পেমপত্ত
পিংকিরানির বয়স ষোলো আর পিংকুবাবুর সতেরো। ফলতঃ পিংকিরানির গোলাপী ফিতেফ্রকে পিংকুবাবুর কেস বেশ খারাপ হয়ে যায় রোজ সন্ধ্যেবেলার টিউশানি হাওয়ায়। পাতলা গলিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পিংকুবাবুর হাঁটু খুলে গেলেও ডিউটিতে কামাই থাকে না আর ফিলোজফিফেরৎ এসব দেখে পিংকিরানির ঢিবিতে ঢিবঢিব হয় খুব।
এমনই চলতে থাকে রোজ রোজ, কিন্তু বেস্পতিবার মাস্টামশায়ের বউয়ের লক্ষীপাঁচালি আর ইন্ডিয়ার ম্যাচ একইদিনে পরার ফলে, পিংকুবাবুর অংক ক্লাস ছুটি হয় তাড়াতাড়ি আর গলির মুখে নালার পাশে ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘন্টাখানেক এক্সট্রা। তার উপর যাওয়ার পথে কোচিং-এর ফালতু পার্টি হালকা হ্যাঁটা দিয়ে যায় - ‘দেওয়াল ধরে দাঁড়িয়েচিস তো পিংকু? দেওয়াল ধরে দাঁড়া! দেওয়াল ধরে দাঁড়া!’ ফলতঃ সেদিন পিংকিরানি ফিলোজফি শেষ করে বেরোতেই পিংকুবাবু দড়াম্ করে সামনে দাঁড়ায় ও আচমকা একটি চোতা ধরায় তার হাতে। আর সেই চোতা-ধরা হাত ধরেই ধরা গলায় বলে ‘আমার পেমপত্ত! তোমাকে! ইয়ে পিংকি, আমি না .. আমি না .. আল্লা ভিউ পিংকি!’ নিশ্চিন্ত পারাবতযূথমধ্যে এবিধ হুলোবেড়ালের আকস্মিকতায় মেয়েরা চিলুবিলু করে ওঠে। পিংকিরানিও স্বভাববোধে। উত্তেজনা বা খুশিতেও সম্ভবতঃ। কলোনীর ধোঁয়াজড়ানো ছ্যাবলা অন্ধকারে আর কিছুই দেখা যায় না। ফলে গলতা থেকে হুড়মুড়িয়ে বেরোনোর সময় মেয়েরা যে হালকা হল্লা তোলে, তাতে স্যালদা স্যান্ডোম্যানের বিবেক জেগে উঠলেও সে এসকল হাঁড়ির খবর কিছুই জানতে পারে না।
গলির ভেতর তখন হাবা গণেশের মতো দাঁড়িয়ে থাকে পিংকুবাবু। দেওয়াল ধরে বা না ধরে। পানসে বাতাসে পত্ পত্ উড়তে থাকে পিংকিরানির ফেলে যাওয়া পিংক ওড়না। আর পিংকুবাবুর পেমপত্ত। তার পিংক ফ্লুরোসেন্ট।
-----------------------------
মূল লেখাটি পুরনো। গেল বছরের। এই বছরে তাকে নাইয়ে-খাইয়ে-চুল আঁচড়ে-জামা গুঁজে বাজারে পাঠালুম।
মন্তব্য
পিংকিরানী কি উত্তর দিছিল তা তো কইলেন না।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পিংকু বাবু আর পিংকিরানীর কি হলো গো?
আহা বেচারাদের জন্য মন কেমন করে!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
দেওয়াল ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে আছি...
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
সিরাম
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- বুঝছি, শো-মিটদা'র লেখারেও বঙ্গানুবাদ করতে হইবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন