আমি একটি স্মার্টফোন কিনেছি। হাতে পেয়েছি সপ্তাহ তিনেক হল। গুগল নেক্সাস ৫, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এসেছে গত বছরের নভেম্বর মাসে, মূল্য ১৬ জি বি, $ ৩৫০ ওবং ৩২ জি বি $ ৪০০, আমারটি ১৬ জিবি।
বাজারে এখন নানান ধরণের স্মার্টফোনের সমাহার দেখি। অ্যাপেলের আইফোন, স্যামসাং, সনি, এলজি, নোকিয়া, এইচটিসি ইত্যাদি। এই সবগুলি কোম্পানির রয়েছে টপ এন্ড মডেল। মানে এমন মডেল যেগুলির স্পেসিফিকেশন সাধারণ মডেলের চাইতে অনেক উন্নত। গতি, স্পষ্টতা, মেমোরি-এগুলি সবকিছুই এই মডেলগুলিতে একটু বেশী বেশী। আর তাই দামও অনেক। কোনটির ৫০০ তো কোনটির ৬০০ ডলার। আর ইউরোপ,অ্যামেরিকার মানুষ যেন হুমড়ি খেয়ে পরেছে এগুলি কেনার জন্য। ইটালিতেই দেখেছি আই ফোন ৫ বাজারে আসার পর অ্যাপেলের দোকানের সামনে দীর্ঘ কিউ। বিক্রিও হয় মুড়ি মুড়কির মতন।
কিন্তু আমি ছা-পোষা মানুষ। ভীষণ মূল্য স্পর্শকাতর। আমার চাই ভাল ফোন, ভাল সাউন্ড রেকর্ডার, ভাল ভিডিও, ভাল ক্যামেরা আবার একইসাথে দাম হওয়া চাই সর্বনিম্ন। আমি অনেক নেট ঘেঁটে দেখলাম, গুগল এদের কোন অংশে কম নয়, ক্ষেত্র বিশেষে এদের চাইতেও এগিয়ে রয়েছে। আর এই স্মার্ট ফোন ৫ এর মূল্য অন্যান্য টপ এন্ড স্মার্ট ফোনগুলির অর্ধেক, ৩৫০ ডলার। আর যাই কোথায়! পড়িমরি করে ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফোন করে এক অতিশয় ভদ্রজনকে অর্ডারের লিংক দিয়ে এই মাল হস্তগত করা সারা। তাই হাতে চটজলদি চলে এল গুগল নেক্সাস ৫ নামক গ্যাজেট কিংবা স্মার্ট ফোন এবং একটি আস্ত ক্যামেরা! তাছাড়া এর আগেও মাত্র ১০০ ইউরো দিয়ে গুগল এরই আরেক প্রোডাক্ট গুগল নেক্সাস ৭ ট্যাবলেট ব্যাবহার করে খুব সন্তুষ্টি পাচ্ছি। তাই গুগলের প্রতি একটা আস্থার জায়গা তৈরি ছিল আগে থেকেই।
তবে এই স্মার্ট ফোনটি আমার কেনার একমাত্র উদ্দেশ্যই হল এই ফোনের ভেতর যুক্ত থাকা ক্যামেরার ব্যাবহার। এখন বেশী প্যাঁচাল না পেরে দেখে নেয়া যাক, এই ক্যামেরার মধ্যে কি কি আছে।
আমি এই বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়েছি কানেক্ট ডিপ্রিভিউ ডট কম নামক সাইটটি থেকে, এগুলি আমার ফোনের স্পেসিফিকেশনেও উল্লেখ ছিল। তবে তাঁর দিকে এখনও চোখ মেলে দেখা হয়নি।
আমি গত দুইদিন হল গুগল নেক্সাস ৫ ব্যাবহার করছি।এর আগে কখনও কোন স্মার্টফোন ব্যাবহার করিনি। আগেই বলেছি আমি গ্যাজেটটি কিনেছি মূলত এর ক্যামেরা ব্যাবহারের নিমিত্তে। তারপরেও আমি এর অন্যান্য অনুষঙ্গ বিশেষ করে ভয়েস রেকর্ড এবং ভিডিও ব্যাবহারেও আগ্রহী। গান শোনা, সিনেমা দেখা, ইউটিউবে খেলা কিংবা লেখালেখি করা- এগুলি এখন পর্যন্ত এটি দিয়ে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিনা।
সে যাই হোক, প্রথম প্রথম এই ফোন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে ভারী বিপত্তিতে পরেছিলাম। তাঁর একটি কারণ হচ্ছে এই ক্যামেরার লেন্স খানা বডির ঠিক ওপরের ডান পাশে যুক্ত। এতদিন যে ক্যামেরাগুলি ব্যাবহার করেছি তাঁর সবগুলির লেন্স ক্যামেরার মাঝখানে থেকেছে। এখন যখন সাবজেক্টের দিকে বডি তাক করছি তখন আমি সাবজেক্টের অবস্থানই ঠিকমতন ধরতে পারছিনা। প্রথম দিনে তো কি তুলেছি তাই জানিনা। এখন কিছুটা আয়ত্বে এসেছে। দ্বিতীয় অসুবিধেটি হচ্ছে আমি মনিটরে যে সাবজেক্টের আকারকে কম্পোজ করতে চাইছি, ছবি তোলার পর দেখি তা অন্য আকার নিয়েছে। অন্য ক্যামেরাতেও এই সমস্যা রয়েছে, তবে এখানে আকারটা বেশ পরিবর্তিত মনে হল তুলনামুলকভাবে। এডিটে গিয়ে অবশ্য তা ঠিক করে নেয়া যায়, কিন্তু ছবি তোলার পর ছবি দেখার আনন্দ পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। আর একটা সমস্যা প্রায় সব স্মার্ট ফোনেরই রয়েছে, হয়ত আলাদা করে উল্লেখ করারও দরকার নেই। তবু বলি। শুরুর দিকে এই ফোনের বডিটি ঠিকঠাক ধরতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। এখন যদিও সয়ে গেছে, তারপরেও বডিকে ধরে ছবি তোলার মধ্যে কোন শক্তপোক্ত অনুভূতি নেই। কেমন খেলনা খেলনা ভাব হচ্ছে। এইটা কি দীর্ঘদিন এসএলআর এবং ডিএসএলআর ব্যাবহার করার জন্য হচ্ছে কিনা জানা নেই।
ফোনটির বডি ডিসপ্লের স্পষ্টতা, রঙ, কনট্রাস্ট নিখুঁত হওয়াতে সাবজেক্ট দেখা যায় খুব সুন্দর। আর ক্যামেরাটি আমার বেশ গতিশীল মনে হল। ছবি তুলে বেশ আরাম আছে। বেশ কিছু মুভমেন্ট সহজেই ধরা গেছে দেখলাম। অবশ্য স্পোর্টস কত ভাল করে ধারণ করা যাবে, নিশ্চিত নই। আমি এখনও প্রস্তুতি নিয়ে কোন মানুষের মুখ তুলিনি। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে যা তুলেছি তাতে স্কিন টোন বেশ স্বাভাবিকই আসে বলে মনে হল। একইসাথে মনে হল স্টিল বস্তুর ছবি এবং প্রকৃতির ছবি ভালই উঠবে এই ক্যামেরায়। ম্যাক্রো এখনও চেষ্টা করিনি, বলতে পারছিনা।
এইসব স্মার্ট ফোনের কোন বডি কনট্রোল নেই, যা আছে সব মনিটরে। ক্যামেরা মেকানিজম অসম্ভব দ্রুত হওয়ায় দেখছি মুহূর্তের মধ্যে ছবি তুলে তা দেখে নিয়ে প্রয়োজনে আবার তোলা যাচ্ছে। আবার এর অপশন নেহাত কম নেই। আমি এক্সপোজার কম বেশী করতে পারছি। হোয়াইট ব্যালান্সকে পরিবর্তন করতে পারছি। শুধু আইএসও-কে ম্যানুয়ালি পরিবর্তন করতে পারছিনা। এটা সম্পূর্ণই অটো। এই বৈশিষ্টের অনুপস্থিতি আমাকে পরে ভোগাবে মনে হচ্ছে। এইচডিআর প্লাস নামে একটা বৈশিষ্ট্য দেখছি বেশ কাজের। প্রথমে ভেবেছিলাম এই মোডে ছবি তুললে মনে হয় পুরো ছবি তোলার প্রক্রিয়াটিই স্লো হয়ে যাবে। কিন্তু এটাও দেখছি তেমনই ফাস্ট। আর ডায়নামিক রেঞ্জটাও তুলনামুলক ভালো আসছে। আকাশের রঙটা এই মোডে আরেকটু বেশী নীল পেলাম। তবে এই মোড অন রাখলে হোয়াইট ব্যালান্স আর এক্সপোজার মোড দেখছি চুপটি মেরে বসে আছে, কাজ করছেনা। প্যানোরামা মোডটি এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। বেশ কয়েকটি সিন মোড আছে, সেগুলিতেও এখনও হাত পড়েনি।
এই ফোন ক্যামেরার এডিটিং অপশনগুলি আমার কাছে দুর্দান্ত মনে হল। ছবি তুলে একবারে মুহূর্তের মধ্যে ক্রপ করা যাচ্ছে, ছবি আঁকা-বাঁকা হলে তৎক্ষণাৎ সমান করা যাচ্ছে, ডিলিট করা, রোটেট করা, ছবিকে উজ্জ্বল করা, অন্ধকার করা, রঙ পরিবর্তন করা সবকিছুই করা যাচ্ছে সহজে, অনায়াসে। আর ছবি এডিটিং করে মুহূর্তের ভেতর ফেসবুক কিংবা ফ্লিকআরে দেয়া যাচ্ছে। আমি সত্যি এই এত দ্রুতগতি দেখে বিস্মিত হয়ে গেছি। অন্য ক্যামেরাগুলিতে মেমোরি কার্ড নিয়ে যে হ্যাপা হোয়, এখানে তার কবর রচনা করা গেছে। কানেক্টিভিটি যে আসলে কতটা কি করতে পারে তা এই কদিন স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে টের পেলাম।
ইমেজ গুন আমার কাছে ভালই লেগেছে। লেন্স ৩০ মিমি এফ ২.৪ অল্প আলোয় একদম খারাপ নয়। দিনের আলোয় ঠিক আছে। এমনকি ইনডোর কিছু ছবি বেশ চমৎকার এসেছে। রঙ, কনট্রাস্ট বেশ ভালরকম নিয়ন্ত্রিত বলেই মনে হল। আমি সন্ধ্যায় তোলা একটি ছবিতে আকাশটাতে বেশ গ্রেইন দেখলাম। আবার রাত্রে তোলা একটি ছবিতে দেয়ালে তেমনটা দেখলাম না। এই ক্যামেরার লেন্সকে ৪ গুন পর্যন্ত জুম করা যায়। তবে দেখলাম ৩ গুনের পরে অর্থাৎ ৯০ মিমির পরে ছবি খুব সফট। এইজন্য আমি জুম টুম ছেড়ে ৩০ মিমিতেই ছবি তুলে যাচ্ছি, এখন পর্যন্ত!
এখন বেশ কিছু ছবি যুক্ত করার পালা। পাঠক দেখুন তো, ছবিগুলি কেমন, চলে কিনা? আমি কিন্তু গত দুই দিন হল বেশ বিক্ষিপ্ত ভাবে ছবি তুলেছি। দেখতে চেয়েছি মুলত ইমেজ গুনটিই। আপনারাও দেখুন আমার সাথে। আমি আপনাদের তুলনায় অতি সাধারণ মানের ফটোগফুর। অন্য কারো পাল্লায় পরলে হয়ত গুগল নেক্সাস ৫ জাতে উঠত, আমার হাতে পরে যে এর কি অবস্থা, কে জানে! তাই ভুল ত্রুটি মার্জনীয়। তবে আমি কিন্তু ছবিগুলিতে একমাত্র ক্রপ করা ছাড়া আর কোন পোস্ট এডিট করিনি। যদিও এডিটিং এই যন্ত্রে একেবারেই জলবৎ তরলং।
১)
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
৭)
৮)
৯)
১০)
১১)
১২)
১৩)
১৪)
১৫)
১৬)
১৭)
১৮)
১৯)
২০)
২১)
২২)
২৩)
২৪)
২৫)
মন্তব্য
বাহ! ছবিতো চমৎকার এসেছে!
২০ নন্বরে পাতার ক্লোজআপ তো দেখেই মনে হয় না এটা মোবাইলে তোলা।
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
মেঘলা মানুষ, ছবি ভালই আসে। কিন্তু সেন্সর ছোট হবার কারণে এর সীমাবদ্ধতাকেও মনে রাখতে হবে। ধন্যবাদ।
ছবি ভালো এসেছে আপনার স্মার্ট ফোনে
মাসুদ সজীব
ধন্যবাদ সজীব। কিছু ছবি নিশ্চয়ই খেয়াল করে দেখেছেন যে অনেক গ্রেইন আছে। কাজেই খুব যে ভালো, সেটি কি বলা যাবে আসলে? কি জানি!
আপনি ভালো ছবি যতটা ভালো এসেছে ক্যামেরার গুনে তার চেয়ে বেশি এসেছে আপনার দক্ষতার কারনে। আমাকে দিলে এই ক্যামেরা, আমি এমন ছবি তুলতে পারবো না এটা নিশ্চিত। তবে স্মার্টফোনগুলোতে দিনের সূর্য্য আলোয় যতটা ভালো ছবি আসে আলো একটু কম হলে সেই মানের কাছাকাছি ছবি পাওয়া যায় না এটাই একটু হতাশার। ভালোথাকবেন।
মাসুদ সজীব
না সজীব। তুমিও পারবে। তুমি আমার চাইতেও ভাল পারবে। লেগে থাকলে কি না সম্ভব। তবে তার জন্য পর্যাপ্ত ইচ্ছে আর সময় লাগে। আর এইগুলি সবসময় একই ভাবে ধরা দেয়না। আমরা শৌখিন ছবি তুলি। পেশা এমন বেছে নিয়েছি যে ইচ্ছে থাকে তো সময় থাকেনা, সময় থাকে তো ইচ্ছেটাই উবে যায়। এই হচ্ছে আমাদের ছবি তোলার অবস্থা। এর মাঝে সময় করে আলোচনাগুলি করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। আমি তো মাঝে মাঝে নিজেই অনাক হয়ে যাই, এ আমি করছি কি!
তুমি আমার চাইতেও ভাল তুলবে, এই আশা নিয়ে বসে থাকব। ধন্যবাদ।
বাহ স্মার্টফোনের ছবি বোঝাই যাচ্ছে না। এ তো আপনার হাতেরই গুণ মনি ভাই! আমার একটা সামসাং গ্যালাক্সী এস ৩ আছে। খুব একটা সুবিধা পাই না ছবি তুলে। ক্যামেরার স্ক্রিনে ভালোই লাগে, কিন্তু কম্পিউটার স্ক্রিনে আনলে সব কলঙ্ক ফ্যা ফ্যা করে হাসতে থাকে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কিন্তু শান্ত, একটি গাছের ছবিতে দেখবে অনেক গ্রেইন। মানে উচ্চ আইএসও-তে বেশ সমস্যা আছেত।ক্ব্যাযামেরা হিসেবে ব্যাবহারও যে খুব স্বাচ্ছন্দ্যের তাও নয়, তবে এডিটিং অপশনগুলি টপ, টপ। কানেক্টিভিটি অসাধারন। ব্লেজিং ফাস্ট। ভাল, মন্দ দুটোই আছে। তবে আমার মনে হল সেন্সর সাইজ বড় নয়া করলে অল্প আলোয় ছবি তোলা এত সহজ হবেনা। অন্য স্মার্টফোনগুলিতে এই বৈশিষ্ট্য কেমন, তা অবশ্য জানিনা।
আমার আগের নোকিয়া এন-৮২ দিয়ে যা ছবি তুলেছিলাম তখন!! অফিসের দেয়া ক্যামেরা বাদ দিয়ে ওটা দিয়েই সব ছবি তুলে বেড়াতাম (আমার কাজের একটা বড় অংশ ছিল তখন ছবি তোলা), যদিও ওটা ছিল মাত্র (!) ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সম্বলিত। এই ছবিটা সেই মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় তোলা আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা ছবি।
আমি নিজে কোন লেভেলেরই ফটোগফুর নই, একেবারেই আনাড়ী অ্যামেচার। হয়তো সে কারনেই এখনো আরো বেশী মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সহ ফোন থাকলেও ছবি তুলে সেটার মত মজা পাইনা!!
আপনার তোলা ছবি গুলো দেখে সেরাম ভালো লাগলো। খুব ইন্সপায়ার্ড হলাম। দেখি, কাল থেকেই আবার লেগে পড়বো মোবাইল ফোনের ক্যামেরা নিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
____________________________
চমৎকার লিখেছেন প্রফেসর সাব। তা রাজশাহীর রেল স্টেশনের ছবিটা দেখে চরম উদাস হয়ে গেলাম তো। তো ভাই, আপনাকে তো চিনতেই পারলাম না এখনও।
নেমে পড়ুন মাঠে, হাতে যা আছে তাই নিয়ে। কি আছে জেবনে!
আপনার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় নেই ভাইয়া, তাই চিনতে পারছেন না। আশা রাখি একদিন দেখা হবে।
রাজশাহী রেল স্টেশানের ছবিটা উইকিপিডিয়ার জন্য তুলেছিলাম। দিয়ে দিয়েছি উইকিমিডিয়া কমনে। মজার ব্যপার হচ্ছে এই ছবিটা অনেকে অনেক জায়গায় ব্যবহার করেছে, এমনকি ই-রাজশাহীর (রাজশাহী সিটি পোর্টাল) ওয়েব পেজেও। আমার খুব ভালো লাগে ছবিটাকে নেটের বিভিন্ন জায়গায় দেখতে।
____________________________
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
____________________________
বাহ, দারুণ তো। ছবি তোলায় বিরতি দিয়েন না। একবার দীর্ঘ বিরতি দিলে পুনরায় শুরু করা ভীষণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর আপনার সাথে দেখা করার ইচ্ছে আছে। সময় আর সুযোগ কিভাবে মিলবে জানিনা।
স্মার্ট ফোনের মাঝে নোকিয়ার ক্যামেরা আমার ভালো লাগেনি, ওদের ক্যামেরার ছবির মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই, বিশেষ করে যখন সেটি অন্যান্য স্মার্টফোনের সাথে তুলনা করি। মোবাইল ডিসপ্লেতে ভালোই দেখায় কিন্তু পিসি তে নিলে সেই মান থাকেনা। স্যামসাং এর ক্যামেরা সেই তুলনায় ভালো মনে হয়েছে। আমার লাষ্ট ছিনতাই হওয়া স্যামসাং উইন্ডোজ আই ৯০০ এর ক্যামরা নিয়ে আমি ভালোই সেটিসফাইড় ছিলাম, তবে রাতের ছবির মান সন্তোষ জনক ছিলো না। এখন ওয়ালটন এর একটা নিয়েছি, দেশি পন্য কিনে হই ধন্য । ক্যামেরা বেশ ভালোই ১৩মেগাপিক্সেল , রাতের ছবিও ভালো আসে, এটাই সুখকর।
মাসুদ সজীব
তো দিন না কিছু ছবি, বিনিময় করুন আমাদের সাথে। ছবি দেখে আপনাকে চিনি!
ফোন স্মার্ট হলেই হয় না রে ভাইয়া, ফোন যিনি হ্যাণ্ডেল করছেন সে মানুষটাকে স্মার্ট হতে হয়।
আপনার ফটুকই বলছে সেক্ষেত্রে আপনি ১০০% স্মার্ট। নইলে ও তো আমারও আছে একটা।
তুলতে চাই উড়ন্ত শঙ্খচিল ওঠে টবের মরা কচুর গাছ ত্যাক্ত হয়ে 'ইহা আমার কম্মো নহে' বলে বাদ দিয়েছি তাই।
অ:ট: আপনার মেয়েটার কত বড় হয়েছে এখন? স্কুলে যাচ্ছে? অনেক আদর থাকলো ফুপিটার জন্য।
ধন্যবাদ আয়নামতি। না, বাদ দিলে তো চলবে না। আপনার নয়া সচল থাকবার কথা! আবার নিন, আবার শুরু করুন, বিনিময় করুন। বাদ দেয়ার কথা শুনতে চাইনা। ব্যাস!
আমি আসলে নিজে অতটা স্মার্ট নই আয়নামতি, তবে আমি যথাসম্ভব সচল থাকতে চাই। কর্মক্ষেত্রে ব্যাস্ততা থাকলে মননে ঘুন ধরুক, সেটা চাইনা। এইজন্য দেখুন না, দেড়ে কোষে মাঠে নেমেছি। মাঝে মাঝে মনে হোয় হাতে সময় নেই অথচ কত কাজ বাকি!
অথৈ বড় হচ্ছে আর আমার দীর্ঘ নিঃশ্বাস বাড়ছে। বাচ্চারা এত দ্রুত বড় হয় কেন বলতে পারেন আয়নামতি? হ্যাঁ, ও স্কুলে যাচ্ছে। একটু চঞ্চলমতি বলে ভয় হয় ওকে নিয়ে। দুষ্টুমি করে, অভিযোগ আসে। তবে আমি ওকে একটু লাই দিই। ও কচি লতার মতন বড় হোক। ভালো মানুষ হোক। এর চাইতে বেশী আর কিছু চাইনা।
৮, ১১, ১৩, ২৪, ২৫ এর লাইট ডিস্ট্রিবিউশন দেখে পুরাই টাশকিত হইলাম !! আপনার একটা জিনিশ খুব ভালো লেগেছে যে, আউটডোরের প্রতিটা ছবিই আপনি সূর্যের আলোর বিপরীতে তুলেছেন। আপনার ছবির হাতের ও জ্ঞানের প্রশংসা করতেই হয়।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সে শুধু ভাল ছবি তুলে না, ভাল মনের মানুষও।
সামুরাই
ধন্যবাদ সামুরাই, কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন আমি ভাল মানুষ? যদি না হই?
ধন্যবাদ অনুপম। আমি আসলে খুব বেশী কিছু জানিনা। বেশী বয়সে ক্যামেরায় হাত মশক করেছি বলে আমার ছবি একটু বেশীই যান্ত্রিক বলে মনে হয়। সে যাই হোক, আপনার অভিজ্ঞ চোখ নিশ্চয়ই দেখেছে যে এই ক্যামেরায় নানান ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। বিশেষ করে স্বল্প আলোয়। এর সীমাবদ্ধতা মেনে ছবি তুললে অভিযোগ কম থাকবে বলে মনে করছি।
আর ইমেজের যে গুন খেয়াল করছেন সেইটা কিছুটা সতর্কতার ফসল আর কিছুটা পর্যবেক্ষণের অবদান। পর্যবেক্ষণকে আমি আমার নিজের ছবি তোলার প্রধান উপাদান মনে করি আর বাকিটা ভালো সতর্ক কম্পোজিশন। আমার ছবির ভেতর যদি কোন গুন দেখেন তাহলে এগুলিকেই ধন্যবাদ দিতে হয়।
কিন্তু এখনও অনেক পথ যাওয়া বাকি। এখনও অনেক শেখার আছে। আপনাদের ছবি দেখেও শিখছি অনেক। ধন্যবাদ আসলে আপনাদেরই পাওনা। আমি শিক্ষার্থী হিসেবেই বেশ আছি। ভাই, আপনাদের ছবি দেখলে তো মনে হয় দিই ছেড়ে এই শখের ফটোবাজি!
বাহ, এমুন ছবি আইলে কেমরা কিননের দরকারডা কি তাই ভাবতেছি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নেই তো দরকার। আপাতত যা আছে, তাই নিয়ে নেমে পর তো বাপু! আর দেখাও, বিনিময় কর, নইলে কেম্নে কি!
দারুন সব ছবি মনি ভাই।
মোবাইলে এত সুন্দর ছবি উঠতে পারে ধারনায় ছিলনা। আপনার হাতের গুন
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আরজু, তুমি এত প্রশংসা কর, লজ্জা পাইরে বোন। তুমি মোবাইলে ছবি তুলে দেখাবে? ভাল ওঠে কিন্তু।
উঁহু, এক লহমা, এটা বললে তো শুনবনা। ছবি তোলা ছাড়া যাবেনা। যাবেনা। ক্যামেরা তা যেমনই হোক না কেন, আবার ক্লিক শুরু করুন। নইলে কিন্তু নাছোড়বান্দার মতন ঠ্যালা শুরু করব।
কি সব দুর্দান্ত ছবি! এমনি এমনি কি আর ছবি তোলা ছেড়ে দিয়েছি!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
শেষ পর্যন্ত একটা কথাই বারবার প্রমাণিত হয় যে ছবি তুলার জন্য ক্যামেরা বা লেন্স বড় বিষয় নয়, দেখার চোখটাই আসল ব্যাপার।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
দেখার চোখ, আরও সুনিদ্রিষ্ট করে বললে বলতে হয় পর্যবেক্ষণ। যার পর্যবেক্ষণ শক্তি যত ধারালো, সে তত বড় মাপের শিল্পী। এটি হচ্ছে প্রাথমিক গুন। পর্যবেক্ষণ তারপর কম্পোজিশন। আলোকচিত্র মানে এই। বাকি সব শেষ বিচারে কানার হাটবাজার। ইকুইপমেন্ট মুখ্য নয়, কখনোই নয়।
ঠিক বুঝলাম না। আপনি কি মোবাইল ফোন কিনেছেন, নাকি একটি মানসম্পন্ন ক্যামেরা?
দুটোই। স্মার্ট ফোন তো একটা গ্যাজেট। তাইনা আবদুল্লাহ ভাই? যা দিয়ে কথা বলা ও শোনা যায়, নেট ব্যাবহার করা, জিপিএস, ভিডিও, সাউন্ড রেকর্ড করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, ক্যালেন্ডার, ঘড়ি, তারিখ, লেখালেখি- বিষয়ের শেষ নেই।
তবে আমি কিনেছি মুলত নেট ব্যাবহার, সাউন্ড রেকর্ড, ভিডিও অডিও এবং ছবি তোলার জন্যই। এখন নেট দেখা, গান শোনা আর ছবি তোলার কাজ বেশী হচ্ছে। পরে কি হবে জানিনা আসলে আব্দুল্লাহ ভাই।
আব্দুল্লাহ ভাই,
শামীম ভাই আসলে এমন একটা ক্যামেরা কিনেছেন যেটাতে চাইলে ফোন করা যায়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ছবিগুলো খুবই সুন্দর তোলা হয়েছে।
শুনুন পিপিদা, আপনার এইসব প্রশংসা আর চলবে না। এইবার ফটাফট ছবি ক্লিক করে আমাদের দেখান। আপনার কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেল। এখন আর শুধু কথায় চিড়ে ভিজবেনা। জলদি ছবি তুলে বিনিময় করুন, নইলে জোর করে তুলে ইটালিতে নিয়ে আসব। তারপর দেখাব মজা।
এইদিকে একবার আসুন না পিপিদা? দেখা হবেনা আমাদের? দেশে কিংবা বিদেশে?
ছবি তোলার সময় পাইনা রে ভাই
আপনার ছবি দেখে ইতালি যেতে ইচ্ছে করে
ছবি আর ক্যামেরা বিষয়ক লেখালেখি দারুণ হচ্ছে কিন্তু। চালিয়ে যান, আমি পেছন থেকে ধরবোনি আপনাকে। (কবে যে সময় হবে!)
নতুন মন্তব্য করুন