পকেট-সাইজ ভ্রমণ কাহিনী

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: বুধ, ২৫/০৫/২০১৬ - ৯:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুপার ফ্রাইডে
নানাবিধ কারণে ব্ল্যাকসবার্গ থেকে সাময়িক পালানো জরুরী হয়ে পড়েছিলো, মাস দুয়েক আগে পাওয়া একটা ইন্টার্নশিপের অফার তার একটা চলনসই ব্যবস্থাও করে দেয়। এলিয়েন হয়ে অ্যামেরিকাতে ক্যাম্পাসের বাইরে কোন কাজ করতে যাওয়ার নানা আচার তন্ত্রসাধনার প্রস্তুতির চেয়ে অনেক জটিল আর সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জব পারমিট পাওয়ার জন্য প্ল্যান অফ স্টাডি জমা দিতে হয়, তার জন্য বাচ্চা অবস্থায়ই পিএইচডির কমিটি তৈরি করে ফেলতে হয়। তার জন্য নানা প্রফেসরকে ইমেইল করে কি সামনাসামনি দেখা করে পটাতে হয়, তার জন্য রিসার্চ প্ল্যানের কল্পবিজ্ঞান লিখতে হয়। দিন দশেক সময় নিয়ে সব কিছু শুরু করে গ্র্যাজুয়েট স্কুলে সব কাগজপত্র জমা দিই মাত্র এক সপ্তাহ আগে। কোন কিছুই দ্রুত চলতে চায় না, খোঁচা খোঁচা দাড়ি মুখে ভয়ানক চেহারা নিয়ে সম্ভাব্য মধুরতম হাসি দিয়ে গ্র্যাজুয়েট স্কুলের নানা লোকজনকে পটানোর চেষ্টা করি। তেমন একটা কাজ হয়না এতে।

সোমবারে কাজ শুরু, ৭৫০ মাইল দূরের শহরে, যেখানে আমার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা। শুক্রবারে খুব সকালে উঠে হিসাব করতে বসি কী কী কাজ বাকি আছে। নতুন জায়গায় বাসা ঠিক করা, বর্তমান বাসার জিনিসপত্র কোথাও রেখে সেটা পরিষ্কার করে ছেড়ে যাওয়া, এবং অতি অবশ্যই জব পারমিট জোগাড় করা। শনিবারে যেহেতু পথে নেমে পড়তে হবে, চিন্তা করে দেখলাম একদিনের মাঝে সব কাজ করে ফেলতে হবে। গোথামের দুঃসময়ে যেমন ডার্ক নাইট জেগে উঠে, নায়িকাকে বেঁধে রাখলে অনন্ত জলিল যেমন মোটরসাইকেলে করে তাড়া করে প্লেন ধরে তারপরে বাতাসে প্যারাসুট ছাড়াই ঝাঁপিয়ে পড়ে বাতাসেই বিস্ফোরক পদক্ষেপে মাইল খানেক পথ পাড়ি দিয়ে দেয়, তেমনি করে আমার মাঝে অসম্ভবকে সম্ভব করার তাড়না এলো। পুরা সেমিস্টার জুড়ে মনিটরের পিক্সেল মুখস্ত করায় চোখের মাসলগুলার সামান্য পরিশ্রম ছাড়া শরীরের অন্য কোন পেশীকে নাড়ানো হয়নি তেমন, একদিনে সবকটাকে সুদেআসলে খাটিয়ে নিয়ে রাত হতে হতে সত্যি সত্যি সব কিছু করে ফেললাম!

রোড ট্রিপঃ প্রথম দিন
ব্ল্যাকসবার্গ ছেড়ে আসার আগের দুইদিন আবেগঘন ভাষায়, "সামারেতো আপনাদের সাথে দেখা হবে না, একদিন ভালোমন্দ খাইয়ে বিদায় জানাবেন না?" বলে বলে খান তিনেক দাওয়াত খেলাম। তারপরে ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক নানা লোকজনের কাছ থেকে জোর করে বিদায় নিয়ে শনিবারে পথে নামতে নামতে বিকাল ৫টা। পথে নামতে না নামতেই মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে চরাচর মুছে যাচ্ছে, আমার তাতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হল চরাচরের সাথে সাথে রাস্তার লেনের দুই পাশের দাগও নাই হয়ে গেলো। বৃষ্টির ভয়ে স্পিড কমিয়ে আনতে পৌরুষে লাগে, আবার কোথায় যাচ্ছি তার কোন ধারণা নেই। রাস্তার অন্য গাড়িগুলার ব্যাকলাইটের দুর্বল আলো দেখে তিনটা গাড়িকে সরল রেখায় জুড়ে দিয়ে নিজের লেনের অবস্থান আন্দাজ করার চেষ্টা করতে করতে দুরুদুরু বুকে আপাতঃ সিংহ-হৃদয় দেখাতে দেখাতে এগিয়ে যাই। এজুকেটেড গেস দিয়ে ম্যাট্রিক আর জিয়ারির এমসিকিউ চালিয়ে দিলাম, আর এতো সামান্য গাড়ি চালানো!

ভার্জিনিয়া ছাড়িয়ে উত্তরে এগুচ্ছি, রাস্তায় লেনের সংখ্যা হঠাৎ করে দুইয়ের বেশি হয়ে গেলে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাই, "এত লেন লইয়া আমি কী করিব?" ধরনের ভাব আসে। রাজধানীকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ি ঢাকার জ্যামে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে স্পিড শূন্যে নিয়ে এসে ধুম করে মনে হল আমার গাড়ি প্রচণ্ড বেগে পিছিয়ে যাচ্ছে, ফ্রি-ফলের মত ভয়ের অনুভূতি হলো। আপেক্ষিক বেগের ধারণা দিয়ে নিজের কাছে ঘটনাটার ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেকে শান্ত করলাম। প্রায় বিশ মিনিটের মত জ্যামে বসে থাকতে থাকতে রাস্তার সবচে ডানের লেনটা কেন লাল কার্পেটিং করা, বহুদিন ধরে জমে থাকা এই প্রশ্নের উত্তরও বের করে ফেলি। ওই লেনটার উপরে একটা ডিসপ্লেতে লাল ক্রস আর লেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স দৌড়াতে দেখে বুঝলাম এটা হচ্ছে খণ্ডকালিন ইমার্জেন্সি লেন। নিয়মিত সময়ে সবাই এটা ব্যবহার করতে পারবে, ইমার্জেন্সির সময়ে উপরে লাল দাগে একে বাতিল করে দেয়া হবে। নিজের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে মাথার উপরের আয়নায় নিজের দিকেই একটা মুগ্ধ নজর দিয়ে দেই।

মেরিল্যান্ড ঢুকার পর থেকেই একটু পর পর টোলবুথ। একেকবারের টোলের টাকা দিয়ে মোটামুটি ভালোমানের খাবার এক বেলা খেয়ে ফেলা যায়। এদের ভাবটা যেন পানি কি বাতাসে মাটি ভরাট করে তার উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়েছে, তাই খরচ পোষাতে গিয়ে একটু পর পর চলন্ত গাড়ির ড্রাইভারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে! পেনসিলভিনিয়া রাজ্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অন্ধকার, হোটেলে পৌঁছার তাড়া নিয়ে দ্রুত ফিলাডেলফিয়া পৌঁছাই।

বিরতি
প্রায় সোয়া চারশো মাইল পাড়ি দিয়ে হোটেলে থামি। পুরা যাত্রাপথের সবচে প্রিয় অংশ হচ্ছে এটা। রাত বারোটায় আগে থেকে সস্তা দেখে বেছে নেয়া হোটেল আমি পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দামী হোটেলে রূপান্তরিত হয়ে যায়। অনলাইনের রেট দেখিয়ে মুলামুলি করে কিছুটা আয়ত্ত্বের মাঝে নিয়ে আসি ভাড়া। তারপরে রুমে গিয়ে দেখে তেপান্তরের মাঠের মত বিশাল এক বিছানা, আর তা দেখে মিশ্র অনুভূতি হয়। ঘুমের মাঝে ভিটরুবিয়ান ম্যানের মত দ্রুতবেগে হাত পা নাড়তে থাকলেও সেটা কোথাও ঠেকে যাওয়ার ভয় নেই সেই খুশি আর বিছানার বিশাল জায়গা অব্যবহৃত থেকে যাওয়ার অপচয়ের কথা চিন্তা করে কিছুটা বিরক্ত হই। ফক্স চ্যানেল ছেড়ে ট্রাম্পের গুণগান শুনতে শুনতে ঘণ্টা খানেকের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ি।

প্রায় ৯ ঘণ্টা পরে ঘুম ভাঙে, আর আমি এখানেই আরেক দিন থেকে যাব কিনা ভাবতে থাকি। আমার কাছে আজন্মলালিত জমিদারীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের বাস্তবসম্মত উপায় বলতে হোটেলে জীবন কাটিয়ে দেয়া। যেহেতু রবিবার রাতের মাঝেই পৌঁছাতে হবে গন্তব্যে, তাই বের হবার প্রস্তুতি নেই। কফি বানাতে গিয়ে দেখি গত শতাব্দীতে পনেরো ডলারে কেনা কফি মেকারটা পাওয়ার সুইচে কোন সাড়া দিচ্ছে না। কিছুক্ষণ জিনিসটাকে ঠিকঠাক করার চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলাম। ইঞ্জিনিয়ার সত্ত্বা হাল ছেড়ে দিলে একটা মাইক্রোওয়েভ দেখে নিজের ভেতরের রাঁধুনি সত্ত্বা জেগে উঠে। একটা মগে পানি ভরে, তার মাঝে কফি পড দিয়ে সিদ্ধ করে কফি বানিয়ে ফেলি।

রোড ট্রিপঃ দ্বিতীয় দিন
হাজার হাজার মাইল গাড়ি চালিয়ে পাড়ি দিব, এমন বিশাল পরিকল্পনা আমার অনেক দিনের। কিন্তু রাস্তায় নেমে বিরক্ত লাগতে থাকে, পথে পথে থেমে নানা জায়গা দেখতে দেখতে আগাব এমন প্ল্যান বাতিল করে টানা গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। ফিলাডেলফিয়া শহরের পাশ দিয়ে ঝুলন্ত ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে গিয়ে মনে হয় অনেক দিন পর সত্যিকারের বড় শহর দেখছি, হাইওয়ে থেকে নেমে শহর ঘুরে যাবার ইচ্ছা অনেক কষ্টে দমন করি। রেডিওতে চলতে থাকা গানগুলা আমাকে জাগিয়ে রাখে, কিন্তু স্টেট বাউন্ডারি বদলাতে বদলাতে আগে থেকে টিউন করা অনেক চ্যানেল ভুতুড়ে আওয়াজ করতে থাকে।

গাড়ি চালাচ্ছিলাম ফোনের গুগল ম্যাপসের কথা শুনে আর মাঝে মাঝে দেখে। আমার সাথে একা থাকতে থাকতে বিরক্তিতে গুগল ম্যাপস একসময় বাকরুদ্ধ হয়ে যায়, আর আমি নিউ জার্সি স্টেটে ঢুকার আগে আগে পথ ভুল করে বিশেষ পাস সহ-ই শুধু যাওয়া যাবে এমন রাস্তায় উঠে পড়ি। টোলবুথে লেখা দেখি "থেমে টিকেট নাও"। বুথে কোন মানুষ দেখি না, সামনে একটা স্পিকার দেখে হ্যালো হ্যালো বলতে থাকি। স্পিকারের ওই পাড়ে কেউ একজন আমাকে শুনছে এইটুকু বিশ্বাস আমাকে পিছনের গাড়ি গুলাকে ব্লক করে থেমে থাকার সাহস যোগায়। মিনিট খানেক পার হয়ে গেলেও ঈশ্বরের মতোই ওই পাড়ের এনটিটি নীরব থেকে যায়। একটু পরে ধৈর্য্য হারিয়ে নাস্তিকের মত গাড়ি টান দেই।

নিউ জার্সিতে "গার্ডেন স্টেট পার্কওয়ে" ধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় মূক গুগল ম্যাপস। গেঁয়ো রাস্তা আর হাইওয়ের অসম মিলনের ফল এই রাস্তা। দুই পাশের সবুজ দেখে গার্ডেন স্টেট নামকরণকে অনুমোদন দিয়ে দেই। হঠাৎ করে দেখি রাস্তার দুই পাশে যত দূর চোখ যায়, সারি সারি গ্রেইভ স্টোন। ভাবলাম কী ভয়ানক লোকরে বাবা এরা, হাজারে হাজারে মানুষ পুঁতে পার্ক বানিয়ে ফেলেছে! তাড়াতাড়ি পার্কওয়ে ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম। নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাম এড়াতে তাকে পাশে রেখে "তাপান জি" ব্রিজের উপর দিয়ে বিশাল হাডসন নদী ক্রস করলাম। নদীর বিশালতা, আর অগুনতি গাড়ির ব্যস্ততা দেখে বুড়িগঙ্গার স্মৃতি ফিরে এলো। নদী ভালোমত দেখার ইচ্ছা থাকলেও জানের ভয়ে মূলত সামনে তাকিয়ে গাড়ি চালাতে হলো। কাঁচপুর ব্রিজের উপর দিয়ে এক হাতে সিগারেট আর আরেক হাতে ফোন কানে ধরে স্টিয়ারিং হুইল ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে শীতলক্ষ্যা পাড়ি দেয়া ঢাকা-সিলেট রুটের সেই অকুতোভয় ব্যাস ড্রাইভারের পায়ের নখেরও যোগ্য যে আমি না সেটা বুঝতে পেরে মন খারাপ হয়ে যায়।

নিউ ইয়র্ক স্টেট জুড়ে স্পিড লিমিট দেখতে পাই মাত্র ৫৫, মনে মনে নিউ ইয়র্ককে মুরগীহৃদয় বলে গালি দেই। স্টেট যেমনই হোক, তার ড্রাইভারেরা সব চিতার ক্ষিপ্রতায় স্পিড লিমিটের প্রায় বিশের উপর দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলো। ম্যাসাচুসেটসের রাস্তায় ড্রাইভারেরা আরও ডাকাবুকো, স্পিড লিমিটের ২৫/৩০ উপরেও অনেককে গাড়ি চালাতে দেখলাম। প্রথম টিকেট খাওয়ার স্মৃতি এখনো দগদগে বলে, অনেকদিন স্পিডিং করি না। কিন্তু এখানে সবার ফ্লোতে মিশে গিয়ে অনেক দিনের স্পিডিং এর শখ আবার মিটিয়ে নিলাম। গন্তব্য নিউ হ্যাম্পশায়ারে পৌঁছার আগে বোস্টনের কাছাকাছি সূর্য পশ্চিম আকাশে অনেকটাই নেমে এসেছে। সূর্য বামে সরে গেলে একটু তাকিয়ে দেখি মডার্ন আর্টে সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা ছেঁড়া কাগজের মত কয়েকটা ছোটখাটো মেঘ সূর্যের নীচে ঝুলে আছে। পারলে রাস্তার মাঝেই গাড়ি থামিয়ে ক্যামেরা হাতে নিয়ে নেই!

সমাপ্তি
সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছালাম, প্রায় ৮০০ মাইল পাড়ি দিলাম পথের সব আকর্ষনীয় আর ঘটনাবহুল শহরগুলোকে পাশ কাটিয়ে। এই লাইনটা লিখে মনে হলো আত্মজীবনী লিখে ফেললাম!

বানানঃ তিথীডোর


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কাঁচপুর ব্রিজ শীতলক্ষ্যা নদীর উপরে বানানো, বুড়িগঙ্গা নদীর উপরে নয়।

স‌্যান মিগুয়েল জয় করার মতো, ব্ল্যাকসবার্গ থেকে নিউ হ্যাম্পশায়ার পর্যন্ত একা ড্রাইভ করা প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে বুদ্ধমুর্তিসহ একটা ছবি দিতে পারতেন।

সজল এর ছবি

ভুলে গেছিলাম শীতলক্ষ্যার কথা!

আমার এখন যা রেপুটেশন, আর বুদ্ধমূর্তির দরকার নাই মনে হয়।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

হাসিব এর ছবি

মাঝে মাঝে কনফিউজ হয়ে যাই। সামথিং বুর্গ মানে ধরে নেই এইটা জার্মানিক কোন দেশ। আবার সামথিং শায়ার মানে হল জায়গাটা ডাকাত মুলুকে। পরে আবার স্মরণ হয় যে এইটা তো মার্কিন দেশের ড্রাইভ কাহিনী!

সজল এর ছবি

ইউরোপিয়ানদের দেয়া নামই তো এইগুলা, এই জন্য কমন হয়ে গেছে। আমাদেরগুলাকে বার্গ বলে অবশ্য। আর শায়ার অতি অবশ্যই বৃটিশদের দেয়া, এই পুরা এরিয়াকেই নিউ ইংল্যান্ড বলা হয়।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নীলকমলিনী এর ছবি

আমার বাড়ীর পাশ দিয়ে চলে গেছেন। টাপানজি ব্রীজ থেকে মাত্র বারো মাইল। আমি কয়েকদিন আগেই মিজউরি থেকে এই রাস্তা দিয়েই এসেছি। তবে টোল ছাড়া।জিপিএসে টোল ফ্রি রাস্তা বললে টোল ছাড়াই আসতে পারতেন। দূরত্ব একই হতো।
আর গারডেন স্টেটে তো একটু পর পর ই টোল।
লেখা ভাল হয়েছে। এখন নিউ হ্যাম্পশায়ার নিয়ে লিখে ফেলুন শীগগির।

সজল এর ছবি

ভার্জিনিয়া থেকেতো, একদম টোল এড়িয়ে দ্রুত আসা কঠিন হয়ে যেতো। নিউ হ্যাম্পশায়ার দেখে নেই আগে হাসি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

গত বছর নিউ হ্যাম্পশায়ার গিয়েছিলাম। একজন বলছিল সেখানকার অফিসিয়াল মটো নাকি "লিভ ফ্রি অর ডাই"! লেখা ভালো হয়েছে, এখন নিউ হ্যাম্পশায়ার নিয়ে লিখুন।
________________
সৌমিত্র পালিত

সজল এর ছবি

ওকে, ফ্রি লিভিং এর চেষ্টা করব, মরার ইচ্ছা নাই এখনি।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একা একা এতবড় পথচলা একঘেঁয়ে লাগার কথা, সেদিক থেকে আপানেক বেশ 'upbeat' মনে হল। বৃষ্টিতে পথে চলা একটু দুরূহ বিষয়। বেশি বৃষ্টি হলে মোটামুটি সবাই ধীরেই চলবে, কিন্তু হালকা থেকে মধ্যম বৃষ্টি দেখলে অনেকে আবার একটু জোরে চালানো শুরু করে যেন গন্তব্যে তাড়াতাড়ি পৌঁছা যায় ইয়ে, মানে...

আর অযথাই স্পিড লিমিট কমিয়ে লেখার কোন মানে নাই। ৫৫ লিখলেও সবাই ৭০-৮০ এ চলবে, ওসব যায়গায় ৫৫ তে চলতে গেলেই বরং ভয় লাগে। আবার বাড়িয়ে ৬৫ লিখলে মানুষ তখন ৮৫-৯০ তে চলবে। "এহেন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কী করিবে?" আমি নিজেই জানি না।

সবশেষে, 'গ্রীষ্মকালীন মিশন" -এর জন্য শুভেচ্ছা হাসি

সজল এর ছবি

একঘেঁয়েই লাগলো। চাইলে এনফোর্স করা যায়, ভার্জিনিয়াতে যেমন দশের বেশি উপরে উঠা যায় না, প্রায় নিশ্চিত ভাবে পুলিশ ধরে ফেলে। দেখা যাক গ্রীষ্মকালীন মিশন কেমন যায়!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সত্যপীর এর ছবি

বৃষ্টিতে চরাচর মুছে যাচ্ছে, আমার তাতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হল চরাচরের সাথে সাথে রাস্তার লেনের দুই পাশের দাগও নাই হয়ে গেলো।

ঝুম বৃষ্টি কিম্বা তুমুল স্নোফলের সময় লেন মার্কার হাওয়া হয়ে গেলে আমি একটা ফোর হুলার টাইপ গাড়িরে টার্গেট করি আর তার পিছে পিছে যাই। সে আগাইলে আগাই, সে স্লো করলে আমিও স্লো করি। সে ডাইনে বায়ে কাইত হইলে আমিও সেই ভাও করি। জিপিএস নানান কান্না করে আর পিড়িং পিড়িং শব্দে রুট চেঞ্জ করতে থাকে কিন্তু আমি অটল ও অবিচল। দরকারে সামনের গাড়ির বাসায় যামু সমস্যা নাই কিন্তু বিষ্টিবাদলার মধ্যে লেনের হিসাব করতে আমি রাজি না।

..................................................................
#Banshibir.

সজল এর ছবি

আমি একটা গাড়ীর পাশে পাশে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে সে পানির স্প্ল্যাশ দিয়ে আমারে প্রায় কানা করে দিছিলো!

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তিথীডোর এর ছবি

যাক, তিথি বানান ঠিক করেছেন, নইলে মাইর দিতাম। চাল্লু

ব্লগিং ধংস করে দিয়েছে ফেসবুক, সুন্দরি পাঠিকাদের ডিরেক্ট ফিডব্যাকের লোভে উদীয়মান লেখকেরা অকালে ঝরে গেলো। নিয়মিত লিখলে আর শেষটায় তাড়াহুড়োয় ইতি টানার বদভ্যাস ছাড়লে লাস্যময়ী/ ঘরোয়া রিডার জোগাড়ে হেল্প করতে পারি। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সজল এর ছবি

আয়রনিটা চিন্তা করো! তোমার কথায় আর ভরসা নাই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সজল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নতুন শহরে গিয়ে
না করলে বিয়ে
আবার কি আপনার দেয়ালে
চিকা মেরে যাবে কেউ?

সজল এর ছবি

"দেয়ালে চিকা মারা নিষেধ" ঝুলিয়ে দেবো। একা লোক, কয়টা বিয়ে করব?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তারেক অণু এর ছবি

বেড়ে হয়েছে! ঝরঝরে, খাসা! ভাবছি আম্রিকায় রোড ট্রিপের কোন এক অংশে আপনারেও নিয়ে নিতে হবে! লেখা চলুক, সাথে বাকী সবকিছুই-

সজল এর ছবি

ঘুরা লাগবে, আসেন আগে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।