জিকা ভাইরাস, মশা, জিএমও এবং মজহারীদের হোক্সপ্রেম

সজীব ওসমান এর ছবি
লিখেছেন সজীব ওসমান (তারিখ: রবি, ১৪/০২/২০১৬ - ১০:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার একটা বড় অসুবিধা হলো আমরা নিজেদের পছন্দমত সাইট থেকে (সেটা যতটা অবিশ্বাসযোগ্যই হোক না কেন) তথ্যসংগ্রহ করে বা একটা প্রবন্ধ পড়েই নিজেকে সেবিষয়ে বিশেষজ্ঞ ভাবা শুরু করি।

মজহারীরা দুনিয়া জোড়া ছড়ানো। এদের টিকা এবং জিএমও বিরোধী আন্দোলন খুব কমন। এই অবস্থান পাকাপোক্ত করার জন্য কয়দিন পরপর বিভিন্ন হোক্স বা ভুয়াখবরের স্মরণাপন্ন হন এরা। দুনিয়ার কোন বিজ্ঞান পত্রিকার খবর না নিয়ে সবচেয়ে ফালতু, যেসব পত্রিকা সাধারণত হোক্স ছড়ায়, তার খবর পড়ে নিজেদেরকে বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ভাবেন এবং নিজেরাও হোক্স ছড়ানো শুরু করেন। কিন্তু এতে যে দুনিয়ার কিছু মানুষের ক্ষতি হয় সেটার দায়িত্ব আবার নেন না। পুরো ব্যাপারটাই চরম দায়িত্বহীনতার কাজ। একটা উদাহরণ দেই।

বছরখানেক আগে ব্রাজিলে কিছু জিএমও (জিনগতভাবে পরিবর্তিত বা জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা জীব) মশা ছাড়া হয়েছিল সেখান থেকে ডেঙ্গুকে চিরতরে দূর করে দেয়ার জন্য। যারা এই জিএমও মশা তৈরি করেছিল তারা কোনপ্রকার মুনাফা না নিয়েই এবং বৈজ্ঞানিক সকল নিয়মকানুন মেনে, প্রতিটা এথিক্স কমিটির সায় নিয়ে মশাগুলিকে ছড়িয়েছিল। গেটস ফাউন্ডেশান এখানে অর্থসহায়তা দেন। অনুদান, ব্যবসা নয়। পৃথিবীর বহু রোগের চিকিৎসার এবং গবেষণায় গেটস ফাউন্ডেশান অনুদান দেয় এবং এজন্য পৃথিবীর মানুষের ঋণী থাকা উচিত তাদের কাছে। যাই হোক, জিএমও মশা নিজেদের প্রজাতিকে ধ্বংস করে দেয় নিজেরাই। ফলে ডেঙ্গু ছড়ায় না। কিছু মানুষের প্রাণ বাঁচে। যখন ব্যাপারটা করা হয়েছিল তখন জিএমও বিরোধীরা এর বিপরীতে কোন জুৎসুই হোক্স তৈরি করতে পারেনি।

সম্প্রতি ব্রাজিলে জিকা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এডিস মশার মাধ্যমে। ব্যস, মজহারীদের পোয়াবারো। বিভিন্ন ভুয়া, বৈজ্ঞানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য সাইট ছড়ানো শুরু করলো যে জিএমও মশার কারণে নাকি জিকা ভাইরাস ছড়ায়। আমাদের দেশীয় মজহারীগণও ভূয়াখবর লুফে নিতে ওস্তাদ। আগে যেমন ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন - জিএমও খেলেই ক্যান্সার রোগ হয়! দুনিয়ার কোন প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বজনগৃহীত বিজ্ঞান পত্রিকা এই খবর ছাপায়নি, কিন্তু তাতে মজহারীদের কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। হোক্স ধরিয়ে দেয়ার সাইট স্নোপসও একটি প্রবন্ধ ছেপেছে এই ভূয়া খবর ধরিয়ে দিয়ে। ছড়িয়ে চলেছেন জিকা ভাইরাসের সাথে জিএমও মশার যোগসূত্রের রূপকথা। তাদের কাছে পুরা দুনিয়াটাই ষড়যন্ত্র, ফরহাদ মজহার ছাড়া। সকল বিজ্ঞান পত্রিকা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বায়োটেক কোম্পানি করছে, বিজ্ঞানীরা করছে, ফার্মা করছে, সরকার করছে, পশ্চিম করছে, আবুল করছে, হাবুল করছে।

কিন্তু প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য যে ডেঙ্গু নিরোধ বাধাগ্রস্থ হবে সেদিকে লক্ষ্য করেন না এই দায়িত্বজ্ঞানহীন গোত্র। বলে রাখা ভাল, পৃথিবীর সকল আধুনিক টিকা জিএমও ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ডায়বেটিস রোগীর জন্য ইনসুলিনও। সকল আধুনিক ঔষধ তৈরি এবং পরীক্ষার জন্যও বহুধরনের জিএমও ব্যবহৃত হয়। মজহারীদের জিএমও বিরোধী অবস্থানে পৃথিবীর মানুষের ক্ষতিবৃদ্ধি ব্যতীত কিছুই হবেনা।

নিজেরা নিজেদের ঘরের অন্ধকার কোণায় বসে থাকুন, অন্ধকার ছড়ানোর তো প্রয়োজন নাই। হাজার খানেক ফরহাদ মজহার না থাকলে পৃথিবীর ক্ষতি নাই, বরং লাভ। কিন্তু একজন এডওয়ার্ড জেনার বা একজন নরম্যান বোরলোগ না থাকলে অপরিসীম ক্ষতি।

জিকা ভাইরাস এবং মশা গবেষণা নিয়ে নিজেকে জানানোর জন্য এই নিবন্ধটি পড়তে পারেন এবং দেখতে পারেন আপনি বিপজ্জনক গর্দভ কিনা!

২।
জিএমও বিরোধী মজহারীগোষ্ঠিগণকে আমি বেশ কয়েকদিন ধরে বোঝার চেষ্টা করছি। সমস্যা হল এদের বেশিরভাগ দল প্রায় পয়গম্বরের মত ফরহাদ ফরিদার কথা মানেন। তারসঙ্গে যদি বৈজ্ঞানিক অজ্ঞতা যোগ হয় তবে সোনায়া সোহাগা। যেমন, ফরিদা বলেছেন জিএমও খেলে ক্যান্সার হয় - ব্যস মজহারীগোত্র মাথানত করে মেনে নিয়ে এইটা প্রচারের চেষ্টা চালালেন। পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী বা প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান সাময়িকীর ধার এরা ধারেন না। কিন্তু ক্যান্সার যে একহাজার উপায়ে হতে পারে এবং জিএমও যে হাজার ধরনের হতে পারে এবং এদের একটির সঙ্গে আরেকটি সরলরৈখিক যোগাযোগ স্থাপন যে সম্ভব নয় সেটা এদের মাথায় ঢোকেনা। বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অপ্রতুলতার কথা বাদ দিলাম। এই গোত্রটি আসলে আধুনিক টেকনোলজি বা প্রযুক্তি বিরোধী। এদের মতে জিন টেকনোলজি এবং জিএমও হল প্রকৃতি বিরুদ্ধ।

আমি এদের বলি, কৃষিকাজও তো অপ্রাকৃতিক এবং প্রকৃতি বিরুদ্ধ। এর বিরোধিতা করছেন না কেন? খুব সুবিধা করতে পারবেন না বলে? হয়তো প্রথম যখন কৃষিকাজ শুরু হয়, সেই ১২ হাজার বছর আগে ফরহাদ ফরিদা থাকলে নিচের ছবির মত আন্দোলনে যোগ দিতেন। তারা সফল হলে আজকে আমরা বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতাম, খারাপ কী?

আসলে এরা নতুন প্রযুক্তির বিরোধীতা করেন এই প্রযুক্তির ব্যাপারে সাধারন মানুষের অজ্ঞতাজনিত ভীতিকে জাগিয়ে তুলে এবং পরবর্তিতে সেই অজ্ঞতা এবং ভীতিকে পুঁজি করে। এই প্রসঙ্গে নিচের কার্টুনটা মজার। এরসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেনলাইন বিরোধী আন্দোলনকেও কিছুটা প্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে।

৩।
আমি এখানে কিছু ঔষধ / টিকার নাম উল্লেখ করছি যাদের আধুনিক উৎপাদনে কোন না কোনভাবে জিন প্রযুক্তি এবং জিনগতভাবে পরিবর্তিত জীব (জিএমও) ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ করতে চাই যে একজন ডায়বেটিস রোগী বেশিরভাগ সময় দিনে অন্ততঃ দুইবার করে ইনসুলিন গ্রহণ করেন। বিটি বেগুন হয়তো সপ্তাহে দুইদিন খেয়ে থাকেন। ফলে জিএমও বিটি বেগুনের চেয়ে বেশি হারে জিএমও ইনসুলিন গ্রহণ করার ফলে তো পৃথিবীর সকল ডায়বেটিস রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়ার কথা। তেমনটা কী হচ্ছে? ধারণা করছি মজহারীগোষ্ঠি কেউ ইনসুলিন ব্যবহার করেন না। যাই হোক, ইনসুলিন ছাড়াও কয়েকটা এন্টিবায়োটিক/ঔষধ/টিকার নাম:

এমোক্সিসিলিন, এম্পিসিলিন, জেন্টামাইসিন, ডিফথেরিয়া, পোলিও, টিটেনাস, হাম, পক্স, মাম্পস, রুবেলা, বিভিন্ন এন্টিবডি-প্রোটিন এবং অন্যন্য।

এইখানে একটা ছোট তালিকা দিলাম মাত্র। গনেরিয়া থেকে হরমোনঘটিত রোগের ঔষধ অন্তর্ভূক্ত। এমনকি ম্যালেরিয়া রোগের জন্য আবশ্যক আর্টেমিসিনিন বা তার ধরনের ঔষধ এখন জিএম উদ্ভিদ থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। আশা করবো ফরহাদ-ফরিদা এবং এদের শিষ্যগণ যারা ইনহেরেন্টলি জিএমওর সমস্যা খুঁজে পান এবং দোষারোপ করেন তারা হাসপাতালে গিয়ে বা রোগাক্রান্ত হলে এই ঔষধ বা টিকাগুলি নিজের শরীরে যতবার যতবার নেবেন বা সন্তানকে দেওয়াবেন ততবার ক্ষমা চাইবেন নিজেদের কৃতকর্মের জন্য।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

ডেঙ্গুনির্মূলে ফরিদামশার সাফল্য কেমন?

সজীব ওসমান এর ছবি

দূর্দান্ত। ৯৫ শতাংশ মশা নির্মূল ব্রাজিলের এক শহর থেকে। এবছরের হিসাব এখনও আসেনি। তবে জিকার বিরুদ্ধেও জিএম মশা ছাড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শেহাব এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সজীব ওসমান এর ছবি

হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

জিএমও মশার বিচরণক্ষেত্রের সাথে জিকার প্রসারক্ষেত্র তুলনা করে পক্ষে-বিপক্ষে কোনো রকম আর্টিকল এখনও তো দেখলাম না। লোকে কোনো দলিলপত্র ছাড়াই কেবল সব নষ্টের গোড়া জিএমও বলে চিৎকার করছে।

মন মাঝি এর ছবি

প্রসারক্ষেত্রের তুলনা? পক্ষে-বিপক্ষে আর্টিকল?? দলিলপত্র??? হা হা হা গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আপনি অনেকদিন মনে হয় একাডেমিক / ইন্টেলেকচুয়াল জগতের উর্ধ্বলোক থেকে বেরিয়ে বাস্তব দুনিয়াদারীর খবরাখবর খুব একটা রাখেননি। রাখলে, 'দলিলপত্রর' পিছু ছেড়ে প্রাণভরে অট্টহাসি দেয়ার এমন একটা দারুন মওকা হাত ছাড়া করতেন না! কারন আপনি আগেই শুনে থাকতেন, সুইজারল্যাণ্ডে সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে হিগ্‌স-বোসন নিয়ে এক্সপেরিমেন্টের সময় (২০১২-১৩?) কিভাবে পৃথিবীর পেটের মধ্যে একটা ব্ল্যাক-হোল সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তার চেয়েও বড় কথা, ঐ এক্সপেরিমেন্টের পরেপরেই ইন্দোনেশিয়া না ফিলিপিন্স কোন দেশের কাছে যেন ভূমিকম্প বা সুনামি হয়। তখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে সার্নের ঐ এক্সপেরিমেন্টের কারনেই নাকি এমনটা ঘটেছে (সম্ভবত মানুষের 'গড পার্টিক্‌ল' আবিষ্কার-চেষ্টার বেয়াদবি গডের সহ্য হয়নি বলে)। অনেক "শিক্ষিত" (?) লোককে সিরিয়াস মুখে এসব কথা বলতে শুনেছি। প্রসারক্ষেত্র-টেত্র তাঁদের কাছে নেহাতই তুচ্ছ বিষয়। এমনকি, সুইজারল্যান্ড থেকে হাজার-হাজার মাইল দূরত্ব আর ২ / ৩ টা মহাদেশ মাটির তলা দিয়ে পেরিয়ে এসে 'সাইজ্‌মিক ওয়েভ' কিভাবে শুধু ইন্দোনেশিয়া আর সন্নিহিত অঞ্চলকে টার্গেট করে আঘাত করলো - পথিমধ্যে ইউরোপ/এশিয়া-র মধ্যবর্তী অন্যকোথাও বিন্দুমাত্র আঘাত বা ক্ষতি না করে - এই নিখাদ কমনপ্লেস কমনসেন্স প্রশ্নটাও তখন তাদের কাছে গুরুত্বহীণ। কিম্বা তাঁদের জন্য সাইজমিক ওয়েভ মনে হয় শুন্য দিয়ে উড়ে গিয়েছিল।

অনেকে শুনেছি ইয়াবা / কোক্‌ / গাঞ্জা / এ্যালকোহল ইত্যাদি একাধিক আইটেম একসাথে চালাতে না পারলে ঠিকমত মজা পায় না। আমার এক বন্ধুকে অন্তত দেখতাম - কি একটা ট্যাবলেট, গাঞ্জা ('শুকনা' বলতো) আর এ্যালকোহল - এই তিনের সমন্বয় ছাড়া তার জমতই না। এই পোস্টের লেখক যাদের কথা বলছেন তারাও মনে হয় এইরকম কোন একটা ব্যোম বাবা ভোলানাথ ককটেলেরেই চর্চা করে থাকেন - যার মধ্যে সবার জন্যেই নেয়ার মত কিছু না কিছু থাকে। প্রসারক্ষেত্রটা এখানেই। হাসি

****************************************

সজীব ওসমান এর ছবি

চলুক

সজীব ওসমান এর ছবি

জিএমও-বিরোধী এবং টিকা-বিরোধী আন্দোলনগুলা অনুসরণ করলে অবাক হতেন না।

মুদ্রা সংগ্রাহক এর ছবি

আমার জানা নেই আপনার অটো ইমিউন ডিজিজ সম্পর্কে ধারণা আছে কিনা। অটো ইমিউন ডিজিজ - যে রোগ সম্পর্কে তিন দশক আগেও লোকের কোন ধারণা ছিলনা সেটার বর্তমান বিস্তৃতির পিছনে যে জেনেটিকালি মডিফায়েড খাদ্যশস্যের প্রধান ভূমিকা সেটার জন্য ভুরি ভুরি ইন্টারনেট লিংক রয়েছে। তবে আমি অনুরোধ করব এ বিষয়য়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার/বিশেষজ্ঞদের লেখা পড়ে দেখবার জন্য। শুধুমাত্র একটা বই পড়ার মত সময় হাতে থাকলে ড: এমি মায়ারস এর "অটো ইমিউন সল্যুশন" পড়ে দেখতে পারেন।

অধুনা জেনেটিকালি মডিফায়েড বীজ নিয়ে চাষাবাদের সাথে প্রথম চাষাবাদ শুরু করার তুলনা করাটা যে নিতান্তই ছেলেমানুষী তা আশা করি আপনার অজানা নয়।

জিকা ভাইরাসের সাথে জিএমও মশা গুলিয়ে ফেলাটা যে প্রচন্ড হাস্যকর আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত এবং এধরণের হোক্সের তীব্র বিরোধী।

সজীব ওসমান এর ছবি

যেধরনের জিএমও শস্য সাধারণত বেশি প্রচলিত বাজারে ঠিক সেধরনের জিএমও লক্ষবছর ধরে প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি হচ্ছে। নাহলে আপনি মিষ্টি আলু পেতেন না, যার জিন পরিবর্তন করেছে একধরনে ব্যাকটেরিয়া। তেমনি সরিষা, বাধাকপি, ফুলকপি, গাজর ইত্যাদির জিন পরিবর্তন খুব বেশিদিন হয়নাই যার ফলে এখন সবজী হিসেবে খেতে পারছেন।

আবার তিন দশক আগে লোকে কোন রোগ সম্বন্ধে জানতোনা বলে সেটা জিএমও র ফলে হবে এই ধারণাতেই আমি সমস্যাটা দেখি। আমি এমন ২০টা রোগে নাম বলতে পারবো যেগুলি ৩০ বছর আগে লোকে জানতোনা। যেখানে পৃথিবীর প্রায় সকল বিজ্ঞানী বা বিজ্ঞানপত্রিকা বলছে অটোইমিউন রোগের আসল কারণ খুববেশি জানানাই এবং সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে জিনগত কারন সেখানে ইন্টারনেটের হাজার হাজর লিংক আমি কেন দেখবো? ব্যাখ্যা করেন। পাবমেড এ গিয়ে বিজ্ঞান নিবন্ধগুলি পড়লেই তো চলে, তাইনা? এখানে লিংক দিলাম, কোথায় জিএমও'র কথা আছে খুঁজে বের করে আমাকে দেখান।

এই ভুরি ভুরি লিংক নিয়েই আমার লেখার প্রথম প্যারা। কেন সেটা ব্যাখ্যা করছি।

আপনি এই ভুরি ভুরি লিংক থেকে যেই জ্ঞানলাভ করেছেন সেটা ভুল। এখানে একটা বিজ্ঞান নিবন্ধ শেয়ার করছি এই রোগ সম্বন্ধে রিভিউ নিয়ে (নেচার বায়োটেকনোলজি সাময়িকির)। সেখানে দেখানো আছে যে প্রথম এইরোগ ধরা পরে ১৯৬৫ সালে, জিএমও প্রথম বাজারে আসারও ৩০ বছর আগে। এমনি জিনপ্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ারও প্রায় ১৫ বছর আগে। আমরা বেশিরভাগ রোগই আগে ধরতে পারতাম না তাদের ধরার জন্য পর্যাপ্ত প্রযুক্তি না থাকার কারনে। যেটা এখন নির্ণয় হয় জিন এবং আণবিক প্রযুক্তির মাধ্যমেই! দুঃখ পেলেন?

দ্বিতীয়তঃ জিএমও বীজ এবং চাষাবাদ দুইটাই নতুন প্রযুক্তি ছিল বা আছে এবং দুইটাই 'প্রকৃতি বিরুদ্ধ'। আপনাদের এই যুক্তিগুলি কতটা কম-ছেলেমানুষী সেটা ব্যাখ্যা করেন। কারন আমি এইটা নিয়েই লিখেছি। ভালভাবে বুঝতে চাইলে কার্টুন দুইটা দেখতে পারেন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

জিকা মশা আর মজহার এই যুগলবন্দীকে একসাথে দেখে মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল হুদাই। বিজ্ঞানী অনিক লুম্বার মশাগুলোর কথা মনে আছে? শয়তানী হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সজীব ওসমান এর ছবি

দেঁতো হাসি

রানা মেহের এর ছবি

চলুক

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

দুনিয়া  এর ছবি

কি যে উসকানীমূলক সব লেখা ! ভায়াগরা আর ইনসুলিন - এই ২ টা ছাড়া আমাদের সহীহ হুজুরদের চলবেই না । লুংগি মজহার কেন এসবের বিরুদদে লিখছে ? বেটা যে পাতে খায় সে পাতেই হাগু করছে !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।