জন্মসূত্রে মুসলমান, ঈদ পালন করতাম, ঈদে অনেক মজা করতাম রত্নার সাথে। প্রতিবেশী হবার কারনে রত্না সব সময় আমাদের বাসায় আসত, তাই ঈদের দিনগুলো সারাদিন ওর সাথেই আনন্দে আর ঘুরাঘুরিতে কেটে যেত। ঈদ মানে আমাদের বাড়িতে ছিল শুধুই উৎসব।
রত্না কিংবা দীপকের সাথেও দুর্গাপূজায় ওদের বাসায় লুচি, নাড়ু আর সবজি খেতে যেতাম। তখন আমরা থাকতাম ছোট্ট ছিমছাম এক হিজল শ্যামল গাঁয়ে, গুরুদাসপুরে। নিশ্চিন্তে, নির্ভাবনায় দিনগুলো দারুন কেটে যাচ্ছিল। একবার আমার দাদা আসলেন আমাদের সেই গাঁয়ে। তখনও আমি আলিফ বে তে কিছুই পারিনা। কালিমা তৈয়বা বা কালিমা শাহাদাত তো অনেক পরের ব্যাপার। স্কুলে রেজাল্ট ভালো ছিল শুনে দাদা বেশ খুশি হলেন। এর পর জানতে চাইলেন আমার আরবি শিক্ষার অবস্থা, বাংলা ইংরেজি অংক ভালো পারলেও আরবিতে আমি তখন একেবারেই নিরক্ষর! দাদা মনে বড় কষ্ট পেলেন, আব্বা আর আম্মা খুব বকা শুনলেন দাদার কাছ থেকে। দাদা ফিরে যাবার আগে পই পই করে বলে দিলেন স্কুল ছুটি হলেই যেন আমাকে আরবি পড়তে পাঠান হয়।
এরপরেই আসল গ্রীষ্মের আম কাঁঠালের ছুটি। তখন মাত্র ওয়ানে পড়ি... নানার বাড়ি ছিল রাজশাহী... ছুটি মাত্র চলে যেতাম রাজশাহীতে। সেবার ছুটিতেও রাজশাহী গেলাম... হয়ত বা দাদার কথাতেই ব্যবস্থা হয়ে থাকবে...পাড়ার মসজিদে রোজ বিকেলে আরবি শিখতে যাবার বন্দোবস্ত হল।
সেখানে প্রথম হুজুরের হাত ধরে আমার ধর্ম শিক্ষার পালা শুরু হল। আলিফ বে তের সাথে সাথে শিখলাম ধর্ম আসলে কি! মুসলমান ধর্ম আর হিন্দু ধর্মের পার্থক্য। জানলাম হিন্দুরা নাকি লোক ভালো না! আরও শিখলাম হিন্দুদের বাড়িতে যেতে হয়না, তাদের হাতের তৈরি খাবার খেতে হয়না, পূজার মণ্ডপের দিকে তাকাতে হয়না, ঘরে মূর্তি রাখতে হয়না তাহলে নাকি পূজা করা হয়, হিন্দুদের সাথে মিশলে গনগনে দোযখের আগুনে পুড়তে হয় মৃত্যুর পরে... এমন আরও অনেক অনেক শিক্ষা। সেই প্রথম আমার বেহেশত আর দোজখের শিক্ষা গ্রহন। বেহেশতের প্রাপ্তিগুলো নিয়ে খুব বেশী উল্লসিত না হলেও দোজখের ভয়ংকর সব শাস্তির বর্ণনা আমাকে ছোট আমার মনের ভিতরে ভীষণ ভীতির সৃষ্টি করেছিল। আমার সেই শিক্ষাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ ছিল। ছোটবেলায় অনেক ক্ষুদ্র ঘটনাও মনকে অনেক নাড়া দেয় আর সেখানে এই ধর্ম শিক্ষা ছিল অনেক বড় ঘটনা!... স্কুল খুলার আগেই তাই একই সঙ্গে আমার মন ভরা অনুতাপ এতদিন কেন দীপক আর রত্নার সাথে মিশেছি তা নিয়ে আবার অন্যদিকে ছোট্ট মনে বিশাল টানাপোড়েন... কিছুতেই ভাবতে পারছিনা আমার এত প্রিয় বন্ধুরা এতটা খারাপ যে তাদের সাথে মিশলে, তাদের বাসায় গেলে, তাদের হাতের খাবার খেলে আমাকে সারাজীবন দোজখের আগুনে জ্বলতে হবে, ভয়ংকর ভয়ংকর শাস্তি পেতে হবে... !
রাজশাহীতে ধর্ম শিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই গুরুদাসপুরে ফিরেছিলাম। স্কুল খোলার পরে প্রথম দুই দিন রত্না আর দীপকের সাথে ঠিকমত কথা বলিনি... ওরা বলতে আসলে আমি অন্য দিকে চলে গেছিলাম... কিন্তু একই সাথে ওদের প্রতি ছিল তীব্র আকর্ষণবোধ।
সেই বয়সে সে এক অসম্ভব টানা পোড়েন! সেই মানসিক চাপ আমি খুব বেশীদিন নিতে পারিনি... তাই এক রাতে আমার ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দে আম্মার ঘুম ভেঙে গেছিল। আম্মা আদর করতেই কান্নার কারন খুলে বলেছিলাম... বলেছিলাম আমি দোজখের আগুনে পুড়তে চাইনা কিন্তু রত্না আর দীপকের সাথে খেলতে চাই... সেই রাতে আমার বাবা মায়ের অভয় বানীতে মনের কষ্ট দূর হয়েছিল... উনারা বলেছিলেন আমার বন্ধুদের সাথে আমি আগের মতই খেলতে পারি... আর যা যা শিখেছি হুজুরের কাছ থেকে সব যেন ভুলে যায়... বলেছিলেন ওরা শুধুই আমার বন্ধু ওদের আর কোনই পরিচয় নাই... সেই রাতে আরও অনেক অনেক কথা বলেছিলেন যা আজ আর মনে নাই...এবং তার পর থেকে আমাকে আর কখনও হুজুরের কাছে যেতে হয়নি...
আজকে হুজুরের কথা বললাম, আমার প্রথম ধর্ম শিক্ষার কথা বললাম কারন দেশের এই ক্রান্তিকালে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা... যখনি কোন ঘটনা ঘটে সে কি অন্য কোন দেশে মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনাই হোক, বা অন্য কোন দেশে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা, ফেসবুকে কোন ছবিতে লাইক বা শেয়ারের ঘটনা, সরকার বদলের ঘটনা, সরকার উচ্ছেদের আন্দোলনের ঘটনা... ঘটনা যাই হোক না কেন এর চরম মূল্য পরিশোধ করে আমাদের দেশের ধর্মের ভিত্তিতে ভিন্নধর্মের মানুষগুলো... আরও নির্দিষ্ট করে বললে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষগুলো। বারবার এমনটি হয়... বারবার... কিন্তু কেন???
ছোট থেকেই আমি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সাথে হেসে, খেলে, তাদের ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিয়ে বড় হয়েছি, আমার খুব কাছের বন্ধু আছে অন্য ধর্মের তাই বিভিন্ন ছোট ছোট ঘটনাতে আশেপাশের মানুষদের তাদের প্রতি বিরুপ মনোভাব দেখেছি, নোংরা কথা বলতে শুনেছি আর বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের তাদের ধর্মীয় উৎসবের আগে আগে পূজার প্রতিমা ভাঙ্গাসহ যখন তখন লাঞ্ছিত হতে দেখেছি... ”মালাউন” নামক ঘৃণ্য শব্দটা যে কতবার কতভাবে কানে এসেছে... যতবার এই শব্দটা আমার বন্ধুর উদ্দেশে বলা হয়েছে ততবার শব্দটা আমার কানে আগুন ঢেলেছে... ততবার আমি অপমানিত বোধ করেছি ধর্মের দিক থেকে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে... সবচেয়ে কষ্টের এবং আশংকার ব্যাপার হল এই একই মনোভাব বহু শিক্ষিত মানুষের ভিতরেও দেখেছি... অনেকের কাছেই শুনতে হয়েছে হিন্দুরা কত খারাপ, তারা আসলে কখনও অন্য ধর্মের মানুষের আপন কেউ হতে পারেনা... নিজের ধর্মের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালবাসা বিশ্বাস থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু অন্য ধর্মকে বিশেষ করে হিন্দু ধর্মকে এত ছোট করা হয় কেন???
আমি কোন সমাজ বিজ্ঞানী অথবা মনবিজ্ঞানী নয় এমনকি ধর্ম বিষয়ে খুব বিস্তারিত কোন জ্ঞান আমার নাই, সামপ্রদায়িকতার হয়ত আরও অনেক কারন থেকে থাকবে কিন্তু তার পরেও আমার এই সীমিত বুদ্ধিতে মনে হয়েছে আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে সাম্প্রদায়িকতার এই বীজ বোনার প্রক্রিয়া শুরু হয় খুব ছোটতে... ধর্ম শিক্ষার নাম করে, দোজখের ভয় দেখিয়ে ছোট বেলাতেই আমাদের বিজাতীয় ধর্মের প্রতি অন্ধ আক্রোশ ভরে দেওয়া হয়... আমাদের পরিবার, শিক্ষক, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই শিক্ষা দেয় সাম্প্রদায়িকতার, প্রায় সবাই জেনে বড় হয় নিজেদের ধর্ম শ্রেষ্ঠ আর অন্য ধর্ম নিকৃষ্ট...কোথাও কিন্তু শিখানো হয়না ধর্মের চেয়ে মানুষ বড়, মানবতা বড়, কোথাও শিখান হয়না এদেশ সবার, সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব প্রজাতির মানুষের... ছোট থেকেই সবাই মালাউন শব্দটা শুনে, ছোট থেকেই সবাই জানে হিন্দুরা খারাপ... ছোট থেকেই সবাই শিক্ষা পায় এদেশ হিন্দুদের না... হিন্দুদের দেশ পাশের দেশ ভারত... ছোট থেকেই শিক্ষা পায় হিন্দুদের "মালাউন" নামক অসম্ভব নোংরা একটি গালি দিতে...আর হয়ত এভাবেই ভিতরে ভিতরে মানবতার শিক্ষা ভুলে, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর বন্ধুত্তের শিক্ষা ভুলে ভণ্ড সব ধর্মগুরুর নোংরা সব শিক্ষা মানুষ ভিতরে লালন করতে শুরু করে।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক মুক্ত দেশ শুধু কাগজে কলমে... যদি সত্যি তাই হত তাহলে প্রাইমারী স্কুলে বাংলা পাঠ্য বইতে কেন মহানবীর জীবন কাহিনী পড়তে হয়... কেন অন্য ধর্মের একটা মানুষকেও জানতে হয় সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ মহানবী? ছোট থেকেই আমরা আশেপাশের মানুষদের তাদের ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা গোত্র ভুক্ত করে নেই... তাদের প্রতি একজাতের বিজাতীয় অনুভূতি নিয়ে বড় হই... এমনিতে অনেকে নিজের ধর্মের সকল বিধি নিষেধ না মানলেও নিজেদের স্বার্থে লাগলে অন্য ধর্মের মানুষটিকে তাদের ধর্মের ভিত্তিতে গালি দিতে দ্বিধা করেনা।
বারবার দেখেছি যে কোন ঘটনাতেই আমাদের দেশে সংখ্যা লঘু মানুষদের উপর নির্যাতন শুরু হয়ে যায়... বার বার সংখ্যালঘু মানুষদের উপর এমন নির্যাতনের ঘটনা কেন ঘটে? সীমাহীন বিস্ময় এবং কষ্ট নিয়ে দেখলাম এবারও ঠিক তাই ঘটল... যে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল রাজাকার নামক নর্দমার কীটদের ফাঁসির দাবী। যে আন্দোলন ছিল পূর্বপুরুষের রক্তের বিচারের সেই আন্দোলনকেই সাধারন মানুষের অজ্ঞানতা, ধর্মভীরুতা আর ধর্মীয় গোঁড়ামির সুযোগ নিয়ে জামাত শিবির নামক বেজন্মা গুলো কিভাবে অন্যভাবে পরিচালিত করার চেষ্টা করল তীব্র ক্ষোভ নিয়ে দেখলাম। কষ্ট আর অসহায়ত্ত নিয়ে দেখলাম আবারও শুরু হওয়া ধর্মীয়ভাবে সংখ্যা লঘু মানুষগুলোর উপর নির্যাতন।
পেপার পড়তে গিয়ে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে... বুক কেঁপে উঠছে... নিজের দেশে মানুষগুলো শুধুমাত্র অন্য ধর্মাবলম্বী হবার কারনে কি অবিশ্বাস্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে... কি ভয়ংকর আতংকে দিন পার করছে। যখন আবার কানে আসে দেশ বদলাচ্ছে আরও কতগুলো অভাগা মানুষ তখন এই অসহায়ত্তের বোঝা আমি নিতে পারছিনা... কত কষ্টে মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে যেতে হয় হয়তবা কল্পনারও বাইরে...
এবার হয়ত মানুষ আগের চেয়ে মানুষ অনেক সজাগ তবুও কিছু মানুষ, কিছু শিক্ষিত মানুষও এই ভয়ংকর অন্যায়ের সপক্ষে কথা বলছে... কিভাবে বলছে আমি জানিনা... তারা নিশ্চিত মানুষ না, তারা নিশ্চিত পাকিস্তানের দালাল, রাজাকারের বংশধর। তাদের মনে, তাদের ব্রেনে কি কাজ করে জানিনা, কোন যুক্তিতে তারা দেশের বিপক্ষে কথা বলে, রাজাকারদের পক্ষে কথা বলে জানিনা... শুধু জানি এই অবস্থার পরিবর্তন আসতে হবে। শুধু জানি তরুন প্রজন্ম এখন অনেক সজাগ... শুধু জানি মানুষের চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আনতে হবে...রাজাকারদের বিচারের সাথে সাথে জামাত শিবির সহ সকল উগ্রধর্মীয় মনোভাব সমূলে উৎপাটন করতে হবে...
সাঈদীর মত এক ঘৃণ্য শয়তান রাজাকারের জন্য যারা নিজের দেশের নিজের প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগায়... ধর্মের কাণ্ডারি হয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা প্রতিবেশীকে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের কোন ক্ষমা নাই। সেই সব দেশদ্রোহী রাজাকারদের, বেঈমানদের, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা এইসব নরপশুদের কোন ক্ষমা নাই। তাদেরও একমাত্র শাস্তি ফাঁসি ফাঁসি এবং ফাঁসি।
গভীর আগ্রহে আর উৎকণ্ঠায় অপেক্ষা করছি খুব দ্রুত দেশের এই ক্রান্তিকাল দূর হয়ে যাবে... সকল রাজাকারের ফাঁসি হবে... পূর্বপুরুষের ঋণ অবশেষে আমরা শোধ করতে পারব... আর তার সাথে সাথে যারা ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করে, যারা ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে, যারা ধর্ম বেঁচে খায় তাদেরও বাংলার মাটি থেকে উৎপাটিত করতে পারব। আর কোনদিন শুধু মাত্র ভিন্ন ধর্মের কারনে সাধারন কোন মানুষকে গৃহহারা হতে হবেনা, শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হতে হবেনা... হত্যার শিকার হতে হবেনা, দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে হবেনা।
ধর্ম যার যার... দেশ সবার। ধর্মের চেয়েও মানবতা বড়, ধর্মের চেয়েও মানুষের প্রতি ভালবাসা বড়... ধর্মের চেয়েও দেশ বড়... ধর্মের চেয়েও সকল ধর্মের মানুষের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোধ বড়... এই অনুভূতি সবার ভিতরে আনতে হবে, সবার ভিতরে থাকতে হবে। আর এই জন্য অন্য আরও বহু করনীয় বিষয়ের সাথে সাথে (এখানে আর লিখছিনা) ছোট থেকেই ধর্ম শিক্ষার নাম করে ধর্মান্ধতা, নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ততা আর সাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা এবং শিক্ষা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। নাহলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে... ঘটতেই থাকবে।
মন্তব্য
আমেন সুম্মা, আমেন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সৌরভ ভাই, আপনার মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ওয়াজ মাহফিলগুলো থেকে ধর্মান্ধতা ছড়ান হয় কথাটা হয়ত ঠিক আছে কিন্তু আমার মূল বক্তব্য হল আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ ছোট থেকে ধর্মান্ধতার বীজ ভিতরে নিয়ে বড় হয়। আর তাই কেউ একটু উস্কে দিলেই চিন্তা ভাবনা ছাড়াই অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি বৈষম্যমূলক সহিংস আচরন করে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয় শৈশবে দোজখের ভয় দেখিয়ে, নানান রকম শাস্তির ভয় দেখিয়ে আর অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি বিরুপ মনোভাব নিয়ে এবং দিনে দিনে তা বাড়তে থাকে।
আমি কিন্তু বলিনি যে পাঠ্যবইতে মহানবীর জীবনী থাকলে সেটা সমস্যাদায়ক। বলেছি কেন অন্য ধর্মের কোন শিশুকে মহানবীর জীবনী পড়তে হবে। এটি তার পছন্দ ছিলনা বাংলা বইয়ের মাধ্যমে তাকে পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। বাংলাদেশ যদি অসাম্প্রদায়িক দেশ হয় তাহলে বাংলা বইতে মহানবীর জীবনীর কোন যুক্তি আমি দেখতে পাইনা। এর জন্য তো ধর্ম বই রয়েছেই যার যার ধর্মের, তাইনা?
হম, এটা একটা ব্যাবস্থা হতে পারে। কিন্তু আবারও কথা হল বাংলা বইতে কেন।
যদিও জানিনা মানুষের অন্তর্নিহিত শিক্ষা এবং মানসিকতার পরিবর্তন ছাড়া শুধু কিছু পড়ে কোনদিন কিছু বদলায় কিনা। মনে হয় না শুধু পড়ে ভিতরে গেঁথে যাওয়া ধারনা গুলো বদলাবে।
আমার মতে যতদিন না সাধারন মানুষ ধর্মের চেয়ে মানবিকতার, মানবতাবোধ যে বড় এই অনুভূতি ধারন করতে শিখবেনা ততদিন আসলে এই সমস্যা চলতেই থাকবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
দেখুন জীবনী সাহিত্য বলে একটা ব্যাপার তো আছেই। বাংলা বইতে কোন মানুষের জীবনী থাকবে সেটা তো খুব বিস্ময়কর কোন কিছু না। ব্যাপার হলো বিশ্বমানবের প্রেক্ষিতে মানুষটি উপস্থাপিত হচ্ছেন নাকি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
বিশ্বমানবের প্রেক্ষিতে মানুষটি উপস্থাপিত হচ্ছেন নাকি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। কথাটা আমিও বলতাম ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমার মনে হয় ধর্মান্ধতা সবচেয়ে ছড়ানো হয় ওয়াজ মাহফিলগুলো থেকে। কারো কোন কিছু না পছন্দ হলেই বক্তা তাকে হিন্দু বানিয়ে দেন। আর ইহুদী-খ্রীস্টান-নাসারা গালি ছাড়া তারা কোন বক্তব্য শেষ করেছেন সেটা বিরল।
তবে পাঠ্যবইতে মহানবীর জীবনী থাকলে সেটা সমস্যাদায়ক বলে মনে হয় না। দরকার হলো অন্যান্য ধর্মেরও স্মরণীয় মানুষদের সম্পর্কে সবার জানবার ব্যবস্থাটা থাকা। এতে করে অন্যান্য ধর্ম ও সেসব ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
সৌরভ ভাই, আপনার মন্তব্যর উত্তর এখানে দিতে গিয়ে উপরে দিয়ে ফেলেছি। দুঃখিত।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কি আর বলবো, আপু! অসহ্য এক যন্ত্রণা হচ্ছে কাল থেকে। পাশে গ্রামের বাড়ি পুড়ে যাওয়া বান্ধবীকে বসিয়ে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। কেমন জানি হোপলেস লাগতেছে কালকে থেকে নিজেকে।
সবচেয়ে কষ্ট লাগে, রাগ লাগে, ক্ষোভ লাগে, ঘৃণা লাগে যখন দেখি কিছু মানুষ আবার জামাতিদের পক্ষে মানবতার গান গাইতে থাকে, টলারেন্স দেখাতে বলে আর অসহায়ভাবে যে সকল মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মানবতার কথা বেমালুম ভুলে বসে থাকে। পুলিশের সমালোচনা করে কিন্তু যারা নির্যাতন করছে তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এদের জন্য শুধুই ঘৃণা। এদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। কঠিন শাস্তি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সমাজে স্বাধীন মত তৈরী হতে না দিয়ে মত চাপিয়ে দেবার প্রবণতার ফল সবাই ভোগ করে। আজকে শত্রু সংখ্যালঘু, কালকে অন্য কেউ পরশু আবার অন্য। ভারতে বছর বছর দাঙ্গা হয়ে চলে। পাকিস্তানে এখন হিন্দু নগণ্য কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা থেমে নেই, এখন টার্গেট শিয়া এরপরে হয়ত দেওবন্দি বনাম বলেরভি। মুখে বলা হয় বটে যে সাম্প্রদায়িকতার ফল ভোগ করে সংখ্যালঘু কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে পশ্চাদপদতার বলি হয় সংখ্যাগুরুই বেশী। এই উপলব্ধিটা মনে হয় খুব জরুরী।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সহমত। একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্মূল করা গেলে সংখ্যাগুরুরা নিজেদের মধ্যেই সংজ্ঞায়ণ পরিবর্তন করে নতুন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আবিষ্কার করবে। কয়েক বছর আগেও চর মোনাই আর দেওয়ানবাগ সমর্থকদের মধ্যে খুনোখুনি চলেছে, যদিও উভয় পক্ষই সুন্নী মুসলিম। একই ভাবে খতমে নব্যুয়ত ও আহ্মদীয়াদের মধ্যকার সংঘর্ষের কথাও বলা যায়। পশ্চাতপদতার ব্যাপারটি সংখ্যাগুরুরা ততক্ষণ পর্যন্ত উপলদ্ধি করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ভিন্ন সংজ্ঞায়ণে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয় অথবা সে অস্তিত্ত্বের সংকটে পড়ে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ণ, সেক্যুলার সংস্কৃতির চর্চ্চার বিস্তার বাড়ানো গেলে অবস্থার কিছুটা উন্নয়ণ আশা করা যেতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দিগন্তদা এবং পাণ্ডবদার সাথে সহমত।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। মক্তব বা এইধরনের জায়গাগুলোতে সবাই খুব বিশ্বাস করে শিশুদের ছেড়ে দেয়, ধরেই নেয় হুজুর মানুষ হিসেবে খুব ভাল, ভুল কিছু শেখাবেনা।
পাশাপাশি ঘরে কিংবা বাইরে প্রাইভেট শিক্ষক’কে যাচাই-বাছাই করে তারপর শিশু’কে সেখানে সম্পৃক্ত হতে দেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের একদম অজ গ্রামেও দেখেছি সব শিশু প্রাইভেট পড়তে যায়, এটি বিস্ময়কর। একটা ধর্মান্ধ তথাকথিত ভাল শিক্ষক একাই যথেষ্ট একটা এলাকার প্রজন্ম ধ্বংস করে দিতে।
এইরকম পোস্ট আরও প্রয়োজন। চলুক!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
যে বছর স্কুলে ভর্তি হয়েছি, দেখতাম আমার প্রতি কয়েকজন সহপাঠীর কি ভয়ংকর আক্রোশ! আমার দিকে তাকালে তাদের চোখ দিয়ে আগুনের হলকা বের হতো। একবার আমার স্কুলের ব্যাগের ওপর হঠাৎ থুথু ফেলে দিয়েও চলে গেছে। আমি বুঝে উঠতে পারতাম না আমার মতো নিরীহতম মানুষটি তাদের কী ক্ষতিটা করেছে। অনেক বড় হয়ে জানতে পেরেছি- হিন্দুরা লোক ভালো না!
কিছু বলার ভাষা নাই !
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
চমৎকার একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ। আপনার observation এর সাথে একমত যে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বোনা হয়ে যায় শৈশবে। ধর্ম যার যার, দেশ সবার; ধর্মের থেকে মানুষ বড়, মানবতা বড়- এমন শিক্ষা খুব কম পরিবারেই দেয়া হয়। পরবর্তী প্রজন্মকে এ কথাগুলো জানানো ও বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে আমাদের সবাইকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যর জন্য। ধর্ম যার যার, দেশ সবার; ধর্মের থেকে মানুষ বড়, মানবতা বড়- এমন শিক্ষা পরিবার, সমাজ, স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মক্তব রাষ্ট্র সব জায়গা থেকে আসতে হবে।
মানবিকতার চেতনায় সকল শিশুকে মানুষ করে তুলতে হবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
গুরুত্বপূর্ন লেখা আরজু।
কিছু সমস্যা অবশ্যই আমাদের শেকড়ে ঢুকে আছে, নাহলে কথায় কথায় আমাদের ভেতরকার সাম্প্রদায়িক এই হিংস্র পশুটা তার তীক্ষ্ণ নখ আর দাঁত খিঁচিয়ে বেড়িয়ে আসবে কেন?! ধর্ম-শিক্ষার কারণে বাবা মা-রা তাদের সন্তানদের যেসব মক্তব-মাদ্রাসায় পাঠায় শেখানে ধর্মের বাইরে আর কি কি অধর্ম শেখানো হচ্ছে সে সম্পর্কে সবার সচেতণ হওয়া প্রয়োজন। অন্যধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তো দূরের কথা দেশের প্রতি সহজাত ভালবাসাটুকুও এদের জন্মায় না, এমন কি ঘৃনার মন্ত্র ছড়ানো হয় শেখানে, ভেবে দেখা দরকার।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
Couple of my childhood muslim friends had the bizarre belief that hindus are kafir and there is no sin in persecuting kafirs, even molesting hindu girls is a source of neki (sawab).
এটাই তো প্রশ্ন আর এখানেই আলোকপাত কিভাবে এবং কেনই বা একটা মানুষ বাচ্চা অবস্থাতেই এইসব নোংরা মানসিকতা নিয়ে বড় হয়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
হিন্দু তথা অন্য ধর্ম বিদ্বেষ ইসলামের মূল চাবিকাঠি। ইহাই ইসলাম।
দ্বিমত পোষণ করলাম। লেখিকা আরবী শিখার হাতেকড়িটা ভুল লোকের হাতে হয়েছে সন্দেহ নেই। জামায়াত শিবিরের প্রপাগান্ডায় ধীরে ধীরে এমন ভুল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ও সন্দেহ নেই।
তবে ইহা ইসলাম নয়। সঠিক ইসলাম অন্য ধর্মকে সম্মান করার কথা বলে। এটাও সুস্পষ্টভাবে স্বীকার করে যে, ইসলাম নতুন আনকোরা কোন মতবাদ নয় বরং পূর্ববর্তী ধর্মগুলোরই আধুনিক ও বিশুদ্ধ সংস্করণ।
ইসলামকে বিশুদ্ধ দাবী করাটা কি অন্য ধর্মগুলাকে অশুদ্ধ দাবী করার নামান্তর না? আধুনিক দাবী করাটা অন্যগুলাকে সনাতন দাবী করার সমার্থক না? দেখেন ধর্মের বিষ ক্যামনে ছড়ায়। অন্যকে অশুদ্ধ, অবিশুদ্ধ, পশ্চাৎপদ দাবী করে আবার তাকে সমান সম্মান দেখানোর দাবীটা হাস্যকর।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ইসলামকে বিশুদ্ধ বলা হলে অন্য ধর্ম অশুদ্ধ হয়ে যায় যুক্তিটা হাস্যকর। পুর্ববর্তী এতগুলো ধর্ম বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব অবশ্যই কিছুটা ব্যতিক্রমতার ইঙ্গিত দেয়। প্রত্যেকের কাছে তার নিজ ধর্ম পবিত্র ও সুন্দর। আমি ও তার ব্যতিক্রম নই। প্রসঙ্গটা ছিল, অন্য ধর্মাবলম্বি মানুষদের নিয়ে। আমার প্রাইমারী আরবী শিক্ষার সময় হিন্দুদের ঘৃণা করার কথা শুনিনি। বরং আমাদের শিক্ষা দেয়া হয়েছিল, মুল্যবোধ ও কর্মপরায়নতায় সার্বজনীন না হলে ইসলাম সম্পুর্ণ হয় না।
হাস্যকর না, নিজের মন্তব্য একটু পড়ে দেখুন আবার। আপনি নিজেই বলেছেন
তারমানে আগের ধর্মগুলো তুলনামূলক বিবেচনায় কম বিশুদ্ধ আর কম আধুনিক। আমার ধর্মই সবচেয়ে ভাল এই বোধ নিয়ে আর যাই হোক ধর্মীয় সম্প্রীতির আশা করা অসম্ভব। আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি, এর মানে এই নয় যে আমার দেশ সব দেশের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, আমি আমার প্রেমিকাকে সবচেয়ে ভালবাসি তারমানে এই নয় যে বিশ্বের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ, আমি আমার মাকে ভালবাসি কারন আমার মা আমার মা, আমার মা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মা কিনা, বা আমার মা অন্য মায়ের চেয়ে কতটা আধুনিক, বিশুদ্ধ সেই তুলনায় যাওয়াটা জরুরী না।
ধর্মকেও শুধু সেভাবে ভালবাসা গেলে মনে হয় সমস্যা ছিল না। কিন্তু নিজের ধর্মের কথা বলতে গেলেই আমারটা 'আগেরগুলোর চেয়ে কত বেশি আধুনিক আর বিশুদ্ধ' হিসাব চলে আসলে তো সমস্যা।
আপনি প্রাইমারী আরবী শিক্ষার সময় হিন্দুদের ঘৃণা করার কথা শোনেননি কিন্তু আমি শুনেছি। না শুনেও এটা শিখেছেন যে, আপনার ধর্ম অন্যগুলার বিশুদ্ধ আর আধুনিক সংস্করণ। বেচারা অন্য ধর্মের লোকেরা কী অনাধুনিক আর কম বিশুদ্ধ ভার্সন নিয়ে পড়ে আছে! কোন মানে হয়?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এর মধ্যে নিজের ধর্মকে বড় করার প্রবণতা কোথায় পেলেন ? আপনি যদি ধর্ম বিশ্বাষ করেন তার পেছনে অবশ্যই আপনার স্বপক্ষে ব্যখ্যা থাকবে। আপনার কি মনে হয় অন্য ধর্মাবলম্বিরা অন্যদের ধর্ম বড় ও বিশুদ্ধ জেনেও নিজের ধর্ম পালন করছে ?
আধুনিক কথাটা বলার কারণ ছিল সময়। প্রচলিত ধর্ম গুলোর মধ্যে আমার নির্ধারিত ধর্মটির আর্বিভাব হয়েছে সবার শেষে। অনুরুপভাবে সনাতন ধর্মীরা ও নিজেদের ধর্ম সুপ্রাচীন বলে গর্ববোধ করতেই পার। এতে অন্য ধর্মকে ছোট হওয়ার কারণ খুজবেন কেন?
বিশুদ্ধতার ব্যাপারটা যদি বলেন, প্রত্যেক আস্তিকই তার ধর্মকে বিশুদ্ধ মনে করেই মনে প্রাণে গ্রহন করেন। এতেও অন্যের ধর্মকে খাটো করার কোন কারণ নেই।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হচ্ছে অন্যধর্মাবলম্বী মানুষদের সাথে মেলামেশা ও আচার আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ।
এক্ষেত্রে, আমার ধর্ম আমাকে কখনোই বলেনি, অমুক ধর্মের মানুষ খারাপ। কিংবা অমুক ধর্মের মানুষের সাথে মেলামেশা নিষেদ। যদি কেউ আমার ধর্মের অজুহাত দিয়ে মেলামেশার ব্যাপারে নিষেদ করে তবে সে তার স্বপক্ষে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারবে না। যেমন, জামাতিরা তাদের প্রপাগান্ডায় প্রমাণের অভাবে অপপ্রচার করে। কিন্তু অপপ্রচার মানুষের ব্যক্তিগত দোষাবলী, ধর্মীয় নয়।
ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে খুব কম মানুষ ধর্ম বিশ্বাস করে রে ভাই। যে মুস্লিম পরিবারে জন্মে সে মুস্লিম, হিন্দু ঘরে জন্মাইলে হিন্দু, খ্রিস্টানের ঘরে জন্মাইলে খ্রিস্টান, এইতো নিয়ম। এইটারে হুদাই নিজের বিবেচনা বইলা চালানোটা বোকামী নাইলে ভন্ডামী। আপনার দেশ যেমন আপনি সিলেক্ট করেননি, মাকে যেমন আপনি সিলেক্ট করেননি, ধর্মকেও করেননি। কোনকিছুকে ভালবাসার জন্যে তুলনামূলক আধুনিকতা বা বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের দরকার পড়ে না।
ইসলামে অন্য ধর্ম নিয়ে কটুক্তি, কঠাক্ষ, শাস্তির ভয়, মেলামেশার ব্যাপারে বাঁধা আছে কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা শুধু শুধু এই বিতর্ককে উসকে দেবে। চাইলে আপনি নিজেই খুঁজে দেখতে পারেন। এই অস্থির সময় আমি সেসব রেফারেন্স দেব না, সেই আলোচনায়ও যাব না। আপাতত আমিও ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসাবেই দেখতে চাই। ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনাকে ও ধন্যবাদ। ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করার জন্য। দয়া করে কোন মৌলবী কি শিখাল। ইসলামের নাম ব্যবহার করে কোন দল কিভাবে মিথ্যাচার করল। সে রকম তথ্য নয় বরং পবিত্র ধর্ম গ্রন্থে কোথাও অন্য ধর্মাবলম্বীর সাথে মেলামেশার ব্যাপারে নিষেদ নেই বলেই আমার বিশ্বাষ। নবী করিম (সাঃ) মদীনায় প্রথম রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে নিয়ে পৃথিবীর প্রথম সংবিধান মদিনা সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে। আশা করি এই তথ্য সাম্প্রদায়িকতাকে কখনো উস্কে দেবেনা। বরং জামায়াতের মত পতিত মুসলিমদের সঠিক পথে ফেরাবে।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এই জায়গাটাতেই সমস্যা। আমরা উত্তরাধিকার সুত্রে যে ধর্ম পেয়েছি সেটাকে সবচেয়ে ভাল প্রমানের জন্য উঠেপড়ে লেগে থাকি। উত্তরাধিকার সুত্রে অন্য ধর্মের ঘরে জন্মালে কি করতাম ভেবে দেখি না। মানুষের ভাবনার দৌড়ের এই সীমাবদ্ধতাটুকুই ধর্ম ব্যাবসায়িদের জন্য খুব বেশি দরকারি।
আপনার যুক্তি অনুসারে সঠিকতর আরেকটা বাক্য হল - শিখ ধর্ম পূর্ববর্তী ধর্মগুলোরই (যেমন ইসলাম, হিন্দু ইত্যাদি ) আধুনিক ও বিশুদ্ধ সংস্করণ।
তাছাড়া, আমার ধর্মটা বিশুদ্ধ ও আধুনিক - এই কথাটা কতটা আধুনিক তাই ভাবছি।
দেখুন সাদেক, কবি ভাই আগেই বলেছেন তবুও বলি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে খুব কম মানুষ ধর্ম বিশ্বাস করে। আপনি জন্মসূত্রে যে ধর্মের মানুষ হয়ে জন্মেছেন আপনি সেই ধর্মেই বিশ্বাস করবেন। এবং সেই বিশ্বাস নিয়েই আপনি বড় হবেন। এটাই স্বাভাবিক। কয়জন মানুষ নিজ ধর্ম নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে বলতে পারেন? মানুষ আসলে অন্ধভাবেই ধর্ম বিশ্বাস করে।
একটা কথা পরিস্কার করি-এই লেখাটার উদ্দেশ্য কোনভাবেই কোন ধর্মকে ছোট করা না বা কোন বিশেষ সম্প্রদায় বা মানুষ কে ছোট করা না। আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণে যেটা আমি বুঝেছি সেটা লিখেছি। একটু বিস্তারিত বলি-
মালাউন কা বাচ্চা, কাভি নেহি আচ্ছা
এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ নোংরা কথা শুনে নাই এমন মানুষ মনে হয় বাংলাদেশে খুব কম আছে। এর পিছনের কারণটা আসলে কি আপনার কি মনে হয়??
আমার খুব কাছের বন্ধু অন্য ধর্মের। বারবার আমি দেখেছি আশেপাশের মানুষ কিভাবে তার ধর্মটাকে ছোট করে কিভাবে নোংরা কথা বলে এবং এমন কথা সমাজের সব লেভেলের মানুষ থেকেই আসে। আমার অভিজ্ঞতাটা হয়ত কোন হুজুরের দ্বারা হয়েছিল। হয়ত সবার অভিজ্ঞতা হুজুর দ্বারা হয়না কিন্তু তারপরেও সবাই কিন্তু হিন্দু ধর্মের মানুষদের সম্পর্কে ভীষণ নেগেটিভ ধারনা নিয়েই বড় হয়। কোন কারন ছাড়াই তাদের প্রতি একধরনের বিদ্বেষ। এই নেগেটিভ ধারনা মানুষ ছোট থেকে বহন করে চলে আর কিছু হলেই ঢালাও ভাবে অন্য ধর্মের মানুষের দোষারোপ করে।
কথা ঠিক। আমি এখানে ধর্মকে দোষ দিচ্ছিনা কিন্তু যখন এই অপপ্রচার দেশের সকল ধর্মীয় ভাবে সংখ্যাগুরু মানুষ জেনে থাকে এই ক্ষেত্রে যদিও সবাই বিশ্বাস করেনা তবুও এর দায়ভার কিন্তু আশেপাশের প্রতিটি মানুষের।
ছোট থেকেই সবার কাছ থেকে জ্ঞানত কিংবা অজ্ঞানত আমরা ধর্মান্ধতার শিক্ষা পাই। বিষয়টা আমরা ভিতরে নিয়েই বড় হয় তাই অল্প উস্কানিতেই ভয়ংকর ভাবে বের হয়ে আসে।
খারাপ মানুষ কিন্তু সব ধর্মের মানুষের ভিতরেই আছে। খুব দুরের না একটা ছোট্ট উদাহারন দেয়, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘটনায় তার অপকর্মের সাথে সাথে ধর্মটাও বারবার আলোচনায় এসেছিল। এমনটাও শুনেছি সেই ধর্মের মানুষের কাছ থেকে এমনটাই আশা করা যায়। খেয়াল করেন এখানে কিন্তু সুরঞ্জিতের কাজের সাথে সাথে তার ধর্মের সব মানুষকে ছোট করা হল, যা হবার আসলে কোনই কারন নাই। অথচ ধর্মীয় ভাবে সে সংখ্যালঘু না হলে তার অপকর্মটাই মানুষ আলাপ করত শুধু তার সাথে সাথে ধর্ম কখনোই আলোচনায় আসত না। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন এটাই হয়ে থাকে, বারবার হয়ে আসছে।
যদি ছোট থেকে সবাই এই বিদ্বেষ, ধর্মান্ধতা ভিতরে না নিয়ে বড় হত তাহলে অন্য কোন দেশে মসজিদ ভাঙলে কষ্ট পেত, রাগ প্রকাশ করত, ক্ষোভ প্রকাশ করত কিন্তু কখনোই রাগ মিটাতে নিজের দেশে ধর্মীয় ভাবে সংখ্যালঘু মানুষদের উপাসনালয় ভাংচুর করত না বা তাদেরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করত না।
আমার মূল ফোকাসটাও এখানেই ছিল। মানুষ কে ধর্ম দিয়ে বিচার না করে মানুষ হিসাবে বিচার করতে শিখা। এবং এই শিক্ষাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
এই মন্তব্যে
অনেক দেরিতে পড়লাম। খুব প্রবলভাবেই আপনার মতের সাথে সহমত প্রকাশ করছি। মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ কখনোই নয়।
খ্রিস্টের জন্মের ৬০০০ বছর আগে প্রথম একেশ্বরবাদের প্রচলন হয় মিশরীয় সম্রাট ইখনাটন এর শাসনকালে। মন্দিরের পুরোহিতগন কর্তৃক রাজ্যশাসনে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে তিনি সকল দেবতার পূজা নিষিদ্ধ করে একমাত্র সূর্যদেবতার পূজার প্রচলন করেন এবং সূর্যদেবতা "এটন" এর অনুরূপে নিজের নাম "ইখনাটন"। নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস বইএর প্রথম পর্যায়ের এই লেখা পড়ে আমার মনে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছিল সেই উত্তর খুজঁতে খুজঁতে এখন নিজেকে দেখি শুধুমাত্র মানুষে বিশ্বাস করতে।
হ্যাঁ, আমি শুধুমাত্র মানুষেই বিশ্বাস করি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে আবার প্রশ্ন জাগছে মনে মানুষের উপর ও কি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলব ?
বিশ্বাস বিশ্বাসই। যুক্তি-প্রমান দিয়ে যাকে উপস্থাপন বা খন্ডন করা যায় তাকে বিশ্বাস করবার প্রয়োজন পড়ে না। তাকে সত্য হিসেবে গ্রহন করতে হয়। ধর্মের উৎপত্তি মানুষের মঙ্গলের প্রয়োজনে। অমঙ্গল কামনা ধর্মের উদ্দেশ্য নয়।
তাই আমার মতে ধর্মের চাইতে মন ও মননের ক্ষুদ্রতা এবং চিন্তার অপরিসরতাই সাম্প্রদায়িক মনোভাবের মূল উৎস। ধর্ম ত কাউকে ছোট করতে বলেনি। যার কাছ থেকে ধর্মের শিক্ষা মানুষ পেল তার ব্যাখ্যা যদি বিকৃত হয় তাহলে তার জন্য ত ধর্মকে দোষারোপ করা যায় না। জ্ঞান হবার পর যদি একজন মানুষ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা না করে তাহলে তা তার নিজস্ব ক্ষুদ্রতা। ধর্মের নয়।
মুসলমান কেউ খারাপ কিছু করলে তখন তার ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বলেনা,কিন্তু অন্য ধর্মের কেউ কিছু করলে সবাই তখন মানুষ টাকে বাদ দিয়ে টার ধর্মের পেছনে লাগে।আর আমাদের দেশে আসলে নিয়ম করা উচিত,কেউ যদি কাউকে মালাউন বলে গালি দেয় অথবা তার ধর্ম নিয়ে কথা বলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আপু তোমার লেখাটার জন্য অনেক বেশি ধন্যবাদ ।অনেক কিছুই নিজে অনুভব করি কিন্তু কখনই বলতে পারিনা।তুমি কেমন করে যে মনের কথাটা বুঝে ফেল!!!
'সংখ্যালঘু' শব্দটা পৃথিবীর অন্যতম অশ্লীল শব্দ
০২
ধর্ম বুঝিনা, মানুষ বুঝি। ব্যস ওটুকুনই
ডাকঘর | ছবিঘর
একমত!
আমার মেয়ের বয়স পাচ, স্কুল এ যায়।।। একদিন স্কুল থেকে ফিরে জানতে চায় মা হিন্দু মানে কি? আমি বললাম, এটা একটা ধর্ম, মেয়ের প্রশ্ন, ধর্ম মানে কি? আমি বললাম ধর্ম হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা যেমন ঈদ, পুজা, বরদিন, তখন আমার মেয়ে বলল, কিন্তু মিস যে বলল আমরা সবচেয়ে ভাল, হিন্দুরা আল্লাহ কে মানে না তাই হিন্দুরা ভাল না। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাকে যদি তার টিচার এই শিক্ষা দেয় তবে সে বড় হয়ে হিন্দু বিদ্বেষী হবে তাতে আর সন্দেহ কি?
লোকজন শুধু শুধু প্রসঙ্গের বাইরে যেয়ে আজাইরা প্যচ প্যাচ করতেসে ক্যান? সাফিনাজ যা লিখেছে অত্যন্ত যুক্তি সঙ্গতঃ এবং সত্যি কথা । ছোট বেলায় হুজুর রা আমাদের বাবা মা এর আড়ালে আমাদের এসব অদ্ভুত শিক্ষা দিত। বন্ধুদের সাথে খেলতে গেলে বলত লাল পি্পড়া গুলা মার ওরা হিন্দু সয়তান আর কালো গুলা মুসলমান পিপড়া ওদের কে মারা যাবেনা । আমাদের সমাজে সব খানে আমাদেরকে বৈসম্য শেখানো হয় । অনেক স্কুলে দেখেছি বাচ্চা কম বলে হিন্দু শিক্ষার বদলে তাদেরকে বাধ্য করতো ইসলাম পড়তে এতে করে যখন এধরনের ব্যপার আসতো একটা ছোট হিন্দু বাচ্চার উপরে কি মানসিক চাপ পরতো । ধন্যবাদ সাফিনাজ খুব ভালো লেখা।
facebook
সাফিনাজ, তোমার এই লেখাটা আমি আগেও পড়েছি । এখন আবার পড়লাম । লেখায় তারা তারা তারা তারা তারা ।
“সবার ওপরে মানবতা” এই কথাটা যার হৃদয়ের গভীরে থাকে না, তার পূজা/প্রার্থনা/ব্রত/নামাজ কার কাছে যায়, কে জানে ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সাফিনাজ, বড় মর্মস্পর্শী আর ঠিক সময়ের লেখা।
“আর কোনদিন শুধু মাত্র ভিন্ন ধর্মের কারনে সাধারন কোন মানুষকে গৃহহারা হতে হবেনা, শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হতে হবেনা... হত্যার শিকার হতে হবেনা, দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে হবেনা। ”
কোন দিন কি আসবে সেই সোনার দিন! হয়তো আসবে। কিন্তু অর্থ আর ক্ষমতার যে সর্বব্যাপী সর্বগ্রাসী অবস্থান আজ দুনিয়া জুড়ে তাতে জীবনানন্দ-র অনুসরণে বলতে ইচ্ছে করছে - “সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ”। শুধু একটি-ই আলোর রেখা - সে আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার। হয়ত সেই জোরের জায়গা থেকেই আপনারা শতাব্দীকে গুটিয়ে আনবেন বছরে, মাসে, দিনে। হয়ত আবারো ফসকে যাবে, তখন আবারো আপনারা , প্রিয় বাংলাদেশের অক্লান্ত মানুষেরা, বারে বারে করবেন উজ্জল উদ্ধার। আমরা, এপার বাংলার মানুষেরা তো বাংলা বলতেও আজকাল লজ্জা পাই আর শান্তি রক্ষার নামে লাল-সবুজ নানা রং-এর মাটিচাপা দিয়ে রাখি সমস্ত প্রগতিশীলতাকে।
বাঙালী এক আশ্চর্য জাতি!
আমি মারিয়া গার্সিয়া, আমি আপনি দ্রুত যে আনন্দ এবং সুখ আমার সকল সাক্ষ্য দিতে চান. আমি একটি গৃহসজ্জা ব্যবসা স্থাপন 10,000,000.00 মূল্য ঋণ প্রয়োজন নিদারুণভাবে, আমি scammed এবং অনেক ঋণ দ্বারা কৌতুক অনেকবার অনলাইন হচ্ছে আছে. এবং আমি আমার 24 ব্যাঙ্কিং-ঘন্টার মধ্যে আমার একাউন্টে একটি বাস্তব ক্রেডিট দিয়েছি যে Pastor মার্ক নামক একটি বাস্তব ঋণ ঋণদাতা পাওয়া যায়নি একটি সাইট থেকে আমার নির্দেশ সম্পর্কে আমার এক বন্ধু তাই খুশি. ইমেলের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ঋণ কোন পরিমাণ পেতে
নতুন মন্তব্য করুন