একজন পুরুষ কেন তার মস্তিষ্কের এক বিরাট জায়গা নারীর বুকে ঝুলে থাকা ঐ দুইটি পৃথুল, সুডৌল, স্নেহভরা থলীর প্রতি ব্যয় করে? বিজ্ঞানীরা এখনও শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেননাই কোন একটি নির্দিষ্ট কারন। অবশ্য বহুবছরের জীববিবর্তনের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত দেহের বেশকটি অঙ্গকেই শুধুমাত্র কোন একটি নির্দিষ্টকাজে খুব সহজে ফেলে দেয়া যায় না। কিন্তু স্তনের প্রতি পুরুষের মোহের তো নিশ্চয়ই কোন কারন আছে। সেটা খোঁজার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই বলে নেই এবিষয়ে লেখার চিন্তা আমার কোথা থেকে এসেছে। বছর দুয়েক আগে এক নারী অধিকার দল তাদের ফেইসবুক পাতায় শেয়ার দিলেন যে 'নারীর স্তন দেখে যৌনাবেগ বা আকর্ষন তৈরি হওয়াটা মানসিকভাবে অসুস্থতা।' প্রথমেই মনে হলো, এতো সম্ভব নয়। নারীর স্তনের নিশ্চয়ই মানুষের যৌনতার সঙ্গে কিছু যোগাযোগ আছে। আবার গতকাল এক আলোচনায় দুইজন ফেইসবুক সেলিব্রিটি তসলিমা নাসরিনের মত করেই বলার চেষ্টা করলেন যে 'স্তন শরীরের অন্যান্য সাধারন অঙ্গের মতই আরেকখানি অঙ্গ, বিশেষত্ব নাই (মানে যৌনাঙ্গ নয়, দুগ্ধাধার হওয়াটাই একমাত্র কাজ - এমনটা বোঝাতে চাচ্ছেন)।' তখন মনে হলো দুইবছর আগের দলটার মত করে অনেকেই হয়তো ভাবেন। এমনকি অনলাইনের বিদেশী এবং বিজ্ঞানভিত্তিক পেইজেও কেউ কেউ জানিয়েছেন যে তারা একই অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন কোন কোন নারী অধিকার কর্মী বা সচেতন মানুষদের কাছ থেকে। কিন্তু মানুষের এই অঙ্গকে কি এত সহজেই ব্যাখ্যা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়া যায়? সম্ভবত না। কারনগুলা বলছি।
বিশ্লেষণ শুরু করার আগে নারী স্তনের কয়েকটি বিশেষ দিক উল্লেখ করে নেই -
এখন আমার বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন হলো
দুগ্ধগ্রন্থী হওয়া ছাড়া স্তনের কি অন্য কোন কাজ আছে?
বিশ্লেষণটা দেখা যাক।
স্তনের দুগ্ধগ্রন্থীর মূল কাজ হল শিশুকে দুগ্ধপ্রদান। কিন্তু কোন কোন গবেষক মনে করেন বৃন্তের মাধ্যমে চুষে নেয়ার পদ্ধতিতে যে বিবর্তনিক সুবিধা জীবের তৈরি হয়েছে সেটা অন্য একটা কাজে অপহৃত হয় মাঝেমধ্যে। বিবর্তন দুগ্ধপানের সঙ্গে একটি এমন নিউরাল সার্কিট তৈরি করতে সাহায্য করেছে যেটা মা-শিশুর মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করতে সহায়তা করে। স্তন থেকে বৃন্ত চুষে দুধ খাওয়ার সময় মায়ের মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন নামক এক নিউর-রাসায়নিক নিঃসরণ হয়। যার ফলে মা তার শিশুর প্রতি গভীর স্নেহ অনুভব করেন এবং তাদের বন্ধন দৃঢ় হয়।
পুরুষ, শিশুর মতই স্তনকে ভালবাসে। গবেষণা দেখাচ্ছে পুরুষ যদি তার নারীসঙ্গীর বৃন্তকে উত্তেজিত করে তবে সেটা যৌনউত্তেজনায় সাহায্য করে, এবং মস্তিষ্কের ঠিক সেই জায়গাটি কার্যকর হতে দেখা যায় যখন যোনিদ্বার এবং ক্লিটোরিস উত্তেজিত হয়। আবার যৌনসঙ্গী নারীর স্তনকে ছুঁয়ে, মাসাজ করে বা অন্য উপায়ে অংশগ্রহণ করলে তবে নারীর মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন নিসৃত হয়, ঠিক যেমনটি হয় শিশুর স্তনপানের সময়। কিন্তু এসময়ে নারী তার মনযোগ বর্ষন করেন পুরুষ সঙ্গীটির উপর, তার প্রতি গভীর মানসিক টানের উপলব্ধি তৈরি হয়।
অন্যভাবে বললে, পুরুষ নিজেকে কোন নারীর কাছে আরও কাম্য হয়ে উঠতে শৃঙ্গার এবং সঙ্গমের সময় নারীর স্তনকে উত্তেজিত করতে পছন্দ করে। ধারণা করা হয় বিবর্তন এভাবে পুরুষকে স্তনের প্রতি যৌনভাবে আকর্ষনের জন্য হার্ডওয়্যার্ড করে দিয়েছে। পুরুষের বয়ঃসন্ধির সময় থেকে নারীর স্তনের প্রতি মোহ তৈরি হয়। মস্তিষ্কের এই প্রাকৃতিক নির্বাচন ক্রিয়ার কারনে নারী এবং পুরুষের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়।
স্তনের মোহনীয়তার আরেকটা তত্ত্ব হল নারীর স্তন এবং নিতম্বের সুডৌলতা তার স্বাস্থ্যবতী এবং যুবতী হওয়ার লক্ষণ, পুরুষকে আকর্ষন করার জন্য যার কারন দুইটি হতে পারে।
প্রথমতঃ প্রায় সকল প্রাণীর মতই মানব পুরুষ চাইবে তার সন্তানের জন্য একজন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মা হোক। স্বাস্থ্যবতী মা মানে স্বাস্থ্যকর শিশু এবং জীবজগতে শিশুটির টিকে থাকার সম্ভাবনাও বেশি। সেজন্য পুরুষ্ট স্তন এবং নিতম্ব পুরুষকে স্বাস্থবতী নারী খুঁজে পেতে সাহায্য করে। আবার অন্যদিকে নারী তার দেহাবয়বের এসব বৈশিষ্ট্যের কারনে সবচেয়ে যোগ্য পুরুষকে আকৃষ্ট করে বিবর্তনিকভাবে জিনপ্রবাহে প্রতিযোগিতায় সুবিধা পায়। স্তনের মত নারীর নিতম্বের প্রতিও পুরুষের যৌনার্কষনের এরকম একটা কারণ রয়েছে বলেও গবেষকগণ ধারণা করেন।
দ্বিতীয়তঃ গর্ভক্ষমতার প্রতীক হওয়া। সম্ভবত পুরু স্তনের নারীগণ বেশি যৌনসক্ষমও হন। ২০০৪ সালের একটি গবেষণা বলছে সুডৌল স্তনের নারীগণ রজোঃকালীন সময়ে তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমান এষ্ট্রাডায়োল হরমোন নিঃসরণ করেন যা গর্ভক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
যৌনাচরণের কোন পর্বেই কোন স্তন্যপায়ীকে নারী সঙ্গীর স্তনবৃন্ত নিয়ে খেলা করতে দেখা যায় না। শুধু মানুষ এবং বোনোবো বানরে দেখা গিয়েছে। মানুষ ছাড়া প্রায় কোন প্রাণীই মুখোমুখি সঙ্গমে লিপ্ত হয়না। আর বৃন্ত আমাদের দেহের সামনাসামনি থাকে বলেই যৌনকর্মের সময় সঙ্গীকে উত্তেজিত করতে ব্যবহৃত হয়।
আবার আধুনিক মানুষ অনেকখানিই একগামী প্রাণী বলা চলে। অর্থাৎ একইসঙ্গে একাধিক যৌনসঙ্গী থাকেনা (আরব এবং তার অনুসরণকারী কিছু বর্বর সংস্কৃতির ধারকগণ ছাড়া)। ফলে পুরুষ এবং নারীর বন্ধন বহুদিন ধরে চলা খুব জরুরী। বিশেষ করে যুগল যখন সন্তান প্রসব করে তখন সেই শিশুর পরিচর্যার জন্য নারীর পুরুষকে দরকার বিভিন্ন সুবিধার জন্য। তাই বন্ধন দীর্ঘস্থায়ী হওয়াটা জরুরী।
আবার মানুষ দুপায়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারা এবং এভাবে দীর্ঘক্ষণ চলতে পারা একমাত্র জীব। আমরা দাঁড়িয়ে মুখোমুখি সামাজিক আলাপচারিতা চালাই। ফলে পুরুষকে আকর্ষণের জিনিসপাতি নারীর দেহের সামনের দিকে থাকাটা জরুরী। যৌন সফলতার জন্য।
কেউ কেউ স্তনের প্রতি পুরুষের মোহের কারন ব্যাখ্যা করা এই অনুকল্পগুলির সঙ্গে একমত হননি। কারন একটা পুরানো পরীক্ষার সঙ্গে ব্যাখ্যাগুলি বা মূল প্রশ্নটিই সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
আমরা ধারণা করি প্রায় বৈশ্বিকভাবেই নারীর স্তনের সুডৌলতার প্রতি পুরুষের আর্কষণ কাজ করে যার পেছনে যৌননির্বাচন হয়তো কাজ করছে। কিন্তু ১৯৫১ সালের এক পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে ১৯১ টি সমাজ বা সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে মাত্র ১৩ টি সংস্কৃতিতে পুরুষেরা নারীর স্তনকে যৌনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। তাও এই ১৩ টি সমাজের পুরুষেরা একমত হতে পারেননি ঠিক কোনধরনের স্তন সবাই পছন্দ করেন। আফ্রিকার দুইটি সমাজ - Azande এবং Ganda সমাজের পুরষেরা কিছুটা লম্বাটে, পেন্ডুলামের মত ঝুলে থাকা স্তন পছন্দ করেন, অন্যদিকে আফ্রিকার Maasai এবং দক্ষিক প্রশান্তের Manus সমাজের পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় উঁচু, অর্ধগোলকের মত স্তন, কিন্তু স্তন বড় হতে হবে এমন কোন কথা নাই।
আবার ১৩ টি সমাজ বলেছে যৌনমিলনের সময় তারা বৃন্ত উত্তেজিত করার মত আচরণ করে থাকেন। কিন্তু ঝামেলা হলো, এই ১৩ সমাজের মাত্র ৩ টি আগের ১৩ টি সমাজের দলে পরেছে, অর্থাৎ মনে করে স্তন যৌনাচারে গুরুত্বপূর্ণ।
বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং মানুষের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা ও চিন্তাভাবনা বলছে যে নারীর স্তন মানুষের যৌনাচারে, এমনকি মানুষের বিবর্তনে যৌননির্বাচনে সম্ভবত ভূমিকা রেখেছে। শেষে যে পরিসংখ্যানটি পাই তাতে ভিন্ন চিত্র মনে হলেও এধরনের গবেষণায় কয়েকটা সমস্যা থাকে। প্রথমতঃ ১৯১ টি সমাজকে একই প্রশ্ন দিয়ে একই জিনিস বোঝানোটা সমস্যা। আধুনিককালে এইধরণের পরীক্ষার আরও বিভিন্ন আধুনিক উপায় বের হয়েছে এবং আমি মনে করি কিছু বাড়তি পরীক্ষার প্রয়োজনও রয়েছে।
কিন্তু পরিসংখ্যানিক পরীক্ষার সাথে সঙ্গতি রেখে আরেকটা চিন্তা মাথায় আসে। স্তনের প্রতি পুরুষের মোহ কী একটি 'শিখিয়ে দেয়া আচরণ' (acquired behavior)? মানে বয়োঃপ্রাপ্তির সময় থেকে আমাদের মাথায় সামাজিকভাবেই প্রবেশ করেছে যে নারীর স্তন একটি যৌনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বস্তু? কিছু গবেষক বলছেন যে এটা সম্ভব, কিন্তু তার জন্য আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।
তবে এখন পর্যন্ত উপরে উল্লেখ করা পরীক্ষাগুলির মত বেশ কিছু জীববৈজ্ঞানিক গবেষণা বলছে স্তনের প্রতি মোহ পুরুষের মস্তিষ্কে সম্ভবত হার্ডওয়্যার করা, মানে জীববিজ্ঞানগতভাবে স্বতস্ফুর্ত। ভবিষ্যতে হয়তো আমরা এসব নিয়ে আরও জানবো।
এইধরনের লেখায় একটা দ্বিধা কাজ করে। বিশেষ করে আমি পুরুষ বলে। প্রথমতঃ অতিউৎসাহী মানুষ খুব সহজেই 'সেক্সিষ্ট' উপাধি দিয়ে দিতে সময় ব্যয় করেন না। ব্যাপারটা বেশকিছু ক্ষেত্রেই অনেকটা 'নিজের মতামতের মত হলোনা বলে সে অমন' বলে দেয়ার মত। এতে আমি বিশেষ বিচলিত হইনা। কিন্তু ঝামেলা হয় এসব অভিযোগ ওঠার পরে অন্যান্য সাধারণ মানুষ খুব বেশি চিন্তা না করেই কোন মানুষকে সেই উপাধিতে ডাকতে থাকেন। দ্বিতীয়তঃ পুরুষ বলে আমার লেখায় পুরুষ হিসেবে মাথায় প্রোথিত সামাজিক আচারের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে সেটা আমি না বুঝেই করতে পারি। আমি চেষ্টা করেছি এই লেখাটা এমনভাবে লিখতে যেন আমি পুরুষ নাকি নারী সেবিষয়টা যেন লেখাতে বোঝা না যায় সেটা ধরে রাখতে। কিন্তু পুরোটা পড়ে মনে হচ্ছে সেটা পারিনাই। যাক, বেশি চিন্তা করে লাভ নাই। লেখার উদ্দেশ্য সফল হলে হয়।
আর উদ্দেশ্য হল নারীর স্তন শুধু দুগ্ধগ্রন্থীই নয়, বরং মানুষের যৌনাচারে এর ভূমিকা রয়েছে - এটা বোঝানো। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপারই হতে পারে। প্রাচীনকালে নারী যেমন বলিষ্ঠ পুরুষ পছন্দ করতো স্বাস্থ্যকর বংশধর পাবার আশায় পুরুষের স্তনের প্রতি মোহও একই কারনে হতে পারে। সহজভাবে জীববিজ্ঞানের এই ব্যাপারটা গ্রহণ করতে পারতে হবে।
কিন্তু এইখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত। 'আমরা নারীর স্তনের প্রতি আকর্ষিত হবোই, আমাদের কু-আচরণের জন্য আমরা দায়ী নই' - এমন চিন্তা কোন পুরুষ যদি মাথায় নেন তবে তিনি আসলে মানুষই নন। আরবে এবং পাকিস্তানে দলবেঁধে নারীর শরীর স্পর্শ করা একটা নোংরা খেলা চালু আছে। বাংলাদেশেও এমনটা হয়েছে বছরখানের আগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। এইসব কাজ যারা করেন তারা মানুষ নামের কলঙ্ক। আমার এই লেখা মোটেই আপনাদের উৎসাহিত করা নয়। বরং আমাদের কয়েকটা কথা মনে রাখতে হবে। আপনি কোন কিছুর প্রতি আকর্ষিত মানেই কিন্তু তারজন্য জঘন্য আচরণ করা নয়। মনে রাখা উচিত নারী বা পুরুষের অনুমতি ছাড়া তার প্রতি যৌনাচার হল জঘন্য অপরাধ। নারীর শরীর আপনার যত ভালোই লাগুক তার অনুমতি ছাড়া একজন পুরুষের কোন অধিকার নাই যৌনাচারের। সেটা নারীকে অস্বস্তিতে ফেলার মত করে চেয়ে থাকা থেকে শুরু করে তাকে স্পর্শ করা পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই খাটে।
সূত্রঃ
আমি আলাদাভাবে এখানে আবিষ্কারগুলি নিয়ে সূত্র উল্লেখ করছিনা। সূত্রের জন্য এবং আরেকটু বিস্তারিত জানতে এই প্রবন্ধটি পড়ে নিতে পারেন।
মন্তব্য
লেখাটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। ভালো লাগলো।
আচ্ছা আমি অতিথি লেখক হিসাবে লেখা দিতে চাইছি কিন্তু পারছি না। ছবি এড করা যাচ্ছে না। ইটালিক কিংবা অন্য কোন সজ্জাও করতে পারছি না লেখায়। সমস্যাটার কারণ কি বলতে পারেন কিংবা কিভাবে এর সমাধান সম্ভব। (যদিও আপনার লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক নয় তারপরেও কোথায় জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারছি না বিধায় আপনার লেখায় কমেন্ট করলাম। বিরক্ত হলে ক্ষমা করবেন। আশা করছি সম্মানিত মডারেটরের চোখে পড়বে বিষয়টা।)
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
ছবি এড করার ঝামেলাটা আমাকেও পোহাতে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত ইমগুরে আপলোড করে লিঙ্ক জুড়ে দিয়েছি। 'ইটালিক কিংবা অন্য কোন সজ্জার জটিলতার' কোন সমাধান জানিনা, মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
এক দমে পড়ে ফেললাম পুরোটা, চমৎকার লিখেছেন। প্রিয় পোস্টের তালিকায় রেখে দিলাম। আরও কয়েকটা পর্ব কিন্তু চেষ্টা করলেই লিখতে পারেন, সাথে আছি।
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
থ্যাঙ্কু!
ধন্যবাদ।
এডমিন হয়তো সাহায্য করতে পারবেন আপনাকে। ফেইসবুকে শেয়ার নিয়েও সচলের লিংকে ঝামেলা হয়। আমার লেখা প্রায়ই 'প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত' হিসেবে দেখায়।
পুরোটা পড়া লাগে না, আপনার শিরোনাম আর প্রথম লাইনটা পড়লেই সেটা বিলকুল বোঝা যায়। হা হা হা!
তবে হ্যাঁ, আপনার লেখার মূল প্রশ্নটা একটা ভ্যালিড বৈজ্ঞানিক প্রশ্ন বা কৌতূহল হতেই পারে, কারন এটা একটা বাস্তব প্রপঞ্চ। এনিয়ে 'সেক্সিজম', অশ্লীলতা, ইত্যাদির অভিযোগ অবান্তর।
****************************************
হেহে
কিন্তু শিরোনাম এবং প্রথম লা্ইনটা কি একজন নারী লিখতে পারেন না?
পুরুষের কি সমতুল্য কোন অঙ্গ আছে?
পুরুষের সমতুল্য অঙ্গ ঠিক সেভাবে নাই বলা চলে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে নারীর যৌনাকর্ষন অন্য কিছু বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করার প্রমাণ আছে। সুস্বাস্থ্য তার মধ্যে একটা।
এক কবি বলেছিলেন “দৃষ্টির নন্দনযজ্ঞে প্রথম আহুতি”, নীরেন্দ্রনাথ না দিব্যেন্দুপালিত ঠিক মনে পড়ছেনা।
লেখাটা ভালো লাগলো। লাইভসায়েন্সের এর লিংকটার জন্য বাড়তি একটা ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
ধন্যবাদ!
শেষ প্যারায় এসে 'সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুভূতিতে আঘাত' দিলেন!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হেহে
এইখান থেকে আসলে আঘাত পাওয়ার মত অনেকগুলি জিনিসই নেয়া যায়। যে যেইটা নেন সেটাই হল কথা।
এই ১৩ টি সংস্কৃতির মধ্যে নিশ্চয়ই বৃহত্তর ভারতীয় সমাজও অন্তর্ভুক্ত? কারন প্রাচীন কাল থেকেই এখানকার ভাস্কর/শিল্পীরা সুডৌল স্তনবিশিষ্ট নারীমূর্তি গড়েছেন।
এইটা একটা ভাল কথা বলসেন। সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা যৌনতার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সময়ের সাথে পরিবর্তিত। ২৫ হাজার বছর আগে ইউরোপে আবেদনময়ী নারী হয়তো এরকমই ছিল।
ডেসমন্ড মরিসের "দ্য বডি ওয়াচিং"-এ বেশ কিছু ভাল তথ্য ছিল সেই সময়ে। বিশেষ করে নিতম্বের সাথে স্তনের সাদৃশ্য, কেন মানব নারী স্তন-বৃন্ত একই সাথে দুটি কাজে ব্যবহৃত হয় ইত্যাদি।
লেখা ভালো লাগল। আরও লেখা আসুক, পারলে দেশের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে
facebook
হ্যাঁ, স্তনকে উণ-নিতম্ব বলে মনে করেন অনেকে।
উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
স্যার, আপনার লেখা পড়তে এই ব্লগের নাগরিক হতে আবেদন করেছি, আপনার লেখাগুলোতে জীববিদ্যাকে গল্পের মত করে ফুটিয়ে তুলেন। আমার দেখা বেস্ট।
কিভাবে আপনার গুণের প্রশংসা করবো, আমি মুগ্ধ।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!
চমৎকার। বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোন থেকে এই ব্যাখ্যাগুলো সামাজিকভাবে প্রচলিত অনেক ভুল ধারনাকে সমূলে উৎপাটিত করুক এই কামনা করি। রবার্ট রাইটের দ্য মোরাল এনিমেল পড়ছি এই মুহুর্তে। মানুব প্রকৃতির বিভিন্ন দিকের বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা সমবলিত দারুন একটি বই। আপ্নার লেখা পড়ে সেটার কথা মনে পড়ে গেল। এরকম আরো লেখা পড়তে চাই। ধন্যবাদ।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
নতুন মন্তব্য করুন