মধ্যরাতের অতিথি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি
লিখেছেন মোহছেনা ঝর্ণা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২২/০৩/২০১৫ - ৪:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফ্ল্যাট বাড়িগুলোর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বেস্টনি পেরিয়ে মধ্যরাতে যখন ইন্টারকম বেজে ওঠে তখন সবার মনেই কোনো না কোনো আশঙ্কার ভাবনা উঁকি দিয়ে ওঠে। কোনো দুঃসংবাদ না তো!কোনো অঘটন ঘটল না তো! তা না হলে এত রাতে ইন্টারকম বেজে উঠল কেন?অন্য সবার মতো সে রাতে জিনাত রহমানের বুকটাও হঠাৎ করে কেঁপে উঠেছিল যখন মধ্যরাতের নিরবতা ভেঙ্গে ইন্টারকম বেজে উঠেছিল। জিনাত রহমানের স্বামী জুবায়ের রহমান সেদিন বিকাল বেলাতেই অনেকদিন পর একা একা গ্রামে গেলেন।সেটাও জিনাত রহমানের অনেক বাঁধা উপেক্ষা করে ।আর সে কারণেই মধ্যরাতের ইন্টারকম বেজে ওঠার সাথে সাথেই জিনাত রহমানের আশঙ্কা হলো জুবায়ের ভালো আছে তো!
বাসায় জিনাত রহমানের ছাড়াও ছিলেন তার ছেলে জাহিন,ছেলের বউ নীহা,মেয়ে যুঁথি এবং কাজের সহযোগী মালা। ইন্টারকমের শব্দে যুঁথিও জেগে ওঠে এবং তাড়াহুড়ো করে ইন্টারকম সেই রিসিভ করে ।ওপাশ থেকে সিকিউরিটি গার্ড কিছু একটা বললে যুঁথি মায়ের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।আয়াতুল কুরসি পড়তে গিয়ে বিড়বিড় করা জিনাত রহমান মেয়ের দিকে ভীতু চোখে তাকায়। যুঁথি বলে,মা,মোতাহার মিয়া কে?
জিনাত রহমান পায়চারি থামিয়ে বলল,মোতাহার মিয়া?সে আবার কে?কেন?কি হয়েছে?তোর বাবা ভালো আছে তো?
যুঁথি বলল,তাহলে বলে দেই চিনি না ।এখানে বাবার কথা আসছে কেন?
জিনাত রহমান কিছু একটা ভাবছিলেন ।এই ফাঁকে যুঁথি সিকিউরিটি গার্ডকে জানিয়ে দিল,এই নামে কাউকে চিনি না ।
সিকিউরিটি গার্ড বলল,ম্যাডাম লোকটা নাকি আপনাদের গ্রামের মানুষ।আপনার বাবার আত্মীয়।
যুঁথি সে কথা বলতেই জিনাত রহমানের মাথাটা যেন চক্কর দিয়ে উঠল। জুবায়েরের গ্রামের মানুষ, জুবায়েরের আত্মীয় স্বয়ং চলে এসেছে তার মানে জুবায়েরের নিশ্চয়ই কোনো বিপদ হয়েছে।
যুঁথি মায়ের অবস্থা দেখে সিকিউরিটি গার্ডকে বলল,লোকটাকে উপরে পাঠিয়ে দিন।এরপর ভাইয়ের ঘরের দরজায় টোকা দেয়।
জাহিন দরজা খুলে ঘুম জড়ানো চোখে বলে,কি হয়েছে?
যুঁথি বলে, ভাইয়া দেখ না মা কেমন জানি করছে। মোতাহার মিয়া নামে কাউকে কি চিনিস? আমাদের গ্রামের নাকি। বাবার কেমন আত্মীয় হয়।বাবার আত্মীয় হলে আমরা চিনব না?
জাহিন নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে মোবাইল খোঁজে।আর বোনকে বলে,বাবাকে ফোন করলেই তো হয়।
-বাবাকে ফোন করবি কিভাবে?গ্রামে ঘরের মধ্যে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে?
- দাঁড়া দেখছি।
জাহিন মোবাইলে জুবায়ের রহমানের নম্বরে ডায়াল করতে করতে মায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
জিনাত রহমান ছেলের দিকে তাকিয়ে বলে,তুই কাকে ফোন করছিস?
-বাবাকে।
কি করছিস? হার্টের পেশেন্টকে এভাবে ফোন করা যায়?
-মা আগে ফোন করা যায় কিনা দেখি।এই মাঝরাতে কি যে উটকো ঝামেলা।
জুবায়ের রহমানের নম্বরে ফোন সংযোগ হচ্ছে না ।জাহিনের চেহারাতে বিরক্তি ফুটে ওঠে ।
এরই মধ্যে কলিং বেল বেজে ওঠে।সিকিউরিটি গার্ড মোতাহার মিয়াকে নিয়ে আসেন। জিনাত রহমান এগিয়ে গিয়ে মোতাহার মিয়ার দিকে তাকান।যদি কেউ মোতাহার মিয়াকে চেনে থাকে তবে তিনিই চিনবেন ।কারণ তার ছেলে-মেয়েরা গ্রামে খুব একটা যায় না তাই গ্রাম সম্বন্ধীয় এরকম আত্মীয় স্বজনদের ও তেমন একটা চেনে না ।
ময়লা হয়ে যাওয়া সাদা রঙের পাঞ্জাবী গায়ে দেয়া লোকটার বয়স পঞ্চাশোর্ধ বলে মনে হচ্ছে জিনাত রহমানের।মুখে সাদা দাড়ি। চোখ দুটো লালচে হয়ে আছে।মাঝারি গড়নের বেটে খাটো একজন মানুষ।পুরো চেহারাতে অপরিচ্ছন্ন একটা ভাব।মাথায় সাদা একটা টুপি।
জিনাত রহমান কোনো ভাবেই মোতাহার মিয়াকে চিনতে পারছেন না ।একটুও পরিচিত মনে হচ্ছে না ।জিনাত রহমানকে দেখেই মোতাহার মিয়া সালাম দেন,আসসালামুয়ালাইকুম ভাবীসাব।
নিরবে সালামের জবাব দিয়ে জিনাত রহমান সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করেন,ওনাকে এখানে কে এনেছে।
আপনাদের আগের বাসার দারোয়ান,জবাব দেয় সিকিউরিটি গার্ড।
আগের বাসার দারোয়ান!আঁতকে উঠেন জিনাত রহমান।তিনি ভাবনায় পরে যান।কে এই মোতাহার মিয়া?যে কিনা তাদের পুরনো বাসাও চেনে!
ছেলের দিকে তাকিয়ে বলেন,জাহিন,বাবা তুই একটু জিজ্ঞেস করতো।
এতক্ষণে মোতাহার মিয়া বলল,ভাবীসাব আমনে আঁরে চিনেন নো?আঁই মোতাহার।রহমানের লগে একত্রে হড়ালেয়া কইরছি।আমনে গো আগের হেই হুরান বাসাতও গেছি তো আঁই।আমনের মনো নাই?আমনে কোরাল মাছ রাইনছিলেন।আর রাইনছিলেন লইট্টা মাছ।আঁর বাপ-দাদার চৈদ্দ গোষ্ঠীও কোনো এই মাছে নাম হুনে নো।
জাহিন মোতাহার মিয়াকে ড্রইং রুমে বসতে বলে।
সিকিউরিটি গার্ড সালাম দিয়ে চলে যায় ।
মোতাহার মিয়া জাহিনের দিকে না তাকিয়েই বলেন,ভাতিজা,মুরব্বীগরে দেখলে সালাম দেওন লাগে।আঁই তোমার বাপের বয়সী।তার মানে হইল গিয়া তোমার মুরব্বী।সালাম দেও।
জাহিন বিব্রত হয়ে মোতাহার মিয়াকে সালাম দেয়।
ভাবীসাব আমনে এক্কার আগের মতোই আছেন।অনো বুড়া অন নো। রহমাইন্না কোনাই?জুবায়েরকে ওর গ্রামের মানুষজন রহমান নামেই চেনে,জানে এবং ডাকে।কিন্তু এই লোক যেভাবে ‘রহমাইন্না’ বলে ডাকল জিনাত রহমানের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।
জাহিনকে বসতে বলে জিনাত রহমান নিজের ঘরে চলে এলেন।টেলিফোন ইনডেস্ক থেকে জুবায়েরের চাচাতো ভাই আশরাফের নম্বর খূঁজে বের করলেন।এতক্ষণে একটা দিকে ভালো হয়েছে।আর তা হলো জুবায়েরকে নিয়ে অজানা শঙ্কা জিনাত রহমানের মন থেকে কিছুক্ষণের জন্য বিলুপ্ত হয়েছে।
কারণ মস্তিষ্কের সমস্ত দুয়ার এখন এই মোতাহার মিয়াকে নিয়েই ব্যস্ত।
আশরাফকে ফোন দেয়ার আগে জিনাত রহমান ঘড়িতে সময় দেখলেন,রাত সোয়া তিনটা। এত রাতে কাউকে ফোন করাটা খুবই দৃষ্টিকটু,কিন্তু তিনি নিরুপায়। মোবাইলের শব্দে জেগে ওঠেন আশরাফ। সাথে তার স্ত্রীও।
মোবাইলের স্ক্রিনে জিনাত ভাবির নামটা দেখে ফোনটা রিসিভ করেই বললেন,কি হয়েছে ভাবি? কোনো সমস্যা?জুবায়ের ভাই ভালো আছে তো!
-হ্যাঁ ,আশরাফ ভাই একটা সমস্যা হয়েছে।আপনার ভাই তো সকালে গ্রামে গেছে হঠাৎ করে। মোতাহার মিয়া নামে কাউকে কি চেনেন আশরাফ ভাই?আপনাদের গ্রামের নাকি।
আশরাফ বললে,মোতাহার ভাই,হ্যাঁ চিনি তো।আমাদের বাড়ির উত্তর দিকে যে মাষ্টার সাহেবের বাড়ি আছে না, সেই বাড়িটা ওনাদের।আর মোতাহার ভাই রহমান ভাইদের বয়সী।রহমান ভাইয়ের সাথে একই স্কুলে পড়ালেখা করেছে।পরে শুনেছি দেশের বাইরে ছিল অনেক বছর।বেশ ক’বছর আগে ওনার বউ মারা গেছে।ছেলে-মেয়ে আছে।কিন্তু কি রকম আছে সেটা এখন জানি না ।আর গত ক’বছর ধরে মোতাহার ভাইয়ের মাথাও খারাপ হয়ে আছে।তবে এক সময় প্রচন্ড কাজের মানুষ ছিল।মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক কাজে সহযোগিতা করেছে।কিন্তু কেন ভাবি?হঠাৎ করে এই মাঝরাতে মোতাহার ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন?
জিনাত রহমান বললেন,আশরাফ ভাই সর্বনাশ হয়ে গেছে।আপনাদের অনেক কাজের মানুষ মাথা খারাপ মোতাহার ভাই এখন আমার বাসায়।
আশরাফ চমকে উঠে বলে,কি বলছেন ভাবি?রহমান ভাই কোথায়?
বললাম না,ও তো আজকেই গ্রামে গেছে।কি যে বিপদে পড়েছি রে ভাই,এখন কি যে করব কিছুই বুঝতে পারছি না ।
ভাবি,মোতাহার ভাই আপনাদের নতুন বাসার ঠিকানা পেল কোথায়?
আমাদের আগের বাসায় নাকি গিয়েছিল।সে বাসার দারোয়ান দিয়ে গেছে।আচ্ছা আশরাফ ভাই,ওনার মাথা কি রকম খারাপ?মানে বলছিলাম ক্ষতি-তটি করবে নাতো আবার!
হু,বুঝতে পারছি না ভাবি। অনেকদিন ধরে যোগাযোগ নেই তো।এমনি মাঝে মাঝে একটু পাগলামির কথা শুনতাম।ভাইয়ের ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল খুব সম্ভবত।আবার বাড়ির কাকে যেন দা-বটি কি যেন ছূঁড়ে মেরেছিল।অল্পের জন্য বেঁচে গেছে।
জিনাত রহমানের বুকটা শুকিয়ে আছে।কি বলছেন এসব আশরাফ ভাই?আমার ছেলেটা ওনার সামনে বসা।ওকে আবার কিছু করবে না তো!
কথার ফাঁকে জাহিন ঘরে ঢুকে বলল,মা ওনার নাকি ক্ষিধা লেগেছে।মালাকে ডেকে তোলো।খাবার দাবার কিছু থাকলে গরম করে দিতে বলো ।
জিনাত রহমান বললেন,দাঁড়া আমিই দিচ্ছি। আশরাফ ভাই আমি যে কি বিপদের মধ্যে পড়লাম!আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
আশরাফ বললেন,ভাবি আমি আসব নাকি?
না,না,এত রাতে কষ্ট করে আসার দরকার নেই।দরকার হলে আমি ফোন দিব।আচ্ছা আশরাফ ভাই এখন রাখছি।
রান্না ঘরে খাবার গরম করতে গিয়ে জিনাত রহমানের হাত থেকে কাঁচের প্লেট পড়ে বিকট শব্দে ভাঙ্গল।সেই শব্দে নীহা এবং মালা দু’জনেই ঘুম থেকে জেগে হতভম্ব হয়ে মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
যুঁথি ছুটে এসে বলল,তুমি পারবে না,শুধু শুধু করার চেষ্টা করছ কেন?
জিনাত রহমান চেহারায় কপট রাগ এনে বলল,তুই ই তো সিকিউরিটি গার্ডকে পারমিশন দিলি।
আমি দিয়েছি মানে?তুমি পাশে ছিলে না?এখন সব আমার দোষ, না?
মালা খাবার গুছিয়ে ট্রেতে সাজায়।
নীহা ঘুম ঘুম চোখে বলে,কে এসেছে মা?কার জন্য এই রাত দুপুরে এত আয়োজন?
জিনাত রহমান ফিসফিস করে বললেন,বুঝতে পারছি না রে বাবা কি হবে?তোমার শ্বশুরের দুর্সম্পর্কের আত্মীয়।মাথা খারাপ।
নীহা চোখ কপালে তুলে বলল,কি বলছেন মা,মাথা খারাপ মানে?জাহিন ঐ লোকের সামনে বসে আছে কেন মা?
আস্তে মা, আস্তে কথা বলো।দেখি খাইয়ে দাইয়ে কোনোভাবে বিদায় করতে পারি কিনা।
ড্রইংরুমে খাবার নিয়ে ঢুকল জাহিন।
দরজার এ পাশে জিনাত রহমান,যুঁথি,নীহা,মালা সবাই উঁকি দিয়ে দেখছে।যুঁথি জানালার একটা স্ট্যান্ড খুলে হাতে রেখেছে।যদি এই লোক বাড়াবাড়ি করে তাহলে মাথায় এক বাড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেবে।জিনাত রহমান শঙ্কা করছেন চিৎকার চেঁচামেচি করলে আশে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন কি মনে করবে।
আবার যদি মাথা গরম করে ভাংচুর করে তখন কি হবে।ড্রইংরুমে সব দামি দামি শোপিস, কাচের পটারি,ফুলদানি।
পানি হাতে নিয়ে চুমুক দিতে গিয়েও দিলেন না মোতাহার মিয়া।অনেকক্ষণ পানির দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, আঁরে মারনের লাই হানির মধ্যে বিষ দিছ ক্যান।মনে কইরছ আঁই কিছু বুঝি না ।
জাহিন কিছু বলার আগেই পানির গ্লাসটা ছূঁড়ে মেরেছে জাহিনের গায়ে।জাহিন একটু কাত হয়ে যাওয়ায় গ্লাসটা গিয়ে পড়ল টাইলসের মেঝেতে। জাহিন বলল,চাচা আপনি শান্ত হন।
তখন যেন আরো রাগ বেড়ে জয়ায় মোতাহার মিয়ার।বসা থেকে উঠে হাঁটতে লাগলেন।প্রথম থেকেই থাকা হাতের পুঁটলিটাকে একবারও হাত ছাড়া করলেন না।এমনকি এখন এই উদভ্রান্তের মতো হাঁটার সময়টাতেও না।বললেন,যুদ্ধ আঁর শেষ অয় নো।আঁর ক্ষেতের ধান লই যাইবি,বাঁশ মুয়ার বাঁশ লই ঘর তুইলবি,আর আঁর ঠিকানা অইব রাস্তা।এত সোজা নো।এই মোতাহার মিয়া এত সোজা মানুষ নো।এই কথা শেষ না করেই সোফার কর্ণারে থাকা দামি ফুলদানিটা ছূঁড়ে মাড়ল জিনাত রহমানের দিকে।
মা গো চিৎকার দিয়ে জিনাত রহমান ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।তার পাশে থাকা মেয়ে যুঁথি বলল,মা কি হয়েছে?মা?স্বপ্ন দেখেছ?
জিনাত রহমান কিছুক্ষণ চুপ থেকে ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করেন।
যুঁথি জানালার পর্দা সরিয়ে দেয়।ভোরের আলো ফুটছে।সে আবার বাচ্চাদের মতো হাত-পা গুটিয়ে লেপের ভেতর ঢুকে যায় ।জিনাত রহমান নামাযের অযুটা সেরে নেয়ার জন্য বিছানা থেকে নামেন।আশ্চর্য এখনো গা কেমন ছম ছম কয়রে উঠছে।নামায শেষে গ্রামে থাকা জুবায়েরকে ফোন দেন।আজই ফিরে আসবেন জুবায়ের।


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গল্পের প্লট ভালো হলেও শেষ পর্যন্ত চিজ কেক হতে গিয়ে তাড়াহুড়ার পুডিং হয়ে গেল। হাসি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

হা হা হা হাসি
আপনার তুলনাটা পছন্দ হয়েছে।
পরবর্তীতে যেন তাড়াহুড়ার পুডিং না হয়ে চিজ কেকই হয় সে চেষ্টা থাকবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

দেবদ্যুতি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

গগন শিরীষ  এর ছবি

ঠিক বুঝিনি গল্পের মেসেজটা।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

গল্পে তো কোনো মেসেজ ছিল না।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শেষটা ঠিক পোষাল না, নয়ত গল্পটা ভালো ছিল।
দু'বার 'এন্টার' চেপে 'প্যারা'গুলোকে আরেকটু জায়গা দিতে পারেন। তাতে দেখতে সুবিধে। পড়তেও।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আহারে শেষটা! শেষটার জন্য পুরা গল্পটারই বারটা বেজে গেল মনে হচ্ছে। ওঁয়া ওঁয়া
ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষটার কথা, অন্যরা বলেছে।-------

সাবলিল লেগেছে অনেক। ভালো থাকবেন।

স্বয়ম

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ ।
আপনিও ভালো থাকবেন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

আঞ্চলিক ভাষা যেটা দিলেন, সেটা নোয়াখালির? তাইতো মনে হলো। তো নোয়াখালির মানুষ লইট্টা মাছ কেনো চিনবে না?

গল্পটা গল্প হলো না।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

নোয়াখালির মানুষ হলেই লইট্টা মাছ চিনতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা আছে নাকি???
গল্পটা যে গল্প হলো না সেটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

হ্যা, বাধ্যবাধকতা আছে। গ্রামের মানুষ আর কিছু চিনুক বা না চিনুক মাছ চিনে। মোতাহার নামের লোকটা যদি রংপুর থেকে আসতেন, তখন লইট্টা মাছ না চিনলে সমস্যা ছিলো না। নোয়াখালির মোতাহারকে লইট্টা মাছটা চিনতে হবে। এইটা খুব সহজ সরল হিসাব।

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা মোহ তৈরি হলো, শুভ কামনা ।

তুষার রায়

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ভালো থাকবেন।

রানা মেহের এর ছবি

গল্পটায় আরেকটু সময় দিতে পারতেন

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আপনাদের মতামত পেয়ে এখন আমার নিজেরও মনে হচ্ছে গল্পটায় আরেকটু সময় দেয়া দরকার ছিল।
ভালো থাকবেন।
গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

লেখা চলুক। একটা লাইন শেষ হবার পর স্পেস দেয়া হয়নি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। নিয়মিত পাচ্ছি আশা করি।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।