নিউরোবিজ্ঞানের প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তায় আলোচনাগুলি উঠে এসেছে। মস্তিষ্ক নিয়ে কাজ করা এসব মানুষেরা কৌতুহল নিয়ে মানুষের কর্মকান্ডকে দেখেন এবং বিশ্লেষণ করেন। এখানে আলোচনার কিয়দংশ তুলে দিচ্ছি।
আমরা কি মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীর আচরন কে কৃত্রিমভাবেই পরিবর্তন করে দিতে পারি? অথবা কারও মধ্যে কোন বিশষ ধরেনের শারীরবৃত্তিক ক্রিয়া বা আচরন কৃত্রিমভাবে তৈরি বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? সহজভাবে বললে, আমরা কি পারি একটা প্রাণীর মধ্যে এমন দৈহিক আচরন তৈরি করতে যা তার মধ্যে পূর্বে ছিলনা? পরীক্ষা বলছে করা সম্ভব। বলছি।
তার আগে চলুন দুইটা ব্যপার জেনে নেই- conditional stimuli এবং unconditional stimuli। আমরা যখন জন্মগতভাবে কোন কিছুর প্রভাবে বা stimuli তে সংবেদনশীল হই এবং আচরনে প্রতিফলন করি তখন সেই প্রভাবকে বলে unconditional stimuli। যেমন চোখের সরাসরি অনেক আলো ফেললে বা সূর্যের দিকে তাকাতে গেলে চোখ ছোট করে ফেলি যেন চোখে অধিক আলো ঢুকে চোখের ক্ষতি না হয়। আর যদি আমরা কোন কিছুর প্রভাবে এমন আচরন করি যেটা আমাদের ধীরে ধীরে শিখতে হয়েছে কোন কিছুর প্রভাবের বিপরীতে তবে সেই প্রভাবকে বলে বলে conditional stimuli। আর এই কন্ডিশন হওয়া প্রাণীর যেটা হয় তাকে বলে classical conditioning। আর যেটা প্রাণীটা করে তাকে বলে conditioned reflex।
যেমন মনে করেন আপনাকে কেউ রাস্তায় ইভ টিজ করছে নিয়মিত। আর সহ্য করতে না পেরে আপনি একদিন থেকে ছেলেটা যতবার ইভ টিজ করছে ততবার করে কষে একটা চড় মারছেন। চড় খেয়ে ছেলেটা দৌড় মারছে প্রতিবার। গাধা ছেলে বলে একবারে শিক্ষা হচ্ছেনা। বার বার ইভ টিজ করতে চলে আসছে আর চড় খাচ্ছে। একদিন দেখতে পেলেন আপনাকে দেখেই ছেলেটা দৌড় দিচ্ছে। যেখানে দেখছে সেখান থেকেই দৌড়ে পালাচ্ছে। আপনাকে আর চড় মারতে হচ্ছেনা। তার মানে আপনার চড় (conditional stimuli) মারার ফলে ছেলেটা দৌড় দেয়ার আচরন টা কন্ডিশন্ড হয়েছে। এখানে দৌড় দেয়াটা হল conditional response। আর আপনাকে দেখাটা হল unconditional stimuli। কিন্তু আগে এই unconditional stimuli পেয়ে দৌড় দিতো না। আপনি unconditional stimuli (আপনাকে দেখা) এর প্রভাবে conditional response (দৌড়) তৈরি করেছেন conditional stimuli (চড়) দিয়ে দিয়ে।
এখন কথা হল আসলেই কি আচরন পরিবর্তন শেখা যায় কোন প্রভাব বা stimuli তে? এবিষয়ে দুইটা পরীক্ষা জগদ্বিখ্যাত। তবে পরীক্ষাগুলি নিয়ে বহু বিতর্ক আছে এর নৈতিকতা নিয়ে। বিশেষ করে দ্বিতীয় পরীক্ষাটা তো এখন পুনরায় করা বারণ!
পাভলভের কুকুরঃ
নোবেল বিজয়ী শরীরতত্ত্ববিদ আইভান পেট্রোভিচ পাভলভের একটি পরীক্ষা মনোবিজ্ঞানের প্রাথমিক শিক্ষায় ক্লাসিকাল কিন্ডিশনিং এর উদাহরণ হিসেবে পড়ানো হয়। পরীক্ষাটি পাভলভ করেছিলেন একটি কুকুরের উপর-
পাভলভ কুকুরটিকে নিয়মিত খাবার দিতেন নিয়মিত। কিন্তু প্রতিবার খাবার দেয়ার আগে একটা ঘন্টা বাজাতেন। এভাবে বেশ কয়েকদিন একই কাজ করলেন। খাবার এলে কুকুরটির খাবার দেখে মুখ দিয়ে লালা পরতে শুরু করতো। তো একদিন পাভলভ ঘন্টা ঠিকই বাজালেন, কিন্তু খাবার আর দিলেন না। কিন্তু দেখলেন কুকুরটি ঠিকই লালা ঝরাচ্ছে। মানে কুকুরটা খাবার না দেখেই শুধু ঘন্টা শুনে লালা ফেলছে। পাভলভ সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন যে প্রাণীকে কন্ডিশন্ড করা যায় কৃত্রিমভাবে।
ছোট্ট অ্যালবার্টঃ
পাভলভের কুকুর পরীক্ষাটিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জন ওয়াটসন। পরীক্ষাটি তিনি করলেন একটি ছোট শিশুর উপর। দেখতে চাইলেন ভয়ের অনুভূতি মানুষের মধ্যে কৃত্রিমভাবে জাগানো যায় কিনা। মানে মানষকে এভাবে কন্ডিশন্ড করা যায় কিনা।
নয় মাস বয়সের এই শিশুটির অন্য শিশুদের মতই কিছু জিনিসে কোন ভয় ছিলনা। যেমন কোন ইঁদুর কে তার সামনে আনলে সে ভয় পেতোনা। বরং কৌতুহলী হয়ে ধরতে চাইতো ইঁদুরটা। কিন্তু এরপর ওয়াটসন তার অপপরীক্ষাটা শুরু করলেন। তিনি ইঁদুরটা শিশুটির সামনে নিয়ে আসার পরে পিছন থেকে খুব জোড়ে একটা শব্দ করতেন। শিশুটি ভয়ে কেঁপে উঠতো। এভাবে কিছুদিন একই কাজ বার বার করলেন। একসময় এমন হল যে অ্যালবার্ট কোন শব্দ ছাড়াই ইঁদুরটি সামনে আনলেই কাঁদতে শুরু করে। ইঁদুরকে আর পছন্দ করতো না অ্যালবার্ট।
কন্ডিশনিং করার আগে ছোট্ট অ্যালবার্ট ইঁদুরটির সাথে খেলছে
পরীক্ষাটির ফলাফল এভাবে লিপিবদ্ধ করা হলঃ
- Introduction of a loud sound (unconditioned stimulus) resulted in fear (unconditioned response), a natural response.
- Introduction of a rat (neutral stimulus) paired with the loud sound (unconditioned stimulus) resulted in fear (unconditioned response).
- Successive introductions of a rat (conditioned stimulus) resulted in fear (conditioned response).
এরপরের কাহিনী করুণ। অ্যালবার্টের মা এবং শিশুটিকে গোপনে সরিয়ে নেয়া হল কোন অজ্ঞাত স্থানে। পরে জানা গেল অবোধ শিশুটি মারা গিয়েছে ছয় বছর বয়সে, হাইড্রোসেফালাস নামক মস্তিষ্কে পানি জমার একটি রোগে। সেজন্য এরকম কৃত্রিমভাবে ভয় তৈরি করাটা সারাজীবনের জন্য রয়ে যায় কিনা সেটা ওয়াটসনের পরীক্ষা করা হয়নি। ওয়াটসনের হাত থেকে মুক্তি কি শিশুটা এভাবেই পেয়েছিল? পরীক্ষাটা নিঃসন্দেহে অমানবিক ছিল এবং এখন এই রকম কোন পরীক্ষা করাটাই অবৈধ।
অ্যালবার্টের উপর করা পরীক্ষাটা ভিডিওটি থেকে দেখে নিতে পারেন
ব্যাপার হল আমরা কি এরকম পরীক্ষা আসলেই চাই? বহু ক্ষেত্রে প্রাণীদের বলিদান করতে হয় পরীক্ষার জন্য। সেটা এড়ানো যাবেনা। এসব পরীক্ষার জন্যই আমরা বেশিরভাগ রোগের কারন প্রতিষেধক খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু অন্য প্রাণীর উপর যেসব জীববৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা যায় তার বেশিরভাগই মানুষের উপর করা যায়না। কিন্তু মোনবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা? হয়তো যায়না। দৈহিক এবং মানসিক গঠন মানুষকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। মানব-মন যেভাবে চিন্তা করে, যেভাবে বিবর্তিত হয়েছে তা অন্য প্রাণীর চেয়ে আলাদা। তার বিকাশ স্বাভাবিক হওয়া উচিত। প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তনিক কারনে পরিবর্তন হওয়া উচিত মন।
একটা জিনিস হয়তো খেয়াল করেছেন। আমরা কিন্তু নিজেদের অজান্তেই ক্লাসিকাল কন্ডিশনিং করে দেই ছোট ছোট শিশুদের। যেমন কথা না শুনলে কাজের ছেলটাকে বা নিজের ছেলেমেয়েকে পিটিয়ে ছাল তুলে ফেলি। ভয়ের যে অনুভূতি তার মনে ঢুকছে তাতে কি তার স্বাভাবিক মানবিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছেনা? বা মনে করুন মুখস্থ করিয়ে করিয়ে পড়াশোনা করানোর ফলে একধরনে ক্লাসিকাল কন্ডিশনিং হচ্ছে। ভবিষ্যতে 'ক্রিয়েটিভ থিংকিং' এর প্রয়োজনটার সম্পূর্ণ ইতি হয়তো টেনে দিচ্ছি এভাবে।
নিজে নিজে চিন্তা করতে দিলে শিশুদের মনের ক্রিয়েটিভিটির ডানা মেলে। রূপকথা পড়তে দেয়া শিশুকে সেজন্য জরুরী। সঙ্গে এটা বুঝিয়ে দেয়াও যে কোনটা সঠিক, কোনটা নয়। কোনটা বাস্তব, কোনটা নয়। শিশুদের আদর করে বুঝিয়ে বললে সবচাইতে ভাল শেখে। মারলে নয়। কাজের ছেলে বা মেয়েটিকেও। আজকেই শিশুর উপর শারীরিক প্রহার বন্ধ করুন।
মন্তব্য
এইসব পরীক্ষা (আলবার্টের উপর করা পরীক্ষার মত) আর তার নৈতিকতা নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখুন আরেকটা লেখায়।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হুম। দেখি। ইচ্ছা হলে লিখব। ধন্যবাদ।
আপনার এই সিরিজটা পড়ে জোনা লেরারের হাউ উই ডিসাইড বইটার কথা মনে হচ্ছে। সেখানে এই পরীক্ষাগুলোর কথা বলা ছিলো।
দারুন। বইটা পড়ার ইচ্ছা রইল।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ
মূল বিষয় হলো মানুষ কিংবা প্রাণী প্রবাভক/নিয়ামক দ্বারা প্রভাবিন্বত হয়।এই প্রভাবক আচরন,অভ্যেসে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।আমরা জন্মগত ভাবে যা পাই তাকে বাংলায় বলা হয় সহজাত আচরন আর পরিবেশ,শিক্ষা যেগুলো নিয়ামক হিসাবে কাজ করে আমাদের মধ্যে নতুন কিছুর সংযোজন ঘটায় তাকে বলা হয় অর্জিত আচরন।research methodology তে এটা নিয়ে পড়েছিলাম কিছুটা,দারুন ইন্টারইষ্টিং একটা সাবজেক্ট।যেমন কুকুরের যে উদাহারনটা দিছেন সেটা ওখানে পড়েছিলাম।তারপর কৌশল অর্জনের একটা পরীক্ষাও এইভাবে করা হয়েছে।এই বিষয়ে আপনার জানার পরিধি নিশ্চয় অনেক ভালো,তাই আরেকটু গভীরে গিয়ে আরো কিছু উদাহারন দিয়ে পুরো বিষয়টা নিয়ে একটা লিখা লিখবেন আশা করি।ভালোথাকবেন।
মাসুদ সজীব
ধন্যবাদ। আসলে পরীক্ষাগুলি অন্তত ৯০ বছর আগে করা। এখন আমাদের কাছে অবশ্যম্ভাবী মন হলেও তাই মানুষের ব্যবহার, আচরন নিয়ে খুব বেশি তথ্য হয়তো তখন ছিলনা। আমিও খুব বেশি জানিনা। সম্প্রতি আগ্রহ জন্মেছে। ধন্যবাদ।
আরেকটা ব্যাপার। পাভলভের কুকুরের ফলাফল এবং বিশ্লেষণ নিয়ে বিতর্ক আছে। আসলে দুইটা পরীক্ষা নিয়েই। যেমন, আমাদের এরকম আচরণ টা কি অনুমান থেকে আসছে নাকি কন্ডিশনড হওয়া থেকে। যেমন, ঘন্টা বাজলেই কুকুর হয়তো অনুমান করে এখনই খাবার আসবে, তাই খাবারের চিন্তায় লালা ঝরে। অ্যালবার্টের ক্ষেত্রেও হয়তো তাই, তাইনা?
আচরন আসলে অনেক কিছু দ্বারা পরিবর্তন হতে পারে।হতে পারে সেটা অনুমান,পূর্ব অভিজ্ঞতা,কিংবা নতুন শিখা কৌশল দিয়ে।একটা উদাহারন দিয়ে বলি।শিল্প বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ডেক যখন নতুন নুতন শিল্প কারখানা গড়ে উঠছিলো তখন কিং ফ্লাইস নামক একপ্রকার(সবুজ বর্নের মাছি) মাছি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হুমকির মুখে পড়ছিলো।কারন শিল্পকারখানা কালো ধোয়াতে গাছের পাতা তার সবুজ বর্ণ হারিয়ে কালো হতে শুরু করেছিলো।ফলে মাছিগুলো যখন গাছের ডালে কিংবা পাতায় বসতো তখন সহজেই শিকারির চোখে পড়ে যেত।শিকারির হাত থেকে বাচার জন্যে তারা তাদের মাঝে কিছু শারীরিক পরিবর্তন এনেছিলো।বিষয়টা এমন না যে চাইলেই যে কেউ শারীরিক পরিবর্তন আনতে পারে।এটা ছিলো আসলে একটা কৌশলগত পরিবর্তন।তারা শিল্পকারখানার কালো ধোয়ায় তাদের শরীরের বহি:ভাগ কালো করেছিলো,ফলে গাছের পাতায় বসলে তাদেরকে আর সহজে দৃষ্টিগোচর হতো না।এই কৌশলগত পরিবর্তন তাদেরকে বিনাশের হাত থেকে বাচিয়ে দিয়েছিলো।সবচেয়ে ইন্টারইষ্টিং বিষয় হলো এই অস্থায়ী শারীরিক পরিবর্তন তাদের পরবর্তি বংশধরদের মাঝে স্থায়ীরুপে এসেছিলো জীনগত কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে।এটাকে বিবর্তনের একটা ধাপও বলা যায়,টিকে থাকার চেষ্টায় বাহ্যিক বা শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে আসা।
আপনি যেটা বললেন সেটা ঠিক আছে,বিতর্ক থাকবেই।বিতর্ক ছাড়া তো বিজ্ঞান আগাবেনা,সত্যিটা জানা হবে না।পরিবর্তন আনায়ন সম্ভব এটাই হলো মূল বিষয় এখন সেটা কতোখানি অনুমান থেকে নেওয়া শিক্ষায় আর কতোটা কন্ডিশনড হওয়া থেকে সেটা জানার জন্যে ব্যাপক গবেষনা দরকার।এই বিষয়ে গবেষনা আসলে অপ্রতুল।আর আমার নিজের জ্ঞান আর পড়াশোনাও যথেষ্ট কম এই বিষয়ে।ভবিষতে নিত্যনতুন গবেষনা হয়তো আপনার প্রশ্নের উত্তরটা দিতে পারবে।
মাসুদ সজীব
প্রথম প্যারার উদাহরণটা ঠিক আপনার মত করে দেখাটার চেয়ে প্রাকৃতিক নির্বাচন হিসেবে দেখাটা বেশি যুক্তিযুক্ত। যেমন, আমার তো মনে হয় প্রজাপতিগুলি নিজেদের মধ্যে কৌশলগত বা শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে আসেনি। বরং যারা গাঢ় রঙের ছিল তারাই বেঁচে ছিল। এটাই প্রাকৃতিক নির্বাচন।
আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষের একতা কন্ডিশনিং আছে। আমরা কোন কিছু নিয়ে প্রশ্ন তুলি না। কারণ ছোটবেলায় কোন প্রশ্ন তুললে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুরুজনের থেকে ধমক খেতে হয়েছে। নিজেদের অজ্ঞতা দ্বারা কর্তৃত্ব দিয়ে ঢাকা দিয়েছেন। ফলে যখন কেউ কোন তত্ত্ব উপস্থাপন করে আমরা সেটাকে প্রশ্ন না করে হয় মেনে নেই নয়ত একেবারে বাতিল করে দেই। তারপর যার যার অবস্থানের পক্ষ নিয়ে তর্ক করতে থাকি।
এইদিক দিয়ে রাশিয়ানদের দেখেছি যে কোন সাধারণ বিষয় নিয়েই তারা প্রশ্ন তুলে, এবং যুক্তি তর্ক উপস্থাপন বিশ্লেষোনের পর বিষয়টি মেনে নেয় বা স্পেসিফিক আপত্তি তোলে। এইটা হয়ত তাদের সংস্কৃতির কন্ডিশনিং।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
যুক্তিবাদি বিজ্ঞানমুখি সমাজ চাইলে প্রশ্ন না করে কোন উপায় নাই।
আমরা অনেক আচরণ করি কোন না কোন ভাবে কন্ডিশন্ড হওয়ার জন্য। আবার অনেক আচরণ করি কন্ডিশন্ড হয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের একটা অন্তর্লীন বিদ্রোহ বা বিরূপতার কারণে।
লেখা উপভোগ করছি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন