প্রথম পর্বের পর:
(৩) বিগ বস!
বসুন্ধরা সিটির বাইরে সিড়িতে কিছুক্ষণ বসে থেকে, হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ধানমন্ডির বিগ বস এ যাওয়া হবে। ওখানে নাকি কম দামে বেশ ভাল মানের (একটু খুঁজতে হয় আর কি) কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়। পাঞ্জাবী পাওয়া যাবে না ঠিকই, কিন্তু জিন্স-টি শার্ট-ফরমাল শার্ট-প্যান্ট-ট্রাউজার কিনতে চাইলে যথেষ্ট ভাল জায়গা, আর ইচ্ছেমত ট্রায়ালের ব্যবস্থা আছে। দুই রিকশা নিয়ে ছুটলাম আমরা। যেতে যেতে অনেক কথা হল। পুরনো দিনের কথা, এমনকি না-দেখা ভবিষ্যতের কথাও! স্মৃতিকাতরতা আরেকটু জাঁকিয়ে ধরল।
এভাবে কথা বলতে বলতে এক সময় পৌঁছেও গেলাম বিগ বস এ। আমি আগে কখনো আসিনি, তাই দেখে মনে হল যা শুনেছি, খুব একটা ভুল শুনিনি। আমার তো দেখেই মনে পড়ে গেল গুলশানের পুরাতন ওয়েস্টেকস এর কথা। ওখানেও এমন গাঁদাগাঁদি করে সব রাখা থাকত, যার যেটা খুশি, ইচ্ছেমত ট্রায়াল দিয়ে কিনতে পারত। যাই হোক, বেশ অনেকটা সময় কাটল ওখানে। সবাই দেখলাম কিছু না কিছু দেখছে, পছন্দ হলে ট্রায়াল দিচ্ছে। কাপড়ের মান খারাপ বলা যাবে না মোটেও, অথচ দাম বড় মার্কেটগুলোর দোকানগুলোর তুলনায় মোটামুটি অর্ধেক! আমি নিজেও কিছু জিন্স ট্রায়াল দিলাম।
ট্রায়াল রমের বাইরে দেখি মোটামুটি ছোটখাট একটা লাইন। ছিটকিনি দেয়া রুমের পাশেই অবশ্য আরেকটা ছোট রুম আছে, যেটা শুধু পর্দা দিয়ে ঢাকা। ট্রায়াল রুমে একজন ঢুকেছে, আমি বাইরে দাঁড়িয়ে। আমার ঠিক পেছনে দুই ইয়ো পোলা ওরফে ড্যুড-যুগল দাঁড়িয়ে, হাফ-প্যান্ট পড়া, ইংরেজিতে খুব ফটফট করছে। একজন ট্রায়াল দিবে, আরেকজন মনে হয় তাকে কিনতে সাহায্য করতে এসেছে। দেরি হবে দেখে সে ঢুকে পড়ল পর্দা দেয়া রুমটাতেই, পাশের জনকে পাহারাতে রেখে।
এরপর শুরু হল তাদের মেজাজ খারাপ করা প্যানপ্যানানি কথাবার্তা!
- ড্যুড, ক্যান ইউ প্লীজ হোল্ড দীজ ফর মি? হ্যান্ড দীজ ওভার মি ওয়ান বাই ওয়ান। লেম্মি ট্রাই, ইউ জাস্ট টেল হাও আই লুক, ইট ফিটস মি ওয়েল অর নট।
- শিওর ড্যুড।
(কয়েক মুহুর্ত যায়)
- হেই ড্যুড, ইউ আর নেকেড! (সুর করে) আই ক্যান সি ইউ! (খেক খেক হাসি)
(ব্যাটা আমার পেছনে দাঁড়িয়ে, তাই আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না সে আসলেই উঁকি-ঝুঁকি মারছিল নাকি মজা করছিল!)
- ড্যুড, আয়্যাম ওয়্যারিং আ শর্টস ইনসাইড, অ্যান্ড হোয়াট এলস উইল ইউ সি!
- ইয়্যাহ, আই হ্যাভ সীন ইউ ইভেন মোর নেকেড দ্যান দিস! (হায় হায়, পোলায় কয় কি!)
আল্লাহপাক মহান, কারণ ঠিক সেই সময় আমার সামনের ট্রায়াল রুমে যে ছিল, সে বের হল। আমি তাকে মধুর হাসির সাথে একটা থ্যাংকস দিলাম! সে মনে হয় পুরোপুরি ঠিক বুঝতে পারছিল না আমি তার সাথে মশকরা করছিলাম নাকি, বেকুবের মত চাহনি দিল একটা।
ট্রায়াল দিতে গিয়ে পড়লাম ভাল ফ্যাঁসাদে। যে জিন্সটা আমি পড়ে ছিলাম, লেখা আছে সেটার কোমর ৩০, অথচ আমার কোমর হবার কথা ৩২। প্রথমে ট্রায়াল দিলাম ৩০, অনেক টাইট। পড়ার পর হয়ত আরেকজনকে (বাইরে দাঁড়ানো ওই ড্যুডের মত!) ডাকতে হবে চেইন লাগায়া দেওয়ার জন্য! এরপর পড়লাম ৩২। এইটা আবার অনেক ল্যুজ। বেল্ট দিয়ে পড়লেও কিছুটা ঢোলা হবে। ভাবলাম ৩১ তাইলে ফিট হবে ঠিকমত। দেখা গেল, সেটা পড়া যায় ঠিকই, কিন্তু তারপরও একটু টাইট-টাইট মনে হয়। কি আর করা যাবে। ৩১ না ৩২ এই নিয়ে অনেক লম্বা সময় ভাবতে থাকলাম। এর মাঝে আমার বাকি বন্ধুরাও পছন্দমত ট্রায়াল দিয়ে যাচ্ছিল। আমার বন্ধুর হাতে একটা জিন্স দেখলাম ৩২ কোমরের, সেটার মাপ আর আমার হাতের ৩২-এর মাপ দেখি আবার আলাদা! একটা ৩২ হলে, আরেকটা অবশ্যই ৩৩ হওয়ার কথা! কি আর করা যাবে, চোখ বুঁজে ৩২ এর সারি থেকে বেছে নিলাম একটা পছন্দমত। বাকিরাও ততক্ষণে কিনে ফেলেছে একগাঁদা। ঘড়িতে ততক্ষণে দেখি সাড়ে নয়টা পার হয়ে গেছে। বিল মিটিয়ে বের হয়ে গেলাম। বাইরে বেরিয়ে ঠিক করা হল পরদিন আবার বের হওয়া হবে বন্ধুর পাঞ্জাবী কেনার জন্য।
গন্তব্য? বাসা! আবার কই!
(৪) ফেরার পথে
বিগ বস থেকে বেরিয়ে প্রথমেই সিএনজি খুঁজলাম। যা আন্দাজ করেছিলাম, পেলাম না। কেউই যাবে না, আর এক চাচামিয়া তো চাইলেন ২০০ টাকা! ভাগ্য ভাল, পাশেই হাসপাতাল ছিল, হার্ট-অ্যাটাক করলেও তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া যেত ওখানে! হাঁটা ধরলাম। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ ফুলের গন্ধ এসে ঝাপটা দিল নাকে! বন্ধু বলল, হাসনাহেনা ফুলের গাছ পাশেই। কতদিন পর এই সুঘ্রাণটা পেলাম! হাঁটার গতি আপনা-আপনি থমকে গেল এক মুহুর্তের জন্য। এক সময় সিটি কলেজের মোড়ে চলে আসলাম। ভেবেছিলাম রাস্তা ফাঁকা পাওয়া যাবে, কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল আমার মত একই চিন্তা করে ঢাকা শহরের সবাইও যেন রাস্তায় নেমে পড়েছেন! মিরপুরের একটা বাস পেয়ে কোনমতে চোখ বুঁজে উঠে পড়লাম। সিট পেলাম এক্কেবারে শেষে। পেইন খাওয়া শুরু হল একটু পরেই। পাশের মিয়াভাই তার মোবাইলে যে গান বাজে, সেটা প্রমাণ করার জন্য মনে হয় উঠে-পড়ে লাগলেন! জেমস দিয়ে শুরু, এরপর বাংলা-হিন্দি সিনেমার যত গান আছে, এমনকি আসিফ-মমতাজের গানও, কিছুই বাদ পড়ল না। দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছি, এমন সময় আমার পাশে বিশালদেহী একজন এসে বসলেন! আমি যতই চাপি না কেন, আংকেলের বসার জায়গা হয় না তাতেও! লে মুসিবত! ওদিকে বাস যে গতিতে আগাচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল, আর কিছু না হোক, সেহরীর আগে অন্তত পৌঁছাতে পারব!
কিছুক্ষণ পরেই শুরু হল কন্ডাক্টরকে গালাগালি। এই একটি কারণে আমি পারতপক্ষে পাবলিক বাসে উঠতে চাই না। আমার চারপাশ থেকে লোকজন যেসব গালাগালি আর কথাবার্তা শুরু করল, শুনে হাসব না অবাক হব, বুঝতে পারছিলাম না। তবে গালাগালি বাদ দিলে, কথা শুনে বেশ হাসি পাচ্ছিল। “ওই কন্ডাক্টর, এইদিকে আয় তুই। আয় তোর চান রাইত বাইর করতেছি”, “আয় তোরে চুম্মা দেই, চান রাইতের চুম্মা” মার্কা কথা শুনলে কারই বা হাসি পাবে না! যাই হোক, রাস্তায় অনেক পেইন খেয়ে, অনেক ঘাম ঝরিয়ে অবশেষে বাসায় পৌঁছালাম প্রায় ১১ টার দিকে।
বাসায় পৌঁছে, ব্যাগ থেকে জিন্সটা বের করে তাকিয়ে দেখি এটার কোমর ৩১! কিন্তু আমি নিশ্চিত যে ৩২ এর সারি থেকেই বেছে নিয়েছিলাম! কি আর করা, গালিভান্ডার থেকে খুঁজে খুঁজে বের করে নিজেকেই গালি দিলাম একটা, “গাধে কা আওলাদ”! পরে অবশ্য বিজ্ঞজনের “লুক অ্যাট দা ব্রাইট সাইড” মার্কা কথার উপরে ভরসা রেখে একটু অনুপ্রাণিত হবার চেষ্টা করলাম এই ভেবে যে, আর কিছু না হোক, অন্তত এইবার কিছুটা ওজন কমাতেই হবে!
পরদিন আর যাওয়া হয়নি মার্কেটে।
মন্তব্য
হু... বিগবসটা ভালো... অনেক কালেকশন ওগো। একটু গলির ভিতরে বইলা লোকজন কম যায়। তবে যারা একবার খোঁজ পাইছে তারা রেগুলার যায়। আমার তো উত্তরা বইলা বহুদিন বিগবসে যাওয়া হয় নাই। ভুইলাই গেছিলাম নামটা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস, আপনে এখন নেপাল-কোলকাতা ছাড়া শপিং করেন না, বিগ বসের নাম ভুইলা তো যাইবেনই!
এখন তো মনে পড়ছে, তাইলে চলেন যাই একদিন
হুম ............... বিগ বসে তাইলে এর অবস্থা !!!!!!!!!
নিবিড়
হ্যাঁ
পড়ে মজা পেলাম। বিগ বস টা কবে হয়েছে? এটার নাম তো আগে শুনিনি।
আমিও ওইদিনই প্রথম গেলাম বিগ বস-এ। কবে হয়েছে, সেই বৃত্তান্ত জানি না।
মজা পেয়েছেন শুনে প্রীত হলাম
হাহাহাহা আমি হাসতে হাসতে পরে গেলাম। ইসস এটা লাইভ দেখতে না জানি কত হাসির ছিল।
পুরো লেখাই খুব মজা লাগল, দুই ডুডের কথা, আপনার ট্রায়ালের কান্ড আর বাসের কান্ড। আরো বাইরে ঘোরাঘুরি করেন আর এমন মজার ঘটনা লিখেন।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমুর সাথে আমিও একমত। ঘোরো আর জ্ঞান অর্জন করো। দরকার হলে চীনে যাও লাগে সি । এন। জি ভাড়া আমি দিমুনে ২০০ টাকা।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরা'পু, চীনে যাওয়ার কোন শখই নাই! গত মাসে একটা সুযোগ আসছিলো, কিন্তু যাইনি
কিন্তু আপনি যখন এত করে বলতেছেন, তাইলে যাব। টাকা পাঠান তাড়াতাড়ি
মুমু আপু, আর বইলেন না, ঘটনাটা লাইভ আরো অনেক মজার ছিল। যে দেখেনি, সে মিস করে ফেলছে
ওই দিন মন খারাপ ছিল খুব। কিন্তু এইসব ঘটনার পর (বিশেষ করে, ড্যুড-কাপল'রে যদি দেখতেন আপনি!) হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল।
ঠিক আছে, এরপর ঘুরতে গেলে মজার কিছু হলে অবশ্যই পোস্ট দিব।
১।
আমি জিন্স ছাড়া আর কিছু পড়িনা। এবং সেই জিন্স আমি বংগের একটা দোকান থেকে। দুইতলায় ' ? ' পাশে সেই দোকান। হাজার জিন্স। ইচ্ছা মতো পছন্দ করে নেয়া যায়। এবং দাম যেকোন মার্কেটের দোকান থেকে তিন গুন কম। তবে ট্রায়াল দেওনের ব্যবস্থা নাই। আমার অবশ্য লাগেও না। ঢিলা হোক কিংবা লম্বা যেকোন জিনিস আমি পড়তে পারি। ঢাইকা রাখতে পারলেই হলো।
২।
হাসনা হেনা ফুলের কথা মনে পড়ে গেল। কলেজে আমরা যখন রাতে একাডেমি বিল্ডিং এ পড়ালেখা করতাম তখন মাঝে মাঝে এই ফুলের সুবাস আসতো।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
ঢিলা হোক কিংবা লম্বা যেকোন জিনিস আমি পড়তে পারি। ঢাইকা রাখতে পারলেই হলো।
হাহাহাহাহাহাহা
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভাই রায়হান, আমি অলস প্রজাতির প্রাণী। বঙ্গে যাইতে খুব আলসেমি লাগে। আর আমার সাইজ মেলানোও খুব কষ্ট হয়া যায়। নিচে কাটতে হয় তো মাস্ট!
তোমার কমেন্টে মজা পাইলাম হেভী
বিগ বস নাম শুইন্যাই ভাবলাম এইবার দেখি কেমনে ঝাড়িডা খায় ! ওমা, এরা দেখি দিব্যি বাজার-সদাই কইরা আমগোরে টা টা জানায় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কেন রে ভাই, আমি কি আপনার পাকা ধানে মই দিছি নাকি যে আমার ঝাড়ি খাওয়ার সম্ভাবনা কল্পনা করে আপনি নড়ে-চড়ে বসলেন!
আমি জিন্স আর জুতাটা কিনি এক্কেবারে পাক্কা দরজি আর মুচির দৃষ্টি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
এই দুইটার জন্যই বহু বছর থেকে পলওয়েল আমার একমাত্র শপিং সেন্টার
জিন্স ছাড়া কিছু পরিও না
ফতুয়া টিশার্ট যা পরি সব খয়রাতের মাল
পাবলিকের দেয়া
শার্ট পরি না তবু্ও জমে গেছে অনেকগুলো
পাঞ্জাবি একেবারেই পরি না বলে সম্ভাব্য খয়রাত দাতাদের আগেই জানিয়ে দেই ওগুলো দিয়ে লাভ নেই
০২
পৃথিবীতে শান্তিতে থাকার প্রথম কৌশল হলো শপিং সেন্টারে নিজে যাওয়ার প্রয়োজন কমিয়ে দেয়া
একমত। কিন্তু জানেন তো, কতো রমণী শপিং সেন্টার ভ্রমণ করে স্বর্গসুখ লাভ করে থাকে! তাইলে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্ন্যাসী ভাইজান, এইসকল রমনীকূলের জন্যই কিন্তু পুরুষকূলের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শপিং সেন্টার ভ্রমণে আগ্রহী হয়
সেইটা কি স্বর্গসুখ লাভের চেয়ে কোন অংশে কম?
লীলেন ভাই, আমি আপনার গিফট-পাওয়ার ভাগ্যকে খুব হিংসা করি! আম-কাঁঠাল-কলা-খেঁজুর থেকে শুরু করে শার্ট-টি শার্ট-জিন্স-ফতুয়া সবই তো দেখি আপনি উপহার পান! আহারে, এর সিকিভাগও যদি পাইতাম এই ব্যাপারে মহামতি তানবীরা'র সিগনেচার উল্লেখ করা যাইতে পারে, 'চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভাল লাগে'
মাঝে মাঝে শপিংয়ে যাওয়া কিন্তু খুব একটা শান্তিবিনষ্টকারক নয়
লীলেন ভাই, এক্কেরে হক্কথা লাগাইছেন...
ঠিক
অনেক মেয়েই, জানি, এক সাইজ কমের পোশাক কিনে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করে ওজন কমাতে।
পুনশ্চ. রায়হান আবীর আর মাহবুব লীলেনের মতো আমিও জিনস-প্রেমে একগামী।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমার প্যান্টটা কিন্তু ঠিকমতই পড়া যায়! আপনি তো মেয়েদের ব্যাপারে অনেক কিছু জানেন দেখি! আপনার কাছে ক্র্যাশ কোর্স করতে হবে কিছু
অফিস ছাড়া আমিও সবসময়ই জিন্সই পড়ি এবং পড়তে পছন্দ করি
এইটা আবার "শুধু নারীদের ভালবাসি"-র মতো "একগামী" নয় তো?
খোলসা করে বলি।
আমি "জিনস-প্রেমে একগামী" মানে কি একটা প্যান্টই সারা জীবন পরি?
এর পরেও কি "নারীপ্রেমে একগামী"-র অর্থ আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
না রে ভাই, আমি কিন্তু তা মোটেও বোঝাইনি। প্রশ্নটা ঠিকঠাকমত করতে পারিনি আসলে।
জিন্সেরও তো রকমফের আছে। নানান বর্ণের, নানান সাইজের, নানান ধরণের ঠিক যেমনটা .... (এর অর্থও কি আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবে?)
তবে একটা কথা না বললেই না, আপনার মন্তব্য পড়ে আমি টানা কয়েক মিনিট হাসলাম। আপনার সেন্স অভ হিউমার'কে সালাম
বিগ বসে অনেক আগে থেকেই যাই (মানে যেতাম)। তবে আপনার মত ডুড দেখার সৌভাগ্য হয় নাই।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
তাইলে আপনি যে কি মিস করছেন, নিজেও বুঝতে পারতেছেন না
নতুন মন্তব্য করুন