হঠাৎ করেই পকেটে হাত দিয়ে সবুজের খেয়াল হলো মোবাইলটা নেই। বুকের ভেতর ছ্যাঁৎ করে উঠল। দ্রুত ছুটল আবার পেছনের রাস্তায়। মনে ক্ষীণ আশা, যদি পাওয়া যায়!
বেশ খানিকক্ষণ রোদ মাথায় ঘুরাঘুরি করে কাজটা খড়ের গাঁদায় সুঁচ খোঁজার চেয়েও কঠিন মনে হওয়াতে শেষ পর্যন্ত খোঁজাখুঁজিতে ইস্তফা দিয়ে এক দোকানে ঢুকল নিজের মোবাইলেই ফোন করার জন্য।
ফোন বাজছে। বেজে চলেছে। একবার। দুইবার। ওইপাশে কেউ ধরছে না। কিছুটা অস্থির লাগে সবুজের। আবার চেষ্টা করে। এবার ফোন ধরল ওপাশ থেকে কেউ। কোন কিছু না শুনেই সবুজ হড়বড় করে বলা শুরু করে, "প্লীজ ফোনটা রাখবেন না। আপনাকে অনুরোধ করছি, আমার কথাটা শোনেন, ফোনটা কেটে দিয়েন না প্লীজ ..."।
মাঝপথে ওকে থামিয়ে ওপাশ থেকে মায়ের গলা ভেসে আসে, "আরে গাধা তোকে নিয়ে আর পারি না! আজকেও আবার বাসায় ফেলে গেছিস মোবাইলটা!"।
মন্তব্য
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হাচা ঘটনা মনে হইতাছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার এটা খুব ভালো লেগেছে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
এইটা একটা দারুন অনুগল্প হইছে। মুচকি একটা হাসি দিলাম শেষে।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
দারুণ। দুর্দান্ত এই স্টাইলটি আমি খুব পছন্দ করি। পুরো গল্প জুড়ে যা ভাবছি শেষ মুহূর্তে সেটি একেবারেই বদলে যায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হি হি হি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
এখানে কমেন্টাতে গিয়ে দেখি বিরাট গল্প ফেদেঁ বসেছি। ভাবলাম আপনার লেখাটার দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে পোস্ট করে দিই... সেখানে গিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে আসেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা সিওর উনারই রিয়েল লাইফ ঘটনা!!!
চমত্কার খুদেগল্প।
তবে আপত্তি শুধু গল্পের নামটি নিয়ে। শেষের মোক্ষম মোচড়টি নামের মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয়াটা কি ঠিক হলো?
মাইন্ড খাইয়েন না। একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হা হা হা। মজার গল্প। এটার মতই কাছাকাছি একটা ঘটনা আমার ক্ষেত্রেই ঘটলো কয়দিন আগে।
এক বন্ধুকে ইউএসবি ড্রাইভ দিতে গিয়েছি। ব্যাগ হাতড়ে পাই না। তো বাসায় ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম যে ফেলে এসেছি কি না। জানালো না। তখন কী মনে মনে করে পকেট হাতড়ে দেখি মহাশয় ওখানেই অবস্থান করছেন।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
রাফি:
কীর্তিনাশা: ধন্যবাদ
পরিবর্তনশীল: আধা হাচা। আমার এক কলিগের মোবাইল হারাইছে কয়দিন আগে। রিকশা থেকে নাইমা অফিসের গাড়িতে উঠসে, তারপর বেশ কিছুক্ষণ পর খেয়াল হইসে যে মোবাইল নাই। সাথে আরেক মোবাইল ছিল। আবার পেছনের রাস্তায় গেছে। দ্বিতীয় মোবাইল থেকে ফোন করসে। যে পাইছে সে ফোন ধরসে। কিন্তু কোন কথা বলে নাই, পরে ফোন অফ কইরা দিসে। এই হইল কাহিনী। এইখান থেকেই প্লটটা মাথায় আসছে।
দেবোত্তম দাশ: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দেবু'দা
রায়হান আবীর: ধন্যবাদ। মন্তব্য পইড়া আমিও একটা মুচকি হাসি দিলাম
গৌতম: এই ঘরানার গল্পগুলো আমারো চমৎকার লাগে। আপনার দারুন লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম গৌতম'দা
মুশফিকা মুমু:
নজরুল ইসলাম: বস, আপনার কাহিনী জম্পেশ হইসে!
টিকটিকির ল্যাজ: না রে ভাই, আমার রিয়েল লাইফের ঘটনা না এইটা। সত্যি কথা বলতে কি, আমি কিন্তু মোটামুটি বেশ সাবধানী মানুষ। মোবাইল, মানিব্যাগ, চাবি... এইসব হারাই না। (একটা দুইটা ভুল হয়েছে আগে যদিও, পরে কখনো লিখব)
সংসারে এক সন্ন্যাসী: মাইন্ড খাওয়ার প্রশ্নই আসে না! আমি সবসময়ই সমালোচনা আশা করি, না হইলে আমার মতো নব্য লেখক(!) নিজেরে শুধরাবে কিভাবে? আপনার পয়েন্টটা খুবই যুক্তিসঙ্গত। মাথায় থাকলো। আর এখন মনে হচ্ছে, এই গল্পের নামটা মোটেও ভালো হয়নি। ধন্যবাদ
তারেক: হাহাহা। আপনার ঘটনা পড়েও মজা পেলাম তারেক ভাই। আসলে এ ধরণের টুকিটাকি ঘটনা ঘটে বলেই না আমরা পরে এইসব নিয়ে হাসাহাসি/আফসোস করতে পারি।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
এ গল্প থেকে আমরা এই শিক্ষাটা পাচ্ছি যে, সব মায়েরাই তার সন্তানের অরিজিনাল স্বভাব ট্রেস করতে পারেন অতি সহজে। যেমন: শুয়র, গাধা, গরু ইত্যাদি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মায়ের চেয়ে তার সন্তানকে কেউ কি আদৌ চিনতে পারে ভালোভাবে?
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
সত্যিই তাই।
চমৎকার একটা অনুগল্প হয়েছে, প্রহরী।
ভালো লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার ভাল লাগলো জেনে আমারো অনেক ভাল লাগলো। আপনি আছেন কোথায়! অনেকদিন দেখি না যে! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
__________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
জব্বর হয়েছে!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন