দি পিয়ানো, মাইকেল নাইম্যান এবং আমার হাচল হওয়া

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩১/০৩/২০১৩ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বোলোনিয়া শহরে গত তিন সপ্তাহ ধরে এক বিচ্ছিরি আবহাওয়া। আকাশজোড়া মেঘের ঘনঘটা, দিবস-রজনী টিপটিপ বৃষ্টি। অস্বস্তিকর। এর মাঝে কয়েকদিন ছুটি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, ইস্টার (ইটালিয়ান ভাষায়,'পাস্কুয়া') এর ছুটি। বাসায় বসে বসে ভাবছি কোথায় যাওয়া যায়। রাভেনা আর ফেরারা যাবার পরিকল্পনা আঁটছি কতদিন ধরে, কিন্তু এই "ভারী ব্যাপক বৃষ্টি"-র মধ্যে কোথায় যেতে মন সায় দেয়না। ঘরের মাঝে বন্দী হয়ে থাকাই যেন নিয়তির মতন! আজ সকাল থেকে দারুণ আলোকোজ্জ্বল দিন, খুবই অপ্রত্যাশিত। কিন্তু আজ সহ আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়ার পূর্বানুমান কিন্তু এমন দিনের ইঙ্গিত দেয়না! যাই হোক, কোথাও যখন যাওয়া হোলইনা তখন বাসায় বসে সিনেমা দেখা হোক। বেশ কিছু সিনেমা জমে আছে কম্পিউটারে। তার মাঝ থেকে বেছে নিলাম "দি পিয়ানো।"

"দি পিয়ানো" প্রথম দেখি এক যুগ আগে, ছাড়া ছাড়া। শেষ করিনি সেদিন, মনে আছে। মুড ভালো ছিলনা মনে হয়, মন বসেনি। আজ একযুগ বাদে সিনেমাটি আবার দেখলাম। আর দেখলাম যেন এক মাস্টারপিস। ক্লাসিক চলচ্চিত্র কখনই পুরণো হয়না। দি পিয়ানো চলচ্চিত্রটি আদ্যপান্ত একটি শিল্পকলা। এর আখ্যান, চিত্রপট, এর দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজানো, গাঁথুনি, সংলাপ সবই এক চিরন্তন আবেদনের দিকে ইঙ্গিত দেয়। বাদ্যযন্ত্রকে উপজীব্য করে খুব বেশী চলচ্চিত্র দেখিনি। তপন সিংহ নির্মাণ করেছিলেন তাঁর অনবদ্য "হারমোনিয়াম।" তারপরে আর এমন কিছু দেখিইনি বলতে গেলে। আজ অনেকদিন পরে একটি সার্থক বাদ্যযন্ত্র নির্ভর চলচ্চিত্র দেখা হল। একটি পিয়ানোকে কেন্দ্র করে একজন মূক শিল্পীর আবেগ-আকাংখা, ভালোবাসা, প্রেম, কামনা-বাসনা যেভাবে এই সিনেমায় মূর্ত হতে দেখলাম তেমনটি আর কবে কোথায় দেখেছি মনে করতে পারছিনা! এই পিয়ানোটি নিজেই যেন একটি চরিত্র। পিয়ানোটি বহু পথ অতিক্রম করে একটি বিরূপ জলবায়ুপূর্ণ এলাকায় স্থান পায়, এই পিয়ানোকে কেন্দ্র করে জন্ম নেয় এক গভীর অনুরাগ, আবার এই পিয়ানোই সৃষ্টি করে পিপাসা, হিংসা, যন্ত্রণা, নির্যাতন, বিচ্ছেদ এবং হাহাকার। যাকে ভিত্তি করে এত কিছু আসলে সেতো নিছক এক যন্ত্র বই আর কিছু নয়, মানুষের আবেগের চাইতে অধিক মুল্য তো তার নেই, তাই শেষ অব্ধি তার সলিল সমাধি ঘটে সাগর গর্ভে নাটকীয়ভাবে। শিল্পী নিজেই তাঁকে মুক্তি দেয় বাঁচার তাগিদে। মূল চরিত্রে অর্থাৎ মূক পিয়ানো বাদকের চরিত্রে হলি হান্টার ( যিনি নিজেও আংশিক বধির) স্মরণীয় অভিনয় করেছেন, গোটা চলচ্চিত্রে তিনি যে অভূতপূর্ব আবেগের সঞ্চার করেছেন তা অনন্য এবং দুর্লভ বললেও কম বলা হয় আসলে। আর তাঁর কন্যার চরিত্রে আনা পেকুইন অসাধারণ অভিব্যক্তি সম্পন্ন অভিনয় উপহার দিয়েছেন। মা, সন্তান আর পিয়ানোই এই চলচ্চিত্রের প্রধান তিন চরিত্র হলেও প্রধান দুই পুরুষ চরিত্রে স্যাম নিল এবং হার্ভে কাইটেল দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। আর পরিচালক জেন কাম্পিওন এই সিনেমার রচনা এবং নির্দেশনা দিয়ে নিজেকে মোটামুটি অমর করে দিয়েছেন!

"দি পিয়ানো" চলচ্চিত্রের একটি পোস্টার। নেট থেকে প্রাপ্ত।

poster-the-piano

মাইকেল নাইম্যানের নাম আমি আগে কখনও শুনিনি এমনকি "দি পিয়ানো" চলচ্চিত্রের প্রান যে সঙ্গীত এবং তিনিই যে এই সুর সংযোগ করেছেন সে সম্পর্কেও জানতাম না তেমন কিছু। গেল বছর আনুমানিক সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম শুনি দি পিয়ানো চলচ্চিত্রের সাউন্ড ট্র্যাক। আর শুনে তো পুরা থ। এ আমি কি শুনলাম! এই সিনেমার প্রধান যে পিস অর্থাৎ "দি হার্ট আস্ক ফর প্লেজার ফার্স্ট"- এমন অসাধারণ সুরেলা পিয়ানো বাদন কোনও চলচ্চিত্রে আজ পর্যন্ত আমার শোনা হয়নি। শুনে মনে হয়েছিলো, কে এই মাইকেল নাইম্যান, এই মানুষকে তো অভিবাদন দেয়া দরকার! এই চলচ্চিত্রের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সিকুয়েন্স যেখানে এই পিসটি বাজানো হয়েছে তা এমন সার্থকভাবে চিত্রায়িত হয়েছে যে মনে চিরস্থায়ীভাবে দাগ কেটে যায়। যারা এখনও শোনেননি তাঁরা শুনুন এখানে। এই সঙ্গীতের সুর যেন বহমান জলের স্রোত ধারার মতন। মিষ্টি একটা আমেজ রয়েছে এর গোটা শরীর জুড়ে। এই সুর মনকে এক অজানা আবেগের সন্ধান দেয়। এই সুরের সুধার রেশ যেন শেষ হতে চায়না। অনেকক্ষন ধরে তা যেন কানে বাজতেই থাকে বাজতেই থাকে। হৃদয় যেন টুং টাং শব্দে ঝরে ঝরে পরে, টুপটাপ করে গলে গলে যেতে থাকে চারধার, চারপাশ। এ এক অবিস্মরণীয় অনুভূতি! কি সুর তিনি নির্মাণ করেছেন এই একটিমাত্র বাজনায়। কথা নয়, শুধু সুর, আর সেই সুরের মূর্ছনায় আমি যেন আপ্লুত হয়েছি, অবশ হয়েছি।

মাইকেল নাইম্যানের একটি পোর্ট্রেট। নেট থেকে প্রাপ্ত।

Michael-Nyman

সচলে হাচল হয়েছি সদ্য। সচলায়তনে আমি লিখতে শুরু করেছি গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে। মানে মোটমাট চার মাস হল লিখছি। হিসেব করে দেখলাম যে এ পর্যন্ত আমার ১৪ টি রচনা সচলে প্রকাশ পেয়েছে। জীবনে কোনদিন ব্লগে লিখব, এটাই ভাবিনি আর কিভাবে কিভাবে ব্লগে ১৪ টি রচনা প্রকাশ হয়ে বসে থাকলো। কত অভাবনীয় ঘটনাই না ঘটে! অণু কতদিন বলেছে, "মনি ভাই, লেখেন লেখেন। যা দেখেছেন, যা শুনেছেন তাই নিয়ে লেখেন, আমরা পড়ি।" কিন্তু আমার তো লেখার হাত ভালো নয়। গোছালো নয়। আর তা অবশ্যই সচলে ছাপার যোগ্য নয়। সচল কেনই বা এমন অচল একজন লেখকের রচনা প্রকাশ করবে। অণু তারপরেও লেগে রইলো জোঁকের মতন! এদিকে ঢাকায় রণদিপনদাও বলতে লাগলেন, "লেখেন না কেন, সচলে লেখা একখানা দিয়ে দিন না! শুরুটা হোক অন্তত!"

কিন্তু সচলে লেখা দেয়ার মুশকিল আছে। এখানে যাদের লেখা আমি নিজে পড়েছি, নিয়মিত পড়ি গত দুই বছর হল, তাঁদের লেখা এত উচ্চমানের হয়ে থাকে যে নিজের লেখার মান নিয়ে সন্দিহান আমি একটু দ্বিধার ভেতর থাকি। লিখব তো, কিন্তু কি নিয়ে লিখব, আচ্ছা ঠিক আছে, বিষয়টা নাহয় ঠিক হল কিন্তু লেখার মান? সেখানেই তো যত গোল! তারপরেও সাহস করে লিখে ফেললাম, লিখলাম বিচিত্র বিষয় নিয়ে। লিখলাম ফটোগ্রাফি নিয়ে, বোলোনিয়া শহর, আমার শহর রাজশাহী, গুলজার, সোনার কেল্লা সবই আমার লেখায় ভিড় করে এলো। তারপরেও সন্তুষ্টি পাইনা। লিখছি তো, কিন্তু ভালো কিছু কি হচ্ছে! সব তো ছাইপাশ, যেন পাঠককে জোর করে গেলানোর জন্য। আর লিখে আসলে হচ্ছেটাই বা কি, মৌলিক কিছুই তো লেখা হলনা! তারপরেও লিখে যাই, এইতো কত কিছু লিখে ভাবি এগুলো সচলে দেবো কি আদৌ? প্রিয় শশী কাপুরকে নিয়ে একটি দীর্ঘ রচনা জমে আছে ডেস্কটপে, বোলোনিয়া নিয়ে দুটো পর্ব জমার খাতায় রেখে দিয়েছি, তারপরেও সাহস পাইনা।

নিজের লেখা না লেখা, প্রকাশ করতে চাওয়া না চাওয়া এসব কিছুর চাইতে যেটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবি সেটা হল, সচলায়তনকে আমি আপন করে নিতে পেরেছি। সচলায়তনের পরিবার আমার পরিবার। এখানে যারা লেখেন তাঁরা সকলে আমার আপনজন। তাঁদের মাঝে বসবাস করে আমি শান্তি পাই, স্বস্তি পাই, আনন্দ পাই। এ এক অনির্বচনীয় আনন্দ যা ভাষায় প্রকাশের নয়। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি আমার জন্ম। সংগঠন করেছি ১৬ বছর বয়স থেকে। রাস্তায়, মিছিলে, শ্লোগানে থেকেছি জীবনের এক দীর্ঘ সময়। জামাত-শিবির-রাজাকার বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে নিজেকে পেয়েছি স্বাধীনতার পক্ষের জনতার কাতারে। আর এইসব করেছি বলেই সচলায়তনকে চিনে নিতে আমি একটুও ভুল করিনি। সচলায়তনকে আমি ভালবাসতে পেরেছি। আর এতেই আমি খুশী। এতেই আমার আনন্দ। সচলায়তন যদি আমার কোনও রচনা প্রকাশের যোগ্য মনে নাও করে তাতেও কোনও আফসোস নেই, থাকবেনা।

একটি অসাধারন চলচ্চিত্র দেখার খুশী, একটি দুর্দান্ত সুর শুনে অশ্রু সংবরন করা আর হাচল হবার সংবাদ শোনার আনন্দ- জীবনের এই ছোট ছোট অনুভূতিগুলি এক সূত্রে গাঁথা, এগুলি একইসাথে অর্থবহ এবং অমূল্য। সচলায়তনের পাঠক লেখক সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানাই এবং আরও জানাই যে আমিও আপনাদের মতই সচলায়তনের একজন শুভানুধ্যায়ী এবং শুভদিনের প্রত্যাশাকামী একজন সাধারণ মানুষ। আপনাদের সকলের মতই আমারও বিশ্বাস মানুষের জয় হবেই। মানুষের জয় হোক।

- মনি শামিম


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

মানুষের জয় হোক।

কোলাকুলি

মনি শামিম এর ছবি

মানুষের জয় হোক।

মনি শামিম এর ছবি

খিলাবো, এখানে এলে!

মনি শামিম এর ছবি

হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

মনিদা, মিঠাই-উঠাই (তিরামিসু-ক্যানোলি) খিলাও!

শাব্দিক এর ছবি

হ! বড়সর খানাপিনা হোক হাসি

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

মনি শামিম এর ছবি

শুধু তিরামিসু আর ক্যানোলি খেলেই হবে বাপু? তালিয়াতেল্লে আল রাগু আর তরতেল্লিনি আল ব্রোদো কি চেয়ে থাকবে তোমার দিকে? আর প্রশুত্তো কিংবা মরতাদেল্লা? পারমিজান চিজ?

কৌস্তুভ এর ছবি

আইসা পড়ো বেইবে...

সুমাদ্রী এর ছবি

' পিয়ানো ' দেখেছিলাম বেশ ক'বছর আগে। এখনও মনে আছে নায়িকা'র তর্জনী কুড়ুলের এক ঘায়ে কেটে ফেলেছিল তার ঈর্ষান্বিত স্বামী যাতে সে আর পিয়ানো বাজাতে না পারে। ঝড়ের সমুদ্রে যখন পিয়ানো ফেলে দেয়া হয় ভেলার ওজন কমাতে তখন তার মনের মধ্যে যে দ্বন্দ চলছিল, পিয়ানো ছাড়া জীবন অসম্ভব ভেবে রশির ভেতর পা গলিয়ে দেয়া- সব মনে করিয়ে দিলেন। মানুষের জয় হোক।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

মনি শামিম এর ছবি

নায়িকার তর্জনী কেটে ফেলার পর হলির যে অভিব্যাক্তি দেখলাম, এমন অভিনয় নিকট অতীতে আর কোথাও দেখেছি বলে মনে পরছেনা সুমাদ্রি। মানুষের জয় হোক। জয় বাংলা।

সত্যপীর এর ছবি

অভিনন্দন।

আরো অনেক লিখুন। বকেয়া লেখাগুলো জলদি নামিয়ে দিন।

..................................................................
#Banshibir.

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ সত্যপির। আপনার ইতিহাস লেখার ধরণ দারুণ পছন্দ করি।

তিথীডোর এর ছবি

হাচলাভিনন্দন। হাততালি হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ তিথি। তোমার অসামান্য ছবি সমৃদ্ধ কবিতার খাতা কই? আমাদের দেখাওনা কেন?

স্যাম এর ছবি

অভিনন্দন! অভিনন্দন!!

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

মণি শামীম, হাচলাভিনন্দন । হাত খুলে লিখতে থাকুন ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। হাত খুলে লিখব, বলছেন? তাহলে পালাতে হবে কিন্তু!

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

অভিনন্দন ভাইডি। মনের বাঘটারে বেশি পাত্তা দিতি নেই। লিখে যাতি থাকুন

মনি শামিম এর ছবি

মনের বাঘটাকেই ভয়, পাত্তা না দিয়েও পারিনে। কি করব কন?

তানিম এহসান এর ছবি

অভিনন্দন! হাসি

মানুষের জয় হোক!

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই, আপনার লেখা পড়ছি।

আশালতা এর ছবি

সচলে কারুর ল্যাজ খসে যাবার লেখা পড়তে দারুণ লাগে। প্রতিবারই লেখকের খুশিটা দেখতে বড় ভালো লাগে। হাচলাভিনন্দন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ আশালতা, ভালো থাকুন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অভিনন্দন মনিদা...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই। ভালো থাকুন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আরে মনি ভাই, অনেক অনেক অভিনন্দন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ শান্ত। ভালো থেকো।

রংতুলি এর ছবি

অভিনন্দন মনি ভাই! হাততালি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ রংতুলি, ভালো থাকুন।

সাবেকা  এর ছবি

অভিনন্দন ! লেখালেখি চলুক হাসি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ। চলুক তবে। ভালো থাকবেন।

চরম উদাস এর ছবি

অভিনন্দন চলুক

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ উদাস। যে চরম সব পোস্ট দেন আপনি, একদম ভক্ত বানিয়ে ফেলেছেন মশাই‍!।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অভিনন্দন ! লিখতে থাকুন নিঃসঙ্কোচে।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ ধন্যবাদ।

ধুসর জলছবি এর ছবি

অভিনন্দন। হাসি

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ ধুসর জলছবি।

কুমার এর ছবি

অভিনন্দন মনি ভাই।

মনি শামিম এর ছবি

ধন্যবাদ কুমার। আপনার লেখা কই?

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

'দি পিয়ানো' চলচ্চিত্রটি প্রথম দেখি বছর পাঁচেক আগে । অপরিণত মস্তিষ্কে চলচ্চিত্রটি দাগ কাটতে পারে নাই তখন । বছরখানেক আগে আবার দেখা হল 'দি পিয়ানো' ।
আহা ! কী ছবি (আমার মস্তিষ্ক কি পরিণত হয়ে গেল ? খাইছে ) ! অ্যাডা, ফ্লোরা, বেইন, স্টুয়ার্ট প্রতিটি চরিত্রই কী অসাধারণ ! এইসব চরিত্রের অভিনেতারা নিজেদের ছাড়িয়ে গেছেন এই চলচ্চিত্রে । তবে এটি কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিচালক Jane Campion -এরই ছবি (প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে Campion কানের শ্রেষ্ঠ ছবির পুরষ্কার জিতে নেন) ।
আপনার লেখাটা পড়ার সময় 'The Heart Asks Pleasure First' শুনছিলাম । চোখ আপনাতেই বন্ধ হয়ে আসছিল ।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে এতো কম লিখেছেন কেন ? আরো বড় করে লিখলে বেশী ভাল লাগত ।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটির জন্য ।
আর হাচল হওয়ার জন্য অভিনন্দন ! হাততালি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।