পুলপ্রিটের চূড়ায় উঠার অনুভূতি ছিল এক কথায় অসাধারণ।
ঠেলে ধাক্কিয়ে যখন পুলপ্রিটের উপরে উঠেই পড়লাম ভাবলাম কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেই, একটু নাহয় পাহাড়ের আলো বাতাস খাই, ঊর্ধ্বপানে চেয়ে নাহয় গভীর নিঃশ্বাস ফেলে ভাবি "হায় জীবন এত ছোট কেনে? "
পাহাড় চূড়ায় বসে বসে একবেলা যদি সেই রকমের উদাস-ই না হতে পারলাম তাইলে কিভাবে চলে।
কিন্তু (চরম) উদাস হওয়া কপালে নাই। উদাস তো অনেক পরের ব্যাপার, আমাদের কাছে পানি নাই, হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস থেকে বাঁচার গরম কাপড় নাই, পেট ভরার খাবার নাই, এমনকি কিছু যে বর্জন করব তার ব্যবস্থাও নাই।
এত নাই এর মধ্যেও ব্যাগে খুব সামান্য রুটি আর মাংস ভাজা ছিল তাড়াতাড়ি সেটাই বের করে খেয়ে ফেললাম আর খেয়েই বুঝলাম আরও একখানা বিরাট ভুল করেছি, একে তো সাথে পানি ছিল যৎসামান্য তার উপরে খেলাম রুটি- পিপাসার প্যারামিটার এবার ধাঁই ধাঁই করে আকাশে উঠল। আরও ব্যাপার আছে, এতক্ষন ধরে হাঁটলাম, ঘুরলাম ফিরলাম বলি প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ড বলেও তো কিছু ব্যাপার আছে নাকি। পুলপ্রিটের পাহাড়ি পথ আবার পুরাই পাহাড়ি মানে প্রাকৃতিক কর্ম খুবই প্রাকৃতিক ভাবেই সারতে হবে। আমরা আবার এতই আধুনিক মানুষ আদিম যুগে ফিরে যেতে মন টানল না... সেই রিস্ক আর নিলাম না তাই... ফলাফল রুদ্ধশ্বাসে ফিরতি পথে গমন।
পুলপ্রিট নামক কালপ্রিট কে বিদায় জানিয়ে-
উঠতে যেমন কষ্ট হয়েছিল নামতেও ঠিক তেমন ই কষ্ট হল, এ তো আর একতরফা নামা না আবার শুরু হল উতরাই, চড়াই, উতরাই, চড়াই...এবার আমরা প্রান বাঁচানোর জন্য ছুটছি, পানি চাই, টয়লেট চাই...একটু আরামে জিরোতে চাই...গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত মাঝ রাস্তায় শুরু হল বৃষ্টি... কিভাবে শেষ পর্যন্ত পাহাড়ের তলদেশে লজে ফিরে এসেছিলাম বলতে পারব না। শুধু মনে আছে শেষ দিকে আমার পা দুটো থর থর করে কাঁপছিল আর বারবার মনে হচ্ছিল এই বার ঠিক পা টা পিছলাবেই পিছলাবে। একে তো জীবনে প্রথমবারের মত পাহাড়ে গমন তার উপর প্রথম ধাক্কাতেই ১১ খানা পাহাড় টপকিয়ে পুলপ্রিট নামক এক কালপ্রিটের চূড়ায় উঠা আমার মত সারাজীবন ভেতো বাঙালির জন্য যেন সরাসরি ভাত থেকে জাপানিজ খাবার ব্যবস্থা।
ঐ দেখা যায় লজ
পাহাড় থেকে লজের আরেকটু কাছে নামতেই ঘাসে ছাওয়া লজের ছাদ,পিছনে কোন পাহাড়ি ঢাল
লজের আঙিনা থেকে তোলা ছবি, দিগন্ত জুড়ে পাহাড় সারি
যাই হোক লজে নামতে নামতেই সূর্যি মামা এবার ভেংচি কেটে অন্য কোন আকাশে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পুরোপুরি বেড়াতে চলে গেল, ফলাফল টাপুর টুপুর বৃষ্টি থেকে এবার একেবারে বিড়াল কুকুর বৃষ্টি নামল। এর মাঝে ফিরতি বাস আর আসেনা। আমরা তাই লজের মধ্যে চুপ করে বসে অপেক্ষা করছিলাম।
অবশেষে বাস আসলে সন্ধ্যা নাগাদ হোটেলে ফিরলাম। কিন্তু হোটেলে ফিরেই কি শান্তি আছে, মাথায় ক্যারা চেপেছে ঘুরার, তাই কোনমতে একটু ফ্রেশ হয়ে নিয়ে, পেইন কিলার খেয়ে ব্যাথার ভারি পা নিয়ে ছুটলাম স্টাভাঙ্গার বন্দর দেখতে।
জেটিতে প্রায় পৌঁছে গেছি-
এক অলস সন্ধ্যায় স্টাভাঙ্গার বন্দরে
স্টাভাঙ্গারে স্বাগতম
জেটির আশেপাশের রাস্তাগুলতে তোলা ছবি-
ছবি-১
ছবি-২
ছবি-৩
আগেই বলেছি স্টাভাঙ্গার ভারি মনোরম শহর, ছিমছাম, গোছানো। বন্দরের চারিপাশে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়িয়ে চললাম রঙচঙে রাস্তা মানে কালারফুল স্ট্রিট দেখতে।
কালারফুল স্ট্রিটে ঢুকবার মুখে
নরওয়েজিয়ান ভাষায় এই রাস্তার উচ্চারনটা হবে খানিকটা ওভ্রে হলমেগেতে। এটা একটা মজার রাস্তা। স্টাভাঙ্গার সিটি সেন্টারের মাঝেই পুরা একটা রাস্তার চারিপাশের বাড়িঘর সব উজ্জ্বল ঝকঝকে রং দিয়ে রঙিন। এই রাস্তাটাকে রং মাখিয়ে সং করার বুদ্ধিদাতা ছিলেন হেয়ার ড্রেসার টম কেয়রসভিক । সং বললাম বটে কিন্তু রাস্তাটি আসলে দেখতে ভারি চমৎকার। রাস্তার ধার জুড়ে খাবার আর পানীয়র দোকান, কিছু স্পেশাল চকলেটের দোকান ও রয়েছে যেখানে মজাদার প্রালিনসহ বিভিন্ন চকলেট এবং চকলেট ড্রিংক পাওয়া যায়।
মন মাতানো কালারফুল স্ট্রিট
সত্যিই কালারফুল, নয় কি?
কালারফুল স্ট্রিট থেকে আমরা কালার হয়ে ঘুরতে বের হলাম হোটেলের চারিপাশে। পথিমধ্যে জুটে গেল কিছু বন্ধু, তাদের সাথে গালে গল্পে বেশ সময়টা কেটে গেল।
পথে পাওয়া বন্ধু
আমাদের হোটেলের ছবি
হোটেলের পাশে অবস্থিত এই জমজ দুই ভবনের কি কাজ জানিনা
হোটেলের সামনে লেক মাঝে মিষ্টি ফোয়ারাটি
দিনশেষে হোটেলে ফেরা, পরদিন সকালে বাস ছাড়বে বারগেনের উদ্দেশ্যে।
হোটেলের জানালা দিয়ে দেখা স্টাভাঙ্গার শহর-
হোটেলের জানালা দিয়ে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে বিদায় জানালাম স্টাভাঙ্গারকে।
বিদায় স্টাভাঙ্গার
পরদিন সকালে হোটেলের ফ্রি বুফে নাস্তায় ফ্রি ফ্রি চার রকম ভাবে সরবরাহকৃত আণ্ডা সহযোগে নাস্তা করে বাসে চেপে বসলুম। ফ্রি পেলে বাঙালি নাকি আলকাতরা খায় আর এ তো জলজ্যান্ত মুরগির ডিম।আমার আর কি দোষ !
সে যাই হোক, বাস এবার যাবে বারগেনের উদ্দেশে। আমার করা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আনন্দময়, মন মুগ্ধকর বৈচিত্র্যময় ভ্রমন ছিল বাসে করে স্টাভাঙ্গার থেকে বারগেন যাত্রা।
সে আরেক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। কখনও মেঠো পথ, কখনও বা পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বাস ছুটে চলেছে, চলতে চলতেই বাস প্রবেশ করল সমুদ্র পৃষ্ঠের ২২৩ মিটার নিচে তৈরি ৫৮৬০ মিটার লম্বা এক টানেলে। সেই টানেল আর শেষ হচ্ছিল না। টানেল থেকে বেরিয়ে কিছুদুর যেতে না যেতেই একবার ফেরি পার হতে হল তারপর আবারও পথ চলা আবারও ফেরি পার...এইভাবে কখনও জলপথে, কখনও বা স্থল পথে কখনও পাহাড় ডান পাশে রেখে কখনও বা পাহাড় বাম পাশে রেখে, সমুদ্রের ধার ঘেঁষে আমরা ছুটে চলছিলাম বারগেনের উদ্দেশে।
সূর্যি মামা এইবার আমাদের সাথে একটা অদ্ভুত খেলা খেলল, পুরা বাস জার্নির সময়টা আকাশে মেঘে ঢাকা হলেও কিছুটা সূর্য ছিল। সূর্যের ঝলমলে আলোতে আশে পাশের রাস্তার চারিপাশ কি যে অপার্থিব সুন্দর লাগছিল বলে বোঝানোর মত না। রাস্তার দুই পাশ দেখতে দেখতে কখন যে পাঁচ ঘণ্টার জার্নি শেষে বারগেন পৌঁছে গেছি টের পায়নি।
বারগেনের গল্প আজকে আর নয়। আজ বরং যাত্রা পথে চারিপাশের ছবি দেই।
প্রতিটি ছবি তোলা হয়েছে প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চলন্ত বাসের জানালার কাঁচের মধ্যে দিয়ে। যা দেখেছি চলন্ত বাস থেকে তোলা ছবিতে তার ছিটে ফোটাও তোলা সম্ভব হয়নি।
১)
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
৭)
৮)
৯)
১০)
১১)
১২)
১৩)
১৪)
খুব আফসোস হচ্ছিল ছুটন্ত বাসে না থেকে একটু যদি শান্তিমত দাঁড়িয়ে বসে ছবিগুলো তুলতে পারতাম।
চলবে ...... ......
মন্তব্য
প্রথম যখন দুরালাপনিতে বন্ধু মারফৎ জানতে পারলেম নিশাত মজুমদার নামের একটি বাঙ্গালি মেয়ে হিমালয়ের উঁচুতে ওঠেছে তখন আমি জ্বরে ভীষণ রকমে আক্রান্ত। বন্ধুর কাছ থেকে খবর পেয়ে কুঁকুঁ করে কেঁদে দিলাম। বন্ধু ভাবলো জ্বরের যন্ত্রণায় কাঁদছি বুঝি। হেঁচকি ফেনিয়ে ওঠবার আগেই ব্রেককষে মেয়ের বয়স কত, বাড়ি কই? বিয়ে হইছে কিনা(বন্ধুর জন্য পাত্রী খুঁজি চান্সে ) ইত্যাদি ইতং বিতং শেষে আবার কেঁদেছিলাম। কান্নাটা অবশ্যই আনন্দে এবং কিছুটা হিংসাতেও হিমালয়ে চড়বার খায়েশ সেই কবে থেকে পুষেই রেখেছি। বয়সটা থাকতে থাকতে একবার না গেলে হয় বলো দেখি(ভাবখানা এমন যে তুড়ি মেরে পাহাড় চড়া যায়)! তোমার কালপ্রিট জয়ের কাহিনি জেনে একইরকম অনুভূতি হলো রে! তোমাকে কাছে পেলে খুব করে জড়িয়ে ধরতাম। দেশ থেকে কেউ এলে যেভাবে জড়িয়ে ধরে দেশের গন্ধ মাখি খানিকটা সেভাবে তোমার কাছ থেকে গন্ধ মেখে নিতাম ঐ আশ্চর্য সুন্দর পাহাড় চূড়ার
আবেগ রেখে এইবেলা আসল কাহিনিতে আসো, ইশশ 'যেন প্রাণ আসলো ধড়ে' কয়ে কুল পায় না! আর তিনি নাকি পাহাড়ের উঁচুতে বসে 'জীবন ছোটু কেনে' ইত্যাদি দর্শণ আওড়াতেন! ঢং দেখে বাঁচিনে চেপে গেলে কেন রে? ফিরি ফিরি আণ্ডা খাওয়ায় ভ্রমণের আনন্দে আরো কত বস্তা বালি পড়েছিল সেসব?? হিহিহিহি জানি জানি
তোমার ছবির প্রশংসা আর করবো না নতুন করে। দারুণ একটা সিরিজ ভালু থেকো।
এখন আমারেও কইতে হবে নাকি বয়স কত, বাড়ি কই, বিয়া হইছে কিনা।
যারা পাহাড় চূড়ায় উঠতে পারেন তারা আসলেই মানুষ না। সত্যি বলতে কি কালপ্রিটের চূড়ায় উঠে আসলেই বুঝতে পেরেছি কিছুটা কত খানি নেশা থাকলে আর পাহাড় ভালবাসলে মানুষ সাধ করে পর্বত পৃষ্ঠে উঠতে যায়।
চল একবার তুমি আর আমি হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ঘুরে আসি।
এবার অন্য কথা বলি- তুমি এমন ইতিবাচক মানুষ কেন বলতো?
কি চমৎকার করে বল, কি সুন্দর উৎসাহ দাও , মানুষকে উৎসাহ সবাই দিতে পারেনা, সবাই মন খুলেও প্রশংসা করতে পারেনা, তুমি কিভাবে পার জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
সচলায়তন অদ্ভুত সুন্দর একটা জায়গা, এখানে এসে যে কত চমৎকার সব মানুষের সাথে পরিচয় হল, বেশ কিছু ভালো বন্ধু পেলাম, বড় ভাই/ বড় বোন পেলাম---ভাবা যায়???
জয়তু সচলায়তন !!!
কবে দেখা হবে বলতো আয়নাদি??
সবসময় এমন হাসি খুশি আর ভালো থেক কেমন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তুমার পাশে আমাকে পিট্টা লাল করে দেবার মত কেউ না থাকলে অবশ্যই বলবা কন্যা তুমার আতি পাতি
যাহ দুষ্টু! কি যে সব বলিস না ভাই লজ্জায় মরে যাই! মরে যাই! (মিছা কথা আসলে পিতিমির কত কিছু দেখবার বাকি )
পিতিমিটা যখন গুল, তখন ঘুরতে ঘুরতে ঠিকই দেখা হয়ে যাবে তুমিও খুউব ভালু থেকো।
অ:ট: আচ্ছা আমাদের দি একলহমা'র কোন খবর নেই কেন রে? ওঁর ব্লগেরও মাথা নষ্ট কিভাবে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায় বলো দেখি?
তেঁতুলে তেঁতুলে এত ভালবাসা কিসের?
রে পাপীষ্ঠা মন্টা কিলিয়ার রাখ(পুয়েটিক তুইতুকারি )
কিছু কথা থাক না গুপন!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আছি, আছি, বেঁচে আছি। তোমার লেখা পড়তে চল্লুম
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
থাকবে না মানে! থাকতেই হবে। তুমাকে জ্বালিয়ে তামা তামা কর্তে হবে না
আমিও তোমাকে মনে মনে খুঁজছিলাম দাদাভাই!
আবার জিগস!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
চমৎকার লেখা আর ছবি!
হাসতে হাসতে
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা
এমন করে বলেনা রে
আপনাকে মন খানেক দিলাম মেঘলাদা এত সুন্দর করে বলার জন্য।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নরওয়ে একটি অসাধারণ সুন্দর দেশ। আপনার লেখা পড়ে নানান স্মৃতি মনে পড়ে। ছাদের উপর ঘাস শুধু নরওয়ে ছাড়া কোনদিন কোথাও দেখিনি। আমার কাছে দারুণ লাগে ব্যাপারটা।
ছাদের উপর ঘাস আমিও শুধু নরওয়ে ছাড়া অন্য কোথাও দেখিনি। ব্যাপারটা দারুন লেগেছিল।
আর নরওয়ের কথা কি বলব কমল ভাই, বেশ কিছু দেশ ঘুরেছি আমার কাছে এত সুন্দর আর কোন দেশ লাগেনি।
আপনার স্মৃতিগুলো লিখে ফেলুন, পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছবিগুলো দারুণ লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পিপিদা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপনিতো দেখি এক ভ্রমন দিয়ে একখান বই লিখে ফেলতে পারবেন, অণু দা এত দেশ ঘুরেও খুব বেশি স্বাস্থ্যকর একখান বই লিখতে পারিলো না
লেখায় ও ছবিতে পাঁচতারা।
মাসুদ সজীব
ঐ যে বলেনা খালি কলসি বাজে বেশি..........আমরা ছা পোষা মানুষ, একবার পাহাড়ে উঠছি, এই আনন্দ রাখার জায়গা নাই মাসুদ ভাই।
আর অনুদা তো মানুষ না, উনিও সূর্যি মামার মত গেছো দাদা........ উনার থলিতে এত গল্প কোনটা রেখে কোনটা বলবেন ভাবতে ভাবতে এক গল্পে পাঁচ খান ভ্রমন কাহিনী হয়ে যায়।
আমি যে কয়টা দেশ ঘুরেছি তার মধ্যে নরওয়ে এত বেশি ভালো লেগেছে, ইচ্ছে হয় তার সব গল্প বলি, আমার কুনো দোষ নাই সব নরওয়ের দোষ।
পড়ার জন্য অনেক
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আরে ছি ছি, ভদ্রঘরের মেয়েরা কি ড্যাং ড্যাং করে পাহাড়ে চড়ে? পাখতুনদের কাজ হল খানা পাকানা।
গোস্তাকি মাফ হউক হুজুর
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বিয়ে করে বেচলর লুক্টা এসব কি বলে র্যা
আমি নেহি, মউলানা আফ্রিদি বলিয়াছেন
ঐ বদের হাড্ডির পাখতুন পাকাপাকাকে খিলাক বিষ গুঁজে দিক খাবারে
হ।
'নারীর সাথে দেখা হবে, কাপড় কাচার ঘাটে, রুটি বেলার কাঠে আর রাইতের বেলা খাটে। অন্য কোথাও দেখা হইলেই মাইর।'
খুউপ খিয়াল কৈরা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছবিগুলো দারুণ ।
তাহসিন
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কি সুন্দর!!!! কি সুন্দর!!! এত বেশি সুন্দর কেন
ইসরাত
আমারও প্রশ্ন এত বেশি সুন্দর কেন?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আরে, আপনি ১০০ কিমি বেগে ছোটা বাস থেকে এত সুন্দর ছবি তুললেন কী করে? আমি তো নীলগিরি থেকে ফেরার পথে চান্দের গাড়ীতে বসে যে ছবি তুলেছি তার একটাও আর "কহতব্য নহে"!!
লেখায়
____________________________
কইমু না!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
খুব ভাল, খুব ভাল এবং খুব ভাল। লেখা, ছবি এবং তার সমন্বয়।
কি ভালো যে লাগল পড়ে - 'চলবে'
শহরের বাইরে আছি। পোস্ট পড়ার সুযোগ সীমিত। যাই চট করে আয়নাদিদির টা পড়ে নিই গে এইবেলা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কবে ফিরবে দাদাভাই? অপেক্ষায় রইলাম।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ফ্রেশ
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছবিগুলোতে কেমন একটা অপার্থিম ঝিম ধরা আবেশ। আগের পর্বও ঘুরে আসলাম। সহজ বাংলায় মুগ্ধ। ১০০কিমি দৌড়ের উপর আপনি এরকম ছবি তোলেন, থেমে তুললে কি অবস্থা দাড়াতো ভাবছি। আপনার ক্যামেরার মডেলটা বলেন, টুকে রাখি। আমারো দৌড়ের উপর অনেক ছবি তুলতে হয় কিন্তু একটারও ফোকাস হয় না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আঙ্গুল তুললাম - একমত
____________________________
নরওয়ে এত সুন্দর একটা দেশ অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল আমরা সূর্যের আলো পাইনি বললেই চলে। শুধু স্টাভাঙ্গার থেকে বারগেন যাবার পথ বাদে, আর সেই সময়টাও কেটেছে বাসে বসে।
আমারও যে ছবি নষ্ট হয়নি তা না, অনেক চমৎকার জায়গার ছবি আসেনি, কোনটার ফোকাস হয়নি আবার কোনটা জানালার কাচে রিফ্লেক্ট করেছে। আফসোস সব ছবি যদি ভালো আসত।
ক্যামেরা প্রায় প্রাগৈতিহাসিক আমলের, ক্যানন ৫০০ ডি, এই যুগে কেউ আর ব্যবহার করে কি?
এত সুন্দর করে বলেছেন নীড়দা, মনটাই ভালো হয়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমার বহু দেশ দেখা হয়নি, হয়তো এই জীবনে অনেক দেশে যাওয়াও হবে না. দীর্ঘ দিন উত্তর আমেরিকায় আছি বলে এদেশের অনেক রাজ্যে গিয়েছি, কানাডারও কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি. ছবিও তুলেছি অনেক অনেক. ইদানিং যেসব জায়গায় যাই ইচ্ছে হলেই ছবি দিয়ে সচলে লেখা দিতে পারি. কিন্তু প্রযুক্তিতে আমি বেশ দুব্বল, কি করে ছবি টবি জুড়ে দিয়ে লেখা দিতে হয় তাই জানিনা. ফলে মনের কথা মনেই থাকে. ভ্রমন কাহিনী পড়তে দারুন লাগে. না গিয়েও কি সুন্দর ঘুরে আসা যায়. আর তোমরা যারা এত ভালো লেখো, এত সুন্দর ছবি তুলো, তাদের লেখা দেখলেই পড়তে বসে যাই.
খুব ভালো লাগছে সিরিজটা. চালিয়ে যাও , আরো ঘুরে বেড়াও, আরো লেখো. শুভকামনা.
আগ বাড়িয়ে আমিই আগে বলে গেলাম, দিদি প্লিজ আপনি লিখতে শুরু করুন। ছবি বড় ব্যাপার না।
চাইলে তারও ব্যবস্হা হয়ে যাবে। আপনার লেখা পড়তে চাই দিদিইইইই (ধুর আপ্নে আজ্ঞে যায় না নামটার সাথে, নীলকমলিনী'দি কে যদি তুমি বলি পিট্টা খাবার চান্স আছে নাকি?)
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নীলুদি, অত কথা জানিনা, আপনার ভ্রমন কাহিনি পড়তে চাই। আর ছবি -- কোন ব্যাপার ই না, এত্ত গুলা ছোট বোন থাকতে -- তুড়ি মেরে সমাধান হয়ে যাবে।
প্লিজ লিখুন, প্লিজ।
এই আমি
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বাহ্! লেখা ছবি দুইই খুব ভাল।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
লেখাটা পড়ে খুব ভাল লেগেছে। হয়ত এবার আমিও যেতে পারব। Croydon এ আকাশ মাঝে মাঝে রাতের বেলাও কেমন যেন ধুসর দেখায়। আব্বু বলে এখান থেকেই তো নিশীথ সূর্যের দেশ দেখা যায়। যাই হোক আশা করি এবার হ্য়ত যাওয়া যাবে।
ঘুরে আসুন, অনেক বেশি ভালো লাগবে।
শুভেচ্ছা রইল।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নতুন মন্তব্য করুন