রাত তিনটার সময় এ্যালার্ম দেয়া ছিল। মিথ্যা বলছি না, আমার ঘুম সবার আগে ভাঙল, নতুন জায়গায় ভাল ঘুম হয় না আমার। দিবা আপু আর মৌকে ধাক্কা দিয়ে উঠালাম। শাওনকে ফোন দিলাম, তার ফোন বেজেই চলেছে, বুঝলাম এ্যালার্মও এভাবেই বেজে গেছে। ইফতি ঘুম ঘুম গলায় হ্যালো বলল ওর ফোনে দু/একবার রিং হবার পরই। বললাম, তোরা উঠবি নাকি আমরা আবার ঘুমায় পড়ব? ঝারিতে কাজ হল যে, বুঝা গেল। বলল, দশ মিনিটের মধ্যে উপরে আসছি। ওদের বাংলোটা পাহাড়ের ঢালের খানেকটা নীচে ছিল।
সাড়ে তিনটায় গেটের কাছে এসে ড্রাইভার সিরাজভাইকে ফোন দিতে সে বলল সে নাকি আধা ঘণ্টা ধরে গেটে দাঁড়িয়ে আছে। গেট তখনও খোলেনি। হাস্যকর ভাবে হাছড়েপাছড়ে পাড় হলাম মাচার নিচু দেয়াল (আর কত কি যে এরা আমাকে দিয়ে করাবে?)
এরপর শুরু হল যাত্রা নীলগিরির সূর্যোদয় দেখার উদ্দেশ্যে। শীতের শেষ ভাগ আর বসন্তের শুরু। তেমন শীতবস্ত্র টানাটানির মধ্যে যাইনি কেউই, যাতে বোঝা হাল্কা থাকে। কিন্তু ততক্ষনে টের পেলাম সবাই, কি ভুল করেছি। সূর্য উঠার ঢের বাকি। পাহাড়ী রাস্তায় খোলা গাড়ীতে নিজেদের হাড় কাঁপার ঠকঠক আওয়াজ নিজেরাই শুনতে পাচ্ছি। আবহাওয়া গরম করতেই মনে হয় শাওন হেরে গলায় গান ধরল। একটু বিচক্ষন অলক, যাকে আমরা আড়ালে কিছুটা সমীহ করে চলি, সে এত রাতে পাহাড়ী পথে বিপদের আশংকাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছিল না বলেই বোধহয় শাওনকে এক ঝাড়ি দিয়ে চুপ করিয়ে দিল। একটু দূরে একটা মাইক্রবাসের আলো দেখতে পেয়ে মৌ বলল, এরা মনে হচ্ছে আমাদের দেখে সাহস সঞ্চয় করছে। দিবা আপুর চোখ রাঙ্গানো দেখে মৌ চুপসে গেল, কারণ এই মুহূর্তে অন্যকেউ এই পথে আসা আমাদের জন্য খুব শুভ লক্ষন নাও হতে পারে।
সূর্য উঠার আগেই আমরা অপূর্ব এক মেঘের রাজ্যে পৌছালাম।
নীলগিরি রিসোর্টে থাকার সুব্যবস্থা আছে, সেনাবাহিনীদের জন্য বোধ হয় সুযোগসুবিধা বেশি। যেখানটায় দাঁড়িয়ে ছিলাম তার চারপাশে নরম মেঘ ভেদ করে ধীরে ধীরে দেখতে পেলাম সূর্য উপড়ে উঠে আসছে।
এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে মনে হচ্ছিল স্বর্গ এর চেয়ে বেশি কি আর সুন্দর হবে। বেঁচে থাকার পরিপূর্ণ আনন্দ যেন আজ এখানে পেলাম। টুকরো টুকরো সূর্যের আলো এক হয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করে তুলছে আর আমরা একসাথে স্বাগত জানালাম একটি নতুন দিনকে।
এরপর একটু এগিয়ে দেখলাম দূরবীন রাখা আর্মিদের একটা চেকপোস্ট। আরো কিছুদূর পরে হ্যালিপ্যাড। এই ঊষালগ্নে সব কিছুই মনে হতে থাকে কোন অলৌকিক পৃথিবীর অংশ।
কিন্তু হঠাৎ পেটে ছুঁচোর দৌড় শুরু হতেই লোকিক জগতে ফিরে এলাম। এখানে এত সকালে নাস্তা পাওয়া যাবে না, আর দেরি করার মত সময়ও হাতে নেই বলে শহরের দিকে রওনা হলাম। মনস্থির করলাম যেখানে যা পাব তাই খেয়ে পেট ঠান্ডা করে নিব। যেতে যেতে একটা আর্মি চেকপোস্ট পড়ল, গাড়ী আটকাল জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে, কিন্তু সাথে লাগোয়া ক্যান্টিন দেখে আমরা পুলকিত হয়ে উঠলাম। ক্ষুধার রাজ্যে যখন আমাদের পৃথিবী গদ্যময় তখন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। গরম গরম চিকেন বিরয়ানী (প্রকৃত পক্ষে চিকেন খিচুড়ি)’র গন্ধ আর খাবার অফার পাওয়াতে আমাদের তাই মনে হল।
পেটপুজা সেরে ফেলার পর, পরবর্তী গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে আমাদের চন্দ্রযান। গতরাত পর্যন্ত মোটেও আমাদের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না সাতাশ’শ ফুট উপরে উঠে পাহাড়ের উপর বগালেক দর্শন। তার উপর যেতে তিন ঘন্টার পাহাড়ী পথ পাড়ি দিতে হয়। তার উপর আজ রাতে ঢাকার বাস ধরার কথা। তাও কি মনে করে গতরাতে ডিনারের টেবিলে “বগালেক” প্রস্তাব উত্থাপন এবং বিল পাশও হয়ে যায়।
ভয়ানক এবড়োখেবড়ো আর উঁচুনিচু ঢালু পথ পাড় হয়ে দুপুর বারোটার দিকে আমরা সেই পাহাড়ের সামনে পৌছালাম।
এর মধ্যে তিন জায়গায় চেকপোস্টে আমাদের নামধাম ঠিকানা, কোত্থেকে আসা হল, কোথায় উঠেছি, কতদিন থাকব ইত্যাদি ইত্যাদি যাবতীয় ইতিহাস লিখতে হয়েছিল। রুমা বাজার থেকে একহাজার টাকায় একজন বিশেষ গাইড আমাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হল। সেখান থেকে জানা গেল, এর আগে সকাল থেকে দুটা দল যাত্রা করেছে এই পথে এবং উভয়ই নারীবিহীন। আমি প্রস্তাব দিলাম আমি এখানে থেকে যাই, তোরা যা। বরাবরের মতই নানারকম কুমন্ত্রণা দিয়ে বাকি সবাই আমার প্রস্তাব প্রত্যাখান করল।
পরবর্তী চেকপোস্টের এক জৈনক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই এতবার নাম পরিচয় লেখার কারণ কি? সে আমাকে ভরসা দিয়ে বলল, “এইসব তো আপনাদের জন্যই, যদি ফিরে আর না আসেন তাহলে বাড়ীতে খবর তো দিতে হবে”। আমি আর কথা না বাড়িয়ে ঢোক গিলে চন্দ্রযানে উঠে বসলাম।
(চলবে)
মন্তব্য
এই গেস্ট হাউজ তৈরির আগের নীলগিরির মজাই ছিল অন্যরকম। চান্দের গাড়ির ছাদে চেপে দুলতে দুলতে অচেনা মানুষজনকে আকড়ে ধরে থানছি যাওয়া। বাংলাদেশে সরকারী লোকজন টুরিজম সেক্টরের উন্নয়ন বলতে বোঝে পাকা রাস্তা আর হোটেল বানানো। হোটেল বিজনেস আর ইকোটুরিজম সম্পূর্ন আলাদা ব্যাপার।
নীলগিরি সিড়ির যেই ছবিটা দিলেন ঐ পাহাড়টার ওপারে সাঙ্গু যেখানে বাঁক খেয়েছে ঘোড়ার লেজের মতো ওখানে কুমারী মারিয়া ধর্মশালা বলে একটা জায়গা আছে। বলিপাড়া বাজারে নেমে (অবশ্যই বিডিআর কিংবা আর্মিকে ফাঁকি দিয়ে) সোজা গ্রামে ঢুকে তামাক ক্ষেতের ওপারে একটা খেয়া পাড় হতে হয়। এর পরে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে সোজা হেটে গেলে কুমারী মারিয়া ধর্মশালা। জুম্মক্ষেত ধরে একদিনের রাস্তা আর কয়েকটা মাঝারি পাহাড় পেরুলেই রুমা আর থানছির সংযোগস্থলে অসম্ভব সুন্দর একটা গ্রাম চ্যামা খাল। বেহেস্ত পুরো! সমস্যা হলো চ্যামা খাল ধরে ভেতরে এগুলো বেশ কিছু আদিবাসী গ্রাম আছে, ওরা অজ্ঞাত কোন কারনে ট্রেকারদের প্রতি বন্ধুবতসল নয়। ৪ বছর আগে ট্রেকটা করছিলাম। অজগর, গয়াল আর মায়া হরীন দেখেছিলাম। এখন কি অবস্থা কে জানে।
সৌম্য
সৌম্য ভাই, আপনার সাথে আর ট্রেক করা হলনা, আপনি যেদিন হামহাম ঝরনা গিয়েছিলেন সেদিনই একটু আগে আমাদের দলটা হামহাম গিয়েছিল । অজগর আর গয়াল-হরিনের কথা শুনে আসলেই খুব দুঃখ পেলাম, বান্দরবান গিয়েছি বেশ অনেকবারই, কিন্তু নেভার কেইম ক্লোজ টু এনিথিং আদার দ্যান বান্দর । আর পাহাড়ি অঞ্চলের অধিবাসীদের ভেতর বান্দরবানের মানুষদেরই সবচেয়ে অতিথিপরায়ন মনে হয়েছে । সত্যি কথা বলতে গত বছর একটু কষ্টই পেয়েছিলাম বউ আর সহকর্মীদের নিয়ে খাগড়াছড়ি ঘুরতে গিয়ে । শহর থেকে বের হতেই রীতিমত হস্টাইল রিসেপশন পেয়েছিলাম এলাকার যুবকদের কাছ থেকে !
এতটা প্রাকৃতিক অবস্থায় যাওয়া হয়নি। বগালেক আর আশেপাশের পাহাড়গুলি এর চেয়ে অনেক ন্যাচেরাল ছিল, যা দেখে আপনার কথাই ঠিক মনে হচ্ছে,
আমি অবশ্য হিল ট্র্যাকিং এর যোগ্য নই , তাও এই ট্রিপে বুঝেছি হিল ট্র্যাকিং এর রোমাঞ্চ একদম আলাদা এবং অনন্যসাধারন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
এ পর্বের ছবিগুলো বেশ ভাল হয়েছে।
সব ছবিতে ফ্রেমিং করো কেন?
ওহ, নীলগিরি যাচ্ছি এ উইকেন্ডে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
০১।
০২। একই পোস্টে সব ছবি একি ইস্টাইলে রাখতে চাইসিলাম আরকি
০৩।ঘুরে এসে দারুণ একটা পোস্ট যে দিবা জানি, ভাগ্য ভাল, পচাটা আমি আগে দিয়ে ফেলসি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
অসাধরণ পোস্ট।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
অনেক ধন্যবাদ। আপনার সিরিজটাও পড়ছি মন দিয়ে। খুব ভাল হচ্ছে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নীলগিরির ভোর, সন্ধ্যা আর পূর্ণিমা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ! আসলেই অসাধারণ একটা জায়গা ! আপনার ছবিগুলো এখন পর্যন্ত আমার দেখা নীলগিরির ছবিগুলোর ভেতর সেরা ।
অনেক ধন্যবাদ , আমার নীলগিরিতে শুধু সূর্যোদয় দেখা হয়েছে। পরের বার ওই রিসোর্টে থাকার ইচ্ছা আছে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
সূর্যাস্তের ছবিগুলি ( আগের পর্বেও ) জটিল হইছে... দারুণ
০২
ফাঁকি না দিয়ে লিখতে থাকেন। ছবি পোস্টাইতে থাকেন স্যার
ডাকঘর | ছবিঘর
ইয়ে মানে, এগুলি সূর্যোদয়ের
০২। লিখা দেন পোস্টবনে
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
তাপসদা ধরা খাইছে।।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
এই পুলাপাইনগুলি হুদাই তপসেটার পিছে লাগসে। সূর্য তো জায়গা মতই আছে, আমরাই তো ঘুরতেসি, তাই না তাপস?
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ছবিগুলো দেখে আবার বান্দরবন নীলগিরি যেতে মন চাচ্ছে ।
চল এরেকবার যাই।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আমারে নিবা মাঝি লগে ??? প্লিজ লাগে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
নিলাম
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আফামনি, ফটুক গুলান বড্ডও ভালু হইছে। ফটুক দেখে আমার পরান উচাটন-- আফসুস জীবনে কিছুই করলাম না।
ফটুকবাজি চলতে থাকুক।
তাইলে সেই কথাই রইল তোমার আর আমার আকাশ এক সাথে দেখতে যাব।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধইন্যপাতা নেন।
আফা আপ্নে দেশে আইসা নেন আগে, এরপর রাজশাহী টু বান্দারবান সব আকাশ দেখুম নে। ওইখানে বসে খালি পিল্যান কইরা গেলে ক্যাম্নে কি?
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
রুমা বাজার পর্যন্ত কি গাড়ি নিয়েই গিয়েছিলেন? মানে এখন নৌকা লাগেনা?
হুম, পুরাটা পথই গাড়িতে। শুকনা মৌসুমে গিয়েছিলাম, সাঙ্গু নদীতেও পানি ছিল না। বর্ষায় কি হয় জানি না অবশ্য।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ছবি গুলো খুব সুন্দর। এই জীবনে আমার বান্দরবনে যাওয়া হবে কিনা জানিনা। আফসোস থেকে যাবে।
ধন্যবাদ আপু। সবাই খালি বিদেশে বসে বসে আফসোস করে। চলে আসেন আপু।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আমি এই সিরিজ দেখি আর আমার বরকে লিংক দিয়ে বলি বাংলাদেশে আসো আর আমাকে নীলগিরি নিয়ে চলো কবে যাবার সুযোগ হবে কে জানে তবে দেখেও শান্তি আছে। প্রথম ছবি দেখে আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না এটা বাংলাদেশ!! এতো সুন্দর কেন?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সেই বাংলাদেশটা যে কত সুন্দর আমরা সবাই বুঝলাম, খালি দেশপ্রেমী রাজনীতিবিদরা ছাড়া।
বর আসলে নিয়ে যেও, দারুন রোমান্টিক জায়গা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ইশ! কি সুন্দর ছবিগুলো! এখনই যেতে ইচ্ছে করছে...
ধন্যবাদ রংতুলি।
আমার তো পাকাপোক্ত ভাবে থেকে যেতেই ইচ্ছা হচ্ছিল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
রুমা বাজার থেকে বগা লেক পর্যন্ত সেই ভয়াবহ ভাঙাচুরা আর খাড়াই-উতরাইওলা পাহাড়ি রাস্তাটা কি এখনও আগের মতই আছে? ২য় বিশ্বযুদ্ধের আমলের লক্কড়-মার্কা ল্যান্ড রোভারের পিঠে দাঁড়িয়ে প্রায় পঙ্খীরাজের মত উড়তে উড়তে এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলাম। অমন চিপা, ভাঙাচুরা, খাড়াই-উতরাই রাস্তা আর ডেয়ারডেভিল উম্মাদ-ড্রাইভারের পাল্লায় না পড়লে বোধহয় এত মজা পেতাম না। ঐরকমই থাকলে হয়তো আবার যাব
****************************************
আগে তো যাই নাই মাঝি ভাই, তবে ভয়াবহ ভাঙ্গাচুরা আর খাড়াই উতরাই আছে ।
ওই রাস্তায় ড্রাইভ করতে মনে ডেয়ার ডেভিল উন্মাদ না হলে সম্ভব নয়। আমাদের ও সেইরকম এক্সাইটিং লাগছিল।
মন্তব্যের জন্য
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ওই রকমই আছে দাদা। আপনি আবার যেতে পারেন।
এ যেন পাহারের কাছে আমার আত্মসমর্পণ। যতবার বান্দারবান গিয়াছি, আমি মুগ্ধ হয়েছি। প্রতিবার ভেবেছি, এই পাহাড় যদি আমার আবাস হত। যাযাবরদের পিছুটান থাকতে নেই। বিবেকবানদের যাযাবর হতে নেই। আমি চাই বিবেক বিবস হোক, আমি যাযাবর হতে চাই। কখনও পাহার-মেঘের কাছে আত্মসমর্পণ, কখনও কেবলি নিরুদ্দেশ।
-যাযাবর মুরাদ
চমৎকার লাগল আপনার মন্তব্য
সত্যিই এমনি পাখীর মত যদি হতে পারতাম।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন