প্রচণ্ড রাগ ক্ষোভ হতাশা মিলে মিশে যখন একাকার তখন একটু একটু করে চোখের সামনে এক ইতিহাস গড়া দেখলাম। যে ইতিহাসে শাহবাগ অমর হয়ে রইবে আজীবন। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে শাহবাগ আন্দোলনের শুরুর দিনগুলোতে দেশের বাইরে এই হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও সারাদিন খোঁজ নিতাম কি হচ্ছে, কতদুর হচ্ছে। ঢাকায় উপস্থিত আমার পরিবারের একমাত্র বাসিন্দা ছোট ভাইটা তখন খুব অসুস্থ... অনেক জ্বর নিয়েও প্রায় নিয়মিত ছিল তার শাহবাগে উপস্থিতি। ছটফট করতে করতে এত দূর থেকে কি করব রাতদিন ভাবছিলাম। সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়া আন্দোলনের সাথে সাথে তখন টুকটাক বিদেশেও শাহবাগের সাথে সংহতি প্রকাশের ঘটনা এবং ছবি শাহবাগ আন্দোলনের বিভিন্ন পেজে ফেসবুকে দেখছিলাম। ভাবলাম কিছু একটা করা উচিত। বিভিন্ন দেশে উপস্থিত বন্ধুদের তখন সমান তালে স্যামদার করা পোস্টার আর ব্যানার গুলো পাঠাচ্ছি... কিন্তু নিজের শহরে কি করব? প্রধান সমস্যা হল আমার এই ২ বছরের প্রবাস জীবনে এখান কার বাঙালীগুলোকে যতটুকু চিনেছি তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষেরাই বিরাট ছাগু মনে হয়েছিল তাদের বিভিন্ন কথাতে এবং কাজে কর্মে। যখন ফেসবুক সহ সকল মানুষের একমাত্র আলাপ আলোচনা শাহবাগের আন্দোলন এবং কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবী সহ সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবী তখন দেখলাম আমার শহরের এই দেশীয় মানুষগুলো রাজাকারদের চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আশ্চর্য রকম নীরব!
মাত্র অল্প কিছুদিন হল আমার ছোটবেলার এক বন্ধুকে পেয়েছি আমার শহরে, একই এলাকাতে। মনের মধ্যে কিছু পরিকল্পনা জমেছিল, ওকে খুলে বললাম। দুইজন মিলে ঠিক করলাম আর কাউকে না পেলে আমরা দুজন মিলেই আমাদের প্রতিবাদ এবং শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আমাদের সংহতি প্রকাশে অবস্থান কর্মসূচী পালন করব। এছাড়াও পরিকল্পনা ছিল এ দেশীয় মানুষগুলোকে যদি আমাদের আন্দোলনের খবর জানান যায়। ঠিক করলাম যদি সম্ভব হয় স্থানীয় পত্রিকাতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থা পর্যন্ত প্রবন্ধ আকারে প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
আমাদের দুই বন্ধুর এই ভাবনা চিন্তার মধ্যেই ভেবে চিন্তে সমমনা আরও ৪ জন কে জানালাম আমাদের পরিকল্পনা। তারাও বেশ আগ্রহী হলেন। যেখানে শুরুতে আমি ভেবেছিলাম আমরা দুইজন মিলেই কিছু করব, সেখানে সব মিলিয়ে এই শহরে উপস্থিত জন ৭০ বাঙালির মধ্যে আমরা মোটমাট ৬ জন হলাম। ঠিক করলাম যদি পুলিশের অনুমতি পাওয়া যায় তাহলে তাম্পেরে সিটি সেন্টারে মেয়রের বিল্ডিঙের সামনে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুনের বিকালে আমরা এই ৬ জন যত জন সম্ভব আমাদের বিদেশী বন্ধুদের উপস্থিতিতে শাহবাগের আন্দোলনের সাথে আমাদের একাত্মতা ঘোষণা করে সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে অবস্থান গ্রহন করব।
সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল, শুরুতেই ফেসবুকে ইভেন্টের পেজ থেকে শুরু করে পুলিশের অনুমতি, স্যামদার করা পোস্টার গুলো প্রিন্ট করা, কাপড়ের উপর হাতে লিখে ব্যানার বানান, পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ আমরা এই ৬ জন কোনমতে কাজগুলো করছিলাম। এর মাঝে জানতে পারলাম আমাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজধানী হেলসিঙ্কি থেকে এবং ইউভাস্কুলা থেকেও কিছু মানুষ অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক যা ছিল খুবই উৎসাহ বাচক। ততদিনে আমাদের করা ফেসবুকে ইভেন্টের পেজ থেকে জানলাম এই শহর থেকেই আরও ৩/৪ জন আসার পরিকল্পনা করছে। সাথে আরও জানলাম হেলসিঙ্কির ছাগুগুলো নাকি আমাদের অবস্থান কর্মসূচীতে বাঁধা দেবার পরিকল্পনা করছে। সব মিলিয়ে আমাদের লোকবল খুবই কম কিন্তু নানান রকম ঝামেলা থেকে শুরু করে হাজারও কাজ বাকি। এমন সময় ১৩ তারিখের মাত্র ৩ দিন আগে আমাদের ৬ জনের একজনের মনে হল এখানে উপস্থিত বাকি বাঙ্গালীদের একবার অন্ততপক্ষে জানান দরকার। যেহুতু আমাদের কাছে এই প্রতিবাদ কর্মসূচী ছিল প্রানের প্রতিবাদ এবং সকল রাজাকারের ফাঁসির দাবী ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র...তাই আর সাত পাঁচ ভাবিনি... সবার সাথে যোগাযোগের কমন প্ল্যাটফর্ম সকল বাঙালির একটি গুগল গ্রুপ মেইলে সবাইকে জানালাম। আর জানান মাত্রই বুঝতে পারলাম ছাগুরা সময় এবং সুযোগ বুঝে কিভাবে তাদের ল্যাঞ্জাখানি বের করে ফেলে।
সবাইকে জানানোর একদম শুরু থেকেই শুরু হয়ে গেল নানা রকম সমস্যা। আমাদের ৬ জনের দুইজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়াতে শুরুতেই বাকি বাঙালিরা ঘোষণা করল আমরা লীগ পন্থি। আমাদের দেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা যে বাই ডিফল্ট লীগের সাপোর্টার হয়ে যায় বাকিদের কাছে, জানা ছিলনা... জানলাম। আমাদের তৈরি করা "চেতনায় প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ ফিনল্যান্ড" নামের এই কর্মসূচী এবং ইভেন্টের উদ্যোক্তা ছিলাম আমরা দু বন্ধু এবং দুইজনেই মেয়ে হওয়াতে অনেকের মেল ইগোতে লাগল। নানান জায়গা থেকে নানান কথা কানে আসতে লাগল। এখানে উপস্থিত সিনিয়ার কারো সাথে আগে কেন আলাপ করে নেইনি এটা নিয়ে কথা উঠল (প্রমানিত ছাগুদের সাথে কেউ আলাপ করে?!)।
অনেকে উপযাজক হয়ে বলে গেল যে এটা পুরাই লীগের ব্যানারে হচ্ছে কারন আমাদের ৬ জনের দুইজনের ধর্ম, কারন আমাদের ৬ জনের একজনের বছর ১৫ আগের লীগ সাপোর্টের ইতিহাস !!!
এই ইভেন্টটি ছিল কোনরকম রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত, বারবার আমরা সবাইকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করছিলাম তবুও আমরা নানা দিক থেকে এই সব নোংরা কথা বার্তা শুনতে থাকলাম। সচলের এক অতিথি লেখকের পোস্ট "শাহবাগের অর্জন জামাতের ব্যবসা বর্জন নামক পোস্টটি আমি আমাদের ইভেন্টের পেজে পোস্ট করার পরে ফোন, মেসেজ, আর ইমেইল এর বন্যা বয়ে গেল আমার কাছে। সবার একটাই বক্তব্য জামাত শিবির একটি রাজনৈতিক দল ইভেন্টের পেজে তাদের বর্জন করতে বলে আমরা নাকি লীগ হিসেবে আমাদের আসল মুখোশ দেখিয়ে দিয়েছি। তাদের বক্তব্য ছিল তারা সকল রাজাকারের ফাঁসি চায় কিন্তু জামাত শিবিরের নাম নেওয়া যাবেনা। জয় বাংলা উচ্চারন করা যাবেনা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করা যাবেনা, কোন দাড়ি আলা রাজাকারের ছবি সংবলিত পোস্টার আনা যাবেনা তাতে করে নাকি ইসলাম ধর্মকে ছোট করা হয়, বাচ্চাদের সামনে স্লোগান দেওয়া যাবেনা এমন হাজার রকম ছাগ্লামি। শেষ পর্যন্ত তাদের কোন দাবীই মানা হয়নি তাই স্বভাবতই তারা আমাদের ইভেন্ট বর্জন করে, অবশ্য তাতে আমাদের কোনই খেদ নাই এই উপলক্ষে ছাগু গুলারে যে ঠিকমত চিনতে পেরেছি এটাই বিরাট আনন্দের ব্যাপার। অন্যান্য শহর থেকে অনেকের আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কেন তারা আসতে পারেনি সঠিক জানা নাই।
শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচী অল্প কিছু মানুষের উপস্থিতি সত্ত্বেও বেশ ভালভাবেই পালিত হয়েছিল। বাইরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছিল তার মাঝেও আমরা ঘণ্টা দেড়েক বাইরে ছিলাম, কিছু বিদেশী বন্ধুর উপস্থিতি আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছে। রাস্তায় চলতি লোকদের আমরা লিফলেটের মত করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বর্তমান পরিস্থিতি, আমাদের দাবী, বিদেশী পত্রিকা গুলোর মিথ্যা চার সহ কিছু লিংক দিয়েছিলাম, অনেকের মধ্যেই বেশ আগ্রহ দেখেছি। এই লেখার মাধ্যমে সৌরভদা কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই হেলসিঙ্কি থেকে শুধু আমাদের ইভেন্টে যোগদানের বাসনায় এই ঠাণ্ডার মধ্যেও আসার জন্য।
এখানে একটি প্রাসঙ্গিক খবর জানাই, প্রয়াত ব্লগার রাজীব ওরফে থাবা বাবা আমাদের ইভেন্টের পেজে কমেন্ট করেছিলেন এবং ইভেন্টের পেজে উনি যোগদান করেছিলেন। উনাকে আগে চিনতাম না, উনার সেই কমেন্ট এবং তার প্রতি উত্তরে করা আমার কমেন্টের মাধ্যমেই উনাকে ততটুকু চেনা। উনার মৃত্যুর পরে ফেসবুকে উনার আসল পেজ থেকে উনার রিসেন্ট এক্টিভিটি ফলো করে অনেকের আনাগোনা আমাদের পেজে দেখা গেছে পরবর্তীতে। অনেকে আমাদের মেসেজ করে লিংক সহ জানিয়েছেন আমাদের ইভেন্ট ও নাকি টপ লিস্টেড যদিও সেই লিংক খোলা যায়নি। উনার মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম। সারাদিন প্রচণ্ড অস্থিরতায় পার হয়েছে। ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের কমেন্ট পরে হতবাক হতেও ভুলে গেছিলাম। তার মৃত্যু যেন কোন ঘটনায় নয়, আসল ঘটনা তার নাস্তিকতা।এই উগ্রপন্থী ধর্মীয় মনোভাব যতদিন বজায় থাকবে ততদিন জামাতি আর শিবিরের শয়তানেরা মানুষের এই উগ্রবাদী মনোভাব কে কাজে লাগাবে। আজ সচলের রনদার লেখা পোস্ট থেকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। কমরেড রাজীবের জন্য রইল শ্রদ্ধা।
আমাদের প্রতিবাদ এখানেই শেষ হয়ে যায়নি, ধারাবাহিক ভাবে ফিনিস পত্রিকাতে প্রতিবেদনের কাজ চলছে তার সাথে সাথে আমরা ফিনিস উইকিপিডিয়াতেও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নিবন্ধনের কাজ করার কথাও ভাবছি। দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও হাজারও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মনে প্রানে শাহবাগে উপস্থিত রয়েছি প্রতি মুহূর্তে। আমাদের চাওয়া পূর্ণ হোক। সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিসহ পুরাতন,নতুন রাজাকার, এবং জামাত শিবির বর্জিত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। জানি জয় আমাদের হবেই! জয় বাংলা।
পাঠকের সুবিধার্থে নিচে আমাদের ইভেন্টের কিছু ছবি দেওয়া হল-
১) বাতাসের তোড়ে মোম নিভতে না দেবার সংকল্পে ছোট্ট বিহঙ্গ
২) আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা কারী বন্ধু টিমো
৩) প্রস্তুতি
৪) সকলের একাত্মতা
৫) সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই
৬) শ্লোগান
৭) চেতনায় প্রজন্ম চত্বর
৮) আরেক বন্ধু ইয়নির অংশগ্রহণ
সবশেষে জার্মানির স্টুটগারট ভার্সিটি থেকে নিচের অসম্ভব সুন্দর ছবিটি পাঠিয়েছে বন্ধু সাখাওয়াত, ছবিটি তুলেছেন রনি ভাই। উনার অনুমতি সাপেক্ষে ছবিটি সচলে দেওয়া হল।
আমাদের ইভেন্ট চলাকালীন সময়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা - হিমু ভাই এবং স্যামদা।
মন্তব্য
---- নীরা
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
শুধু একটা কথা বলে যাই--স্যালুট আপনাকে, আপনাদেরকে--
জয় বাংলা--
অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা।
প্রিয় লেখকের মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগল।
জয় বাংলা---
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
চলুক
ফ্রেশ নেন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
জয় বাংলা !
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মায়ার নেশা কাটাতেই এ তীব্র অস্থিরতা
তবু, মায়ার পাহাড়েই আমার নিত্য বসবাস।
জয় বাংলা ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ উদাসদা।
আপনার ত্যানা পেঁচানোর ব্যাসিক কোর্সটা আগে করা দরকার ছিল।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
জয় বাংলা
জয় বাংলা ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দারুণ কাজ করেছেন -
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই। এডমন্টনে দেওয়া আপনার বক্তব্য আগেই শুনেছি। দারুন বলেছেন !
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমাদের শহরে ও ছাগুদের দাপট। নেতাদের ত্যানার বন্যায় ভেসে যাচেছ ।
ওরিগন, আমেরিকা
চারিদিকের ছাগুগুলোকে আমাদের খুঁজে বের করে এদের বর্জন করতে হবে। গু আজমের বংশধর সব !
এদের ত্যানা পেঁচানো দেখলে মেজাজ ঠিক রাখতে পারিনা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এত বৈরি পড়িবেশে এগিয়ে যাওয়ার জন্য
লেখা ভাল লাগল, আমার অস্ট্রিলিয়া প্রবাসী এক বন্ধুও এ ধরনের সমস্যাগুলির কথা বলছিল। আশা করছি প্রতিনিয়ত সব বাধা পেরিয়ে এই প্রজন্ম সফল হবেই
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
চারিদিকে ছাগুদের পরিমান এত বেশী বেড়ে গেছে আপু, জানিনা এদের হাত থেকে মুক্তি কিভাবে হবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কি দরকার ছিল ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর? তার চেয়ে ভাল ছিল না কি ঝাঁকের কই ঝাঁকেই মিশে যাওয়া?
আব্দুল্লাহ এ.এম.
ঝাঁকের কই হওয়া আমার দ্বারা কোনদিন সম্ভব হবেনা রে ভাই।
ছাগুদের ত্যানা পেঁচানো দেখলে মাথা ঠিক থাকেনা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
জয় বাংলা
জয় বাংলা !
অনেক ধন্যবাদ স্যামদা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দারুণ কাজ!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড়দা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছাগুরা সিনিয়র হলে রামছাগু হয়ে যায় মনে হয়। হিসাবও মিলে যায়। যে নিজের জীবনের এতগুলো বছর পার হবার পরও সঠিক বেঠিক চিনতে পারে না, উল্টো নিজের গোঁয়ার যুক্তির ওপর ত্যানা পেঁচিয়েই যেতে থাকে, তারা রামছাগু না তো কারা?
আপনাদেরকে অনেক অভিনন্দন এত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাবার জন্য। সংহতি
সংহতি, সংহতি, সংহতি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এভাবেই প্রজন্ম জেগে উঠেছে...যেখানেই একজন বাঙ্গালী আছে সেখানেই আছে এক টুকরো শাহবাগ.....জয় বাংলা
জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ভাল কাজ করেছেন। আন্দোলনের সবচেয়ে বড় অর্জন কি জানেন? এইসব দুমুখোদের চিনে রাখা, চেনা অনেকের আসল রুপটা বের হয়ে আসা। এটা পরে কাজে দিবে যদি আমরা মনে রেখে চলতে পারি। লেখা ভালো লেগেছে।
স্বয়ম
ঠিক বলেছেন ভাই, এইসব দুমুখো দের চিনে রাখাটা আসলেই খুব জরুরী।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপু, তোমাকে এবং তোমাদেরকে স্যালুট
তোমাদের মতো সন্তান থাকলে বাংলা ছাগু মুক্ত হবেই।
আমি, তুমি আমরা নতুন প্রজন্মের সবাই মিলেই দেশটাকে সকল রাজাকার, দেশদ্রোহী, যুদ্ধাপরাধী আর ছাগু মুক্ত করবোরে আপু।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দারুণভাবে অনপ্রানিত হলাম। বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করাতে বিষয়টি আরও বেশী করে নাড়া দিল বিবেককে। উদ্যোগটি আপনার শহরের ননছাগু প্রবাসীদের একত্রিত করতে সবিশেষ ভূমিকা রাখবে। আপনাদের পরিকল্পনার পরবর্তী কর্মগুলোর জন্য শুভকামনা।
- পামাআলে
সাথে থাকার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তোমাদেরকে স্যালুট। জয় বাংলা। রাজাকারের বিচার হবেই।
জয় বাংলা। রাজাকারের বিচার হবেই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এত বাঁধা পেরিয়েও আপনাদের যে উদ্যোগ তাকে স্যালুট জানায়। ছাগুরা সব জায়গায় আছে , এর ভেতর দিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আসলে অনেক বছর ধরেই কেবলমাত্র ধর্মকে দোহায় দিয়ে এরা আমাদের দেশের মানুষের মগজ এমন ভাবে ঝালিয়ে দিয়েছে যে খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে এরা এদের ফতোয়া দিয়ে বশ করতে পারে।শাহবাগের এই আন্দোলন এদের বশ থেকে মানুষকে আলোর পথ দেখাতে প্রেরণা যোগাবে আশা করি।
আবারও আপনার আপনাদের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ। এগিয়ে যান আপু ।
এমন শিক্ষিত মানুষদের ধিক্কার।
যারা চোখ খুলে ঘুমিয়ে থাকে তাদের ঘুম ভাঙ্গাবেন কিভাবে অমি ভাই?
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
চালিয়ে যান
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমাদের এখানে এক জামাতী এরকম শুরু করেছিলো। কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারেনি।
আমার এখানে বেশীর ভাগই যে এমন মুর্শেদ ভাই। চাঁদা তুলে মসজিদ বানায় এরা, সপ্তাহান্তে ধর্মীয় শিক্ষার আসর বসে। বেদাতি কর্মকাণ্ড বলে পহেলা বৈশাখ বর্জন করে। কিছু বলার নাই। রাতদিন ধর্মীয় লিংকে ফেসবুক ছেয়ে যায় অথচ শাহবাগের ঘটনায় কারো কোন সাড়া শব্দ নাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দূরদেশে পরবাসী, ভালবাসার প্রকাশ তোমাদের, আমাদের বড্ড আন্দোলিত করে। প্রায় প্রতিটা দিন যাই শাহবাগের প্রজন্ম চত্তরে। ভালোবাসি বাংলাদেশ। বিজয় আমাদের হবেই।জয় বাংলা।
বিজয় আমাদের হবেই।জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমার কাহিনীও আপনার মত, শুধু গ্রুপ মেইলটা আমি করি নাই। আমি কি করছি জানেন? সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছি। আমরা ৪জন শুরু করেছিলাম, সরাসরি বলেছি ভাই যাওয়ার জন্য কাউকে জোড় করব না, মন থেকে টানলে আসবেন, নাইলে না। প্রচুর মানুষ বলছে হ্যা আসব তো অবশ্যই(পরে বুঝছি চক্ষুলজ্জায়), পরে আরো ২-৩জন আমাদের সাথে যোগ দেয়। পোস্টার থেকে শুরু করে পুলিশ পর্যন্ত সব কিছু কয়েকজনকে করতে হয়েছে পরীক্ষা মাথায় রেখে। আর বাকি মানুষদের দায়িত্ব ছিল শুধু শরীরটা নিয়ে আসা।ব্রেমেন আর আশপাশ মিলিয়ে আমরা বাঙ্গালী ৪০এর মত, আর ফ্যামিলিগুলো গুনলে সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। যেদিন মানববন্ধন ছিল ২০ জনের বেশি মানুষ পেলাম না। খুব খারাপ লাগে জানেন, দেশ থেকে এত দূরে থেকেও দেশের প্রতি ভালবাসা নাই।
পিডাইয়া হোতাইয়ালাইতে মঞ্চায় সবগুলারে। স্যাম্ভাইয়ের পোস্টার গুলা কামে লাগছিল মেলা।
পিডাইয়া হোতাইয়ালাইতে মঞ্চায় সবগুলারে।
আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
শেষের ছবিটা দারুণ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আসলেই অসাধারণ ছবি।
অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দেশের বাইরে থেকেও আপনারা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন এখানে দেশে আমার সে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি কয়েকগুণ বেশী। নিজের চারপাশের মানুষগুলো এমনভাবে বদলে যাচ্ছে দেখলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। অবাক লাগে যখন মানুষ হত্যাকারী রাজাকারগুলোর বিচার চাইতেও এরা নারাজ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বলে এদের সাত খুন মাফ!! জানিনা পারব কি না এ যুদ্ধে জিততে, তবে চারপাশের অবস্থা সত্যিই ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। মানুষজন না জেনে বুঝেই বিশ্বাস করছে সেইসব নরপশুদের।
ধন্যবাদ আপনাদের এতদূরে থেকেও কিছু একটা করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার মন্তব্বের জন্য।
ছাগুদের থেকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিজয় আমাদের হবেই।
জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত ডিগ্রিধারি লোকদের মধ্যে দেখি ছাগু বেশি।
এদের শিক্ষাগুলা যে কুন্দিকে যায় কইতে পারিনা, মনে হয় ফাকিস্থানে চইলা যায়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
যদি শরীরে এক ফোঁটা বাঙালি রক্তও থেকে থাকে, এই যুদ্ধে যে সামিল হবে না সে তাঁর উত্তরপুরুষের কাছে দায়বদ্ধ থেকে যাবে । দায়বদ্ধ থেকে যাবে দেশের কাছে, নিজের কাছেও। বেঈমানেরা বাঙালি হয় না, ওরা হয় ঘাতক রাজাকার, যারা রাজীবের মতো শহীদদের রক্তে পৈশাচিক উল্লাস করে।
আমাদের নিরবতা কিংবা একটা কাজও যদি ওই জামাত-শিবির ঘাতকদের অনুকূলে যায়, তবে বুঝতে হবে আমরাও বাঙালির পরিচয় হারিয়ে বেঈমান হয়ে যাবো। জয় বাংলা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রনদীপমদা,
ব্লগার রাজিব ভাইকে নিয়ে আপনার লেখাটা পড়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি।
কদিন ধরে খুব হতাশ লাগছে কিছু পরিচিত কণ্ঠকে শ্লোগানে কণ্ঠ মেলাতে বিরত দেখে। কিছু তরুন ফাঁদে পা দিয়েছে, আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছে। যারা শুরু থেকে নিরপেক্ষতার ভান করেছে তাদের ভণ্ডামি বুঝতে বাকি নেই, কিন্তু রাজিব ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিভিন্ন প্রচার আর অপপ্রচারের কারনে যারা প্রথম থেকে অংশ নিয়েও এখন নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে তাদের ফেরানোর কোনো উপায় আছে কী?
জয় বাংলা।
অনেক ধন্যবাদ রনদা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আরজু আপু,
অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রবাসে গিয়ে দেশকে কজন মনে রাখে!
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
দূরে থাকি কিন্তু মন প্রান তো দেশেই পড়ে থাকে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
স্যালুট!
জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
লাল সালাম
আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।
পাপলু বাঙ্গালী
আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপনাদের প্রতিবাদ ও সংগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনাদের স্যালুট করছি।
জয় বাংলা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সংহতি সংহতি সংহতি
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সংহতি,সংহতি, সংহতি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
স্যালুট
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বিরাট সংখ্যক প্রবাসীর বাঙ্গালিয়ানা উইকেন্ডে দাওয়াতে গিয়ে পাকিস্তানী দোকানের বিরিয়ানি খেয়ে বাংলাদেশের গেস নাই, পানি নাই, জ্যাম এইগুলা নিয়ে ড্রয়িং রুম গরম করার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
বাংলাদেশের ভালো কিছু এরা সইতে পারে না, কারণ তাহলে তাদের বিদেশে পড়ে থাকার পক্ষে অজুহাত ঢিলা হয়ে যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমারও তাই মনে হয়। রাতদিন নিজের দেশের বদনাম যারা করতে থাকে বাংলাদেশী হিসেবে তাদের জাতীয়তা কি থাকা উচিত?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
স্যালুট তোমাকে। আমার দুই বার শাহবাগে যাবার সৌভাগ্য হয়েছে।
আমি এখন যে শহরে থাকি, সেখানেও ছাগুদের সংখ্যা বেশী। এক লোক মাঝে মাঝেই সাম্প্রদায়িক ই মেইল পাঠায়, আমি আর আমার স্বামী ওই লোকের সাথে মিশি না। আমরা এই শহর থেকে মাস খানেকের মধ্যে চলে যাবো, নাহলে ভাবছিলাম উনাকে বলে দিবো আমাদের নাম উনার মেইল লিস্ট থেকে বাদ দিতে।
তোমাদের মত ছেলেমেয়েরা আছে বলেই আমরা ভরসা পাই।
নতুন মন্তব্য করুন