোযোগে শুনতে গেলে খুব বেশি গান উতরে যেতে পারে না। এইজন্য রক ফক শুনতে গেলে তখন ভাল লাগে না। আর আমেরিকার হাইওয়ে ড্রাইভিং খুবই বোরিং, কাজেই গানটাই পুরো মনোযোগ দখল করে। ব্যক্তিগতভাবে সাথে সাথে গুন গুন করা যায় এমন গান বেশি ভাল লাগে
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
দারুন!!
হা হা -- আমারও! আমার তো চামড়ার ঠিক তলায় কেমন যেন শির-শির রি-রি অনুভূতি হতে থাকে, যেন ঐখানে কে যেন অনেকগুলা পিঁপড়া ছেড়ে দিছে!
****************************************
হ, খালি জায়গা দেখলেই আমার খালি মনে হয় একটা দশ তলা বাড়ি তুলে ফ্ল্যাট বিক্রি করি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হ, আমারো মাইলব্যাপী ফাঁকা পার্কিং লট দেখে মনে হয় আহা ছয়টা ইটের উইকেট বসায়া কি সুন্দর ক্রিকেট খেলা যাইত।
..................................................................
#Banshibir.
বেটারা জায়গার এমুন অপচয় করে! দরকার হইলে দশটা বিশটা করে বাচ্চা পয়দা করে হলেও জায়গা ভরাট করে রাখবে, তা না এমনি এমনি ফেলে রাখে!!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সাইনবোর্ড দেখেন না, হাজার ডলারে একরের বেশি জমি পাওয়া যায়। একবার খোজাখুজি করে দেখলাম, ধানমন্ডিতে ১৫০০ স্কয়ার ফুটের একটা ফ্ল্যাটের দামে এখানে প্রায় হাজার একর জমি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কিনে ফেলেন না এক-দুই একর? অন্তত নাতিপুতিরা কাজে লাগাতে পারবে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ট্যাকা দ্যান, মার্কিন মুল্লুক যামু।
-- রামগরুড়
ঠিকই ভেবেছেন, আমার ডাক নামই গৌরী সেন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
উনি আসলে মনে হয় আমজাদ হোসেনের বিটিভি আমলের জনপ্রিয় একটা ঈদ নাটকের এক ভাঁড়ের ভূমিকা নিয়েছেন এখানে। এই চরিত্রটা (বাসার চাকর) "ট্যাহা দেন, দুবাই যামু - ট্যাহা দেন, দুবাই যামু" বলে বলে নাটকের দুবাই-ফেরৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রের (আমজাদ হোসেন) মাথা খারাপ করে দিত। এই ডায়ালগটা পরে বেশ বিখ্যাত হয়ে যায়। ইনিও দেখছি সচলে ভ্রমণ সংক্রান্ত পোস্টে পোস্টে ঐ রোলটাই প্লে করছেন, সবার কাছে ট্যাকা চেয়ে বেড়াচ্ছেন!
আমি উনার ভার্চুয়াল বিদেশ-ভ্রমণার্থে ভার্চুয়াল লিল্লা ফাণ্ডে ভার্চুয়াল ১০০০ টাকা দান করলাম। আপনারাও যে যেমন পারেন দিয়ে দিন বেচারাকে।
****************************************
এই লোকের ঈদের নাটক যে মানুষ কী করে দেখতো!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লন। যান। গিয়া ফেরৎ দিয়েন।
****************************************
আলহামদুলিল্লাহ... ট্যাকা পাইছি, অহন মার্কিন মুল্লুক যামু।
-- রামগরুড়
হুম পড়ে যাচ্ছি, ভ্রমন কাহিনী চলুক।
থ্যাংকু, চলবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনার লিখা পড়ার সময়, খেয়াল করলাম, মুখে অটোমেটিক একটা হাসি লেগে থাকে।
আমার লেখার সময়ও একই ঘটনা ঘটে, দেখা যাচ্ছে ব্যাপারটা ছোঁয়াচে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হু, সত্যিই এত্ত চওড়া রাস্তা দেখে মনে হলো আমাদের দেশের হাইওয়ে ওদের দেশের গলিপথ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
আসলেই বিশাল সব রাস্তা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এমন একটা জায়গায় কি বেরেক দিলে হবে?
রোডট্রিপের গল্প জারি থাকুক।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খাড়ান, ভালো আইডিয়া দিছেন। এরপরের বার 'হাইওয়ে থেকে তুলছি' নামে সিরিজফটুকমালা নামায়ে ফেলবো সচলে এবং খোমাখাতায়...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আইডিয়া ইউজ করেন, অসুবিধা নাই, টাকা চাবো না। শুধু ব্লগের শুরুতেই জব্বার কাগুর মত আমার চেহারা ঝুলায়া দিবেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ছবি দেখলাম, পড়ার সময় নাই। তবে চলুক, বাকী ছবি, কাহিনী আসুক; অন্যেরা পড়বে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নতুন মন্তব্য করুন