এয়ারপোর্টের বাইরেই পেয়ে গেলাম আমাদের ঢাকা থেকে ঠিক করে আসা গাইড চিমচোকে। পরিচয়ের পর সে আমাদের উঠিয়ে নিল তার ফোর্ড গাড়িতে। তার পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী পোশাক গো (Gho)। তাঁতে বোনা পুরুষদের পোশাককে এরা বলে গো আর নারীদের পোশাককে বলা হয় কিরো (Kira)।
ভুটানের রাজধানী থিম্পু হলেও থিম্পুতে কোন এয়ারপোর্ট নেই, ভুটানের আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টটি পারোতে অবস্থিত। পারো থেকে থিম্পু প্রায় এক ঘন্টার পথ। ভুটানে অন্য কোন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির আধিক্য চোখে না পড়লেও গাড়িগুলি অধিকাংশই ঝকঝকে ভাল কোম্পানির জীপ এবং কিছু ভারতীয় গাড়ি। বলতে গেলে অধিকাংশ পারো এবং থিম্পুবাসীদের গাড়ি ব্যবহার করতে দেখলাম, যেহেতু পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের জন্য শক্তপোক্ত গাড়ি বেশ প্রয়োজন।
আমাদের প্রথম গন্তব্য রাজধানী শহর থিম্পুতে রওনা দিলাম। পারো থেকে থিম্পু যাবার রাস্তাটা ছিল ভুটান ভ্রমনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ। দুধারের দৃশ্য যে কি অপূর্ব তা ভাষায় বর্ণনাতীত, পাহাড়ের রাজ্যে উড়ে যাওয়া মেঘের ভেলা, ছড়ানো ছিটানো জুম চাষের জমি দেখা যাচ্ছে। ফাঁকে ফাঁকে পাহাড়ের কোলে ছোট্ট বাড়িগুলি বলে দিচ্ছে সামান্য চাহিদার মানুষগুলোর আর কিছু থাকুক না থাকুক রয়েছে মনের পরিপূর্ণ প্রশান্তি। জানতে পারলাম অন্য দেশে যেভাবে জিডিপি পরিমাপ হয় তেমনি ভুটানে জাতীয় পর্যায়ে জিএনপি (Gross National Happiness) পরিমাপ করা হয়। ভুটান পৃথিবীতে এই মাত্রায় অষ্টম শান্তির দেশ, এশিয়াতে ভুটানের অবস্থান এই ভিত্তিতে প্রথম।
পারো থেকে থিম্পুর পথে
পথে যেতে যেতে চিমচো আমাদের ভুটান সম্পর্কে নানা রকম তথ্য দিতে থাকে। জানলাম ৩৮,৩৯৪ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৭, ৪২, ৭৩৭, যেখানে সবার জন্য শিক্ষা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করে সরকার। এমন কি ক্যান্সার বা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা যা ভুটানে অ্যাভেইলেবল নয় সে ক্ষেত্রে ভারত বা অন্যদেশ থেকে চিকিৎসা করানোর খরচ পর্যন্ত সরকার বহন করে, চমৎকৃত হবার মত তথ্য মনে হল আমার কাছে।
চিমচো আরও বলল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ভুটান ছিল সম্পূর্ণভাবে রাজতন্ত্র। ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ গঠিত হয়। রাজারানী যথাযথ সম্মানের স্থানে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীসভা ও সংসদীয় প্রথা চালু হয়। কারণ জানতে চাইলে চিমচো বলল জনগণ রাজতন্ত্রে বেশি সন্তুষ্ট থাকলেও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে গণতন্ত্রকে বেশি সাপোর্ট করা হয় বলে, ভুটান জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাবার জন্য গণতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করে।
পাহাড়ি ঝর্না হতে প্রবাহিত থিম্পু নদীর পাশ দিয়ে আমরা চলেছিলাম। পথে একটা লোহার তৈরী ব্রিজের সামনে থামলাম। Thangtong Gyalpo নামের এক ভদ্রলোক এই ১৩০০ খ্রিস্টব্দে এই ব্রিজ তৈরি করে। তিব্বতীয় এলাকায় প্রায় আটান্নটি ব্রিজ তৈরী করেন এই স্থপতি বা প্রকৌশলী যাকে “আয়রন চেইন মেকার” উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তার তৈরী এসব ব্রিজ সে যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনন্য উন্নতি সাধন করেছিল। যার অনেক ব্রিজ এখনো অক্ষত। সত্যিই যুগে যুগে কত অসাধারণ মানষের জন্ম হয়েছে পৃথিবীতে।
লৌহ ব্রিজ
এরপর আমরা পৌঁছে গেলাম থিম্পুতে। আগে বুকিং দেয়া হোটেলে একটু ফ্রেশ হয়ে নিলাম। উদর পূর্তি সেরে আমরা হোটেলের উলটা পাশে Clock Tower Square এ গেলাম, একে শহরের কেন্দ্রস্থল বলা যায়, সেখান থেকে রওনা হলাম শহর দেখতে।
থিম্পু শহর
শহরের কিছু অংশ ঘুরাঘুরি করে গেলাম National Memorial Cheoton, এটা একটি ধর্মীয় স্থান। ভুটানের লোকেরা সামগ্রিকভাবে খুবই ধার্মিক, কিন্তু এরা ঠিক কনসারভেটিভ নয়। উপাসনায় মগ্ন বৃদ্ধাদের কিছু ছবি তুলছিলাম, তারা মিষ্টি হাসি দিয়ে স্বাগত জানিয়ে, ছবিটা কেমন আসলো দেখতে চেয়েছিল। কোন শিশুর ছবি তুলতে চাইলে তারাও হাসিমুখে রেডি। National Memorial Cheoton এ একটি বার্ষিক ধর্মীয় উৎসব হয়, ভাগ্যক্রমে আমরা যে সময়ে যাই সে সময়ে উৎসবটি চলছিল। উঁচু রঙবেরঙের মিনারটি উপাসনাকারীর দল প্রদক্ষিণ করতে থাকে। হাতে থাকে প্রার্থনা চক্র অথবা তসবি, যা তারা ঘুরাতে থাকে সাথে সাথে মন্ত্র উচ্চারিত হতে থাকে।
প্রার্থনা চক্রের ছড়াছড়ি ভুটানের সবখানে। হাতে যেগুলি থাকে সেগুলি চায়ের কাপের আকার, সবচেয়ে বড়গুলি একেকটা পিলারের সমান, মন্দিরের দেয়ালে বা সিলিংএ যুক্ত। ভুটান যে অসম্ভব শান্তিময় তা প্রমাণ করতেই সবখানে শান্তির দূত পায়রার ছড়াছড়ি। তাদের অভ্যর্থনা জানাতে খাবার ছড়িয়ে দেয়া, তারাও নির্বিঘ্নে খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে, উড়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের জানা আছে তাদের কেউ বিরক্ত করবে না। ছোট ছোট তাবুর মত ঘরে প্রার্থনাকারীগণ বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই স্থানের প্রধান দালানটি দেখতে পেলাম। চারিদিকে বর্ণিল পুষ্পসজ্জা, রাংতা ও রংবেরঙ্গের কাপড়। অনেকটা নামাজের মত তাদের প্রার্থনা করার একটা প্রক্রিয়া আছে। সব ধর্মের মূল হয়ত এক বিধায় অনেক কিছুই মিলে যায়। অনেকে সে পদ্ধতিতে অর্চনা করছেন।
National Memorial Cheoton
২৫
২৬
২৭
২৮
২৯
৩০
৩১
৩২
৩৩
৩৪
৩৫
৩৬
৩৭
৩৮
৩৯
৪০
৪১
৪২
৪৩
৪৪
৪৫
৪৬
৪৭
এরপর পাহাড়ী রাস্তা পেরিয়ে আমরা গেলাম শহরের সর্বোচ্চ বৌদ্ধমূর্তির কাছে। শহরের যে কোন স্থান থেকেই এই মূর্তিটা দেখা যায়। Buddha Dordenma Project নামে এই মূর্তি তৈরির কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ নয়। ১৬৭ ফুটের এই মূর্তিটার প্রধান উপাদান ব্রোঞ্জ। এর আশেপাশের দৃশ্যাবলী মন ছুঁয়ে যায়, পাহাড়ে ঘেরা শহর আর অভূতপূর্ব মেঘরাজ্য।
Buddha Dordenma Project
ভুটানের সর্বত্রই এদের ঐতিহ্য, প্রথা, সংস্কৃতি আর শিল্পের ছোঁয়া পাওয়া যায়। এইসব কিছুকে জড়িয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ছড়িয়ে রয়েছে অপার মাধুর্য আর লাবণ্যময় প্রকৃতির শোভা আর তেমনি মানুষগুলো সহজ সরল, ধর্ম আর শিল্প চর্চায় ব্যস্ত। আধুনিকতার সাথে এই সব কিছুর বিভেদ কিন্তু আশ্চর্য এক সামঞ্জস্য এরা রক্ষা করে চলেছে নিরন্তর।
সেদিন সন্ধ্যা নামার আগেই থিম্পু শহরের সবচেয়ে পুরানো মঠ বা Monastry তে ঘুরে আসলাম। সর্পিল পাথুরে সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা উপরে উঠতে হলো। আশেপাশের কিছু অংশ ভাঙা হলেও মূল দালানটি আজও অক্ষত দাঁড়িয়ে। আশ্রমের পূজারিরা তাদের উপাসনা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
Monastry
সন্ধ্যার পর আমরা শহরের বিভিন্ন রাস্তাগুলি হেঁটে বেড়ালাম, ভুটানিজদের প্রথাগত জীবনশৈলীকে জানার আগ্রহে। ভুটানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর লোকের আধিক্য, তবে প্রায় এক তৃতীয়াংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বী থাকায় ওই সময়টি দিওয়ালি উৎসব মুখর ছিল থিম্পু শহর। গান, আতশবাজি এইসবের প্রাচুর্য জানিয়ে দিচ্ছিল সে উৎসব আনন্দ, সর্বত্রই প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত।
থিম্পুর রাস্তায়
সেদিন রাতের খাবারে ছিল ভুটানের ঐতিহ্যবাহী লাল চালের ভাত, সবজি ভাজি, মুরগী আর অবশ্যই লাল মরিচের ভর্তা, যা ভুটানিদের অত্যন্ত প্রিয়। খাবারে তারা তেমন মসলা ব্যবহার করে না, তবে লাল মরিচের আধিক্য দেখা যায়। মরিচের স্বাদ যে এমন মিষ্টি হতে পারে তা আগে কখনো ভাবিনি, সে মরিচের ঝালও যেন মধুময়।
আগের পর্ব- এখানে
পরের পর্ব- আসিতেছে.........
ঠ্যাংনোট (ক)- ছবিগুলি নাইকোন D3100 ক্যামেরায় আমার এবং পার্টনারের দুজনের তোলা, ছবি তোলায় এবং পুরো ট্রিপে আমাকে সহ্য করে সাহায্য করার জন্য তাকে ধন্যবাদ।
ঠ্যাংনোট (খ)- সচলে আমার প্রথম পোস্ট থেকে শুরু করে সব পোস্টে বানান ও অন্যান্য সমস্যা তুলে ধরে স্বভাবসুলভ ঘ্যান ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান প্যান করে (অন)উৎসাহিত করার জন্য তিথীডোরকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। এই পোস্টে বানানের সামগ্রিক দায়ভার তাঁর কাঁধে অর্পণ করলাম।
মন্তব্য
চমৎকার সব ছবি!
শিক্ষাজীবন পার করে কখনো অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থান-চিকিৎসা আর জুৎমতো সঙ্গী নিশ্চিত করার খেমতা হলে এই মেঘরাজ্যে যাব কোন একদিন।
পুরো দ্বায়ভার > দায়ভার এই ক্ষীণকায় কাঁধে অর্পণ করলে তিথী নিরুপায়। এখনো পোস্টে এমন শব্দ আছে, যেগুলো তুমি খসড়া দেখেও ঠিক করোনি।
পরের পর্ব জলদি চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনি এখনও শিক্ষাজেবনে আছেন?
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
জ্বি ভাই, ২০১৬র মে'র আগে পসিবলি ঐ কলঙ্ক ঘুচবে না।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হায়, হায়, দিল্লি বহুদূর!
ভালোয় শিক্ষা জেবন শেষ করুন।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
সাধে কি আর লোকে খুকিরে খুকি বলে
অকালে বড্ড পেকে গেছে মেয়েটা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
অসাধারণ! তবে বড্ড বেশি হয়ে গেছে।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
কতদিন ধরে রাতারগুলে যাবার সঙ্গী হবার মুলাটা গাজরটা আলুটা ঝুলিয়ে উনি উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাত্রা করলেন। আর আমি সেই বিরহে লালাখাল পন্ত গিয়েও ফিরে এলাম, রাতারগুল আর যাওয়াই হল না। সে গঠনা কিন্তু ভুলে যাইনি মনে রাখিস। যাইগে সে ইতিহাস, মেঘরাজ্যে যাইতে অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থান-চিকিৎসা, শিক্ষাজীবন পার এইসব কিছুই লাগে না, কিছু জুৎমতো সাঙ্গপাঙ্গই যথেষ্ট।
এহ রে, বয়স হয়েছে তো, চোখের মাথা খেয়েছি। দায়ভার ঠিক্করে দিচ্ছি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নেক্সট ট্যুরে গেলে গরিবের জন্য কিছুমিছু এনো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আম্রিকার বাসিন্দা যদি নিজেরে গরিব উপাধিতে ভূষিত করিয়া এই কাঙ্গাল বাঙ্গালীর কাছে কিছুমিছু চায়, বুক ভরা ভালবাসা ছাড়া আর কি বা দিতে পারে ক্ষুদ্রকায় হতভাগিনী?
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
দূরদান্ত সব ছবি, বর্ণনা অসাধারণ
নেক্সট পর্ব পড়ার অপেক্ষায়
- ওমেশু
ধন্যবাদ ওমেশু সাথে থাকার জন্য।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
দারুণ সব ছবি, মাথা একটু আউলা হয়েছে, তবে একদিন আমরা ও হু হু।
ধন্যবাদ বন্দনা'দি
আসলেই মাথা আউলানো সুন্দর জায়গা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ছবিগুলো বাড়াবাড়ি রকমের সুন্দর।কোন কোনটিতে রং এর ছড়াছড়ি!
ভুটানিজরা বড় বর্ণিল, আনন্দময় জাতি।
ধন্যবাদ গগনশিরীষ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
অসাধারণ সব ছবি তুলেছেন আপনারা দু'জনেই!
ভুটান সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হয়ে গেল
পরের পর্ব আসুক
ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
বর্ণনা ছবি দুটো মিলে চমৎকার একটা ভ্রমণ সিরিজ এগিয়ে চলছে, ভ্রমণসঙ্গী হয়ে আছি।
ছবিগুলো নাম্বারিং আর ছবির শিরোনাম দিলে ছবি নিয়ে আলোচনা হতে পারতো, পরের পর্বে বিষয়টা মাথায় রাখতে পারেন।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
সিরিজের সঙ্গী হবার জন্য অনেক ধন্যবাদ মাসুদ সজীব।
ছবিগুলি নাম্বারিং করব ভেবেও মিস হয়ে গেছে। ঠিক করে দিচ্ছি আপনাদের সুবিধার্থে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
জানতে চাচ্ছিলাম দুদিনের জন্যে ভুটান গেলে যা যা দেখার দেখতে পাব কিনা? ডিসেম্বর মাসে ওখানকার আবহাওয়া কি রকম? চমৎকার লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ Mamun Ahmed।
ভুটানে দেখার অনেককিছুই আছে পারো আর থিম্পুতে বিশেষ করে। তবে এরা কাজকর্ম শুরু করে সকাল ৯টার পরে। এর আগে বেশিভাগ বন্ধ, আবার বিকাল ৫টার মধ্যেই সব বন্ধ করে ফেলে। ফলে ঘুরাঘুরির সময়টা একটু কম। একদিন পারো আর একদিন থিম্পু থাকলেই অনেক কিছু কভার করতে পারবেন আশা করি।
ডিসেম্বারে আবহাওয়া অবশ্যই খুব ঠান্ডা, বরফ পড়ে। এপ্রিল আর অক্টোবার ভ্রমনের জন্য সবচেয়ে ভাল সময়।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
বাহ বাহ
facebook
আপনার দক্ষিণ গোলার্ধের পোস্ট কই?
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
এত সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে যে মাথা আউলিয়ে দিচ্ছেন, জিজ্ঞেস করি, ভুটানের রিটার্ন টিকেট কি আপনি গিফট করবেন নাকি? লেখা ও ছবি মন ভরিয়ে দিয়েছে।
______
কাইয়ুম
আরে পয়সা খরচ করে যাইতে যেন না হয় তাই না এত ছবি তুললাম, এই জন্য আমারে টেকাটুকা কিছু দেন।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
দোচুলা পাস গিয়েছিলেন?? আপনার লেখা এবং ছবি দুটোই খুবই ভালো লাগলো। ৩ বছর আগে গিয়েছিলাম, সব আবার মনে পড়ে যাচ্ছে।
ফারাসাত
পুনাখার ওইদিকটা যাওয়া হয়নি, স্থানীয়রা বলল ঐদিকটা নাকি বেশি সুন্দর। হিলট্রেক করার প্রস্তুতি নিয়ে আরেকবার যাবার ইচ্ছা আছে।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ভুটানে যাবার ইচ্ছে ছিল গত ফেব্রুয়ারীতে দেশে যাবার পর, কিন্তু পরে জানতে পারলাম ভুটানে যাবার প্লেনের টিকেট নাকি এক-দেড় মাস আগে থেকেই বুক হয়ে থাকে। কি আর করা?
যা হোক, আপনার লেখা আর ছবিতে সেই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটলো।
গুডরিডস
হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে মাত্র দুইটা ফ্লাইট যায়।
তাই বেশ রাশ থাকে। আগে থেকে বুকিং না দিলে পাওয়াটা কঠিন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জীবনযুদ্ধ।
এমনিতেই নানা যুদ্ধ চলছে আশেপাশে, ব্লগে ও শান্তি নাই।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
চমৎকার
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
এ এক অতুলনীয় পাহাড় আর সবুজের দেশ।
এখানে একদিন যাবই যাবো।
(ফয়সাল সিকদার)
সত্যিই তাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
এর আগেও কিছু ব্লগে ভুটান সম্পর্কে পড়েছি তবে এত সুন্দর ছবি দেখি নি। ইচ্ছে তো করে পুরো পৃথিবী ঘুরে বেড়াই তবে সম্ভব হলে কখনো ঘুরে আসব।
ধন্যবাদ
ইচ্ছা থাকলে উপায় হবেই।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
পড়ে ফেললাম স্যার। আইসামি ছাইড়া এইবার নতুন পর্ব দ্যান...
অনেকগুলি ছবিই তো আগে দেখছি, তাই না? যাকগে কিছু ছবির কথা উল্লেখ না করলেই নয়
(১) ৪০ নং ছবির কিচ্চি-পিচ্চিগুলি কী কিউট। এমন আরো কিছু ছবি থাকলে দিয়েন
(২) ৪৮ - দ্যাবতার ছবি ভাল আসছে। লাইটটা একটু ইয়ে হয়ে গেছে আর কি
(৩) ৫২ - এইটা বেস্ট ল্যান্ড-স্কেইপ হইছে। আমার সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে এটা
(৪) ৬২ - স্ট্রিট ফটোগ্রাফি হিসেবে এটা দুর্দান্ত এসেছে
(৫) ৭০ - বাত্তিগ্রাফিটাও ভাল্লাগছে
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ তাপস'দা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন