অঙ্গুলির নির্দেশ
যার অঙ্গুলির নির্দেশ থেকে পথে নির্গত আমাদের পদযুগল
সে-ই এখন অঙ্গুলি গুটিয়ে নিয়ে বলছে :
এই, এই বারোটা- বছর ;
যতটুকু পথ হেটেছো, তার সবটুকুই ভুল ছিল।
প্রতারণার এই পর্বতপ্রমাণ যোগ্যজন একমাত্র জীবন!
জ্ঞানত আমি জ্ঞান-করেছিলাম,
জীবনই আমাদের একমাত্র শিক্ষক,
এখন দেখ, কীরকম ভুল শিক্ষক?
কী বা করার থাকে, মানুষ কী পুরোপুরি আত্মস্থ' করেছে জীবন?
যে নির্দেশ করে, সেই- আবার ক্রুটি ধরে, দোষ দেয়। এই একটা
জীবনের সময় দিয়ে কী, দোষ-ক্রুটি, ভালোবাসা বোঝা যায়?
আমাদের সুরে যে শূন্যতা, স্বয়ং জীবনেরই অপূর্ণতা,--
এ কথাটা জীবনকে বোঝাবে কে? কঠোর অঙ্গুলীর নির্দেশে!
এই নগরী জানে না আমি তাকে উপেক্ষা করেছি,
এই মানুষও জানে না আমিও উপেক্ষিত হয়েছি।
এই কবিতাটি লেখা হলো অই পেন্সিলে, ট্রেনের কামরায়
হয়তো কোনো নারী, নিজেকে আরও রূপসী, অলংকৃত
দেখতে চেয়ে, ভুলে ফেলে গিয়েছিল-
ওর কালো ভ্রূ-পেন্সিল।
১০.০১.০০৬
মন্তব্য
হুম! ভুল জীবনের পাঠ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ভুল জীবনের পাঠ, না জীবনের ভুল পাঠ, এখনো জানতে পারিনি ...।
শুভেচ্ছা ...
....................................
বনের বেঞ্চিতে ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
সে নারী কী পুরোপুরি আত্মস্থ' করেছে জীবন? আদৌ কি পুরোপুরি আত্মস্থ' হয় জীবন। হলে কি সৃষ্টির স্থান থাকতো কোথাও?
আপনার কবিতাগুলো জানা অজানা কষ্টগুলোকে আকড়ে ধরে বারবার।
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নতুন মন্তব্য করুন