রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সচলায়তনের ব্যানার করতে গিয়ে স্মৃতি, বই, ইন্টারনেট ঘেঁটেও কুল পাচ্ছিলামনা কি লেখা যায়! স্লোগান, কবিতা, গান খুঁজে খুঁজে হয়রান - এদিকে সময় নেই - হুট করে লেখা হয়ে গেল 'ধর্মান্ধতা নিপাত যাক' - সেই তিন শব্দ লিখতে গিয়ে চোখে পড়ল, মনে পড়ল অনেক কিছু, আর ভাবনায় এল জামাত-শিবির-রাজাকার-স্বৈরাচার-মৌলবাদ- সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী স্লোগান ও কবিতাগুলো সঙ্কলিত করতে পারলে কেমন হয়?!
এত দীর্ঘদিন ধরে এই যে নরপশুগুলোর বিরুদ্ধে আমরা লড়েই যাচ্ছি তার একটা অন্যতম উপাদান এই স্লোগান, কবিতা, গান, রেখাচিত্র, দেয়াল লিখন, ইত্যাদি। একটা তালিকা করা যায় না? এমনকি নতুন কোন স্লোগান বা কবিতা যদি কারো মাথায় আসে - মন্তব্যে লিখলে তা পরে মূল পোস্ট এ যোগ করে নেয়া হল?! সচলায়তন এর সবার অংশগ্রহণে এ কাজ অসম্ভব নয় - শুরু হোক এখনি-------
১। জামাত, শিবির, রাজাকার - এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়
রক্ত পিপাসুদের বিরুদ্ধে করা প্রতিটি মিছিলে এই স্লোগান বহুল ব্যবহৃত
২। শহীদের বাংলায় - রাজাকার এর ঠাঁই নাই
আরেকটি মনের কথা, মিছিলের ভাষা
৩। আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত - এই রক্ত কোনদিনও পরাভব মানেনা
রক্তে নাচন ধরায় এখনো কোন মিছিলে এই সত্য, এই স্লোগান শুনে
৪। জাতির পতাকা খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন
দ্রোহের মন্ত্রে বাঁধা যার প্রাণ সেই রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর তুমুল জনপ্রিয় কবিতা ' বাতাসে লাশের গন্ধ' এর একটি লাইন, পুরো কবিতাটিঃ
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন। বাতাশে লাশের গন্ধ
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,
আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,
স্বাধীনতা – একি হবে নষ্ট জন্ম ?
একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।
মাটিতে রক্তের দাগ -
চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়
এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-
তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ
মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
ঘুমুতে পারিনা...
রক্তের কাফনে মোড়া – কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা, সে আমার – স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -
স্বাধীনতা – আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।
৫। রাজাকারের চামড়া - তুলে নেব আমরা
মিছিলের পা গুলো যখন দ্রুত লয়ে একসাথে এগিয়ে যায় - মাঝে মাঝেই চরম আক্রোশে বেরিয়ে উচ্চারিত হতে থাকে এই তীব্র স্লোগান
৬। গোলাম আজম, সাইদী - বাংলার ইহুদি
হিটলার এর দোসর এই অমানুষগুলোকে নিয়ে এই স্লোগান ছিল বাংলাদেশ এর দেয়ালে দেয়ালে আর মিছিল এর মুখে মুখে
৭। একাত্তুরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার
দারুন এক স্লোগান - আশা জাগিয়ে রাখে প্রতি অন্তরে, প্রতি মুহুর্তে
৮। শামসুর রাহমান এর কবিতা - বন্দী শিবির থেকেঃ
ঈর্ষাতুর নই, তবু আমি বন্ধুরা তোমরা যারা কবি, অথচ এদেশে আমি আজ দমবদ্ধ স্বাধীনতা নামক শব্দটি অথচ জানেনা ওরা কেউ
শামসুর রাহমান
তোমাদের আজ বড় ঈর্ষা করি। তোমরা সুন্দর
জামা পরো, পার্কের বেঞ্চিতে বসে আলাপ জমাও,
কখনো সেজন্যে নয়। ভালো খাও দাও,
ফুর্তি করো সবান্ধব
সেজন্যেও নয়।
স্বাধীন দেশের কবি, তাদের সৌভাগ্যে
আমি বড়ো ঈর্ষান্বিত আজ।
যখন যা খুশি
মনের মতো শব্দ কী সহজে করো ব্যবহার
তোমরা সবাই।
যখন যে শব্দ চাও, এসে গেলে সাজাও পয়ারে,
কখনো অমিত্রাক্ষরে, ক্ষিপ্র মাত্রাবৃত্তে কখনো-বা।
সেসব কবিতাবলী, যেন রাজহাঁস
দৃপ্ত ভঙ্গিমায় মানুষের
অত্যন্ত নিকটে যায়, কুড়ায় আদর।
এ বন্দী-শিবিরে
মাথা খুঁড়ে মরলেও পারি না করতে উচ্চারণ
মনের মতন শব্দ কোনো।
মনের মতন সব কবিতা লেখার
অধিকার ওরা
করেছে হরণ।
প্রকাশ্য রাস্তায় যদি তারস্বরে চাঁদ, ফুল, পাখি
এমনকি নারী ইত্যাকার শব্দাবলী
করি উচ্চারণ, কেউ করবে না বারণ কখনো।
কিন্তু কিছু শব্দকে করেছে
বেআইনী ওরা
ভয়ানক বিস্ফোরক ভেবে।
ভরাট গলায় দীপ্ত উচ্চারণ করে বারবার
তৃপ্তি পেতে চাই। শহরের আনাচে কানাচে
প্রতিটি রাস্তায়
অলিতে-গলিতে,
রঙিন সাইনবোর্ড, প্রত্যেক বাড়িতে
স্বাধীনতা নামক শব্দটি আমি লিখে দিতে চাই
বিশাল অক্ষরে।
স্বাধীনতা শব্দ এত প্রিয় যে আমার
কখনো জানিনি আগে। উঁচিয়ে বন্দুক,
স্বাধীনতা, বাংলাদেশ- এই মতো শব্দ থেকে ওরা
আমাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে সর্বদা।
গাছের পাতায়, ফুটপাতে
পাখির পালকে কিংবা নারীর দু’চোখে
পথের ধুলায়
বস্তির দুরন্ত ছেলেটার
হাতের মুঠোয়
সর্বদাই দেখি জ্বলে স্বাধীনতা নামক শব্দটি।
৯। মৌলবাদ নিপাত যাক
১০। সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক
১১। DOWN WITH THESE DEMONS
১২। শামসুর রাহমান এর আরেকটি কবিতা
আজ এখানে দাড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে যারা গনহত্যা ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
শামসুর রাহমান
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ঞপক্ষ
দিয়েছিলো সেঁটে,
মগজের কোষে কোষে যারা
পুতেছিলো আমাদেরই আপনজনের লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত,
করেছে শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক
পশু সেই সব পশুদের।
সারিবদ্ধ দাঁড়
করিয়ে নিমিষে ঝা ঝা বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকে বুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উতসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভতস গন্ধ দিয়েছে
ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু করি না
কামনা।
আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিড়ি ভেন্গে যেতে আসতে
নদীতে আর বনবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে
অভিশাপ দিচ্ছি আজ সেইখানে দজ্জালদের।
১৩। নির্মলেন্দু গুণ এর কবিতা স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো - আবৃত্তি হয় রাজাকার বিরোধী নানা সমাবেশে- এখনো, পুরো কবিতাটিঃ
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না, জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি, কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের৷
নির্মলেন্দু গুণ
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷
তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷
সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷
না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷
একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’
১৪। বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান, আমরা সবাই বাঙালী
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও সুর করেছিলেন শ্যামল গুপ্ত - বিখ্যাত পোস্টার হয়েছিল ৭১ এ
বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান,
আমরা সবাই বাঙালী ।।
তিতুমীর, ঈসা খাঁ, সিরাজ
সন্তান এই বাংলাদেশের।
ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, নেতাজী
সন্তান এই বাংলাদেশের।
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কন্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
‘জয় বাংলা’ বল রে ভাই।।
ছয়টি ছেলে বাংলাভাষার চরণে দিল প্রাণ,
তাঁরা বলে গেল ভাষাই ধর্ম,
ভাষাই মোদের মান।
মাইকেল, বিশ্বকবি, নজরুল
সন্তান এই বাংলাদেশের।
কায়কোবাদ, বিবেকানন্দ, অরবিন্দ
সন্তান এই বাংলাদেশের।
এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে
বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কন্ঠস্বর,
মুজিবর, সে যে মুজিবর,
‘জয় বাংলা’ বল রে ভাই।।
১৫। আবুল কাশেম সন্দীপ এর লেখা ও সুজেয় শ্যাম এর সুরে এখনো প্রাসঙ্গিক এই গানটিঃ
বাংলাদেশের নাম।
মুক্তি ছাড়া তুচ্ছ মোদের
এই জীবনের দাম।।
সংকটে আর সংঘাতে
আমরা চলি সব একসাথে।
জীবন মরণ করে সব
লড়ছি অবিরাম।।
রক্ত যখন দিয়েছি আরও রক্ত দেব,
রক্তের প্রতিশোধ মোরা নেবই নেব,
ঘরে ঘরে আজ দূর্গ গড়েছি
বাংলার সন্তান,
সইবো না মোরা, সইবো না আর
জীবনের অপমান।।
জীবন জয়ের গৌরবে,
নতুন দিনের সৌরভে
মুক্ত স্বাধীন জীবন গড়া
মোদের মনস্কাম।।
১৬। তুই রাজাকার
১৭। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
১৮। রাজাকারের ফাঁসি চাই
১৯। জনতার সংগ্রাম চলবেই, চলবেই
২০। লাখো শহীদ ডাক পাঠালো সব সাথীদের খবর দে, সারা বাংলা ঘেরাও করে রাজাকারদের কবর দে
২১। খুদান্তিস !!!
২২। আজ গজব খুঁজে পাআবিইইইই, সব ছুটে ছুটে আআআআয়.............
২৪। রাজাকার ইস্যুতে, মানবতা মুছে ফেল টয়লেট টিস্যুতে
২৫। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে - অটল থাকিস বাপু, বিচলিত হোস্নে
২৬। যুদ্ধাপরাধী তুই হবে তোর ফাঁসি
২৭। সময়ের সাথে নাকি সবকিছু পাল্টায়—, কুমিরের ছানা বাড়ে ‘ঘোষকের’ খালটায়
জনতার সংগ্রাম চলবেই- এ সংগ্রাম থামার নয়, জামাত-শিবির-রাজাকার-স্বৈরাচার-মৌলবাদ- সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী এ লড়াইয়ে আমাদের যে যেভাবে পারি সম্পৃক্ত থাকতে হবে - স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালন এর এই কালে, কুখ্যাত রাজাকারদের বিচার শেষ হওয়ার দাবীতে, রাজাকার-মৌলবাদ বান্ধব অমানুষ কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে আপনার আমার প্রতি মুহুর্তের যুদ্ধ চলমান থাকুক।
এ পোস্টে যোগ করুন আপনার শব্দাবলী, চিন্তা, সংগ্রহ ...
মন্তব্য
সংশ্লিস্ট কোন কিছু মনে পড়লে জানাবেন। ধন্যবাদ
দারুণ প্রস্তাব!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
একটা স্লোগান লিখে দিন। ধন্যবাদ
"দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে
চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে
রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর
আবারো জেগেছে জাতি, হুশিয়ার! হুশিয়ার!!"
এটা স্বপ্নাহত-র।
ওর রাজাকার বধাবলী নিয়ে দশটা ছড়া আছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
facebook
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ -
জীবনানন্দের কবিতায় বা অন্য কারো কিছুতে মৌলবাদ বিরোধী কিছু পেলে জানাবেন।
হিম্ভাইয়ের বরাহশিকারঃ
অনেক ধন্যবাদ আপনার সংযুক্তির জন্য। এরকমই চাচ্ছিলাম।
কোন কারনে আমার এখানে লিঙ্ক টা কাজ করছেনা (আমি অবশ্য আগে শুনেছি)
চমৎকার উদ্যোগ।
এই ছড়াটা সংযুক্ত করতে পারেন।
আমাদেরই জয় হবে, রাজাকার শিকারে - - স্বপ্নাহত
--সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটcom
আগে পড়া হয়নি, ভাল লেগেছে - অনেক ধন্যবাদ সাদাচোখ
চমৎকার আইডিয়া!
তবে -
-এই লাইনটার ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে।
'রাষ্ট্র' ইজরায়েল বা তার সরকার/সরকারগুলির মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। আপত্তি আছে 'জায়োনিস্ট' মতাদর্শের কিছু বিষয় ও তার প্রয়োগে। এদের সাথে হয়তো গোয়া বা ইদীর মিল আছে। কিন্তু, তাই বলে আমি এদের সাথে (ইজরায়েল রাষ্ট্র বা গোয়া) সমগ্র 'ইহুদি'-জাতি বা ধর্মাবলম্বীদেরকে ইকুয়েট করতে রাজি নই। মনে রাখা দরকার, ইজরায়েল রাষ্ট্র বা জায়োনিজম আর 'ইহুদি ধর্ম/ধর্মাবলম্বী/জাতীয়তা' ঠিক এক জিনিষ বা সমার্থক না। সমগ্র "ইহুদি" ধর্ম বা জাতির সাথে (শুধু 'ইহুদি' বললে তাই বোঝায়) গোয়া বা ইদীর মত ধর্মব্যবসায়ী, গণহত্যাকারী নরপিশাচদের তুলনা করলে সেটা আসলে ধর্ম বা জাতিভিত্তিক সাম্প্রদায়িক/বর্ণবাদী বিদ্বেষের রূপ লাভ করে। এবং তা আমাদের গোয়া/ইদী/রাজাকার/জঙ্গী/মৌলবাদ বিরোধী মূল স্পিরিট ও তার পার্পাসকেই নষ্ট করে দেয়। ডিফিট করে। আমি জানি এটা আপনার উদ্দেশ্য ছিল না। এই লাইনটা কোট করা সম্ভবত অসতর্কতার ফল। তবে আশা করব ভবিষ্যতে আরেকটু সতর্ক হবেন। প্লিজ!
চমৎকার একটা উদ্যোগের জন্য আবারও ধন্যবাদ।
****************************************
সম্পূর্ণ একমত। জিয়োনিস্ট আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আমারও দ্বিমত আছে, এবং আজকের ইসরাইয়েলি আগ্রাসন ও বর্বরতার তীব্র নিন্দা আমরাও জানাই, তাই বলে পুরো ইহুদি জাতিকেই ঘৃনার চোখে দেখা ঠিক নয়। উদ্ধৃত শ্লোগানটি রাজাকারবধের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। জাতিবিদ্বেষের পুঁজ একটি শুদ্ধ আন্দোলনকেও কলুষিত করে পারে।
সহমত।
এটা বরং বাদ দিয়ে দেই পরবর্তী সম্পাদনার সময়?
নিশ্চয়ই!
****************************************
" অনেক ইহুদি যাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নৃশংসতার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পক্ষে কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউজের সামনে অনশন করেছেন একটা পরিবার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র বিদেশী বীরপ্রতীক ওডারল্যান্ড, উনিও তো ইহুদি "
- কমেন্ট কারটেসি: Omi Rahman Pial
ন্যায় এর যুদ্ধে মানুষেরা পাশাপাশি
আশ্চর্য হতে হয়, যখন অনেক সাম্প্রদায়িক ব্লগে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের সাথে রাজাকারদের অপরাধের তুলনা টানা হয়। যারা এটা করে, তারা জেনেশুনেই করে, মূল উদ্দেশ্য: যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধকে খাটো করা। মূল কথা হচ্ছে, ছাত্রলীগ-ছাত্রদল হাজার অপরাধ করলেও তা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার জামাতি বিশ্বাসঘাতকতার সাথে তুলনীয় হতে পারে না, যার মূল্য চোকাতে হয়েছে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালির প্রাণের বিনিময়ে।
সময়োপযোগী লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রাপ্য স্যাম ভাইয়ের। এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
এক টা নতুন স্লোগান বানিয়ে দিন। ধন্যবাদ ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয় ।
৪২ বছর আগে বাংলার খেয়েদেয়ে, বাংলার মাটিতে বাস করে যারা সর্বাত্মক বাধা দিয়েছিল বাংলাদেশের জন্মে, বাংলাদেশের ভ্রুণটির যারা গর্ভপাত ঘটাতে চেয়েছিল; সেই চরম নিমকহারামদের উত্তসূরী আজও বাংলাদেশের মাটিতে বাস করছে, অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। যাদের কোনো অধিকারই নেই বাংলাদেশে বাস করবার।
তামান্না ঝুমু
ধন্যবাদ
চলুক ...
বিপ্লব
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন কিছু যোগ করুন তাপস। ধন্যবাদ
অসাধারণ একটা উদ্যোগ স্যাম দা । ।
কোন স্লোগান, গান, কবিতা বা যে কোন কিছু - যা এই উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো যায় - খুঁজে পেলে জানাবেন - বাংলা/ইংরেজী যাই হোক। ধন্যবাদ
অসাধারন উদ্যোগ স্যামদা।
কিছু পেলে আমিও জানাব।
কৃতজ্ঞ থাকব। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ স্যাম। মনির, জুয়েল, তপনকে নিয়ে কিছু অসাধারণ লেখা আছে। লিন্কগুলো খুঁজে পাছিনা। আপাতত এই একটা পেলাম,
শহীদ মুনির তপন জুয়েলের খুনীরা কে কোথায়? অন্যকারো কাছে লিংক থাকলে জানাবেন, প্লীজ।
-রু
ধন্যবাদ।
১.
জামাত শিবির রাজাকারের ছা!
বাংলা ছেড়ে পাকিস্তানে যা!
২.
জন্ম তোমার এই দেশেতে পাকিস্তানের ছাও
এই মাটিতে খাইয়া দাইয়া নাপাকি ছড়াও
৩.
স্বৈরাচার আর রাজাকার
দুইটার পাছায় আঠা মার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
দারুন!দারুন!দারুন!
ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় আপনি আরো কিছু জানাতে পারবেন, বাস্তবের যোদ্ধাদের কাছে প্রত্যাশা বেশী
চমৎকার উদ্যোগ।
স্লোগান বা অন্য কোন কিছু যোগ করুন অন্য যে কোন সময়ে, যে কোন দিন। ধন্যবাদ
আচ্ছা অমর অজর গন সংগীতগুলোর কথা ভাবছেন তো ? লিস্টে "জনতার সংগ্রাম" দেখলাম । অন্যগুলো ?
শামসুর রাহমানের "অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ" কি প্রাসঙ্গিক ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
প্রাসঙ্গিক আরো কিছু মনে এলে যোগ করুন যে কোন সময়
গোলাম আজম তোর দাড়ি টানি,
তুই রাজাকার সবাই জানি !
চাললু - আরো চাই
আরেকটা চমৎকার সংকলন পেলাম। সাধুবাদ স্যামদা।
_____________________
Give Her Freedom!
কবির জন্য নতুন একটা কিছু বানানো তো ঘটনাই না - দেন না নতুন একটা স্লোগান লিখে
স্লোগান
১) কমন যদিও, তবু
জামাত শিবিরের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও
গোলাম আযমের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও
সাঈদী চোরার আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও
২) শিরোনামের স্লোগানটা বহুক্ষণ ধরে দেয়া যায়, এর শেষ নেই।
আমাদের ধমনীতে লাখো শহীদের রক্ত, এই রক্ত কোনদিনও পরাভব/পরাজয় মানেনা/জানেনা -- এইভাবে চলতে চলতে আমরা সেখানে একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম নিয়ে আসতাম। আমাদের ধমনীতে মুনির চৌধুরীর রক্ত, জিসি দেবের রক্ত, শহীদুল্লাহ কায়সারের রক্ত ...
শুধুমাত্র ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ব্যানার হয়, পোস্টার হয়। আর এই একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে জামাতিরা একটা দেশের স্বাধীন এগিয়ে যাওয়াটাকে কতদূর পিছিয়ে দিয়েছিলো তা চিন্তাই করা যায়না। প্রথম যখন রায়েরবাজার বধ্যভূমি নিয়ে যান বাবা তার আগে ছবি দেখিয়েছিলেন, দেখে তখন একটা জিনিস মনে হয়েছিলো, কতটা পশু হলে এভাবে মৃত মানুষকে এভাবে ফেলে রেখে যেতে পারে কেউ।
১৪ই ডিসেম্বর সমাগত, এর আগে থেকেই আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের উপর ব্যানার করতে থাকার জন্য দাবী জানিয়ে গেলাম। শহীদদের নাম ক্রমাগত ভুলে যায় বাংলাদেশ।
ব্যানার এর আইডিয়ার জন্য ধন্যবাদ
নতুন কিছু স্লোগান?
নতুন স্লোগান বানাতে হবে?
কারা নাকি (আনোয়ারুল আবেদীন)
কারা নাকি শুধু সন্ত্রাস করে
কারা নাকি খুন খারাবি
কারা নাকি দারু ছোঁয় নাকো ঠোঁটে
বদনাম তবু শারাবী।
কারা নাকি করে জনসেবা তবু
সন্দেহ করে কু-লোকে
কারা নাকি ধোয়া তুলসির পাতা
নাইকো উপমা ভূ-লোকে
কারা নাকি কারো করে নাকো ক্ষতি
অখ্যাতি তবু ক্ষতিকর
কারা নাকি নর-দেবতা তূল্য
বলে "নারীকূল গতি কর!"
কারা নাকি করে পারমিট বাজি
নিন্দে সে হয় আর কারো
কারা নাকি করে চাঁদাবাজি, বাজী
কারা নাকি করে টেন্ডার-ও।
কারা নাকি করে দলীয়করণ
কারা ছিনতাই ব্যালট-বক্স
কার রাজনীতি আরবী ধরণ
কারা বা রাশান অরথোডক্স।
কারা কারা করে কি কি আর কারা
করে নাকো কি কি হিসেব পাই
কারা বারোকোটি মানুষের খুনে
করে রাজনীতি, হিসেব নাই।
কলি যুগের ভেল্কি (আনোয়ারুল আবেদীন)
লাগ ভেল্কি লাগ চোখে মুখে লাগ
ভোটের বদল ভ্যাট দিয়েছি
আর কী নিবি, ভাগ!
লাগ রে জাদুর খেল ভানুমতীর খেল
পঁচাশ টাকায় ডাল দিয়েছি
ষাট টাকাতে তেল।
চন্ডালের এই হাড় কেরামতী তার
ছুঁইয়ে দিলে টেরটি পাবি
কেউ পাবি না পার।
গণতন্ত্র চাস চলছে তারি চাষ
চারদিকেতে ফুটুশ ফাটুশ
হঠাৎ হবি লাশ।
সংসদেতে ঘোঁট পাকিয়ে চাস ভোট
পায়ের দেবো রগটি কেটে
জামাতী এক জোট।
ন্যাশনালিস্ট এর নাম আজব কাজ ও কাম
স্বাধীনতা বিরোধীদের
গড়ছে স্বর্গধাম।
ছু মন্তর ছু দিলাম জাদুর ফুঁ
বস্তিতে বাস করেও পাবি
বেহেশতী খোশবু।
রাজনীতিরই খেল হঠাৎ তুফান মেল
ক্ষমতা রেল ধরবে না যে
জিন্দেগী তার ফেল।
ডুগডুগাডুগ ডুগ মসুর, কলাই, মুগ
দলভাঙ্গা দল দেশপ্রেমিক
ঘোর এ কলিযুগ!
হরিবোল (আনোয়ারুল আবেদীন)
ঃ বলহরি,হরিবোল
এই কাঁধে নে, সাবধানে তোল্ ।
ঃ কে গেলো রে, কে যায় কাঁধে?
পদি পিসী, নাকি রাধে?
ঃ না, ওরা নয়, জনতা।
অঃ, জনতা,তার লেগে কার মমতা?
ঃ মমতা নয়, পচবে লাশ।
বলহরি, ধর্ কোরাস।
বলহরি, হরিবোল
খুব ভারী লাশ, ধরি' তোল !
ঃ এবার কে রে, পালের গোদা?
রাজাকার, না শের-এ-খোদা?
ঃ না সেতো নয়, জনতা।
ঃ অঃ, জনতা, তার লেগে কার মমতা?
ঃ মমতা নয়, ক্ষ্যাম্তা চায়।
ঃ মড়ার কোনো ক্ষ্যাম্তা নাই।
ঃ বলহরি, হরিবোল!
নে মানিব্যাগ, ঘড়ি খোল্!
প্রশাসন তো হাতের মুঠোয়,
বিরোধীকে বাঁধবো খুঁটোয়,
গুন্ডাবাজীর তালিম নে,
ছাড়িয়ে যাবি ডালিমকে।
বলহরি, হরবোল
শোর জোরে তোল্, গলা খোল্ !!
ঃ কে গেল রে, কোন্ বদ?
ঃ মনুষ্য নয়, সংসদ।
ঃ আহ্হারে, চুঃ, মরে গেল
মস্ত বড় বাড়ি ছিল,
হাজার চাকর বাকর ছিল,
স্বাধীনতার আকর ছিল।
ঃজলদি পোড়া, পচবে,
শিক কাবাবটা মজবে।
ঃ বলহরি, হরিবোল,
দামী জিনিস,,যত্নে তোল্ ।
ঃ মড়ার আবার কী দাম?
-বললো হঠাৎ ছিদাম।
ঃকে গেল রে, এ লাশ কার্ ?
ঃ মরেছে খোদ সরকার।
ঃ যাক্ ! তাহলে মরেছে,
শেষ উইকেট পড়েছে।
এবার শ্রাদ্ধ শান্তি,
ওঁম, শান্তি। শান্তি।
ঃ এঁদের কোথায় গয়াধাম?
কোথায় হবে পিন্ডদান?
ঃতা জানিনে, হরিবোল-
বলহরি, হরিবোল !
- প্রাসঙ্গিক থাক্লে ভাল হয় - এখান থেকে একটা লাইন ও তো খুজে পেলাম না কাজে লাগার মত
বাংলার বুকে উদ্যত বেয়োনেট
ঘরে ঘরে তাই প্রস্তুত প্রতিরোধ
চির দুর্মর সাতকোটি ব্যারিকেড
রক্তের ঋণ রক্তেই হবে শোধ।
আরো আসুক...
সুত্র?
মোঃ মনিরুজ্জামানের জার্নাল ২৪শে মার্চ,১৯৭১। সরি, সেদিন উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
ঘাতক ১৯৫ (আলাউদ্দীন আল আজাদ)
তিরিশ লাখ হত্যা
সাড়ে তিন লাখ ধর্ষণ
পঞ্চাশ হাজার অগ্নি সংযোগ, এবং লুঠ
অগণিত
কিন্তু, ঘাতক
মাত্র ১৯৫ জন।
শুভঙ্কর কোথায় জন্মেছিল?
নিশ্চয় প্রাচ্যভূমি
যেখানে জীবনটা
আয়নার উল্টোপিঠ;
এবং ইতিহাস দস্যুর উপাখ্যান।
সেইসাথে আর একটাঃ
' লুটলি মজা চারটি দশক, চাপিয়ে গায়ে লেবাস
বীর বাঙ্গালী আজ ক্ষেপেছে , পালাবি কোথায়? লে বাঁশ !'
আজ রটিয়ে দে আকাশে বাতাসে
এই খবর
ফাঁসীতে ঝোলাবো তোদের
দেবোনা এই মাটিতে কবর!!
ফারাসাত
দারুন! আরো যোগ করুন ...
সুত্র?
এইটা কালকে রাতে শুয়ে শুয়ে বানাইলাম। দেখলাম সবাই কিছু না কিছু দিচ্ছে তাই ভাবলাম আমিও একটা দেই। বুঝিনাই কারোরই এত ভালো লাগবে।
ফারাসাত
এর সাথে প্রাসঙ্গিক কিছু ব্যানার বা পোস্টারও বানিয়ে ফেলেন না।
চেস্টা করছি---- ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন