মাথার মধ্যে বেঁচে আছে
লতার ঘ্রাণ নদীর স্রোত
এখনো বনফুল
আমাকে চিনতে পারছো
আমি সেই বনচারি
উৎসের কাছে মানুষ ফেরে
আমি শুধু বলতে এসেছি
এই বনবিথিবাহারে গোলাপে কাঁটার কৃষ্টি
বেঁধে যদি বুকে আর দুফোটা অশ্রু
সেই তো পরম প্রাপ্তি
মুখটা ময়লা না মেঘলা
ঠিক মতো বুঝিয়ে না বললে
কী করে বুঝব- বলো হে সবুজ পাতা
মুখটা ময়লা না মেঘলা ?
২৬.০৭.২০১৩
মন্তব্য
দাড়ি দিয়ে কিসের শেষ বলে দিলেন?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভুল বশত দাড়িটা পড়ে গেছে । কেমন আছেন রোমেল ভাই?
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
যাক স্বস্তি পেলাম, শুভ বারতা। ভাবতে ভালো লাগছে, আরো কিছুটা হাঁটতে পারবো আপনার পিছু পিছু, সবুজের সূত্র ধরে। সংগে হাঁটতে চাই না, ভয় হয়, পাছে ঘুঁচে যায় আপনার নিভৃতচারিতা। ভালো আছি যন্ত্রণাদগ্ধ, আপনি ভালো তো?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বুঝলামনা কবিতা ..... এটা কবিতা হয়েছে কি? যা মন চায় তা লিখে দিলেই কি কবিতা হয়?
কিছু বলার নেই !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
কবিতা পাঠক,
লেখা পছন্দ হওয়া কিম্বা না হওয়া একান্তই ব্যক্তিবিশেষের নিজস্ব অভিরূচির উপর নির্ভর করে, সে স্বাধীনতা আপনি উপভোগ করতেই পারেন। আপনি দুটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এক, আলোচ্য কবির কবিত্বশক্তি, দুই, কাব্যচর্চায় তিনি কতটুকু সিরিয়াস। আপনি একজন বাঘা কাব্যসমালোচক হোন কিম্বা না হোন, এ দুটি বিষয়েও প্রশ্ন আপনি তুলতেই পারেন। আমার সে বিষয়েও কিছু বলার নেই। যেটি বলতে চাই, তা হলো, খন্ডিত পাঠের উপর ভিত্তি কবির অস্তিত্ব সংহারী এমন দুটি প্রশ্নের অবতারণা করার পূর্বে আপনি কি তাঁর সিংহভাগ রচনা পড়েছেন? শুধুমাত্র খন্ডিত পাঠের উপর ভিত্তি করে এমন কঠিন মন্তব্য করা কতটুকু বিবেচনাপ্রসূত? দেখতেই পাচ্ছি, সবুজ সূত্রের এটি তৃতীয় ধাপ, অর্থাৎ, এর আগে কবি আরো তিনটি শব্দের সিঁড়ি পেরিয়েছেন। তিনটি নয়, আমার তো মনে হয়, তিনি অনেক পথ হেঁটে তবেই এখানে এসেছেন, অন্ততঃ নীল নাকফুলের চৌদ্দটি বনপথ পরিভ্রমন এর অকাট্য প্রমান। এছাড়া এই লেখায় আমি যে প্রথম মন্তব্যটি করেছি, সেদিকে লক্ষ্য করুন, "দাড়ি দিয়ে কিসের শেষ বলে দিলেন?", এখানে মূলতঃ পাঠক হিসেবে আমি আমার পাঠের অসম্পূর্ণতার ইংগিত রেখেছি। শাহীন হাসান কিন্তু তৎক্ষণাৎ প্রতিমন্তব্যে বিষয়টি পরিস্কার করেছেন, বলেছেন, এই শেষ নয়। তাহলে আমরা কি তাঁকে এখনি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো? আরেকটু সময় কি তাঁকে দেয়া যায় না?
এবার শাহীন হাসানের কবিত্বশক্তির কথায় আসি। যিনি ‘এক শিল্পীর পরিত্যাক্ত জীবন’-এর
মতো কবিতা রচনা করতে পারেন তাঁর কবিত্বশক্তিকে আমি কি'করে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারি?
কবিতা পাঠক, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই,
আপনি লিখতে থাকুন শাহীন ভাই, পড়ছি।
.... সাচালায়াতান এর আদম (অ্যাডমিন) প্যানেল এর দৌড় জানা হয়ে গেল ..
লোহাবলদ কবিতা পাঠক ভাইয়া,
আপনাকে আগেও বলেছিলাম একদিন, আবারও বলি, সচলায়তনে যারা পূর্ণ সদস্য (যেমন শাহীন হাসান) তাদের লেখা সরাসরি কোনো মডারেশন ছাড়াই প্রকাশিত হয়। আর যারা অতিথি লেখক, যেমন ধরেন সিডনি-নিবাসী দৈনিক কবি মহম্মদ আশিকুর রহমান, তাদের লেখা মডারেশন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যায়।
আপনি এরকম বলদ কেন ভাইয়া? ছোটোকালে আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে পান নাই?
কবিতা টা প্রথমে মিস করে গেছি সত্যি বলতে কি মাথার কিঞ্ছিত উপর দিয়ে গেছিল কিন্তু সুমহান সমালোচক কবিতা পাঠকের কমেন্ট দেখে আরেকবার পড়লাম এবং আরো কয়েকবার পড়লাম এবার সত্যিই কবিতার রস পেয়ে গেলাম আমার একটা বদভ্যাস কোন কবিতা ভালো লেগে গেলেই সে কবিতাকে আমার নিজের মনে হয় , মনে হয় কথা গুলো আমি লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে যেন উনি আগেই লিখে ফেলেছেন , আর কবিতা পাঠক আপনাকে ধন্যবাদ আপনার ছোট্ট একটু সমালোচনা আমাকে কবিতা টা দ্বিতীয় বার পড়তে উৎসাহিত করেছে , আর হ্যা আপ্নের মত সমালোচক রা না থাকলে কবিদের যে কি হপে ?
-থাম্বস আপ। চলুক।
-নিয়াজ
চমৎকার! তবে যতি চিহ্নের ব্যবহারটা বেশি হলে আরও ভালো হতো।
উদাসীন
অসাধারন হয়েছে,কেমন জানি কল্পনায় নিয়ে যায়,স্মৃতির সামনে দাড় করিয়ে দেয়।যারা নদীকে বুকে ধরেছে,যারা নদীর জন্যে মমতা লালন করে তাদের কাছে বড় বিষন্ন এই চরণটি।সবুজের মাঝে বেড়ে উঠা কিংবা নিজের মাঝে সুবজকে বাচিয়ে রাখা প্রতিটি মানুষের শরীরে,নি:শ্বাসে বেচে থাকে সবুজ পাতা আর লতার ঘ্রান।
সত্যিই তাই,মানুষ ঠিকি একদিন তার উৎসের কাছে ফেরে।মানুষের উৎস হলো প্রকৃতি,প্রকৃতির কোল,ছায়া।
শেষ প্যারাটি আমার কাছে পূর্বের তুলনায় যথেষ্ট দূর্বল মনে হয়েছে,কিছুটা বোধহয় তাড়াহুড়া করে শেষ করা হয়েছে।অথবা আমি বুঝতে পারিনি।তবু আমার মনে হয় শেষ প্যারাটা আরেকটু অন্যরকম গল্পের হতে পারতো।ভালোথাকবেন কবি।
মাসুদ সজীব
আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি,
বিশেষ করে রোমেল চৌধুরী, আপনার কাছে ।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
নতুন মন্তব্য করুন