ক্যানন এস ১১০
যখন প্রথম ডিএসএলআর কেনার ইচ্ছে হয়েছিল কেন যেন নিকন ছাড়া অন্য কোন কিছুর কথা মাথাতেই আসেনি। যদিও তাঁর আগে আমি চার বছর এসএলআর ব্যাবহার করেছি। আমার মিনলটা ক্যামেরাটা আসলেই ভাল ছিল। ছবি তোলা আর হয়না এটা দিয়ে। পরে রয়েছে আলমারির কোন এক কোণায়। মাঝে মাঝে তাকাই আর ভাবি, ডিজিটালের কাছে ম্যানুয়ালের সমর্পণ কিভাবে অবশ্যম্ভাবী হয়ে ধরা দিল! ম্যানুয়াল ক্যামেরা, ফিল্ম এর মজা, প্রিন্ট করার আনন্দ,বেদনা- মাত্র তিন দশকের মাঝেই সেগুলির কবর রচনা হয়ে গেল। ডিজিটালই এখন আলোকচিত্রের জগতে রাজা মহারাজ!
ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরা একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল। গত পাঁচ ছয় বছর আগে আমাদের দেশেও অনেক মধ্যবিত্তের হাতেই এগুলি দেখা গেছে। এখনও এর আবেদন কমেনি। তবে ইউরোপে স্মার্ট ফোনের কাছে বেশ মার খেতে দেখছি এই কমপ্যাক্ট ক্যামেরাকে। আগামী পাঁচ ছয় বছরে এর কি অবস্থা দাঁড়ায় তা আর বলা যাচ্ছেনা! হয়ত ঠিক এই কারণেই অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে এই কমপ্যাক্ট জগতে। সবাই চেষ্টা করছেন কম্প্যাক্টের আকৃতি ছোট রেখে এর মাঝে খানিক বড় আকারের সেন্সর কিভাবে ঢুকিয়ে দেয়া যায়! সেন্সর একটু বাড়ালে অনেক সুবিধে। এই ক্যামেরাগুলিকে আগে অ্যাডভানস কমপ্যাক্ট বলা হত। অবশ্য এই লেখকের মতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এইসব ক্যামেরাই সাধারণ কমপ্যাক্ট ক্যামেরা হিসেবে গন্য হবে। কিংবা আদৌ এদের কোন অস্তিত্বই থাকবে কিনা কে জানে! স্মার্ট ফোন এখন একদম রাক্ষসের মতন এক দানব। আবার অন্যদিকে সম্ভাবনার বিপুল এক দুয়ারও বটে। এর কাছে এইসব কমপ্যাক্ট আর কতদিন যে টিকবে! এইজন্যই নতুন প্রযুক্তির আমদানি না হলে এদের সলিল সমাধি হতে বেশী আর বাকি নেই!
সে যাই হোক, বছর দুই আগে আমি একটি কমপ্যাক্ট ক্যামেরা কিনি। নিয়মিত ডিএসএলআর ব্যাবহারকারি হওয়া সত্ত্বেও একটি কমপ্যাক্ট কেনার খায়েস হয়েছিল কেন আমার? এর একটিই কারণ। কমপ্যাক্ট ক্যামেরা সহজেই প্যান্টের পকেটে ঢোকানো যায়। এটি নিয়ে নিয়মিত অফিস করা যায়। অফিসে আসা যাওয়ার পথে কত কিছুই তো চোখে পড়ে। ঐযে বালিকাটি ফুল হাতে অপেক্ষা করছে কোন এক সড়কের মোড়ে, ঐযে মাছের বাজারে বড় ভিড় আজ, ঐযে মেয়েটি কোন এক উদাসি চোখে 'বাহির পানে চোখ মেলেছে,' কিংবা কোন এক গাড়ির ভাঙ্গা কাঁচ, কিংবা কোন এক ভাঙ্গা বাড়ির ওপর পরা শেষ বিকেলের আলো, কিংবা অফিসের জানালা দিয়ে দেখা নির্মাণ শ্রমিক, এক রিক্সাচালকের ফোনে কথা বলে যাওয়া, অফিসের কলিগের উদ্ভট সাজ! কত কত সম্ভাবনাময় আলোকচিত্র মুহূর্ত, কত কত গল্পের সন্ধান। শুধু ডিএসএলআর দিয়ে কি এই গল্পের প্রাত্যহিক বয়ান সম্ভব? তাছাড়া এই ভারী ক্যামেরাগুলি তো প্রতিদিন বহন করাও যায়না। মুশকিল হল, সাধারণ কমপ্যাক্ট দিয়ে ছাতার মাথা ভালো কোন ছবিই তোলাই যায়না। একবারে সাদামাটা রঙ, বিচ্ছিরি কন্ট্রাস্ট, ডায়নামিক রেঞ্জ এত কম যে যাই তোলা হয় তাই কেমন মনমরা হয়ে বসে থাকে। আর একটু আলো কম থাকলে তো কথাই নেই। কেমন গোল গোল আকৃতির স্পট ইমেজ জুরে বসে থাকে। অসহ্য!
তো এমন ক্যামেরা নির্মাণ করলে কেমন হয়, যার সেন্সর সাইজ একটু বড় রেখে ইমেজগুন আরেকটু বাড়ানো যায় আবার একইসাথে পকেট সাইজও থাকল। এমন চিন্তা থেকে প্যানাসনিকের এল সিরিজের পরই বাজারে এল ক্যাননের এস ৯০, আর আমি কিনলাম ঠিক তার পরের ভার্সন এস ৯৫ ক্যামেরাটি। এই ক্যামেরাগুলি দেখতে ভারী সুন্দর। টিপটপ, মনোরম। আর ব্যাবহার করে অনেক আরাম। এস ৯৫ এর ইমেজ গুন আমি ভাল পেলাম। ভাল মানে নিশ্চয়ই ডিএসএলআর এর মতন নয়। আর আমি তা নিশ্চয়ই আশাও করিনি। ভাল মানে প্রত্যাশামাফিক ভাল আরকি। যখন প্রথম কিনেছি এস ৯৫ আমি খুব অবাক হতাম স্বল্প আলোয় এই ছবিগুলির ইমেজগুন দেখে। প্রথমে তো এলসিডিতে দেখে মাথা নষ্ট হয়ে যেতো, যদিও পরে কম্পিউটারের পর্দায় সামান্য ভোঁতা হয়ে যেত একই ছবি। তারপরেও 'র' সুবিধে আছে বলে ছবিকে খানিক এদিক ওদিক করে নেয়ার সুযোগ ছিল বিস্তর। তবে দেখলাম ভিডিও খুব ভালো হয়, একবার এক্সপোজার একটু বাড়িয়ে দিয়ে আনন্দ আপা আর বাঁধনের কয়েকটি গানের ভিডিও করলাম। ওমা, দেখি গানের সাউন্ড রেকর্ড দুর্দান্ত এসেছে, আর হবে নাই বা কেন, এর যে স্টেরিও সাউন্ড! আবার ইমেজ গুনও চমৎকার এসেছে। মনে মনে খুব আপ্লুত হয়েছিলাম। আর একটা মজা হল এই ক্যামেরার লেন্সের ধারে একটা রোটেটিং রিং আছে যা একটি কনট্রোল রিং হিসেবে কাজ করে। তার মানে এই ক্যামেরার আছে দুটি কন্ট্রোল ডায়াল। আরে আরে, আমার ডি ৪০ ক্যামেরাতেও তো তা ছিলনা। ধন্যবাদ ক্যাননের প্রকৌশলীদের।
তবে ক্যামেরাটি নিজের কাছে না রেখে বাঁধন মানে আমার স্ত্রীকে দিয়ে দিলাম ব্যাবহারের জন্য। কিন্তু এবার আমার হবে কি? আমার জন্যেও তো একটা দরকার। এর দুই বছর কেটে যাবার পর আবার কিনলাম এস ১১০, হাতে এল মাস খানেক আগে। দুটি ক্যামেরাই আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছি। এস ১১০ এর সর্বসাকুল্যে দাম পড়ল $১৯০ বা ১৬,০০০ টাকার কাছাকাছি। সস্তায় পেলাম কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অনেক ধরণের ডিল পাওয়া যায়, স্বল্পমূল্যে বাজারে ছেড়ে দেয় কাটতি বাড়ানোর জন্য। আমিও লুফে নিয়েছি। বলা বাহুল্য আমি এস ৯৫ও কিনেছিলাম ওই একই দামে!
প্রথমে ক্যানন এস ১১০ এর কয়েকটি স্পেসিফিকেশন জানিয়ে দিই।
এস ১১০ বলা চলে এস ৯৫ এর জমজ ভাই। মানে বাইরে থেকে দেখতে প্রায় একই রকম। ফুল মেটাল। এর দুটো রঙ আছে, কালো এবং সিলভার। আমি সিলভারটাই অর্ডার দিয়েছিলাম। যাই হোক, লেন্সে খানিক পার্থক্য আছে দুই ক্যামেরার মাঝে। এস ৯৫ ছিল ২৮- ১০৫, এস ১১০ এ দাঁড়াল ২৪-১২০, আমার সুবিধে যেটা হল তা হচ্ছে আমার কাছে ২৮ মিমির চাইতে ২৪ মিমি অনেক কাংখিত। আমার কাছে শুধু এই একটি বৈশিষ্ট্যই দুটি ক্যামেরার মাঝে পার্থক্য তৈরি করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। বডি কন্ট্রোল সব আগের মতই। ইমেজগুনের মাঝে আমি কোন তফাতই বুঝতে পারছিনা এখন অব্ধি। এই এস ১১০ এ একটি নতুন প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়েছে। ওয়াই ফাই। কিন্তু মুশকিল হল আমি এখন পর্যন্ত এর মাহাত্ম্য বুঝতে পারলাম না। মানে এটি কিভাবে ব্যাবহার করব তাই বুঝলাম না। এটিকে মেন্যুর মাঝে রেখে কিভাবে ঘুটঘাট করে রেখেছে ক্যানন সায়েব। অযথা জটিল করার কোন মানে হয়? আরে বাবা, দিয়েছিস যখন তখন মেন্যুতে কেন, অপশনটা বডিতে রাখলে কি হয়! ও আর একটি জিনিষ আছে যেটি আগে ছিলনা। টাচ স্ক্রিন। টাচ স্ক্রিনটা অবশ্য বেশ আরামদায়ক।
তবে যেমনটি বলেছি আগেই, এইসব ক্যামেরা ব্যাবহার করে বড় আরাম। বেশ দ্রুতগতির। আবার ইমেজ স্টেবিলাইজেশন আছে। অটো আইএসও বেশ ভালো কাজে দেয়। রঙের ক্ষেত্রে এর একটা ভিভিড অপশন আছে, সেটিও ভালো। এদের জেপেগ ইমেজগুলিও ভালই আসে। আমি মাস খানেক হল ক্যামেরাটি ব্যাবহার করছি। এস ৯৫ আর এস ১১০ এর ইমেজগুন একদম আইডেন্টিকাল মনে হল আমার কাছে। সেখানে যেমন রঙ পেয়েছি এখানেও একই রঙ পেলাম। এর এইচডিআর অপশন এখনও ব্যাবহার করিনি। জানিনা কেমন হয়। আমি ক্যামেরাটি নিয়ে জ্যাকেটের পকেটে রেখেছি। এখন এখানে বেজায় ঠাণ্ডা। তাই শুধু প্যান্ট নয় জ্যাকেটেও তা বহন করা যাচ্ছে। আমি ইচ্ছেমতন মনের আনন্দে ছবি তুলে যাচ্ছি। কখনও ভারী কুয়াশার, কখনও বৃষ্টি, কখনো সবুজ পাতা, কখনো উজ্জ্বল চাঁদ, কখনও গাড়ির হেডলাইট, কখনো বা শহরের কেন্দ্র কিংবা সাইকেলের বেল। মানে মজা পাচ্ছি খুব। আবার একই সাথে ইমেজ গুন খানিক ভালো হওয়ায় আরও ভাল লাগছে। ২৪ থেকে ১০০ পর্যন্ত যে ফোকাল দূরত্ব সে পর্যন্ত বেশ শার্প ছবি আসছে। যদিও ১২০ এ খানিক সফট মনে হল যেন! মাস খানেকের ব্যাবহারে অবশ্য পুরোটা বোঝা যাবেনা এখুনি। আরও তুলতে হবে। ব্যাটারি ভীষণ দুর্বল মনে হল। আমি মাত্র এক চার্জে এক কি দেড়শর মতন ছবি তুলতে পারলাম। এলসিডির ছবি আর কম্পিউটার পর্দায় দেখা ছবির মাঝে আকাশ পাতাল ব্যাবধান নেই বলে ভাল লাগল বেশ।
একে তো পকেটেবল, তার ওপর ২৪ মিমি লেন্স তার ওপর এফ ২.০ থেকে শুরু, আর দাম ১৬,০০০ টাকা, আমার জন্য এই ক্যামেরা একটা নো ব্রেইনারের মতন। আমি জানি এর সীমাবদ্ধতা, আমি জানি এর ইমেজ গুন ডিএসএলআর এর সাথে তুলনীয় নয়, তারপরেও আমি জানি, এটাই আমি বেশী ব্যাবহার করব। কারণ হাজার হোক, একে তো আমি সবজায়গায় নিয়ে যেতে পারব। বিয়ে হোক চাই যে কোন অনুষ্ঠান, অফিস হোক চাই যেকোনো স্থান, এটি আমার এখন সর্বক্ষণের সঙ্গী, আপাতত।
আচ্ছা, এইসব ছোট ক্যামেরায় ফুল ফ্রেম সেন্সর পুরে দেয়া যায়না? একি অসম্ভব কোন কাজ? এইবার ছবি যুক্ত করে দেখা যাক এই এস ১১০ ক্যামেরার ইমেজগুন কেমন। তালিকার শেষ তিনটি ছবি ক্যানন এস ৯৫ দিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিগুলির সব কটি জেপেগ দিয়ে তোলা।
১)
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
৭)
৮)
১০)
১১)
১২)
১৩)
১৪)
১৫)
১৬)
১৭)
১৮)
১৯)
২০)
২১)
২২)
২৩)
২৪)
২৫)
মন্তব্য
ব্যাবহারকারি কী বে মামুর বুটা?
লেখা চলুক, ক্লিক ক্লিক চলুক, আপনারে মিস করতাছি
facebook
পাল্টে দিলাম। তোকেও খুব মিস করছি রে। তোর একটা প্রদর্শনীতেও থাকতে পারবোনা তাই বলে? এইটা কোন কথা হল? অথচ দেখ, আমি কিন্তু ২৮ তারিখে দেশে আসছি। কিন্তু রাজশাহী যেতে পারছিনা। তুই তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসিস। নইলে মাইর হবে।
ফুল ফ্রেম ভরে দেওয়া ছোটো ক্যামেরা আছে তো, ঐ যে সনির বা প্যানাসনিকের মাইক্রো ফোর থার্ড গুলি! এসবের বডি বেশ ছোট হলেও লেন্স পরাতে গিয়েই সাইজ বেড়ে যায়। ক্যানোনও ইদানিং এই সেক্টরে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের ই ও এস এম হচ্ছে এটার প্রথম ধাপ। ক্যামেরা খারাপ না, তবে বেশ কিছু অন্য ঝামেলা আছে---বিল্টিন ফ্ল্যাশ নেই, অটোফোকাস বেশ স্লো।
---দিফিও
ধন্যবাদ দিফিও। আপনি যে মাইক্রো ফোর থার্ড ক্যামেরার কথা উল্লেখ করলেন, তার সেন্সর তো অনেক ছোট। এপিএসসির চাইতেও ছোট। ফুল ফ্রেম সেন্সর সাইজের ধারে কাছেও নেই কিন্তু। সাধে কি আর ক্যামেরা এবং লেন্সের সাইজ ছোট রাখতে পারছে এরা? ক্যানন ইওএমএস সম্ভবত এপিএসসি সেন্সরের ক্যামেরা মানে ক্রপ। তাইনা? এটিও ফুল ফ্রেম নয়। ভাই, ফুল ফ্রেম সেন্সর দিয়ে পকেটেবল ক্যামেরা এখনও আসেনি। ছোট আকারের ফুল ফ্রেম ক্যামেরা এই সেদিন বাজারে নিয়ে এল সনি, আলফা ৭ ও আলফা ৭ আর দিয়ে। তাও এর আকার নেহাত ছোট নয়। পকেটেবল তো দূর অস্ত।
ঠিক ঠিক, এপিএসসি আর ফুল্ফ্রেমের কথায় প্যাঁচ লাগিয়েছি। আসলে বলতে চেয়েছি "প্রায় ডিএসএলআর এর সেন্সর সাইজের সমান সেন্সরের" ছোট ক্যামেরা আছে
---দিফিও
সমস্যা নাইক্যা দিফিও। অল ইজ ওকে। অবশ্য "প্রায় ডিএসএলআর এর সেন্সর সাইজের সমান সেন্সরের"- কথাটা দিয়েও পুরোটা বোঝানো সম্ভব নয়। আপনি বোধ করি বলতে চেয়েছেন, প্রায় এপি এসসি সেন্সর সাইজের সমান সেন্সর। জানেন, ক্যাননের নতুন অ্যাডভানস কমপ্যাক্ট ক্যানন জি ওয়ান এক্স মার্ক টু ক্যামেরার সেন্সর আকার মাইক্রো ফোরথার্ড সেন্সরের আকারের চাইতেও বড়? সেন্সর সাইজ নিয়ে তুলকালাম চলছেরে ভাই। অবশ্য না করে লাভ নেই। স্মার্ট ফোন সব কিছু গিলে খেতে চাইছে!
২৩ আর ২৪ ফাটাফাটি লাগলো।
আমার প্রথম ক্যামেরা ক্যানন পাওয়ারশট এ ৭৫। ক্যামেরাটা এখনও কাজ করে। ৩.২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় ফুল ম্যানুয়াল কন্ট্রোল ছিল। আমি অর্ধেক ফটোগ্রাফি শিখি এই ক্যামেরা দিয়ে। আর বাকী অর্ধেক শিখি আমার দ্বিতীয় ক্যামেরা ক্যানন পাওয়ারশট এস৫ দিয়ে। এইটাতেও ম্যানুয়াল কন্ট্রোল ছিল। এই দুই ক্যামেরা দিয়ে প্রাইমারী আর হাইস্কুল পার হয়ে, ইউনিভার্সিটি শিক্ষা নেই নিকন ডি ৭০০০ এ। আমি তাই বাজেট কম হলেও সবাইকে পরামর্শ দেই, যদি বিন্দুমাত্র ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ থাকে, তাহলে যেন এমন ক্যামেরা কেনে যাতে ম্যানুয়াল কন্ট্রোল থাকে। শুধু মাত্র এই কারণেই আমি ফোন ক্যামেরা পুরোপুরি এপ্রিশিয়েট করতে পারিনা। তবে হ্যা যখন খুশি ব্যাবহার করি হিসেবে ফোন ক্যামেরা ঠিক আছে।
আমার মেয়ে জন্মানোর পরে স্ত্রীকে প্যানাসনিক লুমিক্স এলএক্স ৫ কিনে দিয়েছি। বর্তমানে আমার মনে হয় ক্যানন আর প্যানাসনিক ই ফাটাফাটি রকমের কম্প্যাকট বানায়। এলএক্স ৫ এ এমনকী র সাপোর্ট ও আছে!
আপনি সময় পেলে রিকহ জি১ ক্যামেরাটা দেখতে পারেন। ঐটাতে ফুলফ্রেম সেন্সর আছে। তবে দাম বড্ড বেশী। প্রায় হাজার ডলার(ইউ এস)
অনেক ধন্যবাদ সাফি। আজকাল শুরুতেই দেখি সবাই ডিএসএলআর কেনে। আর কেনার পর জিজ্ঞেস করতে থাকে ছবি ভাল হচ্ছেনা, অন্ধকার আসছে, লেন্স ভাল না, রদ্দি মাল দিয়েছে, হ্যান ত্যান ইত্যাদি। অন্যান্য কলার মতন আলোকচিত্রেরও একটা লার্নিং কার্ভ থাকে। সবাইকেই এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এর মাঝে কেউ দ্রুত শিখে ফেলে, কারোর শিখতে অনেক সময় লেগে যায়। ভাল আলোকচিত্র এমনি এমনি ধরা দেয়না। লেগে থাকতে হয়। এইজন্য শুরুতেই ডি এস এল আর ধরার আগে যে কোন ক্যামেরায় একটু হাত মশক করে নিলে সুবিধে হবার কথা। বিশেষ করে ফিল্ম এসএলআর হলে সবচাইতে ভালো হয়। কমপ্যাক্ট হলেও চলে। যেটা তুমি বললে, ম্যানুয়াল দিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করা। এটি পরে খুব কাজে দেয়।
আবার কেউ যদি বিগিনার ডিএসএলআর কেনে, তাহলেও অসুবিধে নেই। শুরুর দিকে সমস্যা হতে পারে। ধীরে ধীরে তা কেটে যাবার কথা। কিন্তু শুরুতে কেউ যদি ভাবেন ফাটিয়ে দেবেন, তাহলে ভুল হবে। কমপ্যাক্ট ক্যামেরা এখন আগের চাইতে অনেক অনেক উন্নত হয়েছে কিংবা বলা যায় উন্নত হতে বাধ্য হয়েছে। এতে আমাদের কিন্তু অনেক সুবিধে হয়েছে। বিশেষ করে পকেটে বয়ে নিয়ে বেড়াবার আনন্দটা এখন পুরোমাত্রায় উপভোগ করা যাচ্ছে। সাফি ক্যাননের এই ক্যামেরাগুলিতেও কিন্তু র সাপোর্ট আছে।
সাফি, রিকোহ জিআর একটা ক্রপ সেন্সরের ক্যামেরা। মানে এপিএসসি। ফুল ফ্রেম নয় মোটেও। মূল্য ৮০০ ডলার। আমি একটা কেনার ধান্দা করছি। তবে দামটা ৫০০ ডলারের নীচে নামুক আগে। পকেটেবল ফুল ফ্রেম ক্যামেরা এখনও আসেনি বাজারে সাফি। তবে আসবে। এপিএসসি এসেছে, একদিন সেটাও চলে আসবে। অপেক্ষা করতে হবে, এই যা।
ছবিগুলি আপনার তোলা? ক্যানন এস ১১০ এর ইমেজগুনতো মারাত্মক!
ডিএসএলআর আমার মোটেই ভাল লাগে না, পুলাপাইন এইটা নিয়া যে শো অফ করে, তা আরও অসহ্য!
লেখাটার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
ধন্যবাদ দীনহীন। ঠিক বলেছেন, ছবিগুলি এই অধমেরই তোলা। মাস খানেক হল পরীক্ষা চালাচ্ছি এটা দিয়ে। আজ এই ক্যামেরার ইমেজ গুন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেয়ার জন্য আপনাদের সাথে বিনিময় করার সুযোগ পেলাম। ডিএসএলআর কিন্তু আমার নিজের খুব ভাল লাগে। এক এক ক্যামেরার একেক রকম কাজ। এই ক্যামেরা দিয়ে দেখবেন আমি মানুষের ছবি কিংবা ম্যাক্রো ছবি তুলিনি। কারণ এই ক্যামেরার টেলি এন্ডে এপারচার অনেক ছোট হয়ে যায়। তাই ব্যাকগ্রাউন্ড অদৃশ্য করার তেমন উপায় নেই। আপনি তো জানেন, কোন ক্যামেরাই নিখুঁত হতে পারেনা। ভোক্তা হিসেবে ক্যামেরার সীমাবদ্ধতা মেনেই কিন্তু ছবি তুলে যেতে হয় আমাদের, তাও আবার একনাগাড়ে। আমি যে ধরণের ছবি তুলতে পছন্দ করি, মানে স্টিল লাইফ, তাঁর জন্য এইসব ক্যামেরার জুড়ি নেই। আর এইসব ক্যামেরা ইনফর্মাল ছবি তোলার জন্য ভাল। কিন্তু যখনই আমি একটু সময় নিয়ে সতর্ক হয়ে ছবি তুলতে বের হই, ডিএসএলআর এর কোন তুলনা পাইনি কখনও। ডিএসএল আর এর ইমেজগুন এইসব ক্যামেরার চাইতে অনেক এগিয়ে আছে বলে এখনও মনে করি।
সামনের ঐ রোটেটিং রিং দিয়ে ম্যানুয়াল ফোকাসের মতো মজা পাওয়া যাবে খানিক, এই শখেই আমার এই ক্যামেরাটা বেশি ভালো লেগেছিলো শুরুতে। একই রকমের সিস্টেম S100-এও আছে। কিন্তু দুইটা মডেলই বাংলাদেশে পাওয়া যায় না সহজে। আর গেলেও দাম প্রায় ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ধরেছে দেখলাম IDB-তে JAN Associates (S100 - 29,000 Tk) আর বসুন্ধরা সিটিতে ক্যামেরা জোন (S110 - 32,000 Tk)। আমেরিকা থেকে যে বন্ধুর বন্ধুকে দিয়ে আনাবো বলছিলাম আপনাকে, সে ব্যাটা আসছে না নাকি! মহা মুশকিল!
আপনার তোলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ছবি (এখানে ২৪) আমার মাথা খারাপ করে দেয় বরাবরই। ১৫ নাম্বার কি কোন ধরনের লাইট?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাড়াতাড়ি কিনে ফেল বুবু। আমি যুক্তরাষ্ট্র থাকলে তোমার আর চিন্তা করতে হত না। আর আমারও ভাল লাগত, কারণ ক্যামেরাটা যোগ্য মানুষের হাতেই যেত। ১৫ নাম্বারটা আসলে লাইট বাল্ব, বিশাল আকৃতির। মতিহারের শহীদ মিনারের ছবি দেখে তোমার আবার ভাল লাগবে, সেটা জানি।
মনি ভাই, ফটোগ্রাফির প্রতি আপনার ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ করে। কোন কিছু খুব মন থেকে চাইলে নাকি মানুষ সেটা পায়, আপনার ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় আপনার ভালবাসা বৃথা যায়নি।
এবার ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানায়, আপনার ক্যামেরা বিষয়ক সকল পোষ্ট থেকে অনেক কিছু শিখেছি, সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা সেটা হল সত্যিকারের ছবি তোলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছি দিন দিন।
সব বিদ্যা সবার হাতে ধরা দেয়না যদিও তবুও আগ্রহটা তো জেগেছে এটাই আসল কথা।
ভাল থাকবেন, আমাদের প্রানের শহরে নিশ্চয় কখনও দেখা হবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তুমি যে কি সুন্দর করে লেখোরে আপু। আমি যে কারো মধ্যে আলোকচিত্রের প্রতি অনুরাগী করে তুলেছি, এইটা বোধ করই এখন পর্যন্ত ছবি তুলে পাওয়া আমার সবচাইতে বড় কমপ্লিমেন্ট। আমি আসলে এইসব ছবি তুলে, বিনিময় করে, আলোচনা করে এই কাজটাই করতে চাই। মানুষের মাঝে ছবি তোলার প্রতি ভালোবাসাটা জাগিয়ে তুলতে চাই। এইজন্য তোমাদের ফিডব্যাক টা আমার খুব দরকার। আমি লেখার মাধ্যমে বলতে চাই। ছবি তোলার যে কোন মাধ্যমকে হেলায় ফেলে রাখতে নেই। চর্চাটা শুরু করে দেয়া দরকার। তারপর ভালো কিছু কেনা যেতেই পারে।
তোমার সাথে আমার দেখা হবে কবে? তুমি দেশে যাবে কবে, বলো তো?
এপ্রিল না হলে মে মাসে, আপনি কি ততদিন থাকবেন মনি ভাই?
তাহলে দেখা হয়ে যেত।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমি এইবার মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য যাচ্ছি। জুন মাসের দিকে আরেকবার যাব। তখন তুমি থাকলে দেখা হয়ে যেতে পারে। তুমি থাকবে কতদিন?
পিপিদা, ছবি কনে? দেশ থেকে এসে আবার লেখা দিবনে। অনেক আইডিয়া আছে মাথায়।
১৪ তো দেখে মনেই হয়না ডিএসএলআর দিয়ে তোলা না!
ফ্লিকারে গেলাম এক্সিফ দেখার জন্য, শাটার ১/১৫ দিয়েও চোখে পড়ার মত কোন ব্লার ছাড়া চমৎকার ছবি।
৫ এও দেখলাম তেমন কোন নয়েজ নাই।
এ ক্যামেরা তো পুরাই ছোট মরিচে ঝাল বেশি অবস্থা!
শুভেচ্ছা
[মেঘলা মানুষ]
মেঘলা মানুষ, সন্ধ্যায় তোলা ছবিগুলি কিন্তু ট্রাইপড দিয়ে তোলা হয়েছে। ট্রাইপড যে কি কাজে দেয়, কি বলব। ৫ নাম্বারটাও ট্রাইপড মশাইয়ের সহযোগিতায় তোলা। তবে এই ক্যামেরার ইমেজ গুন ভালো। অনেক ভালো। আমিও অবাক হয়ে যাই মাঝে মাঝে। তবে কেবল তো তোলা শুরু করলাম, মাস খানেক হল। এ দিয়ে আরও ভালো ছবি তোলা সম্ভব মনে হয়।
ফটোগ্রাফির প্রতি আপনার ভালোবাসা আসলেই অনেক বেশি! সেল্যুট। আমি তো একবার ধরি আবার ছাড়ি!
তবে ছবিগুলো বেশ লাগলো। আলাদা ভাবে বলতে গেলে ১৭ নাম্বারে মুখোশটার উপরে আলোটা একেবারে মাখন, মনে হচ্ছে একটু ছুঁয়ে দেখি! ২৪-এর পার্স্প্যাক্টিভ অসাধারণ!
চমৎকার কাজ রে ভাই!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আলোকচিত্রকে ভালোবাসি। এটা সত্যি। আমি ২০০৩ সাল থেকে ছবি তুলছি। এসএলআর, ডিএসএলআর, কমপ্যাক্ট, স্মার্ট ফোন- সবই ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। এক্সপেরিমেন্ট করতে ইচ্ছে করে। আর আমি সব মাধ্যমেই ছবি তুলি। প্রতিদিন তুলি। ইদানিং এসএলআর দিয়ে তোলা হচ্ছেনা একেবারেই, আফসোস।
আলোকচিত্র শিল্পী নই, আলোকচিত্র প্রেমী হয়ে থাকতে চাই। জীবনভর।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমার ছবি আপনার ভাল লেগেছে, এই অনেক আমার জন্য। এর বেশী কিছু চাইনা।
অনুপম ত্রিবেদি আর মনি ভাই দুইজন মিলে কি লাগাইসে। একজন দেশে বসে আরেকজন বিদেশ থেকে, সচলের নীড়পাতাটা এক্কেরে গান্দা করে ফেলল। দুইজনকেই সচল থেকে ব্যান করার দাবী জানায় গেলাম।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
শাব্দিক, এইসব আলাপ বাদ দিয়ে নতুন লেখা দিন, ছবি দিন। নইলে ক্যাম্নে কি, বলুন তো?
এক্কেরে মনের কথা।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমি তো ফটোগ্রাফার না, তাই এইসব ছোট ক্যামেরা দিয়ে হবে না। কান্ধে একটা মার্কডিফাইভথ্রি, লগে আলাদা গ্রিপার, ৭০-২০০ লেন্স... এইসব হ্যানত্যান কান্ধে না ঝুলাইলে কেউ পাত্তা দিবো?
যাউগ্গা, ২৮ তারিখ ঢাকা আইসা আওয়াজ দিয়েন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি এত হাসাতে পারেন নজরুল ভাই!
নজরুল ভাই, ফোন নাম্বারটা পাঠিয়ে দিন তো আরেকবার ইনবক্সে। দেশে গিয়ে যোগাযোগ করব এইবার।
আসলেই, ভারি ভারি ক্যামেরা হাতে না দেখলে কেউ পাত্তা দিতে চায়না। তবে বেশি পাত্তা পেয়ে গেলে ছবি তোলাটাই আমার আর হবে কিনা সন্দেহ।
হা হা হা.. ঠিকই বলছেন।
অন্ধকারে কিংবা কম আলোতে ছবি তুললে সাদা সাদা কতগুলো বৃত্তাকার দাগ পড়ে যায় এটাই সবচেয়ে বিরক্তিকর। কিন্তু আপনার কম আলোতে ছবি (১৪) ছবিতে এটি নেই কেনু? কিভাবে? (আপনার আগের পোষ্ট প্লিজ মিষ্টার নিক্কনে একটা মন্তব্য করেছি সময় করে দেখবেন আশা করি)
মাসুদ সজীব
যাই সজীব। দেখে আসি তোমার মন্তব্য। এখন তো এইসব কমপ্যাক্ট ক্যামেরার গুন অনেক বেড়েছে। ধীরে ধীরে এইসব স্পট কোথায় হারিয়ে যাবে? তারপরেও বড় দেড়ি করে ফেলেছে এরা। স্মার্ট ফোনের কাছে এদের ধরা খাওয়া সারা। কয়েকদিন পর হন্যে হয়েও এদের খুঁজে পাবেনা হে সজীব।
একজন লোক অসাধারণ আলোচনা লেখেন স্মরণীয় গায়কদের নিয়ে, চলচ্চিত্র নিয়ে, ভাস্কর্য নিয়ে, আঁকা ছবি নিয়ে, তোলা ছবি নিয়ে, ছবি তোলা নিয়ে, বেড়ানো নিয়ে, আমরা পড়তে থাকি, পড়ে মুগ্ধ হতে থাকি; অসাধারণ ছবি তোলেন, পোস্টান, আমরা দেখে মুগ্ধ হতে থাকি।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, আমি তেমন ভাল কিছু লেখিনা, কিন্তু আপনাদের মতন পাঠক আছেন, যাদের উৎসাহে লিখি। লেখার জন্য সময় লাগে, ছবি তোলার জন্যও চাই অনেক সময়। কিন্তু আপনি তো জানেন, আমাদের মতন পেশাজীবীদের শখ পূরণের রয়েছে নানান সীমাবদ্ধতা। সংসার আছে, সংগঠন আছে, সমাজ আছে, তার মাঝেও ছবি তোলার একটা নেশা আছে, আবার কাজের সময়টাও বড় দীর্ঘ। সব কিছু সামাল দিয়ে উঠতে হিমশিম খেতে হয়। তবে তারপরেও লেখাটা হয় মুলত আপনাদের মতন পাঠকদের নিরবিচ্ছিন্ন উৎসাহে, আগ্রহে। সচল থাকা বড় সহজ কাজ নয়, নিজেকে গুছিয়ে লেখাকে পরিবেশন করাটাও কঠিন এই বাস্তব জীবনে। তবু চেষ্টা করে যাওয়া। এই আরকি।
অশেষ ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন