প্রকাশক দীপন হত্যা এবং অন্যান্য ব্লগার, লেখক, কবিদের উপর হামলার পরে বিখ্যাত চিত্রপরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বেশ চাঙা আছেন ফেইসবুকে। প্রায়ই আমার নিউজফিডে ভেসে আসছে তার বচন, বিভিন্ন 'বন্ধুর' লাইক বা শেয়ারের কল্যাণে। বিখ্যাত তর্কবাগিশ আবদুন নুর তুষার যেসব কথা অভিজিৎ রায় হত্যার পরে বলেছিলেন সেগুলোই ফারুকী মশাই বলছেন প্রায় একই সুরে। মূল কথা হল - 'হত্যাকারীরা খারাপ, কিন্তু মুক্তমনারাও কি ভাল?' তার অতিসাম্প্রতিক একটা স্ট্যাটাসের অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি -
আমাদের সবাইকে একযোগে বলতে হবে, ধর্মের নামে আর একটাও খুন না ( যদিও আমরা আজও জানলাম না খুনগুলো আসলে কারা করলো), মুক্তমনার নামে কোনো ঘৃণার ছড়াছড়ি না ।
আস্তিক কতো বোকা, আস্তিকের নবী রসুল কতো খারাপ, আর নাস্তিক কতো মেধাবী- এই সব বালখিল্য জ্ঞানের চর্চা বাদ দিয়ে জগতের হাজার বিষয় আছে বেছে নেন। কিছু খুঁজে না পেলে অল্প পরিশ্রমে ঢেঁড়স চাষের পদ্ধতি আবিস্কার নিয়া গবেষণা করেন। ওতে জাতির উপকার হবে। আস্তিক গাধা প্রমাণিত হলে বা আস্তিকের নবীকে নীচে নামানো গেলে জগতের কোনো উপকারই হবে না । মাঝখান থেকে হানাহানি কাটাকাটিতে মানুষ মরবে আর আপনারা বিদেশী দূতাবাসের ভিসার জন্য দৌড়াবেন। একটু প্রাগমাটিক হন, ভাইয়েরা । ধর্ম মানুষের বিশ্বাস । ওটা যুক্তি দিয়া ভূল প্রমাণের এই অপ্রয়োজনীয় চেষ্টায় কি ফল? আর ধর্মকে ব্যবহার করে যদি মানুষের অগ্রগতি আটকানোর চেষ্টা করা হয়, সেটা মোকাবিলা বা সেটাকে প্রশ্ন করার মতো দরদ এবং মমতা আপনাদের নাই। তাই খ্যামা দেন। এইসব প্রশ্ন তুলতে হয় এমন মমতা আর শ্রদ্ধা নিয়ে যেনো বিশ্বাসী না মনে করে আপনি তারে আর তার ধর্মরে গালি দেওয়ার এজেন্ডা নিয়াই কেবল আগাচ্ছেন। বাউলরা এই বাংলায় বহু আগ থেকে এইসব প্রশ্ন জারী রাখছে। প্রেম নিয়া বললে অনেক গভীর প্রশ্নও করা যায়।
ঠিক দুদিন পূর্বে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন -
কিছু কিছু যুদ্ধে কেউ জেতে না, জেতেনি কোনো কালে। ধর্মও জেতে না, জাতীয়তাবাদও জেতে না। কেবল মানবিকতা হেরে যায়, মানুষ রক্তে ভেসে যায়!
তবু যুদ্ধের ডুগডুগিওয়ালারা দুই শিবির থেকে লাউড স্পিকারে জোরে জোরে বলতে থাকে, " আগাও, আগাতে থাকো। ইস্পাত কঠিন মন নিয়ে শত্রু নিধন করতে থাকো। শারিরীক বা দার্শনিক যে যে ভাবে পারো খতম করো! আর সামান্য দূরেই বিজয়। তারপরের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হবে। সেখানে থাকবেনা কোনো "বোকা ধর্মান্ধ" অথবা "ধর্ম বিরোধী"!
এই 'দুই পক্ষই খারাপ' যুক্তি বেশ জনপ্রিয়। যারা যুক্তিবাদি বিজ্ঞানমনষ্ক মুক্তমনাদের লেখালেখি খুব বেশি সহ্য করতে পারেন না, কিন্তু তাদেরকে হত্যার পক্ষে সামনাসামনি কথা বলতে ভয় পান বা লজ্জাবোধ করেন তাদের জন্য প্রায় অহীর মত ঘোষিত হয় এসব কথা। নিজেদের অপরাধবোধে প্রলেপ লাগানোর জন্য এর চেয়ে ভাল কথা আর কিই বা হতে পারে? তবে আমি এইধরনের যুক্তিগুলি নিয়ে একটু ব্যাখ্যায় যেতে চাই।
ফারুকী সাহেবের এই কথাটা অনেকেরই মনে হতে পারে। কিন্তু যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমাণের ফল কী সেটা বোঝাটা কি খুবই দুঃসাধ্য কাজ? মনে করি সিমেটিক ধর্মগুলির কিছু প্রচলিত ধর্মবিশ্বাস নিয়ে। পৃথিবী সমতল, সাতটি আসমান বিদ্যমান, সাতদিনে মহাবিশ্ব সৃষ্টি, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র, আদম থেকে মানজাতির উৎপত্তি ইত্যাদি বিভিন্ন বিশ্বাসে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যদি না বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকগণ নিরন্তর গবেষণা না করতেন তবে পৃথিবীর আজকের মানুষের অবস্থাটা কেমন হত? আমরা এখন মহাবিশ্বের অনেক রহস্যের সমাধানই করতে পেরেছি বিভিন্ন বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণ করে। আর এর ফলে মানুষের উপকারই হয়েছে। আপনি যদি পবিত্র কোন বই এবং বিশ্বাস অনুসরণ করে মাছিকে পানিতে ডুবিয়ে খান অথবা গোমূত্র বা উটমূত্র পান করতে থাকেন তবে কেমন হত মানুষের স্বাস্থ্য এখন? বিবর্তনকে পাশ কাটিয়ে চললে টীকা এবং ঔষধের আবিষ্কারে ঘণ্টাটা হতো, সেটা কি বোঝেন ফারুকী সাহেব? তাই হ্যাঁ, যুক্তি দিয়ে ধর্মবিশ্বাসকে ভুল প্রমাণের শুধু প্রয়োজনীয়তাই নাই, এটা আবশ্যক। সেইজন্য এই সকল গোঁড়া বিশ্বাসকে ভেঙে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ, উৎসুক মনের বিকাশ, চর্চা কখনই 'বালখিল্য জ্ঞানের চর্চা' নয়। ফারুকী সাহেবের মত মানুষ যদি পৃথিবীতে জয়ী হতেন তবে আজকেও মানুষ বনেই থাকতো। কোপার্নিকাস-ব্রুনো যখন সৌরজগতে প্রায় সঠিক মডেল প্রস্তাব করেছিলেন তখন আপনাদের মত মানুষেরাই তাদের জীবন্ত পোড়াতে ধার্মিক উন্মাদদেরকে জ্বালানী সরবরাহ করেছেন এই কথা বলে - 'মুক্তমনার নামে কোনো ঘৃণার ছড়াছড়ি না'।
আর যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমাণে প্রেম কেন থাকতে হবে? আর প্রেম ছড়ানো বাউলরা কি কম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাংলায়? বৈজ্ঞানিক প্রমাণে প্রেম নাই, আছে কঠিন সত্য। প্রেম দিয়ে আপনি আমতা আমতা করে বা রকমারীর সোহাগের মত করজোড়ে ফারাবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে 'পৃথিবী গোল' শেখাতে পারবেন না। স্পষ্ট এবং দৃঢ়ভাবে বলতে হবে - 'পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয়' বা 'মানুষ বিবর্তনের ফসল', 'ধার্মিক গল্পগুলি ভুল।' প্রতিটা নিষ্ঠুরতা ঠেকাতে গিয়ে, অচলতা ভাঙতে গিয়ে, বিজ্ঞানকে অগ্রসর করতে গিয়ে প্রেমময় হতে গেলে শেষে বিজ্ঞানীদের কল্লাটাই শুধু পরে থাকবে।
এই বাণী নিশ্চয়ই ফরহাদ মজহার বা তুষারের কাছ থেকে টুকলি করেছেন। যদিও ফারুকী 'কে বা কারা শারীরিকভাবে খতম করছেন' সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন! শারীরিকভাবে কাউকে হত্যার সঙ্গে দার্শনিকভাবে কাউকে ভুল প্রমাণ করার মধ্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়াটা কতটা যৌক্তিক সেটা নিয়ে কথা বাড়ানোর তেমন কিছু নাই। খুব জেনেশুনেই এমন বাণী দেয়া হয়। মুক্তমনা, যুক্তিবাদিদের তুলোধুনা করতে তুষার যেমন বলেছেন -
সন্ত্রাস কী কেবল শারীরিক? মোটেও তা নয়। সন্ত্রাস মানসিকও হতে পারে।
কি অসাধারণ মিল দুজনের কথায়। এবিষয়ে আমি বেশি কথা বাড়াবোনা। যা বলার চরম উদাস বলে দিয়েছেন।
নাস্তিকগণ কতটা খারাপ সেটা বোঝানোর জন্যই এভাবে শব্দচয়ন করা হয়। যেমন, 'পয়গম্বরদের সমালোচনা' না লিখে ফারুকী লিখছেন 'নবী রসুল কতো খারাপ'। যেহেতু, ফারুকীর এসব মন্তব্য এসেছে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশক দীপন এর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়াতে সেহেতু আমি অভিজিৎ রায়কে নিয়েই ফারুকীর বক্তব্যকে আলোচনা করছি।
অভিজিৎ রায় তার কোন বইতেই 'নবী রাসুল কত খারাপ' লিখেননি। হ্যাঁ, তিনি পয়গম্বরদের সমালোচনা করেছেন। এখন কথা হল, এই সমালোচনা করা যাবে কিনা। অথবা, বাংলাদেশের কোন মানুষ কোন পয়গম্বরকে সমালোচনার অধিকার রাখেন কিনা। জিনিসটা আলোচনা করতে আমাদেরকে কোন সমাজে কাকে সমালোচনা করা হচ্ছে সেটার দিকে নজর দিতে হবে। যেমন, বাংলাদেশের প্রায় প্রতি মসজিদে বা ধার্মিক বক্তৃতায় ইহুদীদের ন্যাংটো করা, আহমদীয়া নবীকে তুলোধুনা করা হয়, শীব কতটা নারীর সঙ্গে কি করেছেন আলোচনা করাটা অন্যায় নয়। এইসব এতটা বেশি মাত্রায় করা হলেও আমাদের ফারুকী সাহেব সেখানে কোন আপত্তি দেখেননি। তিনি বরং গুটিকয় 'নাস্তিক' কেন কোন নবীকে সমালোচনা করলো তাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাহলে আমি ধরে নিচ্ছি ফারুকী সাহেবের চিন্তাটা একমুখি। কিন্তু সেইখানেও কিছু ঝামেলা আছে।
আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন বলে কোন খারাপ কাজের সমালোচনা কি করা যাবেনা? প্রথম কথা হল, আপনার কাছে যেটা খুব পবিত্র হতে পারে সেটা আমার কাছে তুমুল অমানবিক হতে পারে। যেমন, একাধিক নারীকে বয়োঃপ্রাপ্তির আগে বিয়ে করা- কয়েকজন পয়গম্বর এমনটা করেছেন সেটা ইতিহাস বলে। এখন আমার যদি মনে হয় এই কর্মটি খারাপ বা অনুচিত বা অমানবিক তবে আমি এর সমালোচনা কেন করতে পারবোনা?
তার উপর আছে আঘাতপ্রাপ্তির অলীক যন্ত্রনা। কিছুদিন পূর্বে তুষার সাহেব আগাপাশতলা ধুয়ে দিয়েছেন আমেরিকান ভূখন্ড দখলকারী কলম্বাসকে (লিংকটা খুঁজে পেলে যুক্ত করে দেব)। অন্যান্য অনেকের মতই খুব কমন এবং যৌক্তিক সমালোচনা করেছেন হয়তো - কলম্বাস গণহত্যা চালিয়েছিলেন নেটিভ আমেরিকানদের উপর। এই সমালোচনায় তুষার সাহেব কোন সমস্যা দেখেননি। বরঞ্চ তুমুল লাইক কামিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ঝামেলা হইলো, কোন আমেরিকান মানুষ যদি এখন মনে করে কলম্বাস ঠিকই করেছেন, এই দখলদারিত্ব না চালালে আজকে আমেরিকা 'গ্রেট নেশন' (বিখ্যাত কম্যুনিষ্ট নেতা সেলিম গ্রেট নেশন বলেছেন, আমি না) হতো না। আর তুষার এর মন্তব্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তুষারের ছাগলা দাড়ি কেটে দিল। তবে কি আমি বলতে পারবো তুষার এবং এই জঙ্গী আমেরিকান, দুইজনই সমান খারাপ? বরং আমি দেখি বখতিয়ার খিলজী বা গজনীর মাহমুদ কর্তৃক ভারতীয় উপমহাদেশে গণহত্যার সমালোচনা করলে কিছু ধার্মিক রেগে যান, সমালোচনাকারীকে খুন করতেও ইচ্ছা বোধ করেন। ফারুকী, তুষার দুজনকেই বলেন - 'ওরা সমান খারাপ'।
মূলতঃ এখানে সহনশীলতার সমস্যা। আমরা সহনশীল হতে তো শিখিই নি, বরং সমালোচনাকারীকে নিগৃহ করতে শিখেছি। খ্রীষ্টধর্মের অলীক গল্প এবং অযৌক্তিকতাকে নিয়ে আমেরিকা-ইউরোপ বরং রসিকতা করতে পারে। ফারুকী সিনেমার লোক বলে সিনেমা দিয়েই দুইটা উদাহরণ দেই। কতটা সহনশীল হতে পারা যায় সেটা বোঝার জন্য হলিউড কমেডি সিনেমা 'ইয়ার ওয়ান' দেখে নিতে পারেন। বলে রাখি অতিধার্মিক হলে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন ছবিটা দেখতে গিয়ে, কারন সিমেটিক ধর্মের অনেক কাহিনীকেই ব্যঙ্গ করা হয়েছে (ইসলামের কাহিনীও যেখানে জড়িত)। কিন্তু কই, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী কেউ তো পরিচালককে হত্যা করতে চাপাতি হাতে নেন নি! অন্যদিকে নবী মুহাম্মদকে নিয়ে একটি সাধারন সিনেমা ইরান সরকারের সহযোগিতায় নির্মিত হলেও ভারতীয় অতিমুসলিম ধার্মিকগণ সহ্য করতে পারেন না। কারন এই ছবিতে নবীর অতি বাল্যাবস্থার মুখাবয়ব নাকি দেখা গিয়েছে। কতটা হাস্যকরসব অনুভূতি হতে পারে চিন্তা করছি! মানুষকে ঘৃণা করার চেয়ে পয়গম্বরের সমালোচনা করাটা কোনভাবেই বেশি খারাপ হতে পারেনা। কিন্তু, এই সমালোচনাকেই ফারুকী ভিলিফাই করে বলছেন - আস্তিকের নবী রসুল কে গালাগালি দেন মুক্তমনা রা।
মানুষের সভ্যতা এগুনো মানে কিন্তু তার সামষ্টিক মূল্যবোধকে আরও মানবিক করাও। অর্থাৎ মানবিক উন্নতি ঘটানো। চুরির জন্য হাত কেটে ফেলা, বা বাল্যবিবাহ বা সহমরণ কে 'না' বলাটা এই সামষ্টিক মূল্যবোধের উন্নতির উদাহরণ। আর, কোন পুরানো মূল্যবোধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মুছে ফেলার জন্য তাকে সমালোচনা করা প্রয়োজন। যত তীব্রভাবেই হোক না কেন। কিসের কিসের তীব্র সমালোচনা করতে হবে? নারীকে একা বাইরে যেতে দেবেন না, গাড়ি চালাতে দেবেন না, ভোট দিতে দেবেন না, যৌনদাসী রাখবেন, ধর্ষনের শাস্তি ধর্ষিতাকে দেবেন এমন আইনের সবকটিকে লাথি মারতে শিখতে হবে। সেই অধিকার মানুষের থাকা চাই। এভাবেই সমাজ এগোয়। পিছনে ধরে থাকা সুবিধাবাদি ফারুকীদের তাই প্রতিহতও করতে হবে। নাহলে প্রতিটা অভিজিৎ, দীপন, ব্রুনোকে পোড়ানোর জন্য সলতেটাতে ঘি মাখাবে ফারুকীরাই।
মন্তব্য
সবাইকেই চাপাতির ছায়াতলে আসতে হবে। কেউ আগে আসবে, কেউ পরে।
ফারুকীরা কি ভেবেছে নাস্তিক কোপানো শেষ হলেই কোপাকুপি থেমে যাবে? লিটনে ফ্ল্যাটে অবৈধ প্রেম, শিক্ষিকার সাথে ফোন সেক্স, লিভ টুগেদার ইত্যাদি অনৈসলামিক বিষয়বস্তু নিয়ে নাটক বানিয়েছে ফারুকীরা এই কথা কি জঙ্গী হুজুরেরা সহজে ভুলে যাবে?
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও যেমন ধান ভানে, তেমনি জঙ্গী হুজুরেরাও স্বর্গে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোপাকুপি করে। ফারুকীদেরও সময় আসবে একদিন। কিন্তু সেদিন ফারুকীদের পক্ষে কথা বলবার জন্য কেউ থাকবে না।
আমার মনে হয় ফারুকীরা বেঁচে থাকবেন সবসময়ই। তার শুধু খোলসটা পাল্টাতে হবে মাঝেমধ্যে কষ্ট করে।
_________________
[খোমাখাতা]
মানবজাতি পৃথিবীর বুকে বিচরণ করছে গত ১ লাখ ৯৫ হাজার বছর ধরে। মানুষ সভ্য হতে শিখেছে ১১ হাজার বছর আগে। আর নবী রাসূলরা মধ্যপ্রাচ্যে আসতে শুরু করেছেন বড়জোর ৬ হাজার বছর আগে (জেমস আশারের ক্রনোলজি মোতাবেক)। মূসা নবী জন্মেছিলেন ৩৫৯৫ বছর আগে। আর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মেছিলেন ১৪৪৪ বছর আগে।
১ লাখ ৯৫ হাজার বছরের মানবজাতির ইতিহাসে আল্লাহপাক কেন মাত্র ২১৫১ বছর জুড়ে সবগুলো বড় বড় নবী রাসূলকে পাঠালেন এই বিষয়টা বোধগম্য না।
৬০ হাজার বছর আগে মানুষ পায়ে হেঁটে আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসে বসতি গেঁড়েছে অথচ আল্লাহপাক অস্ট্রেলিয়াতে একজন নবীও পাঠালেন না। ১০ হাজার বছরের রেকর্ডেড চীনা সভ্যতায় একজন পয়গম্বরেরও উল্লেখ নাই। ভারতের মানুষেরা গত ১০ হাজার বছর ধরে দেবদেবীর উপসনা করে। অথচ আল্লাহপাক একজন নবীকে পাঠিয়ে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশকে বদলে দিতে পারতেন।
আরবভূমির প্রতি আল্লাহপাকের পক্ষপাতিত্ব চোখে পড়ার মত। এত বড় পৃথিবীতে প্রতিটি পয়গম্বর কেন মধ্যপ্রাচ্যে, একই বংশে জন্ম নিল এটাও বুঝতে পারা অসম্ভব। আল্লাহপাকের লীলা বোঝা বড় দায়!
দেবদ্যুতি
ফারুকীর ফলোয়ারেরা তার প্রতিটা কথা এত মানে! এ জন্যই এইসব সহীহ মতামত বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছায় খুব তাড়াতাড়ি।
দেবদ্যুতি
ইয়ে....... ছাত্র যেইটা খারাপ (ফাঁকিবাজ, চোট্টা, ব্যাক্কল); মাস্টার তারই বেশী লাগে!!
যতদূর মনে পড়ে দীক্ষক দ্রাবিড়ের 'পয়গম্বর হওয়ার সুলুক সন্ধান' নামে একটা পোস্ট ছিল। তাতে মধ্যপ্রাচ্যে কেন সব পয়গম্বর তার একটা ব্যাখ্যা ছিল। সাইকোলজিক্যাল কারণ। গুগুলরে জিগান। https://en.wikipedia.org/wiki/Middle_Eastern_Mental_Health_Issues_%26_Syndromes
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি তোমাদের কেউ নই-> আতোকেন
আপনার কতা শুনে আতি
১ লাখ ৯৫ হাজার বছরের মধ্যে যত মানুষ আসছে তার অধিকাংশই গত ৪০০০ বছরের মধ্যে। আল্লাহ তো ডাইনোসরের দ্বীনশিক্ষার জন্য নবী-রাসূল পাঠান নাই। আর সব জাতির কাছেই নবী-রাসূল আসছে। চীনা আর ভারতীয়রা তাদের নবীদের গুন-খুম করে ফেলেছে, সেজন্য তাঁদের কথা আমরা জানিনা। একইভাবে জন্ম-নিয়ন্ত্রণ আর এবর্শনের মাধ্যমেও আমরা সম্ভাব্য নবী-রাসূল হারাতে পারি। সেজন্য এগুলা করা ঠিক নয়। যেসব জাতি এগুলা করেছে তারা একে একে দংশ হয়ে গেছে।
এই কারণেই ফারুকিরে অানফলো করে দিয়েছি ।
অনুসরণ করলে কৌতুকের চেয়ে বিরক্তিই বেশি পাওয়া স্বাভাবিক।
কথার কাচি দিয়ে নির্লজ্জ ফারুকীর আবেগঘন কুযুক্তি গুলা কুচি কুচি করে কেটে দিয়েছেন। পোস্টে পাঁচ তারা।
টুইটার
হুমম...
ফারুকী পাশের দেশে জন্মালে- নির্ঘাত শিবসেনার কম্যান্ডার হয়ে বসতেন।
আর বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ব জর্মন দেশে জন্মালে ইতিহাসে ম্লান হয়ে যেত গোয়েবলস।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সেই বলসেন। লাইকাইলাম।
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ফারুকীর ছবিতে তো আগেই জঙ্গী ---- বাদ ! নীচের লিংকেই আছে !
http://www.sachalayatan.com/sujan/47692#comments
এই কিছিমের লোকগুলা আসলে বদলায় না, অন্য মানুষদের বেকুব ভাবে ।
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
দেশের মরালিটির লেভেল এরা ফারুকীয়া-তে নিয়ে আসতে চায়, তাই এই হেদায়েতনামা।
ফারুকী দের নাটকের দর্শক দরকার,,,
আর তুষার দের ফেসবুকে লাইক দরকার,,,
পেট তো চালাইতে হইবো ভাই।
হুমম।
ফারুকীরে আগে নাটকের লোক জানতাম, এখন তো দেখি রীতিমত ফেসবুক পয়গম্বর হয়ে গেছে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সেইটাই।
চমৎকার লিখেছেন। এই যুক্তিগুলো তিনিযে জানেননা এরকম তো না।
কিন্তু খোলস বদলাতে হবে, জনপ্রিয় থাকতে হবে। অসহ্য লোক একটা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সেইটাই।
ফারুকীর মাথায় যে টুপি আছে, সেইটা ইহুদী-নাসারাদের লেবাস, এই ফতোয়া যেদিন পাবে সেইদিন ঠিক হবে ইতরটা
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হুমম
ফারুকীরা সবসময় সেইফ, সময় প্রতিকূলে গেলে ঠিকই দাড়ি কচলাতে কচলাতে মজহার গং-এ যোগ দিবে।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নিশ্চিতভাবেই
তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করাই ফারুকীর মতো সুযোগসন্ধানীদের কাজ
হুমম।
ফারুকীর মতো লোকরে সবক দিয়া লাভ নাই। এরা আগে থেইকাই ঢেঁড়স চাষে সফলতা পাইছে। এগো কোনো ঝামেলাও নাই। বিপদ দেখলেই পিছলাইবো। মূল রহস্যতো ঢেঁড়সে। গোপন কথা ফাঁস করার কারণে আপনার বরং ফারুকীরে সাধুবাদ দেয়া উচিৎ ছিল।
লেখার বিষয়ে উপরে সবাই বলছে, তাই আর বললাম না। ভালো থাকবেন।
স্বয়ম
হেহে
নতুন মন্তব্য করুন