এই ব্লগেতে লেখতে গিয়ে
আমি আর ছড়া কাটব না,
কারণ বিপদ রয়েছে যেখানে
সেই পথে আর হাঁটব না।
নিরাপদ বেডরুমের দাবিতে
ব্যানার ফেস্টুন আর ঘাঁটব না।
ব্যঙ্গচিত্র আঁকতে গিয়ে
পেন্সিল আর ছাঁটব না।
নিরাপত্তার দুশ্চিন্তায়
চায়ের কাপ আর চাটব না।
'স্বাভাবিকভাবে মরতে চাই'
এ পোস্টার আর সাঁটব না।
এই ব্লগেতে লেখতে গিয়ে
আমি আর ছড়া কাটব না।
শুধুই দেব খবরটুকু
নেইকো কোন ভয়,
সবাই এখন খুব নিরাপদ
জল পড়ে পাতা নড়ে
জল কেন আটকা?
জলধরে জল ধরে
দেয় ঝাড়ি টাটকা ...
নাচছে দেখো
যাচ্ছে নেচে
ফাটিয়ে তবলা বায়া;
যাচ্ছে চেনা
মুদ্রা নাচের,
এ যে বিশ্ব বেহায়া!
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
এ জাতির কপালে শুধু মাত্র আফসোসটাই করার আছে ...
লালদাড়ি জানোয়ার দেলোয়ার সাঈদী
হাতে নিয়ে কাঁঠালের পাতা, ডাকে - ভাইডি!
শুনে দেখো ছুটে আসে ছাগু লেজ নাচিয়ে,
সাঈদী শুধায় তারে - 'দে না মোরে বাঁচিয়ে'
তাই শুনে ছাগুরাজ করে এক টকশো,
সুযোগের ব্যবহারে করে দিল মকশো।
"সাঈদী তো ভালু লুক" - এই তার ম্যাতকার,
এরপর ছাগু দেখো চেটে দেয় খেত কার ...
ছড়া কাটাকাটি না করে দিয়েই দিলাম একেবারে।
কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে?
ভীমকায়া, তবে সে যে কোমল হৃদয়,
কথা কহিবার কালে মাথা নিচু হয়;
হাতে লয়ে পেন্সিল আঁকিলাম তাঁকে,
খোমা তাঁর ধরে না যে কাগজের ফাঁকে
কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে???
জামাত-শিবির আর নয়া-রাজাকার,
এ ছাড়া কি ছাগলের খোমা নেই আর!
তাই বুঝি হয়ে থাকে! এটা তবে কী!
নতুন এক ছাগলের ছবি এঁকেছি
ব্লগে নাকি লোকে আজ যাই খুশি তা বলে,
তাই দেখে ক্ষেপে গেছে গোটা কয় ছাগলে।
মুঠো হাতে তারা বলে - আইন কর সত্ত্বর,
"অনলাইন জয়স্টিক আইন" - খুবই কট্টর!
অতঃপর লোকে আর যাবে নাকো ব্লগেতে,
ছাগুরাম আনন্দে কফি খাবে মগেতে ...
২২ ডিসেম্বর, ২০১১ তারিখের কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটা খবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে এবার এমপি কোটা! দেখে চোখ আটকে গেল। ভাবলাম ব্যাপারটা এঁকে দেখলে কেমন হয়। তাই আঁকলাম নিজের মত করে।