আমার প্রেম আনন্দ নয় মীমাংসিতও নয়
মিলনের সাথে
দু:খের হাত ধরে হাটে
একাকী পথে নির্জন রাতে
শাওনের সুর হয়ে বাজে
এখানে এসে থমকে দাঁড়ায় যে আকাশ
তার নীল নেই কোনো হাতে
ভেড়ে যে মেঘদল
তার রঙ নেই কোনো খানে
রাতের পাখি ভুলে যায় গান
শাওনের স্বরে
আমার আকাশ অশ্রু দিয়ে
মুছে যায় প্রেম
বোঝেনা প্রিয়তমা
প্রিয়তমার প্রতিভা
অবচেতন অহঙ্কার
শেষ কথা নেই জানা
পথের পর পথ হাটা
শেষ কথা নেই জানা ...
দূরে দাঁড়িয়ে শীতে কাঁপবে একাকীত্ব।
বুক থেকে উড়ে যাবে কালো কাকগুলো।
শূন্যে শ্বাসটেনে ক্লান্ত হবে না মানুষ।
অনিদ্রা গুটিয়ে নিয়ে যাবে লম্বা নৌবহর,
তেপান্তরের মাঠ তাদের আটকিয়ে রাখবে।
যদি বাহুবন্ধনে একবার কবিকে বেঁধেফেলো?
বিবসন করো যদি ওর শরীর থেকে ঝরবে আরতি,
পকেট থেকে জোনাকি, নক্ষত্র আর অবৈষয়িক প্রেম।
যদি শয্যায় পেতে সাধ হয় করো, দেখবে দ্রাক্ষারসে
সিক্ত করে তুলিহীন আঁকছে ...
রৌদ্রস্নানে সোনা হয়ে আছে
আঙিনার ঘাসগুলো :
নীল আকাশ
সাদা সাদা মেঘ।
সেই সকালে আমরা কজন
ওদের ভেলায় ভেসে রওনা হয়েছি :
গৃহত্যাগীদের জন্যে মেঘলোকের কোথাও
ঘরবাড়ি- আছে নাকি?
বললো না কিছুই
পরদেশে-পরদেশীমেঘ।
নিরন্তর ভেসে চলা ...
গন্তব্য না জানা মানুষের কথা
মেঘেরা পড়তে পারে না।
মানুষ কী খুব পারে?
রৌদ্রস্নানে আঙিনার ঘাসগুলো সোনা হয়ে আছে :
পাখিরাও স্নানরত সবুজে।
কেউ খোঁজ খবর রাখে ন...
আজ এখানে শীত ফুলেদের কষ্ট হচ্ছে বাগানে, ঘাসের ডগায়
অন্ধকার শীতে কাঁপছে, বঙ্গোপসাগরের হাওয়ায় তোমার অসুখটা
বেড়ে যাবে। লোভের মতো বসে থেকো না ; প্রতিদিন
আমরা কী তোমাকে অতদূরের কবিতা দিতে পারি ? --
প্রকৃতিতে এসব দূষণীয়বস্তু আঙুল থেকে
আগুনটা ফেলে দাও, ঘরে যাও -
শোনো- শীত, ফুল-অন্ধকার-ঘাসের ডগা,
শোনো- বঙ্গোপসাগরের হাওয়া
প্রষিতের ঘর নেই ;
থাকেনা চিরকাল।
কবিতা পড়ছে কবিতা। আর এই নান্দনিক মহাকাব্যের পেছনে দাঁড়িয়ে
পুড়ে যাচ্ছে কবি। কনুইয়ে ভরকরে হাতের রেহেলে রেখেছে কিতাব,
লম্বালম্বী ভুটহয়ে শুয়েছে কবিতা, বুকের তলে বালিশ, ঢেউয়ের মতো
অথৈশরীর। আভাসে ইংগিতে বলল কবিতা : চন্দ্র এসে চুম্বন করতে
গিয়ে গোপনে চূর্ণ হয়েছে ওর খোলা-চওড়াপিঠে। এখানে তাই
আসক্তি একটু বেশী! একটা দুটো পাতা উল্টিয়ে কবিতা খুঁজছে কবিতা।
আর এই নান্দনিক মহাকাব্যের পে...
ভয়ানক তুষার পড়ছে আজ এই নগরীতে
দয়ার দরজা জানালা জমে আছে শীতে
তবুও বেরিয়ে পড়েছি পথে
কেবলই যাচ্ছি আর যাচ্ছি
কেননা তুমি ডেকেছো
জানিনা কোথায় আর কতদূর যেতে হবে
সমুখে একটা বিশাল ফাঁকা মাঠ
এক গভীর তুষারময় অন্ধকার পথে
রহস্যের ভেতরে
আমি হারিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ
দাঁড়িয়ে পড়েছি
বিলের ভতরে আমারই হৃদয় রাজ্যের তুষারঝড়
যেন বা তুলোধুনা করছে আমার হৃদয় কোনো ধুনকার
তার পাশকেটে তুমি হেঁটে ...
ভরা কলস উপুড় করে সরিয়ে রাখো না দূরে
পুরুষকে তিয়াস দিও না মেয়ে
এমন অন্যায় রকমের
চুপসেতো যাবেই একদিন দেহ-মনের চন্দ্র
না হয় যাও সহজ সরল ভাবে
অবগুণ্ঠন বিলুপ্ত ঘোষণা করে
সে কী ভাবে আর কারও কথা এমন মধুর করে
কাননে ফুল শুকিয়ে গেলে
কার এমন মহাক্ষতি হয় বলো হে প্রিয় নারী
পুরুষ কাঁদুক একটু দরজা জানালা ধরে
নিজের সাথে নিজের পাপে
এমন অন্যায় রকমের তিয়াস দিও না মেয়ে
কাব্যকে কলঙ্কিত করে ...
তোমার নখগুলো সুন্দর
কেননা সে আয়না হতে পারে
গোসলের পর পাঁচজোড় জ্বলজ্বলে আয়না।
তাতে বিম্বিত হতে পারে তোমার সুন্দর মুখখানা
যা আমার সবচেয়ে প্রিয় দেখতে চাওয়া।
তোমার নখগুলো সুন্দর
ছাউনি দিতে পারে আঙুলগুলোকে
অলংকৃত করতে জানে হাতজোড়া।
তোমার নখ্গুলো আমার চোখের মধ্যে
উড়তে পারে অনায়াসে প্রজাপতি হয়ে।
সূর্যের সাত রঙের যে রঙগুলো আমার পছন্দ
সেই রঙের স্বপ্ন দিয়ে তৈরি তোমার নখগু...
অলিখিত পৃথিবীর সুন্দর
ঘাসের উপর ফুটে রোদের সাথে হাসছিল নীলফুলগুলো,
নত হতে হতে ঝুঁকেপড়ি, ঝুঁকে পড়তে পড়তে মিশে যায়,
মিশে যেতে যেতে ওদের মধ্যে নিজেকে জন্মাতে দেখি !
ঠিক তখনই আশ্চর্য আওয়াজটা শোনা গেল : আমাদের খুঁজছিলে?
আমি তড়িঘড়ি বললাম, তোমরা কোথায়? মাটির শীত আর
বাতাসে ফুটে থাকতে কষ্ট হচ্ছে তোমাদের? ওরা বলল, আসলে
ঠিক তাও নয়, তোমার ইচ্ছাটাই ছিল এরকম : আমরা যেন
তোমার মাথার মধ্যেই জন্...
অনেকগুলো অলিখিত কবিতা
আমার তো এখনো অনেকগুলো কবিতা শেষ হয়নি,
তোমার পিঠের জ্যোৎস্নায় মাংসের উষ্ণতায় এখন যে
কবিতাটি লিখছি, বুকের ভেতরে কেবল তার বীজ বুনেছি,
এখনো গজায় নি চারা, তাড়াহুড়ো করো না ; রঙগুলো
আমি তোমার শরীর থেকে নিংড়ে নেবো, নন্দনগুলো
তোমার অপার্থিব হাসি থেকে ; আগে কুঁড়িটা ফুটতে দাও,
তাতে প্রাণ দেবো প্রেম দিয়ে, অতো তাড়াহুড়ো করো না ;
কারো প্রেম কী কোনো কালে কোথাও বিফলে গেছ...