গোলাপ টিকলি
পথিক ছিলাম শুধু দেখে যেতাম পড়শির বাগানে
ফুটছে প্রতিদিন
কয়েকটি লাল এবং গোলাপি গোলাপ নিশ্চুপ।
মানুষেরও নীরব সৌন্দর্যে, আমি সর্বদাই মুগ্ধ হই!
ফুলের ভারে সে বৃক্ষ এখন নুইয়ে পড়েছে আমার
কবিতার টেবিলে
কচি পাতা আর দেখতে পাচ্ছি তার সবুজ ডালগুলো
অতীত কাঁটাগুলোকে ভালোই লাগছে আমার।
আমার বড়বোন হলুদের দিন গলায় গাঁধা ফুলের মালা
আর সিঁথিচূড়োয় পরেছিল গোলাপের টিক্লি ...
আমাকে জানতে হবে ঐ টিক্লির গঠনশৈলী ? আমি
হলাম অদ্ভুত এক বনচারি, চিরকাল নিসর্গে মনোযোগী।
যেই আমি আয়ত্ব করেছি গোলাপের জ্ঞান-
আমার প্রণয়িনী বললেন, কার প্রণয়ের পদমূলে
সমর্পিত হবে এই গোলাপ ? আমাকে না,
তোমার কবিতাকে ভালোবাসো সবচেয়ে বেশী ?
ঝটপট বললাম ঃ আমার তো যুগপৎ যুগলপ্রিয়তমা,
কবিতা আর তুমিই সুন্দরীশ্রেষ্ঠা! ঠিক আছে, না হয়
বানিয়ে দেবো দু’জনকে একটাই, ফুলকারকে বলে
গোলাপ টিক্লি ...
মন্তব্য
“আমাকে না তোমার কবিতাকে ভালোবাসো সবচেয়ে বেশী?” - প্রশ্নের উত্তরে যাই বলেননা কেন, এই ফাপড়ের হাত থিকা কিন্তুক ‘মরতে দম তক’ শান্তি নাই .... ভাইবেননা আমিও একই সমস্যায় আছি, আমারে এমন কওনের কেউ নাই। কিন্তু হেভভি মজা পাইলাম, কিছু বন্ধুর করুন মুখগুলা দিব্যচোখে দেখতে পাইতেছি, একজন আমারে চান্স পাইলেই বলে -- ‘মামা বিয়া কইরোনা, বালিশ -তোষক-কাঁথা-চিরুনী-কলম-খাতা-মাউস-চাইলে-ডাইলে-জুতা-মুজায় সবকিছুতে খালি আমি কই আমি কই করে! বিয়া করিসনা!” সেইদিন তার সাথে দেখা, আমি জানতে চাইলাম ‘কিরে নতুন কিছু লিখছস”, সে আমার উপর বিরাট খ্যাপা দিয়া দিলো, কয় “হ লেখছি, কপালে দসতোখত দিয়া লিখছি পরের জন্মে আর বিয়া করুমনা।”
হে তাবৎ কবিকুল - কবিতার প্রেম বজায় থাক ষোলআনা!
কবিতা ভালো হইছে শাহীন ভাই, নীল নাকফুলেতো দেখি সচলায়নতন ভইরা উঠলো; এর সাথে ‘টিকলিযোগ’ মারাত্মক হইছে, আপনার প্রেয়সীরে আর কি কি দিয়া সাজান দেখনের অপেক্ষায় থাকলাম।
চলুক!!
সংসারের যে স্বরলিপি আপনি লিখেছেন, আমার খুব ভয় করছে, বড় চিন্তার কথা, তবে এখনো তেমনটি ঘটেনি। আপনার বন্ধুর মুখটাকে আমার মুখের মতো মনে হচ্ছে না এখনো, তবে ভয়ে আছি, ভয়ে আছি যদি একই মুখ হয়ে উঠে আমাদের সবার?! অনেক মজা পেয়েছি আপনার লেখায়, ভাল থাকবেন, আর একটা কথা আপনার বন্ধুকে বলবেন লিখতে, লিখে যেতে .....
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
সে যুগের কবি বলতেন, "আমি তব মালঞ্চের হব মালাকার!"
এ যুগের কবি বলেন,
"আমার তো যুগপৎ যুগল প্রিয়তমা,
কবিতা আর তুমিই সুন্দরীশ্রেষ্ঠা! ঠিক আছে, না হয়
বানিয়ে দেব দুজনকে একটাই, ফুলকারকে বলে"
যুগের পার্থক্যটা বড় চোখে পড়লো।
কবিতা ভালো লেগেছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নতুন মন্তব্য করুন