• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমাদের বর্ণবাদ

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০৭/২০১৫ - ৬:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম গত এক বছর ধরে অভাবনীয় সাফল্যের সাথে খেলে নিজেদেরকে বিশ্বের প্রথম সারীর একটা দলে পরিণত করেছে। সাফল্যের পথ বেয়ে আসে নানা অবাঞ্চিত জঞ্জাল, আত্মঅহমিকার তোড়ে অনেক সময় সরে যায় মানবিকতার মুখোশ, আর বেরিয়ে আসে আমাদের আসল চরিত্র। বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে কিছু দর্শক ডেল স্টেইনকে মৌখিক অপমান করার পাশাপাশি তার গায়ে মার্বেল ছুড়ে মেরেছে। বিপক্ষের এক জন খেলোয়াড়ের সাথে এমন আচরণ ভব্যতার সব মাপকাঠিই ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশি দর্শকেরা এখানেই থেমে যায়নি, তারা ডেল স্টেইনের সংগী একজন "কৃষ্ণাংগ" খেলোয়াড়কে উদ্দেশ্য করে বর্ণবাদী মন্তব্য করেছে, যার মধ্যে আছে N আদ্যাক্ষরের অপমানসূচক শব্দ। দক্ষিণ আফ্রিকা দল এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি আরেক বার এমন ঘটনা ঘটলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিক্রিয়া আন্দাজ করছি, "এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, হাতে গোণা কয়েকটা কুলাঙ্গার এই কাজ করে ফেলেছে।"। কিন্তু ঘটনা কি আসলেই তাই? জাতি হিসাবে বর্ণবাদ প্রসঙ্গে আমাদের অবস্থান আসলে কী সেটা একটু খতিয়ে দেখা যাক। শুরু করা যাক ক্রিকেট মাঠ থেকেই। জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে বাংলাদেশের খেলায় বাংলা ভাষার আড়াল নিয়ে কৃষ্ণাংগ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে দর্শকসারি থেকে বর্ণবাদী মন্তব্য, গালিগালাজ ছূড়ে দেয়ার ব্যাপারটা প্রত্যক্ষ করেছেন এমন অনেকেই আছেন। অ্যামেরিকা বা ইউরোপের নানা দেশে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে কিংবা উন্নত জীবনের খোঁজে আসা অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন। সেই বহুজাতিক সমাজে বসবাস করে, অনেক উচ্চশিক্ষা নিয়েও অনেক বাংলাদেশিই কৃষ্ণাংগ অধিবাসীদের বাংলায় “কাউলা” আর চীন/জাপান/কোরিয়া বলয়ের মানুষকে “চিংকু” গালি দিয়ে বেশ একটা আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন তাদের বর্ণবাদী আচরণ ভাষার আড়াল ঠেলে কেউ ধরতে পারেনি বলে। আমাদের মাঝে সিংহ ভাগ লোক ইহুদীদের মানুষ হিসাবে দেখতে পারে না, কেউ কেউ আবেগে হিটলারের পূজারি হয়ে যায়। আমাদের রাস্তায় বিরলতম মূহুর্তে কোন বিদেশীকে দেখতে পেলে আমরা মুখের তুবড়ি ছুটিয়ে বাংলায় গালি দিব।

আমাদের বর্ণবাদ শুধু বিদেশীদের উদ্দেশ্যেই তা কিন্তু নয়। আমরা নিজ পরিবারের তুলনামূলক গাঢ় বর্ণের সদস্যটিকে সরাসরি কিংবা নানা রূপকের আশ্রয় নিয়ে অপমান করি। আমাদের মা বাবা সন্তানের গাত্রবর্ণের লজ্জা ঢাকতে “উজ্জ্বল শ্যামলা”’র মত ছদ্মবেশী শব্দের ব্যবহারে বাধ্য হোন। গায়ের রঙের গাঢ়ত্বের জন্য আমাদের সমাজে অনেককে পিছিয়ে পড়তে হয় শিক্ষা, চাকুরী, বিয়ে জীবনের প্রতিটা পর্যায়ে। আমরা নানা জেলার লোকেদের সম্পর্কে একগাঁদা স্টেরিওটাইপ দাঁড় করিয়ে রেখে, তাদের সাথে মেলামেশায় সেটা প্রয়োগ করি। ছোট্ট একটা বদ্বীপে বাস করে এক জেলার লোক অন্য জেলার লোকের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে চাই না অন্যরা আমাদের মত যথেষ্ট ভালো না বলে।

আমি জানি না অন্যদের অভিজ্ঞতায় কী বলে, কিন্তু নিজ দেশবাসীদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা যা হয়েছে, তা থেকে বলতে পারি, আমাদের মাঝে বর্ণবাদ মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। কেউ সচেতনে, কেউ অচেতনে বর্ণবাদী আচরণ করে। আমরা অনেকে জানি না যে শব্দেরও রাজনীতি আছে, ইতিহাস আছে। অনেকে আমাদের “ক্যাজুয়াল” বর্ণবাদী মন্তব্যে অন্যে কতটা আঘাত পাবে সেটা চিন্তা করতেই অপারগ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূত্রে ভিতরের অন্ধকার যখন বেরিয়েই এসেছে, আমাদের উচিত এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলা। আমাদের উচিত নিজেদের অন্ধকারের মোকাবেলা করে নিজেকে ভালোমত চেনা। বর্ণবাদ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা হওয়া খুবই জরুরী। মানুষকে সচেতন হতে হবে যে গায়ের রঙের উপর নির্ভর করে একটা মানুষ আলাদা হয়ে যায় না। তাদেরকে জানাতে হবে কোন ধরনের আচরণ বর্ণবাদী। জানতে হবে অতীতের বর্ণবাদ কীভাবে মানবসমাজের একটা বড় অংশকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ হিসাবে প্রাপ্য সব অধিকার বর্জন করে জীবন কাটিয়ে দিতে হয়েছে। প্রাসঙ্গিক জ্ঞান থেকেই আসবে নিজের থেকে আলাদা দেখতে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা।

মিডিয়াগুলোর উচিত যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার প্রচার করা। ভেতরের পাতায় ছোট করে এ সংবাদ ছাপিয়ে দেশের সংবাদপত্র তাদের দায় মিটিয়ে ফেলতে পারে না। বিসিবির প্রতি দাবী জানাই তারা যেন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দর্শকদের জন্য একটা গাইডলাইন তৈরী এবং সেটা প্রয়োগ করে। এই ধরনের ঘটনা অনেক দিন ধরেই ঘটে চলেছে, কালেচক্রে একটা ঘটনা যখন প্রকাশ পেয়েই গেছে, ভবিষ্যতে এর চেয়ে বড় ঘটনা সামনে আসলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। শুধু ক্রিকেটের কথা চিন্তা করলেও একে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। খোদ দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকেই বর্ণবাদের দায় নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে যেতে হয়েছিলো লম্বা সময় ধরে। ক্রিকেটটাই পুরো জীবন নয়। এই বর্ণবাদের প্রকাশ আরো নানা ক্ষেত্রে ঘটবে, অতীতের বর্ণবাদী আচরণগুলো দিনকে দিন আরো অমানবিক হয়ে দেখা দিবে। আন্তর্জাতিক নানা ক্ষেত্রেতো আমাদের ভুগতে হবেই, স্বদেশীদের প্রতিও আমরা দিন দিন আরো নির্দয় হয়ে দেখা দিব। বর্ণবাদ আমাদের দেশে শৈশবে নয়, বরং কৈশোরকাল অতিক্রম করছে। সেটা এখনি দূর করব কিনা এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে আমরা ভবিষ্যতের আমাদেরকে মানবতা থেকে কত দূরে রেখে গড়ে তুলব।

পরিশিষ্টঃ
হিউমিনিটির ক্র্যাডল আফ্রিকা থেকে নানা সময়ে, নানা পথে মাইগ্রেট করে মানুষ পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ আর অ্যামেরিকাতে। হাজার হাজার বছর স্থায়ী এইসব মাইগ্রেশনে মানুষের নানা গোষ্ঠীকে অভিযোজিত হতে হয়েছে সূর্যের ভিন্ন পরিমাণ আলোর নীচে (আরো সঠিকভাবে ভিন্ন পরিমাণ অতিবেগুনী রশ্মির উপস্থিতিতে )। আফ্রিকার গনগনে সূর্যের নীচে অভিযোজিত হওয়া মানুষের ত্বকে অতিবেগুনী রশ্মিকে ঠেকানোর জন্য দায়ী মেলানিনের প্রাচুর্য্য, আবার বছরের বড় সময় ধরে বিরল সূর্যের নীচে অভিযোজিত হওয়া ককেশিয়ানদের ত্বকে মেলানিনের স্বল্পতা যেন তারা যথেষ্ট পরিমাণ সূর্যোলোক পেতে পারে। মাঝারি সূর্যের নীচে অভিযোজিত হওয়া মানবগোষ্ঠীর গায়ের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ মাঝারি। মেলানিনের পরিমাণ গায়ের রঙ্গের গাঢ়ত্বের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। আর তাই আফ্রিকার লোক কৃষ্ণাংগ, ককেসিয়ানরা শ্বেতাংগ। আর এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ইত্যাদি জায়গার লোকেদের গায়ের রঙ “বাদামী” থেকে “হলুদ”। গায়ের রঙ বিবর্তনের লম্বা ইতিহাসে, মানব শরীরের নিরাপত্তায় গড় উঠা অতি বেগুনী রশ্মি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার একটা বাইপ্রোডাক্ট মাত্র। মানুষের অর্জন কিংবা তার অন্তর্নিহিত মনুষত্বের কোন পরিমাপক এটা নয়।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বর্ণবাদ আমাদের দেশে শৈশবে নয়, বরং কৈশোরকাল অতিক্রম করছে। সেটা এখনি দূর করব কিনা এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে আমরা ভবিষ্যতের আমাদেরকে মানবতা থেকে কত দূরে রেখে গড়ে তুলব।

অনেক ধন্যবাদ কথাগুলো তুলে ধরার জন্য। ক্রিকইনফোতে দেখলাম ১০/১১ বছরের দুটি বাচ্চাকে বিসিবি দুই ঘন্টার জন্যে আটকে রেখেছিল। বাচ্চাগুলো জানে না কোনটা মন্দ, কোনটা ভাল। জানবে কিভাবে? বড়রাই জানে না যে একজন কৃষ্ণাংগকে 'এন' ওয়ার্ড বলাটা কতটা অসম্মানজনক, আপত্তিকর। একই কথা খাটে মালাউন, উপজাতি এসব শব্দের ব্যবহারে।

এই পরিস্থিতিতে বিসিবি খেলার শুরুতে লিফলেট বিতরণ করতে পারে।লিফলেটে সতর্কতা থাকবে যে বাংলাদেশ বর্ণবাদের দায়ে ক্রিকেট থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। খেলার বিরতির সময়কালীন প্রচার করতে পারে। জনপ্রিয় খেলোয়াড়রা বলতে পারেন বর্ণবাদের খারাপ দিকটি। মিডিয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সেলেব্রিটিরা এই ব্যাপারে গলার জোর বাড়াতে পারেন।

-হুঁকোমুখো হ্যাংলা

হিমু এর ছবি

লিফলেট লোকে পড়বে না, ফেলে দিয়ে গ্যালারি ময়লা করবে। বরং একটু পর পর সাউণ্ড সিস্টেমে সতর্কবাণী প্রচার করা যেতে পারে। বর্ণবাদী আচরণকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ক্রিকেটারদের সাথে কোনো ভালো রেস্তোরাঁয় লাঞ্চের পুরস্কারের ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।

সাফি এর ছবি

পরে যদি সবাই মিলে পুটুন্দাকে ধরিয়ে দেয়?

হিমু এর ছবি

তাদের লাঞ্চ হবে কুফাচ্ছন্ন

কল্যাণ এর ছবি

মানে তারা খাবার দেখতে পাবে, গন্ধ পাবে, থালায় তুলে নেবে চামচ ভরে, আইস্ক্রিমের বাটিটা সামান্য সরিয়ে রাখবে ডানে; কিন্তু যেই না মুখে তুলবে অমনি সব হাওয়া.... ধু ধু মরুর বুকে বসে একগাল মাছি নিয়ে, এমন :-? ?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সজল এর ছবি

স্টেডিয়ামের পিআর সিস্টেম বেশ ভালো, সেখানে জনপ্রিয় গানটান বাজায়ওতো শুনি। এটা ব্যবহার করে অনেক বেশি অ্যাটেনশন টানা সম্ভব।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ন-শব্দটা বলতে পারলেন না আর ম-শব্দ বা উপ-শব্দদুটো অবলীলায় বলে ফেললেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারই ভুল :( । নাড়া দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

তাহসিন রেজা এর ছবি

আমাদের ফেয়ার এন্ড লাভলি নেশন.....

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

বর্তমান প্রজন্মের মানুষদের বোধ হয় আর শেখানো যাবে না কিছু। গায়ের রঙ, শারীরিক গঠন, দেশের বাড়ি, লিঙ্গ, ধর্ম - কোনো কিছু দিয়েই স্টেরিওটাইপিং করতে বাদ রাখি নি আমরা। রক্তে মিশে আছে বর্ণবাদ :( । অনেকে অজান্তেই বয়ে বেড়াচ্ছে এসব। বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে নজর দেওয়া উচিত, শৈশব থেকে কিছু উদার চিন্তাভাবনা তাদের মাঝে দিতে পারলে বিশ বছর পরে বাঙালির সার্বিক আচরণ হয়তো বদলাবে।

- উদ্দেশ্যহীন

কল্যাণ এর ছবি

সজলদা, এই রকম একটা লেখার খুব দরকার ছিল। এই বিষয়ে আমার কিছু চিন্তাভাবনা মন্তব্য আকারে দেয়ার ইচ্ছা ছিল। সেজন্যে ইট রেখে গেছিলাম প্রকাশের প্রথম দিনেই। সমস্যা হচ্ছে বেশ কিছুদিন থেকেই যাই কিছু বলতে যাই মনে হয় কোন প্রয়োজন নাই এসব নিয়ে কথা বলার। তারপরেও ইটের মান রাখতে কিছু বলে ফেলি।

বর্ণবাদের বিষয়টা একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যেতে পারে, আর একটু পিছনেও যাওয়া দরকার। এখানে বিনয়ের একটা ব্যাপার আছে, এটা চর্চা করতে হয়, এর বিশাল ব্যাপ্তি, সাফল্যের সাথেও এটা সম্পর্কিত। সাধারণত বিনয়বোধ থাকলে মানুষ একজন আরেকজনকে আঘাত করে না; কিছু বলার আগে চিন্তা করে দেখে যেটা বলা হচ্ছে সেটা শ্রোতার উপর কি প্রভাব ফেলবে। চিন্তা করে ভবিষ্যতে নিজের অবস্থান, আর যে বাক্যটা এখন অন্যের উপর প্রয়োগ করা হচ্ছে সেটা নিজের উপর এসে পড়লে কেমন লাগত! তো ক্ষেত্র বিশেষে এই বিনয়ের সুইচ বন্ধ করে রাখাটাই তো বর্ণবাদে গিয়ে দাড়াল, তাই না? যেমন ধরেন গায়ের রঙের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে এই নির্দিষ্ট এই রঙের মানুষ পার্কের বেঞ্চে বসতে পারবে; এর বাইরে যারা তারা বসতে পারবে না! এখানে বিনয়ের নাম গন্ধ নাই, বরং কিছু মানুষকে গায়ের রঙের ভিত্তিতে চরম অপমান করা হল। মোদ্যা কথা মানুষকে মানুষ বলে স্বীকার করার বা প্রতিটি মানুষের তার বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা নির্বিশেষে সমানভাবে অধিকার দেয়া হল না।

গড়পড়তা ক্ষেত্রে একজনের সফলতা মানে অন্য কারো ব্যার্থতা। এখন নিজের সফলতায় ভেসে গিয়ে যে ব্যার্থ হল তার যন্ত্রণা উপেক্ষা করা কি ঠিক? যে ব্যার্থতার ভার সামলানোর চেষ্টা করছে, তার সামনে নেচে কুঁদে সাফল্য জাহির করা খুবই অশালীন। আবারো বিনয়ের সুইচ অফ হয়ে গেলো। যেমন মুস্তাফিজ অসাধারণ বল করছে, কিন্তু উইকেট পাওয়ার পর যেভাবে সে লাফিয়ে উঠে হাতে তালি দেয় সেটা মাঝে মাঝে বেশ দৃষ্টিকটু। এখন সবাই বাহবা দিচ্ছে, কিন্তু সামনে কখনও বল খারাপ হলে উইকেটের বন্যা বন্ধ হয়ে গেলে এই সব আশেপাশের সমর্থকেরাই মুস্তাফিজ কে ছিড়ে ফেলবে। মুস্তাফিজের সিনিয়রেরা এ ব্যাপারে তাকে কিছু উপদেশ দিলে ভাল ছাড়া কোন ক্ষতি হত না। এখন কেউ এসে বলবে ডেল স্টেইনও তো লাফায় উঠে নাচে, ওরে গিয়ে আপনার উপদেশ মারান। তা অন্যে চুরি করলে কি চুরিটা স্বীকৃতি পেয়ে যায়? একজন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে মাথা নিচু করে যখন চলে যায়, যারা ক্রিকেট খেলেছে তারা জানে তখন কেমন লাগে!

বর্ণবাদের আশেপাশের অনেক কথা বলে ফেললাম, আসল কথা বলা হয় নি। মানুষ একটা জানোয়ার ছাড়া আর কিছু না, জঙ্গলে না থেকে ইদানিং ঘর বাড়িতে থাকে এই যা পার্থক্য। মানুষও বিচিতে লাঠি পড়লেই সোজা হয়। সাউথ আফ্রিকায় এক সময় শাসক গোষ্ঠী সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঙ্কি আর কুলি বলে ডাকত; এখন এইটা কেউ বলে দেখুক; পুলিশ (পুলিশের রঙ যাই হোক) এসে পুচ্ছদেশে ব্যাটন ভরে দিয়ে টেনে নিয়ে যাবে থানায়। মানে হল যেমন কর্ম হাতে হাতে তার ফলাফল দিয়ে দিলে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। টিকিট কাটার সময় যেমন বলে দেওয়া হয় আগুন বা এ ধরণের কোনকিছু নিয়ে ঢোকা যাবে না, সেই রকম বলে দিতে হবে - ফাউল আচরণ বা কথাবার্তা বললে তার ফলটা কি হবে। পুলিশতো গ্যালারীতে মজুদই থাকে, কয়েকটা ইতর ধরে ফেলে নাম ধাম ঠিকান ফোন নাম্বার নিয়ে ট্র্যাফিক টিকিটের মত একটা নোটিশ ধরায় দিতে হবে নগদে ফাইন সহ। সেইসাথে বাধ্যতামূলক আগামী ছয় মাস মানবিকতা, বিনয়, সৌজন্য ও শালীনতা ক্লাসে ভর্তি করায় দিতে হবে। কোর্স ফীও ওই ইতরের কাছ থেকেই নিয়ে নিতে হবে। কোর্স শেষে সে একটা সনদ পাবে যেটা আবার থানায় গিয়ে জমা দিতে হবে প্রমাণ হিসেবে। কেমন হয় ব্যাপারটা?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)

দেবদ্যুতি

সাফি এর ছবি

টিকেট কেনার সময়েই একটা গাইডলাইন লিফলেট দেওয়া যেতে পারে সাথে। কিম্বা অনেকে যে চার ছয় লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যায় তার এক পাশে চার/ছয় আর অন্য পাশে গাইডলাইন প্রিন্ট করা যেতে পারে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের মা বাবা সন্তানের গাত্রবর্ণের লজ্জা ঢাকতে “উজ্জ্বল শ্যামলা”’র মত ছদ্মবেশী শব্দের ব্যবহারে বাধ্য হোন।

সুন্দর পর্যবেক্ষন। তলিয়ে দেখলে এমন আরও সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বর্ণবিদ্বেষের নজির বের করা সম্ভব আমাদের মধ্য থেকে। যেমন, ছেলের অভিভাবকরা বিয়ের পাত্রী দেখতে গিয়ে প্রায়ই তীক্ষ্ম চোখে মেয়ের পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কারণ, তাদের বদ্ধমূল ধারণা, মেয়েটি হয়ত মেকাপ করে নিজের মুখায়বয়বের 'কালো'ত্ব ঢেকে রেখেছে; পায়ে যেহেতু মেকাপ করা সম্ভব হয় না, তাই পায়ের বর্ণ পর্যবেক্ষনেই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেতে পারে মেয়েটির আসল বর্ণ পরিচয়!!!! এভাবে আমরা প্রায়ই গাত্রবর্নের 'কালো'ত্ব পরীক্ষায় সবটুকু মেধা খরচ করে ফেলি, মনের 'কালো'ত্ব নিরীক্ষনের জন্য আর একটুও মেধা অবশিষ্ট না রেখে!

যদিও আমাদের দেশে অন্যান্য বিদ্বেষ, যেমন, অন্য ধর্মের লোকদের প্রতি বিদ্বেষ যতটা প্রবল, বর্ণ বিদ্বেষ ততটা নয়; তবু যতটুকু রয়েছে, তা নিয়ে যদি আমরা সচেতন না হই, তাহলে এই জাতিগত বিদ্বেষও বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে এক সময়; ছাড়িয়ে যাবে পাশ্চাত্যের এই মুহুর্তের সবচেয়ে বড় সামাজিক ব্যাধিকে!
।।।।।
অনিত্র

মন মাঝি এর ছবি

আমরা নিজ পরিবারের তুলনামূলক গাঢ় বর্ণের সদস্যটিকে সরাসরি কিংবা নানা রূপকের আশ্রয় নিয়ে অপমান করি। আমাদের মা বাবা সন্তানের গাত্রবর্ণের লজ্জা ঢাকতে “উজ্জ্বল শ্যামলা”’র মত ছদ্মবেশী শব্দের ব্যবহারে বাধ্য হোন।

এটা "বর্ণবাদ" না।

আমাদের উচিত এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলা। আমাদের উচিত নিজেদের অন্ধকারের মোকাবেলা করে নিজেকে ভালোমত চেনা।

খুব খাঁটি কথা। আমাদেরর এসবই করা উচিত অবিলম্বে। কিন্তু তারও আগে উচিত কোনটা "বর্ণবাদ" আর কোনটা তা না বা অন্যকিছু - সেটা আরও ভাল করে চিনে নেয়া। ডিস্ক্রিমিনেশন ভাল না, কিন্তু এক্ষেত্রে তা শুধু ভাল বা স্বাস্থ্যপ্রদই না, বরং দস্তুরমত অপরিহার্য। মুড়ি-মিছরিতে পার্থক্য করতে না চিনলে - "সকলই গরল ভেল"-এ পরিণত হতে পারে! :)

****************************************

সজল এর ছবি

বাংলা [url=https://bn.wikipedia.org/wiki/বর্ণবাদ]উইকি [/url] থেকে ঝাড়ছি, ক্যাম্পাস থেকে বাসায় গিয়ে আসল সোর্সটা নামিয়ে সেটা উল্লেখ করে দিব।

বর্ণবাদের সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ করাটা কঠিন। কারণ, গবেষকদের মধ্যে গোষ্ঠী(race) ধারণাটি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এছাড়াও কোনটি বৈষম্য এবং কোনটি বৈষম্য নয় সেটি নিয়েও সবাই একমত নয়। বর্ণবাদ কখোনো গায়ের চামড়ার রং দিয়ে হতে পারে, কখোনো আঞ্চলিকতা দিয়ে হতে পারে, কখোনো গোত্র দিয়ে হতে পারে, কখোনো বর্ণ (caste) দিয়ে হতে পারে।

উইকি যে রেফারেন্সটা ব্যবহার করেছে ঃ Reilly, Kevin; Kaufman, Stephen; Bodino, Angela (২০০৩)। Racism : a global reader। Armonk, N.Y: M.E. Sharpe। পৃ: 5–6। আইএসবিএন 978-0-7656-1060-7।

এই ব্যাপারটা কেন বর্ণবাদ না, বা একে ঠিক কী বলে ক্লাসিফাই করা যায় সে বিষয়ে আপনার চিন্তা শুনতে আমি আগ্রহী। আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না, আমার ধারণায় ভুল থাকার সম্ভাবনা ভালোই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মন মাঝি এর ছবি

আমার ধারণায় ভুল থাকার সম্ভাবনা ভালোই।

এক্ষেত্রে "ভুল" শব্দটার প্রয়োগই বোধহয় ভুল! :)
আপনার ভাষায় যেখানে কথিত বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই মতবিরোধ রয়েছে (অর্থাৎ এদের কেউ না কেউ "ভুল" নিশ্চয়ই, তাই না? অন্তত আংশিকভাবে হলেও? তা নাহলে মতবিরোধ থাকে কি করে?) - সেখানে আপনি / আমি - আমরা নিজেদের "ভুল" নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে বা একে-অপরকে "ভুল প্রমান" করার বন্ধ্যা ওয়ানআপম্যানশীপে লিপ্ত না হয়ে - বরং "এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলা"-র স্পিরিটে যদি বিষয়টা যৌথভাবে এবং আরও ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করি - তাহলেই বোধহয় ভাল হয়। আমি এই স্পিরিটেই আমার লে-ম্যান জ্ঞানের ভিত্তিতে এই বিষয়ে কি বুঝি সেটা শেয়ার করতে পারি - আপনাকে "ভুল" প্রমান করতে না। সে যোগ্যতা আমার নাই।

হ্যাঁ, আমি আমার "বুঝ"-টাই বলবো, হুবহু কোন বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা না। এটা কোন 'এক্স্যাক্ট সায়েন্স' না এবং কোন একক বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞাতেও আমার পুরোপুরি আস্থা নেই। তবে এখন থাক। এখন সকাল ৮-টা। সারারাত জেগে ছিলাম - এবারে একটু ঘুমাতেই হবে। ঘুম থেকে উঠে দেখি এ বিষয়ে কিছু করা যায় কিনা। :)

****************************************

সজল এর ছবি

সিওর, আলোচনা হোক।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(Y)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নজমুল আলবাব এর ছবি

বর্ণ বিদ্বেষ শিখতে শিখতে আমরা বড় হই।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বর্ণ বিদ্বেষ শিখতে শিখতে আমরা বড় হই

(Y)

রানা মেহের এর ছবি

বর্ণবাদের একটা অফিশিয়াল সংজ্ঞা আছে। আপনার দেয়া অনেক উদাহরণই এই সংজ্ঞার মধ্যে পড়েনা, মনমাঝি হয়তো এই কথাটাই বলতে চেয়েছেন।

আচ্ছা চাইনিজদের চিংকু কি বর্ণবাদের জন্য বলা হয়? একেতো আমি ধরে নিয়েছিলাম চীন এর মানুষ>চিংকু, নিগ্রো/নিগার কথাটার মধ্যে যেই নির্যাতনের ইতিহাস আছে অপমান এর সাথে চিংকুকে এক সারিতে ধাম করে বসাতে পারছিনা।

একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেছেন? কালোকে গালি দেয়া, সাদা মানুষকে নোংরা ভাবা আরো নানা রকম জিনিসপত্র দিয়ে বর্ণবাদকে দিগবিদিগ শুন্যভাবে ব্যবহার করা লোকজন পাকিস্তানের ব্যাপারে কীকরে যেন আশ্চর্য মানবতাবাদী হয়ে যায়। কোন বাদই পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাদা কমাতে পারেনা।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সজল এর ছবি

চিংকুতো চাইনিজদের অবজ্ঞা করেই বলা হয় যদ্দূর জানতাম (Racial Slur)। স্পেসিফিক্যালি বললে সুবিধা হতো কোনটা রেসিজমের সংজ্ঞায় পড়ে না।
নিজ রেইসের সদস্যদের মধ্যে গায়ের রঙ দেখে ডিসক্রিমিনেশন করাকে বর্ণবাদ বলতে আপত্তি করছেন কি? আমি নিজের চিন্তায় যা বুঝেছি বলি। এখানে দুইটা সংজ্ঞার ব্যাপার। এক হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে ডিসক্রিমিনেশনকে বর্ণবাদ বলা যাবে, আর দুই-কাকে ডিসক্রিমিনেশন বলা যাবে। আমার দেয়া দেশীয় উদাহরণে ভিত্তি হিসাবে গায়ের রঙকে ব্যবহার করেছি, আবার আরেকটা উদাহরণে আঞ্চলিকতাকেও ব্যবহার করেছি। আর ডিসক্রিমিনেশনের মধ্যে ভার্বাল অ্যাবিউজ, কিছু প্রিভিলেজ ডিনাই করা, চাকুরী শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম সুযোগ দেয়া ইত্যাদি ব্যবহার করেছি।

একটু ডিটেইলসে বলেন প্লিজ। ভুল তথ্য শেয়ার করে অস্বস্তির মধ্যে থাকতে চাই না।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রানা মেহের এর ছবি

না ঠিক আপত্তি করছিনা। বর্ণবাদের একটা সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা আছে, সেই সংজ্ঞার মধ্যে পড়েনা বলছি। তবে এই সব সংজ্ঞা বৃহৎ চিত্র মাথায় রেখে প্রনয়ন করা হয়। আমাদের দেশের পারিবারিক - সাংস্কৃতিক অসামঞ্জস্যতা এই সংজ্ঞায় কাভার করবেনা এটা খুব স্বাভাবিক।

প‌রিবারের সদস্যদের কালো বলে হেয় করাকে আমি দেখি সোশ্যাল স্টিগমা এবং ডিসক্রিমিনেশন হিসেবে। বর্ণবাদ জাতীয়তার/গায়ের রংকে উচ্চ-নীচ পরিমাপকের একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশে কালো ব্যবহৃত হয় সৌন্দর্যের ভুল ব্যাখ্যা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে। আমরা যখন বলি আফ্রিকান মানে খারাপ তখন গায়ের রঙ দেখে একটা লোকের চরিত্র বিচার করে বসি আর আমার বোন কালো মানে ধরে নেই দেখতে সুন্দর না, বিয়ে হবেনা। এই কথাটা আসে সমাজের প্রচলিত ভুল ধারনা দিয়ে। (ঘুমে চোখ খুলে পড়ে না গেলে আরেকটু ভালো করে বলতে পারতাম)

তবে এরকম ধারনা ভবিষ্যতে বর্ণবাদী হবার পথ সুগম করে দেয়।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমরা কিন্তু কঠিন রকমের বর্ণবাদী। একই জাতির মধ্যে আর্থিক বর্ণবাদটাও মারাত্মক। এখনো চাকরিদাতা নিজেকে মনে করেন 'মালিক' আর কর্মচারি চাকর/গোলাম...
এবং সবগুলা আচরণ আবর্তিত হয় এই শব্দগুলারে ধরেই

০২
মাঝে মাঝে মনে হয় বাঙালির পয়সাপাতি-ক্ষমতা-পড়াশোনা একটু কম থাকলেই বরং সে সুস্থ আর মানবিক থাকে

কল্যাণ এর ছবি

(Y)

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমাদের মাঝে কুচকুচে কালো গাত্রবর্ণ যার, সেও আফ্রিকার অধিবাসিদের অবলীলায় বলে কাউলা। বান্দির পুত, ফকিন্নির পুত, এ জাতিয় গালাগাল আমাদের চাকুরীজীবী জনতা কিংবা ছিন্নমূল ভিখারীরাও অহরহ প্রয়োগ করে থাকেন। এরকম নির্বোধ স্নবারি কিন্তু আমাদের মজ্জায় মিশে আছে।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আমাদের দেশে 'কালো মানুষ' বোঝাতে যে শব্দটা ব্যাব‌হার করা হয়, সেটাই চরম আপত্তিকর।
আমাদের বই পত্র, খবরের কাগজে জিনিসটা পরিষ্কার করতে হবে। আফ্রিকার কালো মানুষ সম্পর্কে চরম অবমাননা সেটা আমরা অনেক বয়স পর্যন্ত জানিই না।

এমনকি হজরত মুহাম্মদ (স) এর সাহাবি হজরত বেলাল (রা) এর বিষয়ে বলা হয় ' নিগ্রো(!) কৃতদাস'
২০০ বছর ধরে সাহেবদের ফেলে যাওয়া 'কালচার' এর বাইরে আসা দরকার।

শুভেচ্ছা :)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।