পাতের কোণায় এ ভাবে কখনো দেখিনি,
মাংস শেষ হলে লস্বালম্বী শুয়ে থাকে মাছের কাঁটা!
এখানে থালার পেটেও কী মাটির গূঢ়-গর্ত পাতা?
চোখ দু’টো গোলাকার শূন্য, মাটির প্রলেপ মাখা।
সাদা হাত, হাড়, দাঁতেরপাটি- ম্রিয়মাণ জ্যোৎস্না,
আঙুলগুলো তারাবাজির মতন যেন
নি:স্তেজ পুড়ে পড়ে আছে।
নাসিকার ছিদ্রপথে, চাঁদনিতে, চোয়ালে
যত্রেতত্রে পোকার প্রাদুর্ভাব,
অন্ধকারের অন্তর যেন
নড়ছে-
টিক্ টিক্-টিক্-টিক্ :
করোটিতে ভীষম-বিমর্ষহাসি!
“বোধ হয় কারও জন্ম হয় না,
জন্ম হয় মৃত্যুর!”
উরু-নিতম্ব থেকে তুষার, জঙ্ঘা-কাঁধের কাদা
ছাড়িয়ে, হাত-আঙুল বুকের হাঁ-হাঁ-হাড়
খাঁ-খাঁ পাজড় লাগিয়ে, তার নাকে
মুখ ঘষে বললাম :
তুমি কী কবিতা নাকি ? -
জড়, না- জহরত !
আমার কণ্ঠস্বর আমার মধ্যেই ফিরে আসে।
অসি-ত্বের অতিবিলোপ সাধন-সংযোগে
দেহ-মনের ছাউনি তার কাঠামোতে
মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন- পরাতে
পরাতে-
আমি তাকালাম
ভবিষ্যৎ আমার দিকে :
ভয়ঙ্করসুন্দর !
“বোধ হয় কারও জন্ম হয় না,
জন্ম হয় মৃত্যুর!”
মাথার মধ্যে দ্রুত কথার কুয়াশা
কয়লা খনির ধ্বস, দুরূহ ধ্বস নামলো
বুকের মধ্যে। অথবা
চোখ ভুলে রেখে, মন ভুলে রেখে
মানুষটি, কবরখানা থেকে বে’রোতে
বিলম্ব করে ফেলে :
কিন' আমি বেরিয়ে পড়েছি পথে,
পায়ের তলায় তপ্তের ধুধু, ----
আঙুরঅন্ধকার!
মন্তব্য
ভয়ঙ্কর সুন্দর শাহীন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নতুন মন্তব্য করুন