১।
সুখের কথা, এই দেশ থেকে হিন্দু কমে যাচ্ছে। সেই ৪৭ পূর্ব ৪০ শতাংশ থেকে কমতে কমতে এখন সাড়ে আট শতাংশ। তা, এই হিন্দুরা যায় কোথায়?
কোথায় আর যাবে? যাচ্ছে নিজের দেশে কিংবা বাপের দেশে, মানে ভারতে। ভারতে তাদের জন্য বরণডালা সাজিয়ে বন্দুকের মাথায় গোলাপ বসিয়ে অপেক্ষায় আছে বিএসএফ, ভারতে প্রবেশ করতে পারার পর বাড়ি-গাড়ি আর চাকুরীর সব বন্দোবস্ত করে বসে আছে ভারত সরকার। হিন্দুরা ভারতে যাবে নাতো কি এই গরীব দেশে পড়ে থাকবে?
দেশের কাণ্ডারি মিডিয়াগুলোর ঢাক ঢাক গুড় গুড় এর মাঝেও হঠাৎ করে উঠে আসা কয়েকটা সংবাদকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেই কিন্তু আমরা সকালের পেপার আর চা শান্তিমত উপভোগ করতে পারি।
২।
আপেক্ষিকতা বড় গূঢ় জিনিস। হিন্দুরা ভারত স্বর্গে গিয়ে শান্তিমত থাকছে, এবার তাই এক শতাংশের নীচে থাকা বৌদ্ধদের সংখ্যাকেও অনেক বড় বলে মনে হবে। বৌদ্ধদেরও নিশ্চয় যাবার মত ভারতের মত সুন্দর কোন যায়গা আছে, যায়গাটা ঠিক কোথায় ঠিক করে উঠতে পারছি না যদিও। ভূটান? কিংবা জাপান, কিংবা তিব্বত? সে যেখানেই হোক, বৌদ্ধরা সেখানে চলে যাওয়ার জন্য নিশ্চয় উঠে পড়ে লেগেছে, শুধু প্রক্রিয়াটা শুরু করে দেয়ার জন্য দরকার ছিল সামান্য নাজ। নাজটা দেয়া হয়েছে গত দু’দিনে, রামু আর পটিয়ায় বৌদ্ধ বিহার পুড়িয়ে দিয়ে।
৩।
আমি এই দেশের বিশ্বমানবতাবাদীদেরকে পছন্দ করি। প্রেরিতপুরুষের অবমাননার প্রতিবাদে বুয়েটে যখন মানববন্ধন হয় তাতে আমি গর্বিত হই। দেশের কোন কোণায় কী ঘটল তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সময় অপচয় করার কোন মানেই নেই আসলে।
মন্তব্য
“যৌক্তিকতা আর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির বিরূদ্ধে সবচেয়ে বড় হুমকি যদি ধর্ম না হয়, তাহলে কোনটা?
facebook
অনু ভাই,
কথা সাবধানে বলবেন। এ ধরনের কথা বলে কোনদিন দেখবেন মুণ্ডুর দাম নির্ধারিত হয়ে গেছে! ধর্মের সমালোচনা 'মডারেট'রাও মেনে নেবে না। শুধু ধর্মান্ধদের সমালোচনা করুন।
নির্ঝর অলয়
---------------------
আমার ফ্লিকার
প্রথম আলোর রিপোর্টে বলা হয়-
সংখ্যলঘু নির্যাতনের ঘটনায় সবসময় প্রশাসন কেন পিছু হটতে বাধ্য হয়, খুব জানতে ইচ্ছা করে।
একটা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে চলেছি আমরা। আমার স্পষ্ট মনে পড়ে যখন আফগানিস্থানে একটু একটু করে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করছিল, তখন টিভিতে খবর দেখে মনে হতো যেন কোন ওয়েস্টার্ন মুভি দেখছি। তারপর একদিন দেখলাম তালিবানদের বিজয় উল্লাস। খোদ আফগানিস্থানেও কেউ কেউ খুশি হয়েছিল। কিন্তু এরপর কোকের বোতল দিয়ে মেপে মেপে দাড়ি রাখানো থেকে শুরু করে নানা ধরনের নারকীয় এবং বর্বর অত্যাচারে যখন মানুষগুলো পাগল হয়ে যেতে শুরু করলো, তখন তারা হয়তো উপলব্ধি করতে পেরেছিল তালিবানদের নিয়ে আরো সিরিয়াসলি ডিল করা উচিত ছিল। বাংলাদেশ এখন ঐ মধ্যবর্তী সময়টায় আছে। এদেশে উগ্র মৌলবাদি আছে কি নাই, ছিল কি ছিল না - এসব নিয়ে তর্ক না করে; যা আছে তাকেই উচ্ছেদ করতে হবে সমূলে। তা না করে যদি সরকার, বিরোধীদল এবং সাধারণ মানুষ শুধু মজাই দেখতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের আফগানিস্থান হতে আর দেরী নেই।
টুইটার
লেখায় । আরা উউ
Problem of our country people is that we like to make comment without a proper argument.We always blame extremist for the problem but we don't ask ourselves how come these extremist get a chance in the first place.It is because we don't have proper knowledge or practice of our own religion .we don't hesitate to spend time to learn foreign culture.So, first suggestion for you, stop nagging about others.First learn and practice your religion and teach other around you.Then you will see sooner or later, no extremist will get a chance in BD.
So, after learning your religion "properly", if you find out torturing the minorities is a religious thing to do, will you condone these acts?
What does your human part say to you without going into a book?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মানুষ মারা খারাপ এইটা ধর্মের বই পড়ে বুঝতে হলে তো মুশকিল। কোনও নাস্তিককে কখনও মারধোর করতে দেখলাম না, এমন কি যেসব দেশে নাস্তিকদের আধিক্য সেসব দেশেও; যে দেশে ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) পালন যতো বেশী, সে দেশে মারপিটও ততো বেশী। গলদের গোড়া ধর্মে।
রাজনীতিতে গলদ হলে মানুষ রাজনীতিকে উৎখাত করে স্বৈরশাসনের পক্ষে। কিন্তু রাজনীতির বড় ভাই ধর্মের ক্ষেত্রে আবার অন্য মত! তবে কিনা, রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ব্যাখ্যা যেমন হিন্দুইজম না, তেমনি সুফিজম কিন্তু প্রকৃত ইসলাম না! মন্দির ভাঙা যে একটা কেতাব-বিরুদ্ধ অপকর্ম- সেকথা কিন্তু কোন গ্রন্থই বলে না!
নির্ঝর অলয়
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
রাত এগারোটা থেকে ভোররাত চারটা পর্যন্ত চলে জামাত-শিবির ও কাঠমোল্লা ধর্মান্ধ মুসলমানদের এই তান্ডবলীলা। এই পাঁচ ঘন্টা পুলিশ-বিজিবি-স্থানীয় প্রশাসন এই বড়াহদের নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি? সেলুকাস!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
জ্বালাও পোড়াওয়ের নামে লুটপাট নতুন কিছু নয়।
এখান থেকে কি এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে লুন্ঠনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বখরা ছিলো? পুলিশ শুধু দুর্বলের ওপর অত্যাচার হলেই পিছিয়ে যায়?
এরকমইতো হওয়ার কথা। এইরকমইতো হয়ে আসছে। অন্যরকম হলেই বরং অস্বাভাবিক লাগতো না? এদের সরাসরি হাত আছে না ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করার? তার উপর গায়ে অমুসলিম হওয়ার গন্ধ, আর কি লাগে? তাছাড়া যার যায়গা যেখানে সেটা দেখায় দিতে হবে না? নিজামী যে দেশের মন্ত্রী হয় আর গাড়িতে পতাকা লাগায়, সেখানে এর থেকে বেশি কিছু আশা করাটাই তো দোষ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মানুষের মানবিক (দয়া-মায়া, সহানুভূতি, ভালোবাসা... ইত্যাদি) অনুভূতিই যেখানে বধির, সেখানে 'ধর্মীয় অনুভূতি' কথাটা শুনলে স্রেফ হাসি পায়!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তারপরেও শুনি হিন্দুরা ভারতের দুধ কলা খেতেই নাকি চলে যায়। এতসবের পরেও এই কথা শুনতেই হয়। শুনতেই হয়।
বাঙালি মুসলমানের কি খালি দুইটাই স্টেইট? হয় দাঙ্গা করে, নয়তো দাঙ্গা করার জন্যে মস্তিষ্ক শান দেয়।
৩. টিভি খবরে চোখ রাখার চেষ্টা করছি, ঢাকার কোথায় কোথায় অন্তত একটা প্রতিবাদ মিছিল বা সমাবেশ কিছু হয় কিনা। এখন পর্যন্ত কিছু দেখি নাই।
দুইটা সলুশান আছে-
১। পুরা পৃথিবীকে কয়েক হাজার ধর্মরাষ্ট্রে ভাগ করতে হবে। তারপর সেই ধর্মের মানুষদের মধ্যে আবার অনেক ভাগ থাকবে। সেই রাষ্ট্রকে আবার সেই ভাগ অনুযায়ী ভাগ করতে হবে। সেই ভাগের মধ্যে আবার অনেক ভাগ থাকবে সেই অনুযায়ী উপ-উপভাগ হবে। এরপর সেইসব উপ-উপ-উপ দেশে নিজস্ব যোগাযোগ ব্যাবস্থা চালু করতে হবে। নিজস্ব ইন্টারনেট বা টেলিফোন। সবচেয়ে ভাল হয় ইন্টারনেট না থাকলে। ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করা যেতে পারে।
২। ধর্মগুলারে আস্তে কইরা ফালায়ে দিতে হবে।
তবে আমি প্রথম সলুশানটারে লাইক করি। ধর্মহীনতার মত বড় পাপ আর হয় না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দুঃখজনকভাবে, আপনার ২ টা সলুশনের একটাও কাজ করবে না, ধর্ম দিয়ে একজন আরেকজনকে ঠকানো না গেলে তখন জাতিগত পরিচয় দিয়ে ঠকানো হবে, সেটাও না পারলে শ্রেণীগত পরিচয় দিয়ে, সেটাও না পারলে অন্য কোনো ভাবে। পৃথিবীটাকে কয় ভাগে ভাগ করবেন, অথবা, কয়টা পরিচয় বাদ দিবেন?
বড় হতাশার সময় আসলে। বাংলাদেশের পাকিস্থান বা আফগানিস্থান হতে বোধহয় দেরী নেই।
আমাদের চারপাশ টা পরিবরতন করার আগে নিজেক পরিবর্তন করাটা বড্ডও বেশি প্রয়োজন। আমরা যেই কারনে মানুষ সেই মানবতা বোধ টা আমরা হারাই ফেলছি!!!!!
অতি সাধারন
এই ব্যাপারে আওয়ামী ওলামা লীগের বক্তব্য কি? জানতে ইচ্ছে করে ওদের সাথে জামাতের দূরত্ব কতটুকু?
সরকারের বিবৃতি পড়ে বমনেচ্ছা হয়েছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হায় ভগবানাল্লেশ্বর! নীড়ুদা, আপনি আওয়ামী ওলামা লীগ পাইলেন কই? বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী শাখার সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এই ঘটনা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিএনপি শাখার স্থানীয় সাংসদের উস্কানিতে হয়েছে।
তাকে টিভিতে বলতে শুনেছি যে, উত্তম বড়ুয়া বিদেশী চর হিসেবে এসব শেয়ার করে দেশে ভজগট লাগিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এখন অবশ্য শতাধিক আটকের খবর পাচ্ছি।
কারুরি টেনশন নেয়া ঠিক হবেনা আসলে। ২০০১-সাতক্ষিরা-দিনাজপুর-রাঙামাটি যখন ভুলতে পেরেছি, এটাও ঠিক পারবো। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী শাখার ভোট বাড়-বাড়ন্ত হতে থাকুক খাস দেলে এই কামনা করি।
আমার কোথা যাওয়ার ইচ্ছে নেই।অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেয়ে নিজের জন্মভিটা রক্ষা করতে গিয়ে মরে যাওয়া ভাল।
বুন পথিক
একাত্তরে আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম !
ওটা বোধহয় সোভিয়েতকে ভজানোর কৌশল ছিল। কারণ এই ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগেও মেরুকরণ ছিল। বঙ্গবন্ধু বিরোধী চক্রের মূলমন্ত্র ছিল উগ্র মৌলবাদ।
নির্ঝর অলয়
বামপন্থীরা আওয়ামী লীগেই মিশে ছিল, ডানপন্থীরাও ছিল, কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যন্ততো হালে পানি পায়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর মুশতাকের মত ডানপন্থীরা কীভাবে আওয়ামী লীগ চালানোর দ্বায়িত্বে চলে এলো, সেটার জবাব বঙ্গবন্ধুই দিতে পারতেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ডাকঘর | ছবিঘর
আমরা কোথায় যাবো?
আমার লেখার ৩ নাম্বার অনুচ্ছেদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলাম আমার আলমা ম্যাটার বুয়েটের শিক্ষার্থীদের নীরবতা নিয়ে। এই দুঃসময়েও একটা স্বস্তির খবর হচ্ছে, সংখ্যালঘু এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উপর চলে আসা নির্যাতনের প্রতিবাদে বুয়েটে বুধবার পৌনে একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। আগ্রহীরা এই লিংকে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ বুয়েটিয়ানদের, সবাই রুখে দাঁড়ালে এই দেশ নিশ্চয় একদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সেখানে এখন "আদিবাসী" না "উপজাতি" তা নিয়ে তর্ক চলছে !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন