ভুরু বা কোদণ্ড, যাই বলুন না কেন, মানুষের চেহারার এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো চোখের ওপরে ভেসে থাকা এই মিহি লোমের রেখাদুটি। আমাদের মনের বিভিন্ন ভাব মুখাবয়বের বিভিন্ন অংশ দিয়ে প্রকাশ করার সময় ভুরুও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, আপনি কারও উপর বিরক্তি প্রকাশ করতে ভুরু কুঁচকালেন, অথবা ভয়ের ভিডিও দেখে বা কারও কথায় অবাক হয়ে চোখ বড় করতে গিয়ে ভুরুকেও উপরে তুলে ধরলেন, অথবা, পাশের বাসার রহিম সাহেবের বেতনের পরিমান শুনে অবজ্ঞায় একটা ভুরু তুলে একটু তাচ্ছিল্য দেখালেন - ভুরুর কতো কাজ রে বাবা।
এ প্রসঙ্গে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার কথা আনা চলে। তবে এখন জিজ্ঞেস করতে পারেন ভুরুর আলাপ পারতে বসে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে কেন টেনে আনলাম। আনার কারনটা তো ঐ, তার ভুরু। খালেদা জিয়ার ভুরুর বৈশিষ্ট্য হলো তিনি ভুরু চেঁছে এমনই করে ফেলেছেন যে খুব বেশি আলো না দিলে ধনুকদুটোকে প্রায় দেখাই যায় না। আসলে মানুষের ভুরুর পুরুত্ব এবং ভুরু ধরে রাখার জন্য অক্ষিকোটরের উপরে খুলির যে প্রবৃদ্ধি অংশটুকু সেটা বিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ তৈরি হতে গিয়ে কমেছেই। অর্থাৎ, বলা যায়, ভুরুর বিলুপ্তির সাথে মানুষে পরিণত হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। শুনে নিশ্চয়ই খালেদাপ্রেমীরা খুশি হলেন।
এবার কিছু গল্পে আসি। তার আগে মানুষ আর আদি বিনরের (Ape) খুলিতে ভুরুর খাঁজ লক্ষ্য করুন। খয়েরি রঙের বিনরের খাঁজ অনেক উঁচু।
জাম্বিয়ার দস্তার খনি থেকে এক সুইস খনিক অসাধারণ একটা আবিষ্কার করলেন ১৯২১ সালে। একদম নিখুঁতভাবে অক্ষত থাকা একটা বিনরের খুলি, যেটাকে আমরা এখন কেবোয়ে ১ বা ভাঙা পাহাড়ের খুলি হিসেবে চিনি। চমৎকার খুলিটি লন্ডনের প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ববিদ আর্থার উডওয়ার্ডের কাছে পাঠানো হলো। তিনি গবেষণা করে বের করলেন যে এই বিনর খুলিটি আসলে একটা বিলুপ্ত হোমিনিন গোত্রের প্রাণীর। হোমিনিন গোত্রের আরেকটা প্রাণীর নাম হলো মানুষ। বিজ্ঞানীরা সেই বিলুপ্ত মনুষ্যপ্রায় প্রাণীটির নাম দিলেন হোমো হেইডেলবারজেন্সিস এবং নির্ণয় করলেন যে এই প্রাণীটি পৃথিবীতে বিচরণ করেছে ৩ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার বছর আগে। খুলি থেকে বোঝা যায় যে হোমো হাইডেলবারজেন্সিস দেখতে এরকম ছিলেন -
(ভুরুর খাঁজ লক্ষ্য করুন)
পর্তুগালের বিজ্ঞানী রিকার্ডো গডিনিয়ো এই কাবোয়া খুলিটি নিয়ে বেশ উৎসাহী হলেন। তিনি বলছেন - 'আমাদের প্রত্নতত্ত্বের ইতিহাসে যত খুলি পাওয়া গিয়েছে মানুষ কাছাকাছি তেমন প্রাণীগুলির মধ্যে হোমো হাইডেলবারজেন্সিসের ভুরুর খাঁজই সবচেয়ে প্রকটভাবে উঁচু, যেই জিনিসটা আমাদের, মানে মানুষের মধ্যে প্রায় অনুপস্থিত।'নিয়ান্ডারথালদের খুলিতেও এই খাঁজ দেখা যায়। রিকার্ডো ভাবলেন, প্রথমে বোঝা দরকার কেন বিনরে এই ধরনের ভুরুর খাঁজ তৈরি হয়েছে।
আসলে ভুরুর খাঁজের কাজ কী ছিলো সেটা নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বহু আগে থেকেই চিন্তা করে আসছেন। অনেকগুলা প্রকন্পও প্রস্তাবিত হয়েছে। একজন নৃতত্ত্ববিদ তো এক অদ্ভুত গবেষণায় নিজেই অংশগ্রহন করেছেন। গ্রোভার ক্রান্টজ নামের এই বিজ্ঞানী ৬ মাস যাবৎ বিনরের মতো উঁচু ভুরুর খাঁজওয়ালা একটা জিনিস পরে ঘোরাঘুরি করেছেন এবং আশেপাশের মানুষের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছেন। সে গবেষণা থেকে তার অনুমান হলো শত্রুকে ভয় দেখাতে এই খাঁজের কাজ বেশ জরুরী ছিলো!
ভুরুর খাঁজের বিলুপ্তি নিয়েও দুইটা প্রধান ধারার চিন্তা আছে। একটা চিন্তা বলে, বৃহৎ মস্তিষ্ককে জায়গা দিতে গিয়ে খুলির সামনের দিক যেহেতু বাড়াতে হয়েছে সেহেতু এরকম খাঁজের প্রবৃদ্ধি আসলে খুলির বৃদ্ধিমান হাড়ের সাথে মিশে গিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে আধুনিক মানুষে। যেমনটা অন্য বিনরে দেখা যায় না। যেমন, শিম্পঞ্জীর কথাই ধরুন। এদের চোখ মস্তিষ্কের ঠিক সামনে অবস্থিত, যা উঁচু ভুরুর খাঁজের হাড় দিয়ে আরক্ষিতও। মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। আমাদের চোখ বিশালাকারের কপাল নিচে অবস্থিত। বড় কপাল তৈরি হয়েছে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবকে জায়গা দেয়ার জন্য। যার ফলে ভুরুর খাঁজের বিলুপ্তি ঘটেছে।
অন্য তত্ত্বটি হলো যান্ত্রিক কারণ। হোমিনিনদের চাবানোর কারনে মস্তিষ্ক এবং মুখমন্ডলে চাপের কারনে কোন ক্ষতি যেন না হয় সেটা থেকে প্রতিরক্ষা করতেই বড় ভুরু খাঁজ। বিনরদের সজোড়ে চাবানো এবং চোষার দরকার ছিলো, তারা মাংস রান্না করে খেতো না বলে। আধুনিক মানুষে সেটা আর দরকার হয়না।
তবে গোডিনিয়ো এই দুইটা অনুমানকেই পরীক্ষা করে দেখেছেন কাবোয়া ১ খুলি থেকে মডেলিং পরীক্ষার মাধ্যমে। তিনি এই ধারণায় উপনীত হয়েছেন যে দুই অনুমানের কোনটাই আসলে খুব সঠিক নয়। তাহলে অন্য কী কারন থাকতে পারে সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা শুরু করলেন বিজ্ঞানীগণ আর কিছু অন্যধরনের বানরের সন্ধান করলেন। এদের বলে ওল্ড ওয়ার্ল্ড মাংকি বা আদিম পৃথিবীর বানর। এমন কিছু বানরে মুখমন্ডল খেয়াল করলেও দেখা যাবে যে তাদের মুখের ভুরুর খাঁজা ছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় হাড়ের প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে। কেন? তাহলে কি এই খাঁজগুলির কাজ ঠিক ভুরুর জন্য নির্দিষ্ট নয়?
(Mandrillus leucophaeus বানরের মুখমন্ডলে শুধু ভুরুর খাঁজ ছাড়াও অন্যধরনের খাঁজও বিদ্যমান)
আসলে এই বানরগুলি তাদের মুখাবয়বের বৈশিষ্ট্যকে নিজেদের বিভিন্ন মুখভঙ্গিতে ব্যবহার করতে দেখা যায়। তাহলে প্রশ্ন হলো বিনরেও কি একই কারনে ভুরুর খাঁজ ছিলো? কারন হোমিনিডদের জীবাশ্ম নমুনাগুলি দেখলে দেখা যায় সময়ের সাথে সাথে মুখমন্ডলের আকার ছোট হয়ে এসেছে। এটা হওয়ার সময় কপাল অনেকবেশি উলম্ব আর কম পেছনের দিকে ঢালের মতো হয়েছে। ফলতঃ মাথার পেশিগুলির কাজ নিশ্চিতভাবেই ভিন্ন হয়েছে। আর এতে উঁচু খাঁজ ছাড়াই ভুরু আরও স্পষ্টভাবে দেখতে পারা যাচ্ছে কপালের সম্মুখভাগে। এই পুরো পরিবর্তনটুকুতে যা হয়েছে তা হলো ভুরুকে এবার সহজেই বাচন ছাড়াই মুখমন্ডল দিয়ে অন্য অনুভূতি প্রকাশে ব্যবহার করা গিয়েছে। মানে হলো কথা বলা ছাড়াও মুখের ভঙ্গি দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করা জন্য সম্ভবতঃ সামনের দিকে ভুরু চলে এসেছে, যার জন্য খাঁজের আর দরকার হয়নাই। যদিও এই নতুন অনুমান এখনও আরও প্রমাণের দাবিদার, তবে বেশ কৌতুহলি তো বটেই, তাইনা?
এবার তাইলে উপরের ছবিটা দেখুন আর ভাবুন। খাঁজবিহীন মসৃন কপাল। সুন্দর চিকন ধনুকের মতো ভুরু। খালেদা জিয়ার ভুরু প্রায় নাই হয়ে যাওয়াটা আসলে উন্নত মস্তিষ্কের মানুষেরই লক্ষণ। মানে খাঁজ ছাড়াই এই ভুরু দেখা যাওয়ার কথা। যদিও তিনি এটা চেঁছে ফেলছেন বলে কথ্যভাষা ব্যতীত নিজের ভাবভঙ্গি প্রকাশে কষ্ট হওয়ার কথা। যেমন, মনে করেন ভুরু নাচিয়ে ইশারায় কাউকে ডাকতে চান। কিন্তু, দূর থেকে যার ভুরু দেখাই না যাবে তার ইশারা কেউ বুঝবে কিভাবে?
যাই হউক, এসব ভাবতে ভাবতে নিজের কপালে হাত দিয়ে দেখার চেষ্টা করতে গিয়ে মেরুদন্ড দিয়ে একটা শীতল স্রোত নেমে গেলো। আরে, আমার ভুরুর খাঁজতো বেশ বড় আর উঁচু! তাহলে বউ যে ঝগড়া হলেই নিয়ান্ডারথাল বলে গালি দেন সেটা কি সত্যি অভিশাপ হয়ে আমার উপর বর্ষিত হলো? আমাদের জেনোমে এমনিতেই কিছু পরিমান নিয়ান্ডারথালদের ডিএনএ আছে। আমার কাছে কিছু বেশি ডিএনএ চলে আসলো কিনা কে জানে! ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে দেখি!
বাংলা | ইংরেজি |
বিনর | APE |
সূত্র:
লেখাটি দ্য সায়েন্টিস্ট সাময়িকী থেকে নেয়া হয়েছে -
https://www.the-scientist.com/notebook/raising-brows-64344
কৃতজ্ঞতা:
খালেদা জিয়ার মেইক আপ আর্টিস্ট।
মন্তব্য
১। নামকরণের অংশটা পড়ে এরকম মনে হচ্ছে যে নমুনাটা জাম্বিয়ায় পাওয়া গেল তারপর বিজ্ঞানীরা বসে নাম দিলেন এরকম। হোমো হাইডেলব্যরগেন্সিস পাওয়া ও তার নামকরণ আগেই হয়। হোমো হাইডেলব্যরগেন্সিসের প্রথম নমুনা পাওয়া যায় জার্মানির হাইডেলব্যরগের কাছে মাউয়ার নামে একটা জায়গায়। নিয়ান্ডার্থালের মতো যে জায়গায় পাওয়া গেছে সে যায়গার নাম অনুসারেই এটার নামকরণ। এই নামকরণটা করেন জার্মানি নৃতাত্ত্বিক ওটো শোয়েটেনযাক (https://de.wikipedia.org/wiki/Otto_Schoetensack) ১৯০৮ সালে।
২। কপালের বাড়তি অংশের নিচে কী ছিল? সাইনাস পকেট থাকলে এবং তখনকার লোকেদের নাক টানার অভ্যাস থাকলে অবস্থা খুব খারাপ হবার কথা।
৩। আমি হলে খালেদা জিয়া, বা এরকম কোন নারী যিনি একটু অন্যরকম সাজেন, তার প্রসঙ্গ এভাবে টানতাম না। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই প্রসঙ্গ লেখাকে লঘু করে দিয়েছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
১. হুমম। ঠিকই বলেছেন। নামকরণের জায়গাটা সেরকমই মনে হচ্ছে। পরিষ্কার করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২. সাইনাসের ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং! তবে সম্ভবত সম্পর্ক নাই। সাইনাসের গর্তগুলির তৈরি হয়েছে নাকের মাধ্যমে কোন ধুলাবালি ভেতরে গেলে সেগুলোকে আটকে দিতে। এছাড়াও শ্বাসপ্রশ্বাসে সুবিধার জন্য কিছু ব্যাপারও আছে। সেজন্য গর্তগুলি নাকের আশেপাশেই বেশি থাকে। প্রাইমেটে একেবারে চোখের উপরে এরকম গর্ত থাকার সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে।
৩. লঘু করার চেষ্টা ছিলো। ভুরুর খাঁজ নিয়ে একটা বিজ্ঞান নিবন্ধ মানুষকে পড়ানোর চেষ্টা থেকে। এতে অনেকে বিরক্ত হতে পারেন মাথায় রেখেই করেছি।
৩ নম্বর পয়েন্টের কথা চিন্তা করে শিরোনাম আর কিছু জায়গা পরিবর্তন করে দিয়েছি।
চার রকমের প্যারান্যাসাল সাইনাস আছেঃ
১। ফ্রন্টালঃ মানুষ, গরিলা, এবং শিম্পাঞ্জি
২। এথময়ডালঃ মানুষ, গরিলা, এবং শিম্পাঞ্জি
৩। ম্যাক্সিলারিঃ মানুষ, গরিলা, শিম্পাঞ্জি, ওরাং-ওটাং, এবং গিবন
৪। স্ফেনয়ডালঃ মানুষ, গরিলা, শিম্পাঞ্জি, ওরাং-ওটাং, এবং গিবন
মধ্য/দক্ষিণ আমেরিকার বানরদের মধ্যে চার প্রকার সাইনাসই দেখা যায়; কিন্তু এশিয়া এবং আফ্রিকার বানরদের মধ্যে প্যারান্যাসাল সাইনাস অত্যন্ত বিরল। শিভাপিথেকাস ছাড়া মায়ওসিন যুগের (২৪-৫ মিলিয়ন বছর) সকল এপদের মধ্যে (১) এবং (২) দেখা যায়।
ও। ভুল বলেছি। ফ্রন্টালইতো ভুরুর পেছনের দিকে। তবে পুরো ভুরু অংশ জুড়ে না। আর বাকিগুলো ভুরুর কাছে না।
সকল প্যারান্যাসাল সাইনাস আসলে নাসিকা গহ্বরের বর্ধিত অংশ। যেহেতু ভ্রূণ বিকাশের সময় এথময়ডাল সাইনাসের একটা অংশ ফ্রন্টাল হাড়ে ঢুকে ফ্রন্টাল সাইনাস নামে পরিচিত হয়, সেহেতু অ্যানাটমিসটদের একটা সংখ্যালঘু অংশ এথময়ডাল এবং ফ্রন্টাল সাইনাসকে পৃথক কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করেন না।
পুনশ্চঃ সাইনাসের ছবিটা মূল লেখার সঙ্গে দিয়ে দিলে মনে হয় ভাল হয়। আর আমার মতে ওল্ড ওয়ার্ল্ড মাঙ্কির অনুবাদ "আদিম পৃথিবীর বানর" না হয়ে সঠিকভাবে "এশিয়া-আফ্রিকার বানর" হওয়া উচিৎ। মধ্য/দক্ষিণ আমেরিকার বানরের তুলনায় এশিয়া-আফ্রিকার বানর কম আদিম এবং অধিক বিবর্তিত।
পুনঃ পুনশ্চঃ প্রিয় মডারেটর, যদি সম্ভব হয়, তাহলে দয়া করে আমার আগের মন্তব্য (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৮/২০১৮ - ১১:১১অপরাহ্ন) থেকে ইমেইল ঠিকানা মুছে দিন। ধন্যবাদ!
ভ্রু'র বিষয়ে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ করছি না, কেশরাজি(মাথার ) কি কারনে বিলুপ্ত হয়ে চলেছে সে চিন্তায় পেরেশানির মধ্যে আছি।
হ্যাঁ, আব্দুল্লাহ ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে জানতে চাই চুল সব আমার সাদা হয়ে যাচ্ছে কেন? বুড়োশিম্পাঞ্জিরাও কি সাদা হয়ে যায়?
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
এতো জটিল সমিকরণ ভেবে খালেদা জিয়া ভূরুতে হাত দেননি, তিনি জামাত থেকে আলাদা জিয়া হতে হাত দিয়েছেন বলেই মনে হয়। ভূরো ছাচা দেব তবুও যদি তোমরা পাশে থাকোতো থাকো, না থাকলে কিছু করার নাই। (বাকপ্রবাস)
নতুন মন্তব্য করুন