মাইট্টা খোলের ধূম্রকাতর হাবশী
চেতনজ্বরে আমসি মুখের গ্রামসী
ভুরভুরি-ধ্বক ধূসর-শাবাব পল্টি
বীটলবণেই একশটে ভুশ্ ঘোলটি
ঢোলের ঘিঞ্জি ঘোলের বাদ্য তাকধিন
ভোলে'র মজমা ব্যোমভালোনাথ রাতদিন
মজমা খালাস জজবা তালাশ ধিনতাক
শুকনা ভোরে ফালতু ডাকে তিন কাক
চিত্তহজম নিত্যখসম গুগলি
উল্টোকদম পাক্কাকসম চুকলি
ঘুলঘুলি চোখ বৈতালি ঢোঁক সিদ্ধ
বুলবুলি হোক চুলবুলি ঝোঁক ঋদ্ধ
সিদ্ধাসিদ্ধ আসম ...
শ্যাষের শুরু অ্যাশের গুরু
দমের দামে চুলবুলি
ব্যাসের পুরু দ্যাশের ঊরু
যমের নামে বুলবুলি,
দ্যাশের কথায় খেপলি ক্যান?
খেপলে পাবি ফোকলা ঝোঁপ
ব্যাসের কথাই শুনলি ম্যান !
ব্যাসের বাক্যে দোকলা কোপ,
কোপের বাক্যে শ্রুতিভ্রম!
ভ্রমেই ফলবে শুদ্ধভাম
তোপের ঝাঁক্কে ত্রুটিক্রম
ক্রমেই পাকবে ঋদ্ধকাম,
কামের কথায় শরম পাস!
শরম ভাগবে চান্দে
চামের উপর গরম চাস?
গরম ফেলবে ফান্দে,
ফান্দে ঘুমা...
পিনিক চক্রে দৃশ্য টাটায় হ্রস্ব
ক্রনিক টক্কে লাস্যনামাই ভষ্ম
পাঁজরের হাড় লগে আনকোরা খুলি
হাশরের ভাঁড় বকে ভ্যানতারা বুলি
বুলবুলি বলে কোন শালা কার বাপ
গুড়গুড়িভ্রম কোথা খোলে কার খাপ
পাপের পূণ্য আঁখ মারে করে খোঁজ
কোন শুভক্ষণে কোন শালা কয় ডোজ
ধুসরধূম্র কলবে সাজায় উল্কি
পিনিকনম্র আগুনে তাঁতায় কল্কি
ঝিকিমিকি জ্বালা তস্য তস্য ভ্রমে
মৈনাকদমে শোধনমজমা জমে
জম্বুদ্বীপে শমণমা...
চিটাগুড়ে ছিবড়া দিয়া ছাঁকনি বানায়
কোন ঘরামি খুপড়ি সমান ঝুপড়ি ফানায়
ভর-সাধনে মজমা লুটায় আনাল হক
তেরছা টানে দিলের খাঁচায় ধোঁয়ার ধক্
মাইট্টা খোলে দমভরসায় চক্ষুমারে
ফাইট্টা দিলে শুকনা মাঠে গাঙের ধারে
পাইন্যা বাতাস শুকনা হুতাশ ঝিমায় তূষ
আলগা দিনে পাল্গা মনে ফিরায় হুঁশ
সাধুর ঘরে সাধুর বেশে সাধন করে
আয়নাজ্বরে ধূমবরাবর কলব ঝরে
শুকনা তুষের ভ্যাবসা হাওয়া
বকনা দিলের পিছেই ধাওয়া
ধূমবরাবর সিদ্ধি পাওয়া
ঝুমবরাবর ঋদ্ধি তাওয়া
ঝুমঝুমিতে জালিম শাবাব
ধূম্রচেতন আলীম আযাব
হাবলু নজর ভোগলু চমন
ফিরতি টানে সবই কমন
রমনসাধন "সাধন" কবে?
গাঁদনঝিলের বাঁধন তবে
ফস্কা গেরো তুলসী ঝোঁপে
ডোস্কা মাতন হাবশী কোপে
ধোঁয়ার ঝিলে পল্টি মারা
চিকার ঘরে ছুঁচোর পাড়া
এতেক বিধান যতেক ঘঁচু
জংলা ঝিলে হাজার কচু
তারই চিপায় যতন করে
...
ঠান্ডা লাড়াই শেষ হওনের পর থিকা আঙ্কেল স্যাম আর মৌলবাদীগো টেকা দেয় না, সেইসূত্রে কাকার পুরানা ওয়াফাদাররা বিলা হইয়া তাগো বিরুদ্ধে বিপ্লবে(!) নামছে, তারপর ...
শ্মশান পোঁড়ে হালকা আঁচে
নাঙ্গা হাওয়ায় হলকা বাঁচে
ফুচকি মারে মাইট্যা খোলে
পিনিক নাচে দুলকি বোলে
ঝাঝরা চোখে কেশের আড়ে
খোঁয়াব শুকায় পাহাড় বাড়ে
ঝাপসা ...
শঙ্কু বলে, সাধন জ্বলে
সাধক হাওয়ার মাতন জালে,
জাল ধোঁয়াশার শুকনাশালের ভষ্মখড়ে,
হ্রস্বভাবের সূক্ষভ্রমে কূহকজ্বরে
আউলাশোকের ঝাপসারাতে পিনিক ঝরে;
ঝিলিক ঝিলিক মাইট্যা খোলে
টাকডুমাডুম বাদ্য জমে পাঙ্খাবোলে,
বোলের বাদ্যে
খোলের ...
তেরছা টানে আবছা দিলের পর্দা সরে
বাঞ্ছাপুরের শুকনা আলে ঝাপসা খড়ে;
তারার ছায়া বালির মাঠে আলগা ডরে
শ্মশান জ্বলে মানুষ বাঁচে মানুষ মরে;
বিরান মাঠে শুকনা দিলে ফুলকি ঝরে
শঙ্কু সাধক হাওয়ার খাঁচায় বসত করে।
ঢ্যাপসা খাদে ভ্যাবসা রাতে
ঝাপসা ধূপে পিনিক মাতে
মজমা লাগে জজবা আঁতে
চিলিক দিয়া সিদ্ধি তাঁতে
ফুলকি রেখায় উল্কি পাতে
কইলজা পোঁড়ায় সে মারফতে
আউলা সিধা সরল বাতে
শঙ্কু সাধক কল্কি হাতে।।