কোথায় যাবে কার কাছে যাবে মানুষ
শকূনেরা ঝাঁক বেঁধে নেমেছে, রক্তাক্ত
লাশ যেন বাংলাদেশ
হায়নারা হানা দিয়ে যায় আর
নেকড়ের হিংস্র চিৎকারে প্রতিদিন
প্রতিজনপদ মৃত্যুপুরী হয়ে উঠে!
নাগরিকের ছেড়া, রক্তে ভেজা জামা
গায়ে পরছে সোনার বাংলাদেশ
মেধাহীন মানুষগুলো সহজে এক হতে পারে
মিছিলে তাদের হাত পা দ্রুতলয়ে মেলে
এটাও একটা ভয়, যুদ্ধের চেয়েও
ভয়ঙ্কর, গুম হবার ভয়!
জানিনা কোন মহাধাম থেকে আসে, এই অধমের শয়নকক্ষে
ফুলের ঢেউগুলো ঢোকে। যেভাবে সমুদ্র :
বেলাভূমিকে প্লাবিত করে
স্নানরত মানুষের পায়ের তলা থেকে বালুরাশিকে টানে,
তেমনি ঢেউগুলো আমার মধ্যে আসে
কী যেন রাখে, আবার সরিয়ে নিয়ে যায় ;
কেউ চায় কী আমাকে,
যুগপৎশূন্য-পূর্ণ করতে?
এ যেন অনন্ত সেই খেলা, সাগর আর সৈকতের।
এতোকাল ধরে যতফুল, বাগিচায় বনভূমিতে নিসর্গে
(আমাদের প্রথম সন্তান আবৃত্তি হাসান কে
জন্মশুভক্ষণ ১২.০৯.২০১৩. দুপুর দুটো )
কলমটি আজ আবার সরব হলো কাকে উদ্দেশ্য করে
যত দৌড় ছুট
ভবঘুরে জীবন যাপন
সমস্ত কিছুকে পিছনে ফেলে দায়িত্ব নিতে হবে, আজ এই
নতুন সময়ের
অনুভূতিটি নতুন
কখনো ভেবেছি
ভেতরে ভেতরে জায়গা বদল করে বসেছি, পিতার আসনে
পথের বেঞ্চিতে
আজ কোথাও টুপটাপ ফুটছে ফুল, জল পড়ার শব্দে
জেগে উঠেছে সবুজ ঘাসে প্রাণ
স্নায়ু যুদ্ধের দিন শেষ, কাউকে ভাগ দিতে হবে না,
পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এখন ঈশ্বরের পুত্রকন্যাদের!
জবাবদিহিতার প্রয়োজন কোথায়,
কাকে জবাবদিহি করতে হবে ?
এই মন্ত্রে দীক্ষিত জাহাজ, ছুটছে হণ্যে হয়ে
ভিড়ছে বন্দরে বন্দরে ।
গণতন্ত্রের জাহাজ,
গণতন্ত্র বোঝাই জাহাজ
গণতন্ত্রের নবীদের জাহাজ ...
গণতন্ত্র এখন রফতানি যোগ্য ? গণতন্ত্র এখন,
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাভজনক ব্যবসা ?
মাথার মধ্যে বেঁচে আছে
লতার ঘ্রাণ নদীর স্রোত
এখনো বনফুল
আমাকে চিনতে পারছো
আমি সেই বনচারি
উৎসের কাছে মানুষ ফেরে
আমি শুধু বলতে এসেছি
এই বনবিথিবাহারে গোলাপে কাঁটার কৃষ্টি
বেঁধে যদি বুকে আর দুফোটা অশ্রু
সেই তো পরম প্রাপ্তি
মুখটা ময়লা না মেঘলা
ঠিক মতো বুঝিয়ে না বললে
কী করে বুঝব- বলো হে সবুজ পাতা
মুখটা ময়লা না মেঘলা ?
২৬.০৭.২০১৩
বনের গহনে
বিশাল বৃক্ষ থেকে
সবুজ পাতার উপর
ঝাঁপিয়ে পড়ে রোদ
ছায়া হয়ে গেছে
যেন অভিমান
ঝোঁপের ভেতর
সর্পের মতো দলা পাকিয়ে আছে
ছোট ছোট কাঁটা
কীট পতঙ্গ বুনোগন্ধ
আর ছায়ার আঁচড়ে হৃদয় আমার
ভরে ওঠে রক্তে
ছায়া যেন সাকার দেবতা
একেই কী বলে অবহেলা
...
২৬.০৭.২০১৩
বনফুলের প্রেমিক ছিলাম। নীল নাকফুলকে রেখে
কখনো সখনো গিয়েছি
হলুদ লাল কমলা ফুলের কাছে,
আবার ফিরে এসেছি।
তুমি আমার প্রাণ, প্রাণবায়ু।
তুমি আমার প্রেম, স্বপ্ন, অমর একুশে। তুমি স্বাধীনতা।
তুমি হাজার বছরের পুরাতন চর্যার ঝাণ্ডা। তুমি অগ্নিবীণা
সোনার তরী, তুমি আমার রূপসী বাংলা।
একটি সরল মুখ
আর একটি জটিল হৃদয়ের মধ্যে
আমি খুঁজেছি জীবন,
পৃথিবীর
সবুজসূত্রগুলো
খুলে দেয়
নিসর্গের দরজা
ক্ষীণ আভাস
বোঝা যায় পথের
বহুকাল পর
বনের পথে ফেলেছি পা
বন গহনা
দিনের জোছনায়
সেজেছে সবুজ পাতা
হাটছি একা
হাটছি একা …
ওরা কী আমার
ভুলে গেছে নাম
বাড়ির ঠিকানা ?
….
বিকেলের পথে
সবুজ গমের শীষে প্রায়বিলুপ্তরোদ, সাদাফুল ফুটে আছে পথে, কেউ
কাউকে কী পুরোপুরি বঞ্চিত করে ? বিপুল উৎসবে শূন্যের সাথে মাটি,
কথা বলে এখানে, ঝিঁঝিঁর নিস-ব্ধপংক্তি মনোবৈকল্য নাড়ে, পাখিরা বুনোগন্ধের
অর্চনা করে, কচি আপেলের গুটি আমাকে দেখে, কামড়িয়ে খায় ; টকস্বাদে
কামনা আমাদের চাঁদমুড়ি দিয়ে হাঁটে। বিকেলের পথে কেউ কাউকে কী
মশক মিছিল
মেঘের মতো থমথমে মন নিয়ে ফুলের দিকে তাকালে, আপেলগুলো
ঝরে পড়ে আছে, পাখিদের অনিহাও দেখলে। ছোট্ট খালের ধারায়
গড়িয়ে যাবে সন্ধ্যা, দূরে জ্বলে গেছে যদিও দুই-একটি প্রদীপ। ধোঁয়া-ধোঁয়া
হাতছানি দেয়, উঁচু ঐ পর্বত ? একটু দাঁড়ালে, ‘পৃথিবীর এসব কী অযাচিতই
লিখে যাচ্ছি’? ভাবনার পায়ে আবার হাঁটছো, মুখের উপর মশক মিছিল।
পাখিরা সব গাঢ়কাক