বিবর্তনের ধারায় কিভাবে প্রাচীন এপ (ape) থেকে আধুনিক মানুষে পরিনত হলাম এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাটা খুব সহজ না হলেও শখানেক বছর ধরে গবেষণায় এবং আধুনিক মলিকিউলার বায়োলজি পরীক্ষানিরীক্ষার অভাবনীয় উন্নতিতে ধীরে ধীরে আমাদের সামনে উন্মুক্ত হচ্ছে খুঁটিনাটি। প্রাচীন এপের দেহের একেবারে ঠিকুজি-কুলুজি, মানে জিনে কিসব পরবর্তনের কারনে মানুষে পরিবর্তন হয়েছি তার কথা কিছু কিছু জেনেছি আমরা। এপ থেকে মানুষে ধীরে ধীরে পরিবর্তনটা কোন ধারায় হয়েছে সেটা এখানে বর্ণনা করছি। পরিবর্তনের ধাপগুলি ক্রমানুসারে উল্লেখ করা হয়েছে।
৬০ থেকে ৩০ মিলিয়ন বছর আগে
ডাইনোসর বিলুপ্ত হওয়ার পরপরই, প্রাইমেট - মানে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জীর মত প্রাণীগুলির আদি পূবসুরীগণের আবির্ভাব হয় পৃথিবীতে। বেঁচে থাকার সুবিধার জন্য আমাদের আদি প্রাইমেট পূর্বসুরীগণ যখন থেকে একসাথে গোত্রবদ্ধ হয়ে থাকতে আরম্ভ করলেন তখন তাদের জটিল সামাজিক ধারা অনুযায়ী চলতে শক্তিশালী এবং কার্যক্ষম মস্তিষ্কের প্রয়োজন হয়েছিল। জটিল সামাজিক বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বন্ধুত্ব, সমাজ বন্টন, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। ফলে এই সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে থাকা প্রাণীগুলি মস্তিষ্কের ক্ষমতায় ধীরে ধীরে এবং নিশ্চিতভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৫-১০ মিলিয়ন বছর আগে
মানুষ, শিম্পাঞ্জী এবং গরিলা - এরা সবাই একটি কমন পূর্বসুরী প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়েছে। এই আদি প্রাইমেটে RNF213 নামক একটি জিনের পরিবর্তন ঘটে অতিদ্রুত গতিতে। পরিব্যক্তি বা মিউটেশানের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী ক্যারোটিড ধমণী প্রশস্ত হয়। ফলে শক্তিশালী মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহে সুবিধা হয়। মানুষে RNF213 জিনটির অন্যধরনে পরিব্যক্তি ঘটলে উল্টা ফল হয়, ধমণী সূক্ষ্ম হয়ে যায় এবং এই রোগকে আমরা বলি মোইয়ামোইয়া (Moyamoya) রোগ।
১৩ থেকে ৭ মিলিয়ন বছর আগে
প্রায় ৭ মিলিয়ন বছরেরও আগে মানুষের পূর্বসুরীগণ শিম্পাঞ্জীদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া শুরু করে। প্রথম প্রথম তারা সম্ভবত একইরকম দেখতে ছিল। কিন্তু তাদের কোষে পরিবর্তন ঘটছিল অবশ্যম্ভাবীভাবেই। পৃথক হওয়ার ঘটনার পরে ASPM এবং ARHGAPIIB জিন দুইটির পরিবর্তন ঘটা শুরু করে, HARI নামক আরেকটি অঞ্চলের ডিএনএ'র মতই। এই পরিবর্তনের ফলে ঠিক কোন জিনিসটায় মানুষে পরিবর্তন হয়েছিল সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আমরা এখনও জানিনা, তবে এটা বোঝা যায় যে HARI এবং ARHGAPIIB মস্তিষ্কে সেরিব্রাল কর্টেক্স এর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
৭ মিলিয়ন বছরের কম সময়ে
মনুষ্য রেখাটি শিম্পাঞ্জী রেখা থেকে পৃথক হওয়ার পরে দুইটা জিনে পরিবর্তন ঘটে - LC2A1 এবং SLC2A4 নামক জিনদুইটির উভয়েই কোষের ভেতরে এবং বাইরে গ্লুকোজ নামক শর্করা বা চিনি পরিবহনে কাজ করে। এদের পরিবর্তনগুলি সম্ভবত আদি হোমিনিন প্রাণীগুলির পেশী থেকে গ্লুকোজ কেড়ে নিয়ে বেশি বেশি মস্তিষ্কে সরবরাহ করছিল। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্ককে প্রকাশিত হতে সাহায্য করেছে এবং আকার বৃদ্ধি করেছে।
৭ মিলিয়ন বছরের কম সময়ে
আমাদের হাত অসাধারণরকম কার্যক্ষম, যা আমাদেরকে দারুণসব প্রস্তরজাত উপাদান তৈরি এবং লিখতে সাহায্য করে। এই ক্ষমতা আমরা সম্ভবত লাভ করেছি HACNS1 নামের ডিএনএ'র একটা অংশের পরিবর্তনের মাধ্যমে, যার দ্রুত পরিবর্তন শুরু হয়েছিল শিম্পাঞ্জী থেকে আমাদের পৃথক হওয়ার পরবর্তী সময়ে। আমরা ঠিক জানিনা এই HACNS1 কী কাজ করে, কিন্তু হাত এবং পায়ের বৃদ্ধির সময় ডিএনএ'র এই অংশকে কার্যকর থাকতে দেখা যায়।
৫.৩ থেকে ২.৪ মিলিয়ন বছর আগে
অন্যান্য এপদের তুলনায় মানুষ খুব জোড়ে কামড় দিতে পারেনা, কারনটা হল আমাদের দূর্বল চোয়ালের পেশী। এই দূর্বলতার কারনটা রয়েছে MYH16 নামক একটি জিনের পরিব্যক্তির কারনে। জিনটি পেশী তৈরি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে কম শক্তি প্রয়োজন এমন ছোট চোয়ালের উৎপত্তি হল এবং বড় মস্তিষ্কের জন্য মাথায় বেশি জায়গা তৈরি হল।
৩.৫ থেকে ১.৮ মিলিয়ন বছর আগে
আমাদের আদি পূর্বসুরীগণ মূলতঃ ফলমূল খেতেন, কিন্তু Australopithecus গণ আলাদা লাইনে চলে গেলেন খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনে। প্রচুর পরিমান লতাপাতা খাওয়ার পাশাপাশি তারা মাংশ খাওয়ার অভ্যাস করলেন। তারা এমনকি প্রাণী কোরবানি দিতেন প্রস্তরাস্ত্র দিয়ে। বেশি মাংশ অর্থ হল বেশি ক্যালরি বা খাদ্যশক্তি প্রাপ্তি এবং চাবানোর জন্য কম সময় ব্যয়।
৩.৩ মিলিয়ন বছর আগে
মানুষ হল প্রায় লোমহীন এপ। কেউ জানেনা কেন, কিন্তু আমরা লোম ঝেড়ে ফেলেছিলাম প্রায় ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন বছর আগে। ঠিক তখনকার সময়েই গুপ্তলোমের উকুনের আবির্ভাব ঘটেছিল। এই উকুনগুলি শরীরের অন্য কোন জায়গায় লোম না থাকার কারনেই গুপ্তলোমকে পছন্দ করেছিল। সূর্যের আলোয় উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের ত্বক কৃষ্ঞকায় হলো। ঠিক তখন থেকে আমাদের সকল পূর্বসুরীরাই কৃষ্ঞাঙ্গ, খুব আধুনিক কয়েকজন ছাড়া, যারা গ্রীষ্মপ্রধান এলাকা ছেড়েছেন।
৩.২ থেকে ২.৫ মিলিয়ন বছর আগে
SRGAP2 নামক একটি জিন তিনবার দ্বিগুন হয়েছে সংখ্যায়। ফলে আমাদের পূর্বসুরীদের একই জিনের কয়েকটি সংখ্যা বা প্রকরণ ছিল এবং যেগুলির বিবর্তন স্বাধীনভাবে হয়েছে পরবর্তিতে। একটি পরিব্যক্ত প্রকরণ দেখা গেলো যে মূল জিনটির চেয়েও বেশি কার্যকর। এই প্রকরণের কারনে দেখা যাচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলি বেশি বেশি যোগাযোগসক্ষম প্রবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ফলে আমাদের মস্তিষ্ক আগের চেয়ে আরও বেশি সংযুক্ত হয়ে গড়ে উঠেছে।
২.৮ মিলিয়ন বছর আগে
আধুনিক মানুষ Homo নামক প্রজাতির অর্ন্তগত। সবচেয়ে প্রাচীন যেই Homo ফসিল ইথিওপিয়াতে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তার বয়স ছিল ২.৮ মিলিয়ন বছর। প্রথম প্রজাতি সম্ভবত ছিল হোমো হাবিলিস (Homo habilis), যদিও কিছু দ্বন্দ আছে এনিয়ে। পূর্বসুরীদের তুলনায় এই প্রজাতির প্রাণীকুলের অপেক্ষাকৃত বড় মস্তিষ্ক ছিল।
২.৫ মিলিয়ন থেকে ২ লাখ বছর আগে
মানুষের জন্য সন্তান জন্মদান কঠিন এবং মারাত্মক। এই প্রক্রিয়ায় মায়ের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সাহায্যের দরকার হয়, অন্য কোন প্রাণীতে যা দেখাই যায়না। এর কারন হল দুই পায়ে সোজা হয়ে হাঁটার জন্য আমাদের pelvic canal বা শ্রোণী নালী সরু এবং ফলে সন্তান জন্মদানের সময় পর্যাপ্ত যায়গা থাকেনা যা দিয়ে নবজাতক বের হয়ে আসবে, কারন বিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের মাথার আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। কঠিন জন্মদান প্রক্রিয়াকে নিষ্ক্রিয় করতে মনুষ্য সন্তানের আকার ছোট হয়, এবং নবজাতক প্রায় অসহায় হয়েই জন্মায়।
১ মিলিয়ন বছর আগে?
কেউ জানেনা কখন আমাদের পূর্বসুরীগণ আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা শিখেছিলেন। সবচেয়ে নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় দক্ষিন আফ্রিকার ওয়ান্ডারভের্ক গুহায় (Wonderwerk Cave) যেখানে ১ মিলিয়ন বছর পুরানো ছাই এবং পোড়া হাঁড় পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এরও পূর্ববর্তী সময়ের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করণের প্রমাণ পাওয়া যায় হোমিনিনদের মধ্যে, যার জন্য হয়তো আগুনে পোড়ানো ব্যবহৃত হত।
১.৬ মিলিয়ন থেকে ৬ লাখ বছর আগে
ছবিসূত্র ছবিতে a হল ওরাংউটান, b শিম্পঞ্জী এবং c মানুষ। নীল চিহ্নিত অংশটি হল বায়ুথলী।
প্রায় সকল প্রধাণ এপদের (great apes) কন্ঠনালীতে বায়ুথলী থাকে যা তাদেরকে উচ্চস্বরে ডাকতে সাহায্য করে। মজার ব্যাপার হল মানুষের এই বায়ুথলী নাই, কারন বায়ুথলী মানুষকে বিভিন্ন স্বরবর্ণ উচ্চারণ করতে বাধা দেয়। আমাদের পূর্বসুরীগণ নিয়ান্ডারথালদের থেকে পৃথক হওয়ার আগেই এই বায়ুথলী হারিয়েছিলেন। নিয়ান্ডারথালদেরও বায়ুথলী ছিলনা, ফলে ধারণা করা চলে যে তারাও মানুষের মতই কথা বলতে পারতো।
৫ লাখ বছর আগে
অল্পসংখ্যক মানুষের FOXP2 নামক জিনটিতে পরিব্যক্তি অাছে। ফলাফল হিসেবে তারা ব্যকরণ বুঝতে এবং শব্দ উচ্চারণ করতে অসুবিধা বোধ করে। এথেকে বোঝা যায় FOXP2 জিনটি ভাষা শিখতে এবং ব্যবহারে ভূমিকা রাখে। আধুনিক FOXP2 জিনটি প্রকরণ শুধুমাত্র আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেই দেখা যায়: নিয়ান্ডারথালদের FOXP2 দেখতে অবিকল আমাদের মত।
১ লাখ বছর আগে
আমাদের লালায় একধরনের উৎসেচক পাওয়া যায়, নাম এমাইলেজ। AMY1 নামক জিন এমাইলেজ এনজাইম তৈরি করে, যার কাজ হল খাবারের স্টার্চ নামক শর্করাকে ভেঙে ফেলা বা পরিপাক করা। যেসব মানুষের পূর্বসুরীগণ কৃষক ছিলেন তাদের কোষে যাদের পূর্বসুরীগণ শিকার করে বেঁচেছেন তাদের চেয়ে বেশি সংখ্যায় AMY1 জিনটি থাকে। এই সংখ্যাবৃদ্ধি সম্ভবত মানুষকে কৃষিনির্ভর সমাজ গঠনে, গ্রাম তৈরিতে এবং আধুনিক সমাজ তৈরিতে উদ্ভুত করেছে।
সূত্র:
- প্রচ্ছদ ছবি বিবিসি থেকে
- এই ছোটছোট পরিবর্তনের ফলে আধুনিক মানুষে পরিনত হওয়া নিয়ে বিবিসি'র ভিডিওটি দেখে আসতে পারেন।
মন্তব্য
কথায় কথায় যারা 'আবার তোরা মানুষ হ' কইয়া উপদেশ দেয়; তারা কি তাইলে আমাদের এই রকম আরো কয়েক লক্ষ মিলিয়ন বচ্ছর চক্কর দিয়া আসতে বলে?
কেউ যদি বলে আপনাকে মানুষ হতে তবে এতো বছরের একটা হিসাব ধরায়ে দিতে পারেন ।
ছবি কম লেখা বেশি হলে ভালো হয় মনে করি। বিশেষ করে সেই ছবি যেগুলো লেখায় কিছু যোগ করে না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ঠিক বলসেন। কমায়ে দিচ্ছি।
পরে সময় করে খতিয়ে দেখব, রাইখা গেলাম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আকর্ষণীয় লেখা।এমনিতেও এই ব্যাপারগুলোতে আমার খুবই আগ্রহ রয়েছে।চালিয়ে যান ভাই,সাথে আছি।
- সপ্তগঙ্গা
এতো সংক্ষেপে কিভাবে আমরা মানুষ হলাম আলোচনা করলে সেটা অনেকের পক্ষে বুঝে উঠা সম্ভব না। মানুষ হওয়ার গল্পটা অনেক দীর্ঘ, তাই এতো সংক্ষেপে আলোচনা কিছুটা খাপছাড়া লেগেছে আমার। মানুষ হওয়ার গল্পকে চাইলে আরো সহজ করে কয়েকটি পর্বে লিখতে পারেন।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
হুমম। এই বড় লেখা ছোট লেখার সামঞ্জস্য রাখাটা একটু সমস্যারই। কয়েকটা ব্লগ ছোট লিখছি। আরেকটু প্রতিক্রিয়া দেখা যাক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
দারুন একটা জিনিস পাওয়া গেল। ছোট ছোট লেখার মাধ্যমে এই সব বিজ্ঞানের তথ্য গুলো উপস্থাপনটা একটা অসাধারন আইডিয়া। বর্ণনামূলক লেখা হলে হয়তো অন্য কোন সময়ে পড়বো বলে রেখে দিতাম কিন্তু ঝট করেই পড়া হয়ে গেল। হয়তো আরো ভালো করে জানার বা বোঝার অনেক কিছু থেকে গেল কিন্তু যা জানা গেল তাতেই এ বিষয়ে বড় রচনা পড়া ও বোঝার মত প্রস্তুতি তৈরী হয়ে গেল। সজীব ওসমান ভাইকে প্রাণঢালা কৃতজ্ঞতা।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ছোট লেখা অনেকেরই মন ভরায় না। দেখা যাক। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
একটা জিনিস জানতে চাইছিলাম , মানুষের পূরবপুরুষ কি বিজ্ঞানীরা খুজে পেয়েছেন ?
বহুজনের ফসিল খুঁজে পেয়েছেন। ভাইব্রাদারদের ডিএনএ পরীক্ষাও হয়েছে। তবে আপনি লিষ্ট চাইলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
গোটা বিশেক প্রজাতি দেখলাম , এর মধ্যে একটা হোমোসেপিয়েন্স । কিন্তু আমার প্রশ্নটা ছিল অন্য এদের কেউ কি মানুষের পূর্বপুরুষ, না অন্য কেউ ? বিনজ্ঞানীরা কি কোন প্রজাতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন -যে এরাই মানুষের পূর্ব পুরুষ ? বা পূর্ব পুরুষের ফসিল পাওয়া গেছে ? জীন টেষ্ট / প্রোটিন / ডিএনএ এইগুলার টেষ্ট এর ফলাফল জানতে চাইছিলাম ।
ধন্যবাদ ।
উপরে দেয়া লিংকের ছবিগুলা থেকে এই লিংকের প্রজাতিগুলা হোমিনিড গোত্র থেকে মিলিয়ে পড়েন। হোমিনিডের সবাই মানুষের পূর্বসুরী যেখান থেকে পরে হোমো গণ এসেছে। এদের ফসিল পাওয়া গিয়েছে।
জেনোম বিন্যাস নিয়ে জানতে এই লেখাটা পড়ে আসতে পারেন। তবে এসব নিয়ে বহু লেখা পৃথিবীবিখ্্যাত বিজ্ঞান সাময়িকীগুলাতে পাবেন। ্একটু গুগল সার্চ করলেই।
ভালোই লাগলো, ধন্যবাদ!
লেখাটা খুবই ভাল লাগলো। বাইরে এসে পপুলার সায়েন্স বা সায়েন্স কমিউনিকেশন শব্দগুলোর সাথে পরিচিত হতে হয়েছে। আপনার লেখাগুলো খুব সহজেই সে কাতারে পড়বে বলে মনে হয়। ভারী সহজ ভাষায়, ছোট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আমার মত জীববিজ্ঞান-মূর্খকে গামলা ভরে খাওয়াতে গেলে বদহজম হয়ে যেতো। আরো লিখতে থাকুন কষ্ট করে, দু'চারজন পাঠকভক্ত পাবেন বলতে পারি।
হেহে
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য! বাংলায় দিনদিন বিজ্ঞানলেখা জনপ্রিয় হচ্ছে, আশার কথা।
সচল আর দ্বীন-দুনিয়া গুলিয়ে ফেলছেন নাকি? নাইনে আসুন!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
না, আমি সবখানেই বলতেসি। ৫-৬ বছর আগে যেখানে ৯৯ শতাংশ মানুষ বিবর্তনের নাম শুনলে ক্ষেপে যাইতো সেখানে এখন অনেকে ছেলেমেয়ে বিবর্তন নিয়ে লেখালেখিই করছে। বিবর্তনকে বাদ দিয়ে কোন বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলা সাইটও পাওয়া যায়না তেমন।
নতুন মন্তব্য করুন