আপাতত যুদ্ধ খুব রূপসী
যাবতীয় প্রকাশ প্রকাশনায় আজকাল যুদ্ধকে
লম্বা করে রূপসী বলা হচ্ছে :
কূটনীতিকদের অকথ্যঅনৈতিক পরিশ্রম যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিবদের হতে হচ্ছে-
অতি-রাহস্যিক, কাহিনীকার।
শহরগুলোতে নামানো হয়েছে মোটানলের
কৃত্রিম সন্ত্রাস!
একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানে ঝুলোন হয়েছে-
লাল-কমলা রঙের- মহাবিপদসংকেত!
অবশ্য মনোবাণিজ্যিক।
আপাতত যুদ্ধ খুব রূপসী, শান্তিবাদীদের
একথা বোঝাতে এবং যুদ্ধকে শান্তিপূর্ণ ভাবে
পাশ করিয়ে নিতে, জাতিপুঞ্জের ভেতরে এবং
বাইরে, সামরিক-সাংস্কৃতিক ছাওনিতে-
গণতন্ত্র রফতানির মহান কাজ চলছে।
দুজন রাষ্ট্রপতির প্রাণন্তকর পরিশ্রম যাচ্ছে
একটি যুদ্ধকে নিখুঁতভাবে নির্মাণ করতে।
সুমহান সামরিক-সাংস্কৃতিকজাতি অতপর :
বোমা বর্ষণ করবেন,
ধ্বংসের নিশানাগুলো নির্ভুল!
বহুমাত্রিক রঙিনপর্দায় দেখানো হবে।
বোমাবর্ষণ শেষ করে বিমান থেকে
মানবিক সাহায্যও নিক্ষেপ করবেন ;
এবং সামরিক সাংস্কৃতিক জাহাজ
শেষে পৃথিবীর বন্দরে বন্দরে ঘুরে, পৌঁছে
দেবে গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এভাবে
খুব সহজে প্রতিস্থাপিত হবে সারা পৃথিবীতে।
ওদের কাগজপত্রগুলো আজকাল যুদ্ধকে
এরকমই রূপসী বলছে!
সভ্যপৃথিবীর মানুষ একদিন ওদের দস্যু বলবে ?।
২.
নতুন গণতন্ত্রের ধারণা
এ-গণতন্ত্র নাকি বুদ্ধিমান বোমা,
মোটা নল থেকে বের হয় এবং
এটা রফতানিযোগ্য পণ্যের মতো ;
দূর-দূরান্তে পৌঁছে দেয়া যায়।
প্রতিস্থাপিত মাটিতে তা রাতারাতি জন্মায়?
এটাই যদি নতুন গণতন্ত্রের ধারণা?
ইরাক যুদ্ধের যুক্তি- নৈতিকতা?
তা হলে বলা যায় : দস্যুদের
রাজদরবার থেকেই কেবল
এরকম দার্শনিক চিন্তাভাবনার কথা
বলা সম্ভবপর হতে পারে?
মন্তব্য
ভালো লাগলো !
ধন্যবাদ।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
হুমম, কবিতায় প্রতিবাদ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
যুদ্ধ নয়, ওম শান্তি!
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
দস্যু তো বলছেই। তবে এই উপাধিতে মনে হয় ওরা পরিতৃপ্তই বটে! ওদের কাছে প্রতিটি যুদ্ধই রূপসী। ওরা তো জানে, অস্ত্রের ঝনঝনানী ছাপিয়ে ডলারের ঝনঝনানী ওদের কোষাগার পূর্ণ করছে প্রতিদিন। কিছু মানুষ মারা গেলে কি ক্ষতি, সব মানুষ তো আর মানুষ নয়! আপনার কবিতাটি অসাধারণ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এ ধরনের পরিতৃপ্তি চায় মানুষ, পতনের সৌজন্যে?
অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ, তীরন্দাজ।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
দারুণ!!!
শুভেচ্ছা।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
যুদ্ধকেই তো রূপসী বলা হবে ! কারণ রূপসীরাই যে সবচে' বড় যোদ্ধা !
বিশ্বাস হয় না ! ডাকবো ? ওই ঘরেই আছে, পরবর্তি আক্রমণের রিহার্সেলে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালই বলেছেন ..., ধন্যবাদ।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
এটাই যদি নতুন গণতন্ত্রের ধারণা,
ইরাক যুদ্ধের যুক্তি- নৈতিকতা,
তা হলে বলা যায় : দস্যুদের
রাজদরবার থেকেই কেবল
এরকম দার্শনিক চিন্তাভাবনার কথা
বলা সম্ভবপর হতে পারে।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শুভেচ্ছা নিন, পুতুল।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
খুব ভালো লাগলো শাহীন ভাই।
ধন্যবাদ, সৈয়দ ... ভাই।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
দারুন লাগছে।
---------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন