অস্তরাগের চিত্রকল্প
মস্ত-পক্ক-এক চেরীর মতো দিগন্ত থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে
বনের ভেতরে
পথটায় এসে নামলো সেই পুরুষটি।
আর সেই নারী মিলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো,
সবুজ পাহাড় থেকে ধীরে ধীরে নেমে
খুলে খুলে তার কালো-কেশরাজি।
আকাশকে আঙুলে আঙুলে কালো, বসতি আর চরাচরকে
আভাসে ইংগিতে নিস্তব্ধ হতে বলে, ক্রমশ নগ্ন হচ্ছেন দেবী।
এখন দু-হাতে শিশির ছড়িয়ে, হেটে আসছেন ফাঁকা বিলের
একপ্রান্ত থেকে
মধ্যবিন্দুর দিকে।
তার আঁচলের ইশারায় কিছু পাখি আর কাকেরা
উড়ে গেল ঘরের দিকে।
মাঠের গরু-ঘোড়াগুলো কয়েকবার দেবীর
আগমনকে অভিবাদন জানিয়ে রব করলো।
সৌরচাষিদের ত্রস্ত- হতে বলে, মূর্ত হলেন দেবী!
আকাশে অস্তরাগ : ভালোবাসার পোড়াকাষ্ঠ! দেবতার শেষঅস্তিত্ব।
জাগতিক অস্তিত্বের অন্তরালে দেবতা
আলিঙ্গন করলেন দেবীকে,
দেবীও অশ্বারোহিণী হলেন কয়েক বার
দেবতার অগ্নিতে।
শেষে নিসর্গ থেকে উঠে
নিজ নিজ অন্ধকারে প্রবেশ করলো :
দু-জন মানব-মানবী, -
শরীর থেকে খড়কুটো ঝাড়তে ঝাড়তে
মাটি আর ঘাসের গন্ধ ...।
৩০.০৫.০০৫
মন্তব্য
প্রকৃতি আর ভালোবাসার কবি শাহীন হাসান। বরাবরের মতোই নৈসর্গের পুজোয় অতি সুক্ষ তুলির আচড়ে আকা ক্যানভাস আপনার। খুবই ভাল লাগলো...।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
রাত্রি দেবী আর সূর্য্য দেবের প্রণয়- রহস্য !
হুমম ......প্রতিটি অস্তরাগ মানেই- এদের এক জন আর একজনকে আলিংগনই বটে!!
কালবেলা
অস্তরাগের চিত্রকল্প-এ শব্দের বৈচিত্র ব্যবহার মুগ্ধ করেছে বেশ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
অসাধারণ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ...
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
নতুন মন্তব্য করুন