গত ২০/২১ তারিখ টরন্টোতে হয়ে গেল ice rain বা বরফ বৃষ্টি। বলে রাখি, ice rain মানে শীলাবৃষ্টি নয়, ভিন্নধরনের বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে পানির তাপমাত্রা প্রায় শূণ্যের কাছাকাছি থাকে। অর্থাৎ জমে না গিয়ে (মানে তুষার বা শীলা না হয়ে) পানি তরল হয়েই বৃষ্টি হিসেবে নেমে আসে। কিন্তু তখন বাইরের তাপমাত্রা শূণ্য বা তার নিচে হলে সেই পানি খুব দ্রুত বরফে পরিনত হয়। ফলে গাছপালা, ঘরবাড়ি বা যেকোন বস্তুর চারপাশে বরফের আস্তরণ তৈরি হয়। এই বৃষ্টি মোটেই তুষারের মত নয়। ছবিগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
আজকে সকালে যখন বেরিয়েছি তখন চারিদিক একেবারে অন্যরকম। সবকিছুতে আক্ষরিকভাবে বরফের আস্তরণ পরেছে। অনেকদিন পর ছবি তোলার শখটা জেগে উঠলো। শেয়ার করার লোভও সামলাতে পারলাম না। দেখুন।
[ছবির উপর ক্লিক করে বড় করে দেখতে পাবেন ফ্লিকার থেকে। কয়েকটি ছবি শুধু ক্রপ করা ছাড়া অন্য কোন ধরনের এডিট করা হয়নি]
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
১।
২।
১।
২।
৩।
৪।
১।
২।
৩।
৪।
১।
২।
১।
২।
১।
২।
১।
২।
১।
২।
মন্তব্য
প্রতিটা ছবিই অসাধারন সুন্দর। অসাধারন!!!
--তন্ময়--
ধন্যবাদ
এমন সুন্দরকে আগে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, অদ্ভুত রকমের বিচিত্র সুন্দর সব ছবি। এত সুন্দর ছবির একটা পোষ্ট দেওয়ার জন্যে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।
মাসুদ সজীব
হুম। বিচিত্র বলেই ছবি তোলার ইচ্ছা হল। ধন্যবাদ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ
বাহ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এই বৃষ্টিতে ভিজতে নিশ্চয় অসাহাহাহাহাহাধাআআআরণ লাগে?
হেহে। ভিজতে মোটেই ভাল লাগেনা। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে আপনার উপরেও বরফের প্রলেপ পরে যাওয়ার কথা!
সাংঘাতিক ব্যাপার স্যাপার। ছবিগুলো খুব চমৎকার এসেছে
ধন্যবাদ
আমি যে শহরে থাকি, সেখানেও পুরোদমে বরফ পড়া শুরু হবার আগে দুই-তিনদফা বরফ বৃষ্টি হয়ে গেলো। ছবিগুলো সুন্দর, দেখে মনে হলো আমিওতো পারতাম কিছু ছবি তুলে রাখতে।
----------------------------------------------------------------
''বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''-সুকান্ত ভট্টাচার্য
আবার এমন বৃষ্টি হলে ছবি তুলে ফেলুন। ধন্যবাদ
দারুণ লাগলো ছবিগুলো, ৬ নাম্বার ছবি’টা বেশি ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ
দুর্ধর্ষ!! মনে হল, গাছ, ফুল, সাইনবোর্ড সবাই হীরের নেকলেস পড়েছে। একেকটার ডিজাইন একেকরকম। প্রকৃতি যে কত খেয়ালী ও মোহনীয় হতে পারে, তা এ ছবিব্লগ না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন!
অনেক ধন্যবাদ, সজীব ভাই।
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
আসলেই হীরের নেকলেস! ধন্যবাদ
এই ফ্রিজিং রেইনের পরে পার্কে গেছেন! বাহ বেশ। ছবিগুলো একটু কষ্ট করে যদি বড় করে পোস্টাতেন তাহলে দেখতে আরো ভালো লাগতো। ৬৪০ বাই ৪২৭ সাইজটা সচলায়তনের জন্য ভাল। এই সাইজটা ডিফল্ট নয়, ক্লিক করে স্ক্রল করে সিলেক্ট করতে হয়; বেশ সময় লাগে।
আমি আসলে ফ্লিকার থেকে এমবেড করেছি। ছবির সাইজ কিভাবে এটা দিয়ে ঠিক করতে হয় আমার জানা নাই। অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। দাড়ান, চেষ্টা করে দেখবো।
দিলাম করে। অনেক ধন্যবাদ।
আপনি iframe কোড কপি করেছেন যেকারণে প্রত্যেকটি ছবিই একেকটা স্লাইড-শো হয়ে গেছে। এতে করে সম্ভবত পাতা লোড হতেও বেশী সময় লাগছে।
যদি পিন-এর ছবিওয়ালা ইকনটি ক্লিক করে কোড নিতেন তাহলে শুধু একটি ছবি এমবেড হতো।
ফ্লিকার পুরা ব্যাপারটাকে বেশী কঠিন করে ফেলেছে যা অত্যন্ত বিরক্তিকর।
যেভাবে বললেন সেভাবে সরাসরি লিংক কপি করে পোষ্ট করলে তো কাজ করেনা। কিভাবে পেষ্ট করতে হয়? আমি এটা মাত্র শিখছি। হেহে
বলেছি তো পিনের ছবিওয়ালা আইকনে ক্লিক করে এমবেড করার কোড কপি করতে হবে।
কোডের উদাহরণ:
[ইউআরএল=http://www.flickr.com/photos/97247191@N02/11507583824][*]http://farm6.staticflickr.com/5533/11507583824_e622d40256.jpg[/*][/ইউআরএল]
* = img
ইউআরএল = url
ধন্যবাদ। করে দেব একসময়।
আইস স্টর্ম এর যন্ত্রনায় দুইদিন ধইরা গেস নাই পানি নাই আর আপনে দিতেছেন নানাবিধ ছবি, ধুর্মিয়া!
অন টপিক, ছবিগুলান ভালু পাইছি.
..................................................................
#Banshibir.
হেহে.. আমার বাসায় পাওয়ার আছে। সেইজন্য বিলাসিতা করতে পারতেসি। কোন সাহায্য লাগলে আওয়াজ দিয়েন।
ভাল লাগল। (ঠান্ডায় বের হয়ে এই রকম ছবি তোলার কথা ভাবলেই অবশ্য আমার কাঁপুনি ধরে যায়!)
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ। হাতমোজা পরে নিলে আর অতটা ঠান্ডা লাগেনা। আমি অবশ্য পরিনাই। তাই হাত জমে যাচ্ছিল।
জটিল
ধন্যবাদ
বাইসাইকেলের প্রথম ছবিটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে। আমিও অপেক্ষায় আছি তুষারপাতের।
.........জিপসি
আমাদের বেজায় শীত। নর্থ ক্যারোলাইনায় ৭৯ ফারেনহাইট ছিলো গতকাল।
৭৯ ফারেনহাইট তো প্রায় সামার!
দারুণ!!
এরপর বৃষ্টি হলে ২/১ টা মানুষ (যদি কেউ থাকে আর কি!) বা স্ট্যাচুর ছবি চাই।
ছবি দেখে ভাল লাগ্লেও অনেক মানুষ নিশ্চয়ই কষ্টে আছেন - দূর্যোগ কেটে যাক তাড়াতাড়ি!
আসলে কাছাকাছি একটা স্ট্যাচু ছিল। কিন্তু সেখানে যাওয়ার কথা মাথায় আসেনাই। এখন আবার বৃষ্টির জন্য প্রার্থণা করলে যাদের পাওয়ার গেছে তারা আমাকে পিটাতে আসবে!
আপনি মহান, আমি হলে লেপ গায়ে ঘুমাতাম।
যাহোক, ফটো ভালো লেগেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হেহে.. আমিও বেশ বেলা করেই ঘুমিয়েছি।
৪,৫ আর বাই-সাইকেলের ছবিগুলো ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ।
অসাধারণ ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, ছবিগুলো অসাধারণ হলেও এই বৃষ্টিতে ভিজে মজা পাওয়া যাবে না বলে মনে হচ্ছে।
[ম্যালাকাইটের ঝাঁপি]
ধন্যবাদ।
ছবি দেখেই কাঁপুনি ধরে গেল!
------------------------------------------
'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)
'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে' এই প্রবাদকে সত্যি করে দিলেন আপনি!
বলুন দেখি কিভাবে? পারলে প্রাইজ আছে
ক্যামনে? বলেই দেন। প্রাইজটা আর পেলাম না
ওহো, এই প্রশ্নটাতো পিপিদার লেখার জন্য ছিল! একটা পিঠেতেও কোন চুল দেখিনি। মানে হচ্ছে, যাঁরা রেঁধেছিলেন সবাই চুল বেঁধে নিয়েছিলেন। কি আয়নামতিদিদি ঠিক বলেছি ত?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হেহে.. আমি আরও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলুম।
পুরোপুরি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এত বিচিত্র সব বরফের কণা, কত রকম বাঁক, কত রকম তাদের রূপ। এক এক রকম ভঙ্গি, বিচিত্র সব প্রান কিংবা বস্তুকে আঁকড়ে ধরে রয়েছে। দারুণ!
ধন্যবাদ
তুষার পাত দেখার সৌভাগ্য হয়নি কখনো। অদ্ভুত সুন্দর লাগল ছবিগুলো।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
এটা তুষারপাত নয়। আইস রেইন।
নতুন মন্তব্য করুন