সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তলিয়ে দেখলেন এদিক সেদিক, যত বিশ্লেষণ করলেন ততই সফলতা উঁকি দিচ্ছিল মনে। হু এটা হওয়া খুবই সম্ভব।
জীবনটা কেমন একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। তাদের কিছু ভাবতে হয়না, কিছু জানতে হয়না। তারা কখনও কোন সমস্যায় পড়েননা, তাদের কিছু গ্রহন করতে হয়না, কিছু বর্জন করতে হয়না, নতুন কোন সৃষ্টি নাই, কোন ধ্বংস নাই - মূল সিস্টেমে সমস্ত কিছু রাখা আছে। ভি এন কার্ডে একবার চাপ দিলেই সমস্ত তথ্য সরাসরি মাথায় ভিতরে।
এটা কোন জীবন হল! তাদের মধ্যে অনেকে প্রতিদিন নতুন নতুন হাইপার ড্রাইভ দিয়ে ত্রিশ লক্ষ বা তারও বেশি আলোকবর্ষ দূরে যেয়ে ফিরে আসেন। কেউবা সিস্টেমে নতুন নতুন অসুখ তৈরি করে কম উন্নত প্রানিদের গ্রহে পুশ করেন। কেউ বা মূল সিস্টেমের সাহায্য ছাড়ায় রিয়েমান হাইপথিসিস সলভ করার মত জটিল সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সব ও ভীষণ একঘেয়ে আর ক্লান্তিকর।
কিন্তু তিনি যেটি ভাবছেন ...।।
মাথার ভিতরে হঠাৎ তারই মতন অন্য কেউ কথা বলে উঠল।
-না তুমি এটা করতে পারনা।
-হ্যাঁ আমি পারি, তুমি সেটা যান। আমরা সবাই যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। এই মহাবিশ্বের সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে।
-মূল সিস্টেমের বাইরে গিয়ে তুমি কিছু করতে পারনা।
-তুমি জান চাইলে আমরা সেটাও পারি শুধু আমার ভি এন কোডের গোপন নাম্বার সেখানে প্রবেশ করাতে হবে।
-ভি এন কোডের গোপন নম্বর একবার প্রবেশ করালে তুমি আর কখনও সেটা ফেরত পাবেনা।
-দরকার নাই আমার ভি এন কোডের।
-তুমি কি ভেবে বলছ?
-হ্যাঁ ভেবেই বলছি।
-ভি এন কোড ছাড়া তুমি আর কখনও অন্য কারো সাহায্য ছাড়া মূল সিস্টেমে ঢুকতে পারবেনা।
-হ্যাঁ আমি জানি, তবুও আমি চাই।
-এর ফলাফল খুব ভয়ংকর হতে পারে তুমি জান।
- হ্যাঁ জানি।
- তুমি আরেকবার ভেবে দেখ ত্রিমাত্রার জগত কখনও পাঁচ মাত্রা ধারন করতে পারবেনা।
- সেটাই পরিক্ষা করে দেখতে চাই। সরাসরি ত্রিমাত্রিক জগতে প্রবেশ করতে পারব না জানি সেটা কিন্তু দেখতে চাই প্রান সৃষ্টির সূচনা লগ্নে যদি প্রবেশ করতে পারি। মূল সিস্টেমে বারবার চেক করে দেখেছি ক্রমোসোম গত অল্প কিছু পরিবর্তন করে হ্যাপ্লয়েড সেলে অবস্থান নেওয়া অসম্ভব নয়।
- কিন্তু তুমি ত শুধু হ্যাপ্লয়েড সেলেই থাকতে চাওনা।
- না , আমি দেখতে চাই, ডিপ্লয়েডে এর কি অবস্থান হয়।
- তুমি গ্যামেট হতে চাও?
- হ্যাঁ চাই।
- কিন্তু এর ফলাফল ভয়ংকর হতে পারে। সেই প্রানিটি ধ্বংস হতে পারে এমনকি সেই জগত ও ধ্বংস হতে পারে। ত্রি মাত্রা কিভাবে পাঁচ মাত্রা ধারন করতে পারে?
- আমি সেটাই দেখতে চাই। এমনও তো হতে পারে কিছুই হবেনা। নতুন কোন প্রজন্মের, নতুন কোন মাত্রার সৃষ্টি হবে।
- হ্যাঁ তাও সম্ভব। তাহলে তোমার ডিসিসান ফাইনাল।
- হ্যাঁ ফাইনাল।
- কোন হ্যাপ্লয়েড সেলে ঢুকবে ঠিক করেছ?
- হম।
- তাহলে তুমি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছ যে তুমি স্পার্ম সেলে ঢুকবে?
- হ্যাঁ তাই। আমি লক্ষ লক্ষ স্পার্ম এর দৌড়ে অংশগ্রহণ চাই।
- আবারও সাবধান করছি তোমাকে।
- ধন্যবাদ সাবধান করার জন্য। কিন্তু আমি যা ঠিক করেছি তাই করব।
এর পরেই হঠাৎ করেই তার মত অন্য কণ্ঠস্বরটি থেমে গেল। তিনি প্রস্তুতি গ্রহন শুরু করলেন। অনেকদিন পরে তার মনে হল জীবনের কোন মানে খুঁজে পাচ্ছেন।
*** *** *** *** *** *** *** *** *** *** ***
আকাশে মস্ত বড় এক চাঁদ উঠেছে। চাঁদের আলোয় হাসান মুগ্ধ চোখে নিপার দিকে তাকায়, কি অদ্ভুত মিষ্টি তার বউটা। নিপা আজ সেজেছেও খুব সুন্দর করে। হাসান মনোযোগ দিয়ে তাকায় তেমন কিছু না, কলাপাতা রঙের শাড়ির সাথে ম্যাচ করে ছোট একটা দুল আর কাধ পর্যন্ত চুলগুলো ছেড়ে রেখেছে নিপা, তাতেই কেমন মোহময়ী লাগছে তাকে।
আজ তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী, সেই উপলক্ষে বাসায় সন্ধ্যা থেকে বড় এক পার্টি ছিল। ঘণ্টা খানেক হল সব মেহমান বিদায় নিয়েছে। তারপরে হাসান আর নিপা সব গোছগাছ করে নিজেদের মত করে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য মাত্র ছাদে এসে বসেছে। ছাদের এক কোনে রাখা চেয়ার দুটিতে পাশাপাশি বসে হাসানের নিজেকে খুব সুখী মনে হতে থাকে। নিপা ছাদে এসে বসার পর থেকে কেমন চুপ হয়ে গেছে, কোন কথা বলছে না শুধু মাঝে মাঝে চোখ তুলে হাসান কে দেখছে।
হাসান চাঁদের দিকে একবার তাকায় তারপরে নিপার হাত হাতে তুলে নেয়।
-নিপা তুমি সুখি ত আমার সাথে?
- হম
-খুব খুশি ?
-হম।
- কি তখন থেকে হম হম করছ, তোমার কি মন খারাপ?
- না হাসান। আমার আসলে ভাল লাগছে, অনেক বেশি ভাল লাগছে।
নিপা হঠাৎ চোখ তুলে হাসানের দিকে তাকায়, -
হাসান চলনা আমরা একটা বাবু নেয়, ছোট্ট একটা বাবু, তোমার আমার ভালবাসার বাবু, খুব আদরের একটা বাবু, আমাদের সংসার জুড়ে থাকবে সেই বাবুটা, বাবুটার চুল হবে তোমার মত, ঠোঁট হবে তোমার মত, তোমার মত হাসি,তোমার মত দুষ্টু হবে, সব কিছু তোমার মত হবে, শুধু নাকটা হবে আমার মত, তোমার মত বোঁচা না- পরম আগ্রহে নিপা হাসানের দিকে তাকিয়ে থাকে, হাসানের দুই চোখে উত্তর খুঁজতে থাকে।
হাসান কোন উত্তর দেয়না শুধু গভীর ভালবাসায় নিপাকে বুকে টেনে নেয়।
আকাশের চাঁদটা তখন আরেকটু বেশি উজ্জ্বল হয়। কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের কোন গ্রহে হঠাৎ একটি ছোট আলোর বিন্দু জ্বলে উঠে। হাসান আর নিপা টের পায়না।
মন্তব্য
২য় গল্পটা কি কল্প বিজ্ঞান?
মাসুদ সজীব
দুঃখিত মাসুদ ভাই, আপনি হয়ত গল্পটা ঠিকমত বুঝতে পারেননি। এবং লেখক হিসেবে এটি অবশ্যই আমার ব্যর্থতা। অনেক দুঃখিত
আসলে ২য় অংশটা পুরোপুরি প্রথম অংশের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
প্রথম ক্ষেত্রে ভিনগ্রহের পাঁচ মাত্রার প্রাণী ঠিক করে মানুষের মাঝে সে জন্ম নিবে একদম ভ্রুন হয়ে। সেজন্য সে ঠিক করে শুক্রানু হয়ে সে জন্ম প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে। আর দ্বিতীয় অংশে একটি সন্তান গ্রহনের সম্ভবনা দেখা যায়।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
গল্প ভালো লাগলো। এটা আসলেই 'গল্প শুরুর' আগের গল্প।
তবে, ভিএন কোড কি রূপক হিসেবে কিছু বোঝাচ্ছে? এটা ঠিক বুঝি নি।
তবে, যারা বয়োলজি পড়েননি তাদের জন্য হ্যাপ্লয়েড-ডিপ্লয়েডের মানেটা যোগ করে দিলে ভালো হত।
শুভেচ্ছা
[মেঘল মানুষ]
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
হ্যাপ্লয়েড-ডিপ্লয়েড:
মানুষের বেশিরভাগ কোষে মোট ২৩ জোড়া বা ৪৬টি ক্রোমোসোম (A chromosome is an organized structure of DNA, protein, and RNA found in cells.) থাকে। এর মাঝে ২৩টা পাই আমরা মায়ের কাছ থেকে, আর বাকি ২৩ টা বাবার থেকে।
এই ২৩টা ক্রোমোসোম কিন্তু আবার সম্পূর্ণ সেট। মানুষের হ্যাপ্লয়েড সেলে এই ২৩টা ক্রোমোসোম থাকে। যার মাঝে ২২ টা এক রকম, আর ১টা ঠিক করে দেয় সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে।
মানুষের জন্য হ্যাপ্লয়েড নাম্বার হল, n=23। কিন্তু, এটা দ্বিগুণ হয়ে যায় আর প্রাণী হিসেবে মানুষ, মূলত: ডিপ্লয়েড।
মানুষের দেহের বেশিরভাগ কোষই ডিপ্লয়েড যেগুলোতে ৪৬ টা ক্রোমোসোম থাকে।
(কিছু তথ্য ভুল থাকতে পারে, কেউ সংশোধন করে দিতে পারেন। )
না ভাই, এটা রুপক কিছু নয়। আসলে এটা অনেকটা সনাক্তকরণ নাম্বারের মতন। প্রতিটি প্রানির আলাদা আলাদা সনাক্তকরণ নম্বর যা দিয়ে মূল ডাটাবেজ তাদের পৃথক করে থাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি নিচে হ্যাপ্লয়েড-ডিপ্লয়েড নিয়ে সহজ ভাবে কিছু লিখার চেষ্টা করছি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সাই ফাই টানে না অতো। তবে এ ধারায় লেখার শখ আছে তোমার, সেহেতু চেষ্টা করেছো.. সেটাতেই তারা দাগালাম।
কিন্তু আফা, এতো অসংখ্য
টাইপো!
এও কি সহ্য হোতা হ্যায়?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সহ্য নেহি হোতা হ্যায়
ইয়ে আফামনি ক্ষেমা দাও, কাশতে কাশতে টাইপো হয়ে গেছে। এক্ষুনি ঠিক করার চেষ্টা করতাছি।
হয়, এই ধরনের গল্প আমায় ভালোই টানে, জানিনা কেন।
কষ্ট করে পড়ার জন্য
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধারনাটা অদ্ভুত... সহজভাবে বলতে গেলে ত্রিমাত্রিক জগতের প্রতিটি বিন্দুতে আসলে একাদশ মাত্রার সহাবস্থান (এই বাড়তি মাত্রা যেন একাধিক ত্রিমাত্রার স্থান-কাল বিন্দুর মাঝে একটি সেতুবিশেষ যাকে অতিস্থান বা হাইপারস্পেস বলে) বলে পদার্থবিদ্যার আধুনিক তত্ত্ব (কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরী বাঁ স্ট্রিং থিওরী) বিশ্বাস করে। উন্নতির শেষ পর্যায়ে পৌছনো অকল্পনীয় উন্নত কোন সভ্যতার প্রাণীরা তাদের দেহের সঞ্চিত বিশাল পরিমাণ তথ্য (কোয়ান্টাম ইনফরমেশন) এর কোন অংশকে ভিন্নস্থানে কোন মাধ্যম বা সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই প্রেরণ(কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন) করার প্রযুক্তিতে এই স্থানিক বিন্দুতে একটি কীটগহ্বর(ওয়ার্মহোল) সৃষ্টি করে বহুমাত্রার মধ্য দিয়ে ত্রিমাত্রার অন্য কোন বিন্দুতে পাঠাতে পারে যা প্রেরিত তথ্যগুলির সাহায্যে একটি ত্রিমাত্রিক বস্তুর রূপ নিতে পারে এবং স্বাভাবিক আচরন করতে পারে। এটা হতে পারে একটি অত্যুন্নত যোগাযোগ মাধ্যম যাতে আমি একমুহূর্তেই ঢাকা থেকে চাঁদে যেতে পারব (যেখানে আমাদের দেহের সমস্ত ইনফরমেশন টেলিপোর্টেড হয়ে এখানকার দেহকে নষ্ট করবে এবং চাঁদে একটি হুবহু আমাকে তৈরি করবে, বর্তমানে অতি অল্পসংখ্যক পারমাণবিক কণাকে নিয়ে এক মিটারের শতকোটি ভাগের একভাগ দুরত্বের মাপে বিজ্ঞানীরা এটা করতে পেরেছেন)। গল্পের সেই প্রাণীটি স্বেচ্ছায় নিজের দেহের তথ্য টেলিপোর্ট করেছে তাদের গ্রহ থেকে মানুষের শুক্রাশয় বা ডিম্বাশয়ের ত্রিমাত্রিক স্থানে। সেই প্রাণীদের আবেগ বলে কিছু আছে কিনা তা ভাবার বিষয় কারণ তাদের অসাধ্য কিছু নেই আর তাই গল্পের দ্বিতীয় অংশের মানবজীবনের কথাকে যেন একটা আলাদা গল্প বলে মনে হয়।
-তীর্থ চক্রবর্তী
ভাই আপনার সুচিন্তিত এবং বিস্তারির মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব সুন্দর বলেছেন, পুরো বিষয়টা এত বিস্তারিত জানা ছিলনা, এখন জানলাম।
আসলে এটি আমার সাই ফাই গল্পের ক্ষেত্রে প্রথম প্রচেষ্টা।
আমি চেয়েছিলাম খুব ছোট কোন গল্প লিখতে যেখানে কোন চরিত্র বা কোন বিস্তারিত তথ্য থাকবেনা, শুধু একটা ঘটনা পরস্পরা থাকবে যা থেকে বোঝা যাবে কিছু একটা ঘটবে কিন্তু কি ঘটবে বা তার ফলাফল কি তা জানা যাবেনা ।
যেমন গল্পটা পড়ে বুঝা যায়না আসলেই প্রানি টির আবেগ রয়েছে নাকি নাই। আরও ব্যাপার আছে, যেমন শুধু কোয়ান্টাম তত্তের সংজ্ঞা অনুযায়ী নয় আসলেই কি অন্য কোন ধরনের বাধা আছে কিনা মানুষের শরীরে যদি সে স্থাপিত হতে চায় তার বর্ণনা অনুপস্থিত কারন এখানে সে শুধু প্রানির আকার ধারন করতে চায়না তার সাথে সাথে সে চায় জেনেটিক ইনফরমেশন যেটা কিনা জন্ম মুহূর্তে যে কোন প্রানি তার বাবার থেকে এবং মায়ের থেকে পেয়ে থাকে সমান সংখ্যক ক্রমোসোমের দ্বারা। মোট কথা, বাধাটা ঠিক কি ধরনের তার কোন বিস্তারিত ব্যাখা গল্পে নেই। ঐ যে বললাম ছোট গল্প লিখতে চেয়েছিলাম।
পরবর্তীতে সাই ফাই গল্প লিখার চেষ্টা করলে আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকব যেন গল্পের কোন বড় ফাঁক না থেকে যায়।
আরও কোন পরামর্শ থাকলে সাদরে আমন্ত্রিত।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমার আগের কমেন্টে বিজ্ঞানের বিষয়টি একেবারে ‘টেকনিক্যালি’ লেখা নয়, আর এই বিষয়গুলি সম্পর্কে এখনও কোন একেবারে নিশ্চিত তত্ত্ব-ও বিজ্ঞানীদের কাছে নেই, বলা যায় নানারকম ‘হাইপোথিসিস’ আছে। আসলে গল্পটি পড়ে এটাকে বিজ্ঞানের বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবার লোভ সামলাতে পারলাম না। বিস্তারিত নয়, এত ছোট পরিসরে এতরকম চিন্তার খোরাক জোগানোটাই গল্পের সার্থকতা। সাই-ফাই লেখা চলুক... অপেক্ষায় রইলাম।
বলছেন চালাতে, তাহলে চলুক
তবে এর পর থেকে কিছু লেখার আগে হাইপোথিসিস গুলো মাথায় রাখব।
অনেক ধন্যবাদ ভাই পাশে থাকার জন্য।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
একটু সমালোচনাই করি বরং, যদিও শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত মতামতই হবে সেটা।
প্রয়োজনের তুলনায় টেকনিক্যাল টার্ম বেশি হয়ে গেছে সেটা সম্ভবত শুধু গল্পটাকে সায়েন্স ফিকশন সায়েন্স ফিকশন চেহারা দেবার জন্য। টেকনিক্যাল টার্মগুলোকে অতটা প্রয়োজনীয় মনে হয় নি আমার কাছে। ভেবে দেখবেন।
পরের অংশের সাথে প্রথম অংশের মিল বোঝার জন্য আমার বেশ কষ্টকল্পনা করতে হয়েছে। গল্পপাঠে কল্পনাতে আনন্দ আছে কিন্তু সেই কল্পনা কষ্টকল্পনা হয়ে গেলে একটু পীড়া দেয়।
সমালোচনায় দমে যাবেন না যেন আবার। লিখুন আরও।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আসলে আমারও এখন তাই মনে হচ্ছে।
পরবর্তীতে চেষ্টা করব এইসব ত্রুটি গুলো মিটানোর।
সমালোচনায় তো লেখা পরিণত করে, মানুষকেও শুদ্ধ করে সুতরাং দমে যাবার প্রশ্নই উঠেনা শান্ত ভাই।
অনেক ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
(১) গল্প ভাল লেগেছে, তবে তিনমাত্রার কবির সাথে একমত।
(২) ঠিক কার লেখা সেটা আজ আর মনে নেই, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়ের হতে পারে, অন্য এক দৃষ্টি থেকে কাছাকাছি একটি গল্প ছিল। মৃত্যুর পরে স্বর্গে না গিয়ে কোন এক দেবলোকে অবস্থানকারী কোন আত্মার আবার জন্মগ্রহণের প্রক্রিয়ায় একটি ভ্রুণে অনুপ্রবিষ্ট হওয়ার গল্প। তোমার গল্প পড়তে গিয়ে সেটা মনে পড়ে গেল। বুঝলাম কি হতে যাচ্ছে । আর মিলে গেল দেখে খুব মজাও পেলাম।
(৩) সফিনাজ দিদি, আমার সাইফাই, ভূত, কোয়ান্টাম - সব গল্প ভাল লাগে। অতএব মহা আগ্রহ নিয়ে তোমার সাইফাই এবং আরো যা যা লিখবে, সব গল্পের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
(১) পরেরবার বিষয়টা মাথায় থাকবে দাদাভাই।
(২) আমি পড়িনি গল্পটা। তয় আমারটা কিন্তুক আত্মা নয়, এক্কেরে ভিনগ্রহের প্রানি বলে কথা
সাধু সাবধান।
(৩)
চিমটি দাদাভাই। ভূত ভালু পাই।
দেখা যাক ভূত আমার হাতে ধরা দেয় কিনা।
সবশেষে পাশে থাকার জন্য অনেক
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
উৎসাহ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা।
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
লিখতে থাকুন।
উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ তানিম ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কিছু বানানের ভুল সংশোধন করা হলে রচনাটি সুখপাঠ্য হবে।
দুঃখিত ভাই, বানান ভুল সংশোধন করতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল। চেষ্টা করলাম টাইপোগুলো দুর করার। এর বাইরে কোন কিছু চোখে পড়লে জানিয়েন প্লিজ।
আশা করি এখন গল্পটি পড়তে ভাল লাগছে।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
সচলে কবি আছেন তিনমাত্রার, সাফিনাজ গল্প লিখেছেন পঞ্চম মাত্রা'র।
আল্লাহগো যাবো কই গল্প, কবিতা সবেতেই বিজ্ঞান গুঁজে দেয়া হচ্ছে।
হেহেহে... ধন্যি মেয়ে বাবা সাফিনাজ! সাইফাই নিয়ে লিখতে গেলে নিজেরই সাঁইসাঁই উড়ে যাবার দশা হবে
সেখানে আপনি গল্প লিখেছেন! এজন্য আপনাকে উত্তমজাঝা। তবে, একটা তবে আছে হে!
ত্রিমাত্রিক কবি, তীর্থ চক্রোবর্তীসহ বাকিদের পরামর্শ মত পরের গুলো লিখবার অনুরোধ থাকলো(কাশি সেরে গেলে টাইপোগুলো ঠিক করে নেয়া হোক না বাপু ।
আর এ বিষয়ে আরেকটু সময় দেয়া হোক নিজেকে তৈরি করতে তারপর দেখো কী চমৎকার দেখা গেল সব দৃশ্যকল্প।
তবে মন্তব্য পড়ে কিনা জানিনা, দুটো গল্পের সাথেই আমি কিন্তু যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছি এবং মজা পেয়েছি।
সাইকেল চলুক, চলুক লেখালেখি
যে হারে মাত্রা বাড়ছে, তাতে এঁদের সাথে আর এঁটে ওঠা যাবে বলে মনে হয় না।
এবার সরাসরি পনের মাত্রায় চলে যাব ভাবছি। (তিন পাঁচে পনের)
[মেঘলা মানুষ]
পনের মাত্রা, হবে নাকি একটা গল্প। মেঘলাদা আপনিই নাহয় লিখে ফেলুন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
রক্ষে করো মা তারা! পনের মাত্রায় গিয়ে মাত্রা হারাবেন কিন্তু বলে দিলুম
আহা, কেউ তো পেল।
রোসো বাছা,পরেরবার এমনি প্রস্তুতি নিয়ে লেখব যে আমার নিজেরই মাথার উপ্রে দিয়া যাবে গিয়া, সাই ফাই বলে কথা।
পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রথম সাই ফাই গল্প তো, পরেরবার প্রস্তুতি নিয়েই লিখব।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অপেক্ষায় থাক্লাম বাভুল হুউম আমি এট্টু বেশি বুঝদার কিনা! যা সব্বাই বুঝে, সেটা বুঝিনা। আর যা কেউ বুঝে না সেটা পটাং করেই বুঝি নেই। নেও ছুইট একটাগান শোনো
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছুইট গানটা আমারও খুব পছন্দ। থাঙ্কু
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ইয়ে, মানে,আহেম--- আয়নাদির সাথে একটু যোগ দিই - সাইকেল দুই মাত্রার (মানে চাকার), তারপর সব ডট ডট মানে ঐ ঐ---
সাইফাই এর মহা ভক্ত আমি। সুতরাং লেখা চলুক সাইকেলের বেগে (ইয়ে - সাইকেল নিয়ে কোন একটা সাইফাই হবে নাকি?)
____________________________
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নতুন মন্তব্য করুন