চিন্তাভাবনা ১ঃ মিলগ্রাম পরীক্ষা- সব মানুষেই দানব থাকে?

সজীব ওসমান এর ছবি
লিখেছেন সজীব ওসমান (তারিখ: শনি, ১৪/০৯/২০১৩ - ১১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিউরোবিজ্ঞানের প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তায় আলোচনাগুলি উঠে এসেছে। মস্তিষ্ক নিয়ে কাজ করা এসব মানুষেরা কৌতুহল নিয়ে মানুষের কর্মকান্ডকে দেখেন এবং বিশ্লেষণ করেন। এখানে আলোচনার কিয়দংশ তুলে দিচ্ছি।

মানুষ যখন জানে যে তার কোন কৃতকর্মের দায়দায়িত্ব তার নিজের উপর বর্তাবে না, মানে তার বসবাসকৃত সমাজে প্রতিষ্ঠিত স্বত্তার উপর বর্তাবে না, অন্য কেউ সেই দায়দায়িত্ব নেবেন, তখন হয়তো সেই মানুষ যেকোন নিকৃষ্ট কাজই করতে চেষ্টা করতে পারেন। যেমন আবু গারিব কারাগারে যেসব নৃশংসতাগুলি হয়েছে সেগুলির কথা চিন্তা করা যায়- যদি সেখানে আপনার একজন 'বস' থাকেন এবং তিনি আপনাকে নির্দেশ দেন যে- যেকোন উপায়ে কয়েদিদের কাছ থেকে কথা বের করতে, তবে আপনি জানেন যে আপনার যেকোন কাজের দায়ভার নেবেন আপনার বস। তখন আপনি হয়ত যেকোন ধরনের নৃশংসতাই করতে পারেন। আপনার মনের সব পঙ্কিল ভাবনা হয়তো উঠে আসবে বাস্তবে। মানুষ বেশিরভাগ সময়েই সমাজ অনুযায়ী ব্যাক্তিত্ব বহন করে। সুযোগ বা সমাজের সহায়তা পেলে আপনিও যে নৃশংসতা করবেন না সেটা কে বলতে পারে? আবু গারিবের ভেতরের সৈন্য হিসেবে নিজেও হয়তো একই কাজ করতেন!

কিন্তু শুধু নৃশংসতা দিয়েই এমন আচরনকে বেঁধে দেয়া যাবেনা। অন্যান্য অনেক আচরনই আপনি করতে পারেন যেটা কোন নির্দিষ্ট সমাজে আপনার প্রতিষ্ঠিত স্বত্তার চেয়ে ভিন্ন। আপনি ফেইসবুকে ফেইক আইডি দিয়ে এমন কথা বলেন যেটা আপনি নিজের লেবাসে কখনই বলবেন না। কিন্তু দুইটা স্বত্ত্বাই আপনি নিজে। হয়তো লক্ষ্য করেছেন- যেই সমাজে আপনাকে কেউ চেনেনা সেই সমাজে আপনার ব্যবহার ভিন্ন। আপনার চেপে রাখা বা সুপ্ত স্বত্তা আলো বাতাস পেলে ঠিকই ডানা মেলে দিতে পারে।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিখ্যাত পরীক্ষার কথা উল্লেখ করছি- নাম মিলগ্রাম পরীক্ষা। ১৯৬১ সালের পরীক্ষাটিতে মিলগ্রাম খুঁজতে চেয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন খলনায়ক, নৃশংস গণহত্যার হোতা এডল্ফ আইখম্যানের অঙ্গুলিহেলনে যেই সৈন্যরা লাখ লাখ মানুষ মেরেছে তারা কি শুধু আদেশ পালন করেছে? এমন অবস্থায় একজন সৈন্য (যে মানুষও) সে কি করে? মানুষকে কোন কিছু করার আদেশ দিলে কি তার মধ্যে সাধারন জীবনের চেয়ে ভিন্ন স্বত্তা কাজ করে?

মিলগ্রামের পরীক্ষাটিতে একজন ভলান্টিয়ার ছিলেন এবং একজন ভান করছিলেন যে তিনিও ভলান্টিয়ার। ভান করা ব্যক্তির অভিব্যক্তি রের্কড করে বাজানো হচ্ছিল। এখন যিনি আসল ভলান্টিয়ার ছিলেন তাকে 'শিক্ষক' বানানো হল। আর ভান করা ব্যক্তিকে 'ছাত্র'। শিক্ষক মশাই ছাত্রকে দেখছিলেন না। কিন্তু তার শব্দ শুনছিলেন। আর শিক্ষককে নির্দেশ দিচ্ছিলেন আরেকজন। পরীক্ষাটি হল এরকম- শিক্ষক (মানে ভলান্টিয়ারটি, যে পরীক্ষাটির আসল উদ্দেশ্য জানেনা) ছাত্রকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন। ছাত্র উত্তর পারলে পরের প্রশ্নে যাবেন। কিন্তু উত্তর ভুল হলে একটি বোতাম টিপবেন যাতে ছাত্র একটি বৈদ্যুতিক শক খায়। প্রতিবার ভুলের জন্য শক খাবেন ছাত্র এবং প্রতিবার শকের মাত্রা ১৫ ভোল্ট করে বাড়বে।

পরীক্ষাটি অনেকগুলি ভলান্টিয়ার (শিক্ষক) দিয়ে করা হয়েছিল। এখানে বলে রাখি- ছাত্রগুলির শক খেয়ে প্রতিক্রিয়ায় আওয়াজ রের্কড করা ছিল, সত্যিই কাউকে শক দেয়া হয়নি। তো শকের মাত্রা বাড়তে থাকার একটা পর্যায়ে ছাত্রগুলি দেয়ালে বাড়ি দিয়ে কাকুতি মিনতি করতে থাকে যেন আর শক দেয়া না হয়। তখন বেশিরভাগ ভলান্টিয়ারই চিন্তিত হয়ে পড়েন ছাত্রের ব্যাপারে, যেহেতু তারা দেখছিলেন না কাকে শক দিচ্ছেন। ভাবছেন যে সত্যিই ছাত্রের খারাপ অবস্থা। কিন্তু এই পর্যায়ে যখন শিক্ষককে বলা হয় যে 'যাই হোক না কেন দায়দায়িত্ব তার না, তাকে নির্দেশ মানতে হবে', তখন বেশিরভাগ ভলান্টিয়ারই এরপরও শক দিতেই থাকেন। যদিও জানেন যে এতে ছাত্রটি মারা যেতে পারে। যেসব নির্দেশে ভলান্টিয়ারকে পরের শক দিতে বলা হয়েছিল সেগুলো হল-

১. Please continue.
২. The experiment requires that you continue.
৩. It is absolutely essential that you continue.
৪. You have no other choice, you must go on.

আইখম্যান বা এইরকম কোন সেনাপতির নির্দেশ যারা পালন করে, মানে সৈন্যরা কি এমনটাই করেছিল? আমরা যদি একই অবস্থায় থাকতাম তবে কি আমরাও একই কাজ করতাম?

যারা ধর্মের বা অন্য আইডিওলজির নামে হত্যা করেন তারা ভাবেন যে তাদেরকে এমন আদেশ দেয়া হয়েছে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে বা সুপ্রিম লিডারের কাছ থেকে। ফলে তারা কোন দায়ভার নেন না- খুন তখন সহজ হয়ে যায়। ইরাকে-আফগানিস্তানে-পাকিস্তানে মসজিদে বোমা মারছেন, তালিবানি/হেফাজতি/রাজনৈতিক সৈন্য হচ্ছেন, ক্লু-ক্লাক্স-ক্লান হচ্ছেন। ভাবুন তো? সতীদাহ প্রথা বিদ্যামান যেসময়ের সমাজে সেসময়ে আপনি সমাজের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে কি একই প্রথায় চলতেন না? এখন হয়তো ভাবছেন যে আপনি নিজে মোটেই অমন নন। কিন্তু সত্যিই কি তাই?

অদ্ভুত মন!


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

চলুক
"অদ্ভুত মন!"

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সজীব ওসমান এর ছবি

ধন্যবাদ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক ( মন খারাপ )

আচ্ছা, ওষুধপাতি দিয়ে কিংবা জ্বিনভুতের গঠন পাল্টে দিয়ে কি এ থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সজীব ওসমান এর ছবি

মস্তিষ্কের এমিগডেলা নামক জায়গার সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যা জীববৈজ্ঞানিক কারন হিসেবে দাঁড় করানো যায়। কিন্তু সেইটা দিয়ে সবটুকু ব্যাখ্যা হয়না। কারন আরোপিত বা পরিবেশ-সমাজের প্রভাব আছে। জিন পরিবর্তনে কতটুকু লাভ হবে বা আদৌ করা যাবে কিনা জানিনা।

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

অনলাইনে আমরা যেসব বিষয়ে প্রতিবাদের রোল তুলি, কিবোর্ড ভাঙি, বাস্তবে হলে হয়ত ১% লোক সোচ্চার হতো। আমি জনতার শক্তিকে অগ্রাহ্য করছি না, শুধু বলছি সাইবার স্পেসে আমাদের নিজেদের অনেক 'এম্পাওয়ারড' মনে হয়, বাইরে বেরুলে সেই সাহসটা অনেকের আর থাকে না।

আর, সমাজে একটা অন্যায় চলতে থাকলে তার প্রতিকূলে দাঁড়ানো কঠিন, অথবা বেড়ে ওঠার পারিপার্শ্বের ফলে যাওয়া ছাপ মুছে ফেলাও কঠিন। যেমন, আমি যদি ছোটবেলা থেকে শুনে বড় হতাম যে সতীদাহ প্রথাটা ঠিক আছে, এর এই এই ভালো দিক আছে, আমি হয়ত এটাকে একটা স্বাভাবিক বা নেসেসারি ইভিল মনে করতাম। (লেখকের উদাহরণেই বললাম)

আজকে যে শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মী গরিবের অধিকার আদায়ের জন্য স্লোগান দেয়, শ্রমিকের ঘামের মজুরি চুরি হচ্ছে বলে মনে, নেতা হবার পরে সেই সেসব ভুলে যায়। মন্তব্য খানিকটা বেলাইনে চলে গেল, দুঃখিত।

লেখার জন্য শুভেচ্ছা হাসি

সজীব ওসমান এর ছবি

হুমম

অতিথি লেখক এর ছবি

আবু গারেব বা সতীদাহ এসব হাল্কা বিষয় বাদ দিন।

হিটলারের গ্যাসচেম্বার বা রুয়ান্ডার গণহত্যা বা ভিয়েতনামে মার্কিনীদের পৈশাচিকতা অথবা ৭১এ পাকিদের বাঙালি নিধনের বর্বরতা কল্পনা করুন। এসবের ছবি দেখলে বমি আসে,কল্পনা করলে কান্না পায়।
এগুলি তো মানুষেরই কাজ,অথবা মানুষ নামক দানবের।
কিন্তু বিশ্বাস করুন ,মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারগুলোকে গ্যাসচেম্বারে ভরে বা একসাথে জড় করে নাঙ্গা তরবারি হাতে অথবা নাপাম বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না।
তাহলে আমি কি দানব হয়ে গেলাম? এই দানবিকতাতে আমি খুশি।

শাকিল অরিত

যারা বর্তমান জগতে অহিংস, সাধারণ,নিরপেক্ষ,গান্ধীবাদি, প্রকৃতিবাদি ইত্যাদি ইত্যাদি হয়ে একটা আলাদা ভাব নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা আসলে এসব তথাকথিত মুখোশের আড়ালে নপুংসকের রাজত্তে বাস করছেন।

সজীব ওসমান এর ছবি

শাস্তি দেয়া দানবিকতা হয়তো নয়। এখানে আমাদের স্বত্তা কিভাবে সমাজ এবং পরিস্থিতিতে পরিবর্তন হয় সেসব নিয়ে কথা আসছে। মুখোশের আড়ালে প্রায় সবাই থাকেন। কারন আপনার সমাজে আপনি আপনার কিছু চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে পারবেন না।

সজীব ওসমান এর ছবি

পরীক্ষাটি এসেছেই হিটলার বাহিনীর কর্মকান্ড থেকে। সতীদাহ হাল্কা বিষয় নয় জনাব।

বন্দনা এর ছবি

ইন্টেরেস্টিং তো! মরে যেতে পারে জেনে ও শক দিচ্ছে।

সজীব ওসমান এর ছবি

হুমম

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

তাহলে মানুষমাত্রই দানব - শুধুমাত্র পারিপার্শ্বিকতার চাপে আমরা সোজা হয়ে থাকি?

____________________________

সজীব ওসমান এর ছবি

'বেশিরভাগ' ভলান্টিয়ার শক দেয়া চালিয়ে গেছেন। সবাই কিন্তু নন।

এক লহমা এর ছবি

চলুক
মানুষ জন্মায় পশু হয়ে, পরিবেশ পরিস্থিতি আর তার নিজস্ব ঝোঁক-এর প্রভাবে সে মানুষ হয়ে ওঠে। ঐ তিন-এর তেমন তেমন সমন্বয়ে আবার কোন মানুষ অন‌্য কিছু যেমন দানব বা দেবতাও হয়ে উঠতে পারে বৈকি!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অত দূর যাওয়া লাগে নাকি
গ্রামে চোর পিটানোর ক্রিয়েটিভ কৌশল দেখলেই তো হয়

এক লহমা এর ছবি

কিংবা শহরের রাস্তায় পকেটমার পিটানো। এমনকি প্রমাণটাও পেতে লাগে না যে লোকটা আদপেই পকেটমার কি না। একটা ঘোষনা-কে কয়েকজন সমর্থন দিয়ে দিলেই হবে, গ্রেপ্তার-বিচার-শাস্তি-বারোয়ারী আহ্লাদ সব এক প্যাকেটে মিলে যাবে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

মিলগ্রাম পরীক্ষা কি তাহলে দেখিয়ে দিলো আমাদের বেশিরভাগ মানুষ নির্দেশের জন্যই নির্মমতা চালিয়ে যাই, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুই দেখি না? আমার কাছে তো মনে হচ্ছে, মিলগ্রাম পরীক্ষার যারা আসল ভলান্টিয়ার, তাদের মধ্যে যারা শক চালিয়ে গিয়েছেন, তারা তো খুব ভয়ংকর!

অনেক আচরনই আপনি করতে পারেন যেটা কোন নির্দিষ্ট সমাজে আপনার প্রতিষ্ঠিত স্বত্তার চেয়ে ভিন্ন। আপনি ফেইসবুকে ফেইক আইডি দিয়ে এমন কথা বলেন যেটা আপনি নিজের লেবাসে কখনই বলবেন না। কিন্তু দুইটা স্বত্ত্বাই আপনি নিজে। হয়তো লক্ষ্য করেছেন- যেই সমাজে আপনাকে কেউ চেনেনা সেই সমাজে আপনার ব্যবহার ভিন্ন। আপনার চেপে রাখা বা সুপ্ত স্বত্তা আলো বাতাস পেলে ঠিকই ডানা মেলে দিতে পারে।

- একদম খাঁটি কথা।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

রায়হান রশিদ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

গান্ধর্বী

অতিথি লেখক এর ছবি

সব মানুষের ভিতরই কি তবে দানব বাস করে? অ্যাঁ

যারা ধর্মের বা অন্য আইডিওলজির নামে হত্যা করেন তারা ভাবেন যে তাদেরকে এমন আদেশ দেয়া হয়েছে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে বা সুপ্রিম লিডারের কাছ থেকে। ফলে তারা কোন দায়ভার নেন না- খুন তখন সহজ হয়ে যায়। ইরাকে-আফগানিস্তানে-পাকিস্তানে মসজিদে বোমা মারছেন, তালিবানি/হেফাজতি/রাজনৈতিক সৈন্য হচ্ছেন, ক্লু-ক্লাক্স-ক্লান হচ্ছেন। ভাবুন তো? সতীদাহ প্রথা বিদ্যামান যেসময়ের সমাজে সেসময়ে আপনি সমাজের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে কি একই প্রথায় চলতেন না?

চলুক

ইসরাত

সুবোধ অবোধ এর ছবি

কঠিন বাস্তব! !!!
চলুক

নিলয় নন্দী এর ছবি

দারুণ ! চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

সব মানুষের ভিতরেই দানব বাস করে,হিংস্রতা থাকে।একটা অস্ত্র হাতে আসলেই কেমন করে জানি নিজের ভিতরের মানুষটা বদলে যেতে থাকে।আর যখন কেউ আপনাকে নির্ভরতা দিবে যে এই অস্ত্র দিয়ে আপনি যা করেননা কেন তার দায়ভার আপনার উপর বর্তাবেনা কিংবা এটার শাস্তি আপনাকে পেতে হবে না তখন আর আপনি আপনার সেই আগের আপনিতে থাকবেন না বেশিভাগ ক্ষেত্রে।ছোট একটা ছুরি,কিংবা একটা লাঠি হাতে থাকলে দেখা যাবে আপনি কোথাও না কোথাও বাড়ি দিচ্ছেন,ছুরি থাকলে হাতে আপনি অকারনে গাছে চুরিকাঘাত করবেন।এমনটা আমি অনেকদিন দেখেছি।এগুলোকে খুব সহজাত প্রবৃত্তি বলা যায় কিন্তু তাই বলে সবাই দানব আর হিংস্র হয়না।মানবতার চর্চা,বোধের বিকাশ আর মানবিক প্রেম থাকলে মানুষ আর অমানুষ হয়ে ওঠেনা,মানুষের মাঝে বাস করা দানবটা আর বড় হয়ে ওঠেনা।

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।